Wednesday, September 30, 2015

তোমার আজ মন ভালো নেই

- Javed


তোমার আজ মন ভালো নেই
-------------------------------
আমি সীমান্তে পাঠিয়েছি দূত
সে খবর এনেছে
তোমার আজ মন ভালো নেই।
আমি কাঁটাতার কেটে দিয়ে
উপড়ে এনেছি চৌকি
দুঃখ সব এপারে আসুক।
সীমান্তরক্ষীদের বলে দিয়েছি
নতজানু হয়ে থাকো
দুঃখ সব এপারে আসুক।
ঘোড়সওয়ার খবর এনেছে
তোমার আজ মন ভালো নেই।।
শুল্ক বিভাগকে বলে দিয়েছি
দুঃখের উপর কোন কর শুল্কায়ন হবেনা
দুঃখ অবাধে এপারে আসুক।
গোয়েন্দারা প্রতিবেদন দিয়েছে
তোমার আজ মন ভালো নেই।।
(৩০/০৯/২০১৫)

যৌথ আবাসিক কলোনি



আজ বন্ধু Md Jahid এর একটি লেখা পরলাম। বন্ধু Tajul Islam এর সমর্থনের (লাইক) কারনেই লেখাটি চোখে পড়লো। ফেসবুকে আমি জাহিদের বন্ধু তালিকায় নেই তাই তার টাইম লাইনে কিছু লিখতে পারছি না। তার অভিযোগ CSM পেজটি শুধুমাত্র জরুরি আবাসিক কলোনির প্রতিনিধিত্ব করছে। আপাতদৃষ্টিতে তাই মনে হতে পারে কেননা পেজটিতে যৌথ আবাসিক কলোনির বাসিন্দাদের অংশগ্রহন কম। একারনে স্মৃতিচারণমূলক কোন লেখাতে যৌথ আবাসিক কলোনির কোন প্রসঙ্গ উঠে আসেনা। যৌথ আবাসিক কলোনিতে আমি নিজেও অনেক আড্ডা দিয়েছি। যৌথ আবাসিক কলোনির পানির পাম্প, খেলার মাঠ, বিল্ডিংগুলোর ছাদ সব জায়গাতেই আড্ডা দেয়ার পরম সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমি ভুলে যাইনি সেই বিখ্যাত চাকলুপানিয়ার কথা। আমি বাক্তিগত ভাবে মনে করি নিয়মতান্ত্রিকতার মাঝে থাকা জরুরি আবাসিক কলোনির চেয়ে যৌথ আবাসিক কলোনির দিনগুলো অনেক বেশি রঙ্গিন ছিল। যৌথ আবাসিক কলোনির বাসিন্দাদেরই সেই রঙ্গিন দিনগুলোর কথা তুলে আনা উচিত। 

CSM সবসময় একটি পরিবার ছিল, একটি পরিবারই থাকবে।

চুরি ও ইমোশোন।


আমরা তখন ডি টাইপে থাকি, আমাদের পিছনের বিল্ডিং এ রিনিদের বাসা, ওদের আম গাছে অনেক আম ধরেছে, তখন ৮৮ সাল রোজার মাস, তারাবির টাইমে অপারেশন শুরু, আমি, দুলি, মনিরুল, আরো কয়েকজন আম পাড়ছি এমন সময় রিনি দের বাসা থেকে আম চোর আম চোর বলে চিৎকার, আমি আর দুলি আর দেরি না করে ওদের বাসার দরজার বাইরের দিকের ছিটকারি লাগিয়ে দিলাম যাতে ঘর থেকে কেউ বের না হতে পারে। তারপর মনের সাধ মিটিয়ে আম চুরি করলাম। বাসার ভিতর থেকে চিৎকার করছে, তাতে কি কেউ তো আর বের হতে পারবেনা। পরে পুকুরপাড় বসে আম খেলাম, যা খেলাম তার চেয়ে বেশি নস্ট করলাম। বাসায় যাওয়ার সাথে সাথে বাপ কতৃক ঝাড়ু পেটা। আজো বুঝলাম না এতো তাড়াতাড়ি বাসায় কমপ্লেইন্ গেলো কিভাবে। পরদিন এর প্রতিবাদে দুলি কে সাথে নিয়া রিনিদের বাসার সামনে টাইম বোমা ফাটাতে গেছি ( বোমার সাথে আগর বাতি লাগিয়ে আগরবাতি তে আগুন জালিয়ে দিলে ৫/৭ মিনিট পর বোম ফাটে, এটাকে আমরা টাইম বোমা বলতাম) বোম ফিট করে একটু দূরে যেতেই কে জানি বলল রিনির দাদি বা দাদা খুবি অসুস্থ, একথা শুনার সাথে সাথে আমরা বোমার আগুন নিভিয়ে ফেললাম।

“ আদব লেহাজের চুড়ান্ত নমুনা “



আমাদের ৯৭ ব্যাচের আলী আক্কাস স্বপন, কলোনীর কয়েকজন বিরল প্রজাতির বান্দরের মধ্যে একজন। মসজিদে গেলেও আমাদের বাঁদরামির শেষ থাকতো না, জুম্মার নামাজ পড়তে গেলে সবার আগে খুঁজে বের করতাম আমাদের গুলো কোথায় বসে আছে ? এরপর একসাথে হয়ে সেখানেও বাঁদরামি, জামা টানাটানি, পাঞ্জাবি গীট্টু দিয়ে দেওয়া, কে ঘুমে ঝুরছে তাকে নিয়ে হাসা হাসি ইত্যাদি ইত্যাদি !

একদিন সম্ভবত এশার নামাজের সময়, নামাজ শুরু হয়ে গেছে, সবগুলো দৌড় দিয়ে নামাজের কাতারে হাসা-হাসি করতে করতে হুড়-মুড় করে দাঁড়ালাম, আক্কাস দাঁড়িয়ে দেখে তার পাশে ছানার আব্বা ( আঙ্কেলের নাম মনে নেই এখন ) নামাজের নিয়ত বাঁধা অবস্থায় আছেন, তবুও আক্কাস আঙ্কেলের দিকে তাকিয়ে আদবের সাথে দাঁত কেলিয়ে বলল, “ আঙ্কেল আসসালামুয়ালাইকুম !!! “ আঙ্কেল নামাজের নিয়ত বাঁধা অবস্থায় আক্কাসের দিকে তাকিয়ে বললেন “ ওয়ালাইকুম-আসসালাম !!! “ আবার নামাজের দিকে মনোযোগ দিলেন।

শাহজাহান ভাই ও হুজুর স্যারের চাউল পড়া


ক্লাস এইট অথবা নাইনে আমাদের ক্লাসে এক নতুন ছাত্র ভর্তি হলো। আমাদের নতুন সহপাঠীর নাম শাহজাহান। হালকা পাতলা লম্বা গড়নের শাহজাহান এর মুখে সব সময় থাকতো সারল্য মাখা হাসি। মোটা ফ্রেমের চশমা পরা মুখে সুন্দর করে ছাটা গোফ ওয়ালা শাহজাহান সত্যি কারেই ছিলো অত্যন্ত সহজ সরল বোকা সোকা একটা ভাল ছেলে।শাহজাহান আমাদের চেয়ে বয়সে কিছুটা বড়ই হয়তো ছিল সেটা তার গোফ ই বলে দিতো। কিছু দিনের মধ্যে শাহজাহানের সাথে আমাদের দোস্তি হয়ে গেলো। কিন্তু সমস্যা একটা শাহজাহান ক্লাসের সবাই কে ভাই বলে সম্বোধন করে উপায় না দেখে আমরা ও তাকে শাহজাহান ভাই ডাকতাম। 

Tuesday, September 29, 2015

লুলু পাগলা


মাঝে মাঝে আমার পুরাতন পোষ্ট বের করে পড়ি। নিচের পোষ্টা তেমনি একটা লেখা। যখন এটা আমার টাইম লাইনে দেই তখন সিএস এম কলোনীর এ পেজটার জন্ম হয়নি। ভাবলাম কলোনীর সবার জন্য আবার পোষ্ট করি-----------------
লুলু পাগলা

এমন কোন কবি-লেখকদের আড্ডা নেই যেখানে তাকে পাওয়া যেতোনা। একমুখ ঘন গ্যাজালো সাদা লম্বা দাড়ি, মাথায় কোঁকডা সাদা চুলের কাশবন।সেখানে থেকে থেকে দু’একটা কালো চুল তখনো অতীতের গৌরবময় স্মৃতি ঘোষণা করছে। নাক মুখ তীক্ষ্ণ ধারালো। গোল চশমার পেছনে সম্মোহন করার মত চোখ। ঠোটে একটা দুষ্ট হাসি ঝুলেই থাকতো। কোন কথা বলার পর প্রাণ খোলা পরিচ্ছন্ন হাসি। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি আমাদের কবি সামশুল আলম ওরফে লুলু ওরফে লুলু পাগলা তার আরেকটা নাম আমরা দিয়ে ছিলাম-ঠাকুর।তবে আমরা কেউ লুলু ভাই আবার কেউ ঠাকুর বলে ডাকি(ঠাকুর বলে ডাকলে তিনি ভীষণ খুশি )।পাগলের হাসি সুন্দর আর সরল।তার হাসি দেখলেই বোঝা যেতো তিনি ঐ শ্রেনির অন্তরগত।বয়স অবশ্যই ৭০-এর উপর হবে।বয়সের ওজনে শরীর সামান্য ধনুক বাঁকা।হাড্ডিসার শরীরে উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ে তিনি প্রগৈতিহাসিক যুগের রেলিং সাইকেলে প্যডেল মেরে সারা কুষ্টিয়া ঘুরে বেড়ান।যতবড় আর দামি অনুষ্টানই হউক না কেন আমাদের ঠাকুর লুঙ্গি-সার্ট আর রাবারের সেন্ডেল ছাড়া দ্বিতীয় কোন পোষাক পড়তেন না।দেখা গেল রবীন্দ্র কুঠি বাড়ি বা শহীদ মিনরে অথবা শিল্পকলা একাডেমিতে যথা সময়ে তিনি ঐ পোষাকে স্টেজেউঠে পড়লেন।ঠাকুরের হাতে থাকতো বাজারের থলে ভর্তি রাজ্যের লেখালেখির পান্ডুলিপি ।তবে কোন আড্ডায় তাকে তেমন একটা কবিতা পড়তে শুনতাম না। আড্ডায় যা সাধারনত: হয়--- লেখা পড়া- আলোচনা-সমালোচনা কখনো মন মতো মন্তব্য না হলে আলোচকের উপর আকারে ইংগিতে কথার ঝড় বইয়ে দেয়া, এর কোনটাতেই লুলু ভাই নেই।একবারই শুধু কি একটা বিষয় নিয়ে যেন অধ্যাপক মিজান সাহেবের সাথে জম্মের লাগা লাগেছিল।ব্যতিক্রমি মানুষ অল্পদিনেই অন্তরঙ্গ এবং যথারীতি এক বৃদ্ধের সাথে বন্ধুত্ব। আড্ডা শেষে নিচু গলায় আমার লেখার খুঠি-নাটি ধরে মন্তব্য করতেন উপদেশ দিতেন। কখনো তা শুনতাম আবার কখনও হু হা করে পাশ কাটাতাম। তার লেখায় কখনো মানুষ,কখনো সমাজের অসংগতি আবার কখনো ঈশ্বরের কাছে প্রর্থনার কথা সুন্দর ভাবে ফুটে উঠতো।যা এক কথায় ভালই লাগতো।

মঙ্গলে বইছে পানির ধারা


এই সংবাদে চান্দে যাওয়ার সিন্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করলাম। যারা যারা মঙ্গলে মাছ ধরতে যাইতে চাও তারা জাল---বরশী...টেটা...জুতি..বল্লম...পলো জোগার কর্ আর যারা মাছ ধরবা এবং ঘর বাড়ী বানায়ে থাকতে চাও প্রত্যেকে একজন করে নতুন জীবন সংগী( পুরুষ হলে নতুন বউ......মহিলা হলে ফ্রেস হাজব্যান্ড......তৃতীয় লিংগ আপাতত: বাদ) সাথে নিতে হবে। সব কিছু রেডী মাত্র কয়েকটি মঙ্গলমনের(পাঙ্খা যুক্ত গাড়ী) সিট ও অল্প সংখক দক্ষিন মুখি প্লট বাকি আছে। সত্ত্বর যোগাযোগ করুন।

চাঁন্দের বুড়ী চাঁদ সুলতানা ওরফে বন্যা
ম্যানাজার(ভারপ্রাপ্ত)
সি,এস,এম কলোনী।
তাং ২৯/০৯/১৫

আতিক ভাইয়ের নাম


আমাদের বিল্ডিং এর এক আপা একদিন বিকাল বেলায় আমাদের বাসায় আড্ডা দিতে আসছেন। বিষয়, আতিক ভাইয়ের নাম।আতিক ভাইয়ের ডাক নাম নাকি জোসেফ। উনার সাথে মিলায়ে ছোট ভাইয়ের নাম জাবেদ।আতিক ভাইয়ের ভাল নাম নাকি আতিক উল্লাহ। তারপরে বলতেছেন, আল্লাহ জানেন, জাবেদের ভাল নাম কি? মনে হয় জাবো উল্লাহ! আজ ওই আপা থাকলে কইতাম, আপা জাবেদ ভাইয়ের ভাল নাম জাবো উল্লাহ না, Tambourine man তবে উনাকে অনেকে আদর করে তাম্বুরা বা জাম্বুরা বলে ডাকেন

Monday, September 28, 2015

"খোলা চিঠি"

- Mahabub Rasel

লেডিস & জেন্টেল CSM,

আমরা আসলে কি মিস করি? আমাদের গর্ব কি? CSM কলোনি, নাকি CSM কলোনির মানুষজন ? আমরা সবাই যদি CSM কলোনির না হয়ে অন্য কোন কলোনির হতাম, ধরে নেন আমাদের কলোনির নাম ছিলো " ভুতের কলোনি", তাহলে কি আমাদের মন মানুষিকতা অন্য রকম হত ? আমারতো তা মনে হয় না কারন আমরাই CSM কলোনির পরিবেশকে এমন ভাবে বানিয়েছিলাম যার কারনে আমরা CSM কলোনিকে মিস করি গর্ব করি

“ হারামজাদা হোলাইন !!!”

- Mahabub Rasel

কলোনির একটা ব্যাপার খেয়াল করলে এখন মজাই লাগে, আমাদের স্কুলে পড়তো বা স্টিল মিলস চাকরি করতেন এমন অনেকেই কলোনির বাহিরে খালপাড়ে ( বার্মা পাড়ার পাশে ) থাকতেন প্রায় সময় খালপাড়ের সাথে ফুটবল বা ক্রিকেট ম্যাচ নেওয়া হত যেদিন ম্যাচ হত আমরা যেহেতু কলোনির, তাই তাড়াতাড়ি চলে যেতাম বড় মাঠে প্র্যাকটিস করতাম, ঘড়ির দিকে তাকাতাম আর অপেক্ষা করতাম খালপাড় দল কখন আসবে?

বাহ, খালপাড় দল জার্সি, ট্রাউজার, জুতা, মোজা পরে ফিটফাট হয়ে একজন একজন করে আসা শুরু হয়েছে F-12 নাম্বার বিল্ডিং এর পাশে দেয়ালের উপর দিয়ে ( যেখানে একটা লোহার গেট ছিলো, সারা জীবন বন্ধই ছিলো ), প্লেয়ার এর সাথে কিছু কিছু দর্শকও আসতেছে!!! খেলা শেষ হলে আবার যেভাবে এসেছিলো, সেভাবেই দেয়ালের উপর দিয়ে চলে যেত মাঝে মধ্যে আতিক কাকা হামলা করলে বল ব্যাট রেখেই দেয়ালের উপর দিয়েই পালাতো, হা হা হা

CSM সৃতিচারনা (১ম অধ্যায়)


মরহুম আজিজ স্যারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক
আল্লাহ স্যারকে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।

আজিজুর রহমান ওরপে আজিজ স্যার। একটি নাম। একজন মুর্তিমান আতংক। আমার সময়ে এমন কোন পোলাপান ছিলনা, স্যারের নাম শুনে ভিমরি খেয়েছে। স্যারকে দেখলে সহপাঠীরা ১০২ হাত দুর দিয়ে চলাফেরা করতো। আমি তখন ক্লাস থৃীতে পড়ি। দুষ্ট হিসাবে মাএই নাম কামাতে শুরু করেছি। এই সময় আমাদের ক্লাসে মহা কঠিন এক বই এল নাম repid reder. আসম্ভব কঠিন। আব্বা পড়লেন বিপদে। এমন সময় আব্বার মাথায় বুদ্ধি এল এক ঢিলে দুই পাখি মারতে হবে। অর্থাত আমার দুষ্টামি + পড়ালেখা দুটই কন্ট্রোল করতে হবে। আর এ কাজের জন্য একমাত্র উপজুক্ত হলেন আজিজ স্যার। একদিন আববা আমাকে সাথে নিয়ে স্যারের বাসায় (F-10) গেলেন। বলিলেন, আজিজ ভাই, ছেলেকে আপনার কাছে দিয়েছিল গেলাম। চামড়া মাংস আপনার, আমার জন্য হাড্ডি রাখিলে চলবে। একথা শুনে স্যার দাত বের করে এমন এুর হাসি দিলেন ভয়ে আমার আত্মরাত্মা শিউরে উটলো। স্যার বললেন, সিরাজ ভাই আপনি কুন চিন্তা করবেন না। আপনার কথা ভালভাবে পালন করা হবে। আমি ক্লাস থৃী থেকে ফাইভ পর্যন্ত প্রাইভেট পড়েছি স্যারের কাছে। এই দীর্ঘ সময়ে স্যার তার কথা রেখেছিলেন আমার পিঠের বারটা বাজিয়ে। সে সময়ে স্যারের একটা কমন ডায়লগ ছিল, পড়া শিখলে ভাল না শিখলে আরও ভাল। আমার জীবনে বেত মেরে স্যারকে ক্লান্ত হতে দেখিনি কখনও। প্রতিদিন নব উদ্দমে বেত মেরে যেতন। আমাকে পিটাতেন তিন বেলা। ভোরে ও বিকালে ওনার বাসায় আর সকালে ইস্কুলের ক্লাসে। ওই যে আববাকে কথা দিয়েছিলেন। আমি নিয়মিত মার খেতাম আর মনেমনে বলতাম, কত মারবি মাইরা ল, একদিন তোরে আমি খুন করি হালামু। মার খাওয়ার কিছু সময় পর ভূলে যেতাম কারন সাগরের আম্মা মানে স্যারের ইস্ত্রী আমাকে রুটি ভাজি দিয়ে নাস্তা করাতেন প্রায় সকালে। কি স্বাদ তার! অতুলনীয়। এভাবে অনেক দিন কেটে গেল। আমি তখন ফাইভে পড়ি। একদিন টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছিল। আমি বাসা থেকে প্রায়ভেট পড়ার নাম দিয়ে বেরিয়ে স্যারের বাসায় না গিয়ে বই খাতা আমাদের মুরগীর খোয়াড়ে লুকিয়ে তার পিছনে নারকেলের চোবড়ায় আগুন দিয়ে খেলছিলাম। বৃস্টির জন্য স্যার ইস্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলেন আমাদের বাসার পিছন দিয়ে। কিভাবে যেন আমাকে দেখে ফেললেন। বললেন, কিরে কোহিনূর আজ পড়তে যাস নাই কেনো? বললাম, স্যার আজ আম্মার অসুখ তাই যায়নি। স্যার বললেন চল তোর আম্মাকে দেখে আসি। আমি তখনই শেষ। আমাকে নিয়ে বাসায় গেলেন। আম্মাকে বললেন, ভাবি আপনার কি অসুখ হয়েছে? মা বললেন, আমারতো কিছু হয়নি। সাথে সাথে স্যার কাহিনি বুজে ফেললেন। আমাকে হুংকার দিয়ে বললেন, আজিজের লগে মামদোবাজি! আজ তর দইদিন কি আমার একদিন। আমাকে টেনে নিয়ে গেলেন ইসমাঈলদের বাসায় (জিগার আপাকে পড়াতেন তখন)। অতঃপর....অতঃপর মনের মাধুরী মিশিয়ে ওনার জীবনের স্রেষ্ট মাইরটা দিলেন আমায়। এক মাইরে আমি কোহিনূর একদম সোজা। এত বছর পরেও শিউরে উঠি। যারা আজিজ স্যারকে পায়নি তাদের কাছে আমার এ লেখা নিছক গল্প মাএ। স্যার আপনার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমার প্রায়মারি লাইফে আমাকে পিটিয়ে আমার ভিত্তি সোজা করেছিলেন বলেই আজ আমি এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। স্যার আপনার সাথে আমার শেষ দেখা রিমন- মেরির বিয়েতে ২০০৫ সালে। আজ আপনি নেই। কিন্তু মিশে আছেন আমার জীবনে ওতোপ্রতোভাবে। মহান আল্লাহ আপনাকে জান্নাতবাসী করুক। আমিন।

Sunday, September 27, 2015

কাইজ্জা



প্রতিটা মানুষের কিছু বিশেষ বন্ধু থাকে , আমাদের আতিক ভাইয়ার অনেক গল্পে আমি রিমন ভাই এর অস্তিত্ব পেয়েছি রেজা ভাইএর যেমন মোল্লা ওরফে অপু ভাইয়া তেমনি আমার একজন ফ্রেন্ড কাজী । আমার জীবনের প্রথম বন্ধু কাজী , পুরো নাম কাজী জাহিদুল হাসান । ডাক নাম হেলাল । আমি কখনো এই নামে ডেকেছি বলে মনে করতে পারছি না ,আমার কাছে হেলাল শুধুই কাজী কখনো বা কাইজ্জা ,অবশ্য কাজীর চৌদ্দ গুষ্টির সবাই কাজী নামে পরিচিত। কাজীর বাবা কে যেমন আমার বাবা / আঙ্কেলরা কাজী সাহেব বলে সম্বোধন করতো তেমনি কাজীর বড় ভাইকেও আমরা কাজী ভাই বলে সম্বোধন করতাম , কাজীর একটা ছোট ভাই আছে. সেই পিচ্চিও কাজী নামেই পরিচিত !!!
আমি কাজী কে প্রথম দেখি স্কুল জীবনের একদম প্রথম দিন , এত বছর পর সেই স্মৃতি খুজে যত টুকু উদ্ধার করতে পেরেছি আমরা ফাস্ট বেঞ্চের কোন এক জায়গায় বসেছিলাম একটু পর পর কাজী আমার গাল টেনে দিচ্ছিল , কি কথা হইয়েছিল একদম মনে করতে পারছিনা । ক্লাস শেষ হবার পর আমার বড় ভাইয়া আমাকে স্কুল থেকে নিতে আসে , আমি ব্যাগ গুছিয়ে যাবার সময় কাজী কে আর খুজে পাইনি । 

একদিন সকালে (এই গল্পের কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক নয়)



(এই গল্পের কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক নয় তাই ব্যাক্তি বিশেষে মিলে যেতেও পারে। মিলে গেলে সেটা কাকতাল ভাবার কোন কারন নেই। )
আযান শুনে হারুন সাহেবের ঘুম ভাংলো। ঘরের পাশেই মসজিদ, আযানটা বেশ জোরেই শোনা যায়। অন্যদিন আযানের আগেই ঘুম ভেঙ্গে যায় হারুন সাহেবের। আজ দেরি হয়ে গেলো। তাড়াহুড়া করে ওজু করে তিনি মসজিদে যাবার জন্য তৈরি হলেন। ঘর থেকে বের হবার সময় দেখলেন তাঁর ছেলে পুলক উপুর হয়ে ঘুমিয়ে আছে। এভাবে শুয়ে থাকা স্বাস্থের জন্য খারাপ, অনেকবার বলা হয়েছে তাকে। বদভ্যাস ছাড়তে পারলো না ছেলেটা। তিনি নিঃশব্দে দরজা টেনে বেরিয়ে গেলেন মসজিদের উদ্দেশ্যে। তিনতলা থেকে নামার পথে সিঁড়ির ল্যান্ডিঙে দেখা আকতার সাহেবের সাথে। তিনিও মসজিদের উদ্দেশ্যেই রওনা হয়েছেন। দুজন একসাথে নামাজ পড়লেন। ইমাম সাহেবের নামও হারুন। হারুন হুজুর তাঁর সুললিত কণ্ঠে লম্বা মোনাজাত করলেন নামাজ শেষে। হারুন সাহেব ও আকতার সাহেব নামজ শেষে রোজই কিছুক্ষণ হাঁটেন। আজ হাঁটতে নেমে হারুন সাহেব দেখলেন কলোনিরই মুখচেনা কয়েকটি ছেলে রাস্তায় ইতস্তত হাঁটাহাঁটি করছে। হারুন সাহেব বিশাল এই ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা কর্মকর্তা। শুরুতে সবকিছুই তিনি সন্দেহের চোখে দেখেন। ছেলেগুলোর দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে পরক্ষনেই ভুল বুঝতে পারলেন। ওরা প্রাতঃভ্রমনে বেরিয়েছে। নিজের ছেলের কথা ভাবলেন তিনি। এই ভোরবেলায় মিলের সত্তর টনি ক্রেন দিয়ে টেনেও ছেলেটাকে বিছানা থেকে তোলা যাবেনা। ভালো অভ্যাসগুলোর কিছুই পেলনা ছেলেটা। একটা ছেলে এগিয়ে এসে সালাম দিল। হারুন সাহেব মৃদু হেসে সালাম নিলেন এরপর হাঁটতে থাকলেন রাস্তা ধরে।

শাহীন ভাই (Reajul Islam Shahin)

- Mahabub Rasel

শাহীন ভাইয়ের চোখে, মাফ করবেন চশমায় আঙ্গুল দিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন !!!, এটা কিন্তু অনেক দুরের হেড অফিস পর্যন্ত চলে গেছে তাহার চারিত্রিক সনদ দেখতে চেয়েছেন অনেকে, তাহার সহিত এহেন আচরেনের প্রতিবাদ হিসাবে অনেক দুরের হেড অফিসের পক্ষ থেকে আমি গভীর উস্মা প্রকাশ করিতেছি শাহীন ভাই এহেন চতুর্মুখি আক্রমনে বিচলিত হইয়া আমাকে চরকা ঘুরাইতে বলিয়াছেন !!! অমি আমার চরকা ঘুরাইয়া অনেক দুরের হেড অফিস হইতে একখানা মহা মুল্যবান চারিত্রিক সনদ খুজিয়া পাইয়াছি, ইহার পরে কেউ যদি উস্মা প্রকাশ করিবার মত আচরন করেন তাহলে,

"মুই এক্কেরে CSM এর খাম্বাডি দইরা লারা দিয়া দিমু কইয়্যে দেলাম"

Reajul Islam Shahin

“ ঈদের ছ্যাঁকা “


এক ঈদে আমি আর হিমেল ইউনুস ভাইয়ের দোকানে দাঁড়িয়ে আছি আর অন্যদের আসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম ঈদের দিন পকেট গরম, একটা ফুর্তি ফুর্তি ভাব আনার জন্য ইউনুস ভাইয়ের দোকান থেকে একটা সিগারেট নিয়ে জাস্ট ধরিয়েছি এমন সময় দেখি রুবেল ভাই আসছেন ( রবিনের বড় ভাই ), হিমেল বলল রাসেল রুবেল ভাই এইদিকে আসছেন, আমি সিগারেটটা না ফেলে হাতের মধ্যে লুকিয়ে ফেললাম, কারন ফেলতে গেলেও রুবেল ভাইয়ের চোখে পড়তে পারে, তাছাড়া এত বড় সিগারেটটাতো আর ফেলে দেওয়া যায় না !!! 

বিকৃত মনা লিখা


কিছুদিন আগে আমি এই পেজে "বিব্রত " নামে একটি লেখা পোষ্ট করেছিলাম, যেখানে আমার কলোনি লাইফের কিছু বিব্রত কর ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলাম, যেগুলো মনে পড়লে এখন হাসি পায়।

কিন্তু আজ এখানে একটি পোস্ট দেখে এখানকার সকল বিবেকবান ও রুচিশীল সদস্যরাও বোধ করি বিব্রত। যাদের কলোনি তে আমরা বড় ভাই হিসেবে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে আসছি, এখন ও যাকে একজন অমায়িক সজ্জন লোক হিসেবে দেখে আসছি তাদের কাছ থেকে এ ধরনের লেখা কল্পনাও করতে পারছিনা। বারবার বলে আসছি এই পেজ টি এখন একটি পারিবারিক আড্ডায় পরিণত হয়েছে তারপর ও কিছু কুলাঙ্গার জ্ঞান পাপি এ ধরনের বিকৃত মনা লিখা এখানে পোস্ট করছে, আরো আশ্চর্য হয়ে যাই যখন দেখি কিছু ফালতু রা এটাকে আবার লাইক দেয়। 

যাদের এ ধরনের ফালতু বিকৃত রুচির কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে তারা দয়া করে এ গ্রুপ থেকে বের হয়ে যান।এ ধরনের জ্ঞান পাপি আমাদের দরকার নেই। আমরা ভালো কিছু একটা করার চেষ্টায় এখানে মিলিত হয়েছি। দোহাই এখানে বাম হাত দিবেন না। আমরা এখানে ভাই বোন, বাবা মেয়ে, মা মেয়ে পারিবারিক আবহে এখান কার লেখা গুলো উপভোগ করি। জ্ঞানপাপী গন আপনাদের লজ্জা বা বিব্রতভাব না থাকতে পারে কিন্তু আমাদের সবার আছে।

Saturday, September 26, 2015

দুঃখিত এভাবে বলার জন্য



আমি ফেসবুকিং করি ২০০৮ সাল থেকে। শুরু থেকেই ফেসবুকে আমি রেগুলার ইউজার। ছাইপাশ যাই লেখি আগে ২/১ টা ব্লগে লেখতাম। পড়ে ব্লগ বাদ দিয়ে ফেসবুকেই যা করার করতাম। বিভিন্ন কমিউনিটি পেজগুলাতে লিখতাম। কমিউনিটি পেজগুলোর বৈশিষ্ট্য হল এখানে অপরিচিত অনেক মানুষ জমায়েত হয়, অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়। শুরুতে যেকোনো পেজ দারুন ভাবে শুরু হয় কিন্তু যেহেতু সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের প্লাটফর্ম তাই কারো জন্য কারো দায়বদ্ধতা থাকেনা। তাই একসময় কুরুচিপূর্ণ কিছু মানুষের কারনে পেজ কলুষিত হতে শুরু করে। এমন শুরু হলেই সবাই যে যার মত পেজ থেকে সরে পড়ে। 

CSM পেজটা ভিন্ন মনে হয়েছে আমার কাছে। এখানে সবাই সবার পরিচিত। ছোট বড় ভাইবোন সব। কিছু লেখার আগে সবকটা মুখ মনে পড়ে যে কারো জন্য অপ্রীতিকর কিছু হচ্ছে কিনা। দুঃখের ব্যাপার এখানেও একই জিনিস শুরু হয়েছে। আমি অবাক হলাম ষ্টীলমিল কলোনির কোন বাসিন্দার মানসিকতা এমন নিচু হয় কিভাবে? যাই হোক, আবারো পেজ ছেড়ে যাবার সময় বোধহয় হয়ে এলো।

বিঃদ্রঃ - যারা এমন কুরুচিপূর্ণ লেখা সমর্থন করেছেন (লাইক দিয়েছেন) তাদের রুচিবোধ নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। দুঃখিত এভাবে বলার জন্য।

বাবার স্বপ্ন পূরণ


আজ বাবার একটা স্বপ্ন পূরণ হল। আজ আমার আনন্দের দিন,কিন্তু আমার চোখে পানি।কারন আজ যে বাবা নেই।খুব মনে পড়ছে বাবার কথা।কেন জানি আমার fb বন্ধুদের আমার শৈশবের কিছু কথা বলতে মন চাচ্ছে,জানি না ভাল হবে কিনা।তবে এটা বলতে পারি অনেক বড় ভাই,বোনরা আমাকে চিনতে পারবেন,যারা CSM কলোনীতে থাকতেন। বাবার নাম আমি বলব না।

আপনাদের মাঝে রেখে দিলাম,যদি চিনতে পারেন তবে নাম এমনি তে উঠে আসবে।হা আমি সে মানুষের সন্তান,যিনি ছিলেন স্টিল মিলস এর একজন সিনিয়র ক্রান ড্রাইভার।চাকুরির পাশাপাশি যিনি কলোনীর মানুষের কবর খনন করতেন।জানি না কত মানুষের কবর তিনি খনন করেচিলেন। তাছাড়া তিনি বরষা কালে মাছ ধরা, শীত কালে শাক সবজির চাষ,সহ নানা কাজে বেস্ত থাকতেন। কোন কাজকে তিনি ছোট করে দেখতেন না।আর এই কোরবানির সময় তিনি মানুষের গরু কাটার কাজ নিতেন। 

একটি দুঃখের সংবাদ


একটি দুঃখের সংবাদ,
ছবির বর সেজে থাকা এই ছেলেটি কলোনিতে আমাদের পাশের বাসায় অনেক বছর ছিলো, মীজান বিদেশ থাকে জানতাম কিন্তু দুবাই থাকে এইটা জানতাম না, কয়েক মাস আগে কোথা থেকে যেন আমার নাম্বার যোগাড় করেছিলো সম্ভবত আমার ঘরের কারো কাছ থেকে হবে। আমাকে ফোন করে সে কি পরিমান খুশি ছিলো সেটা বলে বুঝানো যাবে না।

মীজান গত কালকে মারা গেছে, "ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজীঊন"
ছবিটি চোখে পড়তেই মীজান আর ওর ছোট ভাই মীনহাজকে চিনতে পারলাম, ওর বড় ভাইয়ের নাম হান্নান, ছোট বোনের নাম সপ্না, প্রথমে হেডলাইন দেখে মনে করেছিলাম হয়তো কোন জোকস !!! কিন্তু .........
মীজানের যে সমস্যার কথা এখানে বলা হয়েছে এইটার সাথে আমরা কলোনীতে থাকা অবস্থাতেই পরিচিত ছিলাম।
সবাই মীজানের জন্য দোয়া করবেন।

আরতি আপা


আরতি আপা, আমাদের স্কুলের একজন আপা যিনি খুব সহজ সরল মানুষ ছিলেন।আপা ক্লাস ফাইভ এ আমাদের ড্রইং ক্লাস নিতেন।ক্লাস নেয়ার ফাঁকেফাঁকে আপা তার স্বভাব অনুযায়ী পান খেতেন।অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার পর আপা খাতা দিবেন, কে কত পেয়েছে আমরা উকি মেরে দেখতে চাইছি। আপা বিরক্ত হয়ে স্কেল দিয়ে মাছি তাড়ানোর মত করে আমাদেরকে তাড়াচ্ছেন।খাতা দেয়ার পর আমরা সবাই যার যার ভুল খুজে বের করছি, আপা কেন নাম্বার কাটলেন।দেখা গেল Al Amin Billah Shujon, সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছে। ওদিকে ক্লাসে যে ফার্স্ট বয় তাকে আপা ২৫ এ দিয়েছিলেন ৭ মানে ফেল। ও ত লজ্জায় শেষ। বার বার আপার কাছে ছুটে যাচ্ছে নাম্বার বাড়িয়ে ওকে পাশ করিয়ে দেবার জন্য।এখানেই আপার সততা চোখে পড়ে।আপা কিন্তু রোল দেখে ওকে পাশ করিয়ে দিতে পারতেন।বেশি নাম্বার দিতে পারতেন। কিন্তু উনি তা করেননি।উনি যে ভাল করেছে তাকেই বেশি দিয়েছিলেন। একসময় ফার্স্ট বয়ের অসহায় অবস্থা দেখে আপার মনে মায়ার সঞ্চার হয়।খাতা কাটার সময় আপা দৃঢ়ভাব দেখালেও মনে মনে আপা ছিলেন একজন মায়াবতী মহিলা।উনি ৯ দিয়ে ওকে সেবারের মত পাশ করিয়ে দিয়েছিলেন এবং পণ করিয়েছিলেন ড্রইং কে যেন সে গুরুত্ব দেয়।৭ থেকে ৯ পেয়ে ওই সময় আমাদের ফার্স্ট বয় আপার কথায় সম্মতি জানিয়েছিল।এর পর আপাকে অনেক দিন দেখিনি। ইদানীং আপার মত এক মহিলাকে প্রায় দেখি।তাই আপার কথা মনে পড়ল।জানি না আপা এখন কোথায় কেমন আছেন।তবে যেখানেই থাকুন না কেন আপা ভাল থাকেন

ডিসকো ড্যান্স


স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে আর কয়েকদিন পর। আমরা কয়জন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম অনুষ্ঠানে নাচবো তবে সাধারন নাচ না ডিসকো ড্যান্স। প্রস্তাব টা আপাদের দিতেই নাকচ করে দিলেন। আমরা ও নাছোড় বান্দা আমাদের নাচতে না দিলে অনুষ্ঠান হবে না। শেষে অবিনাশ স্যারের মধ্যস্থতায় আমাদের জয় হলো। আরেক সমস্যা দেখা দিলো লাইটিং ডিসকো নাচের সাথে অত্যাধুনিক লাইটিং চাই হামিদ স্যারের বক্তব্য বাজেট নাই। সবাই মিলে গেলাম স্কুল কমিটির চেয়ারম্যান খানসুর চাচার (রেজা ভাইয়ের আব্বার) কাছে চাচা লাইটিং এর ব্যাবস্থা করে দিলেন। আবার ভেজাল সবার ড্রেস এক না হলে তো ভ ...

বাউলের বাউলা প্রতিবাদ


বড় ও ছোট ভাই ও বোনেরা আমাকে সবাই মাফ করবে ন।আমি একজন অতি সাধারণ অশিক্ষিত homo sapiens. 1998 সালে csm কলোনি ছেড়ে আসার পর ঐ হতভাগা কলোনির কথা পায় ভুলেই গিয়েছেলাম।

এই group এর সাথে যুক্ত হওয়ার পর আবার সৃতির এলবামের ধূলিবালি ঝাড়া শুরু করলাম।একে একে পরিচিত মানুষদের খুঁজে বের করতে থাকলাম।আমার জীবনের শেষঠ সময় কলোনির জীবন ।

এ পেজে আমি কখনও কিছু লিখি নাই।সবার লিখা পড়তাম; কাদতাম,হাসতাম,শিখতাম।মাঝেমাঝে like ওcomments করতাম ।আপনাদের সবার লেখার মাঝে এক একটা শিক্ষনীয় বেপার আছে ।আপনারা সবাই জ্ঞানী ও মহাজ্ঞানী।আমি এক অধম বানদা।তাই পথমেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি।

বিব্রত


দেখতে দেখতে আরেকটা ঈদ চলে গেলো আমাদের জীবন থেকে। কলোনীর ঈদ নিয়ে সবাই নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত। বিশেষ করে নামাজ শেষে কোলাকুলি নিয়ে। এখন আর কেউ কোলাকুলি করার মানুষ খুজে পায় না। আর কলোনীতে কোলাকুলি করতে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়তো। সত্যিই অনেক আনন্দের ছিলো কলোনীর ঈদের দিন গুলি। কলোনির ঈদের নামাজ হতো অফিসারস ক্লাব টেনিস কোট এ। এমনই এক ঈদে নতুন পায়জামা পাঞ্জাবি পরে নামাজ পরতে গেছি। প্রথম রাকাত নামাজ এ যেই রুকুতে গেছি ওমনি আমার পায়জামার ফিতার সেলাই করা জোড়াটা পিছন থেকে গেলো ছিড়ে। কি বিব্রতকর পরিস্থিতি এক হাতে পায়জামার পতন ঠেকিয়ে কোনো রকম নামাজ শেষ করলাম। নামাজ শেষে আমার বন্ধু ডালিম আর মিলটন কে বললাম আমার করুন অবস্থার কথা। এখন কোলাকুলি শুরুর পালা ডালিম আর মিলটন আমাকে সাহাজ্য করছে কোলাকুলি এড়িয়ে বাসায় ফিরার জন্য, আমি এক হাতে পায়জামার পতন ঠেকিয়ে যতোই কোলাকুলি এড়াতে চাই ততই পরিচিত মুখ গুলা হাসি মুখে এগিয়ে আসে কোলাকুলি করতে। কি বিব্রতকর পরিস্থিতি। আমার কান্না পাইতে লাগলো ইজ্জত নিয়ে মনে হয় বাসায় ফিরতে পারবো না। যা হোক শেষে সম্মানের সহিত বাসায় ফিরে হাফ ছেড়ে বাচলাম। হায়রে পায়জামার ফিতা ছিড়ার আর টাইম পাইলি না ঈদের শুরুর আনন্দের কোলাকুলি টাই মাটি হলো। ওই ঈদেই সবচেয়ে কম কোলাকুলি করছিলাম 

Friday, September 25, 2015

ফিরে দেখা ঈদ


তোমাদের সবার লেখা পড়তে পড়তে ঝাপসা হয়ে আসছিল চোখ। আর বারবার মন ছুটে যচ্ছিল সোনালী শৈশব-কৈশরের স্মৃতি মাখা আমাদের প্রিয় স্টীল মিল কলোনীতে। তোমাদের সাথে একটু যোগ করি।ওখানে আমাদের সব কিছুই এক রকমই ছিল। তখন প্রাইমরিতে পড়ি । ঈদের দিন যেন সবার বাসাই আমাদের বাসা।তাই না? দিনভর দল বেধে প্রত্যেক বাসায় নক করো- সালাম করো-সোজা ডাইনিং টেবিলে বসে পড় । চাচীরা যেন এ দস্যি বাহিনীর জন্য প্রস্তত হয়েই থাকতেন।তবে আমাদের বাবা চাচাদের কঠিন শাসনের ভিতর ঈদের রাত্রীটাই ছিল স্বাধীন। তখন সবে একটা সাদা-কালো টেলিভিশন অফিসার ক্লাবে আসছে । ওটাই তখন আমাদের প্রিয়তমা দর্শনের মত ব্যাকুলও দূরন্ত করে তুলতো। প্রয়োজনে গার্ডের সাথে দূর্ব্যবহার করে হলেও আমারা ঢুকে পড়তাম TV দর্শনে।

পেনসিলে আকা পরী (২)

- Javed


পেনসিলে আকা পরী (২)
------------------------
পরী, বহুদিন পর তোকে আবার দেখলাম
অনুভব করলাম।
আমি ভেবেছিলাম তোকে ভুলেই গেছি
ভেবেছিলাম বুকের ভিতর আটকে থাকা কাটা টা
বোধহয় ক্ষয়েই গেছে কিংবা খসে গেছে।
ভুল যে ভেবেছিলাম তা তো বুঝতেই পারছিস।
যন্ত্রনা ভুলতে তাই আবার
বেচারা কবিতার উপর নির্যাতন।

Thursday, September 24, 2015

মানপত্র


মানপত্র জিনিসটা কেন বইতে থাকতো, আর কেনই বা সিলেবাসের অংশ ছিল আমি কখনই বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু কলোনি গ্রুপে যোগ দিয়ে আমি এর মর্ম উপলব্ধি করতে পারলাম। কারণ একদল মান্য গণ্য লোক আমাদের এই গ্রুপে আছেন। কোরবানি ঈদের উপলক্ষে আমি তাঁদের জানাই "লাখো সালাম"।

আমি মাঝে মাঝে ভাবতে ভাবতে হয়রান হয়ে যাই যে, তাঁরা আসলেই কত মহান। কত বিশাল তাঁদের অবদান। কি সুমহান তাঁদের আত্মত্যাগ। তাই তাঁদের সম্মানে জীবনে প্রথম বারের মত একটা মান পত্র লিখে ফেললাম। যেহেতু প্রথম মানপত্র লিখছি,তাই প্রশংসা বা স্তুতি যদি কিছু কম হয় , তাহলে আমি আশা করি আপনাদের বিশাল হৃদয় আমাকে ক্ষমা করে দেবে ।

পাল্টা ছ্যালেঞ্জসহ--------------- ঈদ মোবারক


"পাল্টা ছ্যালেঞ্জসহ--------------- ঈদ মোবারক".
অনেকেই (Mahabub Rashel) বলদ-বিরিশ-গাইগরু (মহিলা গরু) কিনে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে ফাইট(গুতা গুতি) লাগানোর জন্য। আমি একটা পাঠা কিনছি। সেই রকম পাঠা!! শাথায় শিং নাই।ফাইট করতে করতে ক্ষয়ে গেছে।(তবে গেরস্ত পাঠার মাথায় লোহার হেলমেটসহ বিক্রি করছে)। খু-উ-ব তেজী। সামনের দু’পা তুলে ফাইট করে। কোরবানির কোন পশুই(গরু-মহিষ-উট-ছাগল-ভেড়া) তার সামনে কি--চ্ছু না।সে ফাইট দেয়ার জন্য শুধু লা্ফাইতেছে।সাহস আছে ??
সাহস থাকলে তোমাদের গুলোসহ এসে ঈদের দাওয়ৎ খেয়ে যেও।

“ওপেন চ্যালেঞ্জ”


কলোনিতে থাকা অবস্থায়, কোরবান দেওয়া ছিলো মুরুব্বীদের কাজ, আমাদের দরকার ছিলো একটা গরু, বিরিশ গরু, সব সময় মনে মনে চাইতাম, এইবার যদি একটা বিরিশ গরু কিনতো তাহলে সেইরকম মজা করা যেত, কিন্তু কপাল খারাপ সব সময়ই সাদা বা এ্যাশ কালারের একটা বলদ নিয়ে আসতো, প্রতি বছর কিভাবে খুঁজে খুঁজে আমার আব্বা কার্বন কপি নিয়ে আসতো এটাই মাথায় ঢুকতোনা!!! 

কিন্তু বলদ হলেও শিং গুলো বড় থাকতো, এইটাই শান্তনা, বলদ গরু দেখতাম পা দিয়ে মাটি খুড়তো, মাঝে মধ্যে শিং দিয়েও মাটি খুড়তো !!! বাহ দারুন ব্যাপার, আমাদের গরুর তেজ আছে !!! একবারতো গরুর তেজ টেষ্ট করতে গিয়ে, গরু আমার উপরেই তেজ ঝেড়েছিলো, একেবারে শিং এর উপরে উঠিয়ে আছাড় !!!, গরুর আছাড় খেয়ে আমিতো ভ্যাবা-চ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলাম !!!