Thursday, June 30, 2016

তখন আমি খুব ছোট


তখন আমি খুব ছোট। ক্লাস ওয়ানে কি টু তে পড়ি।আমাদের বাসায় মেহমান চকোলেট এর বক্স এনেছে।আমি সবাইকে কয়েক টা দিয়ে বাকিটা বক্স নিয়ে খাচ্ছি বিকালবেলা। একসময় নিচে নেমে গেলাম।হাটতে হাটতে জুনু আপাদের বাসার সামনে চলে গেলাম। সেখানে জুনু আপা( মিষ্টির বড় বোন) আর বাচ্চু আপা( টিটু ভাইয়ের ছোট বোন) গল্প করছিলেন। আমার হাতে চকোলেট দেখে মজা করে বললেন জুনু আপা, "জনি, আমাদেরকে একটা চকোলেট দাও।"

আমি বললাম, " আমার কাছে আর একটা চকোলেট আছে। আপনারা দুজনে ভাগ করে খান"
এই কথা শুনে বাচ্চু আপা বললেন, " আমরা ভাগ করে খেতে পারব না, দিলে একজনকে একটা করে দাও"
পরে জুনু আপা বললেন, " ঠিক আছে, তোমার চকোলেট তুমিই খাও, দিতে হবে না"
আমি হেসে চলে আসলাম।

আসলে শ্রদ্ধা, স্নেহ, ভালবাসা এগুলো তে কেউ ভাগাভাগি করতে চায় না। যার যার অংশ, তার অংশ তাকে পুরোপুরি বুঝিয়ে দিতে হয়, না হলে কারোই ভাল লাগে না।

জুনু আপাকে দেখি না অনেক বছর। পলাশ ভাইয়ের বিভিন্ন ছবির কল্যান এ উনাকে দেখতে ভাই একটু আধটু। আর বাচ্চু আপা ঘটনাক্রমে আমার প্রতিবেশী। দেখা হলে খুব মজা করে কথা বলেন। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে উনার সাথেও খুব একটা দেখা হয় না। ভাল থাকুক আমার এই দুই শ্রদ্ধেয় বড় আপা।

আমার পাশের সিটে...নিউজ24 live @সুবর্ন এক্সপ্রেস


আমার পাশের সিটে...নিউজ24 live @সুবর্ন এক্সপ্রেস
সাংবাদিক: আপু ঈদের ছুটিতে বারি যাচ্ছেন কেমন লাগছে?
জনৈক আপু: খুব ভালো লাগছে :-) 
সাংবাদিক: আচ্ছা, টিকেট পেত কোন সমস্যা হয়নি তো?
আপু: নাআআ, কোন সমস্যাই হয়নাই
আমি: অডি হনদিন টিকেট কাইন্টারত গেইয়ুস না? তুই হত্তুন জানিবি টিকেট লনর হস্ট৷
সাংবাদিক ও বসকে(আমাকে ) জিজ্ঞেস না করে আপুদেরকে জিজ্ঞেস করতেসে, তুই হয়ত বলদ নইলি চালাক কপি পোষ্ট

Wednesday, June 29, 2016

কি যে ভাল লাগলো


কি আনন্দ,কি হাসিমুখ,কি উৎফুল্ল,
কি যে প্রান চাঞ্চল্য,কি দারুন তারুন্য
কি যে খুশির ভাব সবার চোখে মুখে,
মুখে মুখে ভাব বিনিময়
হাতে পায়ে কি কর্মব্যাস্ততা!

শুধু এক মহান উছিলায়(ইফতার পার্টি) সবার সাথে সবার দেখা,CSM ছাড়া আর কোথাও এমন মিলন মেলা
রিয়া ভাবী,দেখলে তো তোমার ছেলেরা সত্যি অনেক বড় হয়ে গেল। তাইনা?

বহুদিন পর তুমি,মোমিন ভাই,মোসাদ্দেক,অচেনা বোন টি(মিসেস মোসাদ্দেক) কে আবার নতুন করে পেলাম।মেরাজ খান মজলিস ভাই কি হাসি মুখে পরিচয় দিলেন।ভেবেছেন ভুলে গেছি,ভুলিনি তো। আর রিয়া,তুমি তো বলেই ফেল্লে-- আপনি কিন্তু আমাকে "তুমি" বলতেন। 

আহ,কি মধুর স্মৃতি গুলো স্মরনে এনে দিলে।কত টুকু আপন হলে এ কথা বলা যায়? কর্ম জীবনের কচি কোমল হাত গুলো আজ শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে মহীরুহ হয়ে গেছে,কি যে ভাল লাগল দেখে কি করে বোঝাই।আমার শিক্ষকতা জীবনের ছাত্র ছাত্রীদের এখন ছেলে মেয়ে,বাবা মা ভাবতে ভালই তো লাগছে।আর জাকারবার্গের কল্যানে সব তো বন্ধু হয়ে গেল।

বাহ!কি চমৎকার মেলবন্ধন।এতজন শিক্ষক/শিক্ষিকাদের মধ্যে শুধু আমি ই উপস্থিত থেকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে তোমাদের অনেক অনেক শুভ কামনা।তারিক আমার ছাত্র।ওকে জড়িয়ে ধরে মনে হল সব কষ্ট যদি ওর মুছে দিতে পারতাম কোন ও আলৌকিক ক্ষমতায়। ওর চোখের জল-মনে হল বুকের রক্তধারা।কি করে বুঝাই এ কষ্ট?

আমি না পারলেও ওরা পারবে।এরা সবার ভালো চায়,উপকার করতে চায়।তাই ওদের জন্য সারা অন্তর দিয়ে দোয়া আল্লাহর কাছে।ওরা যেন একে অন্যের প্রতি বাড়িয়ে দেয় মমতার হাত,ভালবাসার হাত,গড়ে তুলুক আলোর ভূবন।মুছে ফেলুক কষ্ট।হাসুক সবাই একসাথে।

থাকুক সবাই একসাথে।
করুক কল্যানকর কাজ।

ধন্যবাদ আয়োজক রফিক,রেজা,রিপন,অপু আতিক,মনির,নাসের সহ বাকী সবাই কে।
ধন্যবাদ বিয়োজক যারা উপস্থিত থেকে বিয়োগ( খাবার দাবার সাবার) করলো সব।
ধন্যবাদ ইফতার পার্টি তে উপস্থিত সব স্টীলার দের।

সকালে বীচ থেকে ফিরে চিন্তা করলাম, একটু রেস্ট নিয়ে দুপুরের দিকে বাড়ীতে রওনা দিব


সকালে বীচ থেকে ফিরে চিন্তা করলাম, একটু রেস্ট নিয়ে দুপুরের দিকে বাড়ীতে রওনা দিব।তাই কলাতলি রোডে আমার এক ফ্রেন্ড(হোটেলের মালিক) কে ফোন দিয়ে জানতে চাইলাম, সে হোটেলে আছে কিনা! তখন সে বলল, না আমি মারম্যাড হোটেলে আছি এবং এখানে চলে আয়। তো আসলাম এবং বললাম একটু রেস্ট নিবো। সে সব কিছু ঠিক করে অন্য রুমে চলে গেল। 

(হোটেলে আছি বলে আমি বাথটাব এর ছবি দিব না।এই ডিজিটাল যুগে অনেকে দেয় তো তাই বললাম)।

অতঃপর আমি ঘুম যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম।কিন্তু মাননীয় ঘুম মহোদয় কিছুই তে আসছে না। তাই, শুয়ে শুয়ে লেখতে লাগলাম যদিও আমি তেমন লেখতে পারি না। লেখতে গেলেই সব কেমন যেন সেই -
"সিএসএম কলোনী"তে থাকা কালীন আমার প্রিয় 
"হুমায়ুন আহমেদ" স্যারের -
"আজ রবিবার" 
নাটকের জাহিদ হাসানের ডায়ালগ -
"হি জি বি জি"র মত হয়ে যায়। 
যাই হোক.....
আহ্ !!! 

বন্ধু রানা, তুই তো শুধু ঈদের বাড়তি গাড়ি বাড়া দেখলি


বন্ধু রানা, তুই তো শুধু ঈদের বাড়তি গাড়ি বাড়া দেখলি। এবার দেখ জামানার আঞ্চলিক ভাষায় বলি - বরি/হানপুল(এই সব পোলাদের আমি এই নামেই ডাকি, শুদ্ধ ভাষায় পাংকু) লাগানো ছেলেদের ফ্যাশন যদি এমন হয়, তাহলে নেংটো হতে অার কত বাকী ? 

অাসলে দেশটা ডিজিটাল হচ্ছে কিনা জানিনা, তবে কিন্তু দেশের এই শ্রেনীর মানুষগুলো ডিজিটালের 'ডিজি' বাদ দিয়ে সত্যি সত্যি টাল হয়ে যাচ্ছে নাতো !!!

এটাকে তুই কি বলবি?

নোট:- দয়া করে, কেউ বিষয়টা অন্য ভাবে নিবেন না। আসলেই তো দেশ টা এখন এই ভাবেই চলছে।

রাতে আমার এমনিতেই ঘুম হয় না


রাতে আমার এমনিতেই ঘুম হয় না। রাতে প্রজেক্টকেই সময় দিই এবং আজ অনেকটা বোরিং লাগছে প্রজেক্ট এর হাওয়া টা। কেন যানি বিরক্ত লাগছে তাই পাগলা টাইপের এই মন চাইল, সমুদ্রের হাওয়া খাবে(অনেকদিন আসা হয় না এবং আমরা স্হানীয় যারা আছি তারা আসলে রাতের সমুদ্র উপভোগ করি এবং প্রায় রাতে আসা হয় )। রাতের সাগরের হাওয়া অবলোকন করার জন্যে তাই প্রজেক্ট এর একজনকে সাথে নিয়ে বাইকে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলাম এবং চলে আসলাম।

সাগর পাড়ে নেমেই গেন্জি খুলে ফেললাম। খালি শরীরে সমুদ্রের হাওয়া লাগানো উফফফ! কি যে একটা ভাল ফিলিংস হচ্ছে বলে বুঝানো যাবে না এবং ফেরারী স্মৃতি গুলো আমাকে বার বার আঘাত (৯১' "হারিকেন" ঘুর্নি ঝড়ের মত) হানছে আমার হ্নদয়ের অ অ অ অন্তরে........ 

এবং ইন্দ্রনীল ছেত্রী'র মত মনে মনে বলি ---
প্রিয় ফুলন দেবী(কাল্পনিক),
একদিন এখানে রাতের পারে,
আঁধারের মত,
চাপা প'ড়ে গেছে যে হৃদয়, 
সেখানে দেখেছি
কোনো মানুষী ছিল না,
ছিল না আশা, 
নিরাশার ভয় য় য় য়....।

Tuesday, June 28, 2016

আজব একটা দেশ আমাদের


আজব একটা দেশ আমাদের। ঈদ করতে বাড়ি যাবেন দেন দ্বিগুণ ভাড়া। সুযোগ পাইছে আপনারে কোবাই দিছে। কোথায় আমাদের রাষ্ট্রের ব্যবস্থা,সমাজ ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
শুধু বড় বড় বুলি। সবকিছু সয্য করতে পারলে 
জনগণ ভালো।কোথায় আমাদের রাজনৈতিক বড় ভাইরা, সাংবাদিক,কবি ভাই বোনেরা।তোমরা এখন গাইবে। 
মা আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে 
অন্যায় দেখে ধৈয্য ধরে থাকতে পারি
তোমার ভয় নেই মা আমরা নিরবাক 
থাকতে পারি ।
আমরা নাকি সাহসী জাতি । কি সাহস এ জাতির টিভি চেনেল গুলোতে শুধু আলোচনা সমস্যা নিয়ে । সমাধানের কনো উপায় নেই । আরও আছে টিভিতে দেখায় তালাশ, অনুসন্ধান,ক্রাইম সহ ইত্যাদি এরা আবার শেষ করার সময় বলে যায় এ প্রশ্ন জনগণ আপনাদের কাছে রেখে গেলাম । ঠিক তেমনি আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি ঈদের সময় কেন যাত্রীদের কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হয়?????

বউ/ বেটির ঈদের জামা/কাপড় আমি নিজে পছন্দ করে কিনি


বউ/ বেটির ঈদের জামা/কাপড় আমি নিজে পছন্দ করে কিনি। এই ব্যাপারে আমাকে ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। আমার রুচির উপড় সারাফের মা'র অগাধ বিশ্বাস।[ থাকাটায় স্বাভাবিক, এই রুচি নিয়ে রাজশাহী গিয়ে,সারাফের মাকে বিয়ে করেছি]। একটু সময় বের করে শো রুমে গেলাম, জামা কেনার জন্য। পছন্দও করকাম কিন্তু সারাফের মা'র জামার মাপটি কিছুতেই মনে করতে পারছিনা!!! কত যেন মাপটি?? দিলাম কল, আচ্ছা তোমার মাপটি যেন কত? খুব শান্ত ভাষায় উত্তর এলো, তুমি কোথায়? বললাম, জামার দোকানে। সারাফের বাবা, তোমাকে জামা কিনতে হবেনা, তুমি মানুষ জনের সামনে জিজ্ঞাসা করছো, জামার ------ মাপ কত!!!!???? তুমি বাসায় এসে আমার মাপ নিয়ে , তারপর জামা কিনতে যাবে, তোমার মত অসভ্য------------!!!। শো-রুমের ইয়াং ছেমরি, আমার মুখের অবস্থা দেখে বুঝতে পারলো, "সামথিং রঙ"। স্যার, জামাটি কি নিবেন? বললাম, কাল এসে নিয়ে যাবো। শো- রুম থেকে বের হয়ে যাবার পথে দেখি, একদম সারাফের মা!! ঠিক সে রকম গোলগাল, ছোট/খাটো!! মাপটাও ঠিক একই হবে!! ৪--/৩--- এই মাপের জামা এই মহিলার হবেই হবে!! আরে, মাপটাও দেখি মনে পড়ে গেলো!!! অবশেষে জামাটি নিয়ে নিলাম। 
শো-রুম থেকে বাইরে এসে, খুশিতে সারাফের মাকে ফোন দিলাম। সারাফের মা, তোমার জামার মাপটি মনে পড়ে গেছে, জামাও কিনে ফেলেছি। এবার আরও শান্ত গলায় জিজ্ঞাসা করলো, তুমি এখন কোথায়?? বললাম, রাস্তা পার হচ্ছি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তুমি আমার জামার মাপ বলছো!!!! সারাফের বাবা, তুমি এটা ইচ্ছা করেই করছো!!! তুমি একটা চরম বদ!!!! আজ বাসায় আসো-------------।

Monday, June 27, 2016

মগের মুল্লুক


ক্লাস ফাইভে উঠার পর আমরা টিফিন ছুটিতে দুপুরের খাবার খেতে বাসায় আসতাম। এভাবে একদিন ক্লাস এইটে পড়ার সময় বাসায় এসে খাবার খেয়ে ঘুমিয়েছি, হঠাত ঘুম থেকে উঠে দেখি স্কুলে যাবার সময় পেরিয়ে গেছে।মানে ১ টা ক্লাস শেষ। আস্তে করে পরের ক্লাসের বই শার্ট এর ভেতর নিয়ে স্কুলে গেলাম।দেখি বিউটি আপা ক্লাস নিচ্ছেন।আমাকে দেখে ভেতরে আসতে বললেন।উনি বুঝতে পারেন নি আমি আগের ক্লাস মিস করছি। ভাবছেন আমি পানি খেতে বাইরে গেছি। এভাবে পরের দুটা ক্লাস করে বাসায় ফিরে এলাম।

পরের দিন আমাদের ক্লাস টিচার না আসায় বিউটি আপাই এলেন ক্লাস নিতে। উনি রোল কল করছেন, এমন সময় আমার নামের পাশে দেখেন এবসেন্ট লিখা। উনি জিজ্ঞেস করলেন আসল ঘটনা টা কি? 

খুলে বললাম, ঘুমিয়ে যাবার কারণে টিফিনের পরের ঘন্টা মিস করি যেটা মাহফুজ স্যার নিয়েছিলেন এবং উনি রোল কল করে আমার নামের পাশে absent লিখেছেন।

বিউটি আপা বললেন, স্কুল টা কি একটা মগের মুল্লুক হয়ে গেল নাকি! যার যখন খুশি আসবে, যাবে।যে ক্লাস ইচ্ছা করবে, করবে না হলে বাসায় ঘুমাবে।আমরা কি মগের মুল্লুক এর টিচার ইত্যাদি ইত্যাদি। 

সেদিন হয়ত আপা কে বলতে পারিনি যে স্যার আপাদের শাসনের মাঝেও একধরণ এর অদৃশ্য প্রশ্রয় ছিল যা আমাদের স্কুল টাকে বন্দীশালা নয়, মগের মুল্লুক ভাবতে মন চাইত

সময় বদলায়, বদলায় মানুষ


সুবর্ণা মুস্তাফার যখন বয়স যখন ২০ তখন নাটকে তার চাহিদা ব্যাপক, বলতে লাগলেন, ভাল নাটক গুলো সব তার কাছেই আসে।তিনি যেগুলো ফিরিয়ে দেন, সেগুলো অন্যরা অভিনয় করেন।

সুবর্ণার বয়স যখন ৩২, তখন নতুন কিছু মুখ এসেছে, শমী, বিপাশা,মিমি এরা। তিনি বললেন, এরা ত বই পড়েনা,অভিনয় করবে কি।

সুবর্ণার বয়স যখন ৪০, তখন তিনি বললেন, এখন ত কেউ নাটক দেখেনা।এদের অভিনয় দেখলে যা শিখেছি, তাও ভুলে যাব।তাই টিভি দেখি না। 

উনার বয়স যখন ৫০, তখন বলতে লাগলেন, ইয়ং ব্লাড অলওয়েজ পজিটিভ। আগে আমি খুব দ্রুত রিএক্ট করতাম।এখন আমার ধৈর্য বেড়েছে।তাই চুপ থাকি।

উপরে র ব্যাপার টাতে একটা বিষয় খেয়াল করা যায়, সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনা বদলায়।যখন কোন মানুষ কোন পক্ষে অবস্থান নেয়, তখন তার পেছনে যুক্তি থাকে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত অন্যের ভাবনা বা মতামত কে সম্মান করা, যেরকম সে নিজের টাকে সম্মান করে। মন্তব্য না করে কিছু বিষয় সময়ের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিত

দুই এক্কে দুই


এক অফিসে ছিল নিয়াজ নামে এক বস। তার অধীনে কাজ করত মাসুদ নামের এক অফিসার।এই অফিসারকে নিয়াজ সাহেব দুই চোখে দেখতে পারতেন না। সব কাজে ভুল ধরতেন। কোন কাজ না জিজ্ঞেস করে করলে বলতেন, আমাকে জিজ্ঞেস না করে কেন করছেন।আবার নিজ থেকে কোন কাজ করলে বলতেন, সব কাজ যদি আমাকে বলে দিতে হয়, তাহলে আপনাকে এত টাকা বেতন দিচ্ছি কেন।

এভাবে নানাভাবে মাসুদ সাহেবের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলছিলেন। মাসুদ সাহেব তক্কে তক্কে থাকতেন কিভাবে নিয়াজ সাহেব কে শায়েস্তা করা যায়। উনার খুব ইচ্ছা করত নিয়াজ সাহেব কে নিয়াইজ্জা নিয়াইজ্জা বলে ডাকতে, কিন্তু পারতেন না।

একদিন মাসুদ সাহেবের বাসায় নতুন ছেলে এল বাচ্চা দেখতে। তার নাম জনি।মাসুদ সাহেব জানতেন তার বসের ডাক নাম জনি।

অফিসে ত বসের সাথে কিছু করতে পারতেন না, বাসায় এসে জনি ছেলেটাকে কিছু হলেই ডাকতেন, জইন্না, ওই জইন্না। এই পানি নিয়ে আয়। ছেলেটা পানি নিয়ে এলে বলতেন, কিরে এত পানি আনছিস কেন, আমি কি গোসল করব। আবার কম আনলে বলত, কিরে পানির বিল কি তুই দিস না আমি দিব। 

এটা করে মনে মনে শান্তি পেতেন।কিন্তু তার স্ত্রী বুঝত না কেন তিনি জনি নামের ছেলেটার সাথে এমন করেন। একদিন জানতে চাইলে বললেন, তুমি জান না জনি নামের ছেলেগুলা রে কিভাবে ঠিক করতে হয়।

এদিকে মাসুদ সাহেব জনি ছেলেটা কে যতই বকা দিক, সে কিন্তু কিছু মনে করত না। মুচকি মুচকি হাসত আর বকা শুনে ওয়াশরুমে ঢুকে যেত। তারপর মাসুদ সাহেবের টুথব্রাশ দিয়ে কমোড টা পরিস্কার করতে শুরু করত।

আমি মনে হয় ক্লাস টু কিংবা থ্রি তে পড়ি


আমি মনে হয় ক্লাস টু কিংবা থ্রি তে পড়ি তখন থেকে আমাদর ঝুমুর আপু যেমন সুন্দরী ছিলেন এখনও একই রকম আছেন।মাশাআললাহ উনিও আমাকে একদম ছোট বেলা থেকেই খুব আদর করতেন।সেদিন সিএসএম এর মিলাদ মাহফিলে প্রায় পনের বছর পর দেখা হয়েছে।আপু আমাকে জড়িয়ে ধরতে চাছচে কিনতু আপুর ছেলে তো কোনো ভাবেই দিবে না।তারপরও উনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।পাশে উনি রানু আপু ছোট বেলায় সকুলে দেখেছিলাম একটু একটু মনে আছে।তবে ঝুমুর আপুদের বাসার সামনে যে পার্ক ছিল আমরা সেখানে গিয়ে খেলতাম।তখন থেকে ঝুমুর আপু একা আপুরা গলপ করতেন।আমার দুজনকেই খুব সুন্দর লাগতো।

বেশ কয়দিন থেকে এই গ্রুপটির ক্রিয়েটর সহ সকল সদ্যসদের ধন্যবাদ জানাতে খুব ইচ্ছা করছে


বেশ কয়দিন থেকে এই গ্রুপটির ক্রিয়েটর সহ সকল সদ্যসদের ধন্যবাদ জানাতে খুব ইচ্ছা করছে বিশেষ করে বড় ভাই Mosaddeque Ali কে। উনার মাধ্যমে আমি কাদের চাচাকে খুজে পেয়েছি প্রায় বিশ বছর পর।অনেক বছর ধরে আমি উনাকে খুজছিলাম হয়ত ভুল ওয়েতে। উনি অনেকের পরিচিত। তবুও আমি যে ভাবে উনাকে দেখেছি তার সামান্য বনর্না করব আমাদের ছোট ভাই বোনদের inspired করার জন্য। আমার কর্ম জীবন উনার হাত ধরেই শুরু। ১৯৯৩/৯৪ তে স-ইচ্ছায় স্টিল মিলের আরামের চাকুরি ছেড়ে গাজীপুরে ছোট্ট একটি ষ্টিল মিলে(এলিট স্টিল মিল) প্রজেক্ট ম্যনেজার হিসেবে যোগদেন। বেশ কয় মাস পর উনারর মাধ্যমে আমিও উনার সাথে যোগ দিই। আমি দেশে এবং বাহিরে অনেকের সাথে কাজ করেছি কিন্তু উনার মত এমন পরিশ্রমিক আর কর্ম পাগল মানুষ দেখিনি। মিলটি আমাদের মত বিশাল বড় না হলেও কাজ কিন্তু একই। পুরানো লোহা লক্কর গ্রেডিং স্কেলিং থেকে শুরু করে লোহার বার তৈরি, ল্যবরেটরি টেস্ট সর্ব শেষে ডেলিভারি পর্যন্ত সব কিছু এত দক্ষতার সাথে পরিচালন করতেন। জিবনে একটানা ৪৮ ঘন্টা কজ করার অভিজ্ঞতাও উনার সাথে হয়েছে। অতীতে মিলটির বড় কোন যান্ত্রিক ত্রুটি হলে ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে সলভ করত কিন্তু প্রথমবারের মত উনি উর্ধতন কতৃপক্ষ কে না জানিয়ে নিজ প্রচেষ্টায় মিলটি সচল করেন। কাজে যে কি আনন্দ সেদিন প্রথম অনুভব করেছি। প্রচন্ড গরমে যখন সবাই অস্হির তখন সবাইকে গুরের শরবত খাওয়াতেন আবার যে দিন প্রোডাকশন টার্গেট পূর্ন হতো পকেট থেকে টাকা বের করে দিতেন শ্রমিকদের বাজি ফুটানোর জন্য। এত কথা বলার একটাই কারন যে যেমন কাজই করি না কেন আনন্দ এবং আগ্রহ নিয়ে করার চেষ্টা করা উচিত।

রোজা শেষ হয়ে এলো


রোজা শেষ হয়ে এলো। সামনে খুশির ঈদ। কিন্তু এই খুশিটা সবার জন্য এক রকম না। কারো কারো জন্য দু:খটা চেপে রেখে পিছনের আনন্দ দিনের জাবর কাটা।
ছিল একদিন এমন আনন্দ মূখর, বন্ধু বিভোর;
এখন কেন যে জীবন নিথর।
সবামী-সন্তানে কেটেছে দিবস সবপ্ন রঙিন,
সেই মুখখানিও আজি হয়েছে মলিন।।
বলছিলাম আমাদের পাপ্পু আর চন্দন চাচীর কথা।
আমরা সবাই মিলে কিছু কি করতে পারি তাদের জন্য। অন্তত তারা যেন ভাবতে পারে-

"সব হারিয়েও আমরা একা না "।
ছোট ভাইদের প্রতি অনুরোধ - কিছু কি করা যায়?

ঈদ চলে এসেছে


ঈদ চলে এসেছে। শাটল বাসে গিয়ে হর্কাস মার্কেট থেকে ১৮০ টাকার অর্ডারী প্যান্ট টি আনতে হবে। হর্কাস মার্কেট থেকে প্যান্ট ও শার্ট বা গেন্জী কিনে এমন ভাব ধরে নিউ মার্কেটে ঘুরাঘুরি করতাম যেন প্যান্ট,শার্ট নিউমার্কেট থেকে কিনেছি।

Sunday, June 26, 2016

24/06/2016 ইং তারিখে ইফতার পার্টি নিয়ে


24/06/2016 ইং তারিখে ইফতার পার্টি নিয়ে-শ্রদ্ধেয় মোছাদ্দেক ভাই, আতিক, নাজমুল, জসিম, শিরিন ভাবী, টিটু শিকদার ও আরও অনেকে অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চাঁদপুরে-ধনী, গরীব ছোট-বড় সবাই এক কাতারে মিলে যে বিনা সুতার মালা তৈরী হয়েছিল-তা কি? নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করলে-শুধু একটাই উত্তর আসে আর তা ‘‘হলো-মায়া”/‘‘মায়ার-বন্ধন”।

পৃথিবীকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়-ধরনী তুমি কিসের টানে বেঁচে আছ? সে হয়তো বলবে, কেন, তোমরা জাননা বুঝি- আমি মহা শূন্যের মায়ার টানে বেঁচে আছি। আমরা মায়ের গর্ভে যে ভাবে 10 মাস 10 দিনে তিলে তিলে বেড়ে উঠি-ঠিক তেমনি আমাদেরও িএকটি সবুজ বেষ্টনি ঘেরা গর্ভধানীছিল-তার নাম সিএসএম কলোনী। যার রূপ রস গন্ধ আলো বাতাস খেয়ে আমি-আমরা বড় হয়েছি প্রায় দীর্ঘ 35 বছরেরও বেশী। যা আমাদের কাছে-মহামান্নিত অতীত আর গৌরব উজ্জ্বল ঐতিহ্যের ভাস্কর-এখানকার কৃতি সন্তানেরা প্রমিথিউসের মতো আলো জ্বেলেছেন ঘরে ঘরে এবং নন্দীত হয়েছেন বিশ্বের অনেক জায়গায়। এই সিএসম এম কলোনী টা-আমার ছিল-আমাদের ছিল, তাই এর কোন ষ্টিলারের সমস্যা মানে আমার সমস্যা-আমাদের সমস্যা। তদ্রুপ কোন ষ্টিলারের সুখ মানে আমার সুখ-আমাদের সুখ। কাল ইফতার পার্টিতে কয়েক জনের সাথে আলাপ করে আমার মনে হলো-পৃথিবীতে একেকজনের ইচ্ছা একেক রকম। আমার ইচ্ছার সাথে আরেকজনের ইচ্ছার মিল নাও থাকতে পারে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে যারা এসে ছিল-তারা প্রায় সবাই স্ব স্ব জায়গজায় সু প্রতিষ্ঠিত। তাই যে কোন কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে-দশ জনের দশ মতামত কে সবাই মিলে পর্যালোচনা করে-যে কোন সুন্দর সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। হঠাৎ করে দুই একজন মিলে তাদের মতামতকে সবার উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিৎ নয়। কারণ সিএসএম পেইজ কে আমারা যন্ত্রণার জায়গা বানাইতে চাই না। তাই সকল ষ্টিলারকে তিল তিল করে অন্য ষ্টিলারদের কল্যাণ সাধনে দ্রুত মনকে প্রস্তত করতে হবে, তা হলে একদিন দেখা যাবে আমরা যে কোন ষ্টিলারের সংকট ময় মুহুর্তে হয়তো সবচেয়ে বেশী কল্যাণ সাধনে সফল হবো।

ইফতার পার্টির আয়োজনের প্রথম পোস্টটি দেখার পর ভাবলাম যাওয়া হবে না


ইফতার পার্টির আয়োজনের প্রথম পোস্টটি দেখার পর ভাবলাম যাওয়া হবে না।তাই ততটা গুরুত্ব দিয়ে পড়তাম না।এই ধরনের সম্মিলিত অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখার প্রবনতা আমার মাঝে আছে তবে এখন কিছুটা বেরিয়ে এসেছি সেই মানসিকতা থেকে।পরে একটি পোস্টে দেখি তানিয়া আমাকে খুঁজছে।এখনতো সারা দিতে হয়! কি করা! পেইজ থেকে নিজেকে দূরে রাখলাম।কিন্তু কতক্ষন! একবার যখন জরিয়ে গেছি উপায় নেই।পেইজে যেয়ে দেখি তানিয়া আবার message দিয়েছে, আসছি কিনা?এখনতো আর এড়িয়ে যাওয়া যায় না! ছেলের বাবাকে বললাম, যাবে ইফতার পার্টিতে?বলল,বোর্ডের খাতা অনেক দেখা বাকী,যাওয়া হবে না বলে দাও।এই বলে সে তো চলে গেল কলেজে।ভাবলাম একবার না বললে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তানিয়াকে message দিলাম,এখনো বলতে পারি না,পরে জানাবো।দুপুরের আগে আবার তানিয়ার message যেভাবে হোক রাজি করিয়ে আসেন।এবার মন টানলো। কি করা যায়?ভাবতে ভাবতেই দুপরে ছেলের বাবার ফোন এল,আজ কলেজে ইফতার আছে, দেরি হবে।ভাবলাম, এই সুযোগ, এখন বললে ঝামেলা থাকলেও রাজি হবে।কারন আমরা কলেজ পার্টিতে নাই।অবশেষে তাই হলো। পরে message পাঠিয়ে দিলাম, যাব।কিন্তু ইফতার পার্টির দিন নিজস্ব কাজের জন্য যেতে দেরি হল।যখন পৌছলাম, দেখি, হল ভর্তি,সে এক অপরূপ দৃশ্য! আমাদের আসনও নির্দিষ্ট ছিল। যেন ট্রেনের সিটের মত। আগে উপস্হিত না হওয়ায় আফসোস কিছুটা আছে। তারপরও যেটুকু ছিলাম খুবই ভালো লাগলো। ইফতারের পর কিছুক্ষণ গল্প করলাম অনেকের সাথে,কফি খেলাম। সেই ছোট বেলায় দেখেছি কয়েক জনকে।এখন দেখি অনেক বড় হয়ে গেছে। সিনেমায় যেমন দৌড়াতে দৌড়াতে বড় হয়।অদ্ভূত রকমের ভাললাগা অনুভূতি! না গেলে মিস করতাল।এরকম মুগ্ধকর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ও অন্যদের অসখ্য ধন্যবাদ।

সি,এস,এম কলোনির যে কোন আয়োজন অনেক ভাল লাগে


সি,এস,এম কলোনির যে কোন আয়োজন অনেক ভাল লাগে।যে কোন ছোট আয়োজন বড় হয়ে যায় সকলের আন্তরিকতায় আর ভাল বাসায়। এ যেন নাড়ির টানে ছুটে যায় মন,যখনি শুনি সি,এস,এম আমাদের সপ্নের সি,এস এম। যাক ইফতার পার্টি তো ভাল করে হল।এবার আমরা কি পারি না সে আগের মত আমাদের ইদুল ফিতরের নামায টা সি,এস,এম কলোনির মাঠে এক সাথে আদায় করতে। বড় ভাইদের দৃস্টি আকর্ষণ করছি।

একটি পোষ্ট এবং পাপ্পু ভাই


গত কয়েকদিন আগে আমাদের আমেরিকা প্রবাসী স্টীলার একরাম ভাই একটা পোষ্ট দিয়েছিল।পোষ্টের বিষয়বস্তু ছিল দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা আমাদের পাপ্পু ভাইয়ের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহবান।

৬৫০+ সদস্যবিশিষ্ট পেইজে উক্ত পোষ্টে লাইক কমেন্টস ছিল খুবই নগণ্য।এ রকম একটা মানবিক আবদনে উনি আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় উনার মর্মাহত হওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ ছিল।কিন্তুু নিরু মামা উক্ত পোষ্টের কমেন্টসে অত্যান্ত সুচারুভাবে ব্যাপারটি তুলে ধরেন।আমি কিংবা আমরা যতটুকু জানি পাপ্পু ভাই আর্থিক কোন সহায়োগিতা চাননি।

সি এস এম ইতিমধ্যে অনেক স্টীলারের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে।তারেক ভাই,শামীম,শামশু নানার পুত্রবধু এবং সম্ভবত আরো কয়েকজন।ইতিমধ্যে চন্দন চাচীর জন্য ফান্ড সংগ্রহের কথাবার্তা হচ্ছে।তাহলে পাপ্পু ভাইয়ের জন্য সি এস এম কিছু করতে পারবে না বা করবে না,এটা নিতান্তই ভূল ধারণা বলে আমার মনে হয়।আমাদের পেইজে ৬৫০+ সদস্য।আমরা অনেক কিছুই করতে পারি।বিগত একবছরের কর্মকান্ডই তার প্রমাণ।আমাদের মধ্যে অার্থিকভাবে স্বচ্ছল অনেক স্টীলার ভাইবোনেরা আছেন।আমরা সবাই মিলে পাপ্পু ভাইয়ের জন্য কি কিছু একটা করতে পারি না???
এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন উনার ব্যাচ ম্যাটরা।যেমনটা আমরা দেখেছি তারেক ভাইয়ের ব্যাপারে ৯৪ ব্যাচের ভূমিকা।কিংবা প্রবাসে ও (আমেরিকা) আমাদের অনেক স্টীলার আছেন,একরাম ভাই ও চাইলে একটা ফান্ড পাপ্পু ভাই সহ অন্যদের জন্য করতে পারেন।আসলে আমাদের সকলের সম্মিলিত চেষ্টাই সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারেন আমাদের প্রিয় তারেক ভাই,পাপ্পু ভাই কিংবা চন্দন চাচী। আশা করি আমাদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাইয়েরা (যারা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন) বিষয়টি ভেবে দেখবেন।

(বিঃদ্রঃআশা করি এই পোষ্টটি পেইজে কোন বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।এবং যদি এডমিন মনে করেন পোষ্টটি অপ্রসাংগিক/অপ্রয়োজনীয়, তবে এডমিন উনার ক্ষমতাবলে পোষ্টটি ডিলেট করার ক্ষমতা রাখেন।এবং এ ব্যাপারে আমার কোন আপত্তি থাকবে না)

Saturday, June 25, 2016

গ্রান্ড আড্ডার পর থেকে আবার একটা মিলন মেলার সুযোগ খুজছিলাম


গ্রান্ড আড্ডার পর থেকে আবার একটা মিলন মেলার সুযোগ খুজছিলাম।ছোট ছোট আড্ডা দিয়ে প্রান ভরছিল না। কোথায় যেন বারবার অতৃপ্তি থেকেই যাচ্ছিল। ইফতার পার্টি বা ইফতার মাহফিল সেই অতৃপ্তিকে অনেকখানি পুরন করে দিল। ঢাকা, চট্টগ্রাম,চাদপুর একই সাথে ইফতার আয়োজন, স্টীলারদের প্রাণবন্ত উপস্হিতি আবার বিশ্বাস তৈরী করে দিল আমরা যত দূরেই থাকিনা কেন, আমাদের আছে আত্মার এক সুদৃঢ় বন্ধন। আমরা চাইলেও আলাদা হতে বা থাকতে পারবো না। ফিরে আসতেই হবে সি এস এম নীড়ে। ইফতার আয়োজন নিয়ে যখন কাজ করছিলাম তখন প্রতিদিন সবার কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছিলাম, অনুমান করতে পারছিলাম আবার মিলন মেলা হবে।হলোও তাই। ধন্যবাদ সি এস এম কলোনীর সকল মেম্বারদের। আজ আরেকবার ধন্যবাদ জানাতে চাই সেই সকল বড়ভাই, বন্ধু,ছোটভাইদের যাদের সকল প্রকার সহযোগীতার মাধ্যমে আমাদের ইফতার আয়োজনের সফলতা। আরও একবার ধন্যবাদ জানাই সেই স্টীলারদের কারন যেকোন সহযোগীতায় তারা কখনো না বলেনী। আমার মনে হয় সি এস এম ব্যাপারে তারা না বলতে শিখেনি। আজ সবার কাছে নুতন করে বলতে ইচ্ছে করছেঃ এভাবেই একসাথে থাকবো, যতদিন বাচবো।সারা বাংলাদেশের সকল স্টীলারদের এই বন্ধন অটুট থাক, এই মোর কামনা।

ছোট ভাই Jahed Tipu র টিপুর পোষ্ট এর পর থেকেই চিন্তা ভাবনা শুরু


ছোট ভাই Jahed Tipu র টিপুর পোষ্ট এর পর থেকেই চিন্তা ভাবনা শুরু। ভেবেছিলাম ছোট্ট পরিসরে একটি ইফতার আড্ডার আয়োজন করবো। কিন্তু Mahmudur Rashid Pulak এর পোষ্ট এর পরে সবার রেসপন্স দেখে আরো বড় করা যায় কিনা এটা নিয়ে বড় ভাই Jashim Uddin ভাইয়ের সাথে কথা বললাম, আরো বড় করার বিষয়ে উনিও মত দিলেন। বড় আয়োজনের ক্ষেত্রে টাকা একটা বড় ব্যাপার। আমাদের সবসময়ের শুভাকাঙ্ক্ষী বড়ভাই Drmozammel Hoque ভাই,Ziaul Hasan ভাই, Masuk Elahi ভাই, বন্ধু Mainuddin Ahmed Siddique Titu এবংছোট ভাই Shahabuddin Liton এর সাথে কথা বললাম। তারা আশ্বস্ত করলেন। হোটেল বুকিং দিয়েছিলাম ৫০ জন দিয়ে, এরপর বাড়তে বাড়তে সেই সংখ্যা ১৩০ এ নিয়ে গেলাম। ইফতারের আগে আমাকে অবাক করে দিয়ে উপস্থিতি সংখ্যা ১৬৫ ছাড়িয়েছে। হোটেল কতৃপক্ষের আন্তরিকতা এবং আমাদের স্টিলারদের ভালোবাসায় ইফতারি সময়ে কোন সমস্যাই মনে হয় নাই। এই ধরনের অনুষ্ঠানে ভালোবাসার এত ছড়াছড়ি থাকেযে ছোটখাটো সমস্যাকে সমস্যাই মনে হয়না। ২৯ জানুয়ারি সারাদিন অনুষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও অনেকের সাথে দেখা না হওয়ায় আক্ষেপ ছিল। কিন্তু গতকাল ইফতার অনুষ্ঠানে প্রায় প্রত্যেকের সাথেই কথা হয়েছে। ভীষন ভালোলাগার অনুষ্ঠানে এত স্টিলারের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। সবার নিকট অশেষ কৃতজ্ঞতা।

ইচ্ছা শক্তিটাই বড় কথা


ইচ্ছা শক্তিটাই বড় কথা। আমরা তাদের পাশে দাড়াবো কিনা? আমাদের সাধ্যমত। ইচ্ছা করলেই আমরা পারি। আমরা এর আগেও করে দেখিয়েছি। পাপ্পু অনেক দিন যাবত অসুস্থ। পাপ্পু এখন পঙ্গু। দীর্ঘদিন ধরে সে বিছানায়। প্রচুর টাকার দরকার তার চিকিতসার জন্য। এত টাকা হয়তো আমরা যোগার করতে পারবো না। এমনও হতে পারে, পাপ্পু হয়তো কোনোদিন সুস্থ হবেনা। কিন্তু আমরাতো তার পাশে দাড়াতে পারি। কিছুটা হলেও, আমরা তার দিকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। আমাদের এই সহযোগিতার বাড়িয়ে দেয়া হাত, পাপ্পু হয়তো একটু হলেও ভালো থাকবে।

চন্দন চাচি। স্বামী সন্তান হারা একজন অসহায় মহিলা। চাচি নিজেও একজন অসুস্থ মানুষ। বহু কস্টে যিনি দিন যাপন করেন। csm কলোনিতে, চাচি অনেককেই গান শিখিয়েছেন। প্রানবন্ত একজন মানুষ ছিলেন। কিন্তু আজ তিনি বড় অসহায়। এই দুনিয়াতে তার অতি আপনজন বলতে কেও নেই। আমরা একটু ইচ্ছা করলেই চাচির পাশে দাড়াতে পারি। আমাদের এই পাশে দাড়ানোতে, চাচি একটু হলেও ভালো থাকবেন।

একজন ভাই ও একজন মা সমতুল্য চাচির কথা বললাম। তারা দুজনেই অসুস্থ। এই দুইজন স্টিলারের পাশে আমরা আমাদের সাধ্যমত দাড়াবো কিনা, সেটা নির্ভর করছে আমাদের ইচ্ছা আর আন্তরিকতার উপর।

অজস্র ধন্যবাদ


গতকাল ১৮ রমজান ঢাকা, চট্টগ্রামে হয়ে গেল সিএসএম কলনী ইফতার পার্টি। নিখাদ আন্তরিকতা, উদ্যোগ-আয়োজন আর বিপুল অংশ গ্রহনের মাধ্যমে উদযাপিত এ ইফতার পার্টিতে সকলের সম্পৃক্ততাই প্রমান করে আমাদের বন্ধনের দৃঢ়তা।

অফিসের ব্যস্ততা সত্তেও অনুষ্ঠানে সপ্রিবারে অংশ গ্রহন করতে পেরে ভালো লাগছে। নাহলে 'কি যেন হারিয়েছি, কি যেন মিস করেছি- এমনতর অতৃপ্তি বয়ে বেড়াতে হোত।

যাহোক এমন সুন্দর অনুষঠান উপহার দেবার জন্য আতিক,রফিক,রেজা,অপু,রিপন সহ সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা সকল অংশ গ্রহনকারী ভাই- বোন,তাদের স্পাউজ,ছেলেমেয়েদের প্রতি।

শেষ করি একটা কবিতার লাইন দিয়ে--
" তুমি নেই, তোমার বন্ধন পড়ে আছে --"
কবি হয়তো তার প্রেয়সী কে নিয়েই লিখেছেন;
আমি এখানে স্টিল মিল কলোনীকেই মিন করছি !!
সবার জন্য শুভকামনা !!!

রোজার আগেই একটি ইফতার পার্টি নিয়ে মাথায় প্ল্যান ঘুরছিল


রোজার আগেই একটি ইফতার পার্টি নিয়ে মাথায় প্ল্যান ঘুরছিল, কয়েকজনের সাথে এটা নিয়ে আলাপও করেছিলাম বোধ হয়। রোজার শুরু থেকেই অফিসের কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এদিকে আর মন দিতে পারছিলাম না, এর মধ্যে Anisur Rahman Reza Reza] ভাই আর বন্ধু Monirul Islam Monir এর ফোন, দু জনেরই ইফতার পার্টি আয়োজনের ব্যাপারে কথা বলল, আমি তখন পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান হাশেম সাহেবের দৌড়ের উপর আছি। রেজা ভাই আর মনিরুল দু জনকেই সেই "সরকারী " টাইপ উত্তর দিলাম "দেখছি"। এদিকে Abdullah Al Mamun অপু ভাই আছেন বারাক ওবামার দেশে আর Rafiqul Islam ভাই সৌদি সফর শেষ করে চায়না মালয়েশিয়া করছেন। ইফতার পার্টি আয়োজন করতে গেলে এই দুজনের সাথেও বসা দরকার।

অবশেষে গত ১৮ জুন সকালেই আধা ঘন্টার নোটিশে ঢাকার ইফতার পার্টির ভেন্যু, মেন্যু আর তারিখ নির্ধারণ করে পোস্ট দেওয়া হলো। এর আগে ২০০০ ব্যাচ আয়োজিত ইফতার পার্টির উদ্যোক্তা হিসেবে Abu Naser এর অভিজ্ঞতার জন্য রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ এর সাথে যোগাযোগ সহ যাবতীয় কাজের দায়িত্ব দেওয়া হলো এই নাসের কে।

প্রথম দিকে একটু সংশয়ে ছিলাম অংশগ্রহণকারী হয়তো বেশি হবেনা, এটা নিয়ে ভিতরে ভিতরে একটু টেনশন কাজ করছিল। যাহোক আমরা অভিভূত যে প্রায় ১৪০ জন আমাদের এই ইফতার পার্টিতে অংশ নেয়।অংশ গ্রহনকারীদের প্রতি সেজন্য আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশেষ করে সুদূর ময়মনসিংহ থেকে বন্ধু Anisur Rahman ওরফে জুয়েল " কাকা" আর নারায়ণগঞ্জ থেকে "জ্যাডা" Rezaul Karim লিটনের উপস্থিতি ছিল সবার জন্য আনন্দদায়ক। জুয়েলের সাথে দীর্ঘ ২২ বছর পর দেখা হলো এই ইফতার পার্টির সৌজন্যে।

