Thursday, March 31, 2016

আমাদের ছোট বোন মুনা


এই পরিবারের ছোট কন্যাটি আমাদের ছোট বোন মুনা।বাসার সবার খুব আদরের।কলোনী ও স্কুলে ওর দূরন্তপনা আমরা দেখেছি।খুবই লক্ষী একটি বোন আমাদের, সবার সাথে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

২০১১ তে পূর্ণ মিলনীতে এসেছিল,আড্ডা তে মনে হয় পারিবারিক কাজে ব্যাস্ত থাকায় আসতে পারে নাই।আমরা বোন তোকে মিস করেছি।

রেজা ভাই একটা পিকনিকের কথা বলতে, বেশীর ভাগ কুমিল্লা তে মত দেওয়ায় বোনটি সবাই কে কুমিল্লাতে আপ্যায়ন করবে বলেছে,কয়েক মন আলু সংগ্রহ করে রেখেছে।

সবাই কে আলু গোশ খাওয়াবে।

সবশেষে বোন তুই কিন্তু এখনো পেজে কিছু লিখস নাই, তোর লিখার অপেক্ষায় আমরা সবাই। আর সব সময় পেজের সাথেই থাকবি।

এখানে আমরা আমরাইতো।

Mohammed Kamar Uddin আমাদের মেজ ভাই


Mohammed Kamar Uddin আমাদের মেজ ভাই।আমাদের পরিবারের অন্যতম প্রধান সদস্য।উনাকে আমি খুবই respect করি।উনি খুব চাপা স্বভাবের হলেও অনেক মজার একজন মানুষ।উনি খুবই বন্ধুসুলভ,সবার সাথে সহজেই মিশে যায়।বিপদে আপদে সবাই কে পাওয়া না গেলেও উনাকে পাওয়া যায়।উনি আমাদের সবার প্রিয় একজন।

Jashim Uddin - উনি আমার বড় ভাই


Jashim Uddin।উনি আমার বড় ভাই।আমাদের পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন।আমি উনাকে খুবই শ্রদ্ধা করি।উনি খুবই শান্তশিষ্ট, ভদ্র ও অমায়িক।আমাদের পারিবারিক সব কাজেই উনার সরব উপস্থিতি থাকে।উনি খুবই সামাজিক এবং সর্বদা সামাজিক কাজে ব্যস্ত থাকেন।উনি আমাদের পরিবারের আদর্শবান সন্তান।

লিটন ৯৪ ব্যাচ।


আমাদের সিএসএম এর ছোট ভাই, ও আমার বন্ধু।কলোনীতে থাকতো এফ টাইপে।চশমা ছাড়া খুব কম দেখে।
খুবই পরিশ্রমী একটা ছেলে,যেকোন কাজ করতে বললে সাধ্যমত করতে চেষ্টা করে।

সবাই কে সংগঠিত করার প্রচন্ড ক্ষমতা রাখে,
তারিকের ব্যাপারে ২০১১ তে পূর্ণমিলনীতে সবার নিকট তাদের ব্যাচ থেকে সাহায্যার্থে কাজ করেছে,এখন কোন কারও রক্ত এর প্রয়োজন হলে সবার আগে আমি সব সময় আমার এ বন্ধুটির নাম বলে থাকি।
ও একবার আমাকে বলেছিল দোস্ত কখনো কোন গ্রুপের রক্তের দরকার হলে বলিস,সাধ্যমত চেষ্টা করবো ব্যাবস্হা করার।

আমার মায়ের হাসপাতালে থাকার সময় রক্তের প্রয়োজন হলে ওকে বলি,ও চেষ্টা করেছে ব্যাবস্হা করার।সেদিন আমার বন্ধুঅপুর এক কলিগ এর রক্তের প্রয়োজন হলে ওকে বলি ও ব্যাবস্হা করে।

যে গল্পের শেষ নেই


তখন সবেমাত্র এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছি।কোচিং এ ভর্তি হয়েছি। ভাল কোন বিশ্ববিদ্যালয় এ চান্স পাবার চেষ্টা। প্রাইভেট ভার্সিটি তে পড়ার ইচ্ছা নেই।সেখানেই পরিচয়।লেকচার শীট নিতে গিয়ে।দেখলাম ক্লাসে রেসপন্স খুব ভাল। তাই নিজ থেকেই পরিচিত হলাম। খাতির বাড়ানোর জন্য আমিও পড়ায় মন দিলাম।দিন দিন বন্ধুত্ব বাড়তে লাগল। বুঝলাম না শুধুই কি বন্ধু নাকি আরো বেশি কিছু।কোচিং ক্লাস না থাকলে মন খারাপ থাকে দুজনের সেটা বুঝি।

পড়ায় মন দিতে কষ্ট হয় কিন্তু ওর জন্য জোর করে পড়তে বসি।তখন মোবাইল,ফেসবুক এগুলো চালু হয়নি।তাই টি এন্ড টি ভরসা। বাজারের মোড়ে ফোনের দোকানে গিয়ে ফোন করা।কোচিং ক্লাসের পড়া দিয়ে শুরু হত,কিন্তু শেষ হত অন্য কিছু দিয়ে। মডেল টেস্টে আমি ওর চেয়ে ভাল করি একটাতে,আর ও আরেক টাতে।ইচ্ছা করে ওর চেয়ে কম নম্বর পাই যাতে খুশি হয়।

একসময় এডমিশন টেস্ট আসে।আমি চান্স পাই আইন,অর্থনীতি, ইংরেজি তে।কিন্তু ও কোনটাতেই না।কারন দুর্ঘটনায় ও পরীক্ষা দিতে পারেনা।ওর কথামত আমি আইনে এডমিশন নেই।ক্লাস শুরু হবার পর আমাদের দেখা করা শুরু।মোবাইল কিনলাম ওর সাথে কথা বলার জন্য।প্রতি বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল প্লাজায় দেখা করতাম। একদিন কলোনি র এক বড় আপা দেখলেন।আমি উনাকে না চেনার ভান করি। একদিন ডিপার্টমেন্ট থেকে ট্যুরে যাই। চারদিন পর ফিরে আসি।জানতে পারি অসুস্থ খুব।কিন্তু দেখতে যাবার চান্স নেই। ও বারান্দায় আসে, আমি দূরে দাড়িয়ে ওকে দেখি। 
না সত্যিই না।আসলে সত্যিকারের কাউকে ভাল না বাসলে ভালবাসার গল্প লিখা যায় না।আমিও তাই লিখাটা শেষ করতে পারলাম না। এ ধরনের গল্পগুলোর শুরু থাকে,শেষ থাকেনা

মন দিল খুব খারাপ


মন দিল খুব খারাপ।তেলেও আর কাজ হচ্ছেনা।আমার ছানি পড়া মোবাইল এখন প্রায় মৃত।কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস মানে চার্জ দিলে উনি শ্বাস নিয়ে অর্থাৎ অন হয়ে পুনরায় অফ হয়ে যাচ্ছেন।কিছুতেই উনাকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে পারছিনা।বরং অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছে।অল্প সময়ের মধ্যেই আমার প্রাণপ্রিয় মোবাইল হয়তো ইহলোক ত্যাগ করবে।ছেলেকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ছেলের গেইম খেলার মোবাইল দিয়ে এফবি চালাচ্ছি।জানিনা ছেলে কতক্ষন এলাউ করে।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন এই শোক আমি সামলে নিতে পারি।সকলের সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ।

কমর উদ্দিন ( কমু ভাই)

- Aslamuddin Mamun


আমাদের জসিম ভাইদের পাচঁ ভাই- বোনের মধ্যে ২য়।
ভাই- জসিম উদ্দিন ও নাজিম
বোন- শেলী ও মুন্নী।

কি করেন- বতর্মানে একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান এর ম্যানেজার। খুবইপরিশ্রমী একটি মানুষ।
কলোনীতে থাকতে কখনো কোন কিছু ব্যানার বা পোস্টারর লিখতে হলে চলে যেতাম কমু ভাইয়ের কাছে কখনো না বলেনি।কলোনীতে ছোট ভাইদের কাছে খুব প্রিয় ছিল।একজন খুব ভাল সংগঠক।কলোনীতে নবীন সংঘের সাথে জড়িত ছিল।বর্তমানে ৮৯ ক্লাব এর আহবায়ক।

আড্ডা তে- আড্ডা তে কমু ভাইকে খাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।যথা সাধ্য চেষ্টা করেছে দায়িত্ব পালন,কি পরিমাণ কাজ করেছে আমরা যারা আড্ডা সাথে জড়িত ছিলাম তারা জানি।কতটুকু সফল হয়েছে সেটা যারা আড্ডাতে এসেছে তারাই ভাল বলতে পারবেন।

কিছুদিন আগে তার জন্মদিবসে পেজের মাধ্যমে সকলকে দাওয়াত দিয়েছে, যারা পেরেছে গেছে,।আড্ডা দিতে ভাইটি প্রচুর পছন্দ করে।সময় পেলে আড্ডারর কথা বললে চলে আসবে।আর ছবি তুলে পোস্ট করবে।সব সময় একটা কথা বলবে আমি ছবি তে না থাকলে পোস্ট হবে না,আমার ছবি টা ভাল আসে নাই আবার তুলতে হবে,না হলে আমি খেলবো না।

স্কলম্ব


কলনিতে থাকার সময় আমরা আট জন এক সাথে থাকতাম। এই আট জনের একটা গ্রুপ ছিলো। যে কোন কাজ আমরা একসাথে করতাম। আমাদের গ্রুপের নাম ছিলো "স্কলম্ব"। আজকে এই আটজনের পরিচিতি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো।
স্কলম্ব (SKLMB)
S= সাহেদ, সুমন, শাহিন
সাহেদ (Shahed Hussein) বর্তমানে পুবালী ব্যাংক, চাক্তাই শাখায় কর্মরত।
সুমন ( ভ্রান্ত পথের পথিক আমি) বর্তমান সৌদিআরবে প্রবাস জীবন যাপন করিতেছে। 
শাহিন= বর্তমানে ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটে ছেলোয়ার কামিজের ব্যবসা করিতেছে।
K= কমু বর্তমানে কাজ ফাঁকি দিয়া পোষ্ট দিতাছে।
L= লিটন (Shahabuddin Liton) সিমেন্টের ভিতরে জমে গেছে।
M= মনু, মানিক
মনু (Muhammad Moinul Huda) বর্তমানে ব্যবসা, সংসার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
মানিক (Saiful Manik) টুকটাক ব্যবসা করে আর সংসার সামলাতে ব্যস্ত।
B= বাবু ও এখন সিলেট থাকে। এখন পর্যন্ত বিয়ে করে নাই।

বন্ধু আমার, এভাবেই লিখতে চাচ্ছি


বন্ধু আমার, এভাবেই লিখতে চাচ্ছি। আজ বলবো বয়সে একটু ছোট তবে খুব কাছের বন্ধু। হিওমারটা দারুন। যে কোন বিষয় নিয়ে মজা করতে উস্তাদ। 

মনটাও উদার। রিপনের সাথে হরি হরি আত্না!! মানিকের কথা বলছিলাম এতক্ষন। রিপন যদি বলে, এখন সকাল, মানিক বলবে হ্যা তাইতো, যদিও তখন অনেক রাত!!!! দুইটাই মুরগি চোরের উস্তাদ ছিলো! কত দুপুর, মানিকের বাসায় আড্ডা মেরেছি। এই পেজে মানিক কে পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম। দারুন ছোট ছোট কমেন্ট, প্রতিদিন সকালে, সবাইকে ফুলের শুভেচ্ছা, ছোট ভাই বোনদের, নাতি/নাতনি বলে সম্বোধন করা, বেশ জমিয়ে রেখেছিলো, এই পেজটিকে। ভদ্রলোক রাগ করে এখন আর পেজে ঢুকেন না। আমরা তাকে "মিস" করছি। 

চলে আয় বন্ধু। ছোট ভাই বোনদের উপর রাগ করে কি লাভ? আশায় থাকলাম কাল সকালেই তুই, সবার জন্য, ফুলের শুভেচ্ছা পাঠাবি।

আমার দুই বোন


আমার দুই বোন।প্রথম বোন salina akter shali।তিনি ছিলেন খুবই সৎ, সহজ সরল একজন।তিনি কাওকে কষ্ট দিতে চাইতেন না infect দিতেন ও না।তিনি সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন।সবার সাথে খুবই সহজে মিশতে পারতেন। তিনি আবার csm colony school এর শিক্ষিকা ছিলেন।তিনি উন্নত মানসিকতার অধিকারী ছিলেন।তিনি আমাদের খুব পছন্দ করতেন,বিশেষ করে ভাইদের খুবই ভালোবাসতেন।বড় আপু তুমি যেখানেই থাকো না কেন ভালো থেকো।আমার দ্বিতীয় বোন Tafsi Fariha ওরফে তসলিমা জাহান মুন্নি।সে খুবই চঞ্চল প্রকৃতির ছিল।সে খুবই মানব দরদি,মহান ও দেশপ্রেমিক।সে খেলাধুলায় পারদর্শী যদিও জাতীয় দলে চান্স পাওয়ার খুবই কাছাকাছি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।সে আমাদের পরিবারের গর্ব।যাইহোক আমাদের পরিবারের দুই রত্ন আমার এই দুই বোন।

"পাঁচ ফোড়ন মশলা "


আজ আমি কোন তেল বা ঘি দিবোনা। একেবারে মনের কথা মশলা দিয়ে লিখছি যেন টেষ্টি হয়।এই পেইজে এমন কিছু মানুষ আছে যাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান আপনা আপনি চলে আসে।Anisur Rahman Reza আংকেল যাকে আমরা পীর বলে ডাকি অসাধারন একজন মানুষ। আমাকে আদর করে মা বলে ডাকে। অসম্ভব মায়া ভরা মন সবাইকে খুব সহজে আপন করে নেয়। জানিনা সবার অনুরোধে নাকি আন্টির ভয়ে বেনসন খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। Jashim Uddin আংকেল আমার চাচার সূত্র ধরে আংকেল ডাকা। আমার বড় দুঃখ আমার কোন বড় ভাই নাই। উনাকে চাচা ডাকার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ডাকতে হয়। রাজনীতি ভালো পদচারনা ছিল উনার। খুব সাদা মনেরএকজন মানুষ। Nazmul Huda আংকেল সবার প্রিয় একজন মানুষ। সবসময় হাসি মুখে থাকেন। 

কোন সমস্যা হলে সুন্দর করে তার সমাধান দেন। Mdnurul Kabir Niru আংকেল সবসময় আমার চাচার সাথে দেখতাম নাজমুল আংকেল ও নিরু আংকেল কে ছোটবেলায় খুব ভয় পেতাম ওনাদের দেখলে। ভালো নিংরেজী লিখেন। খুব আন্তরিক একজন মানুষ। Atiq Csm আমার চাচা ভাই।কলোনিতে কোনদিন কথা হয়নি। জানিনা কেন উনাকে দেখলে বা উনার লিখা পড়লে এতো ভালো লাগে। উনার প্রতি ভক্তি আর শ্রদ্ধা আপনা আপনি চলে আসে। ভাই ডাকতে গেলে বলে আমি তোর চাচা। আরে চাচা হলে কি দুষ্টামি করা যায়। মনে এমনি দুঃখ বড় ভাই নেই বলে। Jafar Alam Alam ভাই খুব ভালো একজন মানুষ। কোন ঝামেলার মধ্যে নাই। জীবনে আমার নামটা শুদ্ধ করে ডাকেনি। আদর করে রইন্যা বা রনি বেগম বলে ডাকতো।। 

তেল সংক্রান্ত ' কিছ লেখা ও কমেন্টস পড়ে


'তেল সংক্রান্ত ' কিছ লেখা ও কমেন্টস পড়ে এটা বোঝা গেল- হাসি তামাশার মধ্যেও কিছু "নিগূঢ় সত্যি" লুকিয়ে আছে। এই সব সুত্যি গুলো আমাদের অনেকের কাছে প্রেরণা, প্রনোদনা।

স্টিল মিলের অনেক ছেলেমেয়েই এখন দেশে বিদেশে আপন আপন মেধা,প্রতিভার গুনে উদ্ভাসিত,প্রতিস্টিত। তাদের বিষয়ে জানানটা, আমাদের পরবরতীপ্রজন্মের কাছে পৌছে দেয়াটা একটা ভালো উদ্যোগ ।

Keep it on & on

আজ লিখবো আমার কিছু প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে


আজ লিখবো আমার কিছু প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে।যাদের কে আমি csm colony র মাধ্যমে পেয়েছি।তাদের কে নিয়ে csm colony আমার অনেক ভালো সময় কেটেছিল।csm colony তে আমি অনেক ভালো বন্ধু পেয়েছি যাদের আমি কখনও ভূলতে পারবোনা। তারা Farhana Islam Rony,Bgm Khadiza,Shazi Khan,Saifur Rumi, Shazzad Shakil,Abu Naser,Juwel Nazmul আমার সবচেয়ে প্রিয় বাল্য বন্ধু।তাদের কে এখনও আমি অনেক miss করি।তাদের কেউ এখন কাছে আবার কেউবা দূরে।দোস্ত তোদের মতো বন্ধু পেয়ে আমি আজ নিজেকে ধন্য মনে করি। তোরা সবসময় পাশে ছিলি আছিস এবং থাকবি।দোয়া করি তোদের জন্য।তোরা সবাই ভালো থাকিস।

কলোনির মাঠে প্রতিদিন বিকেলে উঠতি বয়সের ছেলেরা ফুটবল খেলে


কলোনির মাঠে প্রতিদিন বিকেলে উঠতি বয়সের ছেলেরা ফুটবল খেলে, তাদের মধ্যে ফয়সলও আছে, কোত্থেকে জানি সে একটি আকাশী রঙ এর জার্সি যোগাড় করেছে, খুব সুন্দর জার্সি । আবার মাঝেমধ্যে ঢোলা সাদা গেঞ্জি পড়েও ফুটবল খেলে।

মুমু রা ফয়সাল দের কাছের বিল্ডিং এ থাকে, মুমু ফয়সাল দুজন দুজন কে পছন্দ করে, দুজনের মধ্যে টুকটাক কথা হয়, কিন্তু পছন্দের কথা এখনো কেউ কাউকে বলেনি। এভাবেই সময় চলছিল।

একদিন দুপুরে ফয়সাল নামাজ শেষ করে মুমু দের বাসার সামনে দিয়ে ওর বাসায় ফিরছিল, হঠাৎ মুমু সিঁড়ি তে ফয়সালকে একা পেয়ে ডেকে নিয়ে বলল, ফয়সাল তুমি ওই সাদা গেঞ্জি টি পড়ে আর খেলবানা এইটা তে তোমাকে ভালো লাগেনা,তুমি ঐ আকাশি জার্সি টি পড়ে খেলবে, ঐ জার্সি পড়ে তুমি যখন খেলতে থাকো তোমাকে যে কি সুন্দর লাগে।

এখন জাতির সামনে প্রশ্ন, মুমুর এই কথাটিকে ফয়সাল তার প্রতি মুমুর ভালোবাসার প্রকাশ ধরবে নাকি ১ নং খাটি তেল হিসেবে ধরবে????

সব মানুষের জীবনে গল্প আছে। আমরা কয়জনের খবর রাখি?


সব মানুষের জীবনে গল্প আছে। আমরা কয়জনের খবর রাখি? আর রাখা টাও অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার। আমার ধারণা-সিএসএম এর সকল মানুষের গল্প যদি সংগ্রহ করা সম্ভব হত-তাহলে মহা ভারতের চেয়েও অনেক বড়-‘‘সিএসএম মহা কাব্য” নামক এক বিশাল পুস্তক লেখা সম্ভব হত। পৃথীবিতে কিছু কিছু মানুষ জম্নে-যারা সুধু দেওয়ার দলে থাকে-অনেকটা সিনেমার ক্যামেরাম্যানদের মত- নিজের সামর্থ্য ও ভালবাসা উজার করে দিয়ে-দুর থেকে-‘‘আবেগ ও ভালবাসার” নিঃচাষ দেখে মনে মনে তৃপ্তি লাভ করে। তেমনি একজন-সাদা মনের মানুষের নাম-‘‘চশমা অপু” ওরফে আমাদের কাছে আদরের ডাক ‘‘কানা অপু”। তার মনের চক্ষু এত পরিস্কার-আমার ধারনা পীর সাহেব কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে-তার মতামতকে সব চেয়ে বেশী প্রধান্য দেয়। আমাদের এই সিনিয়র সিএসএম এর বন্ধুটি-‘‘আড্ডার” জন্য যে অকৃত্তিম ভালবাস দেখিয়েছে-তা সিএসএম পেইজে দ্বিতীয় ঘটনা আছে কিনা আমার জানা নেই। প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের লীলা ভরা-সিএসএম কলোনীর রোমান্টিক পরিবেশে-কৈশর পেরিয়ে যৌবনে পদারপন করার সময়-ফুল হাতে কোন বালিকাকে ‘‘সুরঞ্জনা ঐ খানে যেয়োনাকো তুমি/বলোনাকো কথা ঐ যুবকের সাথে-ফিরে এসো সুরঞ্জনা”-বলেছিল কিনা আমার জানা নেই। তবে ভাইয়ের মনে যে প্রেম ছিল-তা আমরা গুলশানের এক হোটেলে ‘‘আড্ডার প্রি-মিটিং এর সময় পীর সাহেবের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন-রেজা ভাই, আপনি সবাইকে সন্তোষ্ট করতে পারবেন না। কারণ-‘‘আনোয়ারা সুন্দরীও পারে নাই” ‘‘কে এই আনোয়ারা সুন্দরী-ভাইয়ের কাছে জানতে ইচ্ছে করে। আমি শুধু শানে নুজুলটা লিখলাম-বাকিটা সবাই যে যা জানে কমেন্টস এর মাধ্যমে প্রকাশ করবে। কেহ ভাইয়ের একটা ফটো পোষ্ট করলে কৃতাজ্ঞ থাকিব।

প্রতি বছর ৩১শে ডিসেম্বর আমাদের বাসার সামনে C টাইপ মাঠে রাতে পিকনিক এর আয়োজন করতাম


প্রতি বছর ৩১শে ডিসেম্বর আমাদের বাসার সামনে C টাইপ মাঠে রাতে পিকনিক এর আয়োজন করতাম আমরা সকলেই, ছোট বড় সকলের অধিকার ছিল এখানে অংশগ্রহণ করার শুধু মেয়েরা বাদ ছিল,নিজেরাই সব কিছু করতাম খালি রান্না করতো অফিসাস ক্লাবের মোকলেস ভাই,দুপুর ২ টার বাসে Atiq Csmএর সাথে আর একজন মাকেটে গিয়ে বোম নিয়ে আসতো,রাত ১২টার আগে ই সবাই মিছিল করতে করতে কলোনীর বাহিরে গেইটে পোঁছে যেতাম,আমি দুলি মরা রাশেদ সব সময় বোম পাঠাইতাম,নিজের এলাকা বলে সাহস ও বেশি আমি রাস্তা পার হয়ে যেখানে ২নং বাস দাড়াতো সেখানে গিয়ে বোম নিয়ে তৈরী ১২টা বাজলেই আগুন লাগাবো,আমার হাতে দুইটা বোম ১২টা বাজলো চারদিকে বুম বুম আওয়াজ,আমার প্রথম বোমটা পায়ের পাক দিয়া বাহাদুর ভাইয়ের দোকানে গিয়ে পড়লো,চারিদিকে চিৎকার শা শা করে প্রাইভেট কার গাড়ি সীবিচের দিকে ছুটছে,এবার ২য় বোম টা সৎকার করতে হবে আমি কাঠঘরের দিকে মুখ করে বসে বোমে আগুন লাগালাম, হঠাৎ শুনি পুলিশ পুলিশ পালা পালা আমি আর পিছন দিকে তাকাই নাই সোজা ভো দৌড় এক দৌড়ে বাজারের শেষ সীমানায় পুরাপুরি একলা পিছনে কি হইছে কিছুই জানি না এক দোকানের পিছে চুপচাপ দাড়িয়ে আছি ১০/১৫ মিনিট পর আস্তে আস্তে সামনের দিকে আগাইলাম,বাজারের ভিতর দিয়ে মাছ বাজারের ভিতর দিয়ে গেইটের সামনে পৌছলাম সবাই চিৎকার করে উঠলো পাইছি পাইছি মনিরুল কে পাইছি,ঘটনা হলো আমি একলা রাস্তার ঐ পাড়ে পুলিশ গাড়ি নিয়া না এসে টেম্পু নিয়ে হঠাৎ করে সবার সামনে নামাতে সবাই কলোনীতে ডুকে পড়ছে আমাকে চিৎকার করে সাবধান করছে,তারপর আমাকে না দেখাতে মনে করছে আমাকে পুলিশ নিয়া গিয়াছি,আহা রে কি মজার ছিল সেই দিন গুলি

রাতে চিন্তা করছিলাম সকালে উঠে আমাদের ইউনুস রে তেলামু


রাতে চিন্তা করছিলাম সকালে উঠে আমাদের ইউনুস রে তেলামু, সকালে দেখি আমাদের প্রচার মিনিষ্টার মামুইন্যা তেলাইয় ফেলছে, যাক মামুন মামুইন্যার মত তেলাক আর আমি আমার মত তেলাই।

কলোনির প্রতিটি বাসার ড্রইং রুম থেকে কিচেন রুমের খবর, কলোনির প্রেমের খবর থেকে বিশ্বের খেলার খবর অর্থাৎ সব ধরনের খোঁজখবর যেখানে বা যার কাছে পাওয়া যায় সে হচ্ছে আমাদের সাত্তার ষ্টোরের ইউনুস। যাকে একটি প্রতিষ্ঠানও বলা যায়।বলতে পারি ইউনুস বা সাত্তার ষ্টোর হচ্ছে বিশ্ব মিডিয়া সেন্টার। তার কাছ থেকে বাকী নেয় নাই বা খায় নাই এমন পাবলিক পাওয়া বিরল। বরং যারা তার কাছ থেকে বাকী খেতে পারে নাই তাদের জীবন বৃথা। ইউনুসের বাকীর খাতায় নাম তুলতে পারা ছিল বিশাল সম্মানের ব্যাপার।

আপনারা অনেকেই হয়ত জানেননা যে, মাইক্রোসফট এর মালিক বিল গেটস ও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এর কাছ থেকেও ইউনুস টাকা পাবে। সেটা কিভাবে ব্যাখ্যা করছি : তখনো মিঃ গেটস সফটওয়্যার আবিষ্কার করেন নি, একদিন তিনি ইউনুসের দোকানে পান খেতে এসে ইউনুসের বিগ ভলিউম বাকীর খাতা দেখে বিল গেটসের মাথায় সফটওয়্যারের আইডিয়া মাথায় আসে, পরে ইউনুসের সাথে বিল গেটসের ৫০% ৫০% অনুপাতে চুক্তি হলেও বিল গেটস সে টাকা এখনো ইউনুস কে এখনো প্রদান করেনি।অপরদিকে জুকারবার্গের ও একই অবস্থা, জুকারবার্গ যখন একটা পান আর একটি আবুল বিড়ি খাইতে খাইতে সারাদিন ইউনুসের দোকানে আড্ডা দিত এবং অন্যদের আড্ডা দিতে দেখতো তখন জুকারেরর মাথায় ভার্চুয়াল আড্ডা র ফেসবুক বিষয় টি মাথায় আসে, উল্লেখ্য ফেসবুক নাম টিও ইউনুসের দেয়া। জেনেভায় স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক জুকার ইউনুস চুক্তিনামা অনুযায়ী পাওনা এখনো জুকারবার্গ ইউনুস কে প্রদান করেনি। উপরোক্ত দু টি চুক্তির পাওনার ব্যাপারে জনাব ইউনুস ইতিমধ্যে জাতিসংঘে মামলা করার প্রস্ততি নিয়েছেন, ইউনুসের আইনজীবী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান আইনজীবী জনাব Niaz Morshed জনি কে নিয়োগ করা হয়েছে।

জাহাজ খালা


(তেলের ফ্যাক্টরি কিনসি আজকে)
আমাদের এই খালার সাথে পরিচয় অবশ্যই গ্রুপে।তিনি খুবই মায়াবতী, কোমলমতী,রূপবতী, গুণবতী একজন মানুষ।আদর করে খালা আমাকে ওবাম বলে ডাকেন।আতিক মামার বোন হিসেবেই খালাকে প্রথম চিনেছিলাম।জাবেদ মামারও যে বোন তিনি তা আমি আড্ডার কয়েকদিন আগে জেনেছি।জাহাজ খালা বেশ প্রতিবাদী মানুষ(আমিই যেমন,তিনি তো আমারও খালা)। আড্ডায় মাঞ্জা মারতে গিয়া অর্ধেক আড্ডাই মিস করে ফেলেছিলেন।যদিও খালাকে মারাত্মক খুবসুরত লাগছিল।একটা ব্যাপার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে খালার সাথে চুক্তিতে আসতে চাচ্ছি।খালা যেন রাজি হয় এটা এক্টা প্রয়াস মাত্র।

শায়লা খালামণি,তোমার সাথে ঝগড়া না করলে ইদানীং পেটের ভাত হজম হয়না। tongue emoticon
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : আমি চাইনাই পোস্ট দিতে।খালা ৩দিন ধরে ইনবক্সে কানতেসিলো যেন পোস্ট দেই।খালাকে ঘুষ হিসেবে দিলাম।)

আমাদের কিছু সীমাবদ্বতা আছে


আমাদের কিছু সীমাবদ্বতা আছে। আমরা এই পেইজের সবাইকে সঠিক পরিচয়ে চিনি না বা জানিনা।তেল বা বাঁশ দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে সবার পরিচয় সবার কাছে তুলে ধরা।আমি সকল মেম্বারদের অনুরোধ করব প্রত্যেকে নিজ নিজ পরিচিত জনের পরিচিতি তুলে ধরুন।সেটা প্রচুর তেলযুক্ত হলেও মমস্যা নাই।অথবা নিজ পরিচয় নিজে তুলে ধরুন। নিজের ঢোল নিজে জোরে জোরে পিটাইলেও আমরা মাইন্ড করব না।চবি সংযোজন করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়।এই সুবাধে সবার সাথে সবার পরিচয় তুলে ধরা যায় যা ভবিষ্যতে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ন কাজে সহযোগীতা করতে পারে।সবার সহযোগীতা কামনা করছি।

আমাদের সবার প্রিয় ইউনুস ভাই


নিচের তিনটি ছবিতে যে মানুষটি দেখছি,সে কে তা আর আমার বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না,কারণ সিএসএম কলোনীতে তাকে চিনে না এমন মানুষ খুব কম আছে।

আমাদের সবার প্রিয় ইউনুস ভাই। সব- সময় হাসি খুশি,আর ব্যাবসার ফাকেঁ আড্ডা দিতে পছন্দ করে।বড়দের সম্মান ছোটদের আদর স্নেহ করতেন,এখনও করে।আর বন্ধু মহলে আর কি বলবো,তার সরব উপস্হিতি।

কলোনীতে থাকতে খিধা লাগলে সাথে পয়সা না থাকলে গিয়ে বলতাম ইউনুস ভাই বিস্কুট দেন আব্বা আসলে টাকা দিয়ে দিবে।কখনো না করত না।আর সব সময় ছোটদের খেয়াল রাখার চেষ্টা করতেন,কারণ বাবা- মারা স্কুলে এসে ইউনুস ভাইয়ের দোকান থেকে বাচ্চার ও কলোনীর খবরাখবর নিতেন।

আড্ডার কথা বলি,আড্ডা জন্য আমি ইউনুস ভাইয়ের বর্তমান দোকান খেজুরতলা ওখানে গিয়ে দেখি ভাই দোকান একা সামল্লাচ্ছে।কাস্টমার,বিভিন্ন কোম্পানির এস আর,তার মধ্যে আমাকে দেখে দোকান থেকে উঠে এসে বুকে বুক মিলালেন।তারপর সাধ্যমত আপ্যায়িত করললেন।যখন আড্ডা নিয়ে কথা,বললাম তখন শুধূ বললেন আমি দোকান বন্ধ রেখে আড্ডা তে যোগ দিব,এবং আমার আশে পাশে যারা আছে তাদেরকে খবর আমি পৌঁছে দিব।এ হলো ইউনুস ভাই।

পরিশেষ এ বলবো এভাবে সাথে থাকবেন সব- সময়।কারন এখানে সকলে আমরা-আমরাইতো।

আন্দাজে হিজিবিজি

- Towsif Noor Kabbo

ছাত্র আমি ভদ্র অতি
করিনা কোন ভূল,
দুষ্টু লোকের মন্দ কথায়
গায়ে বিঁধে যায় শূল।
বিজ্ঞ আমি অজ্ঞ নইতো
উদারপন্থী কোন বিষয়ে,
ছবি তুলি ভদ্র ভাবে
সেল্ফি তুলি না বাদড় হয়ে।
পাড়ায় আমি অতি ভদ্র
থাকি সবারি আদরে,
ফেবু জগতে আমি কবি মানুষ
ভালোবাসিলাম সব কবিতারে।
শিল্প জগতের শিল্পী আমি
কল্প জগতের কল্পনা,
ধর্ম জগতের ধার্মিক আমি
দুষ্টু জগতের আল্পনা।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ


তেলে,ঘিয়ে গ্রুপ এখন সয়লাব।খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হবে আমাদেরকে।যারা ধুমপান করেন তারা ধোয়া পান করে তারপর গ্রুপে ঢুকবেন। কারন জ্বলন্ত বিড়ি সিগারেট নিয়ে গ্রুপে প্রবেশ করাটা বিপজ্জনক। তবে হ্যাঁ নিভে যাওয়া বিড়ি/সিগারেট গ্রহনযোগ্য, এ থেকে বিপদের আশঙ্কাও নেই।দিয়াশলাই বা লাইটারও সাথে রাখা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে এমন দুর্ঘটনা এড়াতেই এ ব্যাবস্থা। কারন একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।ধন্যবাদ।

আমি csm page এ কখনও কিছু লিখি নি


আমি csm page এ কখনও কিছু লিখি নি।কারণ এই পেজ এ আমার বড় ভাইয়েরা আছেন এবং আমি সবার মতো গুছিয়ে লিখতে পারি না।আজ আমি যাকে নিয়ে লিখবো তিনি আমার এক বড় ভাই এবং একজন সম্মানিত শিক্ষক।তিনি হলেন Shajib Kumer Dey।তিনি আমকে শিখিয়েছেন কিভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়।আমার মা-বাবা ও পরিবারের পর তিনিই ছিলেন আমার গাইডলাইন।তিনি যদি আমাকে ওই ভাবে গাইড না করতেন তাহলে হয়তো আজ আমি এই পর্যায়ে আসতে পারতাম না,তিনি আমাকে পড়াশোনার দিক দিয়ে অনেক সহায়তা করেছেন যদিও ছাত্র হিসেবে আমি তেমন ভালো ছিলাম না।আমি উনার কাছে আজীবন চির কৃতজ্ঞ থাকব।পরিশেষে আমি উনার সুস্থতা ও সফলতা কামনা করি।

Wednesday, March 30, 2016

শ্রদ্ধেয় এবং স্নেহের ভাই বোনেরা


সারাদিন তোমাদের সাথেই কাটাই। মনে যে কস্ট তা লাঘব করার চেস্টা। আর তাতে তোমাদের যে অবদান তা অসাধারণ। তবুও কস্ট তার জায়গা থেকে একচুল সরেনি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সত্যের মুখোমুখি হয়েছি আজ ৩১ দিন। কিন্তু আজ অব্দি আমি এটা মেনে নিতে পারছিনা। বিশ্বাসই হয়না।আমার আব্বার জন্য এবং যত বাবা জীবিত বা মৃত সবার জন্য,জীবিতদের দীর্ঘায়ু আর সুস্থতার জন্য দিনশেষে একবার হলেও দোয়া কোরো। আমার জন্যও। আমি আজো আব্বার রেখে যাওয়া টুথপেস্ট যা আমার বাসায় আছে তা ব্যবহার করছি আর কাউকে ধরতে দেইনা। উনার রেখে যাওয়া টিস্যু রোল সেভাবেই রেখে দিয়েছি। জানি এইগুলা শেষ হবে বা নস্ট হবে। কিন্তু আব্বা আমার মাঝে সারাজীবনই জীবিতই থাকবেন।

এইটারে আরেকদিন পাইলে আমি যে কি করবো জানিনা


Farzana Haque Rini, এইটারে আরেকদিন পাইলে আমি যে কি করবো জানিনা। আমাকে যেভাবে সে প্রথম দেখায় ধরেছিল তার প্রতিশোধ নিবো। আমার সাথে প্রথম কথা হয়েছিল সে আমাকে ফোন দিয়েছিল যে তার ঢাকায় পোস্টিং হচ্ছে,ছেলেকে কোথায় ভর্তি করবে সে বিষয়ে পরামর্শ করতে। সুন্দর করে কথা বলে। আহ্লাদীওও আছে বদটা। বুড়ি হইসে, তারে শাড়ি পরায়ে দেয় তার মা। আড্ডার দিন দেখি চাচী তারে শাড়ি পরাইতেসেন। এই বিষয়ে ওরে কোচিং দিতে হইবো। কবে আমার কাছে শাড়ি পরা শিখতে আইবি ক। অবশ্যই ফ্রী না।

ঋনী না রিনিঝিনি


আমি যখন কাকে নিয়ে লিখব ভাবছিলাম তখন মামুন ভাই রিনির নাম দিয়েছিলেন। একটা লিখা ছিল কিন্তু তার আগেই অন্যরা লিখে ফেলল রিনিকে নিয়ে।

রিনি আমাদের নিচতলায় থাকত।খুব শুকনা ছিল।একটু খেলতে গেলেই ব্যথা পেত,তাই ওর আব্বা ওকে খেলতে দিত না।পড়তে নিয়ে যেত। মাঝেমাঝে দুপুরে খেলতে বের হলে ওর আব্বা আমাকেও ডেকে নিয়ে পড়াতেন।রিনি নাকি একা পড়ায় মন বসেনা।

মেয়ে হিসেবে রিনির প্রতি চাচার ছিল অনেক খেয়াল। লিংকন এর প্রতি এত খেয়াল ছিল না।রিনিকে অনেক বই কিনে দিত ওর বাবা।সেগুলো পড়তে আনতাম। মাঝে মাঝে ঝগড়া হত,আবার মিটেও যেত। রিনিকে চাচী কিছু বললেই কেঁদে ফেলত।চুল কোঁকড়ানো ছিল, কিন্তু মনে জটিলতা ছিল না। একটু বোকা টাইপের ছিল। মাঝেমাঝে ওর কিছু কথা শুনে হা করে থাকতাম।অনেক বকবক করতে পারত।

ফেসবুকে ও নাকি আমাকে প্রথমে চিনতেই পারেনি।শুনে অবাক হয়েছিলাম।অথচ এখন প্রায় যোগাযোগ হয়। পুরনো সম্পর্ক নতুন করে ঝালাই করা আর কি! 

রিনিরা একসময় সিটাইপে চলে যায় কিন্তু দেখা হলে আগের মতই আন্তরিকতার কমতি ছিল না। এখনো নেই। আশা করি বাকি দিনগুলো- এভাবেই ভাইবোনের মত করে কাটিয়ে দিতে পারব।

আমাদের জসিম ভাই এর ছিল তিনখান বন্ধু


আমাদের জসিম ভাই এর ছিল তিনখান বন্ধু ।নিয়মিত তাহারা তিন নম্বর বিল্ডং এর কোনায় Drain পারে আড্ডা দিতেন ।একদিন আমার আর মেরীর মাথায় ভুত চাপল ।দু'জনে গেলাম জসিম ভাই আর বন্ধুদের মত Drainপারে বসে আড্ডা দিতে ।কিন্তু কপাল ছিল মন্দ। দু'জনে ধপাস করে Drain এ পড়ে গেলাম ।মাথা তুলে দাঁড়াতেই দেখি আমাদের দু'জনের মা জননী চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছেন। হায় রে জসিম ভাই ও তার বন্ধুদ্বয় . . . . .

আমার মেয়েদের কাছে জাহাজ খালা নামে সুপরিচিত


Ishrat Jahan Shaila, আমার মেয়েদের কাছে জাহাজ খালা নামে সুপরিচিত। পেইজে তার কমেন্ট পড়ে খুব মজা পেতাম। মাঝে মাঝে একা একাই তার কমেন্ট বলে বলে হাসতাম। পরে ও আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড হল। প্রথম ওকে দেখলাম। কি সুন্দর! টিকালো নাক। চোখগুলা যেন কথা বলে,ওর মুখও বলে।সবচেয়ে ভাল লাগে ওর গালের আঁচিলটা। মাশা আল্লাহ কি সুন্দর। প্রথম জীবিত দেখলাম Oven fresh এ আমরা সবাই যখন বসলাম। ওকে জড়িয়ে ধরলাম। একটুও মনে হয়নি সেদিন প্রথম দেখা। যেন জন্মান্তর এর পরিচয়। খুব হাসিখুশি একটা মেয়ে। এরপরে আড্ডায় দেখা। মেলা দেরি করে আসছে হেভি মাঞ্জা মাইরা( fingers crossed)। হাহাহা,না। ও খুব সিম্পলি এসেছিল কিন্তু খুব সুন্দর লাগছিল। আসলে সুন্দর চেহারায় হয়না। যে হাসতে জানে সেই সুন্দর। যেমন আমি,রিনি,রনি,তানিয়া আরো যারা এসেছিল আড্ডায়। চিটাগাং থেকে ফেরার পরের শুক্রবার ও এসেছিল আমার বাসায়। সারাক্ষন খালি হাহা হিহি চললো।খুব সংসারী একটা মেয়ে। বেঁচে থাক বোন সবার আদরে ভালবাসায়।

রং তুলি কিংবা মোমের দেশের মেয়ে


নাম ছিল তার দামী পাথরের নামে,নিজেকে তাই দামী করার আপ্রাণ চেষ্টা। ছিলেন আর দশটা সাধারণ মেয়ের মত পাশের বাড়ির মেয়ে অথচ নিজেকে অসাধারণ করে তোলার জন্য উঠে পড়ে লাগা। সাহিত্যের নায়িকারা যেমন হয়, চেনা হয়ে ভীষণ অচেনা,সবার চেয়ে আলাদা। হ্যা, রুবি আপা, আমাদের পাশের বাসার প্রতিবেশী।

রঙিন প্রজাপতির পাখার রং নষ্ট না হবার জন্য যেমন আলতো করে ধরে রাখতে হয়, রুবি আপাকেও উনার আম্মা তেমনি যত্ন করে বড় করেছেন। পড়াশোনায় ছিলেন মেধাবী, পাশাপাশি স্কুলের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এ ছিল সপ্রতিভ পদচারনা। ছিলেন চিন্তা চেতনায় আধুনিক। মাঝে মাঝে চুলে জপজপ করে তেল দিয়ে রাখতেন, তবুও তার স্মার্ট নেসে ঘাটতি পড়ত না এতটুকুন। যেকোন কিছু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন।

একবার রুবি আপার চিকেন পক্স হয়ছিল,মুখে দাগ থেকে গিয়েছিল।সেই দাগ দূর করতে তিনি।নিয়মিত ডাবের পানি মুখে দিতেন, রূপকথায় যেমন হয়। সারাজীবন চেয়েছেন মাথা উঁচু করে বাঁচতে, পেরেছেনও তা। রং তুলির ক্যানভাসের মতই রুবি আপার জীবন তাই নানা রঙে রঙিন

পেইজে মেয়েদের উপস্থিতি কম ছিল শুরুতে


Farhana Islam Rony, পেইজে মেয়েদের উপস্থিতি কম ছিল শুরুতে। শায়লা ছাড়াও এই মেয়েটাও খুব সপ্রতিভ। ফোন নাম্বার চাইলাম ইনবক্সে। পেয়েই ফোন দিলাম। কথা বলে খুব চমতকৃত হয়েছি। আড্ডার দিন সকালে ওকে প্রথম দেখলাম। এই মেয়েটাও এত সুন্দর কেরে বুঝলাম না। বিশেষ করে তার চোখ। ও আব্বা যাবার কদিন আগে ফোন করেছে ওর ভাইয়ের বিয়েতে দাওয়াত দিতে। বলেছিলাম যে আসতে পারলে ভাল হত,কিন্তু আব্বা আসছেন, তাই হবে না যাওয়া। ও আবার বললো চিটাগাং গিয়ে তার আব্বার সাথে আব্বাকে কথা বলাবে। আমার কাছে সময় জেনে নিলো। কিন্তু ও ফোন করার আগেই ত........। যাহোক,এই মেয়েটার জন্য অনেক দোয়া রইলো। ভাল থাকিস তুই,অনেক ভাল।


তানিয়া


সিএসএম এর আমাদের ছোট বোন।আমার ছোট বোনের ক্লাসমেট।ছিল কলোনীর এফ/৩ এর হক স্যারের পাশের বাসায়,পরে হাউজিল কলোনীতে যায়।ছোট কাল থেকে সংস্কৃতি মনা।

সুচায়নের আছে জড়িত।খুব ভাল কবিতা আবৃতি ও উপস্হাপনা করে। বতর্মানে এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের শিক্ষিকা।

আড্ডাতে তানিয়ার প্রাণবন্ত উপস্হাপনা সকলের প্রসংশা করিয়েছে,
এক কথায় আমাদের সিএসএম এর গর্ব।

শুধু কোন খাওয়ার আড্ডা তে না রাখলে মাইন্ড খায়।
তানিয়ার একটা ইচ্ছে সিএসএম তয় প্রজন্মকে সাংস্কৃতি মনা করে গড়ে তোলা।
বোন তুই এগিয়ে যা সিএসএম এর সকল ভাই - বোন তোর সাথে আছে।

দূরের বাতিঘর


হিরা আপা ছিলেন রিপা আপার কাজিন,কিন্তু আমি ভাবতাম উনারা আপন বোন।কারন প্রায়ই দুজনে একই রকম প্রিন্ট এর জামা পড়তেন, আপন বোনের মত খুনসুটি করতেন। অনেকে হিরা আপাকে মনে করতেন শক্ত মনের মানুষ কিন্তু যারা উনার সাথে ভালভাবে মিশেছেন তারা জানেন উনি কত সহজে সবার সাথে মিশে যান। মাঝে মাঝে হিরা আপা আমাকে ইউনুস ভাইয়ের দোকান থেকে এটা ওটা যেমন বাদাম, চকলেট আনতে দিতেন,আবার ভাগ দিতেন। 

বান্ধবী দের বাসায় যাবার সময় সাথে নিয়ে যেতেন যেন আমি উনার আপন ছোট ভাই। বিনু,চন্দ্রা,লিপি উনার এঈ বান্ধবী দের বাসায় উনার সাথে যেতে হত। এস এস সি পাশের পর উনার বিয়ে হয়ে যায়।বিয়ের দিন যখন উনি কাবিন নামায় সই করেছিলেন তার আগে কি যেন ভাবছিলেন। ছোট বলে বুঝিনি একটা মেয়ের জন্য ওটা কত গুরুত্ববাহী সময়। হিরা আপার বিয়ের পর আমি ভেবেছিলাম আমি বুঝি একজন স্নেহময়ি বড় বোন হারালাম।কিন্তু না বিয়ের পর, এমন কি এত বছর পরেও উনি আমাকে আগের মতই স্নেহ করেন,দোয়া করেন।

মহাসাগরে জাহাজ পথ হারালে দূরের বাতিঘর জাহাজকে পথ দেখায়,তেমনি হিরা আপা জীবনে অনেক সংকট কাল পেরিয়েছেন উনার মা বাবার দূরের বাতিঘরের মত আশীর্বাদ এ।প্রান খুলে হাসেন,মেশেন মানুষের সাথে।হাসিখুশি এই মানুষ টি তার স্বরূপে বিরাজ মান থাকুন সবসময়

মৌন এবং মুখর


বেবি আপারা থাকতেন আমাদের পাশের বাসায়।তিন বোন একভাইয়ের মধ্যে উনি মেজ। দেখা যায়, ভাই বোনদের মধ্যে যারা মাঝামাঝি তারা খুব বেশি আহ্লাদী হয় না।কারন মা বাবারা বড় সন্তানের প্রতি বেশি।আবেগী হন আর ছোট টাকে বেশি প্রশ্রয় দেন।কিন্তু মাঝামাঝি যারা থাকে তাদের প্রতি খেয়াল কম করে।অথচ এরাই আবার মা বাবার প্রতি লক্ষ্য রাখে বেশি।বেবি আপা ছিলেন তেমন।খুব সেন্সিটিভ আবার ব্যক্তিত্বময়ী। ঘরের সব কিছুতে তার খেয়াল ছিল।আবার পড়ালেখায় ছিলেন সিনসিয়ার।ছোট ভাই বোনদের স্নেহ করতেন।

বেবী আপা পড়াশোনা কে অনেক বেশি ভাল বাসতেন।এজন্য খাটতেন খুব। অবশ্য উনার আব্বা উনাদের তিন বোনকেই সমান আদর যত্ন দিয়ে বড় করেছেন।ছবি আঁকতে ভালবাসতেন।খুব সুন্দর দৃশ্য আঁকতেন। জামার ডিজাইন ও করতেন মাঝেমাঝে। সবার সাথে ভালভাবে মিশতেন তবে নিজের ব্যক্তিত্ব কে খাটো করে নয়। বেবি আপা কিন্তু হিসেবি ছিলেন না।কি করলে কি পাবেন এগুলো নিয়ে ভাবেন নি কখনোই। জীবন যখন যেভাবে তার সামনে এসেছে, তাকেই মেনে নিয়েছেন।খুব সহজেই।দূরে চলে গেলেও নিজের শেকড় কে ভুলেন নি।কাছের মানুষগুলোর সাথে যোগাযোগ রেখেছেন।তাই ত বারবার ফিরে আসতে চেয়েছেন কলোনি র মানুষগুলোর মাঝে।আপনি যাতে সবসময় এভাবে সহজ ভাবে জীবন টাকে দেখতে পারেন, সেই কামনা করি

কতবার ভেবেছিনু


প্রতিবার একটা করে লিখা লিখি আর ভাবি এই শেষ আর লিখব না।টপিক শেষ হতে হতে এমন জায়গায় আসল যেন নতুন কিছু আর নেই।নিজেকে অনেক হালকা মনে হচ্ছিল। কিন্তু হঠাত করে একজন কে নিয়ে ভাল ভাল লিখার বিষয়টা কিন্তু ভালই লাগছে।আমি যেন আবার অনেক কিছু লিখার বিষয় খুজে পেলাম।জানিনা কে কিভাবে নিচ্ছেন, তবে কারো সম্পর্ক এ ভাল কিছু লিখতে ভালই লাগে।এতে করে যার সম্পর্ক এ লিখা হয় সে ত খুশি হয়,অন্যরাও অনেক কিছু জানতে পারে।

চারদিকে যখন নেতিবাচক কথাবার্তা য় ভরে গেছে তখন দুই চার টা ভাল কথা লিখতে দোষ কি? প্রতিদিন ত হাজারো খারাপের সাথে উঠতে বসতে মানিয়ে নিচ্ছি,আপোষ করছি।সেখানে না হয় এই ভাল কথাগুলো র ঠাই হোক।আনন্দে থাকুক সবাই

ছেলেরা যে কেন সিগারেট টানে শ্রেয়া এটা বুঝতেই পারেনা


ছেলেরা যে কেন সিগারেট টানে শ্রেয়া এটা বুঝতেই পারেনা, ধুমপায়ী ছেলে তার দু চোখের বিষ, শ্রেয়া জানে তার রাতুল খুব ভাল ছেলে, কোন বিড়ি সিগারেটের মধ্যে নাই। শ্রেয়া এটা তার বান্ধবী দের গর্ব করে বলেও। 

ক্লাসটা আজ একটু আগেই ছূটি হয়ে গেল, রাতুল মোড়ের দোকানে বসে আরো কয়েকজন মিলে ধুমাইয়ে ধুমপানে ব্যস্ত, একেবারে আচমকা শ্রেয়ার সামনে কট বিহাইন্ড, শ্রেয়ার সাথে তার বান্ধবী রাও ছিলো, যাদের কাছে রাতুল কে নিয়ে গর্ব করত, তাদের কাছে শ্রেয়া পুরা বোল্ড আউট। লজ্জা অপমানে পুরা গোল মুখটি টমেটো হয়ে আছে।

রাতুলও বুঝতে পারেনি এত তাড়াতাড়ি শ্রেয়ার ক্লাস শেষ হয়ে যাবে আর এদিক দিয়ে সে যাবে। এইটা নিয়া দুজনার মাঝে বহু খিচমিচ। আবার অনেকদিন পর সব ঠিক।

এরপরে অনেককাল পার হয়ে গিয়েছে। যে রাতুল পঁচাত্তর পয়সা দামের সিগারেটের জন্য তীর্থেরকাক হয়ে থাকতো, সে রাতুল এখন সবচেয়ে দামী ব্রান্ডের সিগারেটও কালে ভদ্রে খায়। যে রাতুল পাহাড়ি তাড়িতে একসময় বুদ হয়ে ছিল, এখন দামী ইমোশনাল পানীয়ও তাকে তেমন আর আকর্ষণ করেনা। 

আর শ্রেয়া, এখন সিগারেট খাওয়া আর ইমোশনাল পানীয় এই ব্যপার গুলো খুব স্বাভাবিক ঘটনা মনে করে।
আসলে সময় অনেক বদলে গিয়েছে, শহরে এখন ফ্লাইওভারে গাড়ি চলে।।

ইহা একটি রোমান্টিক সামাজিক সিনেমার অংশ বিশেষ, যাহা অতি শীঘ্রই নির্মিত হইতে যাচ্ছে, অভিনয়ে আগ্রহী গন যোগাযোগ করুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী Shajib Kumer Dey এর সাথে।

বিষয়ডা আপনাগোরে জানাইলাম


মা বলছিল পুত,,ফ্রি জিনিস কখনও হাত ছাড়া করবি না।।কারন ফ্রি জিনিস খুবই মূল্যবান হয়।।বিগত কয়েক দিন ধইরা দেখতাছি এই পেইজে দেদারছে একজন আরেক জনরে তেল দিতাছে সেই সাথে পেইজের অন্যান্য সদস্যরাও একটু একটু দিতাছে।।এখন প্রশ্ন হইলো আমি দুদিন ধইরা কিছু ক্ষন পর পরই আইতাছি,,ঘুরতাছি আবার যাইতাছি।।কিন্তু তেলের সন্ধান পাইতাছিনা।।মানে এক ফোঁটা তেলও আমার কপালে জোটলো না।।বিষয়ডা আপনাগোরে জানাইলাম।।

তারা ৬ জন ......


তারা ৬ জন ...... (তারা আর কেউ নয় আমাদের সকলের প্রিয় রেজা ভাই, জসিম ভাই, নিরু ভাই, রিপন ভাই, শাহিন ভাই আর নাজমুল ভাই)

শুরুতেই বলছি এটা কোন তৈল জাতীয় অথবা তেল মিশ্রিত পোস্ট না। এটা শুধুমাত্র আমার জ্যামিতিক ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আমরা সবাই জানি তারা সবাই শত শত, হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি গুনে গুণান্বিত। কলোনিতে থাকাকালীন সময়ে আমি তাদের সম্পর্কে যা শুনেছি, যা দেখেছি, পত্র পত্রিকা পড়ে যা পেয়েছি তার মাত্র কিছু অংশ লিখেছি। যদি কেউ ভুলবশত এই পোস্টকে তেল মিস্রিত পোস্ট মনে করে অথবা কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে এই পোস্ট এ বিন্দুমাত্র তেল এর অস্তিত্ব আছে তাহলে এর জন্য কোনভাবেই আমি দায়ী থাকব না, সব দায়ভার বন্যা আপুর।


প্রকৃতির নিয়মে অবিনশ্বর পৃথিবীতে কোন কিছুই স্থায়ী নয়। কোন কিছুর শুরু হলে একদিন তার শেষ হতেই হয়। মানুষ জন্ম নিলে তার মৃত্যু অবধারিত হবেই। মহান সৃষ্টিকর্তা সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। মানুষের কিছুই করার নাই। তবুও মানুষ বেচে থাকে তার কর্মে-সৃষ্টিতে। মানুষের স্বীয় কর্মে ও গুণাবলীতে সকলের কাছে চিরস্বরণীয়,বরণীয় হয়ে থাকে যুগ যুগ এমনকি শতাব্দীর পর শতাব্দী।


আজ বলব CSM কলোনিতে থাকাকালীন সময়ে আমাদের সকলের প্রিয় রেজা ভাই, জসিম ভাই, নিরু ভাই, রিপন ভাই, শাহিন ভাই আর নাজমুল ভাইকে নিয়ে। অন্য কোন একদিন বলব আরও যেসব মহৎ পুরুষ ছিল CSM কলোনিতে তাদের নিয়ে। আমরা জানি তারা সবাই এক একজন মহৎ পুরুষ,এক একটি ইতিহাস,এক একজন পথপ্রদর্শক। তারা মৃত্যুর পরেও বেচে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে অনন্তকাল ধরে।

রিনি আমাদের ছোট বোন। ৯৮ ব্যাচ


রিনি আমাদের ছোট বোন।৯৮ ব্যাচ।আমাদের খোকন ভাইয়ের চাচাত বোন।আমার ছোট বোন ঝুমুর এর বান্ধবি।
কলোনীতে প্রথমে d টাইপে ছিল,পরে সি টাইপে যায়। কলোনীতে কখনো কথা হয়নি।

পেজের মাধ্যমে পরিচিতি ও আন্তরিকতা। বোনটা আসলেই খুবই শান্ত প্রকৃতির। ব্যাংকে চাকুরি করে,আগে খুলনা ছিল পরে এখন বদলি হয়ে ঢাকা বসবাস।

পেজে সরব উপস্হিতি।আড্ডার তিন দিন পূর্বে আমি যখন ঢাকা যাই, মা হাসপাতালে ছিল,প্রতিদিন খবর নিত চাচী কেমন আছে,
আড্ডার দিন দেখা হওয়া মাএ আগে আমার মায়ের খবর নেয়।তারপর বোন কেমন আছে।ও খুব সহজেই সবাই কে আপন করে নিতে পারে।

পরিশেষে একটাই কথা বলব সব সময় এভাবে থাকিস,পেজে সব সময় সরব থাকবি।কারণ এই খানে সব আমরা- আমরাইতো।

NAZMUL BHAI AMON EKJON MANUS JAKE NIA BOLE SHES KORTE PARBO KINA JANINA


SOBAIKE ATO KORE BOLLAM NAZMUL BHAIKE NIA KICHU LIKHTE KINTU KEW LIKHLONA.TAI AMI LIKHCHI. NAZMUL BHAI AMON EKJON MANUS JAKE NIA BOLE SHES KORTE PARBO KINA JANINA.KHUB VALO MONER EKJON MANUS.UNI SOBAIKE KHUB VALOBASEN O SNEHNO KOREN.AMI JOKHON CTG GIACHILAM UNI HAJAR BESTOTAR MAJHEO AMAR KHOBOR NIACHEN.DEKHA KORECHEN.UNAR TULONA UNI NIJEI.COLONYTE THAKAR SOMOY CHINTAM KINTU KOTHA HOYNI,PORICHOY HOYNI.KIVABE MANUSKE APON KORE NITE HOY UNI TA JANEN.AMAR KACH THEKE SHUNE PAPPUKE DEKHTE GIACHILEN AMAKE NIA.APNAKE ONEK SRODDHA O SALAM JANAI.HOYTO APNAKE NIA KICHUI LIKHTE PARINI.KHOMA KORBEN.ALLAHR KACHE DOA KORI APNI ONEK VALO THAKUN.

তাম্বুরা মামা


ছবির মানুষটা আল্লাহ্‌তাআলার অদ্ভুত সৃষ্টি। এই মানুষটার সাথে ইনবক্সে যে কেমনে খোঁচাখুঁচি করি তা যদি দেখাইতে পারতাম তাইলে জীবন স্বার্থক হইতো আমার(এখনও করতেসি)।মানে কোনো একটা কথা বলা শেষ না করতেই উত্তর রেডি থাকে এবং হাসতে হাসতে মারা যাই সেগুলা শুনে।মানুষটা তাম্বুরা মামা।নানা-নানু শখ করে জাবেদ নামটা রাখসিলেন।আকীকা না দিয়ে নাম পাল্টায়ে ফেলসে।আমাকে পচাইতে খুব পছন্দ করে।আমরা মাঝে মাঝে ছন্দে ছন্দেও কথাবার্তা বলি।গ্রুপে কোনো এক কারণে মামা নাই,আমি চাইনা যে মামা এই পোস্ট দেখুক।সাথে সাথে দাম বাড়ায়ে দিবে নিজের।আর কথাই বলতে পারবো না।ছবি তোলার মত অসম্ভব ভালো কাজটা মামা বেসম্ভব ভালো পারে।

জাবেদ মামা,তুমি কি জানো আমি তোমাকে কত পছন্দ করি?মুখে বলতে পারবোনা,লিখতে গেলেও শেষ হবেনা। smile emoticon

বিশেষ দ্রষ্টব্য : মামাদের বাসায় গেসিলাম।সবাইকে সাবধান করি,মামার বেডরুমে কেউ যাবেন না।মাথা ঘুরায়ে পড়ে যাইতে পারেন। সুন্দর করে ঘরটা সাজায়ে রাখসে তো। বাকিটা ইতিহাস। মুখ খুললে মামা কইন্যাবে (কনুই দিয়ে মারবে)।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে wish করার জন্য


এই পেইজের সকল সমমানিত বড় ভাই ও বোনরা এবং আদরের ছোট ভাই-বোন সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে wish করার জন্য।আমি খুব....খুশি হলাম।যদিও আজকে এ দিনে আমি আমার প্রিয় পরিবারটি ছেড়ে আরেকটা প্রিয় পরিবারে আসলাম।তবুও মনটা অনেক খারাপ কারন আমার আববা(শশুর বাবা) উনার শরীরটা বেশ খারাপ।উনি আর আমার শাশুরি মা কিনতু আমাকে অনেক পছনদ করে নিয়ে এসেছে।এতো অসুস্থ তারপরও আজকে আমাকে ডেকে টাকা দিয়ে বলছে তুমি কিছু কিনে নিও।আববা আমাকে অনেক আদর করেন।আমার নিজের বাবা না থাকার কষট টা উনি কখনও বুঝতে দেন না। পেইজের সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন,জেন উনি খুব তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যান।

সতর্কীকরন পোস্ট


গতকাল শহরে গিয়ে ছিলাম সরকারি প্রয়োজনে।।লোকাল বাসে যাচ্ছিলাম।।বাসে উঠার পর থেকে সামনের সিটের একটা বাচ্চার দিকে কেবলই দৃষ্টি যাচ্ছিল।।কেবল চিৎকার করে কাঁদছিল।।কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,,ও কাঁদছে কেন??তখন ওর বাবা বললো,,((খেলতে গিয়ে নাকের ভেতর শিমের বিচি ঢুকে গেছে)),,এখন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে যাচ্ছি।।কিছু ক্ষনের জন্য হতভম্ব হয়ে গেলাম আর মনে মনে বললাম আল্লাহ্ তুমি সাহায্য করো।।তখন বাবার হাতটা ধরে বললাম মনে সাহস রাখুন আল্লাহ্ নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন।।

পোস্ট টা ব্যক্তিগত পেজে না দিয়ে এখানে দিলাম।।সচেতনতাটা আমার পরিবার থেকেই শুরু করতে চাই।।কারন এই পেজটা আমার পরিবার।।

তাই বাবা-মা সহ ভাই-বোনদের বলছি,,আপনারা আপনাদের জক্ষের ধন দের দিকে ভাল ভাবে খেয়াল রাখবেন।।
""মনে রাখবেন একটু অসচেতনতা,,সারা জীবনের কান্না""

জিয়াউল হাসান জিয়া। সি এস এম আড্ডার নেপথ্য নায়কদের একজন।


আপাত দৃষ্টিতে কঠিন এবং কঠোর মনে হলেও ভিতরে ভিতরে ভীষন নরম । যা করার একেবারে পারফেক্টলি করাই একমাত্র ইচ্ছা।যে কোন কাজের মধ্যে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা,দায়িত্ববোধের উপর কড়া নজর রাখাতে বদ্বপরিকর।এসব কারনে অনেকে তাকে অপছন্দ করলেও সে তার নীতি থেকে একবিন্দুও সরতে রাজী নয়।আবার এই নীতির কারনে অনেকে তাকে আইডল হিসাবে মেনে নেয়।উপরের লেখায় যার এমন কঠিন চরিত্র চিত্রায়িত করলাম সে আর কেউ নয়, সে জিয়াউল হাসান জিয়া। সি এস এম আড্ডার নেপথ্য নায়কদের একজন। আমাদের এই ভাইটি কঠোর মনে হলেও ভেতর থেকে ভীষন নরম।।যে কোন যৌক্তিক কাজে তার সমর্থন আদায় করা খুবই সহজ।।সবার অগোচরেই মানুষকে সাহায্য করা তার অভ্যাস।।সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে ভুল স্বীকার করার মানসিকতা।আমাদের কাছে তার পরিচয় স্টীলার হিসাবে।স্টীলার হিসাবে আমরাও চাইব জীবনের বাঁধা সফলতার সাথে অতিক্রম করে আরো সমৃদ্বি লাভ করুক।

জেনে না জেনে অতিরঞ্জিত কোন কিছু করা একদম উচিত না


ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা আর সময়ের সাথে তাল মিলাতে না পারার কারনে ইদানিং গ্রুপে আমার একটু কমই ঢুঁ মারা হয়। কিন্তু মিস করি সবাইকে এটা যেমন সত্যি তেমনি সময় পেলেই ঢুঁ মারার লোভ সামলাতে পারিনা।

কালো কাপড় কিংবা রং দিয়ে সব ঢেকে কেবল চোখ বের করে রাখা মানেই কি বোরখা পড়া কিংবা হিজাব পড়া কিংবা লজ্জায় মুখ ঢেকে রাখা? সন্ত্রাসী,চোর, ডাকাত, এমনকি তথাকথিত আইএস সদস্যরাও মাঝে মধ্যে মুখ ঢেকে রাখে। তার মানে এই নয় যে তারা বোরখা পড়ছে।

গত তিনদিন আগে এক ফেসবুক ফ্রেন্ড আমাকে একটা গ্রুপে এড করায়, সেখানে দেখি মাত্র 13 জন মেম্বার সবার প্রোফাইল পিকে মুখ ঢাকা, পরে জানতে পারলাম এটা একটা প্রতিকী প্রতিবাদ তনুর ধর্ষন ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে। আমিও তাই প্রোফাইল পিকটা সেভাবে রেডী করলাম। এখানে লজ্জার জন্য মুখ ঢাকি নাই । পুরুষ হিসেবে নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছি। আমরা পুরুষরাই তনুদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। কেবল এক্টা তনুর কাহিনী মিডিয়াতে এভাবে ফলাও করে এসছে। আরো কত তনু ডেইলী রেপ হচ্ছে, আত্মহত্যা করছে, রাস্তা ঘাটে, বাসে, অলি গলিতে লাঞ্চিত হচ্ছে। কয়টা ঘটনার বিচার হচ্ছে কিংবা কোর্টে উঠছে। এই প্রোফাইল পিকটা কেবল এক্টা সিম্বল। আমিও মেয়ের বাবা, আমার মা আছে, বোন আছে। তাইলে আমি পুরুষ হয়ে কেন এসব করবো? কোন না কোন ভাবে কোন নারীর সাথে আমাদের লিংক আছেই। কোন একদিন যদি আমার মেয়ে এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয় তাইলে তখন............

গত কয়েকদিন যাবৎ এই পেইজে যাহা চলিতেছে (তৈলমর্দন)


গত কয়েকদিন যাবৎ এই পেইজে যাহা চলিতেছে (তৈলমর্দন) তাহাতে আমি রীতিমত চিন্তিত হইয়া পড়িতেছি।কারণ যেই পরিমাণ তৈলমর্দন চলিতেছে ইহা যদি বিরতিহীন ভাবে চলিতে থাকে তাহা হইলে অচিরেই দেশে তেলের সংকট দেখা দিবে।তাই চিন্তা করিলাম তৈল সংকট দেখা দেওয়ার আগেই আমি ও হালকা করিয়া মারিয়া লই।

গত কয়েকদিন ধরে যাদের কে তেল মারা হইতেছে,তারা সকলেই আমাদের অতি প্রিয়মূখ,চিরচেনা,যাদের অক্লান্তশ্রমে এই আড্ডা।যাদের তেল মারা হইতেছে তাদের face value অনেক বেশী(অবশ্য তা তাদের যোগ্যতাবলে)।চিন্তা করলাম তাদের তেল মারার লোকের অভাব নেই,আমি বরং সেই রকম একজনকে খুঁজি,যারে কেউ তেল মারার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে না।চিন্তা করছি কাকে তেলটা মারা যায়,সে রকম কেউ কি আছে??? অবশেষে পেয়ে গেলাম একজনকে- এমদাদুল হক (পরাগ)

মোসাদ্দেক ভাই (শওকত ভাই) ছিলেন আমাদের স্কুলের প্রথম নক্ষত্র


জাফর ভায়ের কল, রেজা তুই শওকতের সাথে দেখা করেছিস? বললাম, না ভাই। এখনি যাবি। আমি শওকতকে বলে রেখেছি, তুই গিয়ে আড্ডার দাওয়াত দিয়ে আয়। ছুটলাম আমি আর রিপন, ভাই এর অফিসে। অমায়িক একজন মানুষ। ছোট বেলা থেকেই, ভাইকে জানি। আমাদের স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। ফার্স্ট বয় ছিলেন। বহু বছর পর ভাই এর সাথে তার অফিসে দেখা হলো। আড্ডা নিয়ে অনেক কথা হলো। উনি সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিলেন। রিপনের আবদার একটাই, ভাই আপনাকে, আড্ডাতে যেতেই হবে। দরকার হলে, আপনে 1sT ফ্লাইটে যাবেন,এবং বিকালের ফ্লাইটে ফেরত আসবেন। অনেক কাজের মাঝেও ভাই কথা রেখেছেন। আমাদের csm colony তে, আজ প্রচুর নক্ষত্র, দেশে বিদেশে, নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে, অবদান রেখে চলেছেন। কেউ নামকরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বাংকার থেকে সুরু করে, ব্যাবসা বানিজ্য, প্রশাসন, রাজনীতি, সব জায়গাতেই স্টীলাররা বিদ্যমান। আমরা গর্বিত।

এই নক্ষত্র গুলির মাঝে, মোসাদ্দেক ভাই(শওকত ভাই), ছিলেন, আমাদের স্কুলের প্রথম নক্ষত্র। আজ তিনি "BEPZA"তে, Joint Secretary, Member(Engg.), হিসাবে কর্মরত আছেন। মোসাদ্দেক ভাই, সহজেই মানুষ কে, আপন করে নিতে পারে। তানিয়া যখন ঢাকায় এসেছিলো, কবিতা আবৃত্তির জন্য, মোসাদ্দেক ভাই, ফোন করে, তানিয়ার খোজ খবর নিয়েছেন। উনি আমাদের মতই গর্ব করে বলেন, আমরা "স্টিলার"।

এই সাদা মনের মানুষটিকে নিয়ে আমরা গর্বিত।
এই পেজের সকলের পক্ষ থেকে, আপনাকে সালাম। সব সময় ভালো থাকবেন ভাই।

১নং ঘানির ঘী কী দোষ করলো


আমার মনে হয় এখানে যারা লিখেছে, তারা সবাই কাউ কে না কাউ কে তেল দিয়ে লিখেছে কিন্তু আমার ভাব তে কস্ট হচ্ছে এই ২০১৬ তে এসে ও যদি তেল এ থাকে তা হলে ১নং ঘানির ঘী কী দোষ করলো, না আমি এই টা মেনে নিতে পারছি না, সবার এই টা বুজা উচিত এই সময় কাউরে তেল দিলে তার ইজ্জত এ লাগতে পারে তাই এই পেইজ এর সবার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ এখন থেকে তেল না দিয়ে ঘী দিয়ে লিখার চেস্টা করবেন আশা রাখি।ভাল ভাল লিখা পরার অপেক্ষায় আমি এই পেইজ এর একজন মেম্বার।

সবাই লিখছে আমি লিখছিনা তা কি হয়


সবাই লিখছে আমি লিখছিনা তা কি হয়??আমি সালাউদ্দিন। কলোনী তে সবাই বাবু নাম এ ডাকত। F-3 আমাদের বাসা ছিল

F-3 সামনে একটা বাগান ছিল। ছোটবেলায় ঐ বাগানে অনেক খেলাধুলা করেছি। বাবার ইন্তেকাল এর পর আমরা F-9 এ shift হয়। আমরা তিন ভাইবোন।, বড় বোন কোহিনুর, আমি ও আমার ছোট বোন অন্নি। আমি আমার ছোট বোনকে সি এস এম গ্রুপ এ add করতে পারছিনা। admin এর কাছে আমার request থাকল তাকে যেন add করা হয় এই group এ। আজ এই পর্যন্ত।।।।।

Tuesday, March 29, 2016

মুনতাহা (তরু)

- Aslamuddin Mamun

আমাদের মাহফুজ স্যারের মেয়ে।ওকে কলোনীতে দেখি নাই। তবে কলোনী থেকে বের হওয়ার পর আমি যখন ওয়াসা গলি( যৌথ আবাসিক কলোনী রোড) এ থাকি,তখন মাঝে মাঝে বাসে তার চনচলতা দেখেছি।খুবই চটপটে।

তারপর পেজের মাধ্যমে আমাদের সাথে পরিচিতি।পেজে সব- সময় সরব উপস্হিতি ছিল আড্ডাকে ঘিরে,এখন সামনে পরীক্ষা তাই একটু লিখা কম।

আমাদের সাথে ২১ ফেধ্রয়ারী তে শহীদ মিনারে গিয়েছিল, তারপর স্কুল এ তার কলোনী নিয়ে চিন্তা খুবই প্রশংসা নিও।
সব সময় প্রোফাইল এর ছবি পরিবর্তন করে।

এই পেজের সবাই তরু কে আদর ও স্নেহ করে।
এভাবেই আমরা সব সময় তরুকে দেখতে চাই।
কারণ আমরা আমরাইতো।

আমাদের কমুমামা


গ্রুপে পরিচয় মানুষটার সাথে।মজার মজার কমেন্ট দেখে রিকুয়েস্ট দিয়েছিলাম।এক্সেপ্টও করেছেন সাথেসাথেই।কমুমামা একদিন আমাদের বাসায় খুব সকালে এসেছিলেন।আসার পর আম্মু ডাক দিয়ে বললেন,"কমু আইসে,উঠে পড়।" তড়াক করে উঠে মুখ ধুয়ে সামনে গেলাম।সালাম দিলাম।চিটাগাইংগা ভাষায় কি কি যেন বলছিলেন মামা।যাই হোক,অসম্ভব মজার মানুষ।কথাগুলা রীতিমত গড়াগড়ি দিয়ে হাসার মত।মামার সাথে খুব ফ্রি হয়ে গেলাম।একদম আপন মামার মত।আর খালি বলে "কী খাবি বল"। আড্ডায় মামার সাথে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছি। ৪বারের খাওয়ার সময় মামা সামনে দাড়িয়ে থেকে আমাদের খাইয়েছেন।চিটাগাং থেকে চলে আসার দিন হাজার ব্যস্ততা রেখে আমাদের দেখতে এসেছেন।তারিক মামা চলে যাওয়ার আগের দিন মামাই সান্তনা দিয়েছেন সবাইকে,যখন সবাই ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম।অফুরন্ত প্রাণশক্তির উদাহরণ কমু মামা।আড্ডায় মামার কাজ ছিল অতুলনীয়।

কমু মামা


প্রথম যেদিন দেখা হয় আমাদের বাসায় সকালে চিটাগাং থেকে আসে মামা। আম্মু যথারীতি ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলে দেখো একটা মামা আসছে।আমি ড্রইংরুম এ গিয়ে মামাকে সালাম দিলাম। কিছুক্ষণ এর ভিতরেই খুব ই ফ্রি হয়ে গেলাম। এর পরে আবার কবে দেখা হয় আমি সঠিক তারিখ টা ভুলে গেসি। গ্রেন্ড আড্ডার আগের দিন রাতে ভেন্যুতে গেলে আমরা তিন বোন কমু মামা বলে চিতকার করে উঠি। এর পরেরদিন আড্ডায় আমাদের খাওয়া-দাওয়া সব কিছু কমু মামা দেখসে। গ্রেন্ড আড্ডার পর তারিক মামার নাটোরে চলে যাবার আগে মামার সাথে দেখা হয়।এর পরেরদিন তারিক মামা চলে যাবে আমরা রাতের ট্রেনে যাবো নেত্রকোনা তাই মামার সাথে শেষ দেখা করতে গেছি আমি আর উমাম্পি কি কান্না!! কমু মামা কান্না আর থামাতে পারেনা আমাদের। ক্যাডবেরি কিনে দিবে বলেও মামা কান্না থামাতে পারলোনা।যতবার দেখা হয় ২ টা ক্যাডবেরি তো মাস্ট। কমু মামা খুব আদর করে।আমাকে মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে কথা বলে মামা আবার ভিডিও কল ও হয়। কমুউউউউউউউউ মামা বলে একটা চিতকার দেই। we miss you mama!! meet us soon and we love you a lot! smile emoticon

একজন ভাল মানুষ


অপু দা।যার পুরো নাম সজিব কুমার দে।আমরা চিনতাম আরতি আপার ছেলে বলে।আর স্কুলে অনুষ্ঠানে ভাল বাজাত বলে।উনি যখন স্কুলের কোন অনুষ্ঠানে ইলেক্ট্রিক গিটারে সুর তুলতেন,তখন তন্ময় হয়ে পুরো কলোনি বাসী শুনত। বাদ্যযন্ত্র প্রতিযোগিতা য় প্রথম হওয়া অপুদার ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছিল। এজন্য কলোনি র অনেক মেয়ে উনার ফ্যান হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু উনার দৃঢ় ব্যক্তিত্ব এর কাছে মেয়েদের এসব পাগলামি পরাজিত হয়েছে।

চাইলে বাসার সবার ছোট হিসেবে অতি আদরে বাদর হতে পারতেন।কিন্ত তিনি তা হননি।নিজে নীরবে ভালবেসে গেছেন। কিন্তু কারো পথের কাটা হননি। খুবই বন্ধুবৎসল। আড্ডার প্রান,দূরের কাউকে আপন করে নিতে পারেন। ছোটদের করেন স্নেহ,যেন নিজের আপন ভাই।হাসিখুশি, প্রান খোলা মানুষ।বিপদে সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেন। আজ আর না।কারন আমি এখানে একজন ভাল মানুষের কথা বলেছি, তেল দেইনি

সদা হাস্যময়ী


আমি চাইলে নিজের বাসার কাউকে নিয়ে লিখতে পারতাম,কিন্তু ব্যাপার টা আমার জন্য এবং যাকে নিয়ে লিখব তার জন্য বিব্রতকর। আবার শায়লা লিখল যাকে ভাল করে জানি তার সম্পর্ক এ লিখতে।অনেক গুলো মুখ চোখের সামনে ভাসছিল যাদের নিয়ে লিখা যায়,কিন্তু দেখলাম তাদের মধ্যে একজন বলে বসলেন উনাকে নিয়ে লিখতে।তাই লিখা,তবে এক্ষেত্রে কোন প্রকার বানানো কিছু নয় বরং আমি তাকে যেভাবে দেখেছি তাই লিখব।

রিপা আপা।আমি ঠিক জানিনা কখন থেকে আমি উনাকে চিনি।তবে যখন থেকে কথা বলি এবং মানুষ চিনতে শুরু করি তখন থেকেই। থাকতেন আমাদের দোতলায়। আমার বোনের সহপাঠিনী হবার কারণে আমাদের বাসায় উনার আসা যাওয়া ছিল।মনে হত কাছের মানুষ।সবসময় গুছিয়ে থাকতেন, কখনো অগোছালো দেখতাম না। কালারফুল থাকতেন।আর থাকত হাসিমাখা মুখ। আমাকে নিজের ছোট ভাইয়ের মত, না, ছোট ভাইয়ের চেয়ে বেশি দেখতে পারতেন। মানুষের সাথে সবসময় হাসিমুখে কথা বলতেন যেটা সবার থাকেনা।অহংকার দেখতাম না। কারো কষ্ট দেখলে নিজেও কেঁদে ফেলতেন।আমার মামা মারা গেছে শুনে উনি আমার আম্মাকে সান্ত্বনা দিতে এসে নিজেও কেঁদে ফেলেন।

অপু কে?


অপু :
অপু কে?
আমারা বাল্যকালের বন্ধু।
পিতা- নটু প্রসাদ দে,মাতা- আরতি দে(আমাদের স্কুলের শিক্ষিকা),দাদা- রাজীব কুমার দে,দিদি- মায়া দে,দিপা দে,
চার- ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট।
কলোনীতে প্রথমে f/10 ছিল,পরে E/9 এসেছে।
ছোট কাল থেকেই পড়া- লেখার পাশাপাশি খেলার প্রতি বেশী জোক ছিল।
ফুটবল,ক্রিকেট খুব ভাল খেলত।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরন


সকল ভাই ও বোনদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আপনারা সবাই জানেন আমি অপু, অতিশয় ভদ্র অ্যান্ড মার্জিত গুন সমন্নিত CSM কলোনির একজন একজন সুদর্শন যুবক(প্রায় লাস্ট সেমিস্টারে) এবং CSM পেজের একজন নিয়মিত সদস্য, পেজের ছোট বড় সকলেই মোটামুটি আমাকে জায়গা মতো যথেষ্ট সন্মান করে, কিন্তু........ কিন্তু কিছু কিছু আমার খুব কাছের মানুষ আমার এই জনপ্রিয়তা কে নষ্ট করার জন্য উঠি পড়ি লাগছে, এহেন ষড়যন্ত্র জানতে পেরে আমি আজ তাদের সংগে এক প্রীতি সাক্ষাতকারে মিলিত হই, অনেক বলা সত্তেও তারা প্রথমে আগ্রাবাদ এলাকার অতি জঘন্য একটা হোটেল এ জোর পুরবক বাজে তেলের বাজে নাস্তা যেমন পূরী, চপ এগুলা খাওয়ায় এবং আড্ডাতে দেবে বলে আমার এতো সুন্দর চেহারা বাদ দিয়ে টাকের ছবি তুলে আর আমাকে বলে যদি নাস্তার বিল না দেই তাহলে ওই ছবি পেজে পোস্ট করে দেবে।জানিনা এতক্ষনে করে দিয়েছে কিনা??? শুধু তাই নয় আগামী ২/৩ দিনের মদ্ধে যদি ওদেরকে আগ্রাবাদের কোণো অভিজাত হোটেলে না খাওয়াই তাহলে নাকি আমার নামে আর কি কি নাকি লিখবে। কিন্তু আমি জানি পেজের ভাইরা সবাই আমাকে খুব ভাল মতোই চেনে তাই আমি ওদের সব প্রস্তাবের মুখে ঝাটা মেড়ে বীরদরপে বাসায় চলে আছি। কি ভাইরা ঠিক করছি না? আমি জানি আপ্নারা আমার সাথে একমত হবেন।

আর এই সমস্ত অপরাধী চক্র হতে সাবধান থাকতে সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

""বাবা""(অবশিষ্ট পর্ব)


আজ অনেকে অনেক কে নিয়ে লিখছেন।।তাই আমি বাবাকে নিয়ে লিখলাম।।
গতবার লিখেছিলাম বাবার ভালোবাসা আর শাসন নিয়ে।।আজ বাকিটা .......

(পরিশ্রম)
পৃথিবীর প্রতিটা বাবাই তার পরিবার-পরিজনের জন্য পরিশ্রম করেন।।আমার বাবাও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।।হয়তো একটু বেশিই করেছেন।।কি রোদ,,কি বৃষ্টি।।কোন কিছুর কাছেই যেন বাবা হার মানতেন না।।সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে ছিল বলে বাবার রেস্ট ছিল না।।আট ঘন্টা ছিল উনার ফিক্সড ডিউটি বাকিটা ছিল ওভার টাইম।।ওটাই ছিল বাবার প্লাস পয়েন্ট।।দুটো বাড়তি পয়সার আশায় বাবা নিজের শরীর টাকে কখনও বিশ্রাম দিতেন না।।তাই অন্যরা যখন নির্দিষ্ট ডিউটি শেষে বিশ্রাম নিতেন তখন বাবা নিজের ডিউটি শেষে বাড়তি ডিউটি করতেন।।ডিউটির পরিমাণ ছিল বার ঘন্টা,,চব্বিশ ঘন্টা,,বত্রিশ ঘন্টা পর্যন্ত বাবা ডিউটি করতেন।।অনেক সময় কাজের চাপে ঠিক মতো বাসায় এসে খাবার খেতে পারতেন না।।কখনও কখনও আমি বাবার খাবার পোস্টে দিয়ে আসতাম।।কনকনে শীতের রাতে সবাই যখন পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতো তখন বাবাকে আমরা বিদায় জানাতাম কর্মের প্রয়োজনে।।তখন আমরা গরম কাপড়ের নিচে ঘুমাতাম আর বাবা জেগে থাকতো বাকিদের নিরাপত্তা দিত।।

"বাংলাত হ"


অনেকদিন আগের কথা। একবার ঢাকা থেকে বাসে করে চট্টগ্রাম আসছিলাম। বাসের ২৭টি সিট সব ফিলাপ। তার মধ্যে চিটগাং এর লোক ২০ জনের বেশি হবে। রাস্তায় খুব একটা জ্যাম ছিলো না। আরামবাগ থেকে বাস ছাড়ার পর সায়েদাবাদ আসতেই প্রায় ৪০ মিনিটের মতো লেগে গেলো। সায়েদাবাদ কাউন্টারে এসে আবার ৩০ মিনিট হয়ে গেলো গাড়ি ছাড়ে না। গাড়ি ছাড়ার কোন লক্ষনও দেখা যাচ্ছে না। এমন সময় আমার পাশের সিটের একজন বলে উঠলো what kind of service. এ কথা শুনে পিছন থেকে বললো "অ ভাই বাংলাত হ"। এটা শুনে আমার পাশের লোকটা ফুল নার্ভাস হয়ে গেলো। তারপর একটু পরে বলে অ দেক্কননি হইল্যা গরি চালার? হত্তে চিটাং যাইয়ুম? তারপর চুপ করে বসে আছে। একটু পরে গাড়ি স্টার্ট দিলো। সুপারভাইজার মাইক্রোফোন হাতে বলতে লাগলো "আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারনে যাত্রা বিলম্বিত হওয়ার জন্য" "we are really sorry for some technical problem". সুপারভাইজার তার বাকি অংশ বলতে যাবে এই সময় আমার পাশের লোকটি বলে উঠলো "অ ভাই বাংলাত হ"। সুপারভাইজার পুরাই বেকুব হয়ে গেল। এবং বসে পড়লো। একটু পরে দাঁড়িয়ে আবার বলা শুরু করলো " আঁরার গাড়িত এক্কানা সমস্যা হইয়েল, ইয়ান আঁরা ঠিক গলি ফেলাই। আশাকরি আঁরা ঠিক সময় চিটাং পৌঁছি যাইয়ুম। অনোরা কষ্ট গরি বইসসুন এথালবুলি অনোরারে দইন্যবাদ।"

নীরা


নীরা : কি ব্যাপার কাল না তোমার দেখা করার কথা ছিল আমার সাথে, আসোনি কেন? ( অভিমানী অবয়ব)

নীলয় : আরে সারারাত ওয়ার্ল্ড কাপের আজেন্টিনা বেলজিয়াম খেলা দেখে ভোরে ঘুমিয়েছি, তাই আসতে পারিনি।

নীরা : কি আমার চেয়ে তোমার ওয়ার্ল্ড কাপ বেশী? কি মজা পাও রাত জেগে এ খেলা দেখে, পরদিন তো আবার খেলা রিপিট করে তখন দেখলেই তো পারো। 

নীরা এবার প্রচন্ড অভিমানী। নিলয় বহু কসরত করে নীলার মান ভাংগালো। আচমকা নীলা নিলয়ের পা ছুয়ে সালাম করল, অপ্রস্তত নীলয় ভ্যাবাচেকা খেয়ে জিজ্ঞেস করলল সালাম কেন, উত্তরে নীলা বলল চারদিন পর পরীক্ষা শুরু তাই দোয়া নিয়ে নিলাম। পরিক্ষার সময় তুমি কাছে থেকোনা, তোমাকে দেখলে আমার সব এলোমেলো হয়ে যায়, দেখা যাবে বাংলা পরীক্ষার সময় ইংরেজি পরিক্ষা দিয়ে আসছি।

( ব্যাক গ্রাউন্ডে রোমান্টিক মিউজিক, কাহিনী একটু সেন্সরড)

গ্র্যান্ড আড্ডা


আজ "গ্র্যান্ড আড্ডার "দুই মাস পুর্তি। Aslamuddin Mamun ভাই বলে রনি আড্ডা নিয়ে কিছু লিখ। উনার অনুপ্রেরনায় কিছু লিখা। আড্ডা নিয়ে এটা আমার তৃতীয় বারের মত লিখা। এই পেইজের কারণে আমরা এত বছর পর আবার সবাই একত্রিত হতে পেরেছিলাম।আমি মনে করি আড্ডার মাধ্যমে আমাদের মাঝে পারস্পরিক আন্তরিকতা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

যাক এবার আসল কথায় আসি। আড্ডায় গিয়ে গাড়ি থেকে নামার পর যত সামনে যাচ্ছি সব পরিচিত মুখ। অন্য রকম ভাল লাগা!!! সামনের দিকে যেতে যেতে আম্মুকে হারিয়ে ফেলছি। আর খুজে পাইনা। আমার ভাইকে বলি আম্মুকে দেখেছো? বলে না। বোনকে বলি আম্মুকে দেখেছো? বলে না। আরেবাবা গেল কই!!! আধা ঘন্টা এই দিক ঐ দিক খুঁজলাম কোথাও পাইনা। আমি দাঁড়িয়ে কার সাথে কথা বলছি পেছন থেকে আম্মু বলে কিরে তোকে তোর আন্টিরা দেখতে চায়তেছে তুই কই? আমি বললাম গাড়ি থেকে নামার পর আপনি কোথায় হারিয়ে গেলেন? আম্মু বলে আমি সবার সাথে দেখা করছি। 

জসিম। একটি নাম। একটি প্রেরনা। একটি প্রতিক

- Shafiullah Manik

জসিম। একটি নাম। একটি প্রেরনা। একটি প্রতিক। যুগ যুগ ধরে উনি CSM কলোনির সকল প্রেমিক পলাপাইনের মনে প্রেমের আইডল। সেই সাথে CSM কলোনির সকল ছোট ভাইয়ের দরদি বড় ভাই। (দরদি বড় ভাই আরও আছে, তবে এই পোস্ট ও কমেন্ট শুধু জসিম জসিম আর জসিম ময়) ওনার বীরোচিত ঘটনা দেখেছি যখন, তখন বেশ ছোট ছিলাম। কিন্তু এই পেজ এ এসে দেখলাম চিনলাম জানলাম। খুব পরউপকারি ও দরদি। আর বেশী কিছু কমু না। উনার জন্য ভালবাসা রইল।

বিঃ দ্রঃ এটি কোন তেল নয়। নিখাদ ভালবাসা।

সল্ট স্কুলের রাগি শিক্ষিকা


সল্ট স্কুলের রাগি শিক্ষিকা (তবে মন নরম) চান্দু চুলটানার তিনটা মা আছে (Umama, Fatima এবং নুজাইমা)। তিনটাই বেসম্ভব ভালো। তাদের সাথে আগে কখনো কথা হয় নাই, দেখা হয় নাই। এমনকি ২৪ ডিসে্ম্বরের আগে ফেইসবুকেও এড ছিলো না আমার সাথে। ২৪ ডিসেম্বর সকাল বেলা প্রথমে দেখা হলো উমামের সাথে। আমারে দেইখাতো উমাম ১.৩০ মিনিট অজ্ঞান ছিলো। কোন কথা মুখ দিয়ে বের হয় নাই। মনে মনে ভাবতে ছিলো আমি এত কালো কেন? তাছাড়া মাথায় ও টাক। যা হোক জ্ঞান ফিরে পেয়ে প্রথমে জিজ্ঞাসা মামা কেমন আছেন? তার কিছু সময় পরে আসলো ইনান। তারপর সবাই মিলে সকালের নাস্তা করলাম। 

নাস্তা করার সময় আপনি থেকে অটোমেটিক তুমি করে ডাকা শুরু করলো কোন পারমিশন ছাড়াই। যেন অনেকদিন পরে মামাকে পেয়েছে। এত সহজে এত দ্রুত সাবলীল সবাইকে আপন যা সত্যিই অকল্পনীয়। সেদিন আর দেখা হলো না। ০৫ জানুয়ারী আবার অফিসের কাছে ঢাকা গেলাম। বিকাল তিনটায় উত্তরায় কাজ শেষ করে ভন্ড বাবাকে ফোন দিলাম। পীর সাহেব বললেন বনানী চলে আয়। বনানী আসার পর উনি বললো মগবাজার চল। কিন্তু সিএনজিতে উঠার পাইলটকে বলে নাট্য পাড়ায় যেতে। তারমানে চান্দুর বাসায়। বাসায় গিয়ে দেখি উমাম নাই (মা'র মত মাষ্টরনি হইছে)। ইনান আছে। আর নুজাইমা স্কুল থেকে আসার পর ড্রেসও চেইঞ্জ করে নাই এর মধ্যে চান্দু ওরে ইংরেজিতে সমান তালে ঝাড়তাছে। কিছুক্ষন পর পর ইনান এসে বলে কি খাবা? আধ ঘন্টা পরে উমাম এলো।

সুজন হাসনাত


আমার ধারনা সে রবিন্দ্রনাথের বংশধর। পারিবারিক টাইটেল আছে নামের সাথে। রুবায়েতের পোস্টে এক কমেন্ট এ তার সাথে আমার ঝগড়া। আমি খালি সবার সাথে ঝগড়া করি। ঝগড়াইট্টা হিসাবে খ্যাতি লাভ করছি। দিলাম এক কড়া পোস্ট। পরেরদিন ভোরবেলাতেই তার ফোন পেলাম। সরি বললো। দেখি অসম্ভব ভদ্র একটা ছেলে। আমিই লজ্জা পেলাম। পরে সে ঢাকা এসে আমার সাথে দেখা করলো,পা ছুয়ে সালাম অব্দি। সব ভুলে গেলাম। আমার মেয়েদের সাথে তার খাতির অসম্ভব। আমি এই খানে জায়গা পাইনা। এই ছেলেটা ভাল। কিন্তু আমার ধারনা পড়ালেখা জানেনা। কারন সে কিছু লেখেনা। পড়তেও পারে কিনা জানিনা। যাহোক,আমাদের আড্ডায় তার নিজের লেখা,সুর করা আর গাওয়া গান সারাদিন বেজেছে। এমনকি সেদিন সবার ফোনের রিংটোন ছিল এটা। খুব দারুন লেগেছে এটা। বহুদিন এটা আমার রিংটোন ছিল। অনেক বীট বলে আব্বা যেদিন চলে গেছেন সেদিন এটা পাল্টেছি। আশা করি তুই রাগ করবিনা। পেইজে আয়, লেখ। খালি লাইক দিলে মাইরালবাম।

মানিক ভাইয়ের এ কথায় আমি স্বাভাবিক হতে পেরেছিলাম


আমরা ততদিনে সি টাইপ মাঠ থেকে বিতাড়িত, বিকাল টা তাই কাটে অযথা( তবে একেবারে উদ্দেশ্য হীন নয়) ভাবে ঘুরাফিরা করে, আড্ডা মেরে, অফিসার্স ক্লাবে ভলিবল বা টেবিল টেনিস খেলে কিংবা স্কুল মাঠে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলে। মাঠ থেকে বিতাড়িত হওয়ার কারনে, নিজেদের ফুটবল টিও জুনিয়র দের দিয়ে দিয়েছি। তাই খেলতে গেলে অন্যদের উপর নির্ভর করা লাগতো। 

এরকমভাবে স্কুল মাঠে ফুটবল খেলছি, বল টি ছিলো নবীন সংঘের, খেলার এক পর্যায়ে আমি জোরে কিক মারি, বল গিয়ে সরাসরি লাগে স্টেজের টিনে, এবং টিনে লেগে বলটির ভবলীলা সেখানেই শেষ। ব্যাপার টি ছিলো সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ও খেলারই একটা অংশ। তারপরও নিজের মধ্যে একটা কেমন জানি অপরাধ বোধ কাজ করছিল, মনে হয় আমার চেহারায়ও সেটা ফুটে উঠেছিল, মানিক ভাই (ডি ৫, নবীন সংঘ) ব্যাপার টা বোধ হয় ধরতে পেরেছিলেন, আমার কাছে এসে মানিক ভাই কাধে হাত রেখে বলেছিলেন, "আতিক তুমি মন খারাপ করছ কেনো? এটা তো তুমি ইচ্ছা করে করো নাই, যে কেউ দ্বারা এটা হতে পারতো।"

মানিক ভাইয়ের এ কথায় আমি স্বাভাবিক হতে পেরেছিলাম।

আমাদের সবার প্রিয় মোজাম্মেল ভাই- ডা: মোজ্জাম্মেল হক শরিফী


কলোনীর আবাল বৃদ্বা বনিতা সবার কাছে খুব প্রিয় ।ভাল ছাত্র, ছোট বড় সবার সাথে মিশার অসাধারন ক্ষমতা, যে কোন বিপদ আপদ বা সামাজিক কর্মকান্ডে সবার আগে এগিয়ে আসা উনাকে আরো মহান করে তুলেছে।ছোটদের কোন ভুল বা অপরাধ সুন্দর করে বুজিয়ে সমাধান করে।কখনো মনেই হয়না এটা আমাদের বড় ভাই, মনে হয় এটা আমাদের বন্ধু।যে কোন সমস্যা নিয়ে খোলামনে আলোচনা করলে উনি উনার সর্বোচ্চ সমাধান বা সেক্রিফাইস করতে মোটেও পিছপা হন না।ভাই সত্যিই মন থেকে বলছি তোমার মত ভাই যেন সি এস এম পরিবারে বার বার জন্মে।এতক্ষন যার কথা বললাম সে আমাদের সবার প্রিয় মোজাম্মেল ভাই- ডা: মোজ্জাম্মেল হক শরিফী।অহংকারহীন মানুষটি সব সময় সি এস এম বাসীর পাশে থাকে। এই ভাইটি আমাদের এতো আপন করে নিয়েছে যে পারসোনাল সময় বলতে কিছুই রাখেনি সব সময় সি এস এম বা যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়।প্রচার বিমুখ এই ভাইটি গত আড্ডায় সবার অলক্ষে কি পরিমান সহযোগীতা করছে কাউকে বলে ব্যাখ্যা করা যাবে না।।পেশাগত জীবনেও উনি রোগীদের সর্বোচ্চ ছাড় কিংবা সহযোগীতার মাধ্যমে যতেস্ট সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।রোগী সি এস এম এর হলেতো কথাই নেই। মেধাবী,সৎ, পরিশ্রমী,সদালাপী,পরোপকারী আমাদের এই ভাইটি দীর্ঘজীবি হউক এই প্রত্যাশাই করি।

মেঘের বাড়ি


কেমন ছিল কলোনি র মেঘলা দিনগুলো। যতদূর মনে পড়ে মেঘলা দিনগুলো- ছিল হঠাত আসা মেহমানের মত।বলে কয়ে আসত না।কিন্তু মন ভাল করে দিত।হালকা হালকা বাতাসে, মাঝে মাঝে ঘূর্ণি, দেখতে ভালই লাগত। মাঠে সবার ছুটোছুটি। তারপর আস্তে আস্তে বাতাসের বেগ বাড়তে থাকত।

বাতাসে পাখির পালক, পলিথিনের টুকরো উড়ে বেড়াত।আমরা ছোটরা সেটা কে ধরার জন্য তার।পিছু নিতাম।বাতাসের সাথে সাথে সেটা ধীরে ধীরে উপরে উঠতে থাকত।একসময় আমাদের দৃষ্টি র সীমানা থেকে হারিয়ে মেঘের কাছাকাছি চলে যেত,যেন মেঘের বাড়ি গিয়ে থামবে।আমরা চোখ বড় বড় করে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম,অনেক দিনের চেনা মানুষ আস্তে আস্তে দুরে চলে গেলে যেমন লাগে, তেমন মনে হত।

আমারে নিয়া কেউ লেখেনাই, থাক,নিজেই নিজেরে নিয়া লেখি।


আমারে নিয়া কেউ লেখেনাই।
থাক,নিজেই নিজেরে নিয়া লেখি।

আমি উমামা বিনতে ইকবাল।মায়ের নাম চাদ সুলতানা(রিদমিক কী-বোরডে চন্দ্রবিন্দু পাইতেসিনা)। খালাদের নাম নাহিদ সুলতানা ও নাশিদ সুলতানা।বোনের নাম ফাতিমা বিনতে ইকবাল। এনারা সবাই এই গ্রুপের মেম্বার।এছাড়াও নুজাইমা বিনতে ইকবাল নামক আরো একটি বোন আমার আছে যার ফেসবুক নাই।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোরবানি ঈদের আগ দিয়ে আমাকে এই গ্রুপে এড করা হয়।এরপর থেকে আমি এই গ্রুপের একটিভ মেম্বার।মাঝে মাঝে গায়েব হয়ে যাওয়া আমার অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য। গ্রুপের মামাদের পচানো আমার কাছে পৈশাচিক আনন্দের ব্যাপার।খালাদের আমি বিশেষ রকম ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি।গ্রুপে ঝগড়াঝাটি লাগলে অনেকেই আমাকে রেগে গিয়ে প্রতিবাদী হতে দেখেছেন।আসলে অযৌক্তিক কথাবার্তা বা কাজকর্ম আমাকে রাগিয়ে তোলে।কাউকে অসম্মান করা দেখলেও আমার রাগ উঠে।মানুষটা আমি এমনেতে নরম সরম। কিন্তু হাসিমুখ দেখে ধোকা খাওয়ার দরকার নাই।আমি বদের হাড্ডি টাইপ মানুষ। বেশী খাতির করতে আসার দরকার নাই।ভুলায়ে ভালায়ে আপনাকে পাস্তার দোকানে নিয়ে গিয়ে অভদ্রের মত পাস্তা ট্রিট চেয়ে বসার মত কাজ আমি করতে পারি।

কলোনীতে ঈদ আসা মানে এপ্রিল 29 পোলাপাইনে ম্যারাথন আডডা মারা


কলোনীতে ঈদ আসা মানে এপ্রিল 29 পোলাপাইনে ম্যারাথন আডডা মারা, একটা না একটা বাসা খালি পাবো ঈদে,মরা রাশেদ,আর না হলে লিটন দের বাসা দুইটাই D টাইপে,কোরবানীর ঈদ হলে বিভিন্ন বাসা থেকে রান্না করা মাংস আসতো,আর না হলে দল বেধে এক বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতাম,ঈদ মোটামুটি ৩ দিন পালন হতো কলোনীতে রেশ থাকতো আরো কয়েক দিন,আর রোজার ঈদে একদিন দুইদিন পর নিজেরাই রান্না শুরু করতাম,একবার লিটনদের বাসা খালি হলো আমাদের খুশি দেখে কে,যথারীতি ঈদের নামাজ শেষ করে বাসায় দেখা করে ভো দৌঁড় লিটন দের বাসা,কলি ভিডিও থেকে বি সি আর ভাড়া করে এনে কেউ ছবি দেখছে আর কেউ দুই গ্রুপ হয়ে তাস খেলায় বসে গেছে,সকাল থেকে বসে যে খেলা শুরু হলো এটা সারাদিন সারা রাত চলছে,আমি বিকালে একবার বাসায় গিয়ে দেখা করলাম,এবং আসার সময় একটা শট প্যানট নিয়ে আসলাম,আম্মাকে বললাম বিকালে ঝাউতলা ও যেতে পারি,সোজা আবার লিটনদের বাসা,বাসাতো পুরো আমাদের দখলে সিগারেটের ধোয়ায় ঘরের কিছুই দেখা যায়না,রাতে কেউ বাসা থেকে খেয়ে আসলো আসার সময় কেউ কেউ তরকারী নিয়ে আসতো,চাল তো আছে ভাত রান্না করতাম কোন কিছুর রান্না করা লাগলে সব আমার ঘাড়ে পড়তো,সকালে ডালে চালে খিচুড়ী চলতো,আমি বেশি খেলতে পারতাম না কারণ রান্না আমাকে করতে হতো বেশি চিল্লাচিল্লী করলে একজন এসে সাহায্য করতো,সবাই একবার হলেও বাসা থেকে ঘুরে আসতো,বিকালে ও নেমে হাটাহাটি করতো, আমি আর বাসা থেকে নামি নাই একে তো এক কাপড় আবার কোনমতে বাসায় জানলে বুঝবে আমি এখানে ৪দিনের দিন দুপুর ৩টায় কে এসে বলতেছে তোর জেঠাতো ভাই হোনডা নিয়ে নিচে বসে আসে তোকে ডাকতাছে বুঝলাম এবার ধরা খেয়ে গেছি,সাথে করে নিয়ে সোজা বাসায়, ভাগ্য ভালো তখন মোবাইলের যুগ ছিল না তাহলে ৩দিন না একদিন ও বাহিরে থাকতে পারতাম না

টিপু, ৯৮ ব্যাচ


টিপু আমাদের ছোট ভাই, কলোনীতে ওদের বাসার সামনে স্লিপ ছিল,সেখানে টিপুকে দেখতাম, খেলাধূলা করেছে, তবে আমাদের থেকে ছোট ছিল বলে ওকে বেশী খেলাতে নেওয়া হত না।আর ও স্লিপ পারের মাঠেই বেশী অবস্থান করত, আমরা বড় মাঠে,আমার ছোট বোন ঝুমুর এর ক্লাসমেট।

কলোনী থেকে বের হওয়ার পর টিপুর সাথে আমার যোগাযোগ ছিল না,আমার বোন মাঝে টিপুর রাজনৈতিক ব্যাপার নিয়ে বলতো।টিপু ভাল রাজনীতি করত আমি পরে জেনেছি।

পেজের মাধ্যমে আবার টিপুকে আমাদের মধ্যে পাওয়া,সব সময় কোন আড্ডা দিব বললেই চলে আসা।বেশীর ভাগ সময় খাওয়ার বিল নিজেই দিয়ে দিবে,কাউকে দিতে দিবে না।বতর্মানে ফার্নিচার T স্কোয়ার এর গর্বিত কর্নধার।সব সময় আড্ডা দিতে পছন্দ করে।

Monday, March 28, 2016

দেশ প্রেম ...


UAE তে Steven Rock একটি কোম্পানীতে যখন যায় এক নেপালী খালিজ টাইম পত্রিকা থেকে সযত্নে সংগ্রহ করা একটি বই আমাকে দেয়..বইটিতে বড় অক্ষরে বাংলাদেশ লিখা থাকায় খুব আগ্রহে নিয়ে নিলাম..জাতীয় পতাকা সহকারে বাংলাদেশ লেখাটিতে যে কতো বড় দেশ প্রেম লুকিয়ে ছিলো তখনো বুঝতে পারি নাই..তখনি বুঝলাম..যখন বইটি আমার গাড়ির ডিস্ প্লেতে রেখেছিলাম...যখন ড্রাইভ করছিলাম যতো বাংলাদেশী আমার পাশ দিেয় যাচিছলো একবার হলেও হর্ণ দিেয় জিজ্ঞেস করছিলো ভাই কেমন আছেন..শুধু বাংলাদেশি নয় যতো দেশ এর লোক যাচ্ছে ..পপ পপ Hi Hello..মনে হচ্ছিলো ছোট্টো একটি বই নয় পুরো বাংলাদেশকে নিয়ে আমি ড্রাইভ করছিলাম... গর্বিত বাংলাদেশ তোমাকে নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশ তোমার মতো জন্মভূমিতে জন্ম হয়ে ...

কোরবানীর ঈদ আসলে আমাগো মতো কিছু পোলাপাইনের মাথা হট হইয়া যায়


কোরবানীর ঈদ আসলে আমাগো মতো কিছু পোলাপাইনের মাথা হট হইয়া যায়,তখন মনে হয়C/4/F থাকতাম,বাসা থেকে গরুর হাট দেখা যেত,যেদিন থেকে গরুর হাট বসা শুরু হতো সেদিন থেকে আমি ডালিম, শিপন, বিপুল,সব সময় হাটে আসা যাওয়ায় উপর থাকতাম, মসজিদের গেইট দিয়ে বেশিরভাগ আসা যাওয়া হতো, নামাজের সময় পিছনের গেইট টা খুলতো ৩/৪মিনিট লাগতো,আর অন্য সময় বাজার দিয়ে ঘুরে যাওয়া লাগতো,একেক জনের একেক চয়েস চলতো,আর বাসায় এসে তা বণনা চলতো,গাড়ি থেকে গরু নামলেই হুড়াহুড়ি চলতো কে আগে দেখবে,এভাবে সময় ঘনিয়ে আসতো গরু কিনার,কলোনীতে কে কেমন গরু কিনলো তার গবেষনা চলতো সবসময়,আর গরু কিনার সময় তো পারলে পুরো ফ্যামিলি রওয়ানা হতাম,একলা তো গরু কিনা হতো না ভাগে গরু কিনা হতো,আমার বাসা থেকে আমরা দুইভাই এভাবে প্রতি ফ্যামিলি থেকে একজন দুজন থাকতো,যাদের কিনা হয়ে গিয়ে তারাও আবার যেতো মজা করা জন্য,বেশির ভাগ গরু ছোটদের পছন্দে কিনা হতো,যতো রাগী গরু কিনা হতো ততো মনোবল বেড়ে যেতো,আমাদের আসল উদ্দেশ গরু লড়াই করে জিততে হবে, হাট থেকে গরু নিয়ে আসার সময় গরুর রশি ধরার জন্য কাড়াকাড়ি লেগে যেতো,দাম বলার প্রতিযোগিতা চলতো,একবারতো কাগজে গরুর মূল্য লিখে দিয়েছিলাম এটা নিয়ে কতো হাসাহাসি,কলোনীর মধ্যে গরু ডুকাতে পারলে আর পায় কে তখন নিজেদেরকে মহারাজা মনে হতো,কোরবানীর আগ পযন্ত এই গরুর পিছনে সময়টা ব্যয় করা হতো,একবার ঈদের আগের দিন বিকাল বেলায় সিটাইপ মাঠে ২/৩টা গরু চড়তে ছিল,আমি আমাদের গরু নিয়ে আর একটা গরুর সাথে লড়াই লাগিয়ে দিলাম যে সে লড়াই না মনে হচেছ ইরাক আর ইরানে লড়াই থামাথামির নাম নেই আমরা তো ভয় পেয়ে গেলাম আমাদের গরু রশি ধরতে গেলাম আমি, গরু দিলো দোড়ানি আমি গিয়ে পড়লাম C/2পাশের ড্রেনে সব সময় পানি ময়লা থাকতো তখন আর কে আর কার দিকে তাকায় সোজা বাসায় আম্মা তো পারলে আমারে কোরবানী দিয়া দে সোনা রুপা পানি দিয়ে গোসল করাইয়া উত্তম মাধ্যম দিয়া চাঁদ রাতে ঘরে আটকাইয়া রাখলো,আর এখন প্রতিরাত ই একরকম মনে হয় হায়রে কলোনী কই পামু গরুর লড়াই কই পামু ড্রেন

লাল নীল বাতি সমাচার


সাড়ে চারটায় বাস ছাড়লো। একটু পরেই যেন ঝুপ করে সন্ধ্যা নামলো। সাথে সাথেই আলোর ঝলকানি চোখে পড়তে লাগলো। এখন সব দোকান পাট,গাড়িতে বেশ লাইটিং করা হয়। খাবারের দোকানগুলাতে ত কথাই নেই। মালিবাগে একটা দোকান আছে নাম কাকার বিরিয়ানী। ওখানে আলোর কারনে কাকাকে খুজে পাওয়া বেশ কস্টসাধ্য। সন্ধ্যার পর রাস্তায় বের হলে ভালই লাগে। কত আলো চারপাশে। রাস্তায় বিলবোর্ড, স্ট্রীট ল্যাম্প,গাড়ির হেড লাইট,ট্রাক বা বাসের নিজস্ব লাইট ছাড়াও কিছু ডেকোরেশন লাইট,বিয়ে বাড়ি হলে চোখে পড়ে মেলা আলো। যা বলছিলাম,এই আলোর ঝলকানি পুরা রাস্তা জুড়েই দেখতে দেখতে আসলাম। লাল,নীল,সবুজ,হলুদ আরো কত রঙ এর আলো। ক্ষনে ক্ষনেই উদাস হচ্ছিলাম।

কাঁদ চুলটানা


একটা গ্রুপ পেইজে কিছুদিন আগে একটি মেয়ের সাথে ফেইসবুক ফ্রেন্ড হয়েছিলাম। গ্রুপে তার কিছুদিন পরে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। তখন একজন ওই পোষ্ট একটা কমেন্টস করছিলো। কমেন্টস পরে দেখি মেয়েটা আনফ্রেন্ড করে দিলো। জিজ্ঞাস করলাম কেন আনফ্রেন্ড করা হইলো। তখন ও বললো monthly review তে ভুলে বাদ পরছে। পরে অবশ্য ও নিজেই request পাঠাইছে। তার কিছুদিন পর একটা প্রোগ্রামের উছিলায় ওনি চিটগাং আসলো। প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে আমাদের সাথে মিটিংএ যোগ দিলো। মিটিং শেষে বললো তাকে নিয়ে পরের দিন পুরাতন স্মৃতিবিজড়িত স্থানে যেতে হবে। পরের দিন শনিবার বিধায় রাজি হলাম। 

এক বন্ধুর গাড়ি নিয়ে তার হোটেলে গিয়ে তাকে নিয়ে বের হলাম।বললেন প্রথমে সেন্টমার্টিন হোটেলে যাবে। সেখানে একটা লাঞ্চ পার্টি আছে। আমাদের লোকদের আয়োজন করা পার্টি অথচ দাওয়াত পাই নাই। ওনাকে গাড়িতে বললাম আপনাদের ব্যাচের সবাইকে তুই করি বলি। তাই আপনাকেও এখন থেকে তুই করে বলবো। এক বাক্যে বললো তোর যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবি। তখন থেকেই তুই করে বলা। এর সপ্তাহ খানেক পরে আমি ঢাকায় গেলাম। সকালে এবং সন্ধ্যায় একটা প্রোগ্রামে দেখা হলো। সেখানে আমার হারিয়ে যাওয়া তিন মেয়েকে পেলাম। তারা প্রথম দেখায় কত সহজে আপন করে নিলো। এতক্ষন যার কথা বলছি তার নাম হলোঃ কাঁদ চুলটানা কইন্যা। 

বাদল বরিষণে


খুব বৃষ্টি হচ্ছে। মনে হচ্ছে বর্ষাকাল এই বৃষ্টি মনে করিয়ে দিচ্ছে কলোনি র বৃষ্টির দিনগুলোর কথা। কি করতাম এই দিনগুলো- তে। যতদূর মনে পড়ে কাঠের কালো কাপড় এর ছাতা নিয়ে স্কুলে যেতাম।তখন টিপ ছাতা এত এভায়লেবল ছিল না। স্কুল থেকে ফিরে খেলতে পারতাম না। কাপড় ভেজালে বকা খেতে হবে তাই। দুপুর ১২:৪৫ এর দিকে আমার একটা কাজ থাকত।আব্বার কাছে ছাতা দিয়ে আসা অফিসে গিয়ে।আব্বা প্রায়ই ছাতা ছাড়া অফিসে যেতেন।আসার সময় একটা টাকা দিতেন ওটা দিয়ে জেক্স থেকে একটা চকলেট বা অন্যকিছু কিনে খেতাম। বিকাল বেলা ছাতা নিয়ে হয়ত হাটতে বেরোতাম।আর ছিল মুরগি গুলো কে খোয়াড়ে পুরবার ঝামেলা।খোয়াড়ে র সামনে গিয়ে মুরগি গুলো কি যেন ভাবত,ঢুকতে চাইত না।মেজাজ চড়ে যেত আবার কিছু করাও যেত না। এদিকে সন্ধ্যা তাড়াতাড়ি হত বলে পড়তে বসতে হত তাড়াতাড়ি। পড়া শেষ করে উঠে টিভি দেখা।

তখন টিভিতে এত অনুষ্ঠানের ছড়াছড়ি ছিল না।ভাল কিছু না থাকলে ভাত খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুম কাথা মুড়ি দিয়ে। আহ! কি শান্তির ঘুম।ঐ। ঘুমের কাছে পৃথিবীর সব লোভনীয় জিনিস হার মানে

ভাইয়া তেলের ড্রাম পাইছো??


ভাইয়া তেলের ড্রাম পাইছো?? হুম, পাইছি। কি করবা এক ড্রাম তেল দিয়া!? সব হারামিরে মালিশ করবো! আইচ্ছা ভালো মত করো! আমাগো সারাফের মা"রেও একটু কইরো। মোটু বাড়ি থেকে, এক ড্রাম খাটি সরিষার তেল পাঠাইছে! কারে দিয়া শুরু করি? 

জসিম শালারে দেই, এই শালারে কেউ তেল দেয়না! অথচ, আমার দেখা মতে জসিমের চেয়ে ভালো, কোনো শালাই নেই! শালার গুনের শেষ নাই! শালা জিবনে একটা প্রেম করছে, শালা ঔইডারেই বিয়া করছে! শালাই, আমাগো তিনটা মায়ের জন্ম দিছে! শালা ছাত্রও ভালো আছিলো!! রাজনীতি কইরা শালায় লেখাপড়ার বারোটা বাজাইছে! শালার সব চেয়ে ভালো গুন, শালায় বেনসন সিগারেট খায়।(দোষ পরে, পীরের উপর)!!!। আজ, মাসুক,একরামের মানসিক যে সমস্যা, তার জন্য এই জসিম শালায় দায়ি!! নিরু সাক্ষী!! শালায়, চিটাগাং-এ, বিশাল এক আড্ডার সফল নেতৃত্ব দিছে। এই জন্য আমরা কৃতজ্ঞ, এবং আমাদের অন্তরের ভালোবাসা, আমার এই বন্ধুর প্রতি। ভালো থাকিস শালা। 
আর কারে দিমু!!?? পাইছি, গাড়িরে দেই। রিপন গাড়ি, না নারী /না পুরুষ, রিপন একজন মহাপুরুষ!! "যে জানে, সেই একমাত্র সাক্ষী"!! কাহারো আপদ বিপদ দেখিলে, সে ঝাপাইয়া পড়ে। নিজে ধার করে, বন্ধুদের টাকা দিয়ে সাহায্য করে, আমি নিজে সাক্ষী। বউরে খুব ভালোবাসে!!! নিজের চোখে দেখছি!!!! 

পুলক ও সুজন


যেহেতু আজ পেজের ব্যক্তি পরিমাপক তেল দিবস তাই,ছোট ২ টা ভাই এর কথা না লিখে পারলাম না।

পুলক
আমাদের সিএসএম পেজের একজন এডমিন,সব সময় চুপচাপ থাকে,তবে ভিতরে মিচকি শয়তান।
কলোনীতে থাকতো bh1 এ,আমাদের সাথে কলোনীতে থাকতে কথা কখনো হয় নাই। এই পেজেই তার সাথে আমার ও অনেক ভাই- বোনের সখ্যতা।

সুজন
ছোট কাল থেকেই তাকে চিনি,খুবই দুষ্ট আছিল।ইউনুস ভাইয়ের দোকানে গিয়ে ওর বাবার নাম ( শাহআলম কাকা)বলে কোক খেত।সব খেলাতে মোটামুটি পারদর্শী ছিল।
কলোনী থেকে বের হওয়ার পর পেজের মাধ্যমে আবার সুজনকে পাওয়া।তবে সুজন ওর মনের মত না হলে একটু অভিমান করে।আবার পরে ঠিক হয়ে যায়।

সবাই যখন লিখছে ভাবলাম আমিও কিছু লিখি


সবাই যখন লিখছে ভাবলাম আমিও কিছু লিখি।গুছিয়ে লিখতে পারিনা বলেই নিয়মিত লিখা হয়না।

মাহমুদুল হাসান।যখন ক্লাস এইট কিংবা নাইন এ পড়ি তখন প্রিন্স মাহমুদের সুরের গান গুলো ভালোই শুনতো সবাই।তখন সে লিখতো প্রিন্স মাহমুদ।সবাই এইটা নিয়ে খুব দুষ্টুমি করতাম আপেলের সাথে।আমি,শাকিল,আপেল,রুমি,লিটন এই কয়েক জন কলোনীতে ঘনিষ্ট ছিলাম বেশী।পরে নাজিম,ওয়াহিদ এবং তৌহিদ। বেশ ভালোই কাটছিলো দিনগুলা।যখন ক্লাস টেন এ উটলাম তখনি আপেল চলে আসলো কলোনী থেকে।এরপর অনেক বছর একটা গ্যাপ ছিলো।প্রায় ১০ কি ১১ বছর তো হবেই।আপেলের সাথে আবার দেখা হলো চট্টগ্রামে।একা আপুর( শাকিলের বোন) বিয়েতে। সবাই মিলে অনেক মজা করলাম।অনেক দিন পর আবার একসাথে হয়েছিলাম সেইদিন।

বুবু( চাদঁ সুলতানা বন্যা)


তাকে আমি কলোনীতে দেখি নাই। বুবুর সাথে আমার পরিচয় এই পেজের মাধ্যমে।

শুনেছি বড় ভাইদের মুখে কলোনীতে থাকতে খুব মুডি ছিল।কোন ছেলের সাথে কথা বলতো না।কলেজ বাসে তারা চার এক সাথে যেত।রনি আপু,মিতু আপু আর একজন কে আমি এখন মনে করতে পারতেছি না।রনি আপু ভাইদের সাথে হাসিমুখে কথা বলতো শুনেছি।কিন্তু বুবু ওরে বাবা,খুব নাকি মুড নিয়ে বসে থাকত বাকী দুজনের টা জানি না।

যা হউক এই পেজের মাধ্যমে দেখলাম তার সরব উপস্হিতি,সবাই কে পচায়,নিজে ও পচে।

তবে বুবুর একটাই দোষ অল্পতেই রেগে যায়,আর হেরে যায়।আবার নিজেই অনুতপ্ত হয়ে কাঁদে।

যখন তারিক কে দেখতে চিটাগাং থেকে সিএসএম এর চারজন প্রতিনিধি ঢাকা গিয়েছিল তখন তারা ফিরে এসে বুবুর সমন্ধে বিস্তারিত বলল।সে আমাদের ভাই গুলোকে নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে দিল তখন রাত মনে হয় ১০ টা।এবং যতক্ষণ ভাইরা চোখের আড়াল না হওয়া পযর্ন্ত সেখানে ছিল এবং বাসায় এসে ফোনে খবর নিয়েছে।তখন বুবুকে অন্যরকম চিনলাম।

ডাল পুরি,কিমা পুরি


তখন আমার বয়স সাত কি আট।আম্মা একদিন সন্ধ্যাবেলা খেলে আসার পর বললেন ডালপুরি নিয়ে আসতে আজমির হোটেল থেকে।আমি গিয়ে বললাম,পুরি দিতে।দোকানদার কি বুঝলেন জানিনা,আমাকে দশটা কিমা পুরি দিয়ে দিলেন। তখন একটা ডালপুরি র দাম ১ টাকা, আর একটা কিমাপুরির দাম ৩ টাকা।আমাকে ১০ টাকা দিয়ে ১০ টা কিমা পুরি দেয়া হল।বাসায় নিয়ে এলাম।খেয়ে সবাই খুশি।

পরের দিন আবার আমাকে পাঠানো হল।এবার আমার ভুল ভাঙিয়ে দিল আরেক জন যিনি ক্যাশে বসেছিলেন।তিনি বললেন যে ডালপুরি ১ টাকা আর কিমাপুরির দাম ৩ টাকা।তাই দাম অনুযায়ী টাকা দিতে হবে।আমি একবার বলতে চাইলাম গতদিন আমাকে ১০ টাকা দিয়ে ১০ টা কিমা পুরি দেয়া হয়েছে।কিন্তু ভাবলাম আমার কাছে ত বাড়তি টাকা আনিনি।তাই পেটের কথা পেটেই হজম করে ফেললাম।ভয় পেয়েছিলাম যদি লোক টা টাকা খুজে আর দিতে না পারলে আমাকে অপমান করে কিংবা বেধে রাখে।তখন কি হবে।বাসায় এসে মাকে সব খুলে বললাম।আম্মা বললেন, স্কুল থেকে এসে যেন কালকে টাকা টা ফেরত দিয়ে আসি।স্কুল থেকে এসে যখন টাকা ফেরত দিতে যাই তখন বয়স্ক করে একজন বসে ছিলেন।তিনি সব শুনে টাকাটা নিয়ে আমাকে ১ টা সিঙ্গাড়া উপহার দিলেন

চাঁদ সুলতানা বন্যা একজন মহীয়সী নারী


দিলাম পোস্ট কইরা। কপালে কি আছে আল্লাহ্‌ ভালো জানে। যদি আমার এই পোস্টে তেলের বাজারে কোন প্রভাব পরে তাহলে আসলাম ভাই, নাজমুল ভাই এবং রেজা ভাই দায়ী থাকবে।

চাঁদ সুলতানা বন্যা একজন মহীয়সী নারী। এই কথাটি সব সময় বলা হয়, কিন্তু আমার মনে হয় যে এই একটি কথায় চাঁদ সুলতানা বন্যাকে ঠিক ধরা যায় না। তিনি ছিলেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী এবং জীবনকে তিনি ভিন্নভাবে চেনার চেষ্টা করেছেন। সংস্কৃতির নানা অঙ্গনে, রাজনীতির ক্ষেত্রে, সামাজিক সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে, FB আন্দোলনের ক্ষেত্রে তাঁর যে ভূমিকা, সেখানে তিনি সাহসী, ব্যতিক্রমী, অসাধারণ তীক্ষ্ন গুণী ও প্রখর চেতনাসম্পন্ন এক অসামান্যা নারী ছিলেন। কেউ কেউ তাঁকে নারীবাদী বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, এটি ঠিক তাঁর জন্য যথাযথ অভিধা নয়। তিনি কিন্তু আসলে নারী ও পুরুষ দুজনে মিলেই সামাজিক অগ্রগতির যে ক্ষীণরেখাটি আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে, তার যে ধারা, সেটি যাতে আরো একটু প্রসারিত হয়, আজীবন সেই ক্ষেত্রে একনিষ্ঠভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর তুলনা আমাদের CSM এ খুব বেশি নেই। তিনি তাঁর জীবনকথা যেগুলো, যা বলেছেন, সেগুলোও খুব সাধারণ, সরল, সহজ ও হৃদয়স্পর্শী ভাষায়। তাঁকে নারীবাদী না বলে বলা যায় পুরুষ ও নারীর সম্মিলিত প্রয়াসে সামাজিক অগ্রগতির ধারাটিকে তীব্র-তীক্ষ্ন করে তোলাই তাঁর প্রয়াস ছিল এবং তিনি আমাদের এই সমাজের জন্য, আমাদের সংস্কৃতির জন্য যে কাজ করেন, সেটি তুলনারহিত। এই রকম মানুষ আমার আর তাৎক্ষণিকভাবে মনে পড়ে না।

এই অসামান্য মহিলা, আমাদের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ছোটবেলা থেকে ডানপিটে হওয়ার চেষ্টা করতেন, গাছে চড়ার চেষ্টা করতেন (এই লাইনটা রেজা ভাইয়ের জন্য লিখা)। সে জন্যই এই মহীয়সী নারীকে, ব্যতিক্রমী নারীকে, অসম্ভব নিপুণ নারীকে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss