Monday, November 30, 2015

শীতকালটা বোধ হয় এসেই পড়ল


শীতকালটা বোধ হয় এসেই পড়ল। চারিদিকে কেমন যেন একটা রোমান্টিক গন্ধ, বার্ষিক পরীক্ষা চলছে, পরীক্ষা শেষে একসাথে পথ চলতে চলতে স্কুল থেকে বাসায় ফেরা, কুট কুট করে কত কথা বলা, চোখ জুড়ে আবেগের সব অবাস্তব স্বপ্ন। সব পরীক্ষা শেষ, অফিসার্স ক্লাবে ব্যাডমিন্টন কোর্টে সণ্ধ্যার পরে অপেক্ষায় বসে থাকা, কখন বাপ চাচাদের খেলা শেষ হবে, তারপর আমরা তাদের ফেলে দেওয়া পুরানো কর্ক দিয়ে খেলবো। রাতে বাসায় গিয়ে নিশ্চিন্তের ঘুম, হাজার সাধনা করলেও এই ঘুম পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবেনা। 

এমন অনেক শীতকাল গেলো আর আসলো, আমরাও বড় হতে লাগলাম। সকালেে ঘুম থেকে উঠেই মাঠে ক্রিকেট প্র্যাকটিস, বিকালেও আরেক দফা। আবারো আবেগী অবাস্তব স্বপ্ন “ আমরা বোধ হয় অনেক বড় ক্রিকেট প্লেয়ার হয়েই যাচ্ছি”। 

সারা কলোনীতে শুকনো ঝড়ে পড়া পাতায় সয়লাব হয়ে গেছে। তারই কিছু অংশ পুকুর পাড়ে প্রতি সন্ধ্যায় জড়ো করে আগুন লাগানো রাশেদের (মরাইয়া) রুটিন কাজ। সারাদিন ছুটাছুটি করে হাতে পায়ে শীতের চিহ্ন, কিসের লোশন আর অলিভ অয়েল, ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেললেই সব ঠিক।
শীতকাল যেতে আর আসতে লাগলো, তেমনি এক শীতের সকালে কলোনীটা পিছনে ফেলে আসলাম সারাটি জীবনের জন্য।

Thursday, November 26, 2015

Memories are like a knife, they hurts


Hannibal মুভির একটা খুব সুন্দর ডায়ালগ হল,

"Memories are like a knife, they hurts"

আসলেই আমাদের মেমোরির ছুরিটা মনে হয় একটু বেশি ধারালো, খুব মিস হয় CSM Colony আর সব কিছু মিলিয়ে সময়গুলো

আমার জীবনের সেরা সময়টা আর সেরা মানুষগুলো আবার ফিরে এসেছে, হয়তো বয়সটা ফিরে আসবে না অনেক অনেক লিখা, ছবি, সেই চেনা দুষ্টুমি, সেই চেনা চেহারাগুলো দেখে বয়সটাও যেন কলোনি ফিরে পেলো

ফিরে এসেছে বললে ভুল হবে, সবাই ছিলো কিন্তু অনেকেই আমার নেটওয়ার্ক এর বাহিরে ছিলো, এখন সবাই আবার একই নেটওয়ার্কের মধ্যে আসায় অনুভুতি আসলেই অসাধারন grin emoticon


এই ফিরে পাবার অনুভিতিটা কার কেমন আসলেই শুনতে ইচ্ছে করছে grin emoticon

লেখাপড়াটাকে কোনদিন সিরিয়াসলি নেইনি


লেখাপড়াটাকে কোনদিন সিরিয়াসলি নেইনি, পড়াশোনা করা দরকার তাই করেছি। কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কোন দিন পড়াশোনা করিনি। যা থাকে কপালে এটাই ছিলো ভিশন।তবে যতটুকুই পড়ালেখা করেছি তা আনন্দ নিয়ে করেছি। লেখাপড়ার ও যে আনন্দ নিয়ে করা যায় এটা এই জেনারেশনের পোলাপান কোন দিন কল্পনাও করতে পারবেনা।

পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দিয়ে এসেছি, এটা নিয়ে বাড়তি কোন টেনশন ছিলোনা। এমন কি আমি কখনও এটার জন্য বাড়তি প্রস্ততিও নেইনি ওই একই চিন্তা “যা থাকে কপালে”। এ জন্যই বোধ হয় ক্লাস এইটে একবার ইংরেজীতে ১১ আর ক্লাস নাইনে অংকে ডাবল জিরো পাইছিলাম। তবে এগুলা নিয়া আমার কোনদিন আফসোস ছিলোনা। কিন্তু এখন বলতে গিয়া পেটটা গ্যাসে মনে হয় দু ইঞ্চি বড় হয়ে গেছে যে ক্লাস টেনে নির্বাচনী পরীক্ষায় ছেলে মেয়েদের মধ্যে আমি ১৬ তম হইছিলাম (আমার ধারনা স্যাররা কোথাও কোন ঝামেলা করছিলো, নাহলে আমার মত ডাবল জিরো পাওয়া ষ্টুডেন্ট ১৬ তম হওয়ার কথা না, সবার শেষের দিকে থাকার কথা)। মেট্রিক পরীক্ষাও দিয়েছি সেরকম বিনোদনের মধ্যে, প্রথম বার ৯১ এর ঘূর্নিঝড়ের কারনে পরীক্ষা বাতিল, দু মাস পরে পরীক্ষা শুরূ হলো, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আবারও পরীক্ষা বাতিল, ১ মাস পর পরীক্ষা হলো। তখন বাংলা আর ইংরেজী ১ম ও ২য় পত্র একইদিনে সকাল বিকাল দু বেলা হতো। 

Sunday, November 22, 2015

ইমোশন ও ড্রেন দুজনে দুজনার


ড্রেনে পড়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই আমরা অনেক কিছু বলছি বা লেখছি, কেউ ইমোশনাল হয়ে ড্রেনে পড়ে, কেউ জ্বরের দুর্বলতায় ড্রেনে পড়ে, কেউ প্রেমে পড়ে ড্রেনে পড়ে আরো কত কাহিনী

আজ সকালে এসে শুনলাম বা দেখলাম ড্রেনে পড়ার আরেক কাহিনী, তবে এর সংগে আমাদের সিএসএম- এর কেউ জড়িত নয়

সকালে অফিসে এস বসতে না বসতেই,অফিসের পিয়ন সানোয়ার বিধ্বস্ত ভেজা অবস্থায় আমার রুমে এসে কান্নাকাটি শুরূ করল, বিস্তারিত যা বলল তা হচ্ছে সে প্রতিদিনের মত চেক জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংক এশিয়া , মহাখালী ব্রাঞ্চে যাচ্ছিলো, যাওয়ার পথে সে হঠাৎ একটি বড় ড্রেনে পড়ে যায় তবে সানোয়ার বলল ,” স্যার আমি পড়ছি সমস্যা নাই তবে সব কয়টা চেক ড্রেনে ভাইসা গ্যাছে”, এই বলে আবার কান্না শুরু করল 

Saturday, November 21, 2015

আড্ডা


আড্ডা শব্দটা অনেকের কাছে শুনতে হয়ত খারাপ লাগতে পারে, বিশেষ করে মুরুব্বি দের তবে আমার কাছে ভালো লাগে ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক কারন আমি নিজেই একসময় আড্ডাবাজ ছিলাম তবে চাকরীর জন্য ঢাকা আসার পর আর আড্ডার মজা পাইনি খুব মিস করি অতীতের আড্ডা একটা সময় ছিল যখন তিন বেলা আড্ডা না দিতে পারলে ভাত হজম হতো না ট্যাংকীর নীচে আড্ডা, রাস্তায় আড্ডা, মাঠে আড্ডা, নারিকেল গাছ তলায় আড্ডা, পুকুর পাড়ে, ইউনুসের দোকান ইত্যাদি শত পদের আড্ডা ছিল নিত্য সঙ্গি তবে এই আড্ডা কখনো নেশা বা সন্ত্রাসের জগতে হয়নি

Wednesday, November 18, 2015

আজ অফিসে অনেক তাড়াতাড়ি এসেছি



আজ অফিসে অনেক তাড়াতাড়ি এসেছি, ভেবেছিলাম কোন একটা রসাত্নক পোষ্ট দিবো। কিন্ত ল্যাপটপ খুলে দেখি মোটামুটি ট্যাংকীর নীচের ঝগড়া শুরু হয়ে গেছে, এটা ভালো, কলোনী থাকবে অথচ ঝগড়া , মান অভিমান থাকবেনা এটা হয়না।

সিএসএম কলোনী মানেই হইচই,ঝগড়া,চাপাবাজি,গলাবাজি। তা না হলে কলোনী কিভাবে, ট্যাংকীর নীচে এমন একটা দিন বাদ নেই যেদিন কারো না কারো ঝগড়া বা গ্যাঞ্জাম হয়নি।তবে দিন শেষে আবার এক সাথে গলায় জড়াজড়ি করে হাঁটা, দুই ঝগড়াবাজ বন্ধু একটি সিগারেট নিয়ে ভাগাভাগি করে খাওয়া, যেমন রেজা ভাই আর মোল্লা অপু ভাই, আমি আর মরা রাশেদ বা আরো অনেকের মধ্যেই , । তবে আমাদের সিনিয়র জুনিয়র দের মাঝে চমৎকার বোঝাপড়া ছিলো, সুন্দর একটা সম্পর্ক ছিলো। আর এ জন্যই বোধ করি আমরা আবারো সিএসএম কলোনী টা ্ৈতরী করতে পেরেছি।

লেখতে চেয়েছিলাম রসাত্নক লেখা, হয়ে গেলো বুদ্ধিজিবী টাইপ লেখা, যাক সবাইকে শুভ সকাল, তবে আমি কোন ফুল টুল দিয়ে শুভ সকাল দিতে পারবোনা, ওটা মানিক ভাই ভালো পারবেন।

অস্থিরতা বেড়ে গেছে



অস্থিরতা বেড়ে গেছে। ২৯ শে জানুয়ারি। কি হবে ২৯ শে জানুয়ারি তে? আজ থেকে ৪ মাস আগে fb.কে জন্ম নেয় আড্ডা নামক আমাদের পেজটি। পুলক/আতিকের পরিশ্রম এবং বাকি সকলের একান্ত চেষ্টায় আজ এই পেজটি আমাদের খুব প্রিয়।

তারিকের অসুস্থতা আমাদের আরো কাছে নিয়ে আসলো। এই কাছে আসাটা কে আমরা একটি বন্ধনে বাধতে চাই। ২৯ শে জানুয়ারি টা আমাদের সেই দিন।

Tuesday, November 17, 2015

না লিখে পারলাম না



না লিখে পারলাম না।।পক্ষ বা বিপক্ষ নিয়ে কোন কথা বলছি না।।উচিতটা আমার মুখ দিয়ে সব সময় বের হয়ে আসে।।সেদিন ""হিজাব""নিয়ে খারাপ লাগাতে একটা পোস্ট করেছিলাম।।কিন্তু আতিক ভাইয়ার অনুরোধ বা অর্ডারে পোস্টটা ডিলিট করি।।কারন আতিক ভাইয়ের দৃষ্টিতে নাকি বিষয়টা বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে।।ভাল মন্দ বিচার করিনি।।বড় ভাই বলেছেন তাই আর এখানে কোন প্রশ্ন রাখিনি।।আমার মতেএটা হচ্ছে জুনিয়রদের কাছে সিনিয়রদের অধিকার।।যেটা আমি রক্ষা করতে বাধ্য।।অপরদিকে গতকাল আতিক ভাই একটা পোস্ট শেয়ার করেছিল।।আমি কমেন্টস করেছিলাম যে,,বাচ্চু ভাইকে দিয়ে শুরু করেছেন,,শেষটা কিন্তু জেমস্ ভাইকে দিয়ে করবেন এবং সেটা তিনি রেখেছেন।।

আমি এই পেইজের সব জুনিয়র ছেলেদের,মেয়েদের তুই করে বলি



আমি এই পেইজের সব জুনিয়র ছেলেদের,মেয়েদের তুই করে বলি এবং নামটাও উল্টা পাল্টা করে বলি। সেটা লিখার সময়। কিন্তু দেখা হলে বা ফোনে কথা বলার সময় তুই করে বললেও নাম ঠিক করেই বলি।আতিক থেকে শুরু করে সবার সাথেই এমন। আজ জনির লিখা আমার মন খুব খারাপ করে দিল। এই ছেলেটা এমন কেন বুঝিনা। সেদিন মৃত্যুর মত একটা বিষয়ে সে নুজাইমার নাম নিল,হোক তা কাল্পনিক। আজ আবার এমন। ওর নিজের ভাল লাগেনা তা বললেই হত,কিন্তু সে সামি,নমি সবাইকে জড়িয়েছে বুঝতে পারলাম না। এখানে মজা করে সবাই কথা বলে,আমিও তা করেছি। আমার মনে হয় আমি আজ অব্দি এমন কোনো লিখা দেইনি যা অন্যের মন খারাপ করবে। তাহলে আমার সাথে কেন এমন হবে। জনিকে বলছি,জিবন অনেক সহজ, তাকে জটিল কোরো না। এখানে সবার সামনে এমন করে ইনবক্সে সরি বলে লাভ কি? যাহোক,লোক দেখানো মাফ আমি করতে পারিনা নিজের মন যতদিন না চাইবে ততদিন। আমি আশা করবো জনি আমার সাথে কোনো কিছুতে participate করবে না। আমাকে বোঝাতে কেউ ফোন করবে না বা মেসেজ দিবেনা এটাও চাইছি সবার কাছে।

টুকরো সৃতি- আমি মোল্লা আর বাঁদরা ভাই



আমি আর মোল্লা( Sumon Islam) মিলে আমাদের বাসায় আড্ডা দিচ্ছি, এমন সময় আমাদের অর্ধেক ক্লাসে পড়া এক ছোট ভাই (গ্রুপের নিয়ম অনুযায়ী নাম দেয়া হল না) এসে আমাদের সাথে বাঁদরামি করা শুরু করলো।
আমি বললাম "মোল্লা, বেটা তো বেশি জ্বালাইতেছে, বেটারে কি করা যায়"।
মোল্লা চিন্তায় পড়ে গেল, পেন্ডা পোলা, মাইর তো দেয়া যায় না। হটাত মনে হল বেটা পেন্ডা হইলেও, তার শরম ঠিকই আছে।
আমি বললাম "চল বাঁদরা ভাইয়ের হাফ-প্যান্ট দিয়ে ক্যাচ খেলি"।

বিয়ে নামক ফরজ কাজটার উপর কেন জড়িমানা গুনতে হবে জসিম ভাই??

- Samee Sam


বিয়ে নামক ফরজ কাজটার উপর কেন জড়িমানা গুনতে হবে জসিম ভাই?? যদিও তা মাত্র ৫ এর ডান পাশে দুইটা শূন্য।।

জসিম ভাইয়ের grand Adda-র পোস্ট টি পড়লাম। ভাইজান আমার খুবি সুন্দর করে বিবাহিত, অবিবাহিত সহ অন্যান্যদের টাকার পরিমান উল্লেখ করেছেন। আর অনেক সুন্দর করে bracket দিয়ে জড়িয়ে রেখেছেন।।

আজ থেকে প্রোগ্রামের দিন পর্যন্ত কেউ কি এই জড়িমানার ভাগীদার হতে চাও কিংবা যাদের সানাই বাজবে বাজবে অবস্থা তারা স্বল্প টাকার বিনিময়ে আমাদের (বিবাহিত/বিবাহিতাদের) কাতারে/লাইনে এসে দাঁড়াতে পারো।

বি:দ্র: এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য। জসিম ভাই দিন, তারিখ, সময় সব উল্লেখ করে দিয়েছেন তোমাদের সুবিধার্থে।

Monday, November 16, 2015

১৯৯৩ সাল



১৯৯৩ সাল।আমাদের ক্লাস টিচার নাজিমুদ্দিন স্যার ক্লাস চলা নেবার সময় বলে উঠলেন, কিরে, আজকে ত তোদের বাকের ভাইয়ের ফাসি হবে।দুপুরে বাসা থেকে খেয়ে এসে স্কুলের তিনতলায় গিয়ে দেখি,দেয়াল,দরজা সব সিনিয়রেরা লিখে ভরে ফেলেছেন। যেমন- বাকের ভাইয়ের কিছু হলে,জলবে আগুন ঘরে,ঘরে, কিংবা কুত্তাওয়ালির চরিত্র, অমুকের মত পবিত্র।অবাক হয়ে গেলাম।মানুষ নাটকের একটা চরিত্র কে এত ভালবাসতে পারে।রাতে যখন " কোথাও কেউ নেই" দেখতে বসলাম, বাকের ভাইয়ের মৃত্যুর দৃশ্য দেখে চোখে পানি এল।অন্যায়ের জয় নাকি বাকের ভাইয়ের জন্য ভালবাসা বুঝলাম না।

ছোট বেলা থেকে চুল বড় রাখার খুব ইচ্ছা ছিল



ছোট বেলা থেকে চুল বড় রাখার খুব ইচ্ছা ছিল।।কিন্তু বাবার কারনে কখনওই পারতাম না।।কারন বাবা চুল বড় রাখা মোটেও পছন্দ করতেন না।।যখনই চুল কাটানোর সময় হতো বাবা সাথে যেত আর বলতো বাটি ছাট দেন।।খুব বিরক্ত লাগতো।।মাকে বললে মা বলতেন তোর বাবার উপরে কোন কথা হবে না।।আজ ছেলের চুল কাটানোর সময় হয়েছে।।ছেলের মায়ের সোজা কথা চুল থাকবে বড়।।কোন ভাবেই যেন ছোট না হয়।।ছেলের পছন্দ দেব (ভারতীয় নায়ক) স্টাইল।।দু'জনের পছন্দ শুনে হতবম্ভ সহ বেকুব বনে গেলাম।।আর মনে মনে বললাম বাবা তুমি কেন এতো নিষ্ঠুর ছিলে।।

বিশেষ বিশেষ জরুরী বিজ্ঞপ্তি.....

- Moin Khan


বিশেষ বিশেষ জরুরী বিজ্ঞপ্তি.....
----তথ্য দেও পুরুস্কার নেও-----

তোরা কলোনীতে কে কে কত গা ফ্রেম কইচ্ছস। কই ফালা।( ব্যাক কতা গুফন থাইক বো না) বিশেষ বিশেষ ফুরুস্কারের ব্যবস্থা আছে।তবে হাচা কইতে অইবো। দেয়া তথ্য ভুল করন যাইতো ন। ধরা খাইলে জরি মানা।
উত্তর দেয়ার নিয়মাবলি:----------
১)যদি ফ্রমে করি থাক লেখ-----"হ কইচ্ছি"
২) এর বাদে যতু গা কইচ্ছ ডেস দি লেখ------১,২,৩ ...যত বেশী অইতো হারে...
৩) যেতিয়ে কইত্তে হার ন, সে লেক---(ক) চেষ্ট কইচ্ছিলাম হারি ন। (খ) চেষ্টা করি ধরা খাই মাইর খাইছি এবং সে পথে আর যাই ন। (গ) চেষ্টা কইচ্ছি পাত্তা দে ন। (ঘ)আঁ র আগেই হেতে বুক হই গেছে। (ঙ) যারে পিয়ন বানাইছিলাম হেতেই কাম সারি বই রইছে। ........ইত্যাদি।

সময় খুব কম । তাড়াতাড়ি জবাব হাটাও ...........................


উন্মুক্ত প্রেম জরিপ কমিটি
সিএস এম কলোনী।
চট্টগ্রাম।
১৬/১১/১৫

৯২ সালের ঘটনা



৯২ সালের ঘটনা, সি টাইপ মাঠে বৃষ্টির সকালে পাইন্যা ফুটবল খেলছি, হঠাত আতিক কাক্কুর আগমন, উনি চিৎকার করে বলছেন, " এ্যারে হোলাইন, তুগো স্কুল কলেজ নাইনি, হড়া লেয়া বাদ দি খেইলতোছোস, যা বেকে বাসাত চলি যা" এই বলে উনি সামনের দিকে চলে গেেলন।

কে শোনে কার কথা, আমরা আমাদের খেলা খেলে যাচ্ছি, ওদিকে আমাদের ডালিম খেলছে আর মনের আনন্দে তখনকার হিট নায়ক রুবেল অভিনীত হিট সিনেমা "উত্থান পতন" এর বিখ্যাত গান " ডানে মারো বায়ে মারো, বুকে মেরোনা.... এ বুকে আছে হৃদয়,, সেখানে আছো তুমি" চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে গাচ্ছে, ঠিক ওই সময় আতিক কাকা আবার মাঠে হাজির হয়ে বললেন, "আঁই কইছি হেতেগো বাসাত ছলি যাইবার লাই, শতান হগল বাসাত তো যায়নো, উল্ডা গান গার, ডাইনে মারো বামে মারো-----তোগোর বেগগুনেরে অন আঁই মাথার মইদ্যে মাইরমু"।

Saturday, November 14, 2015

তুমি একটা লেখা লেখ, তাহলে আমি লিখবো



গতকাল ডি,এম,সি তে অন্য সবার মত নাছের এর সাথেও দেখা হইলো। নাছের বলিলো, ভাইজান অনেকদিন আপনার লেখা পড়িনা। লেখেন না কেন..? আমি দুষ্টামি করিয়া বলিলাম, তুমি একটা লেখা লেখ, তাহলে আমি লিখবো। কিন্তু নাছের সত্যি সত্যিই লেখা পোস্ট করবে তাহা আমি কল্পনাও করি নাই। একটু আগে আমাকে ফোন করিয়া বলিলো, ভাইজান পোস্ট দিয়ে তো বিপদেআছি। আমাকে বাচান। প্রতি দুই ঘন্টা অন্তরন্তর পোস্ট দেওয়ার আদেশ আসিয়াছে। জসিম ভাই বলিয়াছে, বুবু নাকি বেত নিয়া ঘুরিতেছে। এখন ভাই আপনি আপনার কথা রাখেন।

আব্বা আমি এখানে



কলোনী তে থাকার সময় আমার সাথে সবচেয়ে বেশী রাগারাগি হতো রাশেদের (মরাইয়া)সাথে, হারামজাদার সবসময় মাথা গরম থাকতো, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সে আমার সাথে লেগে যেতো। ওই নির্দোষ রাগারাগি গুলো এখন খুব ফিল করি। নীচের লেখাটি এই পেজের প্রথম দিকে একবার শেয়ার করেছিলাম। আজ রাশেদের সাথে আবারো গ্যাঞ্জাম করতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাই লেখাটি আবারো পোস্ট করলাম। বারবার পুরানো লেখা গুলো পোস্ট করছি বলে ক্ষমা প্রার্থী।

আহাম্মকের সতর্কীকরণ এবং অতপর……



বিষয়: আহাম্মকের সতর্কীকরণ এবং অতপর………

এ কয় দিন ব্যস্ততার জন্য নেটে বসতে পারিনি। আজ কলোনীতে ঢুকে দেখি আরে খোদা !! আমার ভাই বোনরা তো আমাকে নিয়ে ফাটা ফাটি অবস্থা। ইনবক্সের ডাব্বা ভরি ভরি লেখা। ও ও…রে আমার ভাই বোনরা আমি রাগ-ফাগ করিনি।আমার ভয় হচ্ছিল আমরা সবাই যে ভাবে হা..হা…হি…হি করছি কখন মুখ ফসকে কে কী বলে ফেলি শেষে সব কিছু না জগা খিচুরী পাকিয়ে যায়।আমার মনে হচ্ছিল তাই লেখাটা দিয়ে তোমাদের সতর্ক করার চেষ্টা করেছি। এখন দেখি আমার ভাই-বোনরা এতো সতর্ক যে লাঠি-সটা নিয়ে বাইরা-বারির অবস্থা।

মিলি কে দেখলেই মবিনের দুনিয়াদারীর আর কিছুই ভালো লাগেনা



মিলি কে দেখলেই মবিনের দুনিয়াদারীর আর কিছুই ভালো লাগেনা। কেমন জানি লাগে। CSM বাজারে গেটের কাছে মবিনের পুরান কাপড়ের ব্যবসা। মিলিদের বাসাটা বাজারের গেটের কাছে। ভালোবাসি এই কথাটি কি ভাবে মিলিকে জানাবো। কাকে বলা যায়? কে আছ বন্ধু আমার একটু সাহায্য করবে? চিন্তায় অস্থির মবিনের প্রেমিক মন। লেখা /পড়া খুব একটা জানিনা। চিঠি লিখবো কি করে? না হয় লিখলাম পৌছে দিবে কে? আল্লাহ আমার কি কেউ নাই? পাইছি, খুশিতে মন ভরে গেলো মবিনের। CSM এর সবচেয়ে Talent বদের হাড়ি কানা শাহিনের কাছ ছুটে গেলো মবিন। 

জাতীয় মামা



আমার মামার সংখ্যা ৬ হলেও মিন্টু মামার প্রতি আমাদের একটু এক চোখা নীতি সব সময় ছিল। ছোট বেলায় আমার অন্য কাজিনরা যখন মিন্টু মামাকে মামা সম্বোধন করতো অনেকবার ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়েছি হয়তো বিরক্ত ও হয়েছি ,চোখ রাঙ্গাতাম কিনা তা ঠিক মনে করতে পারছিনা। উনি আমাদের শুধু মামাই ছিলেন না উনি আমাদের গাইড ফ্রেন্ড সব ছিলেন। অন্য মামারাও মামা কিন্তু মিন্টু মামা যেন শুধুই আমাদের মামা। কিছু দিন পর দেখলাম উনি কলোনীর সবার মামা হয়ে গিয়েছেন। অনেক চাচারাও আমার মামারে মামা ডাকে আবার চাচাদের ছেলেদের কাছেও উনি মামা !!! জাতীয় মামা বলতে যা বুঝায় উনি ঠিক তাই। সব সময় হাঁসি মুখ করে থাকতো। সম্ভবত কলোনীতে একজন মানুষ ও খুজে পাওয়া যাবে না যে বলবে মামা আমার পছন্দের কেউ ছিলেন না।

Friday, November 13, 2015

আজকেও যথারীতি DMC তে গিয়েছিলাম

- Abu Naser


আজকেও যথারীতি DMC তে গিয়েছিলাম| সামি ভাই আগেই আসছে এর পরে আমি আর আমার কাজিন গেলাম | তারপরে আসলো রিপন ভাই সাথে ইকরাম ভাই ও সওগাত ভাই |অনেক দিন পরে সওগাত ভাইয়ের সাথে দেখা হলো যদিও উনি আমাকে চিনেনা মনে হয় |তারপর আসলো বুবু এবং বুবুর তিন কন্যা |তারপর নেসার ভাই ভাবি কে নিয়ে আসল | নেসার ভাইয়ের সাথেও অনেক দিন পর দেখা হলো |রিপন ভাইতো আছে উনার মজার মজার কথা নিয়ে |কথা প্রসঙ্গে উনি উনার মেয়েদের কথা বলছিলেন উনার মেয়েরা নাকি ২৯ শে জানুয়ারির অপেক্ষায় আছে |ডিসেম্বরেইতো কেলেন্ডার শেষ তাই নাকি রিপন ভাইয়ের মেয়েরা এক্সট্রা কেলেন্ডার বানিয়ে নিয়েছেন |শুনে অবাক হলাম |এই দিনটির জন্যে আমরাও অপেক্ষায় আছি কিন্তু ওদের অপেক্ষার ধরন টা আমাদের চেয়েও ভিন্ন |এইটাই মনে হয় আমাদের CSM পরিবার |আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে ADDA তে উপস্থিত হউয়ার তৌফিক দান করেন |এইখানে বলে রাখি রিপন ভাইয়ের মেয়ে দুইজনই কিন্তু আপন বোন |

Thursday, November 12, 2015

চিটগাং যাচ্ছি / চিটাগাং যাব / চিটাগং যেতে হবে



অনেকটা পথ পিছনে ফেলে এসেছি। আরও অনেকটা পথ যেতে হবে। চিটগাং যাচ্ছি / চিটাগাং যাব / চিটাগং যেতে হবে। মন ভালো হয়ে যায়। জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় গুলি চিটাগাং জমা রেখে এসেছি। শুধু একটা উসিলা পেলেই ছুটে চলি হারানো আপন মানুষের কাছে। আমার এই চিটাগাং প্রিতি বউ এর কাছে অসহ্য। সারাফের বাবা, বারবার কেন চিটাগাং যাও? কে আছে চিটাগাং এ? ইংগিত টা ভালো না। বললাম আমি ডায়াবেটিসের রুগী। বয়স হয়ে গেছে। ইদানিং ছোট ভাই বোনেরা পীর সাহেব বলে ডাকে। 

গেলাম ইন্ডিয়া আইলাম বাংলাদেশ

- Elahi Newyaz


আমার জীবনে অপ্রিয় রং লাল,তবে লাল সবুজের পতাকা টা আমার খুব প্রিয়।
লাল রং এর প্রতি এই অপ্রীতি টা কেন জানেন?
আমি যখন ৭ম শ্রেনীতে, আজাজিল এর নিয়োগকৃত শয়তান ছিল আমার প্রিয় বন্ধু।
বন্ধুর বদৌলতে পরিক্ষার রিপোর্ট কার্ডের ৩ বিষয়ে লাল কালির দাগ।
মানুষ কাপড় দিয়ে লজ্জা নিবারণ করে,কিন্তূ লাল কালির দাগের রিপোট কার্ডের লজ্জা কিভাবে নিবারণ করি?আজাজিলের নিয়োগকৃত শয়তানের বুদ্ধিতে রাবার দিয়ে ঘষামাঝা করে লাল দাগ কোন মতে উঠাইলাম।কিন্তূ বাসাই গিয়ে শেষ রক্ষাটা হল না,ধরা খেয়ে গেলাম।সেকি মাইর গো,নিজের শরীরের লাল দাগ দেখে রিপোট কার্ডের লাল দাগের কথা বেমালুম ভুলে গেলাম।শরীরে লাল দাগের কারণে ফুল শার্ট পড়ে স্কুলে গেলাম।

Wednesday, November 11, 2015

দ্বিতীয় জীবন



Versity তে স্ট্যাডি ট্যুর নিয়ে আমরা মহা ব্যস্ত । সাত দিনের ট্যুরে ৬ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। পাবলিক ভার্সিটির ছেলেদের খুব কমোন প্রবলেম হচ্ছে টাকা নাই। দোস্ত খাওয়া টাকা নাই , মেস এর বিল দিতে পারছিনা , টিউশনি করছি মাস শেষ হয়ে আজ ৭ তারিখ এখনো টাকা দেয় নাই কি করে যে চলি ? দোস্ত জিএফ কে নিয়ে ডেট করতে যাবো টাকা দে ,তোর হাতে পায়ে ধরি টাকা দে

মোবাইলের ব্যালেন্স নেই , এই রকম কথা শুনতেই আমরা অভ্যস্ত। এরা এত টাকা কি করে দিবে ? ব্যাপারটা স্যার রাও বুঝতে পেরেছে । তাই মিটিং করে সাত দিনের ট্যুর চার দিনে কনভার্ট করে দিয়েছে । টাকাও কমে গিয়েছে । কিন্তু আমাদের দাবির মুখে ডিন স্যার বলতে বাধ্য হয়েছে সাত দিনের সব মজা তোমরা চার দিনে পাবে, জোর করে হলেও মজা দিবো

Tuesday, November 10, 2015

বিশেষ কিছু উপলক্ষ.....



উপলক্ষ ১) 
দুইজন করে আমাদের সেই চিরচেনা খুব্বি পরিচিত স্টীল মিলের খুব প্রিয় মানুষগুলোর সাথে অনেক অনেক বছর পর প্রায় ১৭/১৮ বছর আগে ছেড়ে আসা, হারিয়ে যাওয়া কিংবা অনেককে না চেনা সেই মানুষগুলোর সাথে দেখা হচ্ছে। সেটা মেডিকেলে হোক কিংবা কারো অফিসে অথবা রাস্তার কোন টি স্টলে। এর জন্য আমাদের এই CSM Colony গ্রুপের সব বড়-ছোট ভাই বোনদেরকে ধন্যবাদের সাথে সাথে আমার লাড্ডি তারেককেও ধন্যবাদ। আল্লাহর ইচ্ছায় আর কিছুটা হলেও লাড্ডির উসিলাতেই আমরা একসাথে হয়েছিলাম। 

বান্দরের‬ শলা



আমি মো:এলাহী নেওয়াজ (মাছুম)।

csm colony তে জীবনের দীর্ঘ ২২ টি বছর যেন স্বর্গ রাজ্য ছিল আমার কাছে।
সে স্বর্গ রাজ্যের কিছু মজার কাহিনী লিখতে চাইলেও কেন জানি লিখতে পারি না।আজ সাহস করে লিখতে বসলাম....

‪#‎বান্দরের‬ শলা#
স্কুলে পড়া না পারা আর মাফুজ স্যারের বেত যেন আমার জম্মগত বাজেট ছিল।
আমার সর্বময় মেধা খরচ করে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় খুজতে লাগলাম।

শুনেছি,নিউটন আপেল গাছের নিচে মধ্যাকর্ষন শক্তির থিওরি আবিস্কার করে ছিল।
এক দিন আমিও স্কুল পালিয়ে খাল পাড়ের নারকেল গাছের নিচে বসে চুলকানি শক্তি(বান্দরের শলা)ও তা প্রয়োগের থিওরি আবিস্কার করে ছিলাম।

Monday, November 9, 2015

খেলাধুলায় তেমন ভালো না হলেও এর প্রতি প্রচন্ড টান ছিলো



খেলাধুলায় তেমন ভালো না হলেও এর প্রতি প্রচন্ড টান ছিলো। চিটাগাং ষ্টেডিয়ামে গিয়ে নিয়মিত লীগের ফুটবল খেলা গুলো দেখতাম ( আমি অবশ্য মাগনা খেলা দেখতাম, মামার কল্যানে প্রতি বছর ভিআই পি পাশ পেতাম) আর টিভিতে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা থাকলে আমাকে হাতি দিয়েও টেনে সরানো যেতোনা।

আমার খেলা প্রীতি কিছুটা বংশগত হলেও বাকী পুরোটা ছিলো আমাদের সি টাই প মাঠের কারনে, এখানে হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে করতেই খেলার প্রতি প্রবল প্রেম শুরূ। বিকালে স্কুল থেকে এসে কোনমতে বই খাতা টেবিলে ছুড়ে মেরে সোজা মাঠে ফুটবল খেলতে চলে যেতাম, খেলতাম মাগরিব পর্য্যন্ত। 

চার বা সাড়ে চার বছর বয়সে



চার বা সাড়ে চার বছর বয়সে সি-টাইপের তিনতলার বাসার বারান্দায় ন্যাংটু হয়ে নেচে নেচে গান গাচ্ছিলাম আমি।দোতলায় আশিক ভাই(৯৫-ব্যাচ)এর আম্মা রান্না ঘরে যাবার পথে আমাকে ঐ অবস্থায় দেখে মুচকি হাসতে হাসতে চলে যান। আর আমি লজ্জায়(!?) নিজের ইজ্জতের বাকিটুকু নিয়ে দৌড়ে রুমের ভিতর চলে যাই!! পরবর্তীতে চাচী আমার আম্মাজানকে বলেন," ভাবী, রাজীবকে গান শিখান "।চাচীর এই কথা শুনে আম্মা আমাকে চন্দন চাচীর কাছে গান শিখাতে নিয়ে যান এবং সেই থেকে আমার গান গাওয়ার শুরু।

দিনগুলি কাটছে দারুন



দিনগুলি কাটছে দারুন।সেই আগস্ট মাসের মাঝামাঝি যোগ দিয়েছিলাম এই আড্ডায়। প্রথম একটু ইতঃস্তত ভাব থাকলেও খুব দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠেছি। প্রথম দিকে সময়টা যেত সারাদিনব্যাপি আড্ডায়। তারিক আসার পর সেই ধরন পাল্টে গেছে। এখন আড্ডা মূর্ত রুপ পেয়েছে। ও যখন পপুলার এ ছিল তখন প্রায় প্রতিদিন গেছি। ওকে দেখার পাশাপাশি নতুন ভাই বোনদের সাথে পরিচয়, আড্ডার তাগিদ ছিল বেশি। এখন স্কুলে,মেয়ের পরিক্ষা নিয়ে ব্যস্ততা বাড়ায় তারিকের ওখানে যাই সপ্তাহে একবার। 

এলোমেলো গল্প



রেজা ভাই কে দেখলাম টং এর দোকানে চা খাচ্ছে ? একলা চা খাওয়া যায় নাকি সাথে সাথে ঢু মারলাম। টং এর দোকানের চা এর মজাই আলাদা।ফুরররররর ফুরররর করে আওয়াজ করে চা খেয়ে চলল আমাদের কাইজ্জা। কাইজ্জা আওয়াজ না করে চা খেতে পারে না। কাইজ্জার সাথে আতিক ভাই ও তাল মেলালো ফুররররররররররর
এই তোদের সোহেল কই , ওকে দরকার বলে কি জানি বিড়বিড় করলেন রেজা ভাই ?
সোহেল কে ভাইয়া? 
আরে সামি ? 
কার স্বামী ভাইয়া ?
আতিক ভাই বুঝিয়ে দিলেন আরে সোহেল খালি প্রেমে পরে, ডানে গেলেও প্রেমে পরে বাম দিকে গেলেও রোমান্সে জর্জরিত হয়। এই জন্য সোহেলের বৌ সোহেল রে নামের আগে স্বামী লাগাতে বলছে । সোহেল বানান টা চেঞ্জ করে সামি লিখছে, মেয়েরা তো বুদ্ধির ঢেকি এই জন্য বুঝে নাই। 

Sunday, November 8, 2015

মহাদেব সাহার কবিতা



আমাদের সেই কথোপকথন, 
সেই বাক্যালাপগুলি টেপ করে রাখলে পৃথিবীর যে-কোনো গীতি কবিতার শ্রেষ্ঠ সঙ্কলন হতে পারতো; 
হয়তো আজ তার কিছুই মনে নেই 
আমার মনে সেই বাক্যালাপগুলি নিরন্তর শিশির হয়ে ঝরে পড়ে, মৌমাছি হয়ে গুনগুন করে 
স্বর্ণচাঁপা আর গোলাপ হয়ে ঝরতে থাকে; সেই ফুলের গন্ধে,
সেই মৌমাছির গুঞ্জনে আর কোকিলের গানে 
আমি সারারাত ঘুমাতে পারি না, নিঃশ্বাস ফেলতে পারি না, আমাদের সেই কথোপকথন, সেই বাক্যালাপগুলি আমার বুকের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকার সমস্ত সোনার খনির চেয়েও বড়ো স্বর্ণখনি হয়ে আছে- 
আমি জানি এই বাক্যালাপগুলি গ্রথিত করলে পৃথিবীর একটি শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা হতে পারতো; 
সেইসব বাক্যালাপ একেকটি হীরকখণ্ড হয়ে আছে, জলপ্রপাতের সঙ্গীত মূর্ছনা হয়ে আছে, 

সেইসব মানুষেরা



আমাদের কলোনিতে এমন কিছু পরিচিত মানুষ ছিল যারা কোনভাবেই স্টিলমিলের সাথে জড়িত না অথচ ছিল আমাদের বড় আপনজন। আমরা নিজেরাও জানিনা কবে কিভাবে তারা আমাদের কাছের মানুষ হয়ে গিয়েছিলো। সেইসব দুচারজন মানুষ নিয়ে এই ফিচার। এরকম আরো কয়েকজন হয়তো আছে যা আমার জানা নেই।

সুজাউদ্দিন (প্রকাশ সুজি): সেই কবে নোয়াখালীর কোন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে সাগর পাড়ের স্টিলমিল কলোনিতে জীবিকার সন্ধান পেয়েছিলেন সুজাউদ্দিন। কলোনিতে সবাই তাকে চিনতো সুজি নামে। একটা কাজই জানতেন- নারকেল গাছের রক্ষণাবেক্ষণ। সেই থেকে কলোনিতে। শেষের দিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে খলিল নামের একজনের আগমন ঘটেছিলো তবে অত্যধিক চতুর প্রকৃতির হওয়ায় কলোনিতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি খলিল। সহজ সরল সুজাউদ্দিন কথা একটু বেশি বলতেন আর কথার পুনরাবৃত্তি করতেন খুব। 

" ছোট্ট বেলার দুঃখ "



দুঃখটা হলো, ছোট বেলায় কখনো নিজের সাইজের জামা, প্যান্ট, জুতা পরতে পারি নাই 
আর যতদিনে এইগুলো আমার সাইজের হতো, ততদিনে জামা, প্যান্ট, জুতা স্ক্রাফ হয়ে যেত এবং বাতিলের খাতায় চলে যেত ।

করন যখনি জামা, প্যান্ট, জুতা কিনতো, এক বা দুই ইঞ্চি বড় কিনতো !!!!
কারনটা সবার'ই ভালো করে জানা আছে ..................
একবার মনে আছে, তখন বুট স্টাইলের জুতার ফ্যাশন চলছে, আমি ঈদের সময় প্রায় এক সপ্তাহ চিল্লাচিল্লি করে, ৩/৪ বার নিউ মার্কেটে গিয়ে চকলেট কালারের CAT এর ওই জুতাই কিনেছিলাম, যত জুতাই দেখাক না কেন, ওইটাই লাগবে আমার দাম ছিলো ১৯৯১/৯২ সালে প্রায় ১৭০০ টাকা। 

Saturday, November 7, 2015

”দি লাইফ অব ইমোশনাল ১“ ( তারল্য জীবন)



যাক অবশেষে সেনসর বোর্ডের সদয় অনুমতি পাওয়া গিয়াছে। তাহলে শুরু করি।
”দি লাইফ অব ইমোশনাল ১“ ( তারল্য জীবন)

কলোনীর পোলাপান যখন দু টাকার সিগারেটের জন্য ফাষ্ট বুক, সেকেন্ড বুক করছে , তখন তাদেরই একজন ঢাকায় সেটেল হয়ে পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী , য়খন পোলাপান তিন টাকারভাড়াকেও হাফ করে ২ টাতা দিয়ে ২ নং বাসে করে নিউ মার্কেট আসে যায়, তখন ঐ ব্যবসায়ী বন্ধু বিলাসবহুল এসি বাসে করে মাসে দু তিনবার আড্ডা মারতে চট্টগ্রাম আসে। আসার সময় অনেকের জন্য দামী বিভিন্ন চকলেট বা অন্যান্য কিছু নিয়ে আসতো।

ছিঃ ছিঃ তোমরা এতো খরাপ



আমরা সবে মাত্র কলেজে ১ম বর্ষে পড়ছি।যুক্ত হলাম স্ববান্ধব নামে একটি অরাজনৈতিক/সামাজিক সংগঠনের সাথে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে(বলা যাবেনা)।শুরুতে তাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করতে লাগলাম।একবার তারা সিদ্ধান্ত নিলো একটি লাইব্রেরী দিবে, আমাদেরকে (সি এস এম ) একটি অফার লেটার সহ যাবতীয় কাগজ দিলো, আমরা জানালাম চেস্টা করব।

কিছুদিন পর আমরা এক সন্ধ্যায় চারজন গেলাম তাহের ব্রাদার্স এর অফিসের সামনে।ঠিক করলাম যা পাবো তার থেকে কিছু আমরা খাবো।তারপর আমি এবং বাবার ফেসভ্যালু ভালো চিনে এইরকম আরেকজন কে নিয়ে ঢুকলাম তাহের ব্রাদার্সের অফিসের ভিতরে,তাহের আঙ্কেলের কাছেই।উনি আমার এবং আমার সাথের আরেকজন কে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলেন আমরা কার ছেলে,আমরাও বলে দিলাম এবং তিনি চিনতে পারলেন।টাকার অংক আমরা অফার লেটারে বসাই নাই।

আবিয়াত্যাদের বিয়ে নিয়ে ভাবনা



আবিয়াত্যাদের বিয়ে নিয়ে ভাবনা

জাবেদ কালকে মেডিকেলে দুষ্টুমীর ছলে বলেছে, বিয়ের আগেই যেন প্রোগ্রাম হয়ে যায় তাইলে ১০০০ টাকা দিয়ে বাঁচা যাবে।। কিন্তু আমরা চাই জাবেদের মত আরো যারা আবিয়াত্যা আছে ছেলে অথবা মেয়ে সে যেই হোক তাদের এই স্বপ্ন যেন কিছুতেই পুরণ না হয়। বন্ধু কাজীতো বলেছে প্রোয়োজনবোধে ইতিহাস সৃষ্টির জন্যই প্রোগ্রামেই ওদের সবার সাদি মোবারক সম্পন্ন হবে। তাই আমাদেরকে এই স্বল্প সময়েই আগে লিষ্ট করতে হবে আমাদের আবিয়াত্যা ভাই বোন দের নাম তারপর এদের জন্য মেয়ে (ছেলেদের জন্য), ছেলে (মেয়েদের জন্য) দেখতে নেমে পরতে হবে। অবশ্যই সবই হবে ওদের বাবা মার অনুমতিতে। বাবা মা এই পোলা মাইয়া নিয়া অনেক সমস্যায় আছে। তাই আমাদেরকেই নেমে পরতে হবে পবিত্র এই কাজে।

অবিনাশ স্যার




ক্লাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি, ক্লাস নিচ্ছেন অবিনাশ স্যার, হঠাৎ আমার কাছে এসে খুব মধুর স্বরে বললেন বাপজান বাইরে কি দেখো, স্যার আমার এক পরিচিত জন যাচ্ছে তো এটা দেখছিলাম- আমার উত্তর। স্যারের মধুর স্বর এবার রন হুংকারে পরিনত কান ধরে টানতে টানতে বললেন, তোর পরিচিত জন যে একটা মাইয়া এইটা তো আমি বুঝি।

স্কুলে পৌছাতে অনেক দেরী হয়ে গেছে, আজ অবিনাশ স্যার আমার খবর করে দিবেন। তাই স্যারকে ম্যানেজ করার জন্য ইউনুসের দোকান থেকে স্যারের জন্য স্পেশাল পানের খিলি নিলাম। ক্লাসে ঢুকতেই স্যার পানটা মুখে দিয়ে আমার ঘাড় ধরে মাথাটা টেবিলে নামিয়ে পিঠের মধ্যে স্যারের হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে (স্যারের আংগুলে সবসময় তিন চার টি পাথরের আংটি থাকতো) রাম থাপ্পড়।

দেখা হবে বন্ধু



গতকাল সবার মতামত এর উপর আমরা একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে যা পোস্ট করা হয়েছে, আগামী ২৯/০১/২০১৬ ইং গানার ক্লাব এ আমরা সিএসএম কলোনী বাসী এক গ্রেন্ড আড্ডায় মিলিত হতে যাচ্ছি। সে জন্য সিএসএম এর সকল ভাই বোনদের অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমরা কলোনী থেকে ১৯৯৩ এ বের হয়ে যাই।দুবছর চিটাগাং ছিলাম তারপর ঢাকা চলে যাই। আজ আমার, ও আমাদের অনেকের বাবা বেচেঁ নেই,অনেকের বাবা অসুস্থ।

ভোর ৫.৩০ এখন

- Nahidul Alam Razon


ভোর ৫.৩০ এখন।
ভেবেছিলাম ঘুমাতে যাবো।
হঠাৎ টেবিলের উপর রাখা আপেলের উপর চোখ পরল
আপেল গুলো কেমনে জানি আমার দিকে তাকাইয়া আছে!!!!
বড় আকারের একটা আপেল মুখে নিয়া 
মুখ আর কি-বোর্ডে এ আঙ্গুল একসাথে চালানো শুরু করলাম।

"BABA DOLE DOLE JABO"



yes, little confusing, this is the desire of my little angel after getting her father for about a week. She expressed her desire for rocking in the park & to walk with her father. When I was taking my breakfast she came with tearful eyes and told "BABA tara tare khaw na, ame dole dole jabo." Though I had some other commitments, even though nothing could stop me with out enjoying the time with my little angel in the park. 

I was enjoying her rocking & Unremitting questions. At some time I was turning the pages of memories of myself. It is so rusty and was quite difficult for me to recollect the names of my childhood friends who all were rocking with the tree in "Buijjar Bagan". mother help me out to recollect the names & act as a bridge of my thoughts. 

বিষয় টার দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছি

- Chand Sultana

কাল রাতে আড্ডা দিতে গিয়ে খুব জরুরি বিষয় যা উঠে এসেছে তা হল জাবেদ,রাসেল,ইফতি, নমি,সুজন সহ কয়েকজনের বিয়ের কথা। জাবেদ ছিল চুপ,মানে সম্মতি দিয়েছে যে হলে ভাল। জনি,ইফতি ও চুপ। সুজন পানিতে ডুবে ছিল,বিয়ের কথা শুনে ভেসে উঠেছিল। তার মানে সেও রেডি। রাসেল হল চরম বেয়াদ্দপ। কথারে নানাদিকে ঘুরাইসে,প্যাচাইসে। এইগুলার কি ব্যবস্থা করা যায় তা ২৯ শে জানুয়ারির আগেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আজ টাকা কত দিতে হবে তা শুনে ইচা মাছ লাফ মারসে,যে তাদের ফ্রি দিতে হবে। আব্দার শুনে তাজ্জব হয়ে গেলাম। এদের এই প্রোগ্রামের আগে বিয়ে না করলে ডাবল টাকা দিতে হবে। এই বিষয় টার দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

বহু বছর পরে

- Nahidul Razon


বহু বছর পরে
মানুষ ফেরে ঘরে
প্রস্ন আসে কোথায় ছিলে????
জানায় সে উত্তরে
ঘুমের ঘরে ছিলাম
রাতের ঘরে ছিলাম
প্রানের কালো ছবির মতো
একলা নিঝুম ঘরে

Friday, November 6, 2015

সি এস এম আড্ডা



আড্ডা হচ্ছে আতিক ভাই রেজা ভাই আর বুবুর মধ্যে 
আতিক খবর শুনছিস ?
কোন খবর রেজা ভাই ?
পাগল দুইটা চিটাগং এ গিয়ে কো কো শুরু করছে ?
রাসেইল্লার পেট রকেটের মতো ছুটছে কিন্তু নইম্মার কি হলো ? 
কাল জসিম ফোন করে বলল নইম্মার চোখে পেইন হচ্ছে ? 
এই দুইটারে ঢাকা থেকে দৌড়ায় একদম ঠিক করছেন রেজা ভাই , আমারে জ্বালায় মারলো নইম্মা । 
মুহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহা ...... ( হেসে উঠলো দারোগা বুবু) 
এই জন্য বুবু একটা পার্টি দেন । 

গ্র্যান্ড আড্ডা ২০১৬ সি এস এম কলোনী

- Jashim Uddin


গ্র্যান্ড আড্ডা ২০১৬ সি এস এম কলোনী
--------------------------------------------
আমাদের আড্ডাবাজ সি এস এম কলোনীর মেম্বারদের জন্য সুখবর এই যে, গ্র্যান্ড আড্ডার জন্য আমরা মিলিত হতে যাচ্ছি আগামী ২৯.০১.২০১৬ রোজ শুক্রবার।
আমরা সেদিন সকাল ৮:০০ ঘটিকা থেকে রাত ১০:০০ ঘটিকা পর্যন্ত দীর্ঘ আড্ডায় মিলিত হতে যাচ্ছি।আড্ডার স্থান হিসেবে চট্রগ্রাম হালিশহরস্থ আর্টিলারীর গানার অফিসার্স ক্লাব নির্ধারন করা হয়েছে।
আমাদের এই আড্ডায় মাতা পিতা এবং সকল শিক্ষকদের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য।
আড্ডায় অংশগ্রহন ফি : ১৫০০ টাকা (দম্পতি)
১০০০ টাকা (ব্যাচেলর)

"ইমোশনাল স্টোরি - ৩ "



আমাদের ইমোশনাল আইকন একরাতে অতি মাত্রায় ইমোশনাল, কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না !!! কি আর করা একা এলোমেলো ভাবে হাটতে হাটতে খাল পাড়ের দিকে চললেন, এমন সময় তার সাথে দেখা একজন আনসার ভাইয়ের। আনসার ভাই হাতে রাইফেল নিয়ে হেটে হেটে আসছেন, সম্ভবত তার ডিউটিতে যাচ্ছিলেন। দুইজন মুখোমুখি হতেই ইমোশনাল আইকন আনসার ভাইকে বলে উঠলেন,
ইমোশনাল আইকন.........: ওডা তোর বন্দুকর মইধ্যে গুল্লি আছে নারে ? গুল্লি গরিত ফারচ না তুই ?
আনসার ভাই.....................: আপনার সমস্যা কি ? এদিক সেদিক না ঘুরে বাসায় যান।

তিন টাকা দামের ইকোনো কলম



যদি ভুল না হই তাহলে আমার ধারণা আমাদের জেনারেশনের সবার লেখার শুরু হয়েছে তিন টাকা দামের ইকোনো কলম দিয়ে । কয়েক কালারের কলম, উপরে কালো একটা ক্যাপ, ক্যাপের সাইডে একটা চিকন ডান্ডা । ঐটা কামড়াইয়া ফার্ষ্টের দিন ই বাকা কইরা ফেলতাম ।

এই ইকোনো কলম উলটা করে কিছুক্ষণ রাখলেই কালি পড়ত । এই কালিতে স্কুলের শার্ট প্যান্টের পকেট ভরায় নাই এমন পোলাপাইন মনে হয় না খুব একটা পাওয়া যাবে । তবে কিছু কিছু কলমের কালিতে আবার সেন্ট মারা থাকত । ঐগুলা নরমালি পাওয়া যাইত না । মেলা টেলা হইলে পাওয়া যাইত ।

অথচ আমি ভেবেছিলাম



অথচ আমি ভেবেছিলাম-
ছোটবেলায় গাড়ি , প্লেন দিয়ে খেলার জায়গায় হঠাত পেন্সিল, খাতা, বইয়ের আগমন,
অথচ আমি ভাবতাম সবকিছু একইরকম থাকবে আজীবন।
তারপর একসময় সকালে উঠে স্কুলে যাওয়া,বাড়ি ফেরা, 
অথচ আমি ভেবেছিলাম সব আগের মতই থাকবে সারাজীবন।
বিল্ডিং এর পুরনো মানুষগুলোর অন্যকোথাও চলে যাওয়া,কিংবা সে জায়গায় নতুন মানুষ আসা,
অথচ আমি ভাবতাম সবাই একই জায়গায় থাকতে পারব আজীবন।
স্কুলে বড় ভাই- বোনদের বিদায় অনুষ্ঠানের দিন চোখ আদ্র হয়ে ওঠা, 
অথচ আমি ভাবতাম সবকিছু আগের মতই থাকবে সারাজীবন।

Thursday, November 5, 2015

“ কলোনি টু মাসুক ভাই “



আওয়ামিলীগ / বি আন পি যে কোন একদলের ১০০ টাকার কলোনি টু কক্সস বাজার পিকনিকে যাবার জন্য আমি, সোহেল, ছামির, রিপু, হিমেল, রবিন সহ বাস ভর্তি সবাই সকাল ৭ টা বাজেই বাসে এসে বসে আছি, আচমকা কে যেন বাসের বাহিরে থেকে জানালা দিয়ে লাঠি দিয়ে মারছে আর চিল্লা চিল্লি করছে !!!

ঘটনা কি ? মারে কে ? তাকিয়ে দেখি মাসুক ভাই !!! লাঠি দিয়ে মারার চেস্টা করছেন আর বলছেন,
“ ওই বান্দর বাহির হ, ২ দিন পরে পরীক্ষা আর তোরা কক্সসবাজার পিকনিকে যাস !!, পিকনিক বন্ধ, যে যাবি আসার পরে তার খবর আছে “

অনেক Request করলাম, ভাই চাঁদা দিয়ে দিছি, এইবার যাই, টাকা মাইর যাবে।
না, কে শুনে কার কথা, Manage করার সব চেস্টা বিফল, মাসুক ভাইতো পারলে আমাদের কারনে বোম মেরে বাস উড়িয়ে দেয় !! কিন্তু এতো সস্তায় কক্সসবাজার ট্যুরতো আর মিস করা যায় না !!

Wednesday, November 4, 2015

একাকী পথ

- Masudul Hasan

একাকী পথ
.............
তুমি যদি আমার পথে
হেটে চল একাকী
সঙ্গী হব তোমার সাথে
কথা হবে চুপি চুপি।
তোমার হাতে হাত রেখে
চলে যাব বহুদূর
গাইতে গাইতে গায়েন হব
শুনবে তখন আমারই সুর।

Tuesday, November 3, 2015

“(বালির হোটেলে- বিবাহের ফিটিং-)”



জসিম: আমি হইলাম পালের গোদা। নইম্মাটা না চিটাগাং আসিয়াছিলো..? থাকলে সি,এস,এম টিভিতে আমারে একটু দেখাইতো। অবশ্য সেদিন এক কমেন্টসে বলিলাম-“কলেনীর তোর বোনটা যে আমার বোন”- তাহলে রুবা আমার বৌ হইলো কেমনে..? আমি কি শীতকালের ওয়াজ গরম কার বলিলাম..? চিন্তার বিষয়।

শাহীনঃ মন গোমরা হইয়াছে- লাভ ক্ষতির অংক লইয়া। আসা ও যাওয়ার সিএনজি ভাড়া 450 টাকা। বেল্ট খুলিয়া খাইয়াও 350 টাকার বেশি উশুল হইলো না। 100 টাকা লছ। বরিশালের ছেলেদের অভিধানে লছ থাকতে নাই। ও পাইয়াছি, আসল বিবাহের সময় এক হালি লইয়া আসিয়া খাইয়া বাকি টাকা উশুল করিবো।

Monday, November 2, 2015

তখন ১৯৯১ সালের পরবর্তী সময়

- Niaz Morshed


তখন ১৯৯১ সালের পরবর্তী সময়। কলোনি র বিধ্বস্ত অবস্থা। এ সময় কলোনি র কিছু বড় ভাই নিজেরা মিলে এপ্রিল ২৯ নামে একটা সেচ্ছাসেবী দল গঠন করে।উনারা একটা লরি করে বিভিন্ন টিউবওয়েল, ওয়াসার ট্যাংকি থেকে পানি নিয়ে বাসার সামনে গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসতেন।আবার পানি নেয়ার সময় যাতে কোন ঝামেলা না হয় তাও দেখতেন।অনেক টা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত।

একদিন আমাদের বাসার পাশের ওয়াসার ট্যাংকি থেকে লাইন ধরে সবাই পানি নিচ্ছিল। আতিক ভাই ওইখানে দাড়িয়ে লাইন নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। এমন সময় সুফিয়ার মা নামে আমাদের বুয়া আসল কেটলি করে পানি নিতে।যেহেতু কেটলির আকার ছোট তাই তাই সে বলল তাকে আগে দিয়ে দিতে।তখন আতিক ভাই জানতে চাইলেন কাদের বাসা থেকে এসেছে। বুয়া বলল, মোরশদগো বাসাত থন। আতিক ভাই বুঝলেন, মাকসুদ চাচার বাসা থেকে এসেছেন।তিনি পানি দেয়া হবেনা বলে দিলেন।

”পানির ট্যাংকী”


”পানির ট্যাংকী” শব্দ টা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে কলোনীর পানির ট্যাংকীটি। ওটা ছিলো কলোনীর জিরো পয়েন্ট। সব কিছুর মূল কেন্দ্র এই ট্যাংকীর তলা। ট্যাংকীর নীচে টাংকি মারা থেকে শুরু করে অনেক সিরিয়াস বিষয়ের নিষ্পত্তি এই ট্যাংকীর তলায়, কত রোমানস, কত থ্রিল,কত বিনোদন এই ট্যাংকীর তলায়, কলোনীর সর্বশ্রেষ্ঠ সফল প্রেমের সফল পরিনতি হয়েছিলো এই ট্যাংকীর তলায়।

ট্যাংকীর নীচে বসে ট্যাংকীর খয়ে যাওয়া পলেস্তরা পরে মাথা ফেটেছে, ট্যাংকীকে বিপজ্জনক ঘোষনা করা হয়েছে, আতিক কাক্কুর দাবড়ানি, কোন কিছুই দমাতে পারেনি ট্যাংকীর তলারে আড্ডাকে। ট্যাংকীর পাশে ব্যাংকে আসা গ্রাহক রা দু দন্ড জিড়িয়ে নিতো এ ট্যাংকীর নীচে।সব রাজনৈতিক, সামাজিক, অসামাজিক, আলোচনার মিলন কেন্দ্র ছিলো এ ট্যাংকীর তলা।

Sunday, November 1, 2015

আমার নিরু ভাই



নিরু ভাই কে প্রথম দেখি নাজমুল ভাইদের বাসায়। নিরু ভাইয়ার কথা বলার স্ট্যাইল, ড্রেস হাটা চলা ফেরা সব কিছুই আলাদা । দূর থেকেই নিরু ভাই কে চেনা যায়। নিরু ভাই ব্যাডমিন্টন খেলতো । জসিম ভাই এর সাথে জুটি বেধে অনেক ট্যুরনামেন্ট খেলেছে ।ওনার রেকেট ধরার স্ট্যাইল টা ছিল অসাধারন। আমি অনেকবার ট্রাই করে ব্যার্থ হয়েছি সত্যি বলতে আমি অনেক বড় ভাই কে অনেকবার ফলো করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সাক্সেস হইনি । রেকেট ধরার স্ট্যাইল টা ফলো করতে গিয়ে "উশটা" খেয়েছি । তৌফিক প্রায় এইটা নিয়ে ক্ষেপাতো । সবাই নিরু ভাই হতে পারে না, নিরু ভাই একজনি হয়।

লুঙী ও ডাব....



ডাব অপারেশনে লুঙীর অবদান অনস্বীকার্য। কি কারনে এ বক্তব্য তা এক্ষুনি বলছি।

আমরা মোটামুটি ছোট ছোট ডাব গাছ বেছে বেছে অপারেশন চালাতাম। ছোট গাছ থেকে ডাব ফেললে ডাব মাটিতে পড়ে ফেটে নষ্ট হতোনা বা ফাটলেও খুব কম পরিমান। আমাদের স্কুলের ডাব গাছ গুলা ছিলো অনেক লম্বা, তাই সহজে ওখানে অপারেশন চালাতামনা। 

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss