ভদ্রলোকটির নাম:-মনিরুল ইসলাম খান লিটন ওরুফে চশমা লিটন।।ব্যাচ:-94।।বাসা:-এফ-6/12।।পরিবারের বড় সন্তান।।তিন ভাই,তিন বোনের মধ্যে বড়।।ডাব চুরি সেই সাথে খাওয়ার ওস্তাদ ছিলেন।।কাশেম কাকার গাছ গুলো ছিল ওনার বেশি পছেন্দর।।খুব চঞ্চল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন।।খেলাধুলাও অনেক বেশি পছন্দ করতেন।।ছোট বেলায় আমাদের সাথে ঘুড়ি উড়াতেন,বুইজ্জার বাগানে মার্বেল খেলতেন।।আমার কাছে ওনার সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় ছিল ওনার খানদানি চশমাটা।।এতো পাওয়ার ফুল গ্লাস পড়ে ওনি কি করে চলাফেরা করতেন সেটাই সব সময় চিন্তা করতাম।।আশা করি ওটা এখন আরও ভাড়ি হয়েছে।।একবার বাগানে আগুন ধরানোর পরিকল্পনা চলছিল।।সাথে আমরা ক'জন।।কিন্তু সাথে দিয়াশলাই না থাকায় সবাই খুব চিন্তিত।।তখন হুট করে একজন বলে বসলো লিটন ভাই আপনার চশমাটা কাজে লাগান।।লিটন ভাই বললো কিভাবে।।বললো সূর্যের দিকে ধরেন।।যেই কথা সেই কাজ।।আগুন ধরিয়েই সাথে সাথে দৌড়।।বিষয়টা যতদূর সম্ভব লিটন ভাইয়ের মনে থাকার কথা না।।যাই হোক এই হলো আমাদের লিটন ভাই।।
এতো হলো সেই লিটন।এবার আসি বর্তমান লিটন ভাইকে নিয়ে।।
লিটন ভাই আগে যেমন ছিলেন এখনও তেমনি আছেন।।নো চেঞ্জ।।স্বাস্থ্যরো কোন উন্নত হয় নাই।।খুব সম্ভবত পাওয়ার ফুল চশমার অভিশাপে😜
সিএসএম-এর প্রতি ওনি দারুণ ইমোশনাল।।অনেক কিছু করতে চান বা করার ইচ্ছা ওনার।।কিন্তু বাধ্য বাধকতার কারনে অনেক সময় পারেন না।।বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।।নিদর্শন স্বরপ একটি কথা বলা যায়।।গত 21 ফেব্রুয়ারিতে সি এস এম কলোনি বাসী আমাদের স্মরণীয় শহীদ মিনারে একত্রিত হন বীর শহীদের শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাতে।।আমি যতদূর জানি এটার পুরো কৃতিত্বটা ছিল ওনার।।সেই সাথে ওনাকে উৎসাহ এবং সহযোগিতায় ছিল আমাদের শাহিন ভাই,,বাবুল ভাই,,স্বপন ভাই সহ অনেকে।।তবে ওনাদের এই পুরোটা অনুষ্ঠান এবং কষ্ট স্বার্থক হয়েছে আমাদের প্রিয় কলোনি বাসীর মহানুভবতার জন্য।।কারন ওনারা যদি না আসতেন তা হলে হয়তো আমাদের চশমা লিটন ভাই সারা জীবন আড়ালেই রয়ে যেতেন।।যাক আজ আর পারছি না।।ক্ষুধা লাগছে খাবো।।নিজের খেয়ে আর কত গুনগান লিখবো।।খালি মুখে এর চেয়ে ভালো আর লিখা আসে না।।
লিটন ভাই এই বার আর না চেনার উপায় নাই।।আর আমর দিকে একটু খেয়াল রাইখেন।।

No comments:
Post a Comment