গতকাল একসাথে ঢাকা, চিটাগাং ও চাদঁপুরে ইফতার পার্টি হল


গতকাল একসাথে ঢাকা, চিটাগাং ও চাদঁপুরে ইফতার পার্টি হল।সবাই ইফতার নিয়ে দু - তিন লাইন করে লিখলে ভাল হয়। যেমন মামুন ভাই আমেরিকা থেকে এসে ইফতার পার্টিতে যোগদান করেছে।তারপর টিটু কক্সবাজার থেকে এসেছে।বান্দরবান থেকে বর সহ এসেছে রনি, জুয়েল ভাই ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ইফতারে এসেছে,তাদের এতদিন পর কেমন লেগেছে? অনেকে আড্ডা তে আসতে পারেনি কিন্তু ইফতারে এসেছে তাদের অনুভূতি কেমন, অনেকদিন পর অনেকের সাথে দেখা। কি বলি সবাই কারন এখানে সব আমরা আমরাইতো। 

Friday, June 24, 2016

চিটাগাং, ঢাকা ও চাদঁপুরে ইফতারে এক সাথে সম্পূর্ণ হয়েছে


চিটাগাং, ঢাকা ও চাদঁপুরে ইফতারে এক সাথে সম্পূর্ণ হয়েছে।বিপুল সারা পাওয়া গেছে।যারা ইফতারে এসেছে সবাই কে সিএসএম এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।আমাদের এই বন্ধনন সব সময় থাকবে সেই প্রত্যাশা করি।আর যে সব বড় ভাইয়েরা এই ইফতারের আয়োজন করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর অনেক ভাই- বোন অনেক দূরের থেকে ইফতারে যোগদান করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা সিএসএম এর প্রানের টানে এই ইফতারে যোগদান করেছে।

বড় ভাইদের মধ্যে চিটাগাং এ মোজাম্মেল ভাই,জিয়া ভাই, শাহজাহান ভাই,বক্কর ভাই,স্বপন ভাই,জাফর ভাই,শিরিন আপা,মামুন ভাই,তারেক ভাই সহ আরো অনেক বড় ভাইয়েরা আমাদের এই ইফতারে এসেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

মামুন ভাই ৮৯ ব্যাচ আমেরিকা থেকে দেশে এসে আমাদের ইফতারে যোগ দিয়েছে,মামুন ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলের সু- স্বাস্থ্য কামনা করছি ও অগ্রিম ঈদুল ফিতরের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সি এস এম এর ইফতার পারটি তে আগত বড় ভাই,ছোট ভাই ও বোন রা সবাই কে


সি এস এম এর ইফতার পারটি তে আগত বড় ভাই,ছোট ভাই ও বোন রা সবাই কে অন্তরের অন্তর থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অনেক কস্ট করে দূর দুরানত থেকে এসে সবাই এক সাতে ইফতার করার জন্ন,জানি বা বুউজতে পারিনি আমাদের এই আয়োজন কেমন লেগেছে সবার, কে কি খেল তা কিন্তু কারো কাছে ই বড় কোন বেপার না এইটা ধারনা, কিন্তু সবাই এক সাতে বসে ইফতার খাওয়া কথা বলা,এক জনের সাতে আর এক জনের দেখা হওয়া কেমন অনুভুতি আমার জানার খুব ইচ্ছা, আশা করি যারা আজ ইফতার পাটি তে এসেছিলেন সবাই এখেনে দু কলম লিখে তাদের মনের অজানা কথা টা আমাদের কে জানাবেন তাতে আমরা ধন্য হব। সবিনয়ে অনুরোধ করে বলছি সবাই লাইক দিয়ে চলে গেলে হবে না , অনুভুতি প্রকাশ করবেন, অবশ্যই কম্মেন্টস করবেন।



মোনাজাত এর ভিডিও লিঙ্ক

দুচোখে আজ ঘুম নেই মনের মধ্যে খালি আফসোস লাগতাছে কেমনে সময় চলে গেলো


, আজ ঢাকায়, চিটাগাং, চাদপুর, নোয়াখালি ইফতার পাটি হয়েছে,ইফতারে আগে কয়েক দিন সবার সাথে যোগাযোগ করার পর চিন্তা করতাম সবাই আসবে তো তাই বারবার সবাইকে ফোনে তাগিদ দিতাম,বিকাল ৩.৩০মিনিটে আমি ভেনুতে হাজির তখন কেউ আসে নি ৪টার দিকে ধামরাই থেকে রমজান তার বাবা ছোট বোন আসলো তাদের সাথে আলাপ করতে করতে নাসের কে ফোন দিলাম,নাসের সাথে চলে আসলো এর মাঝে বন্যা আপা তিন কন্য নিয়ে হাজির আছর এর আযান দিলো আমি আর নাসের মসজিদের উদ্যেশ এরই মাঝে আমাগো জুয়েল ওরফে জুয়েল কাক্কু ও রেজা ভাই হাজির জুয়েল সৈই ময়মনসিংহ থেকে হাজির সি এস এম এর টানে,নামাজ পড়ে এসে দেখি অনেকে হাজির আস্তে আস্তে সি এস এম কলোনীবাসি বাড়তাছে,একসময় পুরা হাউজফুল আমাদের সকলের প্রাণের আনন্দে জোয়ার আনার যার সবচেয়ে বেশি অবদান সেই তারিক ও এসে হাজির, সবার সাথে সবার দেখাদেখি কোলাকোলি,সবার মনে মুখে অন্য রকম ভাব, এই করতে করতে ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসলো গোছালো ভাবে সবাই ইফতার শেষ করলো, এরই ফাঁকে নামাজ পড়ে নিলাম,আবার আডডা এরই ফাঁকে কখন ৮টা বেজে গেলো টের ও পেলাম না ভেনু থেকে বাসায় আসতে ৩০মিনিট লাগে কোনমতে কয়েক জনকে বলে, বড় ভাই বোন ছোট ভাই বোন দেরকে না বলে চলে আসলাম কিছুটা হেটে কিছুটা রিকসা টারপর লেগুনা করে সোজা বাসায় ওজু করে ঠিক সময়মতো নামাজ পেলাম,এই অল্প সময়ের মধ্যে কলোনীবাসি একসাথে কিছুটা সময় কাটানো আমার কাছে বিরাট কিছু পাওয়ার সমান,দোস্ত জুয়েল রতন বড় আপা টিটু ভাইয়ের বোন উমি আপা, রনি আপা,আরো অনেক কে অনেক অনেক বছর পর দেখে মনটা কেমন উতালা হয়ে উঠলো এর রেশ সহজে কাটবেনা,এই যেমন এখন চোখে ঘুম নেই,এই ইফতার পাটি যারাই আয়োজন করে থাকুক আমার এবং সকল কলোনীর বাসি অন্তর থেকে দোয়া ও ভালোবাসা রইলো,(সরি সকলের কাছে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আস্তে পারি নাই বলে)

I post something day before yesterday


I post something day before yesterday but till now only 7 members like and one member comments on it, but my expectation was 300 like 200 comments on it, even you help or not, it's not acceptable form Great CSM colony members, I am not doing fun here I am crying help for Pappu not for me. 

Pappu is one of our CSM family member and we are neglecting him, shame on us. 

ইফতার মাহফিল


সময় মত সেহেরী খেয়ে ফজরের নামাজটা পড়ে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছিল না(প্রচন্দ চোখে ঘুম থাকা সত্ত্বেও কারন গতকালও খুবই কম ঘুমিয়েছি)। চোখে শুধুই সিএসএম এর স্মৃতি গুলো ভাসছিল এবং আজ আবার সিএসএম কলোনীর ইফতার মাহফিল বলে কথা তো ঘুমতো আসবেই না যতক্ষণ পর্যন্ত উপস্হিত হতে না পারি(আমার আমিকে চিনিতো)। চিন্তা করছিলাম তিন/চারেক ঘন্টা ঘুমিয়ে দশ বা এগারটার(মাননীয়া সরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলা ছিল দশটার দিকে যেন ডেকে দেয় কিন্তু কি জন্যে! সেটা বলিনি কারন আমি জানি যে, বললে আমাকে ডেকে দিবে না) দিকে রওনা দিব কিন্তু বিধিবাম একবার এপাশ হয় তো আবার অন্য পাশ ঘুম কিছুইতে আসছে না যদিও চোখে ঘুম আছে। পড়লাম মহা যন্ত্রণায়, ঠিক যেন গেলবার গ্রান্ড আড্ডার মত, তখন তো রাতের বারটা বাজেই রওনা দিয়েছিলাম এবং না ঘুমিয়ে সারাদিন আড্ডায় খোশ মেজাজে ছিলাম। তাই বুজলাম, এবারও না ঘুমিয়ে সারাটা দিন কাটাতে হবে।

পুরনো সব স্মৃতি(শৈশব এবং কৈশর) মনে পড়তে পড়তে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে পাঁচটা(৫.৩০)। উঠে বসলাম এবং চিন্তা করলাম ঘুম আর আসবে না, এখন রওনা দিলে ঘন্টা সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যে পৌছাব এবং মনে মনে ভাবলাম, পৌছে সেই প্রানের সিএসএম কলোনীর বাজার এবং এর আশপাশ ঘুরব কারন সত্যি কথা বলতে কি সেই ৯৮' সালে যে চলে আসলাম, তারপর প্রায় ১৯ টা বছরে আর কোনদিন ওদিকটাই যাওয়া হয়নি আসলে যাওয়া হয়নি বললে ভুল হবে ইচ্ছে করে যাইনি(বন্দর টিলা পর্যন্ত গেছিলাম) কারন আমার কিছুতেই ভাল লাগবে না এবং খুবই আবেগ আপ্লুত হয়ে যাব(আমার আবার আবেগটা একটু বেশী যা এই মুহুর্তেও মনের ক্যাভাসে কাজ করছে মনে হচ্ছে কেউ আমার ভেতর ঢুকে Shajib Kumer Dey দার মত ড্রামস বাজাচ্ছে)।

আজ একটি সংগঠনের আমন্ত্রণে টানা ১৫ মিনিট আবৃত্তি করতে হবে


আজ একটি সংগঠনের আমন্ত্রণে টানা ১৫ মিনিট আবৃত্তি করতে হবে তিনটি কবিতা।নির্বাচিত তিনটি কবিতার মধ্যে একটি ছিল রবীন্দ্রনাথের মেঘলা দিনে।অনুষ্ঠানের শুরুতে খররৌদ্র।বাদ দিতে হলো মেঘলা দিনে।কিন্তু পড়তে হবে তিনটি কবিতা। টেনশন করি কেন আছে তো স্টীলার কবি ভাই আতিক ভাই।পড়লাম গ্রীষ্মের খরতাপে কবিতাটি।সবাই বললো আপা বই টা একটু দিবেন? তারপর বললাম, উনি মনের আনন্দে লিখেন ।

গত দুদিন ধরে মনের মধ্যে একটা অন্য রকম অনুভূতি অনুভব করছি


গত দুদিন ধরে মনের মধ্যে একটা অন্য রকম অনুভূতি অনুভব করছি যে আর দুদিন পর তো আমাদের সেই সিএসএম এর সব ভাইবোনেরা একসাথে হবো।ঠিক গ্রানড আডডাতে যাওয়ার আগের মত।খুব খুশি লাগছে যা বলে বুঝানো যাবেনা।ছেলের বাবাকে বহু কষটে রাজী করিয়েছি,তার কথা তারাবি পড়তে হবে।এতো দুর থেকে এসে তারাবি কি পাওয়া যাবে।আমি বলেছি বেশি খন বসতে হবেনা।তারপর রাজি হল।একাও আসতে দিবে না।জীবনে ১ম কোনো ইফতার মাহফিলে যাচছি তাও আবার আমার কলোনির ভাইবোনদের সাথে।দোয়া করি সব কিছুযেন সুন্দর ভাবে হয়।সবাই ভাল থাকবেন।।।

Thursday, June 23, 2016

ভাল লাগে স্টিলমিল কলোনী কে


ভাল লাগে স্টিলমিল কলোনী কে, ভাল লাগে কলোনীর সবাই কে, ভাল লাগে তাদের বিভিন্ন আবেদনময়ী আয়োজন কে, মাঝে মাঝে বিভিন্ন কারনে রাগ হয় তারপরও কি অবজ্ঞা যায় কলোনীর আদলে করা এসব আয়োজনকে। 

আশা করি সবাই অংশগ্রহন করবে স্টিল মিল কলোনীর ২৪ তারিখের ইফতার মাহফিলে, অাবারও প্রমান করতে হবে আমাদের দেহ ভিন্ন কিন্তু মন এক।

আগামিকাল আসছো তো সবাই সি এস এম ইফতার পাটি তে


আগামিকাল আসছো তো সবাই সি এস এম ইফতার পাটি তে।আগ্রাবাদ বাদামতলি জামান্স এ, ভুল করে ৭ টায় কেউ আসবে না , ভুল করে হলে ও ৫টার আগে এসে নিজ নিজ আসন গ্রহন করবে, এই প্রত্যাশা রইলো।

২০১৬ সালের এই রমজান আর ইফতার পাটি আর পাবে না, না এলে কি করবেন বুজে দেখেন ।এখন মর্জি বা ইচ্ছা একান্ত আপনার।তোমার, তোর।যে যেভাবে নিবেন।

আমরা ঢাকায় বসবাসরত প্রাক্তন CSM Colony বাসীরা ইফতার পার্টির উসিলায় আগামীকাল একত্রিত হতে যাচ্ছি


আমরা ঢাকায় বসবাসরত প্রাক্তন CSM Colony বাসীরা ইফতার পার্টির উসিলায় আগামীকাল একত্রিত হতে যাচ্ছি। খুব্বি ভালই লাগছে অনেকদিন পর সবাইকে আবার দেখতে পারবো!!!

আমাদের এই মিলনমেলা যেন সুস্ট ও সফল হয় এবং রমজান মাসের ভাব গাম্ভীর্য যেন বজায় থাকে সেই লক্ষে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করছি। মনের মধ্যে শুধু একটাই শ্লোগান পুষে রাখবো "আমরা আমরাইতো"।

ক্লাস নাইনে উঠেছি


ক্লাস নাইনে উঠেছি, ইচড়ে পাকা বলতে যা বুঝায় তার সবই হয়ে গেছি, বিড়ি সিগারেট, প্রেম ভালোবাসা, স্কুল পালিয়ে খালপাড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা তাস খেলা কোনটিই বাদ নেই। তাস খেলতে গেলে সিগারেট খাওয়ার ধুম ছিল দেখার মত, দুই হাতে তাস ধরা আর ঠোটের ফাঁকে সিগারেট। 

সেই সময় কালে "হেরোইন" নামক এক নতুন ড্রাগের কথা শুনলাম, উঠতি বয়স তাই নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আকর্ষণ ছিল।
চিন্তা করলাম একবার টেস্ট করে দেখতে হবে। সেই সুযোগ টা কাজে লাগালো আমাদের এক ক্লাস সিনিয়র এক ছেলে, সেও আমাদের সাথে তাস খেলতো, তার নামটা ঠিক মনে আসছেনা তবে তাকে আমার "দোস" বলে ডাকতাম। সে তাসের আড্ডায় হেরোইন বলে যে সিগারেট টা দিতো সেটা খেতে কেমন যেন ঝাঁঝালো লাগতো। নিজেদের খুব স্মার্ট আর আপডেটেড মনে হলো এটা ভেবে যে আমরা হেরোইনও খাই। এভাবেই দিন যাচ্ছিল। গোমর ফাঁস হলো কিছুদিন পর, ওই দোস নামক ছেলেটি সিগারেটের ফিল্টারে হাল্কা করে টাইগার বাম লাগিয়ে আমাদের কাছে হেরোইন বলে চালাতো। এ জন্য অবশ্য দোসের উপর হাল্কা উত্তম মাধ্যম দিলাম।

তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা যে, অন্তত এই মরননেশা শেষ পর্য্যন্ত আর গ্রাস করতে পারে নাই।

Wednesday, June 22, 2016

সি এস এম এর সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি


সি এস এম এর সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ বেশ কিছু দিন আগে থেকে জসিম ও পুলকের পোস্ট এর মাধামে জানিয়েছে যে আগামি ২৪ তারিখ আমাদের সি এস এম এর ইফতার পার্টি হবে যারা যারা এতে অংশ গ্রহন করবেন সবাইকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে তাতে সবার জন্য ইফতার ও অন্যোন্য কাজ ও আয়োজন করা সুবিদা হবে, তাই অনুরোধ করে বলছি যারা এখনো সুজনের পোস্ট এ জয়েন্ট এ ক্লিক করেন নাই বা লিখেন নাই আসবেন কিনা , তাদের সবিনয়ে বলছি আগামি কাল এর মধ্যে জানান দিবেন।আশা করি সবার সাতে দেখা হবে, আমি বড় ভাইদের কে ওভার ফোনেও বলেছি,ওনারা সবাই আসবেন বলে সমত্তি দিয়েছেন।

রোজার সময় ঘুমের প্রচন্ড ব্যাঘাত ঘটে


রোজার সময় ঘুমের প্রচন্ড ব্যাঘাত ঘটে। প্রতিদিন রাত একটার আগে ঘুমাতে যেতে পারি না। একটা বাজে ঘুমাতে গেলেও সহজে ঘুম আসে না। আবার রাত তিনটায় উঠতে হয় সাহরি খাওয়ার জন্য। সাহরি খাওয়ার পর ঘুমাতে গেলে ঘুম আসেনা। ঘুম আসে ভোর পাঁচটার দিকে। সকালে উঠার জন্য এলার্ম দিয়ে রাখি। তাতেও কোন কাজ হয় না। এলার্ম বাজার পর তা বন্ধ করে দিলে ঘুম আরো বেশি করে চেপে বসে। সকালে অফিসে গিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট কারো সাথে কোন কথা বলতে পারি না ঘুমের জন্য। তখন চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করি। বিকালে ২টা/ ৩টা/ ৪টা যখনই সুযোগ পায় বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে ঘুমানোর চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে ঘুম আসে। তারপরেও সকাল বেলার মত ঘুম আসে না। 

অফিসটা যদি ১১ টা থেকে তিনটা পর্যন্ত করতো!!

তখন আমরা অনেক ছোট


তখন আমরা অনেক ছোট। বিকালের খেলায় আমরা C-টাইপ বড় মাঠে খুব একটা সুযোগ পেতাম না। খেলতাম C-10/C-11 এর সামনে। অনেক সময় পোলাপাইন বেশী না হলে বা ইচ্ছা করে হলেও ৫:২০ এর কার্টুন দেখার জন্য খেলা মিছ করতাম। তখন তো আর এত চ্যানেলর ছড়াছড়ি ছিল না। Scooby doo, Popay, Defenders of the earth ছিল আমাদের প্রিয়। মাঠের আশে পাশে থাকলে অনেক সময় বাসায় না এসে আশে পাশের কারো বাসায় ঢুকে যেতাম। আনোয়ার (ফুটবলার) ভাই আমাদের অনেক অনেক সিনিয়র ছিলেন। শিপন (সম্ভবত) মাঝে মাঝে উনাদের বাসায় কার্টুন দেখত। এই রকম একদিন শিপনই মনে হয় বলল চল আনোয়ার ভাইদের বাসায় গিয়ে দেখি। আমি, ডালিম, ভুতের ডিম বাবু,মনিরুল অনেক দিনই বিকালের কার্টুনটা উনাদের বাসায় (C-6-A) দেখছি। আনোয়ার ভাই অবশ্য বাসায় থাকতেন না। দরজা খুলে দিতেন নাজমা আপা ( নাম ঠীক বললাম তো?)। আমরা বলতাম, আপা আমরা একটু কার্টুন……। আপা টিভি ছেড়ে দিতেন।

নেভী কলোনীর সাথে আমাদের ক্রিকেট খেলা হত। আমরা প্রায়ই হারতাম (হা হা হা) । এমন এক খেলায় আমরা দর্শক হিসাবে হৈ হৈ করে গেলাম। নেভী এক নং কলোনী। যথারীতি আমাদের হারার দশা। বাবু ভাই (ইকবাল/স্বপন ভাইয়ের ছোট) বাউনডারিতে লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দিলেন। আমরা হায় হায় করে উঠলাম। সবার মন খারাপ। ঘটনা সেটা না। ঘটনা হল…….নেভী স্কুলের সামনে সাজান বাগানের মাঝে লাল গোলাপটা হঠাৎ গায়েব হয়ে গেল। দারোয়ান আমাদের উপর উত্তেজিত। যতই আমরা বলি আমরা না, বেটা ততই আমাদের দিকে তেড়ে আসে। আমাদের সাথে ছিলেন আনোয়ার ভাই। উনার হাতে ব্যাট। আনোয়ার ভাই হুংকার ছাড়লেন, ওই……। ঘটনা বেশী দুর আগায়নি অবশ্য। আমরা বললাম, আমরা কি চলে যাব? আনোয়ার ভাই বললেন, না, যাবার দরকার নাই। তোরা বিল্ডিংয়ের কোনায় কোনায় গিয়ে লুকিয়ে থাক। সেই খেলায় ফলাফল ঠিক মনে নাই।

(লেখাটা আগেই লিখতাম। সময় ও সুযোগের অভাবে দেরি হয়ে গেল)

গতকাল মুন্নি আর লিন্ডা আপার আব্বা-আম্মার সাথে ফোনে কথা হল


গতকাল মুন্নি আর লিন্ডা আপার আব্বা-আম্মার সাথে ফোনে কথা হল। হিসাব করে দেখলাম ২৭/২৮ বছর পর। কিন্তু উনাদের কথায় মোটেও মনে হয়নি এত বছর আমরা বিচ্ছিন্ন। মনে হয় এইতো সেদিনও আমরা একসাথে ছিলাম। চাচা-চাচী, মুন্নী-লিন্ডা আপার চেহারা মনে করতে গিয়েও পারিনা। আড্ডায় মুন্নি আপাকে দেখে চিনি নাই। আমাকেও সামনাসামনি দেখলে চিনবেন না, নিশ্চিৎ।অথচ চাচা-চাচী আমার সাথে এমন ভাবে কথা বললেন…..!

চাচা বলেন, তুই কি বিয়া করছস? আমি বললাম, চাচা, আপনার বয়স ৮০ হইছে, আমার কি ৪০ হয় নাই? চাচী বললেন, তুই কত বড় হইছস রে? কি জবাব দিব? এত ভালবাসা, এত মায়া, এত স্নেহ, কিসের সাথে তুলনা করব?
সবার খোজ খবর নিলেন। বিশেষ করে শরিফা আপার। 

চাচা-চাচী পুরাই ঢাকাইয়া টানে কথা বললেন। মনে হচ্ছিল আরো কিছুক্ষন শুনি। 

মানুষে জীবনটা এত ছোট কেন? আর একটু লম্বা হলে কি হত……….?

ঠিক করেছি ঈদের পর আবার সকুলের চাকরিতে যোগদান করবো


ঠিক করেছি ঈদের পর আবার সকুলের চাকরিতে যোগদান করবো।নিজের টাকা নিজের ইচছামত খরচ করা যায়।এখন বেকার অবস্তায় খালি টাকা খুজতে হয় আর হিসাব দিতে হয় কোথায় খরচ করেছি।আর ভাল লাগে না।আসলে কোনো শিক্ষিত মেয়েরা ঘরে বসে থাকা ঠিক নয়,যে যেভাবে পারেন কিছু একটা করে নিজেদের মত করে এনজয় করুন।আমি তো চাকরি ছাড়চি আমার পোলার জন্য,এখন আবার শুরু করবো। আমার জন্য দোয়া করবেন।এতো বড় বড় কথা বলে ফেলনাম জে চাকরি করার অনুমতি তো লাগবে।দেখি কি করা যায়।।।

স্মৃতির পাতা থেকে


স্মৃতির পাতা থেকে: হাউজিং কলোনীতে আমাদের নীচে ছিল রিনারা (৮৪ব্যাচ),তার পাশে মনিরা (৮৪ ব্যাচ)।ছোট -বড় আমরা সবাই একসংগে খেলতাম।জরুরী আবাসিক কলোনীতে ডি টাইপে আমাদের পাশে রিনারা, নীচে ছিল রেবারা।প্রায় প্রতি বিকেল রিনাদের বাসায় সময় কাটাতাম।মনি, রিনা বড় হলেও সমবয়সীদের মত মিশতাম আমরা।একদিন নীচে হাঁটছিলাম,রেবা বলল, তুমি ওদের নাম ধরে,তুমি করে বল,আমাকেও তাই বলবে।সে থেকে তার সাথেও আমার তুমি সম্পর্ক হয়ে গেল।

ক্লাস নাইনে পড়ি


ক্লাস নাইনে পড়ি,স্কুল পালিয়ে আমি,দুলি আর মরা রাশেদ খালপাড়ের এফ টাইপ ১ নং বিল্ডিং এর সামনে গার্ড পোস্টে (যা দোতালা সমান উচ্চতায় অবস্থিত ছিল) আড্ডা মারছি আর আগুন ফুকাফুকি চলছে, গার্ড পোস্ট টি ছিল কলোনির শেষ সীমানায় একেবারে বাউন্ডারি ওয়ালের সাথে, বাউন্ডারির ওপারেই ছিল বিস্তীর্ণ টমেটো ক্ষেত।

ওই টমেটো ক্ষেতে বসে চার পাঁচ জন ছেলে ক্ষেতের পরিচর্যা করছিল। এদিকে আমরা অলস বসে গল্প করছিলাম, কথায় বলে অলস মাথা শয়তানের ফ্যাক্টরি, তাই এ কথা প্রমাণ করার জন্যই ক্ষেতে কাজ করা ছেলে গুলোকে শুধু শুধু আমরা পাথর মারলাম।আর বিনিময়ে ছেলে গুলো যতরকম আন্তর্জাতিক গালি আছে দিতে লাগলো। শুধু গালি দিলেই হতো, ক্ষেতে ছিলো টমেটো র সুপার ডুপার বাম্পার ফলন, এরপরে ওই বাম্পার ফলন টমেটো দিয়ে শুরু করল সম্মিলিত টমেটো আক্রমন, আর ওই চার পাঁচ জনের সাথে আরো তিন চার জন যোগ দিলো, সাত আট জনের টমেটো আক্রমনে আমরা তিন জন পুরাপুরি দিশোহারা, হাতে আর কোন পাথরও নাই যে পালটা আক্রমন করব, গার্ড পোস্ট থেকে নীচে নেমে আত্মরক্ষা করব সে উপায়ও মিলছেনা, গার্ড পোস্টের খোলা জানালা দিয়ে পাকা টমেটো এসে তিনজনেরই স্কুলের সাদা শার্ট একেবারে রঙিন। নীচে নামতে গেলেই আক্রমনের মাত্রা আরো বেড়ে যাচ্ছে। কি আর করা, গার্ড রুমে জড়োসরো ভাবে বসে আল্লাহ আল্লাহ করছি, এদিকে আক্রমনের মাত্রা আরো দ্বিগুণ হয়ে গেলো সাথে ইন্টারন্যাশনাল গালাগালিও ডাবল।

অবশেষে আল্লাহ পাক আমাদের ফরিয়াদ শুনলেন, কিচ্ছুক্ষণ পর ঐ ক্ষেতের মালিক এসে ছেলেগুলোকে যুদ্ধ বিরতিতে বাধ্য করলেন। আর আমরাও পরাজিত সৈনিকের মত টমেটো রাংগা শার্ট পড়েই বাসায় গেলাম আর শার্ট কিভাবে টমেটো রাঙা হলো এ জন্য বাসায় আরেক দফা লাঠি চার্জের স্বীকার হলাম।

আজ মোকােদেদশ love নিয়ে বলব


আজ মোকােদেদশ love নিয়ে বলব।সবাই কলোনীর জামিল,রফিক ও শফি ভাই কে চিনেন। দেখতে smart। উনাদের সাথেও মোকাদেদশ চলাফেরা করত।নিউ মাকেেট ও অনেক জায়গায় ঘুরত। যাই হোক উপরের বড় ভাইদের girl friend ছিল।কিনতু মোকাদেদশ এর ছিল না।এই নিয়ে সে অনেক আফসোস করত।একবার বড় ভাইয়েরা উনাদের গার্ল friend নিয়া ঘুরতে বীচে গেল সাথে মোকাদেদশ ও আছে।উনাদের গার্ল friend এর সাথে বান্ধবি মানে সই ছিল(সিনামায় নায়িকার যে রকম সই থাকে)।উনারা যে যার গার্ল ফ্রেন্ড নিয়া গল্প করছে। সই কে নিয়ে মোকাদেদশ বীচে ঘোর ফেরা করল। তাতে সে মহা খুশি কারন জীবনে প্রথম প্রেম।অনেক গল্প করল।সে তো মনে করল মেয়েটা ওর প্রেমে পড়ে গেল। মোকাদেদদশ কে এইগুলি কাওকে বলতে নিষেধ করা হল।বিকালে যখন কলোনীতে আসল ওতো আর না বলে থাকতে পারতেছেনা। আমরা মোটা বাবু ভাই সহ আডডা ওয়াকাস club এ।এমন সময় মোকাদেদশ এসে বাবু ভাইয়ের সামনে সব বলে দিল।আার খুব proud করে বলে আমি এখন প্রেম করি।বাবু ভাইতো জানে কি ভাবে ওকে রাগানো যায়। ওকে প্রস্ন করল মেয়েটা কি চোখে দেখে কিনা বা পায়ের কোন problem আছে কিনা। এই বলার পর বাবু ভাই দৌর দেয় সাথে আমরাও। মোকাদদশ তেলে বেগুনে আগুন।গালাগাল করেত লাগল।ওরা বাবুইযে গিরা গননদনা।গিরিংগিবাজী গরদদনা....

চলবে।

এখন থেকে আমি ফাঁকিবাজদের দলেই থাকবো


আপনি যত বেশি দায়িত্ব পালন করবেন,
আপনার উপরে তত বেশি দায়িত্ব চাপিয়ে দিবে ।
ততবেশি ঝামেলাতেও জড়াবেন, প্রতি নিয়ত টেনশন বাড়বে, জবাবদিহিও করতে হবে, সমালোচনাও বেশি হবে।শত্রুতা বেড়ে যাবে , বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষী কমে যাবে ।
.প্রতিটা পদে পদে আপনার দোষ ত্রুটি খুঁজে খুঁজে দেখানো হবে..
কিন্তু পক্ষান্তরে ফাঁকিবাজরাই ভাল,এদের কোন দ্বায়ীত্ব নেই, নেই কেন টেনশন ,ফাঁকিবাজ ছাড়া আর কোন সমালোচনাও তাদের নেই । 
অতএব ফাঁকিবাজরাই সুখি........!!
এখন থেকে আমি ফাঁকিবাজদের দলেই থাকবো !!

প্রজেক্ট থেকে সেহরি খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি ফেরার পথে খুবই সুন্দর একটা সাপের সাথে দেখা হলো


প্রজেক্ট থেকে সেহরি খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি ফেরার পথে খুবই সুন্দর একটা সাপের সাথে দেখা হলো। এমনভাবে রাস্তার মধ্যখানে পড়ে আছে যেন মনে হচ্ছিলো সাপটি শুয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। কোন সারা শব্দ নাই।
আমার সাথে যিনি ছিলেন উনাকে বললাম, সালু ভাই, দেখেন কি সুন্দর একটা সাপ! 
ওনি বললেন কাছে যেও না। এটা সাপের রাজা।
আমি বললাম এটা কি তাহলে কিং কোবরা!
ওনি বললেন আরে না। তাহলে! (আমি আবার সাপ খুব কম দেখেছি, যা দেখছি চিড়িয়াখানায় দেখছি)
ওনি বললেন, এটা যেমন শান্ত ঠিক তেমন রাগী ও বিশাক্ত এবং এই সাপটা যদি অন্য কোন সাপের উপর দিয়ে যায় তাহলে সেই অন্য সাপটা দিখন্ডিত হয়ে যায়। অন্য সাপেরা তাকে খাদ্য যোগান দেয়। এবং এটি বাচ্চা সাপ। এটা সাধারণত দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার এবং প্রস্ত অনেক মোটা হয়। আমি বললাম, অবুক কি বলেন এইসব! এইটার নাম কি?
ওনি বললেন, এইটার নাম হলো আইন সাপ(আঞ্চলিক ভাষায়)
আমি বললাম, এই রকম সাপের নামতো 
আগে কখনও শুনেছি বলে মনে হয় না। এটার শুদ্ধ নাম বলেন। 
ওনি বললেন আমিও এর শুদ্ধ নাম জানি না। আমাদের এখানে এটারে আইন সাপ বলে।
তারপর আমি মোবাইল বের করে ছবি তুলতে গেলে ওনি নিষেধ করেন কাছে না যাওয়ার। 
বললেন তুমি কাছে গেলে সাপটা মনে করবে তুমি সাপটাকে উত্তক্ত করছ তখন সাপটা তোমাকে ছোবল না মারা পর্যন্ত দম নিবে না।
আমি বললাম কেন? 
ওনি বললেন এটাকে তুমি যতক্ষণ বিরক্ত করবে না ততক্ষণ সে শান্ত। 
তাহলে আমরা এখানে এইভাবে দাড়িয়ে থাকব!
ওনি বললেন, সে আমাদের কথা শুনতেছে এবং টর্চের আলো পড়লে আস্তে আস্তে চলে যাবে। 
ওমা ! আসলেই তো টর্চের আলো যখন গায়ে পড়তে ছিল তখন দেখি ঠিকই আমাদের রাস্তা করে দিল।
এবং রাস্তার একপাশে যখন গেল আমি তখন খুব কাছে গিয়ে ক্যামেরা বন্দি করতে ভুল করলাম না।(যদিও সালু ভাই অত কাছ থেকে ছবি না তুলতে নিষেধ করছিলেন আমি শুনিনি)।
তাই সাপটির শুদ্ধ নামটা জানার কৌতূহল বেড়ে গেল।
কি কেউ জানেন!
এবং
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালো রাখুক।
আমিন।


২৪ বছর পর ঘটনা ও দোষ স্বীকার করলাম


কলোনি নিয়ে স্মৃতিময় লেখার শুরুর দিকের পোস্ট, যা আমার টাইম লাইনে গত ৮/৮/১৫ তে দিয়েছিলাম।

বারান্দার কার্নিশে েঅনেকগুলা ৈবয়াম ভর্তি আচার রোদে দিয়েছেন কলোনীর এক চাচী, বিকালে দু বয়াম আচার চুরি, রাতের মধ্যে আচার খেয়ে খালি বয়াম ঐ চাচীর বাসার দরজার সামনে রেখে এলাম তার উপর বয়ামের ভিতর চিরকুটে লিখে দিলাম “ চাচী আপনার হাতের আচার খুব মজা, আবার রোদে দিবেন”। পুরা ঘটনার নেপথ্যে আমি ও মনিরুল, আর দোষ পড়ল সব লিটনের উপর। ২৪ বছর পর ঘটনা ও দোষ স্বীকার করলাম।

Tuesday, June 21, 2016

Discharged from jail today morning and landed Jessore now


Discharged from jail today morning and landed Jessore now. বেশ লম্বা একটা সময় ঢাকায় থাকা হলো | শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো| আলহামদুলিল্লাহ্‌ | ইফতার পার্টিতে জয়েন করতে পারবো না বলে খারাপ লাগছে | ঢাকা ও চট্টগ্রামের আয়োজকদের ধন্যবাদ চমৎকার এই উদ্যোগের জন্য | ছোট বড় বিবাদ ভুলে সবাই ছোট এই মিলনমেলার মাধ্যমে আবার আগের মতো একত্রিত হবে,এই কামনা করি | ছোটবেলায় পড়েছিলাম, "ক্ষমা মহৎ গুণ|" রমজানের এই মাস মহৎ গুণে গুণান্বিত হওয়ার মাস | ছোটভাই হিসেবে সবার কাছে আবদার করবো, কিছুটা উদারতার পরিচয় দিয়ে পারস্পরিক বিভেদগুলো মিটিয়ে ফেলে ২৯ জানুয়ারির আগের সেই CSM কলোনির ট্যাংকির তলের আড্ডার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন | Trust me, আমরা ভালো ছিলাম, আমরা আরো ভালো থাকবো ইনশাআল্লাহ্‌ | শুধু পজিটিভ মানসিকতার প্রয়োজন |

কারাবাসের বিরক্তিকর সময়ে অনেকেই কষ্ট করে এসে আমাকে সময় দিয়েছেন,অনেকেই ফোনে নিয়মিত খোঁজখবর নিয়েছেন | সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই| এছাড়াও, যারা আমার ব্যাপারে concern ছিলেন, তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই | অসুস্থ চন্দন চাচি পর্যন্ত এসেছিলেন দেখা করতে !! এই আন্তরিকতা শুধুমাত্র CSM এই সম্ভব |

সবাইকে আবারো ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য | 

স্কুল লাইফ এ কলোনিতে আমরা CSM বন্ধুরা, ছোট বড় ভাইয়ারা আপুরা একসাথে কত মজা করতাম


স্কুল লাইফ এ কলোনিতে আমরা CSM বন্ধুরা, ছোট বড় ভাইয়ারা আপুরা একসাথে কত মজা করতাম। এখন আমরা সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কাউকে ফোন দেয়ারও সময় হয় না। একটা সময় পর বন্ধুরা এবং সবাই এমন পর হয়ে যায় কেন?

আসলে বলতে গেলে আমাদের জীবনটাই এরকম। একটা সময় থাকে যখন বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দ করে সময় কাটানো হয় এবং পরের সময়টা বেশ ব্যস্ততার সাথে চলে যায়। মানুষ যখন তার ছাত্রজীবন ত্যাগ করে এসে যান্ত্রিক জীবনে প্রবেশ করে তখন যুগের তালে তালে তারাও যান্ত্রিক হয়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া, অফিস, ঘুম এসবের মাঝেই ব্যস্ত থাকে। তখন আসলে মন চাইলেও কাছের মানুষগুলোর সাথে কথা বলা হয়ে ওঠে না।

আপনি ভাবছেন আপনার বন্ধুরা অনেক বেশি পর হয়ে গেছেন কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। আপনারা সবাই আসলে সবাইকে অনেক বেশি মিস করছেন কিন্তু সময়ের অভাবে কথা বলা হয়ে উঠে না। তাই বলে এই না যে সবাই পর হয়ে গেছেন।

CSM বন্ধুরা, ছোট বড় ভাই বোনেরা সবাই জেগে উঠো। সবাই ইফতার মাহফিল, ঈদ পুনর্মিলনি পার্টি, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে জেগে উঠেন। সবাইকে অনেক অনেক খুব খুব মিস করি।

ভাললাগা স্মৃতি


আমরা ছিলাম হাউজিং কলোনীতে চার তলায়,বেবি আপারা ছিল দুই তলায়।স্কুল ছুটির পর প্রায় উনাদের বাসায় যেতাম।চাচী ,আাপারা খুব আন্তরিক ছিল।কোন সময় চালতা কেটে খাওয়াতো,কোন সময় পোড়া মরিচ দিয়ে টমেটো চাটনি বানিয়ে খাওয়াতো।তখন এগুলো খেতে সুস্বাদুও ছিল।বেবি,ভুলু আপারা ছোট বোনের মত আদর করতো।৫ম শ্রেণিতে যখন উঠি তখন আমরা জরুরী আবাসিক কলোনীতে আসি D টাইপে।পরে আমরা যখন C টাইপে আসি,উনারা তখন আমাদের পূর্ব বাসাটায় উঠেন।দুই টানে প্রায় বেবি আপাদের বাসায় যেতাম। গল্প করতে করতে দেরি হলে ভাতও খেয়ে আসতাম মাঝে মাঝে।দিনগুলোর কথা ভাবতে ভালই লাগে।

Monday, June 20, 2016

ঢাকা,চট্টগ্রাম,কুমিল্লা একই দিনে ইফতার পার্টির আয়োজন করে নিজেদের ঐক্য এবং আন্তরিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে


ইফতার পার্টি। সি এস এম কলোনীর সাবেক বাসিন্দাদের নিয়ে ইফতার পার্টি। ঢাকা,চট্টগ্রাম,কুমিল্লা একই দিনে ইফতার পার্টির আয়োজন করে নিজেদের ঐক্য এবং আন্তরিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে। এখন শুধু এই ইফতার পার্টি সবার সরব উপস্হিতির মাধ্যমে সফল করা সকলের দায়িত্ব। এই ইফতার পার্টিতে উপস্হিতির মাধ্যমে সি এস এমের প্রতি আমাদের ভালবাসা,আমাদের আবেগ, আমাদের ঐক্য, আমাদের সহমর্মিতা, সহযোগীতা প্রকাশ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ইফতার পার্টির সফলতার মাধ্যমে আমরা প্রমান করবো, সি এস এমের প্রতি আমাদের ভালবাসার বন্ধন আজীবন অটুট থাকবে। বরাবরই আমরা জেনে এসেছি ব্যক্তির চেয়ে গোষ্ঠী বা সমাজ অনেক বড়। ধন্য হউক আমাদের সি এস এম সমাজ। সবাইকে ধন্যবাদ। ইফতার পার্টিতে সকল ভাইবোনকে উপস্হিত থাকার জন্য আরও একবার অনুরোধ রইল।

Sunday, June 19, 2016

আজ নাকি (রোববার) তথাকথিত বাবা দিবস


আজ নাকি (রোববার) তথাকথিত বাবা দিবস। এগুলো হচ্ছে পশ্চিমা দের বাণিজ্যিক ভণ্ডামি। লক্ষ্য করুন, কোন নির্দিষ্ট তারিখ নয়, মে মাসের দ্বিতীয় রোববার হচ্ছে মা দিবস আর জুন মাসের তৃতীয় রোববার হচ্ছে বাবা দিবস। রোববার হলো পশ্চিমা বিশ্বের সাপ্তাহিক ছুটি। তাই এইসকল তথাকথিত দিবস গুলো তারা ছুটির দিন রোববার ফালায় যাতে করে এই দিনে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা মা বাবার সাথে ফুল ফলমূল উপহার সামগ্রী নিয়ে একদিনের আনুষ্ঠানিক দেখা সাক্ষাৎ করে সারা বছরের দায় মোচন করা যায়।আর এসব দিবসে আরো ঘুটা দেয় প্রাশ্চাত্যের কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আর পালে বাতাস দেয় দেশি বিদেশী কিছু মিডিয়া।

আমাদের সংস্কৃতিতে এসব আদিখ্যেতা মোটেও মানায় না। বছরের সারাটি দিনই আমাদের কাছে মা বাবা দিবস। 

( সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিমত)

প্রহর গুনে বসে আছি


আজ নাকি বিশব বাবা দিবস। বাজার অর্থনীতির এই পশ্চিমা সংস্কতিকে আমি বিশ্বাস করি না, তুমি হয়তো ঘৃনাই করতে বেচে থাকলে । তবু আমাকে মাফ করে দিও এই দিনে তোমাকে নিয়ে ভাবনাগুলো প্রকাশ করার জন্য। 
এই পরিনত বয়সে নিজেকে যখন বাবার স্থানে বসিয়ে তোমার সাথে তুলনা করি,ভারী লজ্জা হয় আমার। নিজেকে খুব ছোটমনে হয়। হ্মুদ্র মনে হয়।

মনে হয় তুমি পাহাড়-আমি মুসিক, তুমি সমুদ্র- আমি তীরে পড়ে থাকা বালুকা মাত্র। তোমার গুনের লেশ মাত্র কি পেয়েছি আমি? ঘাটতি আর অপুরণতায় ভরা এ জীবনে তোমাকে তাই শুধু আজকের দিনটিতে নয়,মনে পড়ে রাত্রি- দিন,অহর্নিশ।

তোমার মত কি পেরছি--
সন্তানকে ভালোবাসতে?
স্ত্রীকে সহমরমী করতে?
আত্মীয়- অনাত্মীয়কে আপন করতে?
সহকর্মীকে বন্ধু বানাতে? 
ফকিরকে মেহমান বানাতে?
রাত জেগে এবাদত করতে?
চিল্লা দিতে, গাশ্ত করতে,মানুষকে আল্লার পথে ডাকতে ?
ছোট-বড় সবাইকে আগে আগে সালাম দিতে ?
কত কিছু পারিনি বাবা। কত কিছু---
পারিনি সন্তানের কাছ থেকে, স্ত্রীর কাছ থেকে, সহকর্মীর কাছ থেকে, তোমার মত - ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা সহমর্মিতা- আদায় করতে।
কোনকিছুই পারিনি বাবা। কোনকিছুই না। 
এই না পারার বেদনা, এই অপূর্ণতা- জানি কোনদিনই ঘুচবে না আমার। ঘুচাতে চাইবো না কখনো, কোনদিন-পাছে তুমি ছোট হয়ে যাও।
আজ ক-ত দিন হ'ল চলে গেছ তুমি। মাঝে মাঝে সবপ্নে দেখা পাই, চির দিন কেন পাই না? 
তবু প্রহর গুনে বসে আছি বেহেশতের সরবোচ্চ স্থান--সেই জান্নাতুল ফেরদৌসে যেন তোমার দেখা পাই।
যেখান থেকে হারিয়ে যাব না তুমি, আমি - কেউ। 
হে আল্লাহ! তুমিতো কত বড় ! কত মহান !! 
একজন অভাগা সন্তানের এই দোয়াটুকু তুমি কবুল কো' র।

C. S. M COLONY - চাঁদপুর শাখা

- Khurshed Alam Manik

C. S. M COLONY
-
চাঁদপুর শাখা।
----------------------------
ইফতার পার্টি।
চাঁদপুরে বসবাসরত সকল স্টিলার ভাই বোনদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্চা।
আগামী ২৪/৬/২০১৬ইং রোজ শুক্রবার ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত ইফতার পার্টিতে সকল স্টিলার দের উপস্থিতি কামনা করছি। ( বউ/ বাচ্চা / বোন জামাই সহ )
স্থান : আমার ফ্ল্যাট এ। মাদ্রাসা রোড়, চাঁদপুর।

ইফতার পার্টি @ Chittagong


ইফতার পার্টি। সি এস এম কলোনীর সকল সদস্যদের নিয়ে আগামী ২৪.০৬.২০১৬ রোজ শুক্রবার ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত ইফতার পার্টিতে সি এস এম কলোনীর সকল ভাইবোনদের উপস্হিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।সবার সম্মতিক্রমে স্হান নির্ধারন করা হয়েছে আগ্রবাদ ব্যাংকক সিঙ্গাপুর মার্কেটের সামনে অবস্হিত হোটেল জামান'স। জাহেদ টিপুর পোস্টে যারা নাম মোবাইল নং দিয়ে আমাদেরকে উপস্হিতি নিশ্চিত করেছেন তারা সহ বাকীরা নাম মোবাইল নং বা সম্মতি সূচক বার্তা দিয়ে নিজেদের উপস্হিতি নিশ্চিত করুন। ইহা আমাদেরকে পুরো অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগীতা করবে। সবার প্রতি অনুরোধ সবাই যেন নিজ দায়িত্বে নিজের পরিচিত সি এস এম মেম্বারের কাছে এই সংবাদ পৌছে দেন। সবার উপস্হিত আমাদের আগামীদিনের অনুপ্রেরনা হয়ে থাকবে।

Saturday, June 18, 2016

আজকের ইফতার সংক্রান্ত আতিক ভাইয়ের পোষ্টটা পড়ে ভাল লাগল


আজকের ইফতার সংক্রান্ত আতিক ভাইয়ের পোষ্টটা পড়ে ভাল লাগল।পুনরায় একত্রিত হওয়ার প্রয়াস।ইতিমধ্যে স্থান এবং তারিখ নির্ধারিত।সি এস এমের মূল শিকড়টা কিন্তু চট্টগ্রামে।এর কারণ- ভৌগলিক ভাবে সি এস এমের অবস্থানটা চট্টগ্রামে এবং মেঝরিটি স্টিলারের বাস এখনো এই শহরে।অথচ ঢাকার স্টিলাররা একত্রিত হওয়ার ঘোষণা দিলে ও আমরা এখনো উদ্যোগই নিতে পারি নাই।এটা দুঃখজনক।সকল সিনিয়র ভাইদের কাছে অনুরোধ পবিত্র রমজানকে উপলক্ষ্য করে ছোটখাট একটা মিলনমেলার ব্যবস্থা করুন।এতে স্টিলারদের ইউনিটি আরো শক্ত এবং মজবুত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

(বিঃ দ্রঃ- প্রয়োজনে সকলের কাছ থেকে চাঁদা কালেকশন করা হউক)

হুম, আমি একটি ইফতার পার্টীর কথা বলছিলাম @ Dhaka


অনেকদিন সবাই একত্রিত হইনা বা হতে পারছিনা, সবাই সবসময় ব্যস্ত থাকছি। ব্যস্ত শহরে ব্যস্ত থাকাটাই খুব স্বাভাবিক। আসুন না এই ব্যস্ততার ফাঁকেই আরেকবার একটু একত্রিত হই।

হুম, আমি একটি ইফতার পার্টীর কথা বলছিলাম।

ঢাকায় বা এর আশেপাশে বসবাসরত স্টিল মিল কলোনির প্রাক্তন বাসিন্দা দের উদ্যেগে আগামী ২৪ জুন ২০১৬, রোজ শুক্রবার একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। এতে সকল স্টিলার দের উপস্থিতি পুরো আয়োজন প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

স্থান : দি এন্ট্রান্স রেস্টুরেন্ট, বিজয় স্মরনি,ঢাকা
(নভো থিয়েটার ও সামরিক যাদুঘর সংলগ্ন)



আশা করছি ইতিমধ্যে সবাই অবগত হয়েছেন যে, আগামী ২৪ জুন ২০১৬ ঢাকা ও এর আশেপাশে বসবাসরত স্টিল মিল কলোনির প্রাক্তন বাসিন্দাদের উদ্যেগে আয়োজিত ইফতার পার্টি র কথা। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে সকলের আন্তরিক অংশগ্রহনে আমাদের ইফতার পার্টি এক মিলন মেলায় পরিনত হবে।
যেহেতু ইফতার পার্টির স্থান একটি সামরিক নিয়ন্ত্রিত এলাকায়, তাই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দের সম্ভাব্য বা আনুমানিক সংখ্যা রেস্টুরেন্ট কতৃপক্ষকে আগেই অবহিত করা লাগে, এছাড়াও সিটিং ব্যবস্থাপনার জন্যও এই তথ্য টা জানলে আয়োজক দের সুবিধা হয়।
তাই সবার প্রতি সুবিনীত অনুরোধ যার এই ইফতার পার্টিতে সদয় অংশগ্রহণ করবেন তাঁরা যেন এই পোস্টে কমেন্টস অথবা Abu Naser এর ফোনে (01920590287) কিংবা অন্য যে কোন উপায়ে অবহিত করেন।
সবার প্রতি আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা।
--_-------------
দি এন্ট্রেন্স রেস্টুরেন্ট
বিজয় স্মরনি, ঢাকা।
(সামরিক যাদুঘর ও নভোথিয়েটার সংলগ্ন)

আজ একটা মজার কথা বলব


আজ একটা মজার কথা বলব।কলোনীর কিছু আইকন ছেলে আছে যাদেরকে কেউ কখনো ভুলতে পারে না। মোকাদেদশ যাকে আমরা মোকা পাগল বলতাম।ওর কাছু ডায়ালগ ছিল ( অরা গিড়া গননদ দনা,গিরিংগিবাজি গরদ দনা)।আজকে ওকে নিয়ে বলব। কোরবানির ২/৩ দিন আগে আমরা সেই মোটা বাবু (মোটা না শরীরটা একটু ভাল উনার মতে) ভাইয়ের সাথে টাংকির নীচে বসে আছি। আগেই বলে রাখি মোকাদদশকে রাগাতে বাবু ভাইয়ের ২ মিনিটের কাজ।আর এই কারনে বাবু ভাই ওর কাছ থেকে যা গালাগালি খাইছে সেই পরিমান ছোলা বুটও খাইনাই।বিকালবেলা কলোনীর চাচা ও ছেলেরা হাট থেকে গরু ছাগল কিনে আনতেছে।এমন সময় দেখি মোকােদদশ ১টি মাজারি সাইজের ছাগল নিয়ে আসতেছে।যখনিই বাবু ভাইকে দেখছে ওর গালাগাল শুরু।যখনি টাংকি পার হল বাবু ভাই শুরু করল "মোকাদদশ পাগল কিনছে ছাগল"সাথে সাথে আমরাও।আর যাই কই আমাদের কে শেষমেষ পাথর নিয়েতাড়া করল।কোথায় গেল সেই দিন।সরি মোকাদদশ ভাই,মাফ করে দিয়েন।

ক্যাপশন নেই


ইদানিং প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ততার কারনে তেমন একটা নেটে ঢুকার সময় পাই না। কিন্তু যখনই পায় নেটকে সময় দিই। গতকাল সেহেরী খাওয়ার পর রিলেক্স মুডে নেটে ঢুকে এফবি তে ডুব দিয়ে নিউজ ফিড দেখতে ছিলাম হঠাৎ চোখ পড়ল Iftee Nomi ভাইয়ের একটা পোস্ট (যেটা পোস্ট করেছেন ২/৫/১৬)। যার শিরোনাম ছিল....

"আমার ডায়েরির ছেড়া পাতা
আজ সুমন বিশ্বাস সিক্যুয়ালের শেষ পর্ব"।

সাধারণত নমি ভাইয়ের লেখাগুলো আমার খুবই ভাল লাগে তাই অতীব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম এবং সুমন বিশ্বাস নামটা আমার অনেক পরিচিত মনে হলো। তাই আমার মেমোরিকে একটু ব্যাকে নিয়ে চিন্তা করলাম এবং পেয়েও গেলাম, সাথে সাথে কমেন্টস করলাম। যা চিন্তা করছিলাম সেটাই হলো।

নমি ভাইকে বললাম ইনবক্সে ওর ছোট ভাইয়ের(রনি) নম্বরটা দেওয়ার জন্য।ওনার কাছে রনির(ওকে আমরা ভোলা বলে ডাকতাম। নামটা Riton Moniruzzaman ভাইয়ের দেওয়া) নম্বর নেই তাই ওনি সুমনের বড় বোন ছন্দা দিদির নম্বর দিলেন এবং বললেন whats app এ উনাকে পাবা। 

তো উনাকে অনেকবার কল করার পরও যখন ফোনে পাচ্ছিলাম না তখন whats app এ ম্যাসেজ দিলাম যার রিপ্লাই এখনও পাইনি।

তাই নমি ভাইয়ের কথার সুত্র ধরে লিখতে বসে পড়লাম।

"সুমন বিশ্বাস" আমাদের এফ ১০ নং বিল্ডিং ২৩ নং রুম এর সুপরিচিত একটি নাম। যে ছেলেটার ছিলনা কোন অহংকার এবং খুবই কম কথা বলত এক কথায় সে ছিল খুবই সহজ, সরল এবং শান্ত প্রকৃতির। যে সময়টাতে আমি, Md Rafique Csm Ctg , Mokther Hossain এবং সৌরভ কুমার রায় খুবই দুষ্টমি করতাম তখন তাকে দেখতাম ঘরের ভেতর/বাহিরে বই নিয়ে পড়তে। সম্ভবত ৯৭' ব্যাচের ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিল। হঠাৎ তার বাবা চাকরি থেকে অবসর গ্রহন করে সহপরিবার নিয়ে ভারত এ চলে যান এবং এখন অব্দি ভারতের বারাসাতে বসবাস করছেন। চাইলে আঞ্চলিকতার টানে ওর পরিবার নিয়ে অনেক গল্প লেখা যাবে। অন্য আরেকদিন সময় করে লিখব।

এবার মুল কথায় আসি, 
আমাদের এই উজ্জ্বল(নমি ভাইয়ের মতে, দেশে থাকলে ড. জাফর ইকবাল হতো) স্টিলার, ইংলিশে অনার্স মাষ্টার্স করা সুমন বিশ্বাস আর আমাদের মাঝে নেই।
সত্যিই বিশ্বাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে যে তার মৃত্যুটা ছিল খুবই করুন যা এই পাবলিক প্লেসে লেখার মত দুঃসাহস আমার নেই।
(গত ৩০শে এপ্রিল সবাইকে কাঁদিয়ে যোজন যোজন মাইল দুরে না ফেরার দেশে চলে গেছে)।
প্রার্থনা করি যে, ঈশ্বর যেন তাকে স্বর্গের সর্বোচ্চ চুড়ায় অধিষ্ঠিত করেন।

সেহেরী র পরে এক কাপ চা খেতে খুব ইচ্ছে করে


সেহেরী র পরে এক কাপ চা খেতে খুব ইচ্ছে করে। বাসার চা না, স্টিল মিল বাজারের খাজা আজমির রেস্টুরেন্ট এর চা, সাথে একটা মুখাগ্নি ( সিগারেট)।লেখার স্বার্থে উল্লেখ করলাম নামটি, গুরুজনেরা ক্ষমা করে দিয়েন।

এক সময় কলোনিতে সেহেরী তে খাওয়ার পর আমি আর Monirul Islam Monir দুজনে মিলে খাজা আজমির হোটেলে গিয়ে চা আর সিগারেট খেয়ে আসতাম। প্রতি রাতের এই চা সিগারেটের পয়সা যোগাড় করাও দুজনের জন্য দুরুহ ছিল। ঔষধ বানিজ্য আর বাজারের টাকা মারিং কাটিং ছিল এ চা সিগারেট খরচের উৎস।

সীমিত টাকা পয়সায় ঐ জীবন টা আসলেই অনেক সুখের ছিল।

Friday, June 17, 2016

সকল সমস্যার সমাধান নিন


সকল সমস্যার সমাধান নিন,
সিএসএম পেইজে আওয়াজ দিন।

আমাদের পেইজে মাশাল্লাহ সবই আছে। হুজুর (Mdnurul Kabir Niru), ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কোকিল থুক্কু উকিল (Khurshed Alam Manik), ডিজিটাল ফেরিওলা (Atiq Csm), সংস্কৃতি কর্মী (Taskiatun Nur Tania), একপার্ট রাঁধুনি সহ নানান পেশার লোক। কেউ কোন সমস্যা পড়লে আওয়াজ দিয়েন। দেখবেন আপনি একটা না একটা সমাধান পেয়ে যাবেন।

আমার দোস্ত্ মামুন


আমার দোস্ত্ মামুন, এখন সে আমাদের তেমন একটা আড্ডাতে সময় দিতে পারে না। বেটা বাজাইছে হৃদয়ের বেমো। স্টীলার রা যেখানেই যাবে খাওয়া দাওয়া তো থাকবেই, আর খাওয়া দাওয়া মামুনকে স্ট্রংলি মেইনটেইন করতে হয়।

দোস্ত্ তুই সময় না দেয়াতে এখন আর তেমন একটা আড্ডাও হয়না আর হইলেও জমে না। আমরা কেমন যেন দুরে দুরে সরে গেছি। তুই অন্তত আড্ডাতে সময় দে প্রয়োজনে ভাবীরে বলে স্পেশালী তোর খাবার টিফিন বক্সে নিয়ে আসবি, তারপরও তুই আমাদের সাথে সময় দে। তুই না ডাকলেতো সবায় আসেনারে।

দোস্ত্ ভালো থাকবি, টেনশন করবি না একদম, আল্লাহ্ যাহা কিছু করেন ভালোর জন্য করেন। আমি তোরে দেখলে মনে সাহস পায় আর সামনে আগানোর মনোবল পায়।

আচ্ছা দু'শ টাকা দামের কোন শাড়ি পাওয়া যায়


আচ্ছা দু'শ টাকা দামের কোন শাড়ি পাওয়া যায়? আমার মনে হয় সম্ভব না তাহলে সে গত ঈদের পর কেন আমাকে বলল আমি তাকে একটা দু'শ টাকা দামের শাড়িও কিনে দিলাম না। এবার ভাবছি বলবো দু'শ টাকা দামের শাড়ি অনেক খুজেছি কিন্তু পাইনি... অনলাইনে খুজলাম ১২০০ টাকার কমে পেলাম না...ভাবছি ইন্সটলমেন্টে যদি দেয় তাহলে নেওয়া যেতে পারে...প্রতি মাসে দু'শ করে ছয় মাসে।।।।।

kind attn zahed tipu


শুনতে পাচ্ছি এবং একটা পোস্ট ও দেখলাম যে ইফতার পাটি করার বেপারে খুব ভাল উদ্যোগ, কিন্তু কথা হল তুমি যখন উদ্যোগ নিলে তা হলে বড় ভাই বোন ছোট ভাই বোন বন্ধু সবার সাতে বিষয় টা নিয়ে আলাপ করে করলে ভাল হবে,যেমন আমি এখনো কিছুই জানি না কি করচো তুমি বা তোমরা, এই কথা যেন কেউ বলতে না পারে ভাই।সবিনয়ে বলছি বেপার গুলা চিন্তা করে আগাও ভাই,সংগে ছিলাম, সংগে আছি,সংগে থাকবো।একান্ত বেক্তিগত ভাবে অনুরোধ করছি সবাই কে ফোন করে জিজ্ঞাসা কর।আর যে যার আশে পাশে আছে সে তার সাতে কথা বলে বলে দিলেই পারে।

আমার আমি (পর্ব- ২)


আমার আমি
-----------------
পর্ব- ২.
প্রিয়--- অধরা।
আমার ছাত্রজিবনে দু' মাস স্কুলে গিয়েছি কিনা সন্দেহ। তবে যেদিন থেকে তোমাকে ভালো লেগেছে সেদিন থেকে আর স্কুল কামাই করি নি,,।বন্ধের সময় খারাপ লাগে,তাই তোমাদের বাসা বরাবর দখিন দিকের নারকেল গাছের নিচে পাথরে বসে থাকতাম। বন্দুরা কেউ জানে না। তাই আমার মনে হয় তোমাকে আমার ভালো লাগা জানান দেয়া উচিত। তাই এ চিঠি। আমি বহুবার ইশারায় বুঝাতে চেয়েছি,,,,, তুমি- বুজনি।
ইতি,,,,
মানিক।।।।
চিঠি পড়ে অধরা বুঝলো এ চিঠি রক্ত দিয়ে লেখা।
তবে, ,,, কেনো,,,,?
প্রশ্ন করে অধরা।
অধরা রাগ হয়ে বলে,,,যে ভালবাসার জন্য নিজের শরিরের রক্ত ঝরায়, সে তো নিজকেই ভালো বাসে না। অন্যকে ভালোবাসবে কি ভাবে ?
তুই তো আমার ভালোবাসা পাবি না। আগে নিজকে ভালোবাসতে শিখ।
রাগে, ঘৃনায় নিজকে আড়াল করতে সামনে পা বাড়ায় অধরা।
অধরা হেটে চলে।
হাটতে হাটতে ব্যাবধান বাড়ে।
ধীরে ধীরে অধরা চলে যায় দৃস্টির বাইরে।
মানিক দাড়িয়ে থাকে একা।
একা।।।।।।।।।

Thursday, June 16, 2016

এটি Monirul Islam Monir মনা ভাইদের বাড়ীর একটি গাছের দৃশ্য


এটি Monirul Islam Monir মনা ভাইদের বাড়ীর একটি গাছের দৃশ্য । মনা ভাই এই গাছটি নিজ হাতে ৭ বছর আগে রোপন করেছেন । যা বড় হয়ে এখন ফল দেওয়া শুরু করেছে । তাই মনা ভাই এখন মহা খুশি , একের ভিতর অনেক । একটি গাছ থেকে সব রকমের ফল পেয়ে থাকেন । তাই উনি প্রায় চুপিচুপি বাড়ীতে পারি দেন । স্টিলারদের স্পেশাল টিম এটির অনুসন্ধানে সক্ষম হন । 

এখন দেখার বিষয় এই রমজান মাস উপলক্ষে মনা ভাই আমরা স্টিলারদের জন্যে কি ব্যাবস্থা করে ! !!!

যাক আস্তে আস্তে সকলের ঘুম ভাঙবো


যাক আস্তে আস্তে সকলের ঘুম ভাঙবো এমন সময় আসবে একটা পড়তে পড়তে আর একটা লিখা শুরু হয়ে যাবে, কলোনী আবার কোলাহল মুখরীত হবে, আজ আমাগো এপ্রিল 29 এর Monir Zaman বাবু আর দোস্ত মহলে ভুতের আনডা লিখা শুরু করলো, মনটা খুশিতে ভরে গেলো,সবচেয়ে যাকে মিস করি যার কাছে গল্পের কাহিনী এসে ধরা দেয় সেই Mamunur Rashid Rashed ওরফে মরা রাশেদ এখন ও লিখা শুরু করে নি,আমি বহুবার তাকে বলছি দোস্ত আস্তে আস্তে লিখা শুরু কর পেটের মধ্যে কাহিনী গুলি জমিয়ে রাখলে কলোনী বাসি অনেক কিছু মিস করবে,দোস্ত আমার কথা কানেই তুলে না খালি কয় লিখবো,এই খালি টা কোন দিন আসবে তা উপর ওয়ালাই জানে,এরকম শয়ে শয়ে লেখক কলোনীর আনাচে কানাচে ছিল এখন সব কোথায় গেলো, সবার হাতে কি জং ধরে গেলো নাকি?

আজ এক কথা মনে পরল


আজ এক কথা মনে পরল। সবাই রেজা ভাইয়ের ছোট ভাইকে চিনেন। বাবু ভাই(মোটা না শরীর একটু ভাল ঊনার মতে) আমি সহ ৪ জন টাংকির নীচে বসে আঢডারত।এমন সময় আমাদের সিনিয়র বড় বোনের (সি টাইপে থাকে)জামাই মানে দুলাভাই (ঊনিই কলোনীর ছেলে) অফিস থেকে বাসায় ফিরছেন।যেই টাংকি পার হল হটাত বাবু ভাই আমাদের চুপ থাকতে বলে আামি যা করি তোরা তা করবি।দেখি ঊনি চিকন সুরে ডাক দিছছে "গোপাল..গোপাল গো..পাল" আর তার সাথে আমরাও।সাথে সাথে কেললা ফতে। দুলা ভাই সাথে সাথ আমাদের দিকে তেড়ে আসলো আর.........বলতে পারব না। সবার কাছে অনুরোধ এটাকে কেউ সিরিয়াস নিবেন না।

কথোপকথন এবং ফ্লাস ব্যাক


আমি সাধারনত বাহিরে ইফতার করি না। বাড়িতে সবার সাথে বসেই ইফতার করি। ইফতারি করে পাড়ার দোকানের দিকে বের হলাম ৭.১৫ এর দিকে এবং দোকানে পৌঁছে একটা চা এর অর্ডার দিলাম(যদিও বাড়িতে চা পান করেছি তারপরও কেন জানি পাড়ার দোকানের চা পান না করলে খাবার হজম হয়না)। হঠাৎ দেখি সেল ফোনে গ্রামীণ নম্বর থেকে এস এম এস এবং সেটি পড়লাম। পড়ে একটু ভয় পেলাম(আমার একটু ভয় পাবার সংশয়ও আছে)। আমি আর রিপ্লাই না করে সরাসরি গ্রামীণ নম্বরটাতে ফোন করলাম এবং দুইটা রিং পড়ার পর ওপাশ থেকে কেটে দিল। আমি আবার করলাম এবং ওপাশ থেকে কেটে দেয়। আমার ভয় আরো বেড়ে গেলো কারন দেশের যে অবস্হা তাতে একটু ভয় পাওয়ারই কথা(গতকালও আমার এখান থেকে দুই কিলোমিটার দুরে রাত এগারোটার দিকে গোলা গোলিতে এক জন নিহত এবং আরেক জন চমেক হাসপাতালে আইসিও তে)।
যাই হোক এস এম এসটি ছিল ...
tumi ki titu. 
ওপাশ থেকে যখন ফোন রিসিভ করে না তখন মেরিডিথের উক্তি টি মনে পড়ে গেল ___ 
'সাহস নিয়ে বেঁচে থাকো না হয় মরে যাও।'
আমিও সাহস নিয়ে রিপ্লাই দিলাম ...

ACCHA MANUSER JIBONTA EMON KENO


ACCHA MANUSER JIBONTA EMON KENO?MANUS JA CHAE NA TAI TAR SATHE HOY.SARATA BOCHOR DHORE AMI ABBA-AMMAR SATHE THAKLAM,KINTU SHES SOMOYTATE THAKTE PARLAM NA.ABBA SHES BAR DHAKA JABAR SOMOY SOBAR KACHE,EMON KI AMAR KACHEO MAF CHEYE GECHEN.KINTU AMITO PARLAM NA. 

অন্য ধর্মের ভাই বোন দের কাছে অনুরোধ করছি


অন্য ধর্মের ভাই বোন দের কাছে অনুরোধ করছি এই বেপারে রাগ বা অভিমান না করার জন্য।তোমরা তোমাদের মত করে সবার জন্য প্রাথনা কর।

সি এস এম ভাই ও বোনদের বলছি,রহমতের ১০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে জানি না কে কি আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা ছেয়ে নিয়েছে,আগামিকাল থেকে মাগফিরাত শুরু তাই আসুন সবাই এই রমজানে বিগত দিনের গুনা সমূহ আল্লাহর থেকে ক্ষমা করিয়েনি আচ্ছা বলুন তো ,কে গত ১০ দিনএ কয় পারা বা কত টুকু কোরান পড়েছেন,আমি ইন্সশাআল্লাহ ১৫ পারা শেষ করে ১৬ পারা পড়ছি,সবাই কোরান পড়ে নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং সি এস এম এর অসুস্ত ভাই ও বোন দের জন্য আল্লাহর কাছে সুস্ততা কামোনা করি।

মানিক তখন হাউজিং কলোনি থেকেই স্কুলে আসতো


মানিক তখন হাউজিং কলোনি থেকেই স্কুলে আসতো।
সে যখন অস্টম শ্রেনীর ছাত্র তখন তার এক ক্লাস মিটকে পছন্দ করেছিলো।
নাম অধরা।
অধরা মৃত্তিকার ন্যায় সুন্দর। যেনো বাগানের সদ্যফোটা শিশির ভেজা কলি। দু' চোখ তার সহজ সরল টানা টানা আর মায়াবী। ক্লাসের ভালো ছাত্রী।
এক দিন হাতে লেখা একটা চিঠি অধরার হাতে দিয়ে মানিক বললো - এটা পড়ো,,,। ই টাইপের শিড়ির নিচে মানিক অধরার পাশেই দাড়ানো। দ্বিধা সংকোচে অধরা চিঠি হাতে নেয়। চিঠির ভাঁজ খুলতেই বিস্মৃত চোখে মানিকের দিকে তাকায় অধরা। চিঠির কোথাও কোথাও লেখা লেপ্টে আছে। আবার কোথাও ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছে। অধরা কিছুখ্ন চোখ বুঝে কি যেনো ভাবে। তার পর পড়তে শুরু করে,, ,,
,,প্রিয়---
অধরা,
( চলবে)

Wednesday, June 15, 2016

অসুস্থ থাকার কারনে অনেকদিন পেইজে উপস্থিতি আগের মত নেই


অসুস্থ থাকার কারনে অনেকদিন পেইজে উপস্থিতি আগের মত নেই কিন্ত মাঝে মাঝে সবার post গুলো পড়তে চেষ্টা করি।মহান আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাকে দ্রুত সুস্থ করে দেন।যাতে আবার সবার মাঝে ফিরে আসতে পারি।এই লিখাটা আমার সকল স্টিলার ভাই বোন কে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্পেশাল thanks to Atiq Csm ভাই।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

খুব ছোট বেলায় তখন ক্লাস টু বা থ্রি তে পড়ি


খুব ছোট বেলায় তখন ক্লাস টু বা থ্রি তে পড়ি, বাসায় টিভি ছিলনা, পাশের বাসায় (আমরা তখন কলোনির বাইরে থাকি) টিভি দেখতাম, তখন এতো বিনোদনের উপাদান ছিলনা, তাই টিভিতে যা দেখাতো তাই হা করে গিলতাম, সেই সূত্রে রাত আট টার সংবাদও বাপ চাচা দের সাথে বসে বসে দেখতাম। সেই খবরের একটা কমন সাবজেক্ট ছিল প্যালেস্টাইন, গাজা, জেরুজালেম, নাবলুস,ইসরাইল, পিএলও, ইয়াসির আরাফাত । এ বিষয়ে খবর গুলো যখন পরিবেশিত হতো দেখতাম বাবা চাচারা হা হুতাশ করত আর আফসোস করত। এরপর টিভি তে " যদি কিছু মনে না করেন" অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ফজলে লোহানির ভরাট আবেগময় কন্ঠে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে বক্তব্য সেই শিশু মনে বিশাল দাগ কেটে যায়।

আস্তে আস্তে বুঝতে শিখলাম ইসরাইল নামক এক ইহুদি জাতি জোর করে প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিনি অধিবাসী দের জোর করে তাদের ভুমি থেকে উচ্ছেদ করে দখল করে নিয়েছে।

আরো বড় হওয়ার পর ফিলিস্তিনি দের ব্যাপারে সব খবরই আমি পড়তাম বা রাখতাম, জানতে পারলাম ৮০র দশকে অনেক বাংলাদেশী তরুন ফিলিস্তিনি দের পক্ষে যুদ্ধে লড়তে সেখানে গিয়েছে। মনে হতো, ইস! আমিও যদি যেতে পারতাম।

সে ছোটবেলা থেকেই ফিলিস্তিনি দের প্রতি আমার গভীর মমতাবোধ কাজ করত। যুদ্ধ ক্লান্ত, বিধ্বস্ত অথচ দীপ্ত ব্যাক্তিত্বময় ইয়াসির আরাফাত কে মনে হতো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বীর। উনি মারা যান ২০০৪ সালে, সম্ভবত রোজার ঈদের দু দিন আগে, আমি ঈদ করতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম, বাসে বসেই পরিচিত এক জনের মাধ্যমে খবর পেলাম উনি মারা গিয়েছেন। আমার আন ন্দ ঈদ যাত্রা মূহুর্তেই বিষাদে পরিণত হয়, নিজের অজান্তেই দু চোখে পানি এসে পড়ে। মনে হলো খুব আপন কেউ মারা গেছেন। 

আজ আষাঢ় মাসের ১ম দিন


আজ আষাঢ় মাসের ১ম দিন।এই শুরু হইল বৃষটির দিন।সারাদিন খালি পড়তেই থাকবে।আর থামাথামি নাই।তবুও বৃষটি আমার খুব ভাল লাগে।বৃষটি পড়তে থাকলে কলোনিতে ফেলে আসা দিনগুলার কথা খুব মনে পড়ে।কলোনির দিনগুলা যদি আবার ফিরে পেতাম।জীবনে আর কিছুই লাগতো না।।।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি দেখে কলোনীর কথা মনে পড়লো


নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি দেখে কলোনীর কথা মনে পড়লো। আব্বা চিঠি লিখত প্রচুর, পেতেনও অনেক। কলোনীতে ডাক পিয়ন এসেছে আমাদের চিঠি নাই এমন খুব কম হতো... আমার মনে হয় পুরা কলোনী জীবনে একজনকেই চিঠি বিলি করতে দেখেছি। উনার চেহারা এখনও চোখে ভাসে নামটি মনে নেই, কাচা পাকা চুল দাড়ি... যদি আমার সৃতি ভ্রম না হয...


হাঁটাহাঁটি করা ভালো অভ্যাস


হাঁটাহাঁটি করা ভালো অভ্যাস, কলোনিতে থাকাকালীন সময় আকাম/ কুকাম /ভালো কাজ সবকিছুর জন্যই প্রচুর হাঁটতাম। এমন কি নিশি রাতেও হাঁটাহাটি বাদ যেতোনা। আর প্রতিদিন খেলাধুলা তো ছিলোই। 

তবে হাঁটার ক্ষেত্রে আমার আর Monirul Islam Monir মনিরুলের মধ্যে মাঝেমাঝে অদ্ভুত কিছু পাগলামি ভর করত। অল্প কিছু টাকা নিয়ে দুজন বাসে করে নিউমার্কেট চলে যেতাম, সেখানে কিছুক্ষণ উদ্দেশ্য হীন ঘোরাঘুরি করে পকেটে বাকি যে অল্প কয়েকটা টাকা থাকতো তা দিয়ে বাদাম কিনে মুখে পুরতে পুরতে দুজনে হেটে হেটে সেই নিউমার্কেট থেকে কলোনিতে ফিরতাম।

এখনো ইচ্ছে জাগে সেই পাগলামিতে ফিরে যেতে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss