Monday, August 1, 2016

খুব একটা বেশিদিন আগের কথা নয়

- Atiq CSM

খুব একটা বেশিদিন আগের কথা নয়। হয়ত বিশ বাইশ বছর আগের হবে। ‘ঈদ মোবারক’ বা এই টাইপের বিভিন্ন স্টাইলিশ কাগজে লেখা রঙিন কার্ডে এরকম মিষ্টিমধুর ভাষায় বা ভালোবাসার উপমায় নানা ছড়া-ছন্দ কেটে ইংরেজী বা বাংলায় ঈদ শুভেচ্ছা পাশাপাশি প্রেমিক প্রেমিকার ভালোবাসা বিনিময়ের প্রচলন ছিল। বিশেষ করে রমজানের শুরু থেকেই বড় মার্কেট থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা আর গ্রাম-গঞ্জের দোকানগুলো রঙিন হয়ে উঠতো বর্ণিল ডিজাইনের ঈদকার্ড আর ভিউ কার্ডে (নায়ক-নায়িকাদের ছবিও থাকতো)।

শুধু মার্কেট বা পাড়ার দোকানগুলোতেই নয়, পাড়ার ছেলেরা শামিয়ানা টাঙিয়ে তার নিচে টেবিল সাজিয়ে বসতো ঈদকার্ড বিক্রির জন্য।সাথে বাজতো উচ্চস্বেরে হিন্দি গান। কার্ডগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনে সেগুলো মোড়ানো থাকতো স্বচ্ছ পলিথিনে। তরুণ-তরুণীরা সাজানো কার্ডগুলোর মধ্য থেকে পছন্দমতো কিনতো প্রিয়জন বা বন্ধু-বান্ধবীর জন্য।

পাড়া-মহল্লার এসব দোকান শুধু বিক্রয় কেন্দ্রই নয়, ছিলো এলাকার তরুণদের আড্ডার জায়গাও। তাই বেশ কয়েকটা চেয়ার পাতা থাকতো সেসব অস্থায়ী দোকানের সামনে। কার্ড ক্রেতা ছাড়াও সেখানে আড্ডা জমতো পাড়ার ছেলেদের। ঈদের বেশ আগেই যেন আনন্দ লেগে থাকতো সবার চোখে-মুখে।

কে কাকে কী লিখে ঈদকার্ড দিচ্ছে এ নিয়ে চলতো নানা কৌতূহল। প্রিয়জনের কাছ থেকে বিশেষ কার্ডটি পাওয়ার বা দেওয়ার আশায় দিন গুনতো অনেকেই। অবশেষে কোনো এক কাঙ্ক্ষিত দিনে প্রিয়জনের কাছ থেকে সেই কার্ড পাওয়ার অথবা দেওয়ার পর ঈদ আনন্দ যেন বেড়ে যেত বহুগুণে!

কিন্তু একসময় ঈদকার্ডের সেই জায়গা দখল করলো মোবাইল ফোনের এসএমএস। শুভেচ্ছা বার্তা লিখে পাঠিয়ে দেওয়া হতো কাঙ্ক্ষিত মানুষের নম্বরে। উত্তরে আসতো পাল্টা শুভেচ্ছা বার্তা। সে ধারা কিছুট িহলেও চলছে এখনো।
আর এখন তো স্মার্ট ফোনের যুগ, আর প্রায় সবারই রয়েছে অন্তত একটি করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। টুইটার, হোয়াটস অ্যাপ, ইমোসহ অন্য যোগাযোগের অ্যাপস ব্যবহার করছেন অনেকে। তাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা হোক বা ঈদের, সবাই এখন সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যম ব্যবহার করেই শুভেচ্ছা বিনিময়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।

ভালো একটা ঈদ কার্ডের ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে সেটাই পরিচিতজনদের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে বা মেসেজ আকারে পাঠিয়ে দিয়ে চলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। পাশাপাশি অন্য যোগাযোগ মাধ্যমতো রয়েছেই। ঈদ শুভেচ্ছা এখন পুরোপুরি ডিজিটাল!

সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমের প্রভাবে আজ বিলুপ্ত প্রায় ঈদ কার্ডে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সেই সংস্কৃতি। হয়তো আজকালকার তরুণ-তরুণীরা জানেও না এসব কার্ডের কথা।

ঈদকার্ড বিক্রির আর আদান প্রদান সেই সোনালি দিন গুলো এখন ধূসর অতীত।

আজ সাইফুল আমিন চাচার ১ম মৃত্যুবার্ষিকী

- Atiq CSM

আজ সাইফুল আমিন চাচার ১ম মৃত্যুবার্ষিকী, এটা আগেই পোস্ট আকারে দিয়ে দিয়েছি। কলোনি তে চাচার সাথে সালাম দেওয়া নেওয়া ছাড়া তেমন কোন কথা হতোনা। তবে চাচার সাথে দুবার দুটো ব্যাতিক্রমি ঘটনা ঘটেছিল। এর একটি ছিল প্রত্যক্ষ আরেকটি ছিল পরোক্ষ।

ঘটনা ১, প্রত্যক্ষ -
কলোনি থেকে আমরা দু তিনজন মেইন অফিসের দিকে যাচ্ছি, তিনজনের পরনেই ছিল লুঙ্গী। ঠিক ওই সময়েই চাচা অফিস থেকে বের হচ্ছিলেন, আমাদের লুঙ্গী পড়ে অফিসের দিকে ঢুকতে দেখেই দিলেন রাম ধমক, কেন আমরা লুঙ্গী পড়ে অফিসে ঢুকছি? চাচার ধমক খেয়ে সুড়সুড় করে আবার কলোনিতে ফিরে এলাম, এরপর থেকে আর কখনো লুঙ্গি পড়ে অফিসের দিকে যাইনি।

ঘটনা ২, পরোক্ষ -
টাকাপয়সা প্রয়োজন হলে ভুয়া অসুখের কথা বলে মেডিকেল থেকে ঔষধ তুলে যে বাইরে বিক্রি করে দিতাম আমরা কয়েকজন সেটা আমি আমার আগের কিছু পোস্টে উল্লেখ করেছি। আমার বন্ধু রা পালা করে কিছু দিন পরপর মেডিকেল থেকে ঔষধ তুলতাম, এমন করে আমার পালা এলো, মেডিকেল ডাক্তারের কাছে যেতে হলে আবার বাপের ডিপার্টমেন্ট এর বসের সিগনেচার সহ স্লিপ নিতে হয়। এখন কই পাই এই জিনিস। বাপ তো জানে আমার কোন শরীর খারাপ না। সো, বাপের কাছে এই স্লিপের কথা বলা যাইবোনা, বললেই ঝাড়ুর বারি খাইতো হইব। সমাধান দিলো Monirul Islam Monir, এই শালা কোত্থেকে জানি একটি ব্লাংক স্লিপ যোগাড় করে দিলো। কিন্ত বাপের বসের সিগনেচার কই পাই? তখন আব্বার ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ছিলেন সাইফুল আমিন চাচা। এরপরই করলাম আসল কাজ, পুরান কিছু অফিসিয়াল কাগজে চাচার সাইন দেখে তা মনিরুলের দেয়া রিকুইজিশন স্লিপে আমিই চাচার সাইন নকল করে বসিয়ে দিলাম। এরপরে দুরুদুরু বুকে ডাক্তার দেখিয়ে মেডিকেল থেকে ঔষধ তুলে সোজা মেইন গেইটের অপজিটে এ, কে ফার্মেসী তে বিক্রয়। 

আসলে তখন আমরা এত দু:সাহসী, বেপরোয়া আর অবশ্যই বোকা ছিলাম, না হলে একবারও চিন্তা করলাম না, আমি কি কাজ টা করতে যাচ্ছি, আর এর সংগে যে আমার বাবারও মান সম্মান জড়িত ছিল।

এই সব কাজের ( আসলে হবে অকাজ) জন্য খুবই অনুতাপ লাগে। মনে মনে তাদের কাছে সবসময় ক্ষমা চাইতে থাকি।

ক্রিকেট খেলাটা ভালো-ই বুঝতো

- Anisur Rahman Reza

ক্রিকেট খেলাটা ভালো-ই বুঝতো। বলটাকে কিভাবে সুইং করাতে হবে? ফিল্ডিংটা কিভাবে সাজাতে হবে? মোটামুটি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ছিলো। ঘাড়ের রগটা সামান্য একটু বাকা ছিলো। যা বলবে মুখের উপর বলে বসতো। আজ ছোট ভাই মিঠুর জন্মদিন। একটি পরিবার হয়ে আমরা বড় হয়েছি। দারুন একটি ছেলে। সবসময় পাশে পেয়েছি এই ছোট ভাইটিকে। মিঠুদের ব্যাচটি-ও ছিলো দারুন। মিঠু/অপু/মিতু/মোরশেদ/টিটু[ডাক্তার চাচার ছেলে]/টিটু/সেকান্দার সাথে নুরু এবং আমাদের csm-পেজের সবার ভালোবাসার মানুষটি-নাজমুলও এই গ্রুপটির সাথে মিলেমিশে ছিলো। এই ছোট ভাইগুলি, বিশেষ করে, নাজমুল/অপু/টিটু/মিতু এবং মিঠু, আমাদের csm-পেজকে আলোকিত করে আছে। অজস্র ভালোবাসা তোদের জন্য।

আজকের এই দিনটিতে, মিঠুর বাবা[আমাদের সাইফুল আমিন চাচা] এই দুনিয়া ছেরে চলে গেছেন। দেখতে/দেখতে ১ বছর হয়ে গেলো। আবার মিঠুর জন্ম-তারিখটিও আজকে। 

মিঠুর জন্মদিনের শুভকামনা-csm পেজের পক্ষ থেকে। দুই মেয়ে নিয়ে, মিঠু/পান্নার সংসার সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক। সবশেষে আল্লাহ পাকের কাছে এই কামনা করি- আজকের এই তারিখে, বাবা হারানোর কস্টটা-ও যেন, মিঠু কাটিয়ে উঠতে পারে। আল্লাহ পাক আমাদের চাচাকে বেহেস্ত নসিব করুন।

২০ শে আগষ্ট রোজ শনিবার, সি এস এম পেইজের শুভ জন্মদিন

- Jashim Uddin

২০ শে আগষ্ট রোজ শনিবার, সি এস এম পেইজের শুভ জন্মদিন, মানে শুভ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আর এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে সেদিন সন্ধ্যায় আগ্রাবাদস্হ (ব্যাংকক সিঙ্গাপুর মার্কেটের বিপরীতে) গুলজার কনভেনশান সেন্টারে জমজমাট আড্ডা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বপরিবারে উপস্হিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।তবে ভুলে গেলে চলবে না সি এস এম আড্ডা মানেই খাবারের আয়োজন। সেদিন আরো একটি মেজবানের আয়োজন থাকছে । আড্ডা,গান,মেজবান আশা করি দিনটিক আমাদের স্মরনীয় হয়ে থাকবে।আসুন সবাই স্বপরিবারে যোগদান করি।
তারিখ:২০.০৮.২০১৬
রোজ শনিবার,সময়: সন্ধ্যা ০৭ ঘটিকা
স্হান: গুলজার কনভেনশান সেন্টার,আগ্রবাদ(ব্যাংকক সিঙ্গাপুরের বিপরীতে)
চাঁদার পরিমান: জন প্রতি ২০০ টাকা
(পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত ফ্রি)
যাদের কাছে এন্ট্রি ফি জমা দিয়ে কুপন নিতে পারবেন:
মো: দিদারুল আলম খোকন
মো: কমর উদ্দিন
মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু
আসলাম উদ্দিন মামুন
ইমদাদুল হক পরাগ
মনিরুল ইসলাম খান লিটন
মো: নজরুল ইসলাম টিংকু
সুজন হাসনাত
শাকিল
তানজিনা বশর
ঝুমুর ঝুম ঝুম
তানিয়া
ফারহানা শাম্মী
আয়োজনের সার্বিক তত্বাবধানে রয়েছেন বড় ভাই মো: মোজাম্মেল হক শরিফী।সার্বিক সহযোগীতায় জিয়াউল হাসান জিয়া।
এন্ট্রি ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫.০৮.২০১৬
সারা দেশের স্টীলারদের অংশ গ্রহনের সুযোগ রয়েছে। কারো কোন প্রশ্ন বা সাজেশান থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ রইল।

Sunday, July 31, 2016

“নিজেকে কখনোই হারাতে দেবেন না আর হার ও মানবেন না “


" বাজ পাখী প্রায় ৭০ বছর জীবিত থাকে। অথচ ৪০ আসতেই- ওকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। 
ওই সময় তার শরীরের তিনটি প্রধান অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে।
১. থাবা( পায়ের নখ) লম্বা ও নরম হয়ে যায়। শিকার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
২. ঠোঁট টা সামনের দিকে মুড়ে যায়। ফলে খাবার খুটে বা ছিড়ে খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
৩. ডানা ভারী হয়ে যায়।। এবং বুকের কাছে আটকে যাওয়ার দরুন উড়িয়ে বেড়ানো সীমিত হয়ে যায়।
ফলস্বরুপ শিকার খোজা,ধরা ও খাওয়া তিনটেই ধীরে ধীরে
মুশকিল হয়ে পড়ে।।। 
তখন ওর কাছে তিনটি পথ খোলা থাকে। 
১. আত্নহত্যা
২. শকুনের মত মৃতদেহ খাওয়া
৩. নিজকে পুনরস্থাপিত করা।
তখন সে একটা উচু পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে বাসা বাঁধে।। আর শুরু করে নতূন প্রচেষ্টা।
সে প্রথমে তার ঠোঁট টা পাথরে মেরে মেরে ভেঙে ফেলে। এর থেকে যন্ত্রণা আর হয় না। একইরকম ভাবে নখ গুলো ভেঙে ফেলে 
আর অপেক্ষা করে নতূন নখ ও ঠোঁট গজানোর।
নখ ও ঠোঁট গজালে ও ওর ডানার সমস্ত পালক গুলো ছিড়ে ফেলে।। 
কষ্ট সহ্য করে অপেক্ষা করতে থাকে নতূন পালকের।।
১৫০ দিনের যন্ত্রণা ও প্রতীক্ষার পর সে সব নতূন করে পায়। 
পায় আবার সেই লম্বা উড়ানোর ক্ষমতা আর ক্ষিপ্রতা।।
এরপর সে আরো ৩০ বছর জীবিত থাকে আগের মত শক্তি ও
গরিমা নিয়ে।
***মানুষের ইচ্ছা,সক্রিয়তা ও কল্পনা ও দুর্বল হয়ে পড়ে ৪০ আসতেই। অর্ধজীবনেই আমাদের উৎসাহ, আকাঙ্খা,শক্তি
কমে যায়।
আমাদেরও আলস্য উৎপন্নকারী মানসিকতা ত্যাগ
করে,অতীতের ভারাক্রান্ত মন কে সরিয়ে ও জীবনের বিসন্নতাকে কাটিয়ে ফেলতে হবে বাজের ঠোঁট,ডানা আর থাবার মত করে।
যদি আমরা চেষ্টা করি তাহলে- আবার আমরা পাবো নতূন উদ্যম, অভিজ্ঞতা ও অন্তহীন শক্তি।
নিজেকে কখনোই হারাতে দেবেন না আর হার ও মানবেন না !!

প্রথম সকাল


স্কুলে যাবার পর আমাদের ক্লাসের ক্লাস টিচার হিসেবে শ্রদ্ধেয়া মাকসুদা আপাকে পাই। আর অন্য শাখায় ছিলেন জয়শ্রী আপা।মাকসুদা আপাকে যেমন ভয় পেতাম, মনে হত এই বুঝি মারবেন। কিন্তু যতই বড় হলাম,বুঝতে পারলাম আপার আসলে কোন ছাত্রের প্রতি রাগ নেই।পড়া শেখানো র জন্য আপার এই রুপ। পড়া শিখলে আপা অনেক খুশি।আপার যেদিন মন বেশি ভাল থাকত,সেদিন মাথার একপাশে ছোট ফুল গুজে দিতেন,সেটা ঘাসফুল হোক বা অন্য কোন ফুল। আপার ছোট ছেলে সাগর ভাইও ছোটদের দেখতে পারতেন।

অন্যদিকে জয়শ্রী আপা ছিলেন খুবই শান্ত,কখনো আপাকে রাগতে দেখিনি।মারতে দেখিছি খুব কম। সবসময় যেকোন কথা সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতেন। আর আমার কাছে জিজ্ঞেস করতেন,জনি,সঞ্জু কি পড়ে না দুষ্টামি করে?

আমি বলতাম, না,আপা,পড়ে।

কারন আমি যদি বলি, সঞ্জু দুষ্টামি করে তাহলে আপা চলে যাবার পর কল্লোল আমার বারটা বাজাবে সেটা ত আপাকে বলতে পারতাম না।কলোনি ছেড়ে আসার কয়েক বছর পর আপার সাথে দেখা হয়ছিল।বদলান নি খুব একটা। ভাল মানুষেরা চাইলেও নিজেকে খুব একটা বদলাতে পারেন না।

গত দুইদিন (শুক্রবার এবং শনিবার)


গত দুইদিন (শুক্রবার এবং শনিবার) সিএসএম কলনির ভাইবোনদের সাথে দারুন সময় কাটিয়েছি। শুক্রবার বিকালবেলা স্কুল প্রাঙ্গনে বড়ছোট ভাইবোন একসাথে অনেক মজা করেছি, ছবি তুলেছি, আড্ডা দিয়েছি। তারপর সেখান থেকে চা খাওয়ার জন্য কাঠগড়ে খোকন ভাইয়ের বাসায় গেছি। আর গতকাল রাতে নবাবীতে শাহজাহান ভাইয়ের জন্মদিনের পার্টিতে কেক কাটা, ছবি তোলা, রাতের খাবার কি অসাধারন মুহুর্ত পার করেছি। খুব দ্রুতই সময় পার হয়ে গেলো। দুইদিন সবার সাথে অনেক মজা করেছি। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে বড় ছোট ভাইবোনদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি না, আড্ডা দিচ্ছি বন্ধুদের সাথে। সবাই যেন বন্ধুর মত। আসলে সিএসএম এর ভাই বোনদের সাথে থাকলে সময় কিভাবে টেরই পাই না। তবে একটা জিনিষ ভাল লাগে, আমরা সাথে ২/৩ ঘন্টা কিন্তু তার রেশ থাকে কয়েক ঘন্টা।

"চিঠি"


চিঠির আবেগ কি আর মোবাইল, ই মেইল আর মেসেজে পাওয়া যায়? একেক টি চিঠি ছিল একেক টি আবগের ডিব্বা। ছেলের কাছে বাবা মায়ের পত্র, দূর হোস্টেলে থাকা ভাইয়ের কাছে ছোট বোনের চিঠি। প্রবাসী স্বামী দেশে থাকা তার প্রিয়তমা স্ত্রীর নিকট চিঠি।এসব আবেগ কি আর যোগাযোগ প্রযুক্তি দিয়ে পাওয়া সম্ভব। 

আর প্রেমপত্র র কথা কি বলব, একটি পত্র পাওয়ার জন্য প্রেমিক প্রেমিকার কি আকুলতা আর ব্যাকুলতা। অনেক প্রতিকুলতা পেরিয়ে প্রেমিক বা প্রেমিকার চিঠি পাওয়া বা চিঠি পৌছাতে পারা ছিল দিগবিজয়ী বীরের মত কাজের সমান। আহ! কত কষ্ট ছিল সেই চিঠি পাওয়া বা পাঠানো আর সংরক্ষণ করা। প্রেমিক প্রেমিকা একে অপরকে আগে থেকেই বলে রাখতো অমুক গাছতলায় বা অমুক সিঁড়ি র তলায় তমুক ইটের নীচে চিঠি রাখা থাকবে। আহাহা! কত কষ্ট, কত প্রতীক্ষা। আর এ জন্যই বোধ হয় গান লিখা হয়েছিল " চিঠি দিও প্রতিদিন "। আর মাঝে মাঝে তো রিলায়েবলল মিডিয়ার অভাবে তো চিঠি, যোগাযোগ সব অচল হয়ে যেত। আর তাই গান গাইতাম " নাই টেলিফোন,নাইরে পিয়ন,নাইরে টেলিগ্রাম, বনধুর কাছে মনের খবরর কেমনে পৌছাইতাম......... "। আবার কখনো কখনো গাইতাম " আজ তোমার চিঠি যদি না পেলাম হায়, তবে ভেবে নিব ডাক পিয়নের অসুখ হয়েছে..... "।

আজকের প্রজন্ম তোমরা কিভাবে বুঝবে আমাদের সময়কার প্রেম যোগাযোগের এত কষ্ট, এত প্রতিকুলতা। তোমাদের এখনকার যোগাযোগ প্রযুক্তি তে বেগ আছে, আবেগ নাই, রিমেক আছে বিবেক নাই।।

ছায়াতরু


যদি জানতে চাওয়া হয় কলোনি র জাতীয় গাছ কি? সবাই বলবে, নারকেল গাছ।যেদিকে তাকাই শুধু এই গাছ,সেটা পুকুরপাড় হোক, বা বিল্ডিং এর সামনে বা খেলার মাঠ। সারা কলোনি টাকে ছায়া দিয়ে ঢেকে রেখেছিল এই গাছ। পুকুরপাড় এর নারকেল গাছের আড্ডা ত বিখ্যাত। আমাদের বিল্ডিং এর ছয়টা বাসার জন্য ৪ টা নারকেল গাছ বরাদ্দ ছিল।১ টা মানিক ভাইদের,১ টা রিনিদের,১ টা রিনা আপাদের, আর ১ টা আমাদের,রিপা আপাদের আর রুবি আপাদের তিন ফ্যামিলি মিলে এক গাছের নারকেল,ডাব ভাগ করে খেতাম।গাছটার নিচে অনেক খেলেছিও।

১৯৯১ এর বন্যার সময় নারকেল গাছ টা পড়ে যায়। পানি নেমে যাবার পর আমরা সেটাকে রেলগাড়ি বানিয়ে খেলতাম।একদিন কতৃপক্ষ গাছটা টুকরা টুকরা করে নিয়ে যায়। আমাদের আর নারকেল এর কোন গাছ থাকল না।রিনা আপার আম্মা মাঝেমাঝে ডাব পাড়লে দিতেন।কিংবা দাদার বাড়ি থেকে আনা হত নারকেল।

কিন্তু গাছের ছায়া যেটা বেশি মিস করতাম সেটা দেবার জন্য কাউকে পেতাম না।মাঝেমাঝে গাছটার শিকড় যেখানে ছিল সেখানে দেখতে যেতাম,দেখতাম অন্য গাছ গজিয়েছে।একসময় নারকেল গাছটার কথা বেমালুম ভুলে গেলাম

স্কুলে যেদিন প্রথম যাই ভর্তি পরীক্ষা দিতে


স্কুলে যেদিন প্রথম যাই ভর্তি পরীক্ষা দিতে, সেদিন আমি মাসুদ আর বাবু পাশাপাশি বসছিলাম।যাতে একজন কিছু ভুলে গেলে অন্যজন মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু তিন জনের একসাথে বসা হয়নি। আমাকে উঠিয়ে আরেক পরীক্ষার্থী র পাশে বসিয়ে দেয়া হয়। বিরক্ত লাগছিল।আমাদের রুমে এসেছিলেন ফেরদৌসি আপা,জেবু আপার আম্মা। উনি বললেন যারা ক থেকে ম পর্যন্ত পারে তারা সেটুকু লিখতে আর যারা ক থেকে ঁ পারে তারা সব লিখতে। ১ থেকে ২০, a,b,c,d লিখতে। আমি ক থেকে ম পর্যন্ত লিখে চলে আসলাম। বাসায় আসার বলল কম লিখছি বলে নেয়া হবেনা। কিন্তু আমি ত আপার কথা অনুযায়ী লিখছি,তা বুঝানো র চেষ্টা করলাম। মনে মনে ভয় হচ্ছিল যদি না নেয়।কিন্তু না, ঠিকই নেয়া হয়েছিল। তবে মাসুদ আর আমি আলাদা ক্লাসে পড়ছিলাম,তাই ভাল লাগেনি

কলনিতে থাকা অবস্থায়


কলনিতে থাকা অবস্থায় আমাদের বন্ধুদের কয়েকটা গ্রুপ থাকালে ঈদেরর দিন আমরা সবাই এক হয়ে যেতাম। সারাদিন গ্রুপ ভিত্তিক ঘুরাঘুরি করলেও সন্ধ্যার পরে সবাই এক জায়গায় একত্রিত হতাম। কম করে হলেও ১৫/২০ জন। তারপর সকলে মিলে দলবেঁধে একেক বাসায় হানা দিতাম। একটা বাসা শেষ করে আরেকটা বাসায় যেতাম। যে বাসায় যেতাম সে বাসার খবর হয়ে যেত। কারন কোন রকম ইনফরম্যাশন ছাড়াই যাওয়া হতো। তবে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করতাম তারা আমাদের কিছুই বুঝতে দিতো না। পরে অবশ্য দুই ঈদের পর থেকে যাদের বাসায় যেতাম তারা অভ্যস্থ হয়ে গেছে। তারা মোটামুটি প্রিপারেশনে থাকতো। এখন এইসব কথা মনে হলে খারাপ লাগে। কারন বিনা নোটিশে তাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি।

২৬টা বছর পর


২৬টা বছর পর!!! ধন্যবাদ জিয়া। সুন্দর একটি আয়োজন। আমি/শাজাহান/জিয়া/মোল্লা[অপু]/স্বপন, সাথে জসিম এবং দুইটা অপ্রাপ্ত বয়সী "পোলাপান" নাজমুল ও নীরু। জিয়ার বাসায় একটা জম্পেস আড্ডা হয়ে গেলো। আড্ডায় রসদ ছিলো ভরপুর!! অনেক কিছুই নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। আমাদের সাথে শাজাহান যোগ দেওয়াতে, আড্ডাটি পুরাপুরি একটি গঠন মুলক রুপ ধারন করে। আমরা আশাবাদি। 

লোপা ভাবীর আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ।[আহারে, আমার সারাফের মা ক্যারে, লোপা ভাবীর মত হইলো না??]। কত কিছুই না, আমাদের জন্য রান্না করেছে। ইচ্ছামত খাইছি। ডায়াবেটিস বাড়লে বারুক!!

ভাবী আপনি কি জানেন!! জিয়ার বয়স এখন ৫৩!!!!!!! বিশ্বাস হয়না?? শাজাহানের কাছে দলিল পত্র আছে!! জিয়ার বয়স ৫৩ হলে, আমি/শাজাহান/মোল্লাও-৫৩ বছর!! তাই কালকে আমরা একমত হয়েছি, আমরা ৪৭-এর উপর আমাদের বয়স বলবো না!!!! আগামি ৩ বছর জন্য ৪৭ বছর আমরা ফিক্সড করে নিয়েছি!! নিরু/নাজমুল/জসিম এখন্ও ৪০-এর কোঠায়!! এটাও আগামী ৩ বছরের জন্য ফিক্সড করা হইলো!!!

আবারও ২৬টা বছর পর!! নবাবিতে একটি চমৎকার আয়োজন। বন্ধু শাজাহানের জন্মদিবস পালন। ছোট/বড় ভাই-বোনেরা একত্রিত হয়েছিলো। কেক কাটা সাথে খাওয়া দাওয়া। আন্তরিকতা পুর্ন একটি সন্ধ্যা/রাত কেটে গেলো। গতকাল শনিবার-টি, শাজাহান শুধু আমাদের জন্য-ই বরাদ্দ রেখেছিলো। বন্ধুটি দারুন আশাবাদি, আমাদের csm-পেজ নিয়ে। পাশে থাকো বন্ধু তুমি, এই আমাদের কামনা। অজস্র ধন্যবাদ বন্ধু শাজাহান-কে, আমাদের csm-পেজের পক্ষ থেকে।

ধন্যবাদ ৯৫- ব্যাচ কে। স্কুল- প্রাংগনে একটি সুন্দর আয়োজন করার জন্য। আড্ডা শেষে, সবাই মিলে ছুটে গেলাম কাঠঘর। চা-চক্র পর্ব। খোকনের বাসায়। দারুন একটি সময় কেটে গেলো। অজস্র ধন্যবাদ ৯৫-ব্যাচ সহ অন্যান্য ছোট ভাই/বোনদের, একটি অসাধারন দিন উপহার দেওয়ার জন্য।

তোমাকেও অজস্র ধন্যবাদ, csm-পেজ, আমাদের বার/বার মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।।

গতকাল সুজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম


গতকাল সুজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম,আমাকে ৪০০ করতে হলে কতটা আরো বাকী। লিখা লিখতে হবে।সুজন আমি তোরে কইয়া রাখলাম এককেরে চারশ হলে আমারে জানাবি।সিএসএম পেজে ৩০০+ লিখেছে আতিক ভাই,জনি২০০+ লিখেছে।আর কমু ভাই ১০০ + ও লিটন ৫০+ সবাই কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।রেজা ভাই ১০০ কাছাকাছি।এ পেজে সবাই মন খুলে লিখি শুধু এমন কিছু লিখবোনা যাতে আরেকজনের মনে কষ্ট পায়।তাই আমরা সবাই লিখে যাই,কারন এখানে সব আমরা আমরাইতো।শাহজাহান ভাই,স্বপন ভাই,ও অপু ভাইয়ের কাছেও সিএসএমের স্মৃতি নিয়ে লিখা আশা করি।

কলোনিতে স্কুল বা কলেজে পড়াকালীন সময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলে


কলোনিতে স্কুল বা কলেজে পড়াকালীন সময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলে দুপুর বেলা সাধারণত আমাদের কোন কাজ কাম থাকতোনা। বিকাল চারটা পর্য্যন্ত ইউনুসের দোকানও বন্ধ থাকতো। তাই আমাদের, বিশেষ করে আমি, Mamunur Rashid Rashed পলাইয়া, Monirul Islam Monir দুলির আড্ডা ছিল ট্যাংকির তলা, বাজারের ভাই ভাই স্টোর অথবা কলোনির আনাচেকানাচে। এরকম এক দুপুরে কলোনির আনাচেকানাচে ঘুরতে ঘুরতে আমি আর পলাইয়া রাশেদ সি টাইপের একটি বিল্ডিং এর পিছনের ডাস্টবিনের কাছে চলে গেলাম। ডাস্টবিনের কাছে দেখি এক তোড়া লিখিত কিছু কাগজ। আমার অভিজ্ঞ চোখ কাগজ গুলো দেখেই বুঝে গেল এগুলো সব প্রেম পত্র। কাগজ গুলো ডাস্টবিন থেকে তুলে আনার পর দেখা গেল ঠিকই সব গুলা প্রেম পত্র। কলোনি র এক বড় আপা কলোনির আরেক বড় ভাইকে চিঠি গুলো দিয়েছে ( তারা অবশ্য এখন সুখী দম্পতি)। পরদিনও আমি রাশেদ গেলাম ওই স্থানে, সেদিনও আরো কিছু প্রেম পত্র পেলাম। আহ কি সে ভাষা ছিল পত্র গুলার, আবেগের সাথে বাস্তবতার কি অপূর্ব সমন্বয় ছিলো সেই চিঠি গুলোয়।

হলফ করে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি ওই রকম ভাষার চিঠি এই জেনারেশনের পোলাপান কোনদিন লিখতেও পারবেনা এবং ওই যোগ্যতাও হবেনা।

আজকাল বয়স হলেও সকলে দেখি বয়স হয়েছে মানতে চায় না মানসিক দিক দিয়ে


আজকাল বয়স হলেও সকলে দেখি বয়স হয়েছে মানতে চায় না মানসিক দিক দিয়ে।খুব ভাল।এতে করে আমাদের শারিরীক-মানসিক দুইদিকেই মঙ্গল হয়।সহজে রোগ-ব্যধি,প্রতিকূল পরিস্হিতি কাবু করতে পারে না। ছোট থাকতে বাবাকে দেখে এসেছি তরুণদের মত চলা ফেরা,পছন্দও রং-চঙা।সব ধরনের গান-বাজনাও পছন্দ করেন উনি।অনেক ক্ষেত্রে আমার,মার অসস্থি হতো।এখন বয়স ৭৮ বছর হবে।বিভিন্ন রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে।তারপরও মনে হয় বেঁচে আছেন মনের জোরে।বয়সটাকে গুরুত্ব না দিয়ে মনকে প্রাধান্য দিয়েছেন।দোয়া করি,উনার এই জোর বজায় থাকুক।উনি আরো দীর্ঘায়ু হউন।

তখন ৯০ এর গন আন্দোলন চলছিল


তখন ৯০ এর গন আন্দোলন চলছিল, সন্ধ্যার পরে বিবিসি আর ভয়েস অব আমেরিকা শোনার জন্য কলোনির চাচা ভাতিজা সবাই গিয়ে হাজির হতাম জেক্সের সামনে, দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সবার মাঝে উদ্বেগ থাকলেও সন্ধ্যার পর জেক্সের সামনে ওই সময়টায় সবার মাঝে উৎসব ভাব বিরাজ করতো। 

এমনই এক সন্ধ্যায় Md Shafiul Alam ভাই তার মোটর সাইকেল নিয়ে জেক্সের সামনে আসলেন। সেখানে আমি আর দুলিওও ছিলাম। শফি আলম ভাইয়ের মোটর সাইকেল টি দেখে দুলি আবদার করলো সে একটু চালাবে। দুলি তখনো মোটর সাইকেল ভালোমতো চালাতে পারতোনা, সেটি আবার শফি আলম ভাই জানতেন না। যা হোক দুলি মোটর সাইকেল স্টার্ট দিয়ে একটু দুরেই সি টাইপ মাঠের কাছে গিয়ে ব্যালেন্স হারিয়ে মোটর সাইকেল সহ চিটপটাং। শফি আলম ভাই তার মোটর সাইকেলের জন্য হায়হায় করছেন, আর ওদিকে সবাই খবর শোনা বাদ দিয়ে আহত দুলিকে নিয়ে ব্যস্ত। আল্লাহর অশেষ রহমত, দুলি আমাকেও মোটর সাইকেলের পিছনে সেদিন তার সাথে উঠতে বলেছিল, কিন্ত আমি আর উঠিনি।

এগুলো কলোনির স্বাভাবিক ও সাধারণ ঘটনা ছিল, কিন্ত এখন মনে পড়লে প্রতিটি ঘটনাই আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়।

সততা, নিষ্ঠা আর অভিজ্ঞতার প্রতীক ছিলেন তিনি


সততা, নিষ্ঠা আর অভিজ্ঞতার প্রতীক ছিলেন তিনি। একজন অপরিচিত ব্যক্তিও উনাকে দেখলে উনার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আনবে। যার সততার গুণাবলী আজো সবার মুখে মুখে। এবং চিরদিনই তাঁর সততা ও নিষ্ঠার কথা সবাই মনে রাখবে। তিনি ছিলেন একজন নিভৃতচারী স্বল্পভাষী মানুষ। আজ ১লা আগষ্ট এই ভালো মানুষ টির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। আর তিনি হচ্ছেন আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় মরহুম সাইফুল আমিন চাচা। 

প্রকৃতির কি খেয়াল!! একটু আগে মরহুম সাইফুল আমিন চাচার বড় ছেলে মিঠু ভাইকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছি আর একই তারিখেই মিঠু ভাইয়ের বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী র পোস্ট দিচ্ছি।

মরহুম সাইফুল আমিন চাচা কর্মজীবনে স্টিল মিলে ছিলেন আমার বাবার সরাসরি বস। আমার বাবা ছিলেন চাচার খুবই স্নেহধন্য ও নির্ভরযোগ্য সহকর্মী। আমার বাবার পরম সৌভাগ্য যে উনার মত একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তির অধীনে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।

আমরা মরহুম সাইফুল আমিন চাচার জন্য দোয়া করি, যেন পরমকরুনাময় উনাকে জান্নাতবাসী করে রাখেন।

Saturday, July 30, 2016

চাইছি তোমার বন্ধুতা


আমার এর আগে কোন বন্ধুর বিয়েতে যাওয়া হয়নি, সেটা স্কুলের হোক বা ভার্সিটি র হোক।আজ গেলাম, কেন জানি,এর কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নাই।এর আগে Rony Barua, Al Amin Billah Shujon এর বিয়ের দাওয়াত পেলেও যেতে পারিনি। যদিও এই বিয়েতে যাবার জন্য মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।কিন্তু সেখানে যে আমার জন্য এত টুইস্ট অপেক্ষা করছিল, তা জানতাম না। গাড়ি থেকে নামতেই দেখি Kal Purush মানিক। ভেতরে গিয়ে রনিকে ফোন দিলাম।সেখানে দেখি সুজন,সুজন -২, রনবীর,তপু,জুয়েল,মাসুক,সাদেক,জাহেদ,টিপু। সবাই ত অবাক। 

প্রথমেই আল আমিন সুজনের আন্তরিক অভ্যর্থনা। সাথে মানিক ত আছেই। সাদেকের সাথে অনেক দিন পর দেখা।জুয়েল ত ভালই মজা করল।আকরাম,টিপু,জাহেদ সবগুলো ত আমাকে ঘিরে ধরল।খাওয়া দাওয়ার পর সবার সাথে যখন কথা বলা শুরু করলাম, বুঝলাম, সময় গেলেও কেউ বদলায়নি এতটুকু। 

বুঝতে পারলাম বন্ধুত্ব এর রং কখনো ফিকে হয়না।এটা সবসময় রঙিন।এরকম বন্ধুতা আমি সবসময় চাই,সেটা পরজন্মে ও। কোন এক মনীষী বলেছেন,
" ভাল বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার,যদি নরকেও পাওয়া যায়"

আমার চাকুরী জীবন শুরু হয়েছে মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিভিশনে


আমার চাকুরী জীবন শুরু হয়েছে মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিভিশনে। চাকুরী জীবনের ১৮ বছরে আজো এই ডিভিশনেই আছি। এবং কোম্পানি র নির্দিষ্ট একটি পণ্যের হেড অফ মার্কেটিং হিসেবেই আছি। 

স্টুডেন্ট লাইফে ধারনা ছিল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করতে হলে স্মার্ট, গুছিয়ে কথা বলা, ভিতরে যাই থাক অন্তত মুখের ভাষা দিয়ে মানুষ কে ভুলানো বা বিভ্রান্ত করার সৎ গুন বা বদগুন যেটাই বলিনা কেন সেটা থাকতে হবে। আর সত্য মিথ্যা মিলিয়ে প্রচুর কথা বানাতে হবে। আমার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কিনা জানিনা উপরের একটি গুনও আমার নেই। কোন কালেই স্মার্ট ছিলাম না, এখনো খুব ক্যাজুয়ালি অফিসে যাই, গুছিয়ে কথা কখনওই বলতে পারিনা আমি, ভিতরে এক ধরনের আর মুখে আরেক ধরন সেটা কখনওই করতে পারিনা। যেটা আসল কথা সেটা সত্য হলে মুখের উপর বলে ফেলার মত চরম ইতর আমি। তবে হ্যাঁ আমি অনেক সময় মিথ্যা বলি, তবে এতে কারো যাতে ক্ষতি না হয় এবং অপর দু জনের মধ্যে যাতে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখি। যাই হোক এই গুনাবলি না থাকলেও আমারর কাজ চালাতে সমমস্যা হয়না। কিনতু সমসস্যা হলো আজ, আর সেটাই বলছি-------

এতক্ষণ নিজের ঢোল ঢোল পিটানোর কারন হচ্ছে আজ ( ৩০/৭) আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ডেকে বলেছেন, ক্লায়েন্ট দের সাথে আমার ব্যবহার রুঢ়, এ ধরনের কমপ্লেইন্ উনার কাছে এসেছে, তাই উনি আমাকে একটু সতর্ক করলেন। আমি উত্তরে স্যারকে বলেছি যে কোম্পানির স্বার্থেই আমি রুঢ় হয়েছি। জবাবে উনি যা বললেন তা হুবহু তুলে ধরছি।

" সবসময় কড়া আচরন দিয়ে কাজ হয়না, তোমার আশেপাশে দেখবে অনেকেই আছে যারা মুখে মিষ্টি কথা দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে পারে, তার অন্তরে যাই থাকুক না কেন, মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেংগে খেতে পারে, তুমি যেটা লাখ টাকা দিয়াও পারবানা, আতিক আরো কৌশলী হও, খালি আবেগ আর কোম্পানি র নাম আর টাকা দিয়ে কাজ হবেনা"

----- আসলেই আশেপাশে একটু চোখ ঘুরালেই এ ধরনের মুখে মধু মাখা কৌশলী, অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেংগে খাওয়া লোক খুজে পাওয়া যায়।

'ফট' চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক শব্দ


'ফট' চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক শব্দ। ফট মানে ফাঁক বা ছিদ্র। আমাদের Shajib Kumer Dey অপু প্রায় সময় একটা শব্দ ব্যবহার করে থাকে। তা হলো "ফট পাইলে দলা হই"। মানে আমরা ফাঁক পেলে একত্রিত হই"। গতকালও আমরা সেইরকম একটি ফাঁক বা সুযোগ পেয়েছিলাম, তাতেই আমরা আবার একত্রিত হয়েছিলাম। আগামী ২০ আগষ্ট রোজ শনিবার সন্ধায় সিএসএম পেইজের বর্ষপূর্তি। এই 'ফট' টাকেও আমরা কাজে লাগাতে চাই। অর্থাৎ আমরা আবার একত্রিত হতে চাই। আপনারা সবাই এর আগে কিছু ফরমালিটিস আছে সেগুলি কমপ্লিট করে সেদিন সন্ধায় চলে আসবেন। কারন গ্র্যান্ড আড্ডার পরে এটাই হবে আরেকটি সান্ধ্যকালীন আড্ডা। আশাকরি সবাই উপস্থিত আমাদের ছোট "দলা" টাকে বড় দলায় পরিনত করবেন। আজকে থেকে আমাদের একটাই শ্লোগানঃ

""সিএসএম এর ভাই বোন
ফট পাইলে দলা হোন""।

Century মানে ১০০


Century মানে ১০০। ক্রিকেট খেলায় পছন্দের দলের কেউ সেঞ্চুরি করলে খুবই ভাল লাগে। আর লেখালেখিতে সেঞ্চুরি! পরিসংখ্যানবিদ Al Amin Billah Shujon যখন আপডেট দিতে লাগল তখন মনে মনে ভাবতাম আমার কি কোনদিন সেঞ্চুরি পূর্ন হবে?? (এর মধ্যে Atiq Csm ট্রিপল সেঞ্চুরি আর Niaz Morshed জনি ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলছে। অভিনন্দন রইলো তাদের জন্য)।

Quality এবং quantity কোনটায় চিন্তা করে আমি লিখি না। তাছাড়া আমার লেখার মধ্যে আমার জানামতে Quality'র Q ও নাই। আমি লিখি শুধুমাত্র আমার ভাল লাগে তাই। কে কি মনে করলো। কে কি বললো। কে লাইক দিলো, কে দিলো না। কে কমেন্টস করলো, কে করলো না, এই সব কখনো চিন্তা করি নাই। আমি যেখানে লিখি সেখানের পাঠক/পাঠিকা হচ্ছে আমার বড়/ছোট ভাই বোন। অতএব টেনসন কম। কারন ভাইবোনরা মনে মনে গালি দিলেও ফেলতেতো পারবে না!!

" নীল রং "


আগেই বলছি রং নিয়ে এটা আমার শেষ পোস্ট। এই রংটিতে ছেলে মেয়ে সবাইকে দারুন মানায়।তারুন্যের উদদীপ্ত এই নীল রং। বয়স যেন কাছেই আসতে দিতে চায়না। ছবি দেখে মনে হচ্ছে আমার চাচা ভাইদের বয়স আরো দশ বছর কমিয়ে দিয়েছে। অনেক দুষ্টুমি করে ফেললাম। ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

তন্বী .........।।


আমাদের সবার প্রিয়, প্রয়াত দীপক দা'র ভাগ্নী। আমাদেরও সবার আদরের ভাগ্নী। ছোটবেলায় অতি আদরের কারনে বেশীর ভাগ সময় থাকতো কলোনীতে, মামার বাড়ীতে। স্কুল ছিল সেই আলকরনে। সকালে দেখতাম কালু দা, উজ্জ্বল দা অথবা সজল নিয়ে যাচ্ছে স্কুলে, সেই পতেঙ্গা থেকে আলকরন(নিউ মার্কেটের ঠিক পাশে)। এখনো স্পষ্ট মনে আছে সেই পুচকে ভাগ্নিটির কথা।

আড্ডার সুবাধে প্রায় ২০ বছর পর ভাগ্নীটির সাথে দেখা। উদ্দেশ্য আমাদের আড্ডাতে নাচতে বলা। সুনেছি ভাগ্নী নাকি খুব ভালো নাচে। ভাগ্নীও আমাদের নিরাস করেনি। সে এবং তার গ্রুপের সাবলীল পরিবেশনা আড্ডায় আগত সকল স্টিলারদের অনাবিল আনন্দ দিয়েছে। সত্যি খুব ভালো কোরিওগ্রাফি ছিল ওইদিন ওদের পরিবেশনাতে।

কিন্তু মুল বিষয় সেটা না। আমাদের ভাগ্নীর মুল প্রতিভা কিন্তু অন্য শিল্পে, নাচটা সে জাস্ট শখের বসে করে, ওর মুল প্রতিভা হচ্ছে, আঁকা-আঁকিতে। ভাগ্নী আমাদের ফাইন আর্ট এর ছাত্রী। CU থেকে মাস্টাস শেষ করেছে সম্প্রতি। এবং কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেয়ে গতকাল সে পাড়ি দিয়েছে কলকাতার উদ্দ্যেশে।

লিখাটা লিখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, একজন শিল্পমনা মানুষ হিসেবে আমি আমার ভাগ্নীর কিছু কাজ দেখেছি ওর বাসায় গিয়ে। কিযে অসাধারণ তার কাজ নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। আমরা আসলেই অর কাজ নিয়ে গর্ব করতে পারি।

আমি আমার CSM পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের ভাগ্নীর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য আর মঙ্গল কামনা করছি।
ভালো থেকে মামনি, অগণিত স্টিলারের আশীর্বাদ তোমার সাথে রইলো।

NB:আমি আমাদের Sajal Nandi কে অনুরোধ করবো আমাদের ভাগ্নীর কিছু শিল্পকর্মের ছবি যেন সে আমাদের পেজের মাধ্যমে সকলের কাছে উপস্থাপন করে।(চাইস আবার ফইসা ন তোয়াইস)

দুদিন ধরে সাব্বিরের বাসা টা খালি


দুদিন ধরে সাব্বিরের বাসা টা খালি, সাব্বির শুধু িএকা, তার বাসার সবাই ঢাকা বেড়াতে গিয়েছে। এই খালি বাসার সুযোগ সাব্বিরের বাসায় সহজে হয়না , বন্ধুরা সন্ধ্যার পরে একে একে আসতে লাগলো। এর েএকটু পরে শুরু হলো কার্ড খেলা, আর ধুমাইয়া ধুয়া উৎপাদন তো আছেই। রাত একটু গভীর হওয়ার পর গোল হয়ে আসর বসে গেলো। কিসের আসর সেটা আশা করি সবাই বুঝে গেছেন। তবে ভাগ্য ভালো বলতে হবে, সে রাতে কেউ অতি ইমোশোনাল হয়ে বেসিনের উপর আর উদগীরন করে নাই।মোটামুটি ”ইমোশোনাল “ পর্ব টি under control ছিলো। রাত প্রায় তিন টা বাজে হঠাৎ করে দোস্ত আরমান বলে উঠলো সাব্বির কে “ এখন যদি সাব্বির তার রুমের পিছনের জানালার কাছে গিয়ে জোরে ”মীরা I Love You” বলতে পারে তাহলে সে সাব্বির কে সকালে এক প্যাকেট গোল্ড লিফ কিনে দিবে। যেই কথা সেই কাজ সাব্বিরও জোরে ”মীরা আই লাভ ইউ “ বলে চিৎকার দিলো। চিন্তা করল এতো রাতে আর কে শুনবে। 

দু দিন পরেই, মীরা সাব্বির কে বলল সেদিন রাতের বেলা এমন পাগলের মত আচরন করলে কেন ? সব নাকি সে শুনেছে এবং সব দেখেছে, খালি সে শুনে নাই, তার (মীরা) আব্বা আম্মাও শুনছে, এবং তার এ পাগলামির কারনে তাদের কাছ থেকে নাকি তাকে (মীরাকে) অনেক কটু কথাও শুনতে হয়েছে। সাব্বির শুধু এর উত্তরে বলল—প্রেমিক মানেই পাগল, আর পাগল মানেই পাগলামি। আর মীরা বলল পাগলের সাথে তো তাহলে প্রেম করা ঠিক হবেনা। যদিও মীরা এ কথাটি মজা করে বলেছিলো, কিন্ত একটি বছর পরে ঠিকই মীরা সাব্বিরকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। 
পাগল দের আসলে ভালোবাসা যায়না, পাগল রা গাগলামিই করতে পারে , তাদের পক্ষে চারটি দেয়াল আর চারটি চাকা ম্যানেজ করা সম্ভব হয়না।

তবে সাবিবরের দু:খ অন্য খানে, সে বন্ধু আরমানের কাছ থেকে আজো গোল্ডলিফের প্যাকেটি পায় নাই।

আগামী ২০শে আগষ্ট CSM Colony page এর জন্মদিন


আগামী ২০শে আগষ্ট CSM Colony page এর জন্মদিন। এটা একটা বিশেষ দিন। এই দিনে এই পেজ তৈরী না হলে আজকে হয়তো আমি আমার এতোগুলো ভাইবোনকে পেতাম না, এতোগুলো বড়ভাইয়ের আদরও পেতাম না। বয়স হিসাব করলে আমি হয়তো বুড়োর খাতায় নাম লিখিয়েছি কিন্তু বড়ভাইদের সামনে যখন যায় মনে হয় আমি এখতো স্কুলে পড়ি। বড়ভাইদের অাদর আমাদের বয়সকে বুড়ো থেকে নামিয়ে বাচ্চা বয়সের কথা মনে করিয়ে দেয়। সব বড় ভাই একই ধাচে তৈরী। সৃষ্টিকর্তা স্পেশালী CSM বাসীদের তৈরী করেছিলেন। 

আমরা ২০শে আগষ্ট নিয়ে আলোচনা করতে ছিলাম। ঐদিন যারা আসবে শুধু তারাই বুঝবে এসে কি পেলাম, আহা কতো শান্তি। আমাদের কারোরই এখানথেকে জাগতিক কিছু চাওয়া পাওয়ার নাই, আছে শুধু সম্পৃতি, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা পাওয়ার আকাংখা।

আমি এই ব্যবস্থাটাকে চীরস্থায়ী করার স্বপ্ন দেখি। আমার স্বপ্নকি সফল হবে!!!

দোয়া করবেন।

নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস ঐ পাড়েতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস


নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস ঐ পাড়েতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস। আমিও একটু সুখ খুঁজতে অর্থাৎ বেড়াতে আমি গতকাল গিয়েছিলাম কর্ণফুলি নদীর ঐপাড়ে খোয়াজ নগরে। গ্রামীন পরিবেশ। যদিও মাঝে মাঝে বিশাল দালান। চিটগাং সিটি কর্পোরেশনেরর আওতাধীন একটি কলেজও আছে এই এলাকাটিতে। এখানে উন্নয়নের তেমন কোন চিহ্ন নেই। নদীর এপাড় আর ওপাড় ব্যবধান মাত্র দশ টাকা। শাক সবজির দাম এপাড় থেকে সামান্য কম। কিন্তু এপাড় থেকে যেগুলি যায় সেগুলির দাম তুলনামুলক ভাবে বেশি। তবে দাম বেশি হলেও এপাড়ের সব কিছুই ওপাড়ে পাওয়া যায়। জনসংখ্যার ঘনত্ব এপাড় থেকে কম কিছুটা কম হওয়ায় এলাকাটি কিছুটা শান্ত। বড় গাড়ি কম কিন্তু রিক্সা, মোটর রিক্সা, সিএনজি, টমটম ইত্যাদির জন্য রাস্তায় হাঁটা মুশকিল। মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষের চেয়ে গাড়ি বেশি। আমরা সবাই দিনদিন অলস হয়ে যাচ্ছি। পাঁচ / দশ মিনিটের হাঁটা রাস্তাও রিক্সা / সিএনজিতে যাচ্ছি। ওপাড়েতেও সেই কালচার / সংস্কৃতি শুরু হয়ে গেছে। মাত্র পাঁচ টাকার জন্য পাঁচ মিনিট হাঁটবো!!!

Friday, July 29, 2016

চিটাগাং কলেজের Hostile গেইটের সামনে


চিটাগাং কলেজের Hostile গেইটের সামনে ভ্যানের মধ্যে এ চটপটি টা বিক্রি করতো।অনেক মজা লাগতো আজও ভুলতে পারিনি।সেদিন কি কারনে চকবাজার গেলাম তখনও দেখলাম ছেলেমেয়েরা খাচছে।তখন খুব মনে পড়ে গেল সেই ২০০২-২০১২ এ সময়কালের কথা।২০০১-২ আমরা অনেক ষটীলার রা ছিলাম মহসিন কলেজে।প্রায় প্রতিদিন খাওয়া হতো।কি মজা বলে বা লিখে বুঝানো জাবে না।১০ টাকা এক প্যালেট।আমার চটপটিও খুব মজা হয় সবাই বলে।কিনতু আমি সেই মজাটা খুজে পাইনা।

রাত ০১:৩০


রাত ০১:৩০।।হঠাৎ কেন যেন আমাদের মসজিদটাকে খুব মনে পড়ছে।।অন্য সময় জুমার নামাযের ঠিক আগ মুহূর্তে স্মরন হতো কিন্তু আজ কেন যেন বারবার এ মুহূর্তে মনে পড়ছে।।তাই দু'কলম লিখা।।শুনেছি শুতে যাওয়ার সময় নাকি যাকে মনে পড়ে সেও নাকি তাকে মনে করে।।জানি না বিষয়টা কতটুকুন সত্য।।কম বেশি সকলেরই এই মসজিদের সাথে জড়িয়ে আছে নানান স্মৃতি।।তেমনি জড়িয়ে আছে আমারও।।শুক্রুবার এলেই যত কাজই থাকুক না কেন আমরা সকলেই প্রস্তুতি নিতাম জুমার নামাযের।।কারন নামাযটা ছিল আমাদের আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি একটা মিলন মেলা।।দল বেধে সবাই যেতাম মসজিদে।।ওখানে একটা নিয়ম ছিল।।আমরা সকলে কিন্তু যে যার ইচ্ছে মতো বসতাম না।।বসতাম ব্যাচ ভিত্তিক।।যেমন ৯৪ ব্যাচের ভাইয়ারা বেশির ভাগ বসতো মোয়াজ্জিমের বাসার ঠিক পাশে লাগানো ছিল একটি নারিকেল গাছ ওখানে।।ওখানে ওনারা দাড়িয়ে গল্প করতেন,,এরপর ৯৭ ব্যাচের ভাইয়ারা বসতেন মাদ্রাসার পাশে,,আতিক ভাইয়াদের ব্যাচটাকে একেক সময় একেক জায়গায় দেখা যেত,,তবে ভেতরে কখনওই দেখা যেত না,,এভাবে আমরা সবাই সবার জায়গায় এসে হাজির হতাম এবং কেউই কারো জায়গা দখল করতাম না কারন আমরা সব সময় সিনিয়দের সম্মান করতাম যা আমরা আজও করি।তারপর নামায শুরু হলে আমরা দৌড়ে যে যোখানে জায়গা পেতাম অমনি দাড়িয়ে কোন রকম দু'রাকাত নামায আদায় শেষে মসজিদ ত্যাগ করতাম।।অনেক মানুষ হতো আমাদের এই মসজিদে।।ছোট খাটো একটা ঈদ জামাত বলা যায়।।পাশে কবরস্হান থাকায় অনেকেই আমরা জিয়ারত করতে ভূলতাম না।।আমাদের এই মসজিদ টাতে বড় একটা ঘড়ি ছিল,,জানিনা ওটা এখন আছে কিনা বা সচল কিনা।।

আমি জানি না কেন আজ এই সময় তাকে মনে পড়ছে,,হয়তো তারো আমাকে বা আমাদের মনে পড়েছে।।তবে চেষ্টা করবো ওখানে আর একবার নামায পড়তে।

জানিনা আল্লাহ রিজিকে রেখেছেন কিনা।।

আজ শুক্রবার। আমার ছুটির দিন


আজ শুক্রবার। আমার ছুটির দিন। কিন্তু আজকে সারাদিন দৌঁড়ের উপর ছিলাম। প্রতি শুক্রবার ছুটি থাকে বিধায় একটু দেরী করে ঘুম থেকে উঠি। আজকে দুপুরে কর্ণফুলি নদীর ঐ পাড়ে খোয়াজ নগরে একটা দাওয়াত ছিল তাই আজকে বেশিক্ষন ঘুমাইতে পারি নাই। সকাল ১১.৩০ পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম। বাসা থেকে বের সময় মনে মনে চিন্তা করলাম যদি খোয়াজনগর থেকে আসার পরে সময় পেলে স্কুলে যাব। কিন্তু নাজমুল ভাই ২.১৫ টায় ফোন দিয়ে বললো ভাত খেয়ে তাড়াতাড়ি চলে আয়। চারটায় আমরা রওনা দিবো। সবাইকে ফেলে আমি একা ৩.১৫ টায় রওনা দিলাম খোয়াজ নগর থেকে এবং ৩.৫০ টায় চৌমুহনীতে আসলাম। তারপর সেখানে চা খেয়ে সবাই মিলে রওনা দিলাম স্কুলের উদ্দেশ্যে। স্কুলে ২০ তারিখের বর্ষপুর্তি আলোচনা হলো। জাফর ভাই মুন বেকারি থেকে সবার জন্য নাস্তা নিয়ে আসলেন। শেষে চা খেলাম খোকন ভাইয়ের কাঠগড়স্থ বাসায়। পতেঙ্গা কাঠগড় থেকে আবার চৌমুহনী হয়ে বড়পুল সিটি হল কনভেনশন সেন্টারে। সেখানে শিমুলের ভাগিনার বিয়ে ছিল। বিয়ে খাওয়ার পর রাত ১০.১৫ টায় বাসায চলে আসলাম। সেখানে আরো কিছুক্ষণ থাকতাম কিন্তু মেয়ে অসুস্থ তাই একটু তাড়াতাড়ি চলে আসতে হলো। সারাদিন এত ব্যস্ত ছিলাম একটু টায়ার্ড লাগে নাই, সিএসএম এর সাথে ছিলাম বলে।

লাইফ নিয়ে কোন দিন তেমন কোন অংক কষিনি


লাইফ নিয়ে কোন দিন তেমন কোন অংক কষিনি। প্ল্যান করে কোন দিন কোন কিছু করিনি। স্টাইল টা ছিল এরকম " আমি মাঝি মাল্লা, যা করবে আল্লাহ"। যখন যেটা মন চাইতো করতাম, পরিনাম চিন্তা করতাম না। রেজা ভাই যেটাকে বলে " ধরো মুরগী করো জবাই"। এই নীতির কারনে এখনো অনেক ক্ষেত্রে পস্তাই। দেখা গেছে যে জিনিস টাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি সেখান থেকেই আঘাত সবচেয়ে বেশী পেয়েছি। কোন প্রতিবাদ করিনি নিয়তি বলে মেনে নিয়েছি। 

হিসাব মিলাতে গেলে দেখা যায় বেদনা,তিক্ততা, হারানোটা ই বেশি। আবার ব্যালেন্স শিট মিলালে দেখা গেল এত হারানোর পরও পাওয়ার পাল্লাটাই তো বেশি। আর ভিতর থেকে কেউ যেন বলে উঠে, "এত হতাশ হও কেন, চারিদিক তাকাও, তুমি যা পেয়েছ কয়জনে বা তা পায়"।

----- আসলেই তো, এত কিছুর পরও এত হতাশ হলে বোধ হয় স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও ক্ষমা করবেনা।

মরণ তু হু রে মম এবং আবার ফিরে আসা


"Ancient Mariner " গল্পে দেখা যায় অনেকজন নাবিক সহ একটি জাহাজ বরফে আটকে যায়।আর যাবার কোন পথ খুজে পায় না। খাদ্যের অভাবে ভুগতে থাকে। এভাবে প্রতিদিন মৃত্যু দূত এসে একজন একজন কে মরনের দেশে নিয়ে যায়।অন্যরা তা প্রত্যক্ষ করে।আতংকে থাকে পরদিন হয়ত তাকেও চলে যেতে হবে।

১৯৯৯ সালে স্টিল মিলস বন্ধ হয়ে যাবার পর কলোনি র মানুষ গুলো র অবস্থা হয়েছিল ঠিক সেরকম। বুঝতে পারল যে এই কলোনি তে আর বেশিদিন থাকা হবে না। চলে যেতে হবে। সবার সামনে নিশ্চিত কোন ভবিষ্যৎ ছিল না।বেশিরভাগই অনিশ্চিত। তার উপর এতদিন ধরে চলে আসা সেই চিরচেনা জায়গা ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাওয়া। প্রতিদিন কলোনি র গেইট দিয়ে ট্রাক বা ভ্যান গাড়ি আসত। আর অন্যরা মনে মনে ভাবত আজ না জানি কাকে চলে যেতে হয়।অজানা এক আতংক। এ যেন কলোনি র বাসিন্দা হিসেবে মৃত্যু, প্রিয় মানুষ গুলো থেকে বিচ্ছিন্নতা। এক একটি পরিবার চলে যেত,আর অন্যরা তা প্রত্যক্ষ করত। সমবেদনা আর শুভ কামনা জানানো ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।

কিন্তু তারপরেও ত ফিরে আসা যায়। আবার একসাথে পুরনো মানুষ গুলো কে ফিরে পাওয়া যায়, গ্র‍্যান্ড আড্ডা, ইফতার পার্টি, কিংবা ২০ আগস্ট এ অনুষ্ঠিতব্য পুনর্মিলনী তার প্রমান। এছাড়া ছোট খাট নানা আয়োজন ত আছেই।এই ফিরে আসার আরেক টি দারুন ব্যাপার হল এবার সবাই যেন এক কাতারে দাঁড়ানো। গ্যাপ নেই,যেটা কলোনি তে ছিল।এইজন্যঈ হয়ত অপুদা,পুলক ভাই,সুজন একসাথে জসিম ভাই,নাজমুল ভাইদের সাথে বসে আড্ডা দিতে পারেন। নেই আন্তরিকতার ঘাটতি। তাই হয়ত ছোট ভাইয়েরা রেজা ভাইয়ের জন্মদিনে আয়োজন করে তাকে চমকে দেন,যা উনাকে আবেগতাড়িত করে। কলোনি তে থাকতেও সবার সাথে সবার এতটা কাছে আসা হয়নি,যা ইদানীং হয়েছে। আর সেখানেই বুঝি আবার ফিরে আসার সার্থকতা, ভাললাগা , আনন্দ।

অনেক অনেক বছর আগে রঞ্জু এক ভালোবাসা দিবসের রাতে


অনেক অনেক বছর আগে রঞ্জু এক ভালোবাসা দিবসের রাতে রুমু কে l love you লিখা চিরকুট রুমুদের বারান্দা দিয়ে ছুড়ে মারে। আর অপেক্ষা করতে থাকে সেই চিরকুটের উত্তরের। রাত পেড়িয়ে সকাল হয়, সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়, বিকেল হয় এবং পুনরায় রাত হয়, ফিরতি কোন উত্তর আর আসেনা। এদিকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে তো রঞ্জুর অবস্থা কেরোসিন ।­ এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেও যখন ফিরতি কোন কিছুর নাম-গন্ধ কিছুই পেলো না, তখন রাগে, দুঃখে, কষ্টে আর লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে নিজেই উপস্থিত হল প্রিয় মানুষটার বাসার সামনে । তাঁর রংবাজ টাইপ বড় ভাই রঞ্জুকে প্রায় এক ঘন্টা সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে ইতং বিতং প্রশ্ন করে অবশেষে বললেন,
- তুমিই তাহলে সেই হনুমান
- রঞ্জু আমতা আমতা করে বলে হনুমান মানে?
- হনুমান মানে হারামজাদা, বলল রুমুর ঘাড় তেরা বড় ভাই শাফি।
- ভাইয়া কী বলছেন এসব! আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না?
শাফি একথা শুনে বলল, আরে হারামি এখনই যদি সব বুইজা ফেলোস তাহলে থানায় কি বলবি।
- ভাইয়া আপনি কী আমাকে পুলিশে দিতে চাচ্ছেন?
- শাফি বলে, তোরে না শুধু, তোর চৌদ্দ গুস্টি রে পুলিশের ডলা খাওয়ামু, তোর এত সাহস তুই আমার বোন রে চিঠি দেস।

একথা শুনে তো রঞ্জু পুরা টাস্কি খেয়ে গেলো।! রুমুর কাছে দেওয়া চিরকুট এই শালার সমন্দি শাফি জানলো কিভাবে রঞ্জু বুঝে পেলনা
যাই হোক, রঞ্জুকে পুলিশে দেয়া হলোনা। তবে যা করা হলো তা পুলিশে দেয়ার চাইতে কোনো অংশেই কম নয়। রঞ্জুর বাসায় বিচার দেবার ভয় দেখিয়ে পাঁচ বার কান ধরে উঠ বস করিয়ে নিলো রংবাজ শাফি। রঞ্জু যখন লজ্জা আর কান্না মাখা মুখ নিয়ে, কান ধরে উঠবস করছিল তখন খিলখিল করে হাসির শব্দ পেলো আশেপাশে কোথাও। রঞ্জু হাসির আওয়াজেই বুঝে গেল এই চক্রান্ত নায়িকা স্বয়ং নিজেই করেছে। তারপর থেকে এই ঘোড়ার আন্ডা প্রেম ভালোবাসার কথা মুখেও আনলোনা রঞ্জ। মানুষ জন্মায় একা, মরেও একা। মাঝখানে আরেকজনকে টেনে এনে ঝামেলা বাড়িয়ে কী লাভ? পরের এক বছর রঞ্জু সবাইকে বুঝাতে চাইলো, মেয়েদের গুনার টাইম নাই তার । মেয়ে মানুষের অপর নাম আবর্জনা। যাইহোক, একবছর পর আবার সেই রঞ্জুর সেই বেদনাময় দিনটা হাজির! ঘোড়ার ডিমের ভালোবাসা দিবস! সবচাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে, গতবার এই দিনে যেই গাধীটার কাছে চিরকুট পাঠিয়ে চরম অপমান হয়েছিল আজ সে গাধী রুমুই ইনিয়েবিনিয়ে ভালোবাসার চিঠি পাঠিয়েছে রঞ্জুর কাছে।আর গত ভালোবাসা দিবসের চক্রান্তের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। 

চিঠি দেখে রাগে ফুসতে ফুসতে রঞ্জু আপন মনেই বলল,
"গাধীর বাচ্চা গাধী! তোকে ভালোবাসি, তাই গত বছরের ঘটনার জন্য ক্ষমা পেয়ে গেলি!"
এরপর থেকে রঞ্জু রুমু মহল্লার শ্রেষ্ঠ প্রেমিক প্রেমিকা জুটি। আর এখন দু সন্তানের গর্বিত ও সুখী জনক জননী।

Thursday, July 28, 2016

" স্বপ্ন "


আমার ছোট বোন Tanjina Huda মনিকা। সে বর্তমানে বাহারাইন থাকে।মনিকা সি এস এম পেইজে লিখা পোষ্ট না দিলেও মাঝেমাঝে কমেন্টস করে। আজ তার সাথে ফোনে কথা হলো। সে বললো - পেইজেতো দেখি খুব লেখালেখি চলছে। আমি না লিখলেও সব সময় সবার লিখা পড়ি ও লাইক দি আর মাঝের মধ্যে কমেন্টস করি। আর আজতো সবাইকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলাম। আমি জানতে চাইলাম কি? বলে কি - বাড়িতে মেজবানি চলতেছে সব দেখছি সি এস এম মানে আমাদের কলোনীর মানুষ। তুমি সবাইকে খুব যত্ন করে খাওয়াচ্ছো আর আমি সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছি। দেখছেননি কারবার আমারে কাজে লাগাই দি হেতি বলে আড্ডা দেয়। যা হোক সবাই আমার বোনের জন্য দোয়া করবেন। সবাইকে নিয়ে যেন এমন মেজবানি দিয়ে আড্ডা দিতে পারে। আল্লাহ তোমার মনের আশা পূরন করুক মনিকা।

ডি টাইপের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিকালে আমরা আটজন


ডি টাইপের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিকালে আমরা আটজন (আমি, মনু, লিটন, শাহেদ, মানিক,সুমন শাহিন,বাবু) কত হেঁটেছি। এই রাস্তাটি আমাদের পছন্দের রাস্তা ছিল। কারন কলনির সব রাস্তায় লোকসমাগম প্রচুর ছিল। তুলনামুলক এই রাস্তায় লোক সমাগম কম ছিল। তাই এই রাস্তাতে আমরা একটু বেশি হাঁটতাম। তবে মাঝেমধ্যে (সব দিন নয়) অফিসার ক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে সি-১ এর পাশে রাস্তা হয়ে সি-২ এর সামনে দিয়ে আবার এই রাস্তায় হাঁটতাম। দুই/তিন রাউন্ড দেওয়ার পর সেই ঐতিহাসিক ড্রেনের পাড়ে বসতাম। কিছুক্ষণ বসার পর আবার হাঁটাহাঁটি।
আমাদের হাঁটার ছবিতে ইমুকে ও সুলতান কে দেখা যাচ্ছে। Muhammad Moinul Huda, Shahabuddin Liton, Shahed Hussein, Taj Suman, Saiful Manik,

আজ দুপুরে একটা জরুরী কাজে রুপালী ব্যাংক, বিদ্যুৎ ভবন শাখায় গিয়েছিলাম


আজ দুপুরে একটা জরুরী কাজে রুপালী ব্যাংক, বিদ্যুৎ ভবন শাখায় গিয়েছিলাম। সেই ব্যাংকের ম্যানেজার হচ্ছেন Masuk Elahi. খুবই অমায়িক এবং সজ্জন লোক। সেখানে যাওয়ার সাথে চা খাওয়ালো। এবং আমি যে কাজে গিয়েছিলাম, সেই কাজটা উনি সরাসরি ফাইল এনে সাথে সাথে করিয়ে দিলেন। কাজ শেষে উনার কাছ থেকে বিদায় নিতে চাইলাম, কিন্তু না উনি কিছুতেই ছাড়বেন না। জোর করে বসিয়ে রাখলেন। তারপর উনি অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে সময় দিলেন। প্রায় দুপুর দেড়টা বাজে। এর মাঝে আরেকটা ব্যাংক থেকে ফোন আসলো। তাই উনার কাছ থেকে জোর করে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। অবশ্য আসার আগে দুপুরে লাঞ্চ করার জন্য অনেক চাপাচাপি করছিল। কিন্তু আমি আবার একা খেতে পারি না। তাই কেউ সঙ্গে ছিল না বিধায় না খেয়ে চলে আসতে হলো।

রেজা কে যেমন দেখতাম


১. স্কুল পালিয়ে পুকুর পাড়ে, খাল পাড়ে, টং দুকানে, চা সিগারেট আর পান মুখে নড়ে চরে থাকতে।
২. মেয়েদের ক্লাস ছুটি তে কখনও ইউনুসের দুকান, টাং কির উত্তর থেকে দক্কিন দিকে বিরদপে কিসের খুজে এগিয়ে আসতে।
৩. দেখতাম লুংগি পরিহিত বরা দুপুরে এফ টাইপ থেকে পিরমাজারের দিকে ছুটেছ আসতে।
৪. দেকতাম শুনতাম সি টাইপের মাঠেঘাটে কুনার ব্লিদিং দিকে আকাশ দেখার নামে তাকিয়ে থাকতে।
৫. প্রায় সময়ে দেখা যেত এক হাতে লুংগি ধরা মুখে স্টার সিগারেট আর পান ত থাকতুই ওয়াকাস ক্লাব থেকে উস্ক খুস্ক চেহারায় বেড়িয়ে আসত। কি করত রেজা ক্লাবে??
কখনও জানতে চাইতাম না কিন্তু বুজতাম। মাজে মাজে শুনতাম এ টা খান্সুর(চাচা সালাম নিবেন) সাহেবের ছেলে না,,,,,। 
৬. দেখতাম সাদা প্যান্ট আর সাট মাথায় সাদা টু পি হাতে বল নিয়ে ইকবাল(ভাই) বাহিনির সাথে এ মাঠ থেকে অন্য কন মাঠেঘাটে চষেছে কলনির মাথা উদ্দে তুলে ধরতে।
সে ছিল অলরাউন্ডার,,, তার বিচরন সব্রখানে সচল ছিল সব সময়।
তবে ছে লে ভা ল।।।

প্রিয় শহর চট্টগ্রাম ছেড়ে এসেছি ১৯৯৮ সালে


প্রিয় শহর চট্টগ্রাম ছেড়ে এসেছি ১৯৯৮ সালে। চট্টগ্রামের অনেক কিছুই মিস করি প্রতিনিয়ত। মিস করা অনেক কিছুর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মিস করি ছোট বেলার বন্ধুদের। আর খাবারের কথা বলতে গেলে লইট্টা মাছ। 

চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে আসার পর অনেক বার গিয়েছি চট্টগ্রামে অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে অনেকের সাথে হয়নি। আর লইট্টা মাছ টা ৯৮ সালের পরে আর কখনো খাওয়া হয়নি।

আজ ঢাকা মেডিকেলে আমাকে দেখতে এসেছিলো ছোট বেলার বান্ধবী হিরা। ওর সাথে দেখা দীর্ঘ বাইশ বছর পর। সাথে নিয়ে এসেছিলো রান্না করা লইট্টা মাছ। লইট্টা মাছের সাথে দেখা আঠারো বছর পর। 

অনেক ঝামেলা করে আমার জন্য চট্টগ্রাম থেকে লইট্টা মাছ নিয়ে এসেছে হীরা। 

বাইশ বছর পর ছোট বেলার বান্ধবীর সাথে দেখা হওয়া আর আঠারো বছর পর প্রিয় মাছ লইট্টা খাওয়া দুইটাই ছিলো ভীষন আনন্দের। :D :D :D

আজ আবরার ভাইয়ের সাথে বসে অনেকক্ষণ ধরে কথা হহল,পাপ্পুর এক্সিডেন নিয়ে


আজ আবরার ভাইয়ের সাথে বসে অনেকক্ষণ ধরে কথা হহল,পাপ্পুর এক্সিডেন নিয়ে।

পাপ্পু এক্সিডেন করে ২০০৯ সালে।তারপর দেশের চিকিৎসা তে সেরকম উন্নতি না হওয়ায় পাপ্পুকে নিয়ে যাওয়া হয়।ইন্ডিয়াতে,সেখানে সিএমসি তে নয় মাস পাপ্পুকে চিকিৎসা করে কিছু সুস্থ করা হয়।

সেই নয়টা মাস খালাম্মা ও সুরাইয়া যে কি পরিমাণ কষ্ট করতে হয়েছে তা শুনে আমি সত্যি আবেগিত।মা- বোনরা মনে হয় এরকম হয়।সুরাইয়া পাপ্পুর ছোট বোন, সেই নয় মাসে নাকি প্রতিদিন তিন ঘন্টার বেশী ঘুমাতে পারেনি।ভাইয়ের বেডের পাশে চেয়ারে বসে বিছানাতে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকত।সত্যি ছোট বোন তোমায় সালাম।তোমার মত বোন আমাদের সিএসএমের গর্ব।

খালাম্মা কথা কি বলবো,মারা তো এমনই হয়,হাসপাতাল থেকে যে হোটেলে খালাম্মারা উঠেছিল তার দুরত্ব, আমাদের স্টিল কলোনী থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পযন্ত হবে।খালাম্মা প্রতিদিন ভোরে উঠে নামাজ পরে,নাস্তা তৈরি করে সকাল ছয়টায় হেঁটে হাসপাতালে নিয়ে যেত।কারন সেখানে নাকি রিক্সা নেই,টেক্সি ভাড়া প্রতিদিন দেওয়া সম্ভব ছিল না।আবার রোদে - বৃষ্টি তে হেটে এসে দুপুরের খানা পাকিয়ে আবার টিফিন ক্যারিয়ার করে নিয়ে যাওয়া।আল্লাহ খালাম্মাকে অনেক ধ্যৈর্য্য দিয়েছে,যা আমরা পাপ্পুকে দেখতে গিয়ে দেখেছি।পাপ্পুর পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে,সেটা বড় কথা নয়,ভাইটি এখন মোটামুটি বেঁচে আছে।তবে যেমনে আছে সেভাবে তার পরিবার খরচ চালিয়ে নিতে পারবে,তবে যদি বড় কোন চিকিৎসা করতে হয়, তার জন্য যে পরিমান খরচ লাগবে তা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা কষ্ট কর।তাই আমাদের সিএসএমের সকলের নিকট আবেদন যেন ভাইটির চিকিৎসার জন্য আমরা আমাদের সাধ্যমত সহয়াতার হাত বাড়িয়ে দি।কারন আমরা আমরাইতো।

কাকার কিছু কথা আছে,তা পরে আরেকদিন বলবো।

এখন যোগাযোগের কত মাধ্যম, সেকেন্ডের আগেই সব তথ্য আদানপ্রদান করা যাচ্ছে


এখন যোগাযোগের কত মাধ্যম, সেকেন্ডের আগেই সব তথ্য আদানপ্রদান করা যাচ্ছে। সেটা ব্যবসা হোক, রাজনীতি হোক আর অফিসিয়াল হোক অথবা মহা গুরুত্বপূর্ণ প্রেমের ক্ষেত্রই হোক। প্রেমের ক্ষেত্রে যোগাযোগ মাধ্যম তো মহা জরুরি বিষয়। আজকাল তো যোগাযোগ প্রযুক্তি দিয়ে কখন কোথায় কিভাবে দেখা হবে নিমিষেই জেনে যাচ্ছে বা জানানো যাচ্ছে। আজ থেকে ২০/২২ বছর আগে আহ এ সুযোগ গুলো যদি থাকতো! তখন তো চিঠি বা রিলায়াবেল মেসেনজারের উপর নির্ভর করা লাগত। এমনও হয়েছে বার্তাবাহকের ভুলের কারনে প্রেমিক বসে আছে প্রেমিকার অপেক্ষায় অথচ প্রেমিকা কিছুই জানেনা। জানবে কিভাবে বার্তাবাহক যে মেসেজ টি দিতে ভুলেই গেছে। এর উলটোটাও হয় প্রেমিকা বসে আছে প্রেমিকের জন্য অথচ প্রেমিক কিছু জানেনা।কারন মিডিয়া তাকেও খবব্ দিতে ভুলে গেছে। আর মিডিয়ার এ ভুলের খেসারত দিতে হয় লাইলি মজনু কে। দু জনের মাঝে চলে মান অভিমান ঝগড়া আর কথা বনধ।

আহারে জুকারবার্গ, আহারে মোবাইল, আহারে ইন্টারনেট তোমরা তখন কোথায় ছিলে? কোথায় ছিলে তখন ওস্তাদেরা?

কলোনীতে থাকার সময় ২১শে ফেব্রুয়ারিতে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রভাত ফেরিতে অংশ নিয়ে


কলোনীতে থাকার সময় ২১শে ফেব্রুয়ারিতে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রভাত ফেরিতে অংশ নিয়ে,শেষে শহিদ মিনারে অব্স্থান করতাম।ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে,জিলাপি খেয়ে বাসায় ফিরতাম।আজ সেই জায়গায়তে হাজারো শ্রমিকের পদধ্বনিতে মুখরিত হয় প্রভাত বেলা।শুধু অতীত হয়ে গেল আমাদের সোনালি দিন গুলো।কিছু স্বার্থনিশী মানুষের অবহেলায় ধ্বংস হয়ে গেল CSM পরিরাব।আমি আজও দেখি CSM এর লোহা পুড়ানোর কালো ও সাদা সেই ধোঁয়া।

আমাদের গল্প


ঝুমুর আপা একবার মজা করে বলেছিলেন কলোনি তে থাকতে উনি যদি একটা প্রেম করতেন, তাহলে লিখার মত অনেক কিছু পেতেন। হয়ত উনার কথা অনেক টাই সত্য। আমি নিজেও ত বন্ধুত্ব, হৃদয় ঘটিত ব্যাপার স্যাপার থেকে অনেক দূরে ছিলাম।কিন্তু তারপরেও মনে করি,এত বড় একটা কলোনি, এত এত মানুষ, এত বছরের দিনলিপি। অনেক গল্প ত হবার কথা। প্রতিটা বিল্ডিং এর প্রতিটা মানুষ আর এক একটা দিন,প্রতিটা মানুষের হাসি আনন্দ, কান্নার গল্প হিসাব করলে ত আমাদের অনেক গল্প।আর প্রতিটা দিন ত সাধারন রুটিনের না।বিশেষ দিনের গল্প গুলো ত আলাদা। এই পেজে তাই সেইসব দিনের গল্প শুনতেই ভাল লাগে যা শুধু কলোনি র মানুষ গুলো র ভালবাসা আর মায়া মমতার কারনে অসাধারণ হয়ে উঠেছিল, যা এত অল্পতেই ফুরাবার নয়

ক্যাঁচ করে রিকশাটি বিজয় স্মরনী সিগনালে ব্রেক কষল


ক্যাঁচ করে রিকশাটি বিজয় স্মরনী সিগনালে ব্রেক কষল। আর তখনই, নিপুর চিৎকার , দেখো দেখো -কদম ফুল। আমাকে কিনে দাওনা িএকটা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কদম ফুল বিক্রি করছে এ সিগন্যালে।ফয়সল পুরোপুরি বিরক্ত নিপুর এমন ছেলেমানুষি কাজ দেখে, কদম ফুল তো কি েহয়েছে, তার জন্য চেচিয়ে রাস্তা মাথায় তুলার তো কোন মানে হয়না। বিরক্ত নিয়ে ফয়সল বলল, আরেকটু সামনে যাই সেখানে কুমড়ো ফুল পাওয়া যাবে, দেখতেও সুন্দর আবার বড়া বানিয়েও খাওয়া যাবে আর কদম ফুল হচ্ছে বাদুড়ের খাদ্য, আমরাতো আর বাদুড় না।নিপু পুরোপুরি বেকুব হয়ে গেলো ফয়সালের এ ধরনের বেরসিক কথা বার্তায়। নিপু ভাবলো এই ফয়সল নামক গাধা পন্ডিত টাকে বিয়ে করে বিরাট ভুল হয়েছে। ভুল দুই প্রকার। পুটি মাছ সাইজের ভুল এবং আর তিমি মাছ টাইপ ভুল। ফয়সল কে বিয়ে করে সে তিমি মাছ ধরনের ভুল করেছে।

নিপু ভারী কাঁচের চশমা পড়া ফয়সলকে বললো – “তুমি রিক্সা থেকে নামো । সামান্য বাকী টুকু রাস্তা আমি নিজেই যেতে পারবো। এ রকম তিমি মাছ টাইপ গাধা পন্ডিতের সাথে এক রিকশায় যাওয়া অসম্ভব।
তোমাকে এই টেনিস বল টাইপ কদম ফুল কিনে দেইনি বলে আমাকে এতোগুলা কথা বলতে পারলে, বিষণ্ণ স্বরে বলল ফয়সল। 

সিগন্যাল ছেড়ে দিয়েছে। রিক্সা চলতে শুরু করেছে।

নিপু ভারী অবাক এবং হতাশ ভাবে জিজ্ঞেস করলো- “তুমি কী সত্যি সত্যি আমাকে কদম ফুল কিনা দিবা না ?”

ফয়সল একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে উদাস ভঙ্গিতে বললো- “না। কদম ফুল এমন কোন বিশেষ কিছু না। টেনিল বল সাইজের একটা ফুল। এইটা দেখে এতো প্রেমে নুয়ে পড়ার কোনো মানে নাই। সামনে ফুলের দোকান আছে। কয়েকটা গোলাপি গোলাপ কিনে দিচ্ছি।”

নিপু মাথা নীচু করে বিয়ের আংটি টা দেখছে আর ভাবছে এই গাধা মার্কা রসকষ হীন তিমি পন্ডিতের সাথে বাকীটা জীবন কাটাতে হবে, ভাবতেই নিপুর চোখ থেকে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল।

হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। রিকশা সংসদ ভবনের কাছাকাছি, হঠাৎ ফয়সল চেচিয়ে উঠলো, বললো এইরিকশা থামো। রিকশাওয়ালা ভয়ে আতংকে ব্রেক চাপলো।

ফয়সাল নিপুর হাত ধরে রিক্সা থেকে তাঁকে নামিয়ে নিলো। রিক্সা ড্রাইভারকে বললো – ভাই ব্রেকটা চেপে রাখেন।

ফয়সল রিক্সার সিটের উপর দাঁড়িয়ে গেলো। তার মাথার উপরই একটি কদম গাছ ,সেখানে ডালে দুটো কদম ফুল ঝুলছে । ফুল দুটি ছিড়ে রিক্সার সিট থেকে নেমে নিপুর হাতে দিয়ে বললো- ”প্রিয় মানুষটিকে নিজের হাতে গাছ থেকে ফুল পেড়ে দিতে হয়, কিনে ফুল দিলে ফুল ও ভালোবাসার পবিত্রতা নষ্ট হয়।”

বৃষ্টির ছাট বাড়ছে, নিপু িবৃষ্টি ভেজা ফুল হাতে নিয়ে হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে আছে, সে নিজেও ভিজে গিয়েছে। বৃষ্টির পানি আর চোখের পানি একাকার হয়ে গেছে।
আর ফয়সল ভাবছে,এই মেয়ে- এতো সুন্দর করে রাগে কেনো ? এই মেয়ে – এতো সুন্দর করে কাঁদে কেনো ?

মা বলতো- তোর বাবার যখন মন/মর্জি ভালো থাকবে, তখন কিছু চাবি


মা বলতো- তোর বাবার যখন মন/মর্জি ভালো থাকবে, তখন কিছু চাবি। আজ বাবার মন/মর্জি ভালো। বাবা আরাম করে বসে টিভি দেখছে। বাবার পাশে মা, সামনে নিচে বসে আছে, রনি এবং বাবু। শুধু নাই আমি!! দুপুরের পর থেকেই টেনশনে আছি--- খুব বেশী টেনশনে!!!। কি করি?? আল্লাহ একটা উপায় বের করে দাও। রির্পোট কার্ডে সাইন করাতে হবে। তিনটা বিষয়ে ভয়াভহ রকমের ডাব্বা মেরেছি।

টিভিতে "যদি কিছু মনে না করেন হচ্ছে"। আজ আমার বাবাও কিছু মনে করবেন না। এক বুক সাহস নিয়ে বললাম, বাবা সাইন করতে হবে। বাবা তাকালো, আমার দিকে। ধির/স্থির ভাবে জিজ্ঞাসা করলো, কোথায়?? রির্পোট কার্ড দিছে, বাবা। কই দেখি?? বাবার কই দেখি কথাটিতেই, পরিবেশ পালটে গেলো!! মা উঠে অন্য ঘরে চলে গেলো!! বাবু আর রনি নিমিষেই হাওয়া!! এখন শুধু আমি এবং বাবা আর টিভিতে যদি কিছু মনে না করেন!!।

বাবার হাতে রির্পোট কার্ড, চেয়ারে বসে/বসে দেখছে, আমি সামনে দাঁড়ানো। বাবার চেহারা দেখি আস্তে/আস্তে পরির্বতন হচ্ছে। হটাত, একটা "সাইড কিক" বসা অবস্থায় বাবা আমাকে মেরে বসলো!! অসাধারন ছিলো সেই সাইড কিক-টি!! আমি টিভির সামনে গিয়ে পড়লাম!! বাবা এবার উঠে দাড়ালো। বুঝলাম, আজ অল্পতে ছাড় দিবেনা!!। পর্দার রড হাতে নিয়ে এবার বেশ কিছু দিলো। আমি মা/মা করে কাদছি, কিন্তু আমি নিশিত, মা আমার একসাথে তিনটা পান মুখে দিয়ে, অন্য ঘরে বসে চিবাচ্ছে!!। আর যদি কিছু মনে না করেন অনুষ্ঠানে, হানিফ সংকেত খুশিতে, সুন্দরিদের নিয়ে "রিমেক্স" গানের তালে/তালে নাচতেছেন!!।

গ্রামের বাড়িতে খাওয়া/দাওয়ার পর, বাবার সাথে এখন অনেক গল্প হয়। বিশেষ করে রাত্রে খাওয়া/দাওয়ার পর। বাবা নিজে একটা পান বানিয়ে খায়, সাথে আমাকেও একটি দেয়। পরম মমতায় বলে, নে একটা পান খা। যদিও পান খাওয়ার অভ্যাস আমার নাই, তবে বাবার হাতের পান আমি খাই।

বাড়ি থেকে যখন চলে আসি--, আমি জানি, বাবা আমার চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে আছে। পিছনে কখনো-ই তাকাই না!!! রাত্রে ঘুমানোর সময়, মোবাইল-টি কানের কাছে রেখে ঘুমাই। গভীর রাতে কোনো ফোন আসলে বুকটা কেপে উঠে। বয়স হয়ে গেছে বাবার। কোনো কিছু চিন্তা করতে পারিনা। দু'চোখ জলে ভরে যায়।

" হলুদ রং "


আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি হলুদ রং নিয়ে। কেউ হুমায়ুন আহমেদ গল্পের হিমু, কেউ বা হলদে পাখি, আবার কেউবা হলুদ পরী। যে যাই হোক না কেন সবাইকে হলুদ রং এ কিন্তু দারুন মানিয়েছে। যাদের ছবি পেয়েছি তাদের গুলোই দিলাম। সবার ছবি সংগ্রহ করতে পারিনি কারন এই রং এর জামা আমাদের স্টীলার ভাই বোনরা খুব কম পড়ে মনে হলো। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।


আমাদের ব্যাচ (২০০০) সাল


আমাদের ব্যাচ (২০০০) সাল। সকুলে ভবনের সামনে মাগরিবের নামাজের পর তোলা ছবিটা।তখন সবাই অনেক ক্লান্ত ছিলাম।সেইবার এনোয়েল ফ্যানশনে আমরা ভলেনটিয়ার ছিলাম।অনেক কাজ করাইচে পিটি স্যার আমাদের কে দিয়ে।আমরাও অনেক মজা করে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছি।অনেক মজা অনেক আনন্দ কত সৃতি যে লুকিয়ে আছে ওই কলোনিতে আমার প্রিয় স্কুলটাতে।মনে পড়লে খুব খারাপ লাগে।নাজিম উদদিন স্যার খুব আদর করতেন।আর এখানে আমার সব বানধবিদের খুব মিস করি।যে যেখানে থাকিস ভাল থাকিস।।।

আল্লামা লিটন!!!!!


তখন খুব সম্ভবত আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি।।বাবার খুব ইচ্ছে ছিল আমাকে মাওলানা টাইপের কিছু বানাবে।।কারন বাবা ৯১ঘূর্ণিঝরের পর অনেকটাই আধ্যাত্মিক মাইন্ডের হয়ে গিয়েছিলেন।।যেটা এখনও বাবার মাঝে বিরাজমান।।তো যা বলছিলাম মায়ের সাথে আলোচনা করে বললো ওকে মাদ্রাসায় দিয়ে দেই কি বলো??মা বললো এখন কি আর এসব হবে,প্রথম থেকে যদি দিতে তাহলে না হয় আশা করা যেত,কিন্তু এখন???মা বাবাকে বললো দেখ চিন্তা করে পরে না হিতে বিপরীত হয়।।যেই কথা সেই কাজ,হাজার অনিচ্ছা সত্তেও বাবা বছরের মাঝামাঝি আমাকে স্কুল থেকে নামিয়ে ফেলেন এবং স্কুলের পাশের মাদ্রাসায় আমাকে ভর্তি করিয়ে দিলেন।।শুরু হলো আমার জেলখানার জীবন।।ভোর চারটায় আমার ঘুম থেকে ওঠা,,তারপর নামায,,পরে কোরআন তেলওয়াত,,তারপর নয়টায় মাদ্রাসা,,দুপুরে নামায তারপর খাওয়া এবং পরে আবারও পড়া,,বিকেলে নামায পরে আলোচনা,,তারপর নামায,,এরপর পড়া,,তারপর নামায শেষে খাওয়া এবং ঘুম।।তারপর আবার গতানুগতিক।।মনে হচ্ছিল আমার সমস্ত স্বাদ আল্লাদ শেষ।।কোথায় স্কুল জীবনের মজা আর কোথায় বন্দী জীবন।।খুব খারাপ লাগতো আমার যখন দেখতাম আমার বন্ধুরা সবাই বিকেলে ফুটবল খেলছে আর আমি আলোচনা নিয়ে ব্যস্ত।।মাকে বললাম মা আমি আর যাবো না,আমার ভালো লাগেনা।।আমাকে আবার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন।।মা বললো ঠিক আছে তোর বাবার সাথে কথা বলবো।।কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হলো বাবা সিদ্ধান্ত নিল আমাকে মাদ্রাসার হোস্টেলে দিয়ে দিবে।।কথা শুনে আমি বাসার বাহিরে চলে গেলাম এবং সেই রাতে আমি আর বাসায় ফিরলাম না।।পরের দিন বাবা আমাকে খুজে নিয়ে বাসায় ফিরলো এবং মজার মজার অনেক খাবার নিয়ে এসে আমাকে খাওয়ালো এবং বোঝালো।।কিন্তু কে শোনে কার কথা,আমার একই জবাব "না"।।শেষ মেষ বাবা রেগে আমাকে দিল মাইর।।দৌড়ে এসে মা আমাকে বাচালো এবং বাবাকে উল্টো ঝারতে লাগলো,বললো তুমি ওর বয়সে কেমন ছিলে সেটা একবার ভেবে দেখ।।বাবা পরে ভেবে দেখলো না আমার ""এই লাউ কোন দিন কদু হবে না""শেষে আমাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনলো মানে মাদ্রাসা থেকে নামিয়ে ফেললেন এবং পরে আবারও মুক্ত জীবনে ছেড়ে দিলেন মানে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন।।

সরি বাবা ""লাউ থেকে কদু হতে পারিনি বলে""

রিপন-মানিকভাইয়েরা বাটফারি কইতে কইতে অব্যাস খরাপ হই গেছে


রিপন-মানিকভাইয়েরা বাটফারি কইতে কইতে অব্যাস খরাপ হই গেছে। আই জামাইয়ের লগে সুখে ঘর করইতেছি,আর মানিক ভাই মিছা প্রছার ছালাইছে,আই নাকি এরেস্ট হইছি!ডাহা মিছা কতা!এত ফিডা খাই হেতেরা ঠিক হইলো না!তাজ্জব ব্যাপার!বড় চিন্তা বিষয়!আবার কি গুজুব উডাই দেয়!

অনেক আদেশ, অনুরোধ অগ্রাহ্য করা যায়, আবার অনেক কিছুই অগ্রাহ্য করা যায়না


অনেক আদেশ, অনুরোধ অগ্রাহ্য করা যায়, আবার অনেক কিছুই অগ্রাহ্য করা যায়না। নাহ! লিখতে হবেই, হেভিওয়েট দের জন্য না হলেও, কিছু তৃণমূল দের জন্য, যারা আমার মত "সেন্টারিং বাঁশ" কে সবসময় সামনেই রাখে। আর আমি না হয় আরো কিছুদিন এই সেন্টারিং এর বাঁশ হয়েই থাকি।

Special thanks to Mdnurul Kabir Niru vai Mohammed Kamar Uddin vai তৃনমূল আর অপরিচিত নাম্বারটিকে।

Wednesday, July 27, 2016

ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের কলোনীর হারিয়ে যাওয়া ভাই- বোনদের ফিরে পাওয়া


ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের কলোনীর হারিয়ে যাওয়া ভাই- বোনদের ফিরে পাওয়া।তারপর সিএসএমের পেজের সৃষ্টি। আজ আমাদের পেজে প্রায় ৭০০ মত সদস্য ভাবতে ভাল লাগে।পেজ সৃষ্টির আগে কলোনীতে থাকতে বা কলোনী থেকে বের হয়ে আমরা মনে হয় খুব কম ভাই বোন জন্মদিন পালন বা আরেকজনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। কিন্তু এখন পেজের মাধ্যমে আজ এক ভাই- বা বোনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ও কেক কাটছি।সবাই একএিত হচ্ছি।আমাদের এ পাওয়া আমাদের সিএসএম পেজের কারনে।

রেজা ভাই তার জন্মদিনে যারা শুভেচ্ছা জানিয়েছে, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং ছোট বোন সাম্মির শুভেচ্ছা তার সবচেয়ে বড় পাওনা বলেছে।ছোট বোন সাম্মিকে অনেক ধন্যবাদ বোন।তোর ভাইদের প্রতি অগাধ ভালবাসার কারনে।

সব ভাই বোনের কাছে একটাই অনুরুদ। আমাদের এ বন্ধনন সব সময় অটুট থাকুক।করান এখানে আমরা আমরাইতো।সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।সিএসএমের সাথেই থাকবেন।

আমার ছেলে আহমেদ যাওয়াদ যিয়াদ


আমার ছেলে আহমেদ যাওয়াদ যিয়াদ। CGS মিস্ত্রীপাড়া শাখায় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। তৃতীয় শ্রেনীর বেসরকারি বৃত্তির জন্য স্কুল থেকে কয়েকজনকে নির্বাচন করা হয়েছে। তার মধ্যে আমার ছেলেও আছে। মোটামুটিভাবে ফাইনাল। ছেলে খুশি তার চেয়ে আমি বেশি খুশি। কারন আমি যে মানের ছাত্র তাতে বৃত্তিতো দুরের থাক বৃত্তির নাম নিতেও ভয় লাগতো। দুয়েকদিন স্কুলে কোচিংও করেছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল আরেক জায়গায। সমস্যাটা আমার ছেলে গত পরশুদিন থেকে আল্লাহর রহমতে কোরআন শরীফ পড়া শুরু করছে। এখন হুজুর যেই টাইমে ওকে পড়াতে আসে সেই টাইমে আবার স্কুলের কোচিং। তাই হুজুরকে অনুরোধ করলাম অন্য টাইমে আসার জন্য, কিন্তু উনি পারবেন না। এদিকে আবার কোচিং না করলে বৃত্তি দিতে পারবে না। ভালই ফ্যাসাদে পড়লাম। বাধ্য হয়ে ছেলেকে বললাম বৃত্তি আগামিও বছর দেওয়া যাবে। কিন্তু কোরআন শরীফ পড়া যখন শুরু করছো সেটা চালিয়ে যাও। পরেরটা পরে দেখা যাবে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss