Saturday, April 30, 2016

ভুল মানুষেরই হয়


ভুল মানুষেরই হয়। আমিও মানুষ। আমারও ভুল হতে পারে। আমি যদি নিজের অজান্তে কাউকে কোন দুঃখ দিয়ে থাকি কিংবা আমার কোন আচরনে কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে তার জন্য আমি দুঃখিত। আর একটি কথা আপনি যদি কখনো কারো কাছ থেকে শুনেন আমি আপনার বিরুদ্ধে কোন কটু কথা বলেছি আপনি তৎক্ষনাত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাকে এই নম্বরে (01819-636321; 01619-636321) ফোন করে তার সত্যতা যাচাই করবেন। যদি ফোন করা সম্ভব না হয়, তাহলে ইনবক্সে জানান। তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে কারো মাধ্যমে আমাকে ফোন করতে বলবেন। আমি নিজে আপনাকে ফোন করবো। তারপরেও আমি চাইনা আমার দ্বারা কেউ মনে কষ্ট পাক। কিংবা অযথা কোন ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হোক তাও আমি চাইনা। আর আমি যদি আপনাকে কিছু বলেও থাকি তবে তার সঠিক ব্যাখ্যা আমার কাছেই থাকবে। এবং তা দ্রুত সমাধান করা যাবে। অন্য কারো কাছ থেকে জানতে চাইলে তার সঠিক ব্যাখ্যা হয়তো আপনি পাবেন না। তাতে আপনার মনটা আরো বেশি খারাপ হবে। তাতে আমাদের কারো কোন লাভ হবে না। বরং তাতে সম্পর্কের অবনতি হবে। আশাকরি ব্যাপারটা সবাই বুঝতে পারবেন।

এ পেজের একেবারে শুরুর দিকে চন্দন চাচাকে নিয়ে একটি লিখা লিখেছিলাম


এ পেজের একেবারে শুরুর দিকে চন্দন চাচাকে নিয়ে একটি লিখা লিখেছিলাম, ব্যাক্তি পর্যায়ে কাউকে নিয়ে ওই টাই বোধ হয় প্রথম কোন লিখা। চন্দন চাচা বা চাচির সাথে আমার তেমন কোন ব্যাক্তি গত পরিচয় ছিলনা। যে টুকু পরিচয় চাচার সাথে ছিল সি টাইপ মাঠে ক্রিকেটের কল্যানে, উনাকে একটু ভয়ই পেতাম।ভিক্টর ভাইয়ের সাথে অবশ্য ভালো সম্পর্ক ছিলো আমার,এক সাথে স্কাউটিং করতাম আমরা। উনাদের (ভিক্টর ভাই ও চাচা)সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিল ৯৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তে।

গত রাতে চাচীর ছবি এ পেজে দেখে ও সব কিছু জেনে খুবই খারাপ লাগছে, তার উপর আসিফের খবর সব মিলিয়ে মর্মস্পর্শী। 

জানতে পারলাম চাচী এখন পল্লবি থাকেন, আমিও পল্লবির বাসিন্দা এছাড়াও অপু ভাই সহ সিএসএম এর অনেকেই এই মিরপুর পল্লবী তে বসবাস করে। গতরাতেই অপু ভাইয়ের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে, ইনশাল্লাহ চাচির জন্য আমরা কিছু একটা করার চেষ্টা করব, বাংগালি রাজিবও ঢাকা আসবে চাচির সাথে দেখা করতে। চন্দন চাচার শেষ কর্মস্থল ব্রাহ্মণবাড়িয়া গ্যাস ফিল্ডে আমার যে আত্মীয় চাচার সহকর্মী ছিল তাঁর ছেলেরাও এখন পল্লবী থাকে তাদের আমি বিষয়টি জানিয়েছি, তারাও চাচির সাথে যোগাযোগ করবে।

কত সুন্দর উদার সাংস্কৃতিক মনা একটি পরিবার আজ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কত অসহায়।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে ভালো রাখুক।

মানুষ চেনা দায়


এই পেজে অনেক মেম্বার। কিন্তু আমি ভাবতাম সবাই রেগুলার না। হয়ত থাকার জন্য আছে। কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল করলাম, কালকে চন্দন চাচী র পোস্ট টা দেয়ার পর অনেক মেম্বার তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন খুব সুন্দর ভাবে।তার মানে আমরা এখনো একে অন্যের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো র জন্য প্রস্তুত আছি। খুবই ইতিবাচক ব্যাপার, উৎসাহ জনক ব্যাপার। 

চাচীকে নিয়ে লিখাটা পড়ার পর সবার মত আমারো মন খারাপ হয়েছে। মানুষের পাশে কেউ না থাকলে তার মনের অবস্থা কেমন হতে পারে সেটা কম বেশি আমরা সবাই বুঝি। 

আসল ব্যাপার যেটা চোখে পড়েছে তা হল যাদের কে অনিয়মিত মেম্বার বলে ভাবছি, যারা নিয়মিত লাইক, কমেন্ট করেন না, তারা যে পোস্ট গুলো পড়ে দেখেন না তা নয়।হয়ত পড়েন কিন্তু ভাল লাগেনা বলে প্রতিক্রিয়া জানান না। 
এই পেজে অনেক দিন লিখার কারনে সবার সম্পর্ক এ একটা মোটামুটি ধারনা হয়ে গেছে।কিন্তু যারা নীরব থাকেন,তাদের কে নিয়ে আমার ভয়।কারন হাবিজাবি সব নিয়ে লিখি বলে কখন যে কার বিরক্তি র কারন হয়ে যাচ্ছি বুঝতে পারছি না।

আজ ৩০ এপ্রিল। এ মাসের শেষ দিন।আমারো শেষ লিখা। সুজন হয়ত সুস্থ হয়ে ডাটা দিবে।তা নিয়ে ভাবছিনা। লিখালিখি মনের বিষয়, প্রতিযোগিতা র না। আমার ভয় যেন সত্যি না হয় মনে মনে তাই কামনা করছি

আসলে মনটা অনেক খারাপ


আসলে মনটা অনেক খারাপ।কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।তাই আমার সব ভাইবোনদের সাথে শেয়ার করলাম।আসলে এ দুনিয়াতে সহজসরল হলেও কষট পেতে হয় আবার অতি চালাকেরও গলায় দড়ি।আমি আমার আপন মানুষদের কে খুব আপন মনে করি আর অনেক বিশ্বাসও করি।কিনতু ওরা আমাকে কখনও আপন মনে করেনা তা আজ একটু আগে বুঝলাম।আর ভাবলাম হায়রে মানুষ।মানুষের এতো রুপ।কিনতু আমি কখনও এগুলা করিনি আর আমি বুঝিও না মানুষের চালাকি।থাক আবার চিন্তা করলাম আললাহ তো আছে,উনি তো সব দেখছে।যে যা করবে আললাহ তার ফল দিয়ে দিবে।আমি যদি ভিতর থেকে ভাল থাকি তাহলে জে যত চালাকি আর আমাকে ছোট করার চেষটা করুক না কেন কিছুই হবেনা।কারন সত্যের জয় হবেই।তবুও মনকে মানাতে পারচিনা তাই লিখে ফেল লাম।মনটা বেশি খারাপ মনে হয় চিৎকার করে কাননা করি।কিনতু তাও পারবো না।আসলে আমি খুব সহজে মানুষ বেশি আপন মনে করি।এটা ঠিক না আজকে বুঝলাম।আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।

গত তিন চার দিন ঢাকার বাইরে ছিলাম অনেক ব্যস্ততা নিয়ে


গত তিন চার দিন ঢাকার বাইরে ছিলাম অনেক ব্যস্ততা নিয়ে। আজ ফিরে এসে এই মাত্রই খরটা জেনে স্তুম্ভিত,মর্মাহত। কী জীবন কী হল ?
এক সময় সি-৪ এ আর বি তে আমরা থাকতাম। 
ভিক্টর আমার কাছে মাঝে মাঝে গণিত পড়তে আসত,কলোনী থেকে বের হয়ে আমরা শহরে টি এন্ড টি কোয়াটারে শিফট করে গেলও ভিক্টর মাঝে মাঝে আমার বাসায় আসত কখনো প্রয়োজনে কখনো মনের টানে।
আমার বোনদের সাথে চাচীর সম্পর্কটা ছিল মা - মেয়ের মত। আমার বড় বোনের বিয়েতে ঢাকা এসে চাচী মায়ের চেয়েও বড় ভুমিকা রেখেছিলেন।
সেই চাচীর সাথে দীর্ঘ দিন কোন যোগাযোগ নেই। ভাবতে নিজেকে খুব বড় অপরাধী মনে হয়।
কালকে চাচীকে দেখতে যাব। কিছু একটা করতে হবে চাচীর জন্য।এই মুহূর্ত এ আমরা সবাই চাচীর দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবো।

NB:ভিক্টরের মৃত্যু সংবাদ শুনে আমার মাকে নিয়ে ব্রাম্মনবাড়িয়া গিয়েছিলাম চাচা-চাচীকে সান্তনা দিতে। সেই শেষ দেখা।

জোড়া শালিক


One for sorrow,
Two for joy.
Three for letter,
Four for guest.

হুম শালিকের সংখ্যা নিয়ে এরকম কথাই শুনেছিলাম ছোটবেলায় বিপাশা হায়াতের এক সাক্ষাৎকার এ। পরে দেখলাম আমাদের দোতলার রিপা আপাও এই বিষয় এ বিশ্বাস ছিল। কোন কারনে হয়তত চোখে এক শালিক দেখেছেন,অমনি অস্থির হয়ে যেতেন আরেক শালিক মিলানো র জন্য।নাহলে নাকি দুঃখ আসবে।নিজে ত খুঁজতেন, সাথে আশেপাশে আমার আপারা বা অন্য কেউ থাকলে তাদেরকেও খুজে দিতে বলতেন। মাঝেমাঝে পেয়েও যেতেন জোড়া শালিক, তখন উনার মুখে বিজয়ের হাসি ফুটে উঠত।

এখন উনি ঢাকায় থাকেন।সেখানে জোড়া শালিক ত দূরের কথা, পাখির দেখা পাওয়া ভার।তাই সেদিন যখন জোড়া শালিক দেখলাম, তখন উনার কথা মনে পড়ল আর ছবি তুলে নিলাম।যাতে করে যখন খুশি জোড়া শালিক দেখতে পারেন আর উনার দিনগুলো- ভাল কাটে।

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ১৯৯১(২)


তখন ১৯৯১ সালের পরবর্তী সময়। কলোনি র বিধ্বস্ত অবস্থা। তারপরেও কিছু ঘটনা আজও মনে হাসির উদ্রেক করে।
যেমন এ সময় কলোনি র কিছু বড় ভাই নিজেরা মিলে একটা লরি করে বিভিন্ন টিউবওয়েল, ওয়াসার ট্যাংকি থেকে পানি নিয়ে বাসার সামনে গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসতেন।আবার পানি নেয়ার সময় যাতে কোন ঝামেলা না হয় তাও দেখতেন।অনেক টা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত।

একদিন আমাদের বাসার পাশের ওয়াসার ট্যাংকি থেকে লাইন ধরে সবাই পানি নিচ্ছিল। আতিক ভাই ওইখানে দাড়িয়ে লাইন নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। এমন সময় সুফিয়ার মা নামে আমাদের বুয়া আসল কেটলি করে পানি নিতে।যেহেতু কেটলির আকার ছোট তাই তাই সে বলল তাকে আগে দিয়ে দিতে।তখন আতিক ভাই জানতে চাইলেন কাদের বাসা থেকে এসেছে। বুয়া বলল, মোরশদগো বাসাত থন। আতিক ভাই বুঝলেন, মাকসুদ চাচার বাসা থেকে এসেছেন।তিনি পানি দেয়া হবেনা বলে দিলেন।

Friday, April 29, 2016

সেইসব দিনগুলো


ছোটবেলায় আমাদের সুন্দর সময় গুলো র একটি অংশ কাটত, রিপা আপাদের বাসায় সিনেমা দেখে।আমির জুহি, মিঠুন শ্রীদেবীর হিন্দি ছবির পাশাপাশি প্রসেনজিতের বাংলা ছবিও থাকত।অমর সংগী,অমর প্রেম, জজ সাহেব, জোতি ইত্যাদি ছবি। প্রসেনজিতের ছবিগুলো দেখার পর নিজেকে সেই জায়গায় কল্পনা করতে ইচ্ছা করত।মনে হত আজ থেকে নায়কের মত শুধু ভাল কাজ করি, সবার সাথে ভাল করে কথা বলি।জীবনে ভাল মানুষ হই।একটা ঘোরের মধ্যে চলে যেতাম।পড়তে বসলে মাথার মধ্যে নায়কের কথা ভাসত। কয়েক দিন পর সেই ঘোর কেটে যেত।

গোলাম হোসেন চাচা আজ বেচে নেই।আল্লাহ উনার আত্মাকে শান্তিতে রাখুন।আমাদের ছোটবেলার একটা সময় কে স্মৃতিময় করে দিয়েছেন উনি।আজও যখন মাঝেমাঝে ছবিগুলো টিভিতে দেখায় তখন চাচার কথা আর সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে।যদিও সেই দিনগুলো- আর ফিরে আসবে না জানি

২৯ শে এপ্রিল


আমার জিবনের সবচেয়ে কষ্টের ও দুঃখের একটা দিন ২৯শে এপ্রিল। আমাদের বাড়ি সন্দীপ। ঐ দিন আমার বাবা সন্দীপ ছিল। ২৯ তারিখ সকাল থেকে রেডিও টিভিতে বার বার সিগ্নালের কথা বলছে এর মধ্যে সেদিন স্কুলে এস এস সি বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার দরুন তাড়াতাড়ি শেষ করে দিল। তখনো বুজিনি গুর্নীঝড় জলোচ্ছাস কি জিনিস, মনের মধ্যে ভয়ও কাজ করছে আবার এটা দেখার একটা ইচ্ছা কাজ করছে। সন্ধা হওয়ার আগেই ১০ নং মহা বিপদ সংকেত ২০ ফুট জলোচ্ছাসের খবর বলছে বার বার।বিল্ডিংের কেও তেমন একটা আমলে নিচ্ছেনা তাই আমরাও তেমন কোনো গুরুত্ব দিলাম না জিনিসপত্র কিছুই কোথাও সরাইনি। রাত ৮টা থেকে খুব বাতাস শুরু হল।আম্মা বললেন যে যাই বলুক জিনিসপত্র গোছা। সাথে সাথে গুছিয় যা পারলাম তাকের উপরে রাখলাম, তখন বাসায় এক ড্রাম চাল ছিল ড্রামের মুখটা প্লাস্টিক দিয়ে ভালভাবে বাধলাম। 

এর মধ্যে বিদ্যুৎ ও চলে গেছে, কেও ভাত খেয়েছ কেও খায়নি। মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে। বাইরে বাতাসের এতো বেগ নারিকেল গাছ গুলোর মাথা মাটি পরজন্ত নেমে আসে পুরা আকাশটা কেমন যেন লালছে হয়ে গেছে। বাসায় বসে দোয়া দরুদ পড়ছি আর মাঝে মাঝে বের হয়ে দেখি পানি আসছে কিনা, এভাবে কয়েক ঘন্টা যাওয়ার হঠাত পাশের বাসার খালেক চাচা ডেকে বলে লিটন পানি আসছে তাড়াতাড়ি দোতালায় চল। এই হুরমুর করে দরজায় তালা দিয়ে সবাইকে নিয়ে দোতালায় সুমনদের বাসায় উঠলাম। এরপর শুরু হলো এক বিভীষিকাময় অবস্থা নিচে পানি উপরে বাতাস এমন ভাবে ধমকা বাতাস আসে পুরা বিল্ডিংটা ঘুরুমঘুরুম শব্দ করে কেপে উঠে, তখন মনে হচ্ছিল আমরা বুঝি আর বাচতে পারবোনা এর মধ্যে বিকট শব্দ করে কলোনির দেয়াল্টা ভেংে পড়ে গেল। ভাবলাম আমাদের আর কোনো উপায় নাই আজ এখানেই শেষ। 

বিচ্ছিন্ন ঘটনা ১৯৯১


১৯৯১ সালের পরে মানুষের হারানো র গল্প শুনেছি তেমনি কিছু ঘটনা শুনতাম।সেগুলো বিশ্বাস করব কিনা বুঝতাম না।যেমন একবার শুনেছিলাম, এক মহিলা মারা গেছেন বিয়ের সাজে।তার গায়ে দামি শাড়ি, অনেক গয়না।

এক লোক ওই গয়না, শাড়ী দেখে লোভে পড়ে তাকে বোন বোন বলে ডাকতে লাগল।আস্তে আস্তে গয়না খুলে নিতে লাগল।একসময় শাড়ি ধরে যেই টান দিতে গেল, অমনি মৃত মহিলা হাসতে হাসতে লোক টাকে থাপ্পড় দিলেন।ওই থাপ্পড় খেয়ে ভয়ে ঘরে এসে কাপতে কাপতে মারা গেলেন। এরকম অনেক অলৌকিক ঘটনা তখন আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছিল।আমরা সেগুলো শুনে অবাক হয়ে শুনতাম।কিছু বিশ্বাস করতাম, কিছু করতাম না।

ভুল করে মনে করা


১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। যদিও আমি তখন এর ভয়াবহতা কিছু কম বুঝছি। সেদিন বিকাল বেলা মাইকিং হচ্ছিল।১০ নং সিগন্যাল। যিনি করছিলেন তার উচ্চারণ নিয়ে আমার আপা, রুবি আপা, বেবি আপা হাসাহাসি করছিলেন। আর আতিক ভাইয়ের একটা ফ্যাশন ম্যাগাজিন দেখছিলেন বারান্দায় বসে।

রাত ১০ টার দিকে কারেন্ট একটু ডিস্টার্ব করেছিল।আমরা ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।রাত ১ টার দিকে শব্দে ঘুম ভাংল।দেখি আমাদের বাসায় মানিক ভাইদের বাসার সবাই সাথে রিনির আব্বা।রিনিরা নানার বাড়িতে গিয়েছিল। বারান্দায় গিয়ে দেখি পানিতে ভেসে যাচ্ছে সব।মানুষের চিতকার।ভয় লাগল।হাস মুরগি গুলো বের হতে পারছেনা।
আমি আবার ঘুমায় গেলাম রিনির আব্বার পাশে।পরদিন দেখি পানি কিছুটা কমে গেছে।রিনির আব্বা পরের দিন রেখা আপা, তার পরিবার আর মৌসুমি কে খুজতে। একেক দিন তিনি একেক জনের লাশ খুজে পান আর কবর দিয়ে আসেন। সন্ধ্যা হলে মন খারাপ করে নানা কথা বলেন।আসলে ওই সময় যারা হারিয়েছে তারাই জানে এর ব্যথা কতটুকু।

পানি ছাড়া, বিদ্যুৎ ছাড়া অনেক গুলো দিন।তারপরেও ভাল লাগত কলোনি র মানুষগুলো একসাথে হয়ছে।শুনেছিলাম আমাদের স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র হয়েছে।কিন্তু সেদিকে আর যাইনি।

অনেক দিন পর পরিবেশ নরমাল হল।স্কুল খুলল। কিন্তু মনে যে আতংক ছড়িয়ে দিল তা সহজে ভোলার নয়।

সাব্বিরের সাথে এক শপিং মলে হঠাৎ করে মিরার দেখা


সাব্বিরের সাথে এক শপিং মলে হঠাৎ করে মিরার দেখা, মিরা ভূত দেখার মত চমকে উঠল,যদিও অল্পক্ষনের মধ্যেই নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো, বুদ্ধিমতী মেয়ে (এখন মহিলা বলা যায় অবশ্য), যার নজর থাকে সাত আসমানের উপরে সে জানে কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হয়। আড় চোখে মিরা সাব্বিরকে মেপে ফেলল, এখনো আগের মতই, একেবারে নরমাল, কোন বাহুল্য নেই চলাফেরায়। শরীরের দিক থেকে শুধু ভুড়ি টুকুই বেড়েছে সাব্বিরের।তেমনি মিরা আগের মত স্লিম থাকলেও আগের সেই লাবন্য নেই, আসলে দুজনের বয়সই তো বেড়েছে। শপিং মল মোটামুটি ফাকা, দুজন হাটছে আর নিজেদের মধ্যে টুকটুক করে কথা বলছে, দু জনেরই স্কুল জীবনে সেই কথা বলতে বলতে বাসায় ফিরার স্মৃতি মনে পড়ল। দুজনেই কিছুটা আনমনা। কথায় কথায় জানতে পারল মিরা ধানমন্ডি থাকে, নিজেদের ফ্ল্যাট, গাড়ি,স্বামী বড় বিজনেসম্যান অর্থাৎ মিরা যা চেয়েছিল, সাত আসমানের উপর, তাই পেয়েছে, সাব্বির নিজের ব্যাপারে তেমন কিছু না বললেও মিরার বুঝতে বাকী রইলনা যে সাব্বিরও এখন সাত আসমান উপরের লোক।

আজ 29 এপ্রিল


আজ 29 এপ্রিল।।1991সালের এই দিনটায় সকাল থেকেই আকাশটা গম্ভীর ছিল আর যতদূর মনে পড়ে বিকেল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল।।বাবার বিকেল চারটা থেকে ডিউটি ছিল।।কি যেন ভেবে বাবা মোটামুটি বিপজ্জনক মুহূর্তে লাগা প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস দুপুরে কিনে আনলেন।।তো সন্ধ্যার পর থেকেই বৃষ্টির সাথে সাথে ঝড় হাওয়া বইতে লাগলো।।রাত দশটার পর থেকে ধীরে ধীরে ঝড় হাওয়ার পরিমান বাড়তে থাকলো।।সেই সাথে বিপদ সংকেতের মাত্রাও বাড়তে লাগলো।।আমাদের কারোরই ঘুম এলো না।।কিন্তু খাবার খেয়ে শুয়ে রইলাম।।রাত এগারোটা কি বারোটা হবে।।বাবা আসছে না দেখে মা আমাকে নিয়ে পাশের বাসার মজিদ কাকার বাসায় যাবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলো।।দরজা খুলতেই দেখি আমাদের বাসার সামনে যে মাঠটা রয়েছে সেটা পুরোটা জোয়ারের পানিতে ভড়পুর।।আর বাতাসের এতো চাপ ছিল যে গাছ গুলো সব মনে হচ্ছিল যেন উপরে পড়ে যাচ্ছে।।তো কাকার বাসার দরজা নক্ করলে কাকা দরজা খুলে এবং মা বাবার কথা জানতে চায়।।

মেজবানীর মজাই আলাধা


মেজবানীর মজাই আলাধা। আমরা সবায় কিছুক্ষন অপেক্ষা করে টেবিলে গেলাম। সবায় আমার জন্য অপেক্ষা করতে ছিলো, কারণ আমিই সবার শেষে উপস্থিত হইছি। কিছু করার ছিলোনা, প্রচুর কাজ ছিলো অফিসে। সবায় একসাথে খেতে বসলাম। এই গরমের মধ্যেও আমরা স্বতস্ফুর্তভাবে খেলাম। নলা খাওয়াও বাদ যায়নি। বিশেষ কারনে নলার ছবি আমি দিলাম না। আসলে ডরাইছি। আমার বন্ধুরে আমি বড়ই ভালোবাসি। তার পরই আমরা গেলাম পাহাড়ের বুক চিরে যে পানি বের হয় তা দ্বারা প্রবাহিত পানির ছরা দেখতে। ছবি আসছে...

সেই ভয়াল ২৯ শে এপ্রিল


আজ থেকে ২৫ বছর আগের কথা।১৯৯১ সাল।খুব সম্ভবত ক্লাস সেভেনে পড়ি।২৯ শে এপ্রিল নিয়ে লিখিতভাবে স্মৃতিচারণ সম্ভবত এই প্রথম,তা ও csm এর কল্যাণে।এই পেইজের অনেকে তখনো এত ছোট ছিল যে ২৯শে এপ্রিল ১৯৯১ বলে তাদের জীবনে কিছু ঘটেনি কিংবা অনেকের জন্ম ৯১ সালের ও পরে।যাদের কাছে এ স্মৃতিচারণ রূপকথার মতো ও মনে হতে পারে।

স্কুলের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের ফেয়ারওয়েল ছিল সেদিন। সিগনাল ক্রমাগত উর্ধমুখী হওয়ার কারণে তড়িঘড়ি করে ফেয়ারওয়েলের সমাপ্তি। তখনো কেউ আঁচ করতে পারেনি কি ভয়ানক প্রাকৃতিক দূর্যোগ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য।ঘুনাক্ষরে ও বুঝতে পারিনি এ রকম ভয়াবহ কিছু হবে।কারণ ঘূর্ণিঝড়ের সাথে তখনো পরিচিত হলে ও জলোচ্ছ্বাসের সাথে একেবারে আঁনকোড়া। খালা খালু এসেছে বেড়াতে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর বিটিতে ঘোষণা আসছে ৮ নং,৯ নং,১০ নং মহা বিপদসংকেত।কিন্তু সেদিকে কারো খেয়াল নেই।সবাই যথাসময়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘমিয়ে পড়েছে।কখনো কি ভেবেছিল কালকের সকালটা অনেকেরই আর দেখা হবে না।দেখা হবে না বউ বাচ্চা,মা বাবা,কিংবা ভাইবোনের সাথে।দেখা হবে না প্রিয় সন্তানেরমুখ।

প্রচুর গরম, হাসফাস লাগছে


প্রচুর গরম, হাসফাস লাগছে। সাব্বির আজ খুব উদাস হয়ে আছে। মিরা আর রুনির সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে এই অবস্থা।।নিজেরে কেমন যেন "তিন ফুল এক মালি" লাগছে। তিন নং ফুল মানে সাব্বিরের বউ নিলা ইউএনডিপির চাকুরী র সুবাদে এখন ট্রেনিং এ আছে দেশের বাইরে। বাসায় একা সাব্বির। এ কারনে তার আরো অস্থির লাগছে। বারান্দায় ব্ল্যাক লেবেল আর বরফ নিয়ে বসে গেছে সে। আজ একটু ইমোশনাল হতে ইচ্ছে করছে তার, বউ বাসায় থাকলে সেটা সম্ভব নয়। আর এই গরমে একটু বরফ মিশ্রিত ইমোশনাল একেবারে মন্দ নয়। 

গরম আর শীত মোটেও ভালো লাগেনা সাব্বিরের। তার ভাল লাগে পুরোপুরি শীত পড়ার আগে শীত শীত ভাব, মনে হয় হেমন্ত কাল, সেই সময় টা।

ওই সময়টাতেই মীরার সাথে সাব্বিরের সম্পর্ক শুরু। প্রকৃতির ওই সময়টার ঘ্রানে সে মিরার ঘ্রান খুজে পায়। মিরা কে এই কথা কখনওই বলা হয় নি তার। আজ সাব্বিরের খুব বলতে ইচ্ছে করছে "মিরা হেমন্তের ঘ্রানে আমি তোমার গন্ধ আজো অনুভব করি"।

ব্ল্যাক লেবেল অর্ধেক খালি হয়ে গেছে। তার মানে আজ সাব্বির ভালোই ইমোশনাল।

শিরোনামহীন -


টাকে কোন প্রকার লিখার ক্যাটাগরি তে না ফেললে ভাল হবে।কারন এটা একজন মানুষকে নিয়ে লিখা, যার সম্পর্ক এ আগে আর পরের ধারনা বদলে যাবার।

জসিম ভাইকে আমি কলোনি তে একটু অন্যরকম মানুষ বলে জানতাম। তাই উনাকে এড়িয়ে যেতে চাইতাম। দেখা গেল আমি ইউনুস ভাইয়ের দোকানে গেলাম, উনি বসে আছে দোকানের সামনের জায়গায়। যেই আমি কিছু কিনে চলে যাচ্ছি,অমনি হাত ধরে বলতেন, কিরে, মুশশিদ্দের বদ্দা, কি কিন্নুস দে, তিয়ে তুর লই খতা আছে, দুরর খা।( কিরে মোরশেদের ভাই, কি কিনলি,দাড়া, তোর সাথে কথা আছে।দৌড়ড়াচ্ছিস কেন?) উনার এ ধরনের কথার জন্য আমি অনেক সময় ইউনুস ভাইয়ের দোকানে না গিয়ে অন্য দোকানে যেতাম।

স্বপ্ন সুন্দরী


দোতলার রিমন ভাইদের বাসায় একটা আনন্দলোক এ দেখেছিলাম।তারপর আমাদের বাসার একটা ম্যাগাজিনে। প্রথমে অতটা ভাল লাগেনি। সাল টা ১৯৯১ সালের শেষ দিকে। তারপর আস্তে আস্তে বিভিন্ন ম্যাগাজিনে, রিনিদের বাসার একটা আনন্দ বিচিত্রা তে দেখেছিলাম তার ছবি।তখন বছরের শেষে আমাদের বাসায় ভিসি আর আনলে হিট ছবি গুলো দেখতে পেতাম। ১৯৯২ সালে ডিসেম্বর এ দেখলাম দিওয়ানা ছবিটা। দেখেই ভক্ত বনে গেলাম। এরপর গীত, দিল আশনা হ্যায়,দিল কা কেয়া কসুর।চেহারায় একটা নিষ্পাপ ভাব ছিল। তাই হয়ত ভাল লাগত।

এরপর যেকোন ম্যাগাজিনে তার ছবি খোজা। কলোনি তে বের হলে কলি ভিডিও বা মনিকা ভিডিও তে তাকিয়ে থাকতাম তার ছবির পোস্টার এর দিকে। গেইট এর পাশে ইসলাম এর দোকানে বা ভাই ভাই স্টোরে গেলে তার ছবির ভিউ কার্ড।কিন্তু তেমন একটা পেতাম না। সবাই যখন মাধুরী, শ্রীদেবী বা জুহি চাওলার পেছনে ছুটছে, আমি তখন দিব্য ভারতী র ভক্ত। চাইতাম নায়িকা হিসেবে সে সবাইকে ছাড়িয়ে যাক।

Thursday, April 28, 2016

বেড়াতে যাবো


বেড়াতে যাবো। বউ বেটি সাথে নিয়ে বের হবো। কাজ কর্মের গুলি মারি! আপন মানুষ দের কাছে যাবো। এক কাপ চা হলেও তো খাওয়াবে! আর যায় করুক কাপড় তো খুলে দিবেনা! বেটি আমার মহাখুশি! বাবা,"কাটটি" দিবেনাতো? চুপচুপ করে একা যেওনা, প্লিজ বাবা! যাবোনা মা, প্রমিজ। বেটির মা ঘটনা বুঝার চেস্টা করছে! এই গরমে কই যাবে? মাথা ঠিক আছে তোমার? মাথা এখনো ঠিক আছে, বাকিটা নস্ট করোনা। সমস্যা কি তোমার? নো সমস্যা , বউ বেটি নিয়ে আপনজনদের সাথে চা খাবো। প্লিজ আম্মু, বাবাকে এত প্রস্ন করোনা! সমঝদার বেটি আমার! বাপের মতই হবে। রাতে ঘুমানোর সময় বললাম , বেরাতে যাবো শুনে তুমি খুশি হওনি? সারাফের বাবা ,আজ ৫দিন হয়ে গেছে , তুমি পাক ঘরের লাইটটা চেঞ্জ করনি! কিসের ভিতরে কি!? এখানে পাকঘরের লাইট আসে কোথাথেকে! আল্লাহ এইডা কি মেয়ে মানুষ নাকি মার্গারেট থেচার!?

কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না
শুকনো ধুলো যত,
কে জানিত আসবে তুমি গো
অনাহুতের মত।

কি কথা তাহার সাথে


আমাদের বিল্ডিং এর দোতলায় থাকতেন ইরফান ভাই।লেখাপড়ায় ভাল কিন্তু কেমন যেন রহস্যময়। উনার সব রহস্য যেন আমাকে দেখলে শুরু করেন।আশেপাশের সবাই উনাকে ভদ্র ছেলে বলেই জানেন।প্রতিদিন সকাল এ আমি যখন স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যাই, উনি তখন ভার্সিটি তে যাবার জন্য বের হয়ে যান।এমন ভাব করেন যেন আমার দিকে তাকাবার কিংবা কেমন আছি জিজ্ঞেস করবার সময় নাই উনার।

উনি বি বি এ র ছাত্র ছিলেন বলে আমি উনার কাছে একাউন্টিং পড়তে চেয়েছিলাম কিন্তু ব্যস্ততা র অজুহাতে আমাকে পড়ান নি।খুব কষ্ট হয়েছিল কিন্তু কাউকে বলিনি।

হঠাত একদিন শুনলাম উনার নাকি খুব অসুখ। দেখতে যেতে ইচ্ছা করছিল কিন্তু উনি যদি খারাপ ব্যবহার করেন কষ্ট পাব,তাই যাই নি। স্যানমারে একদিন আমার বান্ধবী সিমির সাথে ঘুরছি, দেখি ইরফান ভাই রিপোর্ট নিয়ে হাটছেন। সামনে আসতেই জিজ্ঞেস করলাম, কেমন আছেন ইরফান ভাই? আপনার নাকি অসুখ!

মৃত্যু পর্ব ২


ডঃ কাব্য খুবই চিন্তিত 😞 যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে সেটি মারাত্মকভাবে ক্ষতি করতে শুরু করেছে।নাহ,এইভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না।ডঃ কাব্য আবার তার ল্যাবে চলে গেলো।বেশ দীর্ঘক্ষণ ধরে তিনি ল্যাবে বসে বসে ভাবছেন,কিভাবে তৈরি করা যাবে এই ভাইরাসটির প্রতিষেধক,কিভাবে বাঁচানো যাবে মানুষ গুলো কে????
(চলবে)

মধুর বিয়ের আগের জীবন পর্বঃ ৬


রজকিনির জন্মদিনে গেলো মধু।মধুর হাতে বিশাল এক বাক্স।রজকিনি এগিয়ে এলো মধুর কাছে,এসেই বক্স নিয়ে দিলো দৌড়।মধু চলে এলো।রজকিনি তার এলোকেশী চুল গুলো সরিয়ে বক্স টি খুলতে গেল।প্রবল আগ্রহ নিয়ে রজকিনি বক্স টি খুলল।বক্স খুলেই রজকিনি তো বেহুশ।বাক্সের ভিতর ছিলো ক্যাটভেরি আর চিপস।রজকিনি কল্পনাও করতে পারে নি যে তার চির শত্রু তাকে এই ধরনের উপহার দিবে।অথচ রজকিনি মধুকে মধুর জন্মদিনে একগাদা জুতোর ফিতে উপহার দিয়েছিলো।সেই থেকে রজকিনি মধুর প্রেমে পড়তে লাগল।অপরদিকে মধুর বাবার সাথে কি একটা বিষয়ে মধুর ঝগড়া লাগল।মধুর ফুফি এইসব সহ্য করতে না পেরে মধু ও তার বোন কে তাদের বাসায় নিয়ে আসল .........
(চলবে)

গতকাল দুপুরে বাবার ফোন, নিডোকার্ড স্প্রে


গতকাল দুপুরে বাবার ফোন, নিডোকার্ড স্প্রে( বুকে জ্যাম লাগলে স্প্রে করতে হয় জিহবার নিচে) আগেরটা শেষ আরেকটা যেনো আমি অফিস ফেরাতে নিয়ে আসি।পুরো আগ্রাবাদে খুঁজে না পেয়ে শেষে বড়পুলে পেলাম।বাসায় যাওয়ার পর বাবা বলল দুপুর থেকে বুকে ব্যাথা, বুক জ্যাম হয়ে আছে।প্রথমে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ভেবেছিল।স্প্রে দুইবার দেওয়ার পরেও যখন বুকের জ্যাম চলমান,ফোন দিলাম বাল্যবন্ধু মুরাদ কে।মুরাদের পরামর্শেই কাছের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ইসিজি করলাম,মুরাদ আসলো,দেখলো ইসিজি রিপোর্ট (হার্ট রেট ১৯৮,নরমাল থাকে সাধারনত ৬০-৯০)।সেখানে বমি করলো এক দফা।মুরাদের পরামর্শে দ্রুত চিটাগাং মেডিকেলে গেলাম ইমার্জেন্সীতে,এক পিয়ন সপ্রনোদিত হয়ে কুপন নিয়ে ইমার্জেন্সী ডাঃ এর কাছে ইসিজি রিপোর্ট নিয়ে গেলো, ডাঃ দ্রুত ভর্তি হতে বলল।সেই পিয়ন স্ট্রেচারে করে সিসিইউ তে নিয়ে গিয়ে সেখানে আরেক দফা ইসিজি করা হলো,তারপর সব রিপোর্ট নিয়ে ডিউটি ডাঃ এর কাছে নিয়ে গেলো,সেই পিয়ন ঔষদের লিষ্ট নিয়ে আমাকে দিয়ে বলল ১০০ টাকা দেন আর এই ঔষধ গুলো নিয়ে আসেন।প্রথমে ভাবলাম ১০০টাকা কোন কাজে হয়তো কিন্তু পরক্ষনে তার বিদায়ে বুঝে নিলাম তার সপ্রনোদিত কাজের টিপস।মনে মনে ভালোই লাগলো,কারন আমার জীবনে সরকারী মেডিকেলে এই প্রথম ইমার্জেন্সি রোগীকে ভর্তি করানোর অভিজ্ঞতা।আর এই ব্যাপারটা শেয়ার করার উদ্দেশ্যে একটাই যারা আমার মত এই প্রথম তাদের জন্য কিছু জানানো।আসলে চিন্তা করে দেখুন আমাদের বাবা চাচারা বড় অসুখের চিকিৎসা মানেই বুঝত এই চিটাগাং মেডিকেল।

সম্ভবত ১৯৮৫


সম্ভবত ১৯৮৫। এশিয়াকাপ হকি হচ্ছে ঢাকায়। সেই ধাক্কাটা চইকা কলনীতে না লেগে পারে? C-টাইপ মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট উধাও। সবার হাতে হকি স্টিক। বড়রা C-টাইপ বড় মাঠে আর আমরা C-10 বা C-11 এর সামনে। এক এক জনের স্টিক বাননোর কৌশলগুলার কথা মনে পড়লে......। একটা মাত্র অরিজিনাল স্টিক ছিল ইকবাল ভাই এর কাছে। বাবু ভাই, স্বপন ভাই ওটা দিয়ে খেলতেন।

সবাই স্টিক নিয়ে ঘুরে, আমরা কি বসে থাকব?

দুলি, আমি, ভুতের ডিম বাবু প্লানিং এ বসলাম। সিদ্ধান্ত হল জেক্সের পাশে যে কাঠের সপ ছিল ওটাতে অপারেশন চালাব। ওখান থেকে আগেও ক্রিকেটের স্ট্যাম্প বানানোর জন্য কাঠ চুরি করছি। তবে সেগুলা B-টাইপের ভিতর দিয়ে ঢুকে জানালা খুলে। বন্ধ জানালার ছিটকারি খুলার অভিনব কায়দা দুলির ভালই জানা ছিল। কাজ শেষে আবার তা লাগিয়েও দিতে পারত। কিন্তু এবার অপারেশন করব নানার সামনে দিয়ে। (নানার কথা মনে আছে?)। প্লান হল, দুই জন নানার সাথে কথা বলে মনযোগ অন্য দিকে নিয়ে যাবে আর বাকিরা কাজ সারবে। যেই চিন্তা সেই কাজ। কাজ শেষে নানার হইচই আর পেছন থেকে এরই এরই....। ঐ অপারেশনে আমরা তিনজন ছাড়াও আরো কয়েকজন ছিল। নামগুলা মনে করতে পারবনা। বয়স হইছে না?

একবার চিটাগাং ইউনিভার্সিটির ট্রেনে করে ভার্সিটি যাচ্ছিলাম আমরা কয়েক জন


একবার চিটাগাং ইউনিভার্সিটির ট্রেনে করে ভার্সিটি যাচ্ছিলাম আমরা কয়েক জন।।তো আমরা যে বগিতে ছিলাম ওখানে কিছু ছাএ এবং ছাত্রী ছিল।।সেই সাথে একজন বয়স্ক লোকও ছিল তাঁদের পাশে।।একদম রবি বাবুর মতো গোফ-দাঁড়ি ওয়ালা।।তো হঠাৎ তাঁদের মধ্যে একজন প্রশ্ন করলো:-দাদু কেমন আছেন??উওরে বললো ভাল আছি এবং বললো পাঁজির দল আর একটাও প্রশ্ন করবে না বলেই আমাদের পাশে দাঁড়ালো।।আমরা তো অবাক।।ভাবছিলাম কি ব্যাপার ওনাকে কুশল বিনিময় করলো আর ওনি এমন আচরণ করলো কেন!!??তখন আর একজন জিজ্ঞাসা করলো দাদু ভাত খাইছেন??উওরে বললো খেয়েছি।।আর একজন বললো কোন দিক দিয়ে খেয়েছেন??ওনি বিরক্ত হয়ে বললেন এবং দেখালেন ((পায়ু রাস্তা))দিয়ে খাইছি।।আর একজন বললো তো আলু ভর্তা কোন দিক দিয়ে খান??
ভদ্র লোক রেগে গিয়ে বলতে থাকলেন এই বদ্-হারামি গুলারে কে ভার্সিটিতে জায়গা দিছে!!!বলে চিৎকার চেচামেচি করে অন্য পাশে চলে গেল।।

আর আমরাও তখন বুঝতে পারলাম কুশল বিনিময়ে ওনি কেন এমন আচরণ করেছিল।।

রাত গভীর


রাত গভীর। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে সাব্বির, কিন্তু ঘুম বাবাজির কোন খবর নাই। আসবে কিভাবে ঘুম? তার মত এ অবস্থায় পড়লে হিটলারের মত পাবলিকই কাঁত হয়ে যাওয়ার কথা। আর সাব্বির তো সে তুলনায় এরশাদ কাকু টাইপ নীরিহ রোমান্টিক মানুষ। যার হৃদয় মন প্রেম টার্গেট প্রাকটিসের জন্য নির্ধারিত। এ জ্ঞান টুকু হওয়ার পর থেকে সে প্রেমে পড়ছে আর ছ্যাকা খাচ্ছে। শৈশব কালে যে সব ছ্যাঁকা খেয়েছে তার সবই মনে মনে। যেমন লাইফের পয়লা ছ্যাকা খেয়েছে ইন্ডিয়ান এক নায়িকার প্রেমে পড়ে। ইউনিভার্সিটি লেভেলে যে ছ্যাকা খেয়েছে সেটা একেবারে উঁচুমানের ছ্যাঁকা, তিন বছর মিরার সাথে একেবারে খুল্লাম খুল্লাম প্রেম করার পর দেখল মিরা বিবির নজর সাত আসমানের চেয়ে উঁচুতে।। সে সাব্বিরের মত মিডল ক্লাস ফ্যামিলির ছেলের সাথে তিন বছর চুটাইয়া প্রেম করলেও বিয়ের ব্যাপারে ”কাভি নেহি কাভি নেহি” সিচুয়েশন। সেই বোল্ড আউটের পর থেকে সাব্বির আর ওই পথে যায়নি। 

ভেজাল লাগলো চাকুরীতে আসার পর। সাব্বির এখনো কনফিউজড এটা কি রান আউট না নাকি ওভার শেষ।মানে ছ্যাক খেয়েছে নাকি খায়নি, এ চিন্তায় তার রাতের ঘুম হারাম ।ঘটনার শুরুটা হচ্ছে মাস ছয়েক আগের, তখন সাব্বিরের চাকরীর বয়স প্রায় তিন বছর।ততদিনে চাকরীর প্রতি তার পুরা অরুচি চলে এসেছে, এ কয়েক দিনে সাব্বির বুঝে গেছে চাকরী হচ্ছে শিক্ষিত দাস। এই যখন সাব্বিরের মরুভুমি অবস্থা ঠিক তখনই তাদের অফিসে রুনি নামে ”চোখ ফেরানো যায়না” টাইপ এক মেয়ে ইন্টার্নি করতে এলো। সাব্বিরের মনেতো এরশাদ কাকু উঁকি দিচ্ছে। মনটা যেন কেমন কেমন করে উঠলো। এমন মেয়ের সঙ্গী হতে না পাড়লে তো মনে হচ্ছে জীবন বৃথা।রুনি ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মেয়ে , তার চার পাশে ব্যাক্তিত্বের এক অদৃশ্য বাউন্ডারী তুলে রেখেছে। সাব্বিরের এরশাদীয় হৃদয়ও সেখানে যেতে পারছেনা।

আজ আমি মোমিন চাচাকে নিয়ে লিখবো


আজ আমি মোমিন চাচাকে নিয়ে লিখবো। জানি না কলোনিতে থাকতে আমাদের সময়কার কয়জন উনাকে চিনত কিন্তু উনার অসাধারন ব্যক্তিত্ব আর হাসিখুশি মন মানসিকতার কারনে খুব অল্প সময়ে অগনিত স্টিলারের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন, অফিসারস ক্লাব নিয়ে উনার কিছু পদক্ষেপ আসলেই প্রশংসনীয় ছিল।

যাক গে সে কথা, আমি বলবো শুধু আমার কথা। 

একবার ক্লাবের এক প্রোগ্রামে আমাকে তবলা বাজাতে বলেছিলেন চাচা, সময়টা ছিল প্রায় এখনকার মতো প্রচন্ড গরম। প্রোগ্রাম শেষে ছিল খাওয়া দাওয়ার অস্থির আয়োজন। একদিকে গরম অন্যদিকে পোগ্রামের ক্লান্তি, তার উপর TV তে কি যেন একটা জনপ্রিয় সিরিয়াল চলছিল, তাই প্রোগ্রাম শেষে না খেয়ে, আমি কাউকে কিচ্ছু না বলে সোজা বাসায় চলে এলাম। আমার বিল্ডিয়েই ছিল উনার এক কলিগের বাসা, এই গরমে মোমিন চাচা নিজে না খেয়ে ওই কলিগকে সাথে নিয়ে হেঁটে হেঁটে বিরানির প্যাকেট নিয়ে আমার বাসায় হাজির, ঘেমে পুরা লাল হয়ে গেছে। আমারে বললো ,”বাপ আমার ভুল হইছে, প্রোগ্রামের শেষে আমি তোর সাথে, কোনো কথাই বলতে পারিনাই, যেহেতু অনেক গুলা দায়িত্ব নিয়ে আমি হিমশিম খাচ্ছিলাম, তুই কিছু মনে করিস না”, লগে কড়করা একটা পাঁচশ টাকার নোট হাতে গুজে দিল। আমি পূরা বেকুব, কিরে এইডা কি হইলো? আমার বাপ মা তো আমার উপর চরম ফায়ার, অসম্ভব রাগারাগি করছে, কিন্তু আমিতো ঘোরের মধ্যে ছিলাম, চাচা এটা কি করলো, এতটা সন্মান, তাও আবার আমার মতো মগারে!!!!!!!!!!!!

Wednesday, April 27, 2016

ইচ্ছে


আবার যদি কলোনি লাইফ ফিরে পাই, তাহলে কি করব।বন্ধু দের অনেক সময় দেব। হুম,মানিক, সুজন, সালাউদ্দিন, আসিফ, রাফি, আফরোজ, রনবীর সহ অন্য বন্ধুদের সময় দেয়া উচিত ছিল।কিন্তু দেয়া হয়নি।মনে হত স্কুলে এত সময় একসাথে কাটাই আবার আলাদা করে কেন।তাছাড়া নিজের চারপাশে একাকীত্ব এর দেয়াল তুলে সবার কাছ থেকে আলাদা করে রাখতাম। যখন আমার ক্লাসের বন্ধুগুলো একসাথে হতে শুরু করল, ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করল,তখন আমি কলোনি থেকে চলে আসলাম।

বন্ধুরা একসাথে হলে তাদের মধ্যে কি আলাপ হয়, একসাথে সময় কাটাতে কেমন লাগে এইগুলো আমার কোনদিন জানা হয়নি।জানা হয়ত আর হবেনা।

তবে স্কুলে থাকতে আমার মনে হত সবাই আমাকে তেমন পছন্দ করে না।কিন্তু যতদিন গিয়েছে, আমার ধারনা যে ভুল, তা প্রমানিত হয়েছে।দূরে গিয়েও যে তারা আমাকে ভুলে যায়নি বরং শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে তাদের কোন তুলনা হয়না তাই মনে হয়েছে।তাই কলোনি লাইফ ফিরে পেলে ওদের সাথে সময় কাটাতে চাই

১০০ তে আশিও না


আমি নিজেও জানতাম না কখন এত লিখা লিখে ফেলেছি।হয়ত সুজন না বললে কোনদিন জানাই হত না। আতিক ভাইয়ের মত এত লেখার বিষয় আমার মাথায় আসে না। তাই পারিনা।তাছাড়া পেশাগত ব্যস্ততা ত আছেই।আছে আশেপাশের মানুষগুলোর প্রতি দায়িত্ব। নিজের জন্য সময়।এত কিছুর ভীড়ে কখন যে এত গুলো লিখে ফেলেছি বুঝতে পারিনি।

আগে লিখতাম বিভিন্ন স্মৃতি চারন মুলক লিখা।তারপর এল বিশেষ কাউকে নিয়ে লিখা।এরপর ইদানীং ছবি মানে কলোনি র বিভিন্ন ছবি দেখলে মনে পড়ে লিখার বিষয় এর কথা।।

তবে এই লিখা কলোনি আর তার মানুষগুলো র প্রতি ভালবাসা, আন্তরিকতআ আর দায় বদ্ধতা থেকে।

বিদায় বেলা


স্কুলে প্রতিবছর এস এস সি পরীক্ষা যারা দিবেন, সেই ভাই বোন দের বিদায় দেয়া হত। এইজন্য আমাদের ছোটদের কে অল্প টাকা দিতে হত।প্রয়াত হামিদ স্যার ভয় দেখাতেন, যারা টাকা দিবে না, তাদের কে বিদায় দেয়াহবে না।এই ভয়ে আমি প্রতি বার বিদায়ের জন্য নির্ধারিত চাদা দিতাম।

বিদায়ি ভাই বোন দের হাতে ফুল আর উপহার তুলে দিতেন ১০ ম শ্রেনীর ভাই বোনেরা।মনে মনে ভাবতাম আমি কবে ওদের মত বিদায়ি ভাই বোনদের হাতে উপহার তুলে দেব কিংবা তাদের উদ্দেশ্য এ বক্তব্য রাখব। 

কিন্তু আমার সেই চাওয়া অপূর্ণ থেকেই গেছে।আমি বিদায়ী ভাই বোনদের হাতে ফুল বা উপহার তুলে দিতে পারিনি।আবার নিজেও কোন প্রকার বিদায় পাইনি। এ নিয়ে আফসোস হল আসলে এই অনুভুতি গুলো কখনোই আর পাওয়া হবে না। কারন সেই সময় বা বয়স কোনটাই আর নেই

সারাদিন মন ও মেজাজ মোটামুটি ভালো ছিল


সারাদিন মন ও মেজাজ মোটামুটি ভালো ছিল। একটু আগে মনটা খারাপ হয়ে গেছে, যদিও মেজাজ এখনো ঠিক আছে। অথচ মন খারাপ হওয়ার মত কিছু না।

সব জায়গায় তো আর কিছু বলা যায়না, বলার এখতিয়ারও থাকেনা। মনে হয় ইচ্ছা করে এই মনটা খারাপ করে দেয়। ধুর..... (মনে মনে ব্যাচেলর ছবির মারজুক রাসেলের বিখ্যাত একটি স্ল্যাং বললাম)। দেক যার যত ইচ্ছা মন খারাপ করা দেক।" সমুদ্রে পেতেছি শয্যা শিশিরে কি ভয়" অবস্থা আমার। আমার এখন চিল্লাইয়া "হয় যদি বদনাম হোক আরো আমি তো এখন আর নই কারো" গানটা গাইতে ইচ্ছা করতেছে। আচ্ছা গান টা কে গাইছিল, জাফর ইকবাল?
কিছুদিন ধরে জংগলে বসবাস করতে ব্যাপক মন চাইতেছে। নাকি সোজা দক্ষিন দিক মানে সমুদ্রের দিকে হাটা দিমু, এটাও বিবেচনা করতেছি।

লেখাপড়ায় আমি বরাবরই গাধা মার্কা ছিলাম এটা আমার বিভিন্ন লেখায় বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেছি


লেখাপড়ায় আমি বরাবরই গাধা মার্কা ছিলাম এটা আমার বিভিন্ন লেখায় বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেছি। শুধু লেখাপড়া কেন কোন ব্যাপারেই আমার কোনদিন কোন উচ্চাভিলাষ ছিলোনা।যা পেতাম তাতেই খুশী থাকতাম। যারা আমার ঘনিষ্ঠ ছিলো বা আছে তাদের সবারই জানার কথা এটি।আজ একটু পড়াশোনা নিয়ে আলাপ করি।

লেখাপড়ায় আমাকে অমুকের মত হতে হবে বা তমুক আমার চেয়ে পড়াশোনায় ভালো এগুলা মাথায় কোন দিন আসেনি। আমি আমার মত করে পড়াশোনা করে গেছি।কোন টার্গেট নিয়ে পড়াশোনা করিনি।স্কুলজীবন থেকেই আমি কোনমতে পড়াশোনা চালিয়ে গেছি।মারাত্মক বিপর্যস্ত রেজাল্টও করছি। ক্লাস নাইনে অংকে একবার ডাবল জিরো পাইছিলাম, ক্লাস এইটে ইংরেজীতে ১১ পাইছিলাম।কিন্তু কোন ক্লাসেই ফেল করিনি।এক চান্সেই উপরের ক্লাসে প্রমোশন পাইতাম। এগুলা বলতে আমার কোন দ্বিধা বা সংকোচ নেই।

২৯ এপ্রিল ১৯৯১


মনে হয় একবার কিছুটা স্মৃতি চারন করেছিলাম। তাটপর ও আবার লিখলাম।

সন্ধ্যা হতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বাড়তে লাগলো।টেলিভিশনে ১০ নাম্বার মহা বিবদ সংকেত ঘোষনা দেওয়া হচ্ছে কোনই কিছুই মনে করিনি,সবাই ভাবছে আগেতো এরকম দিয়েছে।

কিন্তু রাত একটা থেকে হঠাৎ আমাদে ই টাইপ ১২ নাম্বার বিল্ডিং এর সামনে কলোনীর দেয়াল টা পরে যায়,এবং দেয়ালের ঐ পাশ্বে খাল পার রোডে যে বস্তি ছিল তা কোথায় উড়িয়ে নিয়ে গেছে তা বলতে পারবো না।কিছু সময় পর মানুষ চিল্লা চিল্লি করতে লাগলো পানি পানি বলে,আমাদের নিচ তলার লোকমান মামা ও শাহাদত হুজুরদের বাসার সবাই আমাদের বাসায় এক কাপরে চলে আসে, কারন কিছু বোঝার আগেই পানি ২ তলার মাঝামাঝি সিড়িতে চলে আসে,কলোনীর দেয়ালের বাইরের অনেক পরিবার এসে উঠে,তখন সব মানুষ একক হয়ে গিয়েছে।বাচ্চাদের ঘুমাতে দিয়ে মা - চাচীরা পাশে বসে শুধু আল্লাহকে ডাকছিল।আমরা চিন্তা করছিলাম পানি আর বাড়লে কি করবো।আমি ও রোমান মামা আমাদের পিছনের দরজা খুলে ছাদে যাওয়ার পথ করা যায় কিনা দেখছিলাম।আমরা দুজনে মিলেও দরজা বন্ধ করতে কষ্ট হচ্ছিল,কারন বাতাসের গতি খুব বেশী ছিল।ভোরের দিকে বাতাস কমলে ও পানি কমেনি,নিচ তলার কেউ বাসায় যেতে পারছিল না।কারন বাসায় তখন কাদাঁ একাকার।আর লবন পানিতে সব কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

ভাইগ্নারে তোর কথাই তো ফইলা গেল


ভাইগ্নারে তোর কথাই তো ফইলা গেল, তুই কইছিলি যাদের জন্ম জুন মাসে তারা খালি ক্রাশ খাইবো, জীবন হইব ক্রাশময়,মামারে আমার জন্মতো এই জুন মাসেই।কি ভবিষ্যৎ বানী করলি, সকাল হইতে না হইতেই ক্রাশ খাইয়া গেলাম। অফিসে আসার পথেরে মামা গাড়িতে বইসা বইসা বিরাট এক হিস্টুরি লেখছিলাম, লিখতে লিখতে আংগুল ভোতা কইরা লাইসি। সেই লেখা পোস্ট করতে গিয়া দেখি লেখা তো পোস্ট হয়ই নাই, উলটা লেখাটা কই জানি হারায় গেছে।তোর জুন মাসের প্রভাবে সকাল বেলায় এই ক্রাশ টা খাইলাম রে। আমারে বাঁচা রে মামা। তোর ভবিষ্যৎ বানী চেঞ্জ কর।

আহ মজার আলুর ভর্তা


১৯৯১ সাল ২৯শে এপ্রিল। সকালে স্কুলে ছিল s.s.c. পরীক্ষার্থীদের বিদায়ের অনুষ্ঠান। বিকালে শুনলাম সম্ভবত ৮ নং বিপদ সংকেত। সন্ধার পরেই হয়ে যায় ১০ নং। অল্প অল্প বৃষ্টিও হচ্ছে। তারপর রাতে ঘুম ভাংল মানুষের চিৎকারের শব্দে। ঘুম থেকে উঠে দেখি বিল্ডিংটা জাহাজ হয়ে গেল। পানিতে যেন ভাসছে।আমাদের বিল্ডিংটা ৩ তলা হওয়াতে অন্যান্য বিল্ডিং থেকেও মানুষেরা আসল। সামনে বিল্ডিং এর রিনা আপারাও আসল।প্রচুর বাতাসে দেখি নাবকেল গাছ গুলো নুয়ে পরছে আবার উঠছে। সকাল হলো ভাইয়া চলে গেল খেজুর তলায়। সেখানে আমাদের আত্মিয় থাকে। ওনাদের নিয়ে আসল। ভাইয়া এসে বলল কলোনির বাহিরে রাস্তায় লাশ আর লাশ পরে আছে। বিশ জনের মত মানুষ তখন আমাদের বাসায় থাকল। ১ম কয়দিন ভালোই খেয়েছি। যেহেতু ফ্রিজে মাছ মাংস ছিল। কারেন্ট নাই। তাই ফ্রিজও বন্ধ। ফ্রিজের খাবার শেষ হওয়ার পর শুরু হলো আলু ভর্তা খাওয়া। প্রায় ১মাসের মত আলু ভর্তা খেয়েছি।বাসায় রিনা আপারা ১ সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল আর আমাদের আত্মিয়রা ছিল এক মাস। তখন আলু ভর্তা কিযে মজা লাগত। মাছ মংস খাওয়া নিষেধ। ডায়রিয়া হবে বলে। আরমাছ বলে লাশে মুখ দিছে এগুলোর জন্য। তাই আলু ভর্তাই নিরাপদ খাবার ছিল। আর তখন সত্যি আলু ভর্তা খেতে কিযে মজা লাগত। প্রায় এক মাস আলু ভর্তা খেয়েছি তারপরও মজা লাগত।

Tuesday, April 26, 2016

কোন মাসে জন্ম নিলে কি কি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় তা নিম্নে দেওয়া হইলো


১.জানুয়ারী:- এই মাসে জন্মগ্রহনকারী ব্যাক্তি মেয়ে/ছেলে দেখার সময়ে অক্সিজেন গ্রহন করতে ভুলে যায়।
২.ফেব্রুয়ারি:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তি কিলার হয়! লেডি কিলার বা জেন্টলম্যান কিলার!
৩.মার্চ:- এর মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তি দিনে ৪বেলা খায়। এর মধ্যে ৩বেলা ভাত আর এক বেলা ক্রাশ!
৪.এপ্রিল:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা আমার মতো গাধা হয়। যারা লাস্ট বেঞ্চে বসে ফ্যানের ব্লেড গুনে।
৫.মে:- এর মাসে জন্মগ্রহণকারী ছেলেরা মেয়ে পাগল হয়। আর মেয়েরা মা পাগল হয়।
৬.জুন:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা
# ক্রাশ খেতে ভালোবাসে। তাদের দুনিয়া ক্রাশময়।
৭.জুলাই:- এর মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিদের প্রেমের প্রস্তাব ঝুলন্ত অবস্থায় সরল দোলকের ন্যায় দুলে।
৮.আগস্ট:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা "গরম ভাত" পার্টি। আগে না এসেই সব পেতে চায়!
৯.সেপ্টেম্বর:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা ভালো ফিল্ডার হয়। কারন এরা ফিল্ডিং মারতে বিশেষ দক্ষ!
১০.অক্টোবর:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা প্রেম সংক্রান্ত ব্যাপারে হিট! যাকে বলে লাভ গুরু আরকি!
১১.নভেম্বর:- এরা মিউজিক প্রেমি। সারাদিন কানের ভিতর দড়ি বেধে গুড়ে আর গান শুনে।
১২.ডিসেম্বর:- এই মাসে জন্মগ্রহণকারী ব্যাক্তিরা দিনে ২-৩বার টয়লেটে যায় আর দিনে ৩-৪গ্লাস পানি খায়!
মিলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক। অমিল থাকাটাই স্বাভাবিক!

আমাদের সকলের সুপরিচিত, মিষ্টিভাষী, সর্বদা হাসিখুশী সনি আপা দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত


আমাদের সকলের সুপরিচিত, মিষ্টিভাষী, সর্বদা হাসিখুশী সনি আপা দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। সম্প্রতি উনি উন্নত চিকিৎসা সেরে সিংগাপুর হতে দেশে ফিরেছেন। ঈস্বরের অপার করুনায় উনি এখন অনেকখানি সুস্থ, আমাদের আরেকজন স্টিলার বোন (রেজা ভাইয়ের একমাত্র বোন) রনি আপা আজ উনাকে দেখতে গিয়েছিলেন। উনার মারফত আমরা ছবিখানা পেলাম, সাথে পেলাম শারিরীক অবস্থার খবর।

চলুন আমরা আমাদের এই বোনটির পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য উপর ওয়ালার কাছে প্রার্থনা করি।
উল্লেখ্য উনি আমাদের সকলের পরিচিত স্টিলার আমান ভাই, রলি ভাই, মঈন খান টলি ভাই ও সোহাগ ভাইয়ের একমাত্র বোন।

অপূর্ণ ইচ্ছা


কলোনি তে থাকতে আমাদের সব ইচ্ছা কি পুরণ হয়েছে।কিছু কিছু ত অপুরন রয়ে গেছে।

যেমন আমি আমার কথা বলতে পারি।আবার যদি কলোনি র জীবনে ফিরে যেতে পারি তাহলে কোন ইচ্ছা পুরণ করতে চাইব? উমম.... নিখিল স্যারের কাছে পড়তে চাইব।নিখিল স্যার খুব অল্প সময়ের জন্য আমাদের স্কুলে এসেছিলেন অতিথি শিক্ষক হয়ে।কিন্তু অল্প দিনেই আমি উনার ভক্ত হয়ে যায়।কারন উনি অংক আর বিজ্ঞান খুব ভাল করে বোঝাতেন। আমি উনার ক্লাসে তাই পুরো মনো্যোগ দেবার চেষ্টা করতাম।

কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হল আমি যখন ব্যাচে উনার কাছে পড়তে গেলাম দেখা গেল সিট নেই।ব্যাচ ফিল আপ হয়ে গেছে।নিজেকে খুব অসহায় মনে হত।আর যারা স্যারের কাছে পড়তে পারত তাদেরকে ভাগ্যবান মনে হত। তারপরেও স্যার ক্লাসে আসলে অংক,জ্যামিতি এগুলো অনেক আন্তরিকতার সাথে বুঝাতেন।স্যারের মুগ্ধ ছাত্র হয়ে গিয়েছিলাম। তাই আবার যদি কলোনি র জীবনে ফিরে যেতে পারি তাহলে উনার ছাত্র হতে চাইব যেন বিজ্ঞান আর অংক ভাল করে বুঝতে পারি।

(বিঃদ্রঃ আমি কিন্তু মাহফুজ স্যার,মহসিন স্যার,নাজিমুদ্দিন স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়েছি, তাই উনাদের নাম উল্লেখ করিনি অপুরন ইচ্ছাতে)

আমরা প্রায়ই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত গুলো বারং বার ফেরত পেতে চাই


আমরা প্রায়ই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত গুলো বারং বার ফেরত পেতে চাই।।সেটা হোক আনন্দের বা বেদনার,,সুখের বা দুঃখের।।

যেমন:-
যখন আমি বা আমরা ছোট ছিলাম তখন বড়দের দেখে আফসোস করতাম আর ভাবতাম ইস্ আমরা কেন বড় হলাম না বা কবে বড় হবো বা ইস্ যদি বড় হতাম তাহলে তো আমি বা আমরাও এ বড় ভাইয়ের মতো________?? আবার এখন যখন বড় হয়ে গেছি তখন ভাবি ইস্ যদি আবার আগের সেই ছোট্ট বেলার জীবনটা ফিরে পেতাম!!!!

আবার ছোট বেলায় মা যখন জোর করে লোকমা দিয়ে খাওয়াতো তখন বড় ভাইকে দেখে ভাবতাম ইস্ আমি যদি বড় ভাইয়ের মতো বড় হতাম তাহলে তো আমাকে মা আর জোর করে খাওয়াতে পারতো না???আর এখন এসে ভাবি ইস্ মা যদি সেই ছোট্ট বেলার মতো লোকমা তুলে ভাত খাওয়াতো!!!বা মায়ের সেই লোকমা তোলা হাতটা এখন আবার ফিরে পেতে চাই!!!!

একটি মাত্র বাইরে যাওয়ার মত জিন্স প্যান্ট


একটি মাত্র বাইরে যাওয়ার মত জিন্স প্যান্ট , তাও আবার পায়ের দিকে যায় যায় অবস্থা।ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দেখলো জুতা জোড়াও কৃত্রিম শ্বাষ প্রশ্বাসে আছে ।পকেটে আছে মাত্র ২৫ টাকা। মিরাজ ভাবছিলো একটা গোল্ড লিফ ধরাতে ধরাতে যাবে,কিন্ত জুতা সেলাই করতে হবে।বাকী ২০ টাকা বাস ভাড়া লাগবে। আজ তার নিশার সাথে দেখা করার কথা। শালা পকেটে নাই পয়সা, তার আবার প্রেম।নিজেকে নিজেই গালি দিলো মিরাজ।

একাউন্টিং থেকে মাষ্টার্স করে বেকার বসে আছে মিরাজ। এখনো কোন চাকুরী জুটাতে পারেনি। এদিক সেদিক করে কোন মতে দিন চলে। প্রেম করা মিরাজের জন্য আসলেই বিশাল বিলাসিতা।

নিশা বিশেষ প্রয়োজনে মিরাজকে ডেকেছে,খুব তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে, বাস ষ্ট্যান্ডে গিয়ে দেখে এক টা বাসেও উঠার মত অবস্থা নাই, অগত্যা বেবী টেক্সিতেই যেতে হবে, ভাড়া টা নিতে হবে নিশার কাছ থেকেই।

২৯শে এপ্রিল ১৯৯১ ঘূর্ণিঝড়


ক্লাস সিক্সের ছাত্র,৮নং ১০নং বিপদ সংকেতের মর্ম বুঝা হয়ে উঠেনাই,তাছাড়া বড়দের কেউকে আতংকিত হতেও দেখিনি।সাধারণ দিনের মতই রাতে ঘুমিয়ে গেলাম।

মা ধাক্কা দিয়ে মাঝরাতে আমাকে তুলে দিলো, ছোট বোন ঘুম।সেদিন বাবার ছিলো নাইট ডিউটি।ঘুম থেকে উঠে ঝড়ের ভয়াবহতা বুঝে উঠেনি তখনো। আমাদের বাসার পিছনেই ছিলো মসজিদ।উঠে গিয়ে জানালা ভালো করে বন্ধ করতে গিয়েই লক্ষ্য করলাম মসজিদের ওজু করার অংশটি বুঝা যাচ্ছেনা,উপড়ে টিনের চালনি ছিলো,তা দেখা যাচ্ছেনা কেনো!!!ওজু খানা কেমন যেনো সাদা চাদরে ঢাকা, জানালার গ্লাস মুছে পরিস্কার করে ভালোভাবে খেয়াল করলাম ওজু খানা পানিতেই ডুবে আছে।তখনি ঝড়ের ভহাবহতা উপলব্ধি করা শুরু করলাম।মনে পড়লো বাবা তো অফিসেই, ইন্টারকম ল্যান্ড ফোনে অফিসে ফোন করতে লাগলাম কিন্তু ফোন কেউ ধরেনা।আমি জানালা গুলো নিয়েই ব্যাস্ত হয়ে গেলাম, একটা জানালা ভালো করে বন্ধ করি তো আরেক জানালা খুলে যাচ্ছে।নারিকেল গাছের জোরে জোরে দুলানি আর মাঝে মাঝে উড়ন্ত টিনের ঝনঝনানি সাথে ঝড়ের শোঁ শোঁ আওয়াজ আর আমার জানালা নিয়ে যুদ্ধ ,তখন পর্যন্ত এডভেঞ্চার এডভেঞ্চার টাইপেরই লাগতে থাকলো।ঝড়ের কমতির দিকে দরজা খুলে একটু বের হয়ে দেখলাম নিচের মানুষ গুলো দুতলায় অবস্থান করছে, আর আমাদের তৃতীয় তলায় দেখলাম মক্তবের হুজুর কে।অল্প সময়তেই পানির ওই রকম উচ্চতা (২য় তলা কাছাকাছি) দেখে বুঝতে পারছিলাম খুব অল্প সময়েই বেশী পানি চলে আসছিল।

মানা গইজ্জিলাম তোরে পিরিত ন গরিছ


"মানা গইজ্জিলাম তোরে পিরিত ন গরিছ, আঁর কথা ন ফুনিলি, এয়াক্যা মরের বিষ,
কইলাম পিরিত ন গরিশ!!!!!"

------- আমার CSM এত প্রান প্রিয় ভাই ও বোনেরা, গতকাল অফিস ছুটির পর আগ্রাবাদে আমার এক বন্ধু, এক বড় ভাই আর এক বিটলা ছুড ভাইয়ের লগে দেখা হয়, তারা আমারে হরেক রকম ভালো ভালো খাবারের লোভ দেখাই একটা দাওয়াতে যেতে অনুরোধ করে, আমি কড়জোড়ে মিনতি করি কিন্তু তাদের ভালবাসার কাছে পরাজিত হয়ে চাইরডা খাওয়া আর দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্য এ ফটিকছড়ির যাই, ফিরতে ফিরতে রাত ১২:৩০. তারপর সাথে সাথে বাথরুমে গিয়ে ৩০~৩৫মিনিট গোসল করি, ভাবছিলাম আগের সেই মুন্সিয়ানা আছে, কি হইবো?

কিন্তু ভাইরে রাত তিনটা থেকে ১০৩ জ্বর আর সকাল থেকে লাইনও ডাইরেক্ট। কামলা তেও যাইতে পারি নাই, বিছানায় পড়ি আছি। 

আমি দীন দরিদ্র মানুশ, কাজে না গেলে খামু কি, তাই যে পিরিতির কারনে আমার আজকে এই অবস্থা, সেই পিরিতি দেখাইয়া কেউ যদি অল্প চাইল ডাইল লই আমারে দেখতে আইতো!!!!!!! বেশি না ২/৩ জন, নইলে আবার চাইল ডাইলের ফইশা, চা বিস্কুটে বাইর হই যাইব........

আমি স্বভাবত স্বপ্ন দেখি না


আমি স্বভাবত স্বপ্ন দেখি না আর দেখলে ও মনে থাকে না ঘুম থেকে ওঠার পর। কিন্তু কিছু দিন আগে কলোনী নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখলাম, ঘুম থেকে উঠে মনটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কারন দেখলাম কে বা কারা যেন আমার মনের ভিতরে আঁকা সেই colony map টা কেও limit করে দিচ্ছে এবং বলল তোমার সীমানা এই পর্যন্ত (একটা দাগ কেটে দিয়েছিল)। আমার মনের অবস্থা বুঝেন তখন কেমন হয়েছিল!!!!! আমি জানি না এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি?? কেও কি সান্তনামূলক একটা ব্যাখ্যা দিবেন kindly...

"1991 প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় "


আমি তখন সম্ভবত ক্লাস থ্রীতে পড়ি ঠিক মনে নেই। কিছু কিছু স্মৃতি মনে আছে আর তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। সারাদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিল। সেইদিন আমাদের বাসায় আমার খালু বেড়াতে এসেছিল। আসার সময় মিষ্টি, লিচু আরও কি কি যেন এনেছিলেন। আমরা তখন ই টাইপ 9 নাম্বার বিল্ডিংয়ের তিনতলায় থাকতাম। 29 এপ্রিল মধ্যে রাতে ঝড় যখন বাড়তে লাগলো আম্মু ঘুম থেকে ডেকে দিল বললো পানিতে সব ডুবে যাচ্ছে।উঠে দেখি খুব বাতাস আর ঝড় হচ্ছিল। আমাদের জালায় কাঁচের গ্লাস ছিল তাই দেখছিলাম নারিকেল গাছ গুলো অনেক জোরে দুলছে। কিছু বুঝতে পারছিলাম না। যেহেতু আমরা তিন তলায় ছিলাম বাসায় দেখি আসেপাশের মানুষজন আমাদের বাসার এসে উঠল। সবাই আল্লাহকে ডাকছে।আমি তখন ছোট মানুষ পেটে খুব ক্ষুধা লাগছে আর কিছুক্ষণ পরপর ফ্রিজ খুলে খুলে শুধু লিচু খাচ্ছি। আসলে ক্ষুধা লাগছিল ঐ লিচু শেষ করার জন্য। 

আমরা সিএসএম বাসিরা কর্পোরেট টাইপের কেউ?


আমরা সিএসএম বাসিরা কর্পোরেট টাইপের কেউ? আমারা এখনে যে গ্রাউন্ডে এক হয়েছি তাতে আমাদের সবার একটাই পরিচয়... আমাদের মধ্যে মত দ্বিমত থাকবে, থাকবে তর্ক বিতর্ক, থাকবে প্রতিযোগিতা। প্রতিটি পরিবারে কম বেশী এসবের উর্দ্ধে নয়। হাজার ঝগড়া মান অভিমানের পরেও যে মানুষ গুলি এক চাদের নীচে বসবাস করে কেউ কাউকে ছেড়ে যায় না বা যেতে পারে না এটাই আদর্শ পরিবারের প্রথম শর্ত... আসেন সবাই ঝগড়া করি তবে তা হবে মিস্টি মধুর ঝগড়া।

কলোনি তে শীতকালে সবার যখন পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত


কলোনি তে শীতকালে সবার যখন পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত, তখন অনেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যেত।তেমনি আমাদের দোতলার রিপা আপারা সবাই বাড়িতে চলে গেল আর বাসায় রেখে গেল ওনার ভাই রিমন আর ওনার এক মামাকে।একদিন রাতের বেলা। দশটা হবে। রিমন ভাই লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে গেছেন।দরজা জানালা সব বন্ধ করে।ওনার মামা তখন ফিরেন নাই বাইরে থেকে।যখন ফিরলেন তখন হাজার ডেকেও দরজা খুলাতে পারছেন না।কলিং বেল নষ্ট।ধাক্কা দেয়ার পর এক সময় দরজা খুলে গেল।কিন্তু প্রথম রুমে রিমন ভাই শুয়ে আছেন এবং ওই রুমের দরজায় ছিটকিনি লাগানো।ওনার মামা তখন আমাদেরকে ডাকলেন।আমরাও রিমন ভাইকে চেঁচিয়ে ডাকতে লাগলাম।এ যেন কুম্ভকর্ণ এর ঘুম।কিংবা ঘুমন্ত রাজকন্যা র ঘুম।মাথায় কিছু আসছেনা কিভাবে ওনাকে ঘুম থেকে তুলব।ওই সময় দুলি ভাই কি কারণে যেন আমাদের বিল্ডিং এ আসছেন। উনি তখন জানালার কাচ একটু করে ভেংগে ছোট ছিদ্র করলেন। তারপর সেই ছিদ্র দিয়ে রাজপুত্রের মত লাঠি (সোনার কাঠি) ঢুকিয়ে গুতা দিয়ে রিমন ভাইকে ঘুম থেকে তুললেন।পুরো ব্যাপার টা বুঝতে রিমন ভাইয়ের সময় লাগল। যখন বুঝলেন তখন উনি ডালিমের দানার মত লজ্জায় লাল হয়ে গেছেন।

সাব্বির খেলা পাগল মানুষ ছিলো


সাব্বির খেলা পাগল মানুষ ছিলো।খেলার নাম শুনলে সে স্থির থাকতে পারেনা। সেটা ফুটবল বা ক্রিকেট যেটাই হোক। খেলাধুলা র সব খোজ খবর তার কাছে থাকতো। চিটাগাং থেকে দু দিনের জন্য ঢাকা আসলেও ঢাকা স্টেডিয়াম গিয়ে লীগের খেলা দেখে আসতো। আর চিটাগাং ফুটবল লীগের সিজনাল ভিআইপি পাশ তার কাছে সবসময় থাকতো। এখনো সে খেলাধুলো পছন্দ করে, কিন্তু ব্যবসায় বানিজ্য আর পারিবারিক ব্যস্ততার কারনে খেলাধুলা র তেমন খোজ রাখতে পারেনা বা টিভিতেও দেখার সময় হয়না

তাছাড়া সমসাময়িক কালের ফুটবল বা ক্রিকেট তার ভালো লাগেনা, এখনকার এইসব আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট গুলোতে অর্থের ঝনঝনানি আর গ্ল্যামার জগত টাই আছে, খেলাটির প্রতি যে দরদ থাকতে হয় সেটি দেখা যায়না। একেবারে রোবোটিক ভাব সাব। 

এর চেয়ে সাব্বির টেন স্পোর্টস এ ৩০/৩৫ বছর আগের ক্লাসিক ক্রিকেট বা ফুটবল দেখতেই পছন্দ করে। গতরাতেও এমন কিছু, প্রায় ২৫/২৬ বছর আগের ইতালিয়ান লীগের কিছু খেলা দেখছিল সাব্বির,খেলার এক পর্যায়ে দেখা গেল হেড দিতে গিয়ে এক প্লেয়ারের মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত পড়ছে। সাথে সাথে সাব্বির ফিরে গেল ২৫/২৬ বছর আগে।

"আনন্দ বাড়ি", " আমরা আমরাইতো ", " গ্রান্ড আড্ডা", " সূর্য -হাসি " এ শব্দ গুলোই বেশি বেশি দেখতে চাই এই পেজে


১. মিঠুর কথায়,' পেজে এখন সূর্য হাসছে'।তাই আমার বুকের পাথরটাও নেমে গেছে। আমি এখন অনেক হালকা,অনেক সতেজ। 
আশা করি আমাদের " আনন্দ বাড়ির " প্রাংগনে সূর্যটা হারাবে না আর।

২. গত কয়েকদিনে পেজে যে হাংগামাটা চলছে সে বিষয় নিয়ে দু একটি কথা বলতে চাই:
আতিক,রেজা,রিপন,তানিয়া,জসীম ( আরো অনেকে) সর্বোপরি টলি আর তারিকের প্রতি অনুরোধ, এই পেজে " আমরা সবাই রাজা " হতে চাই।

এখানে ভালোবাসা, বিশবাস, স্নেহ, শ্রদ্ধা সবই থাকবে, থাকবে না বিপরীতার্থক সব্দগুলো। 
কারো ব্যক্তিগত দূরবলতা বা পেশাগত বিষয় নিয়ে কটাক্ষ যেমন ঠিক না তেমনি পেশার কারনে কোন সুবিধা জনক অবস্থানেরও সুজোগ নেয়া সমীচীন নয়।

"আনন্দ বাড়ি", " আমরা আমরাইতো ", " গ্রান্ড আড্ডা", " সূর্য -হাসি " এ শব্দ গুলোই বেশি বেশি দেখতে চাই এই পেজে।

আমার কথায় কেউ দুখ পেলে ইন বক্সে বা সরাসরি ফোনে জানাতে পার। দয়া করে পেজে কেউ নেগেটিভ রিএক্ট করবে না।

সবার জন্য শুভ কামনা !!

Monday, April 25, 2016

এই পেজে শুরুর দিকে যারা রেগুলার ছিলেন,তারা সবাই হয়ত নিয়মিত না


এই পেজে শুরুর দিকে যারা রেগুলার ছিলেন,তারা সবাই হয়ত নিয়মিত না,আবার নতুন অনেকে এসেছে যাদের রেসপন্স দেখে লিখার উতসাহ পাই দারুন।মাঝে মাঝে তাদের জন্য পুরনো লিখা গুলো দেই,তার মানে এই নয় যে লিখার ভান্ডার ফুরিয়ে গেছে।আমাদের লিখার যে 
গুদাম ঘর, তাতে লিখার বিষয় অফুরন্ত। কোন দিন ফুরাবে না।
সবাই ভাল থাকুন, ভাল লিখা পড়ুন।
থাকা না থাকার মাঝখানে-
তোমাকে ছেড়ে যেদিন শেষ বারের মত চলে আসি,
পেছন ফিরে তাকাইনি আর।
চোখ বেয়ে পড়েনি ক ফোটা অশ্রু, 
ভেবেছিলাম ভেতরের মানুষ টা হয়ত মারা গেছে।

অন্তর মম নির্মল কর হে


সকালে অফিসে যাবার পথে, গাড়ীতে বসে পেজে না থাকার বিষয়এ পোস্টটা দিয়েছিলাম। সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম কাজে বুকের ভিতর একটা হাহাকারের কান্না নিয়ে।
কি যেন হারিয়েছি,কি যেন হারিয়েছি।
কী যেন নেই, কী যেন নেই।
অফিস থেকে বাসায় ফিরেছি, দেখি ইনবক্সে মুক্তার সম্মোধন--ভাই কেমন আছেন?
-ভালো
ভাবলাম ছোট, নির্লিপ্ত এ উত্তরে এড়িয়ে যাবে
কিন্তু না-
পরে আরো কিছু বলতে চাইলো-
-------
পোসটমাস্টার গল্পে দাদাবাবু চলে যাবার পর রতন পোস্টমাস্টারের ঘরের আঙিনায় ঘুর ঘুর করছিল দাদা বাবু যদি ফিরে আসে-এ আশায়
মনে হল-মুক্তা কি রতনের ভুমিকায়? 
---------
মনের অজান্তে সকালের পোস্টের কমেন্ট গুলোয় চোখ রাখলাম, মনটা আবারো খারাপ হল-
---------
কিছুক্ষণ আগে মোরশেদ এর পোস্ট করা ছবিটা দেখে মনটা হাউ মাউ করে উঠল। এত মায়া, এত স্মৃতি, এত ভালোবাসা !!
কি করে ছিড়বো এ বাঁধন ??

জীবিত ও মৃত (মনের মুকুরে)


আজ বিকালে হঠাত দেখি পুলক ভাই সবার জন্য ফরম এর ব্যবস্থা করছেন যার মাধ্যমে সবাই ইনফরমেশন জমা দিবে।ব্যাপার টা দেখে নিজেই একটু দিধায় পড়ে গেলাম।

রবীন্দ্রনাথ এর একটা গল্প আছে।জীবিত ও মৃত।গল্পের নায়িকা কাদম্বিনী মারা গেলে তাকে দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হয়।শ্মশান এ হঠাত তার দেহ নড়ে উঠলে সবাই পালায় তাকে ফেলে।কারন সবার কাছে মৃত।পরে এক বান্ধবী র বাড়িতে সে আশ্রয় নেয়।কিন্তু সবসময় সে দিধায় থাকে এই ভেবে যে কোথায় তার স্থান।এই পৃথিবীতে নাকি পরপারে।এক সময় তার মৃত্যুর ব্যাপারটা সবাই জেনে যায়।কেউ তাকে এ জগতের মানুষ বলে গ্রহণ করতে চায় না।শেষ পর্যন্ত সে পুকুরে ডুবে মরে প্রমাণ করে সে আসলেই মরেনি। 

আমার ক্ষেত্রে অনেকটা এরকম ব্যাপার ঘটেছে।২০০৫ সালে যখন চট্টগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এর ১০০ বছর পূর্তি হয় তখন আমিও নাম তালিকাভুক্ত করিনি এই ভেবে এই স্কুলে ত আমি কিছুদিনের জন্য এসেছিলাম।কিন্তু আমার সোনালী শৈশব ত অন্য স্কুলে।তাই সার্টিফিকেট এ ওই স্কুলের নাম থাকলেও অনুষ্ঠানের দিন যাইনি। আবার স্টিল মিলস স্কুলের পুনর্মিলনীতে আসার কথা ভাবলেও আসিনি এটা ভেবে আমি যে এই স্কুলের ছাত্র সেটা ত আমার সার্টিফিকেট বলেনা।কাদম্বিনীরর মত আমাকেও যদি ওই স্কুলের বলে গ্রহণ না করে।তবে এতদিনে সেই দোটানা অনেকটা কেটে গেছে।তবে কারো সহানুভূতি বা স্বীকৃতি কুড়ানোর জন্য নয়,অনেকদিন ধরে ব্যাপারটা মনের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিল,তাই শেয়ার করলাম।"কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল,সে মরে নাই।"আশা করি আমাকে এরকম নিষ্ঠুর ভাবে কিছু প্রমাণ করতে হবেনা

ডাক টিকেট খোজার দিনগুলো-


ছোটবেলায় সুমন ভাই,মাসুদ এদেরকে দেখতাম সোনালি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এর পেছনে যে ডাস্টবিন আছে( যেখানে ব্যাংকের অপ্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ফেলা হত) সেখানে কি যেন খুঁজতেন। ডাক এর খাম গুলো তে কি যেন দেখতেন আবার ফেলে দিতেন।পরে বুঝতে পারলাম, ডাকটিকিট খুজতেন। মাঝে মাঝে দুর্লভ বা নতুন ডাকটিকেট পেয়ে যেতেন।তখন উনাদের আনন্দ দেখে কে! বেশির ভাগ সময় সুমন ভাই পেতেন। উনি ডাকটিকেট জমাতেন বিভিন্ন দেশের। এগুলো দেখে আমার মন খারাপ হত।কিন্তু দীর্ঘ শ্বাস। ফেলা ছাড়া করার কিছুই ছিল না।

একদিন আম্মার সাথে মার্কেট এ গেলে ডাকটিকেট কেনার জন্য অনেক জোর করলাম।কিন্তু দাম বেশি হবার কারনে কিনতে ইচ্ছা হলনা।মন খারাপ করে চলে এলাম।

১৯৯৩ সালে বৃত্তি পরীক্ষায় চান্স পাবার পর আমার ভাই ডাকটিকেট এর একটা সেট কিনে দিলেন। কিন্তু ওই সেট পাবার পর কেন জানি ডাকটিকেট এর প্রতি আগ্রহ যেন একেবারে অনেক কমে গেল। কিন্তু ওই সেট টা আজও যত্ন করে রেখে দিয়েছি।এরপর আর ডাকটিকেট কিনতে চাইনি আর।

CSM COLONY page probably "HACKED"


After seeing all these posts and comments i feel CSM COLONY page probably "HACKED" by some group and making these incidents, otherwise the CSM friends, brother and sisters i know they are not like this, it can not be, i do not believe, so we are HACKED, and i hope we will come out from this soon and will restart with a fresh memory, with peace and respect, these ongoing practices are not normal and we need to be normal with our acts. thanks to all. Regards.

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ -২


বাস্তব জীবনে সাপ খুব একটা দেখি নাই। আর দু মাথা সাপ? প্রশ্নই আসে না। যা দেখেছি সিনেমায় দেখেছি। কিন্তু কিছু মানুষের চরিত্র দু'মুখো সাপের মতো দেখা যায়। আপনার সামনে আসলে এক কথা আবার আরেক জনের সামনে গেলে আরেক কথা। আপনার সামনে আসলে আরেকজনের বদনাম করবে আবার আরেকজনের সামনে গেলে আপনার বদনাম করবে। যেটা খুবই গর্হিত কাজ। আমি সবসময় একটা কথা বিশ্বাস করি। যে আমার সামনে আরেক জনের বদনাম করবে আমি নিশ্চিত আরেক জনের সামনে গেলে সে আমার বদনাম করবে। আপনি হয়তো বলতে পারেন, আপনি ঠিক থাকলে আপনার নামে কি বদনাম করবে। কিন্তু মনে রাখবেন যারা বদনাম করার লোক তাদের কোন ইস্যু লাগে না। তারা যে কোন ইস্যুতেই আপনার নামে বদনাম করতে পারে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় তারা এমন ভাবে সুন্দর করে গুছিয়ে বলে আপনি বিশ্বাস করতে বাধ্য। তাই আপনাকে আবারও বলছি এই ধরনের লোকের কথা বিশ্বাস করার আগে একবার ভাবুন। যেভাবে আপনার সামনে আরেকজনের কুৎসিৎ বলছে, আপনার কথা আরেকজনকে বলছেনাতো??

গেল শুক্রবার ছেলে মেয়েকে হাটতে বের হয়ে খুব ভাল লাগলো

- Hamytur Rahman

গেল শুক্রবার ছেলে মেয়েকে হাটতে বের হয়ে খুব ভাল লাগলো, আমার ঘরের খুব কাছে ফিসারি ঘাট কর্ণফুলির পারে মনোমুগধ পরিবেশে সময়টা ভালই কাটলো। বাড়তি পাওনা হিসেবে পাবে জেলেদের জীবন যুদ্ধের সাথে পরিচয়, নৌকা ভ্রমন এবং স্নিগ্ধ বাতাসের পরস। ও হে আরো আছে আমার ঘরে এসে ভাবির হাতের চা, বেলা বিস্কুট অথবা মুড়ি চনাচুর। সময় করে বেরিয়ে যাও সকলকে আমন্ত্রন।

এক লোক তার বৌয়ের সব কিছুতে ভূল ধরে


এক লোক তার বৌয়ের সব কিছুতে ভূল ধরে।।এমনকি সকাল বেলা নাস্তার টেবিলে ডিমটা নিয়ে পর্যন্ত ত্রুটি ধরে।।যেদিন ডিম পোচ দেয় সেদিন বলে ডিমটা মামলেট দিলে না কেন!!??মামলেট দিলে বলে অমলেট দিলে না কেন!!??
তো একদিন বউ রাগ এবং চালাকি করে ডিমের সমস্ত আইটেম করলো এবং টেবিলে খেতে ডাকলো আর বললো আজ কিন্তু ভূল ধরার সুযোগ নাই কারন আজ তোমার ডিমের সকল আইটেম আমি তৈরি করেছি।।

তখন স্বামী বললো না করেছো ঠিক আছে তবে এই দেশী মুরগীর ডিমটা না ভেজে যদি সিদ্ধ করতে,,ফার্মের মুরগীর ডিমটা সিদ্ধ না করে যদি পোচ করতে,,হাঁসের ডিমটা কারী না করে যদি মামলেট করতে তবে আরও বেশী ভাল হতো।।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি র পাশে গিয়েছি একটি কাজে, ঝাকেঝাকে সব ললনা


ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি র পাশে গিয়েছি একটি কাজে, ঝাকেঝাকে সব ললনা, অবশ্য সবই আমার হাঁটুর বয়সী, নিজের ২২ বছর আগের জীবন কল্পনা করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা। অবশ্য আজ আমার গেট আপ ২২ বছরর আগের গেট আপএর মতন, পরনে হাওয়াই সাদা প্রিন্টের শার্ট, নীল ফেড জিনস, পায়ে ব্লু স্নিকার (নিজেরে ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাসের নায়কের মত মনে হচ্ছে।)। খালি কপালে চুল কম, আর চুল যা আছে তাও সাদা।

ভাবতে ভাবতেই ঐ ভার্সিটি র এক এলোকেশী উর্বশী ললনা টিচার আামার পাশ দিয়ে পারফিউম এর সুবাস ছড়িয়ে জুহি মাখা হাসি দিয়ে (হাসিটা কি আমারে দিছিল???) গটগট করে হেটে গেলো, কেমন যেন পরিচিত মুখ লাগলো,বুকের বাম পাশ টায় যেন চিনচিন করে উঠলো, আর ভিতরে বাইরে আবহাওয়া যে গরম মাথা ঘুরিয়ে পরি নাকি ঠিক নাই, তাই বেশিক্ষণ ঐ ললনা ম্যাডামের দিকে তাকাইনি, একটু গান গেতে ইচ্ছে হচ্ছিল ঐ যে ঐ গান টি " তোমাকে চাই আমি আরো কাছে" ইভটিজিং মামলা খাই কিনা সে ভয়ে আর গাইলাম না।

মধুর বিয়ের আগের জীবন পর্ব ৫


মধুর বাপের বিয়ে হয়ে গেলো আজ দেড় বছর। এরই মধ্যে মধুরা দুই ভাইবোন থেকে তিন ভাইবোন এ পরিণত হলো।মধুর সাথে তার সিজনাল মায়ের সাথে সম্পর্ক ভালো ঠেকছিলো না।যাই হোক মধু বেচারা তার বাপের কাছে গেল টাকা চাইতে,কারণ আজ রজকিনির জন্মদিন।সে আর যাই হোক গতবার আমার জন্মদিনে একগাদা জুতোর ফিতে উপহার দিয়েছিলো।মধু ও রজকিনি কে তার জন্মদিনে উপহার দিতে চায়।তো মধুর বাপে মধুরে টাকা দিলো না।মধুর পকেটেও টাকা তেমন ছিলো না।কি আর করার,বাপের পকেট থেকে মধু তার প্রাপ্ত অংশগুলি advance এ মেরে দিলো।এতে অবশ্য মধু পাপের কিছু দেখছে না।কারন গত ঈদে মধুর সালামি গুলি তার বাপে জোরপূর্বক মেরে দিয়েছিলো।উল্লেখ্য মধুর প্রাপ্ত সালামি মধু বাপের ৩ মাসের সমপ্রায় ছিলো।যাই হোক রজকিনি কে জন্মদিনে কি উপহার দেওয়া যায় এই নিয়ে মধুর দুশ্চিন্তার শেষ নেই।অবশেষে মধু উপযুক্ত উপহার নিয়ে রজকিনির বাড়িতে গেলো।এদিকে মধুর বাপে তার সিজনাল বউরে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গেলো,এতে মধুর ঘরটা কেমন যেন পবিত্র মনে হতে লাগল।যাই হোক রজকিনি চিন্তা করল আর যাই হোক আজকে অন্তত মধুর সাথে ন্যাড়ামী করবে না .......

(চলবে)

মৃত্যু


কাব্য সাহেবকে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে বেশি চিন্তিত মনে হচ্ছে।গত রাত্রে তিনি একটি ভাইরাসের সেলুলোজ নিয়ে গবেষনা করছিলেন।ওই ভাইরাস টার কোষগঠন প্রক্রিয়াদি অন্যান্য ভাইরাস গুলোর মতো নয়।এই ভাইরাস টি তে একধরনের প্রোটিন রয়েছে যা মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ কারী কোষগুলো বা তন্ত্রগুলোকে মুহুর্তেই অস্বাভাবিক করে দিতে পারে।ডঃ কাব্য কিছুদিন ধরে এর প্রতিষেধক এন্টিসেপ্টিন তৈরিতে ব্যস্ততম সময় পার করছেন।এই ভাইরাসটি এখন ও তেমনভাবে ছড়িয়ে পড়েনি। ভাইরাস টির আক্রমন মানুষের মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম নাকি সে বিষয়ে জোড় গবেষণা চলছে।

(চলবে)

Sunday, April 24, 2016

চিঠি এবং মোবাইল ফোন


প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমাদেরও অনেক ক্ষেত্রে বোধহয় ক্ষতি হয়েছে।।যেমন একটা সময় ছিল যখন ফোন,,ফ্যাক্স,,মোবাইল,,ইন্টারনেট ইত্যাদি কিছুই ছিল না।।যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সব চেয়ে প্রাচীন প্রথা ছিল চিঠি।।এটা আদান-প্রদানের মাধ্যমে মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করতো।।

একটা চিঠি লিখলে তার উওর আসতো দশ-পনেরো দিন কিংবা একমাস পরে।।কত আবেগ,,কত ভালবাসা।কত শ্রদ্ধা-সম্মান।।যেটা কালের বিবর্তনে আজ আমরা হারাতে বসেছি।।

যেমন
প্রিয় মানুষ টি তার প্রিয় মানুষ টিকে লিখতো কেমন আছো??স্বাস্থ্য কেমন??নিজের খেয়াল রেখো??ঠিক মতো খাবার খেও ইত্যাদি।।ছাড়লো চিঠি।।এবার অপেক্ষা উওরের।।একদিন-দুদিন-পাঁচ দিন-সাত দিন।।কেবল অপেক্ষা আর অপেক্ষা।।উওর এলো।।অধীর আগ্রহ আর উৎকন্ঠা নিয়ে খোলা হলো চিঠি।।পড়া হচ্ছে চিঠি আর ভেসে আসছে চোখের সামনে সেই প্রিয় মুখ।।কখনও কখনও অতি আনন্দে বা কষ্টে বেয়ে পড়ে দু'ফোঁটা অশ্রু।।
আর এখন মনে পড়তে দেরি আর কথা হতে দেরি নাই।।স্রেফ কয়েকটা নাম্বার বাটন চাপলেই চোখের সামনে জল জেন্ত হাজির হয় সেই প্রিয় মানুষটি।।মোবাইল নামক বস্তুটি আসলেই অনেক উপকার করেছে এই ক্ষেত্রে।।এই তো গেল ভাললাগা-ভালবাসা-আর আবেগ।।

29 APRIL. SONDHA THEKE JHIRI JHIRI BRISTI HOCCHILO


29 APRIL. SONDHA THEKE JHIRI JHIRI BRISTI HOCCHILO.RAAT 12TAR POR THEKE SHURU HOLO TANDOB.SE KI BATAS R TAR SATHE BATASER BIKOT SHOBDO.JA AMI JIBONEO SHUNINI.BATASER PROTHOM DHAKKATA ASE LAGE AMAR MATHAR KACHER JANALAE.JANALATA VENGE JAE.TOKHON AMRA C-8-E TE THAKTAM.TARPOR SHURU HOLO JHORER TANDOB.CHARDIK NIKOS KALO ONDHOKARE CHEYE JAE.MONE HOCCHILO KIAMOT SHURU HOACHE.R KONODIN HOYTO SOKAL HOBENA.CHARPASHE CHITKAR,KANNA-KATI R AZANER SHOBDO SHUNA JACCHILO.SHOBDE KANGULI FETE JABAR UPOCROM.HOTHAT ABBA BOLLEN PANI ASCHE.AMMA-ABBA DORJA EKTU KHULE DEKHTE CHACCHILO PANIR OBOSTHA.HOTHAT BATAS ASE DOJAE AMON CHAP DILO R EKTU HOLE ABBA-AMMAR MATHATA GURIE JETO.SEI BIVISIKAMOY RAAT KOKHONO VULAR NOY.

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ - ১


পৃথিবীটা বড়ই স্বার্থপর। স্বার্থের জন্য মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। আপনি যা কখনো চিন্তাও করতে পারবেন না তাও মানুষ তার নিজ স্বার্থের জন্য করতে পারে। স্বার্থের জন্য কখনো ছুড়ে ফেলে দিবে বা আবার কখনো আপন করে বুকে টেনে নিবে। ওদের কিন্তু চক্ষু লজ্জা নাই। সামান্যতম চক্ষু লজ্জা থাকলে এইসব কাজ করতে পারতো না। এই ধরনের লোকদের আমরা চিনতে পারলেও অনেক সময় কিছু করতে পারিনা। কিংবা চক্ষু লজ্জার কারনে সামনা সামনি কিছু বলতে পারিনা। এভাবে আর কতদিন?? কতদিন আমরা চুপ করে থাকবো??

শিরোনামহীন


২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে স্বাভাবিক চলাচলের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলি। প্রথম দিকে কিছু ভুল চিকিৎসা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী আমাকে অর্থনৈতিক ভাবেও প্রতিবন্ধী করে দেয়। 

সেই সময় থেকে আজ অব্দি আমার দুঃসময়ের ছায়াসংগী হয়ে রয়েছে আমার স্কুল জীবনের সহপাঠী বন্ধুরা। তারা সেই সময় একরকম ঢাল তলোয়ার ছাড়াই যুদ্ধ ঘোষনা করে আমাকে উন্নত চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলার জন্য।

এর মাঝে বন্ধুরা ছাড়া সিএসএম এর এক বড় ভাই আমার ও আমার পরিবারের দুরাবস্তার কথা জানতে পেরে আমার পাশে দাড়ায় বিশাল হৃদয় নিয়ে।

এভাবেই কাটতে থাকে আমার দিনকাল।

২৯ শে এপ্রিল ঝড় নিয়ে অনেক স্মৃতি, অনেক কিছুই লিখার আছে


২৯ শে এপ্রিল ঝড় নিয়ে অনেক স্মৃতি, অনেক কিছুই লিখার আছে কিন্তু কোন কিছুই লিখতে ইচ্ছে করেনা। অনেক বিভৎস, অনেক কষ্ট এই দিন টি। আমরা নীচ তলাতেই ছিলাম, এক দিন পরেই আমার এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। আর সেদিন ছিল স্কুল থেকে আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান। 

ঝড় শুরু হওয়ার পর কোন মতে জীবন নিয়ে সবাই দোতালায় উঠি। নিজেরা সরাসরি ক্ষতির শিকার হওয়া স্বত্তেও সকাল বেলাই কাটগড় ও দ: পতেংগা ঘুরতে যাই ওই সমস্ত এলাকাজুড়ে দেখি শুধু ধবংসযজ্ঞ। আর লাশের সারি। সবচেয়ে খারাপ লেগেছে একটি বাচচা মেয়ের লাশ কর্নফুলি নদীতে ভাসছে মেয়েটি এক হাতে কোল বালিশ আকড়ে ধরে আছে, বুঝাই যাচ্ছে বাঁচার শেষ চেষ্টা হিসেবে কোল বালিশ টিকে আকড়ে ধরেছিল। এধরনের মর্মান্তিক দৃশ্যই ছিল ওই সময়কার কয়েকদিনের নিত্যদিনের ছবি আর বাতাসে খালি লাশের গন্ধ।

এই ২৯ এপ্রিল প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও পরবর্তী ঘটনা আমার ব্যাক্তিগত জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আর যার শেষ হয়েছিল মনের উপর আরেক ঘূর্ণিঝড় দিয়ে।

লিখবো না বলেও লিখে ফেললাম।

অনেক বড় লিখা সবভব হলে কস্ট করে পড়ে নিবেন,নিবেঃপাগলের প্রলাপ বকা


মানুষ তো মানুষের ভাল করবে না হয় খারাপ করবে অন্ন কেউ তো করত্যে পারবে না তত্রুপ আমরা ই আমাদের ভাল করবো না হয় কারাপ করবো তাতে অনন্যার কি? অন্য বলতে মানুষ ছাড়া আর সব।
মানুষের মাঝে গড়ে ওঠা সম্পর্কগুলা সম্ভবত বিনিময়-প্রথা মেনে চলে না। এই কারণেই তুমি কাউকে খুব বেশি মূল্য দিলে বিনিময়ে সেই মানুষটাও তোমাকে মূল্য দিবে-এটা আশা করা যায় না..!!
প্রত্যেকটা মানুষের প্রায়োরিটির লিস্ট আলাদা। তোমার লিস্টে যে মানুষটার নাম ১ নাম্বারে আছে, তুমি হয়তো তার লিস্টেই
নেই। তোমাকে এই কঠিন সত্যিটা সহজে
মেনে নিতে হবে। মেনে নেয়ার নামই
জীবন. ।জীবন কে মেনে চলার নাম ই আল্লাহ কে মেনে নেওয়া।
তাই
কাউকে খুব বেশি পরিমাণে গুরুত্ব যদি দাও, তাহলে নিঃস্বার্থভাবেই দিও। কাউকে খুব বেশি কেয়ার করে নিজেও তার কাছ
থেকেও অমন কেয়ার পাওয়ার আশা করো, তাহলে কষ্ট পেতে হবে। অনেক রকমের কষ্ট আছে এই পৃথিবীতে আশাভঙ্গের কষ্টটা সহ্য করা বড্ড কঠিন..!! আমি আমার আল্লাহ কাছে বলি হে সৃষ্টি কর্তা আমায় দিও না, দিলে নিও না, এই বেথা সইবার পারবো না।

অফিসারস ক্লাবের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা


অফিসারস ক্লাবের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা য় আমরা কয়েকজন ভিক্ষুক সাজি, তার মধ্যে বদরুল বেয়ারিং এর গাড়ি চড়া লুলা ভিক্ষুক, Shojib Rahman মাটিতে গড়িয়ে চলা ভিক্ষুক আর আমি বিকলাঙ্গ ভিক্ষুক হই। প্রতিযোগিতায় ১ম ২য় কিছু না হলেও মাত্র ১০ মিনিট ভিক্ষুক সেজে সেই ৯৭ সালে প্রায় ৯০ টাকা প্রতিযোগিতা র দর্শক দের কাছ থেকে ভিক্ষা পাই। এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক দের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। যার ফলশ্রুতি তে কিছুদিন পর অফিসারস ক্লাবের সভাপতি মোমিন চাচা আমাকে ও বদরুল কে ডেকে ক্লাব কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে ছোট নাটিকা টাইপ কিছু একটা করতে বলেন। সেই "দু:খ পরিদর্শন" নামক নাটিকা টি তে আমি বাতেন চরিত্রে, বদরুল মামা চরিত্রে, সজিব দুলাভাই চরিত্রে, রাজিব তিলু চরিত্রে আর বিপুল হাইজ্যাকার চরিত্রে অভিনয় করে যদিও হাইজ্যাকার চরিত্র টি Ahsanul Tarique এর করার কথা ছিল কিন্তু তার চিকেনপক্স হওয়াতে তার জায়গায় বিপুল কে নেওয়া হয়। 

আমার ছোট ভাইয়ের লেখা এই নাটিকা টি পুরোপুরিভাবে হাস্যরসে ভরপুর হলেও এখানে কিছু শিক্ষা মুলক মেসেজ ছিলো।

নাটকের শেষ দৃশ্যের দিকে যখন হাইজ্যাকার কর্তৃক মামার(বদরুল) পায়জামা ছিনতাই করে হাফপ্যান্ট পড়া অবস্থায় দেখা যাচ্ছিল তখন উপস্থিত দর্শক গন হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল।

অনেক ঘটনার মধ্যে তিনটি আপাতত বলি


অনেক ঘটনার মধ্যে তিনটি আপাতত বলি, তখন মাত্র কলেজে উঠেছি একদিন হালিশহর মামার বাসায় যাওর জন্য, কাস্টম থেকে রিকশায় করে যাচ্ছি একটা আকাম করতে করতে।। কলোনির কোন এক চাচা আমার হাতের জিনিষটি দেখে সোজা আব্বার কাছে বিশ্ময় প্রকাশ করেছে সুমনের মত ছেলে এই কাজ..... বাবা আমার কেঁদে ফেলেছেন কেননা উনি চাচা কে বলেছেন আপনি ভুল দেখেছেন এর পর অফিস থেকে আম্মাকে ফোন, একটাই প্রশ্ন সুমন কে জিঙ্গাসা করো গতকাল হালিশহর রিক্সায় করে গিয়েছি কিনা? প্রশ্ন শুনে আমিত বুঝে ফেলেছি কিন্তু অস্বীকার করার কোন সাহস বা শক্তি কোনটাই ছিলনা। আজ পর্যন্ত জানতে পারিনি সে চাচাটা কে। তখন উনার উপর একটু মন খারাপ হলেও আজ বুঝতে পারি আমার সম্পর্কে উনার আনেক ভাল ধারনার কারনে উনি আব্বার কাছে বলেছে আর আমি আমার আব্বা আম্মার প্রতি কৃতজ্ঞ এই কারনে যে উনারা আমাকে উনার নাম বলেননি বললে হয়ত তখন উনার প্রতি না বুঝে একটা বিরূপ ধারনা হতে পারত কাচা বয়সে যা হয় আর কি। আমাদের বাপ চাচা গুলি এত উচ্চ শিক্ষিত ছিল না কিন্তু উনাদের আচার আচরন আজকাল হাজার উচ্চ শিক্ষিত কে হার মানাবে.....

আজ ২৪ এপ্রিল, আমার চাকুরী জীবনের ১৭ বছর পূর্তি আজ


আজ ২৪ এপ্রিল, আমার চাকুরী জীবনের ১৭ বছর পূর্তি আজ।১৯৯৯ সালের এই দিনে আমি বসুন্ধরাগ্রুপ এ জয়েন করি। পোস্টিং হয় পুরানো ঢাকার ব্রাঞ্চ অফিসে। সহকারী অফিসার হিসেবে স্বল্প বেতনের চাকুরী। স্বল্প বেতন হলেও স্টিল মিল বন্ধের ক্রান্তি কালে এ চাকুরী ছিল আমার ও আমার পরিবারের প্রতি সৃষ্টিকর্তার অসীম দয়া। দীর্ঘ ১০ বছর এই গ্রুপে চাকুরী র শেষ দিকে অফিস রাজনীতির শিকার হয়ে বসুন্ধরাগ্রুপ এর চাকুরী ছেড়ে ২০০৯ সালে পারটেক্স গ্রুপের পারটেক্স পেপার মিলের মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিভিশনে সিনিয়র ম্যানেজার হিসেবে জয়েন করি, বর্তমানে এখানে আমি সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছি।

চাকুরী র ১৭ বছর পূর্তিতে আমি সবার কাছে আমার ও আমার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া চাই যাতে ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারি।

Saturday, April 23, 2016

ভূলবোনা তোমাকে


জন্মের পর থেকে স্টীল মিল কলোনীর আলো বাতাসে বড় হয়েছি। সব সময় ছোট বড় সকলের স্নেহ ভালবাসা পেয়েছি। কলোনীতে কতইনা দুস্টমি করেছি ডাব চুরি পেপে চুরি আম চুরি এমন কি জেরিন আপার পরিক্ষার খাতা চুরি এই চুরি করতে গিয়ে কত বিপদেই না পরেছি।

যতই দুস্টমি করি না কেন কখনো কারো সাথে বেয়াদবি করিনি। আমাদের দুশটমির জন্য মুরব্বিরা আমাদের কতইনা বকা দিয়েছেন পরক্ষনে আবার ডেকে ছাত্তার স্টোরে খাইয়েছেন। এটাকে কি বলবেন শাষন না ভালবাসা। রাস্তায় চলাফেরার সময় কখনো মুরব্বি এমন কি বড় ভাইদের সামনে সামনে কখনো হাটিনি।বড় ভাইয়েরাও ঠিক তেমনি আমাদেরকে দেখলে উনারা নিজ থেকে সরে যেতেন।

আমরা কলোনি থেকে বের হয়ে টি এস পি কলোনির পাশে বাড়ি করে এখানেই আছি, আজ ১৭ বছর এখনো আমি পাশের বাড়ির মানুষকে চিনিনা। প্রথম প্রথম এখানকার ছেলেদের সাথে মিশতে চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারিনি ওদের সাথে কোনো ভাবে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারিনা। ওদেরকে খারাপ বলার কোনো অবকাস নেই কিন্তু পারিনা কোথায় যেন একটা কিসের অভাব অনুভব করি।

সি এস এম কলোনিতে আমার জন্ম


সি এস এম কলোনিতে আমার জন্ম.আমার আম্মু নতুন বউ হয়ে এখানে আসেন. আমার আব্বুর কবর ও এখানে.তাই সি এস এম কে ছেড়ে কখনোই দূরে থাকতে পারবো না.আমার কাছে সি এস এম মানে আমাদের পাঁচ ভাইবোনের বড় হওয়া.আমার বড় বোনদের বিয়ে. সি এস এম মানে পাগলা সুজন যার জ্বালাতন খুব মিস করি.আমার শাহআলম কাকা.সি এস এম মানে মুজিব ভাই হাফিজ ভাই ও মোজাম্মেল ভাই. সি এস এম মানে দাওয়াত না পাওয়া জসিম ভাই ও রুবা আপার বিয়ে. আশিষ দা দেবুদা দা(পড়ার জন্য ওনাদের হাতে আমরা তিন ভাইবোন প্রচুর বকা খেয়েছি).সি এস এম মানে চন্দন চাচা ওচাচি যারা আমাকে আব্বু ও আম্মুর অবর্তমানে মেয়ের মতো মানুষ করেছেন.সি এস এম মানে তারিক ভাই যার সুস্থতা আমাদের সবার চাওয়া ...

সেই সি এস এম কলোনি ছেড়ে কোথায় যাব আমি? কেন যাব? যাব না কোথাও. যেতেওও চাই না কোনোদিন.

কেয়ামতের জোয়ার চলছে মানে কেয়ামত সে কেয়ামত তকের জোয়ার চলছে চারিদিক


কেয়ামতের জোয়ার চলছে মানে কেয়ামত সে কেয়ামত তকের জোয়ার চলছে চারিদিক, তখন ক্লাস নাইনে পড়ি, সকালে ঘুম থেকে উঠলেই হায় মেরে হাম সফর, ঘুমাতে যাবার আগেও হায় মেরে হাম সফর।শুনতে খারাপ লাগেনা, ততদিনে আমি এই ছবির মহা ভক্ত। প্রতিদিনই এই সিনেমা টি নিয়ে পোস্টমর্টেম করি। 

৮৯ সালের রোজার মাস, এক রৌদ্রজ্জ্বল সকালে একটি আকাশী কালারের খাম, ভিতরে সুন্দর একটি ঈদ কার্ড আর সাথে নীচে সংযুক্ত নীচে প্রদর্শিত এই ভিউ কার্ড টি। 

তারিখ টি মনে রাখলে ভালো হতো কারন ওই দিনটি থেকেই আমি জুহিচাওলার একেবারে কানা ভক্ত। তবে আফসোস, ঈদ কার্ড সহ এই ঐতিহাসিক ছবিটি কিছু দিনের মধ্যেই ধরা পড়ে এবং আমি রিমান্ডে যাই।

আমরা যারা ফেইসবুক ব্যবহার করি


আমরা যারা ফেইসবুক ব্যবহার করি। তাদের ব্যক্তিগত ফেইসবুকে একাউন্টে কম বেশি অনেক ফ্রেন্ড আছে। তার নিজস্ব ওয়ালে / একাউন্টসে সেখানে অনেক কিছু লিখতে পারে। অনেক কিছু পোষ্ট দিতে পারে। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার ব্যক্তিগত পোষ্টে যারা কমেন্টস করবে কিংবা লাইক দিবে, সেটাও তাদের নিজস্ব ব্যাপার। ব্যক্তিগত পোষ্ট থেকে কিছু লাইক / কমেন্টসের সূত্র ধরে CSM COLONY'র পেইজে রেষটানা কিংবা এটা নিয়ে পোষ্ট দেওয়া মোটেও উচিত কাজ বলে আমি মনে করিনা। কিন্তু আমার জানামতে কেউ কেউ এ কাজ করছেন। আপনাদের কাছে অনুরোধ দয়া করে আপনারা ব্যক্তিগত পেইজ এবং CSM COLONY'র পেইজ দুইটারে এক করবেন না। দুইটা সম্পুর্ন আলাদা পেইজ। সিএসএম কলনির সবাই কিন্তু আমার ব্যক্তিগত পেইজে ফ্রেন্ড লিষ্টে নাই। হয়তো আমাকে চিনে নাই, নয়তো আমি চিনি নাই। যারা আছে তাদের সবার সাথে মুটামুটি ভাল সম্পর্ক আছে। আরেকজনের সাথে হয়তো নাও থাকতে পারে। এমনও দেখেছি সিএসএম কলনির পেইজ থেকে পরে ব্যক্তিগত পেইজে ফ্রেন্ড হয়েছে। কিন্তু সবাইকি একজনের আরেকজনের ভাল বন্ধু হতে পেরেছে? পারেনি বা সম্ভবও না। তাই আপনাদেরকে আবারও অনুরোধ করছি ব্যক্তিগত পেইজ থেকে কোন কিছু বা বিষয় নিয়ে সিএসএম পেইজে আলোচনা/আক্রমন করবেন না কিংবা সিএসএম পেইজ থেকে কোন কিছু বা বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত পেইজে আলোচনা / আক্রমন করবেন না।

আশাকরি এখন থেকে আমরা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবো।
সবাইকে ধন্যবাদ। 
ভাল থাকবেন।

তানিয়ার এই অরজন একই সাথে বিনম্র নিবেদন শুধু ওকে নয় এই পেজের সবাইকে মহিমান্বিত করেছে


তানিয়ার এই অরজন একই সাথে বিনম্র নিবেদন শুধু ওকে নয় এই পেজের সবাইকে মহিমান্বিত করেছে।সুখের কথা শেয়ার করলে সুখানভূতিটা বেড়ে যায় আর দুখের বেলায় হয় উলটো।
সুতরাং সুখ-দুখ শেয়ার করতে কোন কুন্ঠা না থাকাই ভালো। অন্যদেরও সেভাবেই নেয়া উচিৎ।
২০০৪ সালে আমি আর মমিন ভাই উদ্যোগী হয়ে ঢাকার রমনা রেস্টুরেন্টে একটা CSM গেট টুগেদার করেছিলাম।
সে উপলক্ষএ "চিমনি নয় স্মৃতির মিনার " নামে একটা লেখা লিখেছিলাম। লেখাটা প্রকাশ করতে পারিনি। 
দুখের বিষয় হাড কপি, সফট কপি দুটোই হারিয়ে ফেলছি। অনুসন্ধানে থাকব।
খুঁজে পেলে তানিয়ার হাত ধরে বলবো-
"ভাই, তোমার সম্পাদককে ধরে আমার লেখাটা একটু ছাপিয়ে দাও না। "
তানিয়া নিশ্চয় আমার অনুরোধ ফেলতে পারবে না।

বন্ধু রেজা।।


যার হাসি অমলিন। পৃথিবীর শ্রেস্ট মানুষদের মধ্য একজন। বয়সের বিস্তর ব্যাবধান সত্বেও আমার কাছে ওর গ্রহন যোগ্যতা সীমাহীন। আমাকে যদি বলা হয় পৃথিবীর মানবীয় গুন সম্পন্ন তিন জন মানুষের নাম বলতে, তা হলে অবশ্যই রেজার নাম বলবো। ওর জন্য নোবেল সংগ্রহ করেছি।। কোন এক অনুস্টানে তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হবে।

প্রথমে বিনম্রভাবে বলতে চাই ব্যক্তিগত প্রচার করছি না


প্রথমে বিনম্রভাবে বলতে চাই ব্যক্তিগত প্রচার করছি না।সি এস এম আমার ও আমাদের জায়গা বলে আমার প্রাপ্তিটুকু শেয়ার করছি। তার কারণ: এর মাধ্যমে সি এস এম এর বিশাল প্রাপ্তিকে বড় পরিসরে জানাবো।

আমি গত ২ দিন আগে সমকাল সংবাদপত্রের অঙ্গ সংগঠন " সমকাল সুহৃদ " নামে সংগঠনের সহ- সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি।সমকাল পত্রিকায় সি এস এম ভাই - বোন- কাকা-ফুফুদের লেখাগুলো( সি এস এম এর আনন্দ বেদনা) প্রকাশ করে আমাদের সি এস এম কে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই। যেন সমকাল পত্রিকাসহ দেশবাসী সি এস এম লেখকদের জাত চিনুক।লেখা নির্বাচন করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক।মূল বিষয়বস্তু ঠিক রেখে লিখে ফেলুন কাকা,ফুফু,ভাই, কাকা।

আবারো বলছি, আমার এই বিষয়টিকে প্রচার বলে দেখবেন না।আমরা আমরাইতো ভেবে জানালাম।

সম্পর্ক এর শিরা উপশিরা


কাল দুপুরের ঠিক আগে রুনা আপা আমাদের বাসায় এসেছিলেন। আমি তখন বাসায় ছিলাম না।রুনা আপা, Khurshed Alam Manik ভাইয়ের ছোট বোন, টিটু ভাইয়ের স্ত্রী। একসময় আমাদের নিচতলা তে থাকতেন।তারপর সিটাইপে চলে যান।তারপর অনেকদিন দেখা নেই।প্রায় বিশ বছর।

কাল আবার দেখলাম।কিন্তু বেশি কথা বলতে পারিনি।আম্মার সাথে বেশির ভাগ কথা বলছিলেন। আমি নামাযে চলে গেছিলাম।ফিরে এসে আর দেখিনি।তাহলে একটা ছবি দিয়ে দিতাম। রুনা আপা আম্মার সাথে কথার ফুল ঝুড়ি খুলে বসলেন। নতুন জমে থাকা কথা, পুরনো কথা।আপার সাথে গল্প করতে করতে আম্মার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।পুরনো মানুষকে খুজে পেয়ে যেন আবার পুরনো দিনগুলোতে ফিরে গেলেন দুজন।

এই রুনা আপা একসময় ছিলেন আমাদের প্রতিবেশী। ঘটনা চক্রে এখন আত্মীয়া।রুনা আপার বর টিটু ভাই এর ছোট বোন বাচ্চু আপার বর আমার মামাত বোনের খালাত ভাই।সেই সূত্রে মানিক ভাই, টিংকু ভাই আমার বেয়াই।

আসলে স্টিল মিলস কলোনি র সবাই কোন না কোন এক অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ, যা দেখা যায় না শুধু অনুভব করা যায়

আজ ২৩ এপ্রিল


আজ ২৩ এপ্রিল, ঠিক ১৭ বছর আগে ১৯৯৯ সালের এই দিন আমি পুরোপুরিভাবে কলোনি তথা চিটাগাং শহর ছেড়ে ঢাকায় চলে আসি চাকুরী তে জয়েন করার জন্য। তখন স্টিল মিল বন্ধ হওয়ার পথে, আমার ফ্যামিলি র সবাই কলোনি তেই আছে। খালি আমি বের হয়ে যাচ্ছি।

এই চিটাগাং শহরেই আমার জন্ম, বেড়ে উঠা, বুক টা কষ্টে ফেটে যাচ্ছিল এই শহর ছেড়ে আসতে। তবে সেদিন ঠিক সময়মত চিটাগাং ছেড়ে ঢাকা এসেছিলাম বলেই হয়ত আজ কর্মজীবনে এতদূর আসতে পেরেছি। 

আসলে সময়মত অনেক কিছুই ছেড়ে আসতে পারাটাই বা ছেড়ে দেওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।

Friday, April 22, 2016

কলোনির এই পেজে শুধু কলোনি জীবনের ভাল দিকগুলোই তুলে ধরেছি আমরা


কলোনির এই পেজে শুধু কলোনি জীবনের ভাল দিকগুলোই তুলে ধরেছি আমরা ।কিন্তু কলোনি জীবনের ঝগড়া ঝাটি , রেসা রেসি ছিল তা কিন্তু আমরা কেউ মনে রাখিনি ।যার কারণে আমরা করতে পেরেছি GRAND ADDA .হঠাত্‍ কি এমন হলো বুঝতে পাড়ছি না ।অনেক অনেক পেজের সৃষ্টি হচ্ছে ।আমাকে ও অন্তভূক্ত করা হয়েছে ।অনেক গরম নরম পোস্ট দিচ্ছে অনেকে ।অনেক পোস্ট পড়েছি ও ।কিন্তু মন পড়ে আছে CSM COLONY তে ।আমরা কি সবাই ছোট হয়ে যচ্ছি ?আমি ছাড়ছি না এই পেজ ।অনেক ভালবেসে ফেলেছি তোমায় ।তুমি সব সময় ভাল থেকো CSM COLONY .

বন্ধুত্ব ব্যাপার টা আমার কাছে পরিস্কার না


বন্ধুত্ব ব্যাপার টা আমার কাছে পরিস্কার না,কারন আমার নিজের তেমন কোন বন্ধু নেই যার সাথে সব শেয়ার করতে পারি।তাই নিজের ব্যাপারগুলো নিজের মধ্যে চেপে রাখি।তবে আমার ভাই বোন দের বন্ধুত্ব দেখলে অবাক হই।এত বছর পরেও দেখা হলে আন্তরিকতার কোন কমতি থাকেনা।আমার হয়ত বন্ধু নেই,কিন্তু আছে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী।কোন মনীষী নাকি বলেছেন, ভাল বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার,যদি নরকেও পাওয়া যায়।

ছবিটা অপু ভাই ও তার বন্ধুর,অনেক বছর আগের, ফেলে আসা সুন্দর দিনগুলোর।

টেস্টারে বসে কাজ করি


টেস্টারে বসে কাজ করি। ইলেক্ট্রনিক্স ফ্যাক্টরি। রিজেক্ট বোর্ড গুলি টেকনিশিয়ান দের কাছে পাঠিয়ে দেই। মিঃ লিম, আমার রুমে প্রবেশ করলো সাথে এক ইন্দোনেশিয়ান মেয়ে। মেয়েটি আমার সাথে কাজ করবে। হাসি হাসি মুখে হাতটি বাড়িয়ে দিলো, হ্যালো, আমি ইয়ান্তি। আমিও নানার দেওয়া নামটি বললাম, আমি রেজা। দুজনে এক সাথে কাজ করি। মেয়েটি চোস্ত ইংরেজি জানে। কাজের ফাকে ফাকে টুকটাক গল্প। কখনো কেন্টিনে এক সাথে লাঞ্চ বা টি ব্রেক। আমি ইংরেজী দুইটা ওয়ার্ড বললে বাকিটা মেয়েটি বুঝে নিতো! মেয়েটি বুঝতে পেরেছিলো, আমার ইংরেজির দৌড় যে, নওশের কাকা পর্যন্ত! আমি মহাখুশি। মনে মনে সার্টিফিকেট দিয়ে দিলাম, ভালো মেয়ে। মাঝে মাঝে দুজনে, দুজনের দেশের খবর/টবর নেই। দেশে কি করতে,রেজা? চাষাবাদ করতাম। তোমার বাবা/মা? আমার মা রান্না রানা/বান্না করে। তারপর খাবার নিয়ে, দুপুরে বেলায় ধান ক্ষেতে যেতো, আমরা বাপ/বেটা মিলে, সে খাবার খেতাম। ওয়াও! হ্যাপিফ্যামিলি! তারমানে তোমরা ফার্মার! আমি তোমার দেশে যাবো। এভাবেই আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে, আন্তরিকতা। তুমি দেশে কি করতে? মাস্টোরনি ছিলাম! বলো কি? তাহলে এখানে কামলা দিতে আসছো কেন? টাকা কামাতে! আমাদের দেশে বেতন কম। টাকা কামিয়ে দেশে গিয়ে, ব্যাবসা করবো তারপর বিয়ে শাদি! আরেকবার মনে মনে সার্টিফিকেট দিলাম, খুউব ভালো মেয়ে! আন্তরিকতা আর একটু বেড়ে গেলো। গায়ে খুব জর, কাজে যেতে পারিনি। বিকাল বেলায় ইয়ান্তি হাজির! সাথে করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলো। ঔষুধপত্র সহ হোস্টেলে পৌছে দিলো। এবার বলেই ফেললাম, তুমি খুব ভালো মেয়ে, ইয়ান্তি। ছোট্ট করে উত্তর দিলো, আমি জানি।

ব্লাড + কাব্যর প্রেম


গত সপ্তাহে সংগঠনের প্রয়োজন এ চট্টগ্রাম মেডিকেল এ আমাদের ব্লাড ক্যাম্পেইন এ ফেবু সেলিব্রেটি (৫০ হাজার ফলোয়ার) নিশি আপুর কাছে যাই রক্তের গ্রুপ যানার জন্য।তো নিশি আপু সিরিঞ্জ নিয়ে বসল ব্লাড নেওয়ার জন্য।তখন আমি নিশি আপুকে বলি আপু আমার থেকে ব্লাড নেওয়ার আগে আমার হাত পা মালিশ করে দিতে হবে,আমাকে পিঠ চুলকাই ঘুম পারাই দিতে হবে,আমাকে প্রপোজাল পাঠাতে হবে। আপু এইসব শুনে বল্ল যে বাজিরে আমি তোর ব্লাড টেস্ট করতে পারবো না,তবে আরেকজন কে পাঠাচ্ছি ওকে তুই বলে দেখতে পারিস।এইবলে নিশি আপু বর্ষা আপুকে পাঠিয়ে দিলো (৯ হাজার ফলোয়ার)।বর্ষা আপু এসেই ফোন নাম্বার খোজতে লাগল,,,ইয়াসিন ভাই থেকে আমার ফোন নাম্বার টা নিয়ে বল্ল আজকে নো ব্লাড টেস্ট,আজকে অনলি লাভিং,।।সেই থেকে এই যে বিরক্ত করা শুরু করল,,,,২ দিন অবস্থা টাইট ছিল।।।।।।।এখনও আমি ব্লাড টেস্ট করাতে পারি নাই।।।।।নিশি আমারে মাফ করে দিস

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss