Monday, February 29, 2016

আজ সাড়ে বারটার দিকে আমি, শওকত, হেলালী মাসুক ভাইয়ের ব্যাংকে গেলাম


আজ সাড়ে বারটার দিকে আমি, শওকত, হেলালী মাসুক ভাইয়ের ব্যাংকে গেলাম আমাদের এসোসিয়েশনের একাউন্ট করার জন্য। শওকত আর হেলালী ওদের জরুরী কাজ থাকায় ওরা কমপ্লিট না করে চলে গেলো। মাসুক ভাই আমাকে বসিয়ে রাখলো বাকি কাজ কমপ্লিট করার জন্য। আর বললো ওনার সাথে অবশ্যই লাঞ্চ করতে হবে। আমারও কাজ কম তাই বসে রইলাম। মাসুক ভাই আমাদের ফরম ফিলাপ করে আর আমি ফেইসবুক থেকে ঘুরে আসি। এরই মধ্যে উমামার আড্ডা সংক্রান্ত পোষ্ট দেখি। সেখানে কমেন্টসও করি। দেড়টার দিকে আমিও একটা পোষ্ট দিই। মাঝে মাঝে সেখানে ঢুকে দেখি কে কি কমেন্টস করলো। হঠাৎ মামুনের একটা পোষ্ট দেখে "থ" হয়ে গেলাম। 

বন্যার আব্বা অর্থাৎ আজিজুল হক চাচা মারা গেছেন। বার বার পড়লাম পোষ্টটা। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এবার নীচের দিকে যেতে লাগলাম। দেখলাম একই পোষ্ট আতিক আরো আগে দিয়েছে। পুরো অবাক হয়ে সেই পোষ্টটাও দুই তিন পড়লাম। মাসুক ভাইকেও বললাম। বিস্তারিত ঘটনা জানার জন্য চিন্তা করছি কাকে ফোন দেওয়া যায়। কারন তখন বন্যাকে ফোন দেওযার মতো সাহস পেলাম না। দেওয়া ঠিকও হবে না। প্রথমে দিলাম আতিককে ফোন। বিস্তারিত জানতে চাইলাম। কিন্তু সেও বেশি কিছু বলতে পারলো না। তবে বললো কিছুক্ষণ পরে রেজা ভাই যাবে। তাই ঘন্টাখানেক পরে রেজা ভাইরে ফোন দিলাম। রেজা ভাই ও ব্যস্ত। তবে বললো ঘুমের মধ্যে মারা গেছে। রেজা ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারলাম চাচার সাথে রিপন ভাই নেত্রকোনা যাবে। 

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অফিস থেকে বের হয়ে ধানমন্ডির ল্যাবএইডে গেলাম এক রোগীর ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে


গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অফিস থেকে বের হয়ে ধানমন্ডির ল্যাবএইডে গেলাম এক রোগীর ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে। ল্যাবএইড থেকে বের হয়ে আসার সময় বন্যা আপার সাথে দেখা। উনি এসেছেন বাবাকে নিয়ে চেকআপ করাতে, সাথে বন্যা আপার এক কাজিনও আছে। বহুবছর পর চাচাকে দেখলাম। কলোনিতে আজিজুল হক চাচাকে দেখেছিলাম সিংহদেহী সুপুরুষ। C-8 এর সামনের ছোট জায়গাটাতে আমি, আশিক, সবুজ, সামি, বাপেন আরো কে কে যেন ক্রিকেট খেলতাম। মাঝে মাঝে চাচা বিকেলে একটা টুল নিয়ে মাঠের ঠিক মাঝখানে বসে পেপার পড়া শুরু করতেন। আমরা ব্যাট-বল নিয়ে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে বিরক্ত হয়ে মুখ ভেংচে চলে আসতাম। বন্যা আপাকে তখন আমি চিনতাম না। শুধু জানতাম এই চাচার এক মেয়ে আছে নাম চাঁদ সুলতানা। আমরা নিজেরা নিজেরা কথা বলার সময় চাচার প্রসঙ্গ এলে উনাকে "চান্দুর বাপ" বলে সম্বোধন করতাম। ল্যাবএইডে কলোনির সেই চাচার ভগ্নাংশও খুঁজে পেলাম না। স্বাস্থ্য ভেঙ্গে গেছে, কিছুদিন আগে পায়ে আঘাত পাবার দরুন লাঠি হাতে হাঁটছেন। বন্যা আপা আমাকে চাচার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। স্টিলমিলের ছেলে শুনে তিনি আমার ডান গালে আদর করে চড় দিয়ে বললেন "কেমন আছস রে বাবা?"। এরপর বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য চাচার রক্ত নেয়া হলো, একটা এক্স-রে করানো হলো। এসময় আমি সাথেই ছিলাম। বিদায় নিয়ে আসার সময় তিনি দোয়া চাইলেন, আমিও আমার জন্য উনার কাছে দোয়া চাইলাম।

যার কিংবা যাদের যায়, একমাত্র সে কিংবা তারাই বুঝে হারানোর ব্যাথা


যার কিংবা যাদের যায়, একমাত্র সে কিংবা তারাই বুঝে হারানোর ব্যাথা।। আসলেই পৃথিবী থেকে প্রিয় কোন আপনজনকে কিংবা আপনজন নাই বা হোক, সেই মানুষটিকে চিরতরে বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতি কারো পুর্ব থেকেই থাকে না। সেইজন্যই হয়তো নির্মম এই সত্যটা আরো বেশী কস্ট দেয়।

রেজা ভাইয়ের কাছ থেকে ফোন পেয়ে বিশ্বাষই হচ্ছিল না। কারন গত পরশুইতো বড়াপা এবং আমাদের মেয়েগুলোর কাছ থেকে শুনলাম ওদের নানাভাই মোটামুটি অনেকটাই ভাল আছে।

তারপরেও তড়িঘড়ি করে ছুটে গেলাম। বড়াপা'র বাসায় যেয়ে পরিস্থিতি দেখে আমার মুখ থেকে ওদের কাউকে শ্বান্তনা দেওয়ার মত একটা শব্দও বেরোলো না। ইনান আর নুজাইমা যখন জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল তখন ফেল ফেল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর বোকার মত পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া কোন উপায়ই ছিল না। এই সব অবস্থায় শ্বান্তনা দেওয়ার ভাষা আমি হারিয়ে ফেলি। কেন যেন বোবা হয়ে যাই।

আজ দুপুর ২ টার দিকে আপেল আমাকে ফোন দিলো


আজ দুপুর ২ টার দিকে আপেল আমাকে ফোন দিলো।আমি বাইকেই ছিলাম।পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি আপেলের ফোন।ভাবলাম পরে কথা বলবো কিন্তু কি যেনো মনে করে ফোন রিসিভ করলাম।আপেল যখনি আমাকে ফোন দেয় আমাকে দুষ্টুমি করে স্যার বলে ডাকে কিন্তু আজকে কোনো দুষ্টুমি না করেই বলে তোকে কি কেউ ফোন দিয়েছিলো? বললাম কেন?পরে যা শুনলাম তা শুনার জন্নে মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা।

গতশুক্রবার আমি আর আপেল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একসাথেই ছিলাম।আপেল কে বল্লাম চল বন্যা আপার বাসায় যাবো চাচাকে দেখে আসি।আপাকে ফোন না দিয়েই চলে গেলাম বাসায়। চাচার রুমে নিয়ে গেলো বন্যা আপা।তিনি শুয়ে ছিলেন এবং শুয়া অবস্থাতেই আমাদের সাথে কথা বললেন।আপা যখন বল্লো আব্বা এই দুইজন ষ্টীলমিলের। এখন ঢাকায় থাকে।চাচা খুব খুশি হলেন এবং আমাদের দুইজনেরি বাবার নাম জিজ্ঞেস করলেন।আমাদের সাথে খুব হাসিমুখে কিছুক্ষণ কথা বললেন।উনি বললেন আজকে একটু পা টা বেশি ফুলে গেছে তাই শুয়া থেকে উঠছেন্না।আরো বল্লো তোমাদের আড্ডায় যাওয়ার খুব শখ ছিলো শরীর খারাপের জন্য যেতে পারিনি। আমরা চাচাকে বলেছিলাম ইনশা আল্লাহ সামনের আড্ডায় অবশ্যয় যাবেন।চাচা তারোত্তরে আমাদেরকে বলেছিলেন ততোদিন বেঁচে থাকবতো?আমরা বলেছিলাম অবশ্যয় বেঁচে থাকবেন চাচা।কিন্তু না,চাচার কথায় সত্যি হয়ে গেলো।আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন।

আল্লাহ চাচাকে বেহেস্ত দান করুক এবং তার পরিবার যেনো এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে এই দোয়ায় করছি।

এপ্রিল 29 নিয়ে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন মতামত পোষণ করে মুলত এটা কি ক্লাব না সংগঠন


এপ্রিল 29 নিয়ে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন মতামত পোষণ করে মুলত এটা কি ক্লাব না সংগঠন, এপ্রিল 29 ছিল একটা তাস খেলার গ্রুপ, কোনমতে ৪জন জড়ো হলে খেলতে বসে যেতাম,সকালে স্কুলের পিছনে খাল পাড়ে,বিকালে স্কুলের ভিতরে, কারো বাসা খালি হলে 29খেলা চলতো,আমি, দুলি, মরা রাশেদ,জিমি রাশেদ,জুয়েল,বুড়া মিয়া,লিটন,এমন ও দিন গেছে সকালে বসে বিকালের সূয নিবু নিবু সেই সময় খেলা শেষ করছি,আতিক,রাজু, ভুতের ডিম,কইলজা পঁচা, রিমন,রানা,তখন তাস কম খেলতো, বিকাল হলেতো তারা কয়েকটা বাসার সামনে ঘুরাঘুরি করতো বিশেষ কারণে,তপু, লতিফ,সোহাগ, আরো কয়েক জন আলাদা আলাদা চলাফেরা করতো,সারাদিন 29 খেলতাম বলে যারা যারা জানতো তারা আমাদের কে 29গ্রুপ বলতো,তপুরা আমাদের থেকাবার জন্য তারা একটা গ্রুপের নাম দিল ঈমাম গ্রুপ,আতিক রা তো তখন নায়ক নায়ক ভাবে আনাচে কানাচে ডুমারতাসে,চারিদিকে আমাদের বদনাম আমরা সারাদিন বাপের হোটেলে খাই আর তাস খেলি,এভাবে কয়েক বছর চলতে ছিল,কলোনীতে বিভিন্ন টুনামেনটে আমাদের C টাইপ D টাইপের এর অনেকেই খেলতো,সবাই মিলে তখন একটা দল গঠন করে খেলায় যোগ দিতাম,নাম দিতাম 29 গ্রুপ,খেলায় মারামারি তো হতো,বদনাম আরও বাড়তো,কেউ কোন খারাপ কাজ করলেই পড়তো 29এর নাম,এটা ঠিক আম,নারিকেল,পেয়ারা, মুরগী, বালব,আচার,বই, সবই চুরি করতাম বদনাম আরো বাড়তো,ইউনুস, ভাই ভাই দোকানের বেলাল ভাই কে কতো জালাতোন করতাম, তারাও মাঝে মাঝে আমাদের পিছনে লাগতো,এভাবে দিন গুলি পার করতাম,লটারী নাম করে অনেকের পকেট খালি করতাম,অবশেষে আসলো আমাদের কলোনীর কাল প্রলয়ণকরি ১৯৯১ সালের ঘুণিঝড় এই ঝড় আমাদের সব কিছু উলট পালট করে দিল,২৯শে এপ্রিল এর সেই ঝড়ে আমরা কলোনীবাসি একে অপরের সাহায্য এগিয়ে আসলাম, সবাই তখন একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব কিছুর মোকাবিলা করলাম,তখন আমরা যারা 29 খেলতাম তারা সবাই ভাবলাম এবার কিছুটা ভালো কাজ করি, তাই আগে তাস খেলার বদনাম ঘুচাতে হবে,এই সুযোগ ঘুণিঝড়টা আমাদের সেই সুযোগটা করে দিল ঘুণিঝড়টা হয়েছিল এপ্রিল মাসের 29 তারিখে এটাতো সবারই জানা আছে,সবাই মোটামুটি ঘুণিঝড়ের ধকল কাটিয়ে উঠতাছে,আমাদের গ্রুপের নাম ছিল 29 গ্রুপ আমরা সকলে মিলে তা এপ্রিল 29 নাম দিলাম,আগে এপ্রিল নাম দিয়ে পিছনে গ্রুপ টা বাদ দিলাম,এই হলো আমাদের এপ্রিল 29 ,, তারপরের ইতিহাস তো সবারই জানা যা কেউ কোনদিন করে দেখাতে পারে নাই তা আমরা করে দেখিয়েছি এই এপ্রিল 29,,সালাম এপ্রিল 29 এর সকলকে আমার তরফ থেকে,,,,,

গতকাল বিকালে চাচাকে দেখতে যাবো


গতকাল বিকালে চাচাকে দেখতে যাবো। বন্যা কে কথা দিয়েছিলাম। রিপনের সাথেও কথা হয়েছিলো, একসাথে দুইজন যাবো। বনানি থেকে মগবাজার রাস্তাটা এতটাই জ্যাম ছিলো, যেতে ইচ্ছা করছিলো না। যা হোক গেলাম। ছোট্ট একটা কেক নিলাম, নুজাইমার জন্য। 

অনেক বছর পর চাচার সাথে দেখা হলো। এখন বয়স হয়েছে, চাচার সেই শরীরটাও নেই। হাতে, চলা ফেরার জন্য লাঠি।

অনেক কথা হলো চাচার সাথে। বাবার কথা জিজ্ঞাসা করলো। এক পর্যায়ে বাবার সাথে, মোবাইলে কথা বলিয়ে দিলাম। খুব খুশি হলো দুজনেই।

চা এর টেবিলে, বন্যা বললো, আব্বা, রেজা ভাই আপনের জন্য কেক আনছে। ছোট বাচ্চার মত চাচা, নুজাইমাকে সাথে নিয়ে কেকটি কাটলো। এবং নিজে খেলো। আমি বসে বসে ভাবছিলাম, মানুষ একটি সময় সত্যি শিশু হয়ে যায়!!!!

হাত বদল


কলোনি তে একটা বিষয় লক্ষ্য করার মত ছিল।সেটা হল কারো বাসায় একটা ম্যাগাজিন কিনল,সেটা হাত ঘুরে ঘুরে অনেকের বাসায় চলে যেত।একই ঘটনা ঘটত অডিও ক্যাসেট এবং গল্পের বইয়ের বেলায়।একবার অন্যের কাছে গেলে সেটা ফেরত পাওয়া সোজা ছিল না।তেমন একটা ঘটনা,১৯৯৮ সাল।ঈদের পর পর।আমি ঈদের বেশ কিছুদিন পর বাসায় আসলাম। আমার বোনদের কাছে খবর পেলাম মৌ এর একটা ম্যাগাজিন আনা হয়েছে বাসায়।সেটা যখন দেখতে চাইলাম শুনলাম অপু ভাই নাকি দেখতে নিয়ে গেছেন। 

অপু ভাইদের বাসা থেকে সেটা চলে গেল সেকান্দার ভাইদের বাসায়,মানে মিনু আপাদের বাসায়।মিনু আপাদের বাসা থেকে ম্যাগাজিন নিয়ে ফিরছি, সিড়িতে রিনা আপার আম্মার সাথে দেখা।উনি আমার হাতে ম্যাগাজিন টা দেখে বললেন, "জনি, শুনছ, মৌ এর ত বিয়ে হয়ে গেছে।ঢাকায় আমাদের যারা পরিচিত তারা নাকি বিয়েও খায়ছে" আমি খালাম্মার কথা শুনে বললাম,"না ত খালাম্মা, জানিনা" এর কিছুদিন পর কলোনি থেকে চলে এলাম।

আমাদের কলোনিতে প্রায় বড় বড় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন হতো সেখানে আনেক বড় বড় প্লেয়ার খেলত


আমাদের কলোনিতে প্রায় বড় বড় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন হতো সেখানে আনেক বড় বড় প্লেয়ার খেলত।সি এস এম মাঠে খেলা অনেক প্লেয়ার পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয় দলেও খেলছে যেমন:জাফর ভাই । সি এস এম কলোনিতে অনেক গুলো ক্লাব ও ছিল যেমন: উদয়ন ক্লাব, মুন ষ্টার ক্লাব, বিজলি ক্লাব,এপ্রিল 29 ক্লাব (আচ্ছা এপ্রিল 29 কি ক্লাব ছিল না কি সংগঠন ছিল? যেহেতু এটি 91সালের 29 এপ্রিল এর ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় কে স্মরণে সৃষ্টি ।যাক উক্ত ক্লাবের সদস্যরা এটি ঠিক করে দিবেন।)এছাড়া আর কি কি ক্লাব ছিল?

বি টাইপের বাবু ভাই


বি টাইপের বাবু ভাই ।উনি খেলাধুলার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল।বাবু ভাই ২৯ গ্রুপ পহ্মে ফুটবল খেলত।উনার শরীর একটুুুু ভারী থাকায় বাবুু ভাই সবসময় হাফটাইমের পরে মাঠে নামত।বাবু ভাই আমার বিপক্ষে খেললে,খেলার মাঝে বাবু ভাই বল নিয়ে দৌড়ানোর সময় আমি বাবু ভাই কে ধাককা দিতাম।বাবুভাই রেগে গিয়ে আমাকে ফাউল করত ।রেফারি বাবু ভাইকে কাড দেখাত। এইসব স্থৃতি প্রায়ই আমার মনে হয়।

Abdullah Al Mamun অপু ভাই, কলোনি তে অপু নামের আধিক্যের কারনে, যাকে আমরা চশমা অপু ভাই নামেই ডাকতাম


Abdullah Al Mamun অপু ভাই, কলোনি তে অপু নামের আধিক্যের কারনে, যাকে আমরা চশমা অপু ভাই নামেই ডাকতাম। কলোনি তে আসার পর উনার সাথে আমার প্রথম পরিচয় সিটাইপ মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে। চশমা পরে কাউকে ফুটবল খেলতে আমার জীবনে প্রথম আমি উনাকেই দেখেছিলাম। সেদিন আমি ছিলাম উনার দলের গোলকিপার, পরপর তিন চার টা গোল খাওয়ার পর আমার প্রতি উনার প্রথম সংলাপ ছিলো "চিন্তা করিস না তোরে আমি প্লাষ্টিক ম্যান বানামু" উল্লেখ্য তখন বিটিভি তে প্লাস্টিক ম্যান নামে জনপ্রিয় একটি টিভি সিরিয়াল দেখাতো। সেই থেকে উনার সাথে সম্পর্ক। উনার আব্বা সিদ্দিক চাচা অনেক দিন আমার আব্বার সরাসরি বস ছিলেন। আব্বার কাছে শুনেছি আমাদের কলোনি তে বাসা পাওয়ার ব্যাপারে চাচার অবদান ছিলো।

অপু ভাই আমার সিনিয়র হওয়া স্বত্তেও উনার সাথে কিছু কিছু ব্যাপারে আমার খুব মজার সম্পর্ক ছিলো, উনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সিনেমা দেখা, উনার কাছে পড়া যেগুলো আমি আগে কিছু পোস্টে উল্লেখ করেছি। এছাড়াও আমার অনেক ব্যাক্তিগত ব্যাপারেও উনার সাথে শেয়ার করতাম। খুব বিনয়ের সাথে বলছি, কিছু দিন আগে উনি গ্রান্ড আড্ডার প্রসংগক্রমে আমাকে বলেছিলেন কলোনি তে যে কয়েকজন মানুষ উনার পছন্দের, তার মধ্যে নাকি আমিও আছি। যে কোন জটিল পরিস্থিতি উনি উনার স্বভাব সুলভ কথার দ্বারা সহজ করে ফেলতেন।

বাজারের গেইট ধরে কলোনি তে ঢুকলেই দুপাশে বিল্ডিং


বাজারের গেইট ধরে কলোনি তে ঢুকলেই দুপাশে বিল্ডিং। আরেকটু সামনে গেলে দেয়াল ঘেরা একটা বিল্ডিং। তার বিপরীতে সোনালী, অগ্রণী, জনতা ব্যাংক।দেয়াল ঘেরা বিল্ডিং টির সাথে জেক্স নামের একটি দোকান।এখানে মানুষ আড্ডা দেয়,চা, সিগারেট খায়।পপুলার একটা জায়গা। রাস্তা বরাবর বিরাট জায়গা জুড়ে একটা পানির ট্যাংকি। নিচে লোহার বিশাল বিশাল পাইপ।পাইপের উপর বসে ছেলেরা আড্ডা দেয়,এদিক ওদিক তাকায়।

ট্যাংকি র দক্ষিণ দিকে চলে গেলে রাস্তা বরাবর ডানপাশে C type এর বিল্ডিং এবং এর সামনে মাঠ।মাঠে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলে।শুকনো ড্রেনের উপর বসে সিনিয়র ভাইয়েরা আড্ডা দেন।কোন কোন বিল্ডিং এর সামনে মেয়েরা হাটতে বের হয়।এমন সময় বাইক নিয়ে আসেন সানগ্লাস পড়া এক ভদ্রলোক। তিনি এসে ড্রেনের উপর বসা ছেলেগুলাকে ধমক দেন।ছেলেগুলো উঠে যায় সেখান থেকে,ভদ্রতার খাতিরে কিছু বলেনা কিন্তু পেছনে গিয়ে ঠিকই ওই ভদ্রলোক এর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেন

সবাই লিখতাছে আমি জানি আমার লিখা লাইন বেলাই নাই তাও মনে ঝোঁকে লিখতে বসে গেলাম


সবাই লিখতাছে আমি জানি আমার লিখা লাইন বেলাই নাই তাও মনে ঝোঁকে লিখতে বসে গেলাম, কারণ আমরা তো আমরাই,চিটাগাং যাবো না যাবো এই টেনশন ছিল অনেক দিন আমাদের 29গ্রুপ এর বিভিন্ন সদস্য কেউ ঢাকা কেউ চিটাগাং কেউ কেউ বিভিন্ন জোলায়, ফোনে সবার সাথে যোগাযোগ হয় মাঝে মাঝে কারো সাথে কচিৎ দেখাও হয়,আডডা ঘোষনা হওয়ার পর থেকে আমি মোটামুটি সবার সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখতাম এই ব্যাপারে,মাছুম, জুয়েল,লিটন,বুড়া মিয়া,রিমন,মরা রাশেদ,জিমি রাশেদ,দুলি,ইউনুস,তপু,ভুতের ডিম,আর আতিক তো আছে,কে যাবে কে যাবে না এই সব আলাপ হত সবচেয়ে বেশি,লিটন পা ভেঙে বিছানা অনেক দিন, সবচেয়ে বেশি কথা হতো লিটন এর সাথে তার পা এর খবর নিতে পা ভালো তো লিটন যাবো, মোটামুটি সবাই যাবে,আডডা সময় ঘনিয়ে আসার কিছুূদিন আগে লিটন কে বলি তুই না গেলে আমিও যাবোনা,লিটন আবার এটা আতিককে বলে দেয়,আতিক আমাকে ফোন করে বলে তোকে যেতে হবে তোর সব খরচ আমার তখন আমি আতিক কে বলি এটা খরচ এর ব্যাপার না, আতিক কোন কথা শুনতে রাজি না,আতিক আমার কুপন নিয়ে আমাকে ফোন করে বলে তোর কুপন নেয়া হয়েছে তুই কি ভাবে যাবি জানা একসাথে যাবি না একলা যাবি আমাকে জানা, আমি আতিককে বলি আমি একলা যাবো রাতে যাবো সকালে পোছবো,লিটন এর পা ভালো হয় নি সে এই পা নিয়ে যেতে পারবে না, জুয়েলও যাবে না, আগের দিন রাতে মাছুম কে ফোন দিলাম মাছুম ব্যাবসার কাজে ঢাকার বাহিরে মনটা খারাপ হয়ে গেলো,২৮তারিখ রাতে কল্যাণপুর থেকে গাড়িতে উঠলাম আর সারারাত চিন্তা করতে করতে গেলাম কার সাথে দেখা হবে কেমন অনূভুতি হবে গাড়িতে রাতে এক ফোটাও ঘুম হয়নি,রাতে জিমি রাশেদ কয়েক বার ফোন দিয়ে বলছে সকালে যেন সোজা তার বাসায় হাজির হই তারপর দুজনে একসাথে ভ্যেনু তে যাবে,যাক অবশেষে সকাল ৬টায় আমার জন্মভুমিতে নেমে একটা সি এন জি নিয়ে সোজা গেইটে হাজির গেইটে ডুকার মুখে দেখি রাজিব ফ্রেস হতে বাসায় যাচেছ,জানতে চাইলাম ভিতরে কে কে আছে রাজিব বলে মাসুক ভাই আছে,ভিতরে ঢুকতাছি আর মনটা পুলকিত অনুভব করতাসি আরে এটা তো পুরা আমাদের কলোনী, হাটতে হাটতে সোজা চুলার কাছে দেখি মাসুক ভাই রান্নার তদকারি করছে, আমাকে দেখে সোজা বুকে নিয়ে যতারীতি কোলাকুলি তারপর সব খবরাখবর জানলো,নিজে এসে ওয়াশ রুম দেখিয়ে দিল,ওয়াশ রুম থেকে বাহির হয়ে একলা একলা ঘুরাঘুরি করতে দেখি আস্তে আস্তে একজন একজন করে পরিচিত মুখ ঢুকতাসে আমি তো সোজা গেইটের সামনে ১১টা পযন্ত, কিন্তু আমাদের 29গ্রপ এর কেউ এসে পৌয়াছনি,একমাএ ছোটকালে খেলার সাথী আানু সবসময় আমর পাশেই ছিল,১১পর থেকে পুরা কলোনী জমজমাট হয়ে গেলো এতো মানুষ, সবচেয়ে মজার লাগলো ডালিম কে দেখে দেখি হুজুর ডালিম বাশিঁ নিয়ে পুরা কলোনী ঘুরতাছে, সময় কি ভাবে কেটে যাচেছ রোর পেলাম বিকালে আবার রাতে ঢাকায় ফিরবো তাই মরা রাশেদ কে নিয়ে টিকেট নিয়া আসলাম তারপর আর,,,,, ,,,,,

গ্রান্ড আড্ডা পর্ব-১


ছাত্রী পড়াতে পড়াতে এক ফাকে ভাবলাম যে গ্রান্ড আড্ডা নিয়ে পোস্ট দেই।মোটামুটি সবাই আড্ডা নিয়ে পোস্ট দিয়ে ফেলেছেন।কিন্তু আমি আগেই ভেবে রেখেছিলাম যে আমি ২৯ ফ্রেব্রুয়ারি পোস্টটি দিব।আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করি।আশা করি কেউ বিরক্ত হবেন না।

যে কোনো অনুষ্ঠান হওয়ার পাচদিন আগে থেকেই আমার মাথায় ঘুরতে থাকে যে অনুষ্ঠানে কি পড়বো না পড়বো।গ্রান্ড আড্ডার একমাস আগে থেকেই বোনের সাথে জামাকাপড় কি পড়বো তা ঠিক করলাম।মহা উৎসাহে নতুন কাপড় চোপড় বানালাম।এরপর একদিন শুনি ট্রেনের টিকেটও হয়ে গেছে।নেত্রকোনা থেকে ঊর্মি খালামণি চলে আসলো, ছোট খালাও যাওয়ার আগে রাতে বাসায় এসে পড়লো।হাসাহাসি-হৈ হুল্লোড় চলছেই।সবাই খুব উত্তেজিত চিটাগাং যাব, আড্ডায় যাব। পরের দিন সকালে মানে ২৮ জানুয়ারি সকালে ঘুম থেকে উঠেই রওনা দিলাম।প্রতি সেকেন্ডে উত্তেজনা বাড়ছিল।শেষ পর‍্যন্ত গিয়ে উঠলাম ট্রেনে।কিছুক্ষণের মধ্যে ট্রেন ছেড়ে দিল।

কলোনির একটি বর্ননামূলক মানচিত্র (BH-1)



তিন তলা L-Shape বিল্ডিং নাম তার BH-1 মানে হলো Bachelor Hostel-1.একটি মাত্র রুম সাথে বিশাল করিডোর(ব্যাচেলরদের জন্য রুমের তুলনায় করিডোর এত বিশাল কেনো তা আজো আমার নিজের প্রতি প্রশ্নই রয়ে গেলো)।এক পাশে ৬/৭টি মোট ১২/১৩ করে রুম একটি ফ্লোরে,মাঝখানে বড় একটি ডাইনিং হল,যা পরবর্তিতে পার্টিশন দিয়ে দুভাগ করে দুই ফ্যামিলিকে দেওয়া হয়। ও হ্যাঁ আমি যতদুর জানি ব্যাচলর হোস্টেলে একজন দুজন ফ্যামিলি নিয়ে আসতে আসতে ফ্যামিলি হোস্টেল হয়ে গেলো,আমি অবশ্য ছোটকাল থেকে বেশীরভাগ ফ্যামিলিই দেখেছি নিচের তলায় গুটিকয়েক ব্যাচেলর ছাড়া।শুধুমাত্র নিচের ডাইনিং হলটা রেখে দিয়েছিলো,অনেক অফিসিয়াল(যাদের বাসা কলোনির বাহিরে) দুপুর বেলায় আসত খেতে আর বাবুর্চী ছিলো বিখ্যাত মোখলেস ভাই।মাঝে মাঝে আমাদের মা খালাদের অনুরোধে পিকনিক এ মোখলেস ভাই রান্না করে দিত।বিশেষ করে উনার রান্না করা সবজী ছিলো অসাধারণ।

সিড়িগুলো ছিলো দুই পাশে ফাঁকা।নিচে সিড়ির পাশেই ছিলো একটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাঙ্কি।বোধ হওয়ার পর থেকে ট্যাঙ্কি টি সেই পরিত্যক্ত অবস্থায়ই ছিলো,শুধুমাত্র ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ে সামান্য পরিমান সরে গিয়েছিলো।এই ট্যাঙ্কি নিয়ে আমাদের মাঝে নানারকম ভয়াল ধারণা কাজ করত।এই ট্যাঙ্কির আশে পাশে প্রায়ই গুইশাপের বিচরণ ছিলো, আমরা সিড়ি থেকে পাথর মেরে গুইশাপের মনযোগ আকর্শন করতাম।

সিএসএম এর সকল ভাই আর বোনদের বলছি, মানুষ বছরে একবার কোন একটা দিবস পালন করে আর আমরা মাসে আমাদের সটীলারদের মাসিক আডডা দিবস হিসেবে ২৯ তারিখ আডডার দিন রাখলাম


সিএসএম এর সকল ভাই আর বোনদের বলছি, মানুষ বছরে একবার কোন একটা দিবস পালন করে আর আমরা মাসে আমাদের সটীলারদের মাসিক আডডা দিবস হিসেবে ২৯ তারিখ আডডার দিন রাখলাম। বড়ভাইরা,বোনরা কি বলেন আপনারা।আবার ইচছা করে প্রতিদিন আডডার দিন রাখি।আমার যদি অলৌকিক কোন Power থাকতো আমি আবার কলোনীতে আমাদের সিএসএম বাসীদের নিয়ে আসতে পারতাম।আবার চালু করতাম সটীলমিলস্ সব চাচারা আসতো আবার চাকরীতে জোগ দিত।এগুলা আসলে বলে শানতনা পাওয়া।গতমাসের আডডা কে খুব মিস করছি।আমার আজ কতদিন জাবত কিছু বনধুবানধব আর একটা আপুকে খুব মনে পড়ছে।

সুমি আপু এখন আমেরিকায় থাকে।আমার মনে আছে কোথাও বেড়াতে গেলে বা আমরা পিকনিক করতাম জে সুমি আপা আমাকে সাজাই দিত।উনার অনেক রকমের কসমেটিক্ থাকতো জা দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজাতো।সারিতার আমমা তো আমাদের চুল কেটে দিত খুব সুন্দর করে।এগুলা কিছুই ভুলার নয়।

কলোনি র কাল্পনিক চিত্র ৩


কোন এক দুপুর বেলা।D type এর কোন এক বিল্ডিং এর দোতলার এক দাড়িওয়ালা ভদ্রলোক ভিসি আর এনেছেন।হিন্দি সিনেমা দেখবেন বলে।অবশ্যই তার প্রিয় নায়িকা শ্রীদেবীর। হয়ত ক্লাসিক চাঁদনী অথবা নাগিনা।এজন্য তিনি বিল্ডিং এর সব ছেলেমেয়েকে ডেকে পাঠালেন।সবাই ছুটে এল।তখন স্যাটেলাইট এর যুগ আসেনি। তাই কারো বাসায় ভিসি আর আনলে মোটামুটি ছোটখাটো হলের মত অবস্থা।

সেদিন বিকেলে ওই বিল্ডিং এর ছেলেমেয়েগুলো খেলতে নামেনা।বিল্ডিং এর সামনের মাঠটা অলস পড়ে থাকে।ভদ্রলোক এর বড় মেয়ের মন খারাপ।সে সিনেমা দেখতে আসেনা।জানালা দিয়ে উদাস হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে।সিনেমা শেষ হতে হতে সন্ধ্যাবেলা হয়ে যায়।আযান দেয়।সবাই যার যার বাসায় ফিরে যায়।হাত মুখ ধুয়ে নাস্তা খেয়ে পড়তে বসে।

আমাদের গ্রান্ড আড্ডার "শুভ মাস পূর্তি দিবস" এ সবাইকে শুভেচ্ছা


আমাদের গ্রান্ড আড্ডার "শুভ মাস পূর্তি দিবস" এ সবাইকে শুভেচ্ছা। আজ এই দিবসে কিছু সময় পেলেও একান্ত নিজের মতো করে হারিয়ে যান সেই দিনটিতে। ভাবতে থাকুন এই সময়ে (যে সময়ে আপনি ভাবছেন) আপনি কি করছিলেন। ক্ষনিকের জন্য হলেও মনকে আন্দোলিত করে যাবে স্মৃতিগুলো।। সেই পরিচিত মানুষগুলোর মধ্যে ডুবে যান কিছুক্ষনের জন্য (বাট ইফ ইউ হেভ টাইম)।।।।
শুভেচ্ছা রইলো সেদিন অংশগ্রহন করা প্রতিজনকে।।।।।

"গ্র্যান্ড আড্ডার" আজ এক মাস পূর্ণ হল


"গ্র্যান্ড আড্ডার" আজ এক মাস পূর্ণ হল।সবাই স্মৃতিচারন নিয়ে ব্যস্থ।এ কথা সত্য যে সুজনের পরিসংখ্যানটা প্রকাশিত হওয়ার পর CSM এর লেখকদের লেখার মাত্রা পূর্বের চেয়ে বেড়ে গেছে।এটা অবশ্যই শুভ লক্ষণ।এজন্য সুজন ধন্যবাদ পাওয়ার দাবী রাখে।

পারিবারিক একটা ঝামেলায় ছিলাম বলে আড্ডায় এটেন্ট করতে পারব বলে ভাবিনি।এজন্য আড্ডা নিয়ে আগ্রহ থাকলে ও ছিলাম নিরুত্তাপ।এদিকে বাচ্চারা শোনার পর থেকে যাওয়ার জন্য অস্থির,বিশেষ করে সে কারণেই আমার বউ (ফরিদা ৯৬ ব্যাচ) আমাকে না জানিয়ে আড্ডার কুপন সংগ্রহ করে।তাদের মধ্যে আড্ডা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্লেুন প্রোগ্রাম ও চলছে।আড্ডায় যাচ্চি না কিন্তুু কোনদিন কোথায় কি হচ্চে সবই খবর রাখছি ফেবুর সুবাদে।এর মধ্য বউ দু একবার নক করেছে আড্ডায় যাওয়া নিয়ে।অবশেষে তাকে আশ্বস্থ করলাম-দেখা যাক,সময় আসুক, এই বলে।

Sunday, February 28, 2016

যারা কলোনীতে ২০০০ এর পরের সাল গুলোতে ছিলেন না তারা অনেকেই হয়তো জানেন না আস্তে আস্তে আমাদের পুরো কলোনীই জঙ্গলে পরিনত হয়েছিল


যারা কলোনীতে ২০০০ এর পরের সাল গুলোতে ছিলেন না তারা অনেকেই হয়তো জানেন না আস্তে আস্তে আমাদের পুরো কলোনীই জঙ্গলে পরিনত হয়েছিল । বেশির ভাগ বিল্ডিং এরই নীচতলাগুলো খালি পড়ে থাকতো । ই টাইপ,এফ টাইপ আর সি টাইপের অনেক বিল্ডিং পরিত্যাক্ত হয়ে গিয়েছিল । এসময় কলোনীতে সাপ আর ইঁদুরের উৎপাত ছিল বেশি । আমরা থাকতাম D-4-F এ । ৩তলার উপর ও বিশাল সাইজের ইঁদুর থাকতো আর এগুলোকে মারতে আব্বু আম্মু আর ভাইয়া বেশ পরিশ্রম করতো ।

যাই হোক,আমি তখন কোন ক্লাশে পড়ি মনে নাই । শুক্রবার,আমি ভাইয়া আর আম্মু বসে বসে আলিফ লায়লা দেখছিলাম । আম্মু উঠে ওয়াশরুমে গেল । হঠাৎ ভাইয়াকে ডাক দিলো ওয়াশরুমের দরজার ওপাশ থেকে, বললো ভাইয়ার ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প গুলো থেকে একটা দিতে । ভাইয়া বুঝতে পারলো, পরে আম্মু বের হলো আর ভাইয়া ওর জীবনে প্রথমবার একটা সাপ মারলো স্ট্যাম্প দিয়ে colonthree emoticon

গেল মাসের এই সময়ে আমরা ছিলাম grand আড্ডার ভেনুতে


গেল মাসের এই সময়ে আমরা ছিলাম grand আড্ডার ভেনুতে। কিভাবে মাস পুরা হয়ে গেল। আমরা হয়ত এই সময় চা খেতে গিয়েছিলাম পাশের চায়ের দোকানে। ড্রাই কেক চায়ে ডুবিয়ে, জিবনেও খাইনি,সেদিন খেলাম।আরো কত ছোট খাটো বিষয় আছে সেগুলোকে একসাথে করে লিখতে পারলে ভাল হত।

সবাই যেভাবে লিখছে তাতে পেইজটা বেশ জমেছে। আগে তীর্থেরকাকের মত অপেক্ষা করতাম কখন আতিক,জাভেদ বা রেজাভাইয়ের একটা লেখা আসবে,পড়বো। এখন বেশ উৎসব উৎসব ভাব এসেছে। কিছুক্ষন না ঢুকলে পরে এসে দেখি বেশ লেখা জমেছে। জাভেদ বদ আবার এমন একটা লেখা দিসে যাতে আমি কোনোভাবেই অংশগ্রহণ করতে পারবোনা।স্টিল মিলের ম্যাপ। আমার দৌড় ছিল মাসুক ভাইদের বাসা অব্দি,তাও রাস্তাটা মনে নেই কোন দিক দিয়ে যেতাম।তাম্বুরার এই লেখার মাঝে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। 

আতিক আবার আতিক্কা ছড়া শুরু করেছে,জানিনা সে আতিক্কা কি লিখে বসবে। পীর সাহেব ছুটিতে আছেন।লেখেন না।অপু নাকি সময় পায়না,আজ সেও তিনটা লেখা দিয়েছে। জনিও বেশ রেগুলার হয়েছে। মুনতাহার চলা বেশ দ্রুত হয়েছে। ভালই,গুড়াগুলা শুদ্ধা উঠে পড়ে লেগেছে। আমাদের অবসরে যাবার সময় হল বোধ হয়। সবাই লিখবে আর আমি খালি আরাম করে পান চিবাতে চিবাতে পড়বো।

পরিসংখ্যানবিদ সুজনের হিসাব অনুযায়ী ২০ শে আগষ্ট ২০১৫ থেকে ৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমার নাকি পোষ্ট ছিলো চারটা


পরিসংখ্যানবিদ সুজনের হিসাব অনুযায়ী ২০ শে আগষ্ট ২০১৫ থেকে ৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমার নাকি পোষ্ট ছিলো চারটা। যদিও আমার সাথে কিঞ্চিৎ পার্থক্য আছে। আর যেহেতু পরিসংখ্যান আড্ডার পরে প্রকাশ হয়েছে। তাই আমিও লেখার একটা বিষয় পেয়ে গেলাম। তাই আড্ডা নিয়ে না আমাকে যে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সে বিষয় নিয়ে কয়েকটি পোষ্ট দিলাম। কে পড়লো কি পড়লো না সেই চিন্তা না করেই পোষ্টগুলো দিলাম। অনেকে ভাবতে লাগলো আমার লেখায় কোন কোয়ালিটি নাই। আমি নাকি কোয়ানটিটি বাড়ানোর জন্য লিখছি। 

আমিও স্বীকার করি আমার লেখার মধ্যে কোন কোয়ালিটি নাই। কলনিতে বলার মতো কোন কাহিনি ছিলো না। কথা গুছিয়ে বলতে পারি না। মাথায় ও কিছু নাই যে গুছিয়ে লেখবো। সব এলোমেলো লেখা। মন চাইছে তাই লিখছি এই টাইপের। তবে মাথায় যদি কিছু না থাকে তাহলে এলোমেলো ভাবে বেশিদুর যাওয়া যায় না। আমিও বেশিদুর যেতে পারবো না। আর না গেলে মন্দ হবে না কারন প্রতিদিন এতো বেশি পোষ্ট সবাই সবগুলো ভাল করে পড়া হয় না। অন্তত একটা পোষ্ট হলেও কমবে। আমি সুন্দর কমেন্টস ও করতে পারি না। আমি কোন কমেন্টস করলাম হয়তো আমার কাছে মনে হয়েছে কমেন্টসটি ফান কিন্তু আরেকজনের কাছে ফান নাও হতে পারে। কোন না কোন কমেন্টসে কেউ কেউ বিরাগভাজন হয়। আমার লেখায় ও কমেন্টসে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখিত।

বড় হয়ে কি হবে?


ছোটবেলায় একটা ম্যাগাজিনে পড়ছিলাম, অভিনয়শিল্পী রা বড় হয়ে কে কি হতে চায়? সেখানে কেউ বলছিলেন, যেমন - শমী কায়সার বাবার মত হতে চান, হুমায়ুন ফরিদি বাবুর্চি হতে চান, আজিজুল হাকিম হোন্ডা হতে চেয়েছিলেন আর মডেল মৌ চেয়েছিলেন আজীবন কিশোরী থেকে যেতে অর্থাৎ বয়স যেন না বাড়ে।তখন তার এই ইচ্ছার কথা শুনে হাসি পেয়েছিল।

Csm colony পেজ টাতে যখন ঢুকি তখন বিভিন্ন ভাই বোনদের লিখা পড়ার সময় উনাদেরকে বর্তমান বয়সে ভাবতে পারিনা।মনে হয় কলোনি ছেড়ে আসার সময় উনাদেরকে যে বয়সে দেখে এসেছিলাম এখনো সেরকম ঈ আছেন।এমনকি আমার সমবয়সী যারা ছিল তাদেরকেও।কেন যে এমন মনে হয় জানি না,তবে সবার বয়স এক জায়গায় দাড়িয়ে আছে এটা ভাবতে ভালই লাগে

কলোনি র কাল্পনিক চিত্র ২


একটা L সাইজের বিল্ডিং। এটা হল স্কুল।স্কুলের সামনে বিরাট মাঠ।এক পাশে দাড়িয়ে আছে মঞ্চ।স্কুল এর চারদিকে টিনের ঘেরা দেয়া।পেছনে কবর স্থান।তার পেছনে খাল পাড়।পাশে মসজিদ। মসজিদের সামনে BH 1 নামে একটা L সাইজের বিল্ডিং। স্কুলের গেইট পেরোলেই ছাত্তার স্টোর নামে একটি দোকান।তার পাশে পানি সাপ্লাই এর অফিস।সেখানে বসে ইউনুস ভাই নামে এক শ্যামলা ছেলে দোকানদারি করেন।

স্কুল ছুটি হলে মেয়েরা বের হয় দুপুর ১ টার দিকে।এসময় কিছু কলেজ এবং ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে ইউনুস ভাইয়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকে।কিছু কিছু মেয়ে চোরা চোখে তাকায় ছেলেগুলোর দিকে,কেউবা নিজের সৌন্দর্য জাহির করার চেষ্টায়য় থাকে,কেউবা মাটির দিকে তাকিয়ে বাসায় চলে যায়।তবে কিছু অভিভাবক দের ধারনা ভাল ছেলেরা এ জায়গাটা তে দাড়ায় না। কিন্তু সব ছেলেকে ত একই দোষে দোষী করা যায় না।এমনো ত হতে পারে স্কুলের দিকে তাকালে কিছু ছেলের তাদের স্কুল জীবনের কথা মনে করে বুকের ভেতর থেকে কিছু ছোট বড় দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে কিংবা এক ধরনের কষ্ট কষ্ট সুখ পায় তারা

আগে আমাদের এই পেজে কোন একটা পোস্ট কেউ করলে সেটার উপর সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়তো


রিপন ভাই Ripon Akhtaruzzaman আর আমাদের সওগাত ভাই নাকি একবার চা দিয়ে কে কয়টা পরোটা খেতে পারে সেটার বেট ধরেছিলেন। খুব সম্ভবত মহসীন কলