Sunday, April 3, 2016

এই লেখাটি আমার টাইমলাইনে পোস্ট করেছিলাম, আগস্টের ১৪ /১৫ তারিখ ২০১৫ তে


এই লেখাটি আমার টাইমলাইনে পোস্ট করেছিলাম, আগস্টের ১৪ /১৫ তারিখ ২০১৫ তে। তখনো আমাদের পেজটি সৃষ্টি হয়নি। আজ Ziaul Hasan ভাইয়ের জন্য আবার পোস্ট করলাম

সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি, সি টাইপ মাঠে পাইন্যা ফুটবল খেলতে স্কুল কলেজ বাদ দিয়ে সিনিয়র জুনিয়র সব পোলাপাইন হাজির, এমন িক জীবনে কোনদিন ফুটবল টাচ করেনি সেই আনোয়ার ভাই ও কোথ্থেকে যেনো একটা একটা কালো হাফ প্যান্ট যোগাড় করে, তার উপর সাদা স্যান্ডো গেন্জি পড়ে মাঠে হাজির, উনাকে দেখে সবার উৎসাহ আরও বেড়ে গেল। কোন পক্ষ বিপক্ষ নেই সবাই উনাকেই ল্যাং মারতে লাগলো, এক একটি ল্যাং খায় আর উনি শূণ্যে ভাসতে থাকেন, তবে আনোয়ার ভাইকে দেখা যাচ্ছিলো না শুধু কালো হাফ প্যান্ট আর সাদা গেন্জি শূণ্যে ভাসতে দেখা যাচ্ছিলো। খেলা শেষে পুকুরে গোসল করে যে যার বাসায় চলে গেলাম, বাসায় ঢুকতেই বাপ মা আমারে হালকার উপর ঝাপসা প্যাদানী দিলো, খেলার আনন্দে আর একটু পর জানলায় বসব সে খুশীতে কিছু গায়ে মাখলাম না। ভাত খেয়ে পিছনের জানলার ধারে বসলাম বিশেষ উদ্দেশ্যে !!! 


কিন্তু এ কি দেখলাম আমি !!! রিমন আর হিমন ভাই এ দু ভাই হাফ প্যান্ট পড়ে খালি গায়ে ভিজা শরীরে ওদের বাসার আশে পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে । সে এক দেখার মতো কাহিনী ( রিমান দের ও আমাদের িবল্ডিং পাশাপাশি ছিলো) । প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর ওদের আশ্রয় হলো সিরাজ চাচা দের বাসায় (সি ১) । েসন্ধ্যার সময় আসল ঘটনা জানলাম , ওদের বাবা, বৃষ্টিতে ফুটবল খেলার অপরাধে ও কলেজে না যাওয়ার কারনে বাসা থেকে তাদের বহিস্কার ও ভাত ব্নধ করেছেন। তাদের আপাতত আশ্রয় ৈঐ সিরাজ চাচার বাসায়, রিমনের মা (চাচী) আমাকে একটু ভালো জানতো তাই আমি তাদের পক্ষে ওকালতি করতে গিয়ে চাচার একটা রাম ধমক খেয়ে ফিরে এলাম। অবশেষে রাত ১০ টার দিকে সিরাজ চাচার সুপারিশে তাদের গৃহে বরন। তবে তাদের বাপ তাদের মোটামুটি ভালোই প্যাদানী দিলো (গোপন সূত্রের খবর অবশ্য)। এবং প্রায় সাত আট দিন তাদের মাঠে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো। 

তবে তাদের গৃহ বহিস্কৃত হয়ে দুপুরে এভাবে ঘুরাঘুরির কারনে আমার জানলায় বিশেষ উদ্দেশ্যে বসা পুরাপুরি মাটি হয়ে গিয়েছিলো।

No comments:

Post a Comment

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss