Thursday, December 31, 2015

HAPPY NEW YEAR


এই বছরের সর্বশেষ দিনটির বিদায় আর আগামীকাল আসা নতুন একটি বছরে পা রাখার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি CSM এর সবাইকে।।

HAPPY NEW YEAR.
ভালই কাটুক নতুন বছরের ৩৬৬ দিনের (লিপ ইয়ার) প্রতিটি সেকেন্ড আর প্রতিটি মুহুর্ত। নতুন নতুন আশা, ইচ্ছা আর কামনা নিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেও নতুন বছরটা হয়তো কারো জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে আবার কারো জন্য হয় তিক্ততায় ভরা। আশীর্বাদ আর তিক্ততা যাই হোক একটা দিন অতিরিক্ত আমরা এবছরে পাচ্ছিই।

আহা সেই দিনগুলা.......


আমরা যখন C-11-C তে সাইদ, চুমকি,রুমকি রা তখন C-11-D তে। সাইদ আমাদের সিনিয়র। আমার সাথে ছিল অন্য রকম সম্পর্ক।

ওরা D টাইপে থাকতে ( আমরা তখন C-2-B) ওদের বাসায় টিভি দেখতে যাইতাম। সাইদ গোসল করার সময় আমাকে দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকতে হত, না হলে ও গোসল করবে না বলে গো ধরত। চাচা আমাকে কোলে করে নিয়ে বাথরুমের সামনে বসিয়ে দিতেন।

C-11-C আসার পর একসাথে কত গোসল করছি। একবার বাথরুমে দুই জনে সিগারেট খাইতে গিয়ে বাবুল ভাইয়ের কাছে হাতে নাতে ধরা।

জসিম ভাইয়ার জন্মদিন


আমাদের সবার প্রিয় জসিম ভাইয়ার আজ জন্মদিন । জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দিনের শুরু তেই আমাদের ভাবি ( আপু বললেও ভুল হবে না ) জসিম ভাই ( দুলা ভাই ডাকতে পারবো না , মাইরা ফালাইবো) কে নিয়ে কবিতা লিখলোঃ
আজো তুমি সুর্য্য হয়ে দূর করে দাও অন্ধকার
আজো তুমি আছো বলেই
কবিতা গল্পে আমি আমাকে খুজে পাই
আজো তুমি আমাকে সি এন জি করে ঘুরে বেড়াও
এখনো বুঝতে পারি তুমি কি ছিলে আমার ?
এভাবেই চলুক
কখনো পায়ে হেটে কখনোবা রিক্সায় কিংবা মার্সিডিজে
যেভাবেই কাটুক আমাদের সময়
তুমি পাশে থাকলেই আমি সুখি
একদিন ইতিহাস হবে আমাদের ভালোবাসা
তুমি জন্মেছিলে বলে পুর্নতা পেয়েছে আমার জীবন

হ্যালো CSM


হ্যালো CSMপ্রথম প্রথম এই ভাবে লিখাটা সুরু করতে ভালো লাগতো। হ্যালো CSM হ্যাপী নিউ ইয়ার। ২০১৫ সালটা আমাদের জন্য ছিলো লাকি বছর। আমরা csm এর একটি বিশাল অংশ, এখন একটি জায়গায় অবস্থান করছি। কারো খুশীতে যেমন আমরা আনন্দিত হয়, ঠিক তেমনি কারো সমস্যায়,আমারা পাশে দারানোর চেষ্টা করি। এটা একটা বিশাল ব্যাপার।

এই শক্তিটাকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে। এবং সেটা করতে হবে, সবাইকে সবার প্রতি সন্মান ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে। সবার মতামতকে মুল্যদিয়ে, ভালো ব্যাপার গুলিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।

কিছু আক্ষেপের কথা



আমি মোটামুটি স্বাধীনচেতা মানুষ। মন রক্ষা করে কথা বলার অভ্যাস আমার কখনোই ছিলোনা। এখন যা বলবো তা কারো ভালো লাগবেনা বলেই আমার বিশ্বাস। উপায় নেই, ভালো না লাগলেও শুনতে হবে, পড়তে হবে। কিছুই বলবো না ভেবেছিলাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বলা উচিত।

এই পেজের মোটামুটি শুরু থেকে এবং ২৯ তারিখের "রিইউনিউনের" উদ্যেগের শুরু থেকে সক্রিয় সদস্য হিসেবে আমি প্রতিটা ইভেন্টে উপস্থিত ছিলাম। সব মিলিয়ে ২৯ তারিখের ইভেন্টের ব্যাপারে আমার কিছু পর্যবেক্ষন আছে।

রিইউনিউন কোন প্রাত্যাহিক সাক্ষাৎ নয়। CSM এর রিইউনিউনে কিছু মানুষের পারস্পরিক সাক্ষাৎ ঘটবে ১৫/২০ বছর পর। আবার এটি কোন বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানও নয়। এধরনের অনুষ্ঠানের আলাদা মর্যাদা আর গাম্ভির্য থাকতে হয়। আমি শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি এ উপলক্ষ্যে একটি মান্সম্পন্ন স্মরনিকা প্রকাশের। আরো ইচ্ছা ছিলো উপস্থিত সবার হাতে একটি করে স্মারক বস্তু (souvenir) প্রদান করা। শুরুতে বড় ভাইরা এতে উৎসাহ দেখালেও পরবর্তিতে পিছিয়ে যান। পিছিয়ে যাবার কারন হিসেবে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখালেও আমার বদ্ধমুল বিশ্বাস কারণটি অর্থনৈতিক নয়। কেননা স্মরনিকার বিজ্ঞাপন থেকেই স্মরনিকা প্রকাশের খরচ উঠে যেতো। বরং বাড়তি কিছু অর্থ মুল ফান্ডেও যেতে পারতো। এমনকি মুল ফান্ড থেকে খরচ করে হলেও স্মরনিকা প্রকাশের ব্যবস্থা করা উচিত ছিলো অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি কমিয়ে হলেও। মনে রাখা উচিত এ ধরনের অনুষ্ঠান স্মৃতিকাতরতা থেকেই হয় তাই স্মৃতিস্মারক হিসেবে কিছু দিয়ে দিতে হয় অংশগ্রহণকারীদের। (আমি মনে করি এখানে টাকার সমস্যার চেয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনে সাহসের অভাবই বেশি কাজ করেছে)

Wednesday, December 30, 2015

এরে এক্কেরে মারি তামা তামা করিয়ালামু


অনেকেই আতিক চাচা (আমি নই কিন্তু, সিকিউরিটি অফিসার) এর মজার কাহিনি জানতে চায়, আসলে উনার সাথে কোন মজার কিছু নেই, আছে শুধু ঝামেলার কাহিনী সি টাইপ মাঠে খেলা নিয়া উনার সাথে আমাদের অনেক ঝামেলা হয়েছে (আর এ ব্যাপারে উস্কানি দিতো উনার পাশের বাসার.. ..... সাহেব)। সে জন্য আতিক চাচা কে অনেক হেনস্তা পোহাতে হয়েছে। অবশেষ উনি সমঝোতা করতে চাইতেন। সমঝোতা হতো উনার বাসায়, আর আমাদের পক্ষ থেকে চশমা অপু ভাই নেত্রিত্ত দিতেন। 

উনি অই সমঝ্যোতা মিটিং র আমাদের পক্ষ হতে দারুন সব বক্তব্য রাখতেন, অপু ভাইয়ের যুক্তির কাছে আতিক সাহেব ধরাশায়ী হতেন। মিটিং শেষ হলে ছিল চাচির (আতিক সাহেবের স্ত্রী) হাতের বিভিন্ন পদের নাস্তা। আমরা খেয়ে ও আসতাম নিয়েও আসতাম। আসলে অই মিটিং এর প্রধান আকষন ছিল এই নাস্তা।

ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস ....


ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস, সাধিনতার মাস। আতিক এই কয়টা দিন প্রায় মজা করে বলতো, ভাই আপনেতো পুরাই সাধীন। আসলেই কয়টা দিন সাধিন ছিলাম। বউ/বেটি রাজশাহী। মনের আনন্দে কয়টা দিন ইচ্ছা মত চলেছি। বলার কেউ নাই, সারাফের বাবা লজ্জা করেনা এই বয়সে fb. নিয়ে বসে থাকো। মাঝে মাঝে আমারও বলতে ইচ্ছা করে, তুমি যে ইন্ডিয়ান চ্যানেল নিয়ে বসে থাকো। কি আছে এই সিরিয়াল গুলিতে? পোশাক/আশাক, গয়না/গাটি, আর হলো------যতসব। কিন্তু আজ অবধি বলা হয়ে উঠেনি। 

কি আর বলবো বাড়িতে গেলে বাবাও দেখি ছেলের বউদের সাথে কিরন মালা দেখতে বসে যায়। আজ থেকে আমার সাধিনতা শেষ। আমি এখন ছুটে চলছি রাজশাহির পথে। নিয়ে আসতে যাচ্ছি আমার সারাফ আর -----। আবার শুরু হয়ে যাবে, সারাফের বাবা তুমি হলুদের গুরা আনতে ভুলে গেছো!!! আমার মনে হয় তুমি আমাকে বলতে ভুলে গেছো। মোটেও না, তুমি ইদানিং কালে অনেক কিছুই ভুলে যাও। কি আর করা আবার যেতে হয় হলুদ আনতে।

Tuesday, December 29, 2015

I miss them..I miss my childhood...


আতিক ভাইয়ের স্কুল পালানোর পোষ্ট পড়ে স্কুল পালাতে না পারার দুঃখটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো । আমার সবসময়ই ইচ্ছা করতো একটা দিন স্কুল পালিয়ে কলোনীর কোথাও ঘুরে বেড়াই । অথচ আমার দূর্ভাগ্যটাই খারাপ ছিল । আমার আব্বু আমার স্কুল টিচার ছিলেন frown emoticon

সব স্যার ম্যাডাম,দেলোয়ার ভাই তাহের ভাই,সব স্টুডেন্ট এবং কলোনীর বাকি সবাই আমাকে চিনতো squint emoticon

এই খ্যাতির(!!) বিরম্বনার কারনে পালানোর সুযোগ কোনকালেই হয়নাই colonthree emoticon

পরীক্ষার ফল বের হয়েছে


পরীক্ষার ফল বের হয়েছে। আমার বেটি এখন বাক বাকুম পায়রা। ডিসেম্বর মাস মানে ঘুরে বেড়ানো। আমার বেটি একটু বেশি বেড়ায়। প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় সে নির্ঘাত খারাপ করবে। দোষ হবে আমার। যেন পরীক্ষা আমি দিয়েছি। আমি দিলে কি হতো সেটা একমাত্র আল্লাহ পাক জানে। ২য় সাময়িক পরীক্ষায় রেজাল্ট বেশ ভালো হয়। এবার বেটির মা আসবেন রেজাল্ট হাতে নিয়ে। ভালো হয়েছে তবে আমি খুশি না। 

এই দেখো তোমার বেটির Report Cardআরে সারাফের মা, আমার বেটি অনেক ভালো নাম্বার পেয়েছে। এত নাম্বারতো আমার স্কুল জিবনের সব নাম্বার যোগ করলেও হবেনা। এভাবে বললে মেয়ে মানুষ করতে পারবেনা। আরে ভাই ছোট বাচ্চা, সারা জীবন পরে আছে, তুমি শুধু মেয়েটার বেসিকটা তৈরি করো। এক সময় সব ঠিক হয়ে যাবে।

ঢাকা মিটিং


Csm কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা আড্ডায় যেতে সব সময় ভালো লাগে । আড্ডা শেষ করে ফিরতে রাত হয়ে যায়, অবশ্য আমি তো দৈত্য (Datta) রেই ভয় পাইনা আর একটু রাত হলেইবা কি যায় আসে? যাই হোক এইবার আড্ডা নিয়ে আতিক ভাই ছাড়া আর কেউ লিখলো না। এইবার আড্ডায় Samee (ভাই) দেখলাম কিন্তু বৌ দেখলাম না । বৌ না থাকলেও Kazi কিন্তু হাজির ছিল। Ripon ভাই কে দেখলাম Kamar দোলাতে দোলাতে আসলো। 

শুরুতেই কোন একটা কারনে Reza ভাই আমাদের উপর একটু চড়াও হয়ে হয়ে ব্যাট করছিলেন, Abdullah ভাই না থাকলে আমাদের যে কি হতো ? উনি সব সময় আমাদের বাচিয়ে দেন, সব সময় স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে Hasan. রেজা ভাই আপনি সবাই রে খুশি করতে পারবেন না এইটা সুন্দরি আনোয়ারা ও পারেন নাই আপনিও পারবেন না বলে যে ডায়লোগ টা ছেড়ে আমাদের বাচিয়ে দিলেন কিন্তু সুন্দরি আনোয়ারা তা কে বললেন না grin emoticon সব চেয়ে বেশি মজা পাচ্ছিলাম অবশ্য Rakib ভাইয়ার ছবি তুলতে গিয়ে, একটু বিব্রত হচ্ছিলাম আমার আই ফোন কাভার করতে পারছিল না tongue emoticon @রফিক ভাইয়ার সাথে ছবি তুলতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু আড্ডা জমে উঠায় সেই দিকে আর যেতেই পারিনি। Shormi এসে স্বরনিকার কাজ ধরিয়ে দিলো, টলি ভাই রে অনেক মিস করলাম জিরো ফিগার এর ভাইজান কি Khan খুব দেখতে ইচ্ছে করে ? grin emoticon 

আমরা আজো জানতে পারিনি কোরবানের বাবা কেনো তাকে এভাবে ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে রেখেছিলো


গতকাল আমার বন্ধু আনোয়ারুল হক আমাদের ক্লাসের কোরবান আলী কে নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলো, আসলেই একটা মজার মানুষ ছিলো কোরবান আলী পাশাপাশি সে ছিলো একটা মিষ্টিরিয়াস চরিত্র শুধু সে নয় তার পুরো পরিবার টাই ছিলো বোধ হয় মিষ্টিরিয়াস।

ক্লাস ফাইভ বা সিক্স পর্য্যন্ত আমাদের সাথে পড়াশোনা করেছে কোরবান, তারপর আর তাকে স্কুলের গন্ডিতে দেখিনি সম্ভবত পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলো।

সেই সময় প্রতিবেশীদের মধ্যে যে হৃদ্যতা, আন্তরিকতা ছিল এখন তা আত্বীয়দের মাঝেও দেখা যায়না


আমরা যখন C-2-B তে থাকি আমাদের উপর তলায় থাকত মুন্নি, লিন্ডা আপারা। চাচার নাম ভুলে গেছি। চাচা আমাকে আদর করে ডাকতেন আ.......য়.......না......ল হক। তখন হাতে গোনা যে কয়টা সাদা কাল টিভি ছিল তার একটা ছিল উনাদের বাসায়।আমরা এ সপ্তাহের নাটক দেখার জন্য সুযোগ পেতাম। আমাদের আসন হত টিভির সামনে ফ্লরে আর বড়রা পিছনে সোফায়। বাবুরাও আসত। কোন একদিন বাচ্চাদের মধ্যে কে যেন নাটক দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেছিল আর পেশাব করে দিছিল। হা হা হা।

উনারা কখনও বেড়াতে গেলে আমাকে আর কাজের ছেলেটাকে বাসায় পাহাড়ার জন্য রেখে যেতেন।

লিন্ডা আপা ছিল মুক্তির সখি। মুক্তি কতদিন উনাদের বাসায় খেয়ে আসত আর আম্মার বকা খাইত! মুন্নি আপা শরিফার আপার কাছে একবার আংক দৌড় প্রতিযোগিতার জন্য ট্রেনিং নিতে আসছিলেন। ঘটনাটা আমার চোখে ভাসে।

সি এস এম কলোনির বড় ভাইদে দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটা প্রস্তাব করতে চাই


সি এস এম কলোনির বড় ভাইদে দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটা প্রস্তাব করতে চাই।

আমাদের অনুষ্ঠানে যদি কিছু মানুষ কে সম্মাননা করা যায়,তবে কেমন হবে? যারা আমাদের সি এস এম কলোনিতে বিভিন্ন সেবা মুলুক কাজের মাধ্যমে আমাদের মাঝে আজও পরিচিত। আমি কিছু মানুষ এর নাম উল্লেখ করছি।

১.বাদল (কলোনিতে পেপার বিলি করতো)।
২.নাম মনে নেয় (জেক্স এর পাশে জুতা শেলাই করত)।
৩.বাচ্চু (টাংকির নিচে ২/১ টাকা সাহায্যের জন্য বসে থাকত)।
৪.আব্দুর লতিফ (ওয়ারকার ক্লাব এর কেয়ারটেকার দায়িত্ব ছিল)। 

আর অনেকের নাম আসা করি আসবে।


আমার প্রস্তাব টি বিবেচনা করার জন্ন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

Monday, December 28, 2015

কোরবান আলী

- Anawarul Hoque

কোরবান আলী। বয়সে আমাদের বড়। অনেকটা আদু ভাই। আমরা পাইছি class six এ।

কখনও কোন ক্লাসে কোন স্যার না আসলে অন্য স্যার এসে পড়ালেখার চেয়ে গল্প করতেন বেশী। এসব ক্ষেত্রে বদরুল ছিল আমাদের প্রথম পছন্দ। ১৯৮৫ (class 5) সালে উরির চরে ঘুর্নি ঝড়ের পর থেকে বদরুল আমাদের এসব ক্লাসে একটা গান প্রায়ই শুনাত। " ভাসেরে ভাই মানুষ ভাসে......"। কথাগুলো ঠীক মনে নাই।

class six এ এমন একদিন আবিনাশ স্যার আসলেন। সময় কাটানো যায় কি ভাবে। সবাই বলে উঠল বদরুলের গান হয়ে যাক। বদরুল মনে হয়ে তৈরী হয়েই ছিল। শুনলাম " ভাসেরে ভাই ...."। সময় তো শেষ হয়নি। এবার? স্যার কোরবানের নাচ। কোরবান তো শরমে গরম। সবাই অনুরোধ করে, স্যারও বলেন আরে একটু....। শেষ পর্যন্ত কোরবান সামনে এসে হাত পা ছড়িয়ে এমন পোজ দিল, সবাই এক সাথে হো হো করে উঠল। আর ঘন্টাও বেজে গেল।


অনেক সময় জহিরের নিজের বানান গল্পও শুনতে হত ....

ভাবতে ভাল লাগে অন্তত দুয়েক জন আমার লেখার জন্য অপেক্ষা করে


ভাবতে ভাল লাগে অন্তত দুয়েক জন আমার লেখার জন্য অপেক্ষা করে। আমরা কলোনী ছেড়ে হালিশহরে নিজেদের বাড়ী চলে আসি ১৯৮৭। তখন আমি ক্লাস 7 এ। মাসটা ছিল সেপ্টেম্বর। অনেকটা সময়। অনেক ছোট খাট ঘটনা মনে আছে আবার অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে।

সালটা ঠীক মনে নাই। তখন সবেমাত্র internal টেলিফোন গুলো দেওয়া হইছে। তারিকের সাথে নম্বর বিনিময় হল। বললাম দুপুরে ফোন করিস তখন ড্রইং রুমে কেউ থাকেনা। ঐ দিনই তারিক দুপুরে ফোন করল। তারেকের কোন কথারই ঠীক মত জবাব দিতে পারছিলাম না। হু হা করে যাচ্ছিলাম। বেচারা বেশী আগাতে না পেরে রেখই দিল। পরে বিকালে দেখা হলে তারিক জিজ্ঞাস করল, কিরে ফোন দিলাম ঠীক মত কথাই বললেন না....। আমি বললাম আরে অন্য সময় দুপুরে ড্রইং রুমে কেউ থাকেনা, আজকে বড় ভাই বোন, আম্মা ঔ সময় ড্রইং রুমে হাজির। ওদের সামনে আমাদের আলাপ চলে?

Sunday, December 27, 2015

গ্রান্ড আড্ডায় একটা মানুষকে অবশ্যই অনেক মিস করবো


গ্রান্ড আড্ডায় একটা মানুষকে অবশ্যই অনেক মিস করবো । তিনি হলেন শ্রদ্ধেয় হামিদ স্যার । স্যারের সাথে ছোটবেলায় অনেক রাগ করতাম tongue emoticon

বয়সের তুলনায় আমার হাইট বরাবরই বেশি ছিল । তাই প্রাইমারীতে থাকতে কখনোই আমি স্পোর্টসে অংশগ্রহন করতে পারতাম না । প্রাইমারীর স্টুডেন্টদের জন্য যে হাইট সিলেক্টেড ছিল আমি তারচেও ইন্চিখানেক লম্বা ছিলাম । আমি তো কান্নাকাটি করতাম খেলা দিবো আমার ক্লাশমেটদের সাথে কিন্তু হামিদ স্যার কোনভাবেই আমাকে নিবেন না । উনি আমাকে ধরে নিয়ে হাই স্কুলের মেয়েদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিতেন । আমি রাগে দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে আব্বুর কাছে যেতাম tongue emoticon

চুরি


আমি বড় হয়েছি চট্টগ্রামের স্টিল মিল কলোনিতে। বড় হয়েছি বললে অবশ্য সৌম্য ( আমার বোনের ছেলে) আপত্তি করে।সৌম্যর ধারনা আমার এখনো বড় হতে অনেক বাকি,বুদ্ধি সুদ্ধি ও তেমন একটা হয়ে উঠে নাই। আমাকে দেখলে এখনো অনেকে স্কুলের স্টুডেন্ট ভাবে। এই জন্য অবশ্য অনেক সুবিধা পেয়ে আসছি। ছোট আর বোকা বোকা চেহারার কারনে অনেক সময় অপরাধ করেও শাস্তি পেতে হয় নাই।আমি এই রকম থাকতেই চাই। বড় হবো না বুড়ো ও হবো না। কিন্তু বুড়ো হতে না চাইলেও চুল গুলো যে স্টকে আর থাকতে চাইছে না।

কে যেনো চুল গুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। টাক মাথা নিয়ে অনেক চিন্তায় আছি, মনে হয় পাপের ফল ভোগ করছি। সারা জীবন তো কম চুরি করলাম না এইবার আমার গচ্ছা দেবার সময় এসেছে ।আমি স্টিল মিল কলোনিতে যেখানে থাকতাম সেখানে অনেক সুন্দর ২/৩ জন মেয়ে ছিল , আমি ভাবতাম এদের কারো সাথে হয়তো আমার বিয়ে হবে। বাংলা ফিল্মের মতো আমার জন্য এরা ঝগড়া করবে একজন কষ্ট পেয়ে দূরে চলে যাবে আর অন্য জন কে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবো, কিন্তু হলো ঠিক উল্টো এরা দুই জন দুই ছেলে কে বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে আমি এদের বাচ্চাদের মামা হয়েই চলেছি। আমি আমার হার্ট এর দরজা সব সময়ই খুলে রেখেছি কেউ আমার মন চুরি করলো না frown emoticon .

স্কুল পালানো টা ছিলো আমার কাছে ক্লাস করার মত একটা নিয়মিত রুটিন


প্রতিদিন তিনটি পিরিয়ড পরে স্কুল পালানোর কথা আমি অনেকবার লিখেছি। স্কুলে গিয়ে স্কুল না পালালে মনে হতো বিরাট কি যেনো মিস করে ফেলেছি। স্কুল পালানো টা ছিলো আমার কাছে ক্লাস করার মত একটা নিয়মিত রুটিন। এবং অবশ্যই তা প্রথম তিনটি পিরিয়ড পর।

ক্রিকেট খেলায় অভিষেক ম্যাচে যেমন কেউ সেঞ্চুরি করে আবার কেউ গোল্লা মারে। তেমনি আমার অভিষেক অর্থাৎ প্রথম স্কুল পালানোর দিনই আমি গোল্লা মেরেছিলাম। সে ক্ষেত্রে বোলার ছিলেন আমাদের মাহফুজ স্যার। তখন ক্লাস সেভেনে উঠেছি, বই পত্র সব ডেস্কে রেখে দু তিন জন এক সাথে পিছনের টিনের বেড়া টপকে স্কুল থেকে বের হয়ে গেলাম। 

Saturday, December 26, 2015

কিছুদিন ধরে কিছু ফিসফিস, কানাকানি, হুড়োহুড়ি দেখা যাচ্ছে


পৃথিবীতে সাতশ কোটি মানুষের বাস। জাতি, ধর্ম, বর্ন, চেহারা, জাতীয়তা, পরিবার, ব্যাক্তি, স্বভাব ভেদে প্রতিটা মানুষ আলাদা। পৃথিবীর এক প্রান্তে যে সাধু মানুষকে আলো দেখাচ্ছে দেখা যাবে আরেক প্রান্তে একই চেহারার ব্যাক্তি মানুষ জবাই করে এসে বোরহানী দিয়ে হাজির বিরিয়ানী খাচ্ছে। চরম বৈপরীত্য মানুষের মাঝে থাকেই। কিন্তু যখন একদল মানুষ একই পরিবেশে, একই পরিবার কাঠামোর মধ্যে আর একই শিক্ষা ব্যবস্থায় বেড়ে উঠে তখন খুব সহজেই বলা যায় তাদের মৌলিক মানসিক কাঠামো একরকম হবে। আমি খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি স্টিলমিল কলোনির প্রতিটা মানুষ খুব কাছাকাছি মানসিকতায় তৈরি। উদাহরন দেই- আমরা তখন কলোনিতে ঢুকেছি মাত্র। 

অনেক বছর পর বেবি/বুলু আপাকে দেখলাম


অনেক বছর পর বেবি/বুলু আপাকে দেখলাম। সাথে ছোট বোন শিখাকেও। সাভাবিক ভাবেই ছবি post করার লোভ সামলাতে পারলাম না।

csm এ থাকা অবস্থায় এত বড় সাহস আমার হতো না।

তবে এই পরিবারের কাছাকাছি ছিলাম। মিন্টু মামা ছিলো তাস খেলার বন্ধু। ডানপিটা মানিকও অনেক সময় খেলাধুলা নিয়ে আমাদের কাছাকাছি থাকছে।

শেলি আপাকে নিয়ে আমার একটা ঘটনা মনে পড়ল এখন


জসিম ভাইয়ের বোন শেলি আপার কথা আসলে দেখি, কমু ভাই,নাজিম মন খারাপ করা কথা বলে।অবশ্য এরকম পরিস্থিতিতে মন খারাপ হবার কথা।তবে শেলি আপাকে নিয়ে আমার একটা ঘটনা মনে পড়ল এখন।

তখন ক্লাস এইটে পড়ি।একটা ইংরেজি কবিতা ছিল। Six blind man & an elephant. কবির নামটা একটু শ্রুতিকটু। তাই বললাম না।একদিন শেলি আপা আসলেন ইংরেজি ক্লাস নিতে।ওইদিন উনি এসেছিলেন অনুপস্থিত টিচারের ক্লাস নিতে।তিনি আসার পর কবিতা টি দেয়া হল পড়া হিসেবে।আপা আমাকে দাড় করালেন পড়ার জন্য।

Wednesday, December 23, 2015

সবাই গ্রান্ড আড্ডায় নিজের এবং পরিবারের অংশগ্রহন নিশ্চিত করেছেনতো?

- Mahabub Rasel

আমার যদি ভুল না হয়, খুব সম্ভবত Zahed Siddique সাজু ভাই।

এই জন্য আমরা তাকে ধন্যবাদ দিতেই পারি, এবং নামকরনের জন্য গ্রান্ড আড্ডার দিন একটা শুভেচ্ছা গিফট বরাদ্দ রাখতেই পারি।

লেডিস & জেন্টেল CSM,
গ্রান্ড আড্ডায় অংশগ্রহন নিশ্চিত করার জন্য সময় কিন্তু আর বেশী নেই, মাত্র ৯ দিন (শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫)

সবাই গ্রান্ড আড্ডায় নিজের এবং পরিবারের অংশগ্রহন নিশ্চিত করেছেনতো?

গ্রান্ড আড্ডা ২০১৬


সবারই প্রস্তাব ছিলো একটা রিউনিয়নের, প্রস্তাব থেকে পরিকল্পনা হল, পরিকল্পনা বাস্তবেও রুপ নিলো। দেখতে দেখতে জানুয়ারী ২০১৬ দোর-গোড়ায়।

এত বছর পর, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব CSM একত্রিত করে, একটা রিউনিয়ন করা সহজ কাজ ছিলো না মোটেই।

আমাদের ইচ্ছা এবং বড় ভাইদের পরিশ্রমের কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে।

এই জন্য যে সকল CSM এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করছেন তাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর বড়ভাইদের আরো বেশী শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা, কারন এত ব্যাস্ততার মাঝেও তারা এই আয়োজনকে সফল করতে চলেছেন।
তবে আমি যা বলতে চাচ্ছি, তা হল,

সবারই ইচ্ছা ছিলো একটা রিউনিয়ন করার, কিন্তু একজন এই গতানুগতিক রিউনিয়ন নামটাকে বাদ দিয়ে একটা সুন্দর নাম প্রস্তাব করেছিলেন, আমরাও সবাই তাতে একমত হয়েছি

কোথায় যাবো বুঝতে পারছিনা


কোথায় যাবো বুঝতে পারছিনা। দেশের বাহিরে গেলে কেমন হয়? তাতেই কি সমস্যার সমাধান হবে? আসলে সমস্যাটা কি? মাথাটা ঘোলা হয়ে যাচ্ছে। মোল্লা তুই কই? আমার কত সমস্যা তুই দুই আংগুলের তুরিতেই সমাধান করে দিয়েছিস। না এখন মোল্লার কাছে যাওয়া যাবেনা। হয়তো আবার আন্তরিকতার সাথে আদর আপ্যায়ন সাথে সাথে দুই দিন পর ----বারি।

এই CSM পেজটাতে গুনাবলির অভাব নাই।ছোট/ছোট ভাই ও বোনেরা অনেক Quality নিয়ে নিজ নিজ জায়গা উজ্জল করে আছে। একটা Platform এ সবাই যদি থাকতে পারে, সবাই যদি সবার সাথে ভালো/মন্দটা শেয়ার করতে পারে, আখেরি সবার লাভ।

তবুও এরা ষ্টিলার


ষ্টীলার দের পরের জেনারেশন কখনো ষ্টীলমিলের হুইসাল শুনতে পায়নি কখনো হক স্যার এর বেধরক মাইর সহ্য করতে হবে না, কখনো পুকুরপারে বসে আড্ডা মারতে পারবেনা , কখনো অবিনাশ স্যারের ভয়ে কাপতে হবে না । পানির ট্যাঙ্কির নিচে অনেক ষ্টিলারের হারিয়ে যাওয়া গল্প হয়তো এরা কখনো খুজতে যাবেনা। তবুও এরা ষ্টিলার , আমাদের মতো এদেরও অদৃশ্য বাধনে জড়ানোর প্রবনতা আছে। 

কিছু দিন আগে ৯৯ ব্যাচের সালাউদ্দিন এর কাছে শুনেছি তার ফ্রেন্ড আসিফের বাবু সাল্লু রে দেখে ঝাপিয়ে পরে। এই পিচ্চি ষ্টিলার কখনো অন্য কাউরে দেখলে এই রকম আচরন করে না , হয়তো বাবুটা ষ্টিলার এর গন্ধ পেয়েছিল । আমার ভাইয়ার ছোট ছেলের নাম ওয়াসিক কাল তাঞ্জিনা বলল পিচ্চি ষ্টিলার এর নাম ওয়াসি। মিতু ভাই জানালো শেলি ভাইয়ার বাবুর নাম ওয়াসিফ, মিল এইখানেই শেষ হয়েছে মনে করলে ভুল করবেন । 

বড়ই চুরি



((বড়ই চুরি))একবার বড়ই চুরির পায়তারা করছিলাম।।মিশন ছিদ্দিক কাকার গাছ।।ছিদ্দিক কাকা মানে রাজু এবং সাজু ভাইয়ার বাবা।।(কাকাকে আল্লাহ্ জান্নাত দান করুক)ওনাদের বাসা ছিল E-টাইফে।।বাগানটা ছিল টিন দিয়ে গেড়া।।বাহির থেকে পাড়ার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু লাভ হচ্ছিল না।।বড়ই সব ঘেরাও করা টিনের ভেতর পড়ছিল।।সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ভেতরে যেতে হবে।।না হয় মিশন সম্পূর্ণ হবে না।।

ঢোকার দায়িত্ব পরলো আমার উপর।।যাক্ আল্লাহ্-র উপর ভরসা করে টিন নিচ দিয়ে ফাঁক করে ভিতরে ঢুকলাম।।বড়ই গুলো নিয়ে যেই বের হবো ঠিক ঐ মুহূর্তে আগ থেকে উত্ পেতে থাকা শত্রুরা মানে রাজু-সাজু ভাই এবং আন্টি তিনজন দৌড়ে এসে আমাকে ধরে ফেললো এবং আমার অবস্থা দেখে বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে গেল।।তখন শত্রুদের একজন বলছে গাছের সাথে বেধে রাক্,,একজন বলছে এরে সব গুলি বড়ই বসিয়ে খাওয়া।।

Tuesday, December 22, 2015

ছোট্ট এই জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি


ছোট্ট এই জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। কঠিন এবং নির্মম একটা সিদ্ধান্ত নিতে হলো আজ। কতোটা কষ্টে এতোবড় সিদ্ধান্ত নিলাম,তা কেউ বুঝবে না।বুঝাতে চাইও না। আল্লাহ্‌র দেয়া সামান্য ক্ষমতার চেয়েও এক ইঞ্চি এগিয়ে মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি আজীবন। আমার একটা ফোনে কারো সামান্য উপকার হলে তার জন্য নিজের মর্যাদাহানি হবার সম্ভাবনা থাকলেও তা করতে দ্বিধা করিনি। ছোট বেলা থেকে মামার জোর না থাকা আমি আমার সাধ্যমত অপরের মামা হবার চেষ্টা করেছি। আল্লাহ্‌ আমাকে যে সাইজের মন দিছে,সেই সাইজের ক্ষমতা না দিলেও যতটুকু ক্ষমতা দিয়েছেন,তার সবটুকু উজাড় করেছি অন্যের উপকারে। 

অপরিচিত অনেকের সন্তানদের ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দিতে চেয়েছে অনেকে।হেসে বলেছি, আমার বাবা এই শিক্ষা দেয়নি।ষ্টীলমিল যখন বন্ধ ছিলো,আন্দোলন হচ্ছিলো মিল খোলার দাবিতে,আমার বাপ তখনো অফিস টাইমের পুরাটা অফিসে থাকতো। একদিন সজীব ভাইয়া আব্বাকে জিজ্ঞেস করেছিলো,"মিল তো বন্ধ।আপনি মিলে যেয়ে কি করেন?" আব্বার উত্তর ছিলো," মিল বন্ধ হলেও এই ছয়/সাত মাসের বেতন আমাকে দেওয়া হবে।আমার হাজির থাকার কথা,আমি হাজির থাকি।" বাপের সেই কথা আমি আমার কর্মজীবনে মনে রেখে কাজ করি।বেতন হালাল করি। 

Monday, December 21, 2015

পিকনিকের সিজন এসে পড়েছে


পিকনিকের সিজন এসে পড়েছে,আর কলোনিতে পিকনিক মানেই ক্যাসেটে উচ্চ স্বরে গান আর সাথে নাচ, নাচ বলতে আন্দাজে হাত পা ছোড়া ছুড়ি, যাকে বলে উদ্দাম নৃত্য, যার আগা মাথা বলতে কিছুই নেই। আর বেশিরভাগ গানই ছিলো গুরু আজম খানের। শুধু কলোনির ভিতর নয়, কলোনি থেকে দূরে কোথাও গেলেও চলতি পথে বাসের মধ্যেও এই নৃত্য চলত। জুনিয়র সিনিয়র সম্মিলিত নৃত্য চলত সি টাইপ মাঠের ৩১ ডিসেম্বর রাতের পিকনিকে, ওখানে বড়রা ছোটরা এমন ভাবে নাচত কার পা কার মাথায় বারি খাচ্ছে সে হুশ থাক্তোনা কারো। এই নাচের আসরে আপাতদৃষ্টি তে গুরুগম্ভীর অপু ভাই, Mainuddin Ahmed Siddique Titu ভাইকেও নাচিয়ে ছেড়েছি, আর এই নাচের ময়দানে মোর্শেদ ভাই ভিন্ন প্রকৃতির এক নাচের প্রচলন করেন, যেটা উনি ছাড়া আর কেউ পারতোনা।

অবশেষে বাসায় আসলাম


অবশেষে বাসায় আসলাম। চিটাগাং ঘুরে এলাম। ১৯৯৯ এর পর এই প্রথম যাওয়া। সবার আতিথিয়তা দেখে মুগ্ধ। কিভাবে ঋন শোধ করবো জানিনা। বাবুর বাসার খাবারে স্বাদ ভুলতে পারছিনা। সুজনের রান্না ছিল সেরকম।গরুর মাংস,মাছভাজা আর ডালক্ষিদে পেটে হুমহাম করে খেয়েছি। গেলাম বাবুর বাসায় সেখানে আমার জন্য চমক ছিল মধুভাত। জিবনের প্রথম খেলাম, দুইবার নিয়ে। এইটার credit Iftee Nomiওর মুখেই শোনা। 

খাবার টেবিল ভরা খাবার। বাবুর বউ ডলি, বোন তোমাকে কি বলে ধন্যবাদ দেব জানিনা। তোমার রান্না শুটকি ছিল অসাধারন।আমি খুব দ্রুত ডলিকে নাজমুল ভাইয়ের মাকে ফোন করবো রান্নাটা শিখতে।আর জসিম ভাই আজ খুব জোর করছিলেন দুপুরে খাওয়াবেন। খুব শ্রদ্ধা নিয়ে রিফিউজ করলাম।কারন সমরস্বল্পতা। কাল খেলাম সেন্ট মারটিন হোটেলে। গেলাম স্টিল মিল। আমার ইচ্ছার কথা মুখ দিয়ে বের করতে সময় লেগেছে,আমাকে নিয়ে যাওয়াতে দেরি করেনি। চা পরটাও খেলাম। নাজমুল ভাইদের বাসায় ছিল বিশাল যজ্ঞ। টেবিল ভরা খাবার।

জীবন খাতার প্রতিটা পাতায় এত হিসাব নিকাস করা যায়না


জীবন খাতার প্রতিটা পাতায় এত হিসাব নিকাস করা যায়না। এত হিসাব নিকাস বুঝিনা। অনেক মানুষ এর কোলাহলে বেচে থাকতে ইচ্ছে করে। কি পেলাম আর কি পেলাম না, তা কখনো ভাবতে ইচ্ছে করেনা। অনেক বড় ধাক্কা খেয়েছি ব্যাবসা নিয়ে। ৩টা বছর একদম শুন্য ছিলাম। এখন কিছুটা গুছিয়ে নিয়েছি। তবে কোন রকম। আমি সহানুভুতির জন্য কথা গুলি বলছিনা। মাঝে মাঝে মনটা খারাপ হয়ে যায়। আমি কি কোন ভুল করছি

আমার পরিবার কিছুটা বিরক্ত। আমার জগত আমার পরিবারের কাছে উন্মুক্ত। তারা সব কিছুই দেখে এবং জানে। সারাফের মা মাঝে মাঝেই বলে, তুমি সমস্যায় পরবে। আমি আমার confidence এর কথা বলি। এত আপনজন কোথায় পাবো বলো? আজ ছোট বোনটা যখন কেদে কেদে জিজ্ঞসা করে তার অপরাধটা কি? আমি উত্তর দিতে পারিনা।

Sunday, December 20, 2015

পরের দিন ছিল ফ্রি ডে



পরের দিন ছিল ফ্রি ডে। কোনো কাজ নেই ঘুরাঘুরি ছাড়া। সকালে নাশতা খেয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করলাম।এর মাঝেই নাজমুল ভাইয়ের ফোন। আমরা দুপুরে একসাথে খাব। কোথায়? সেন্টমারটিন এ। আমি জানি চার পাচ জনের কথা,কিন্তু গিয়ে দেখি রবাহুত হয়ে আরো কয়েকজন এসেছেন। আমার সাথে আসা ছেলেমেগুলা পতেংগা যাবে কাজেই ওখানে যাবার পথে স্টিল মিলে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম। 

সবাই মিলে তিন গাড়ি ভরে গেলাম। কি যে পরিবরতন!!! আমার চোখে ভাসছিল সেই ৯০ এর চিত্র। আমরা কলেজ বাসে করে যে রাস্তা ধরে যেতাম সেই রাস্তায় গাড়ি যাচ্ছিল।একটুও চিনতে পারছিলাম না। সব পাল্টে গেছে। ঢাকা ঢাকা ভাব এসে গেছে একটা। অনেক ফাস্টফুড এর দোকান,অনেক শপিংমলের উপস্থিতি ভাল লাগছিল না। গাড়ি একসময় কাস্টম হাউজের সামনে দিয়ে গিয়ে ব্রীজটায় উঠলো। আগে কলেজ বাসে যেতে যেতে খুব মন চাইতো এই ব্রীজটার রেলিং ধরে দাড়িয়ে ছবি তুলব।আমার চোখ খুজছিল সেই পুরানো সময়,পুরানো চেহারা। লিটনকে গাড়ি থামাতে বলাতে ও থামালো কিন্তু নেমে ছবি তোলার আগ্রহ হারালাম। এত ভীড়। 

Saturday, December 19, 2015

কিছুটা অভিমান নিয়েই বলতে চাই


"কিছুটা অভিমান নিয়েই বলতে চাই, ভাই কেন তুমি এতদিন দূরে ছিলে,আমি যে তোমার অপেক্ষাই ছিলাম। অবশেষে এসেছ এই ছোট ভাই টির কাছে। বুকের মাঝে জড়িয়ে ধোরে করলে আমায় আদর।"

সবাই ভাবছেন এটা আবার কি কথা। আসলে এতটা খুশি আর আবেগী হয়ে গেছি আজ, তাই না লিখে থাকতে পারলাম না। যাকে নিয়ে আজ আমার এই লেখা আশা করি তিনি বুঝতে পারবেন।অন্ন্যদের কথা বলতে পারি না। সে সাথে বলতে চাই ভাইয়া এই কথা গুলো মিথ্যা মনে করবেন না। এ কথাগুলো আমার না, মারা যাবার আগে এই কথা গুলো আমার বাবা আমাকে বলে গিয়েছিল। যা আজ সরথি হল। আপনার সামনে বলতে পারিনি বলে, এখানে লিখলাম।যদি ভুল করে থাকি, ছোট ভাই আশা করি ক্ষমা করবেন। বাবার ২য় স্ট্রক হবার কিছু দিন পর একদিন আমার সাথে বাজারে যাবে বলে কলোনীর ভেতর ঘুরতে যায়। হাটতে হাটতে বলতে থাকে কিছু কথা। বাবা বলতে শুরু করে,তোদের জীবন টা এমন হবে আমি ভাবিনি। তোদের জম্মটা এমন জায়গাতে হয়েছিল,যেখানে কিছু বাবা মা ছাড়া তেমন কেও তাদের সন্তান নিয়ে চিন্তা করতো না। 

শীতকালে বৃষ্টির কাহিনী লিখতে যাচ্ছি


শীতকালে বৃষ্টির কাহিনী লিখতে যাচ্ছি, আসলে আর লেখা আসছেনা, বুঝতে পারছি যা লিখছি তাও অখাদ্য হয়ে যাচ্ছে পাবলিক আর খাচ্ছেনা এ জন্য বোধ হয় সাড়াও কম পাচ্ছি। এদিকে আবার চশমাটাও হারিয়ে ফেলেছি গতকাল রাতে, কাজ করছি এক কলিগের চশমা দিয়ে, ভাগ্য ভালো উনি ছুটিতে আছেন আর উনার চশমা টা অফিসে রেখে গিয়েছেন।
বৃষ্টির দিন এলেই আমাদের মনটা কেমন জানি আনচান করে উঠত, সব কাজ কর্ম ,স্কুল কলেজ বাদ দিয়ে পাইন্যা ফুটবল খেলার জন্য বল নিয়ে সবাই মাঠে হাজির হতাম। 

১৭ তারিখ রাত প্রায় সাড়ে বারটায় চিটাগাং নামলাম


১৭ তারিখ রাত প্রায় সাড়ে বারটায় চিটাগাং নামলাম। আমি আর আমার সাথে আসা সাত জন প্রতিযোগী আর রেজা ভাই। বাসের শেষ স্টপেজ ছিল স্টেশন রোড। আমাদের নিতে আসলো সুজন আর জাভেদ। হোটেলে চেকইন করে ফ্রেশ হয়ে ঘুমালাম।বুঝিনি যে পরের দিনটায় আমার সিএসেমের ভাইয়েরা বিশাল আয়োজন করে রেখেছেন। সকালে প্রথম গেলাম ফিরোজ শাহ কলোনি এক আপার সাথে দেখা করতে। সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এর মাঝেই বের হলাম। জাভেদ থাকায় আমার খুব ভাল হল। ওকে আটকে রেখে দিলাম। 

ওখান থেকে ফিরে গেলাম আমাদের ডিবেট যেখানে হচ্ছে সেখানে। এরপর জাভেদ চলে গেল। আমি কিছুক্ষন ভেনুতে থেকে গেলাম সুজনের বাড়ি। চাচি বাসায় নেই,সুজন আমাদের জন্য বিশাল আয়োজন করে রেখেছিল। মাছ ভাজা,গরুর মাংস আর ডাল। মজা করে খেয়ে গেলাম বড়পুল এমএফসিতে,আমাদের মিটিং। 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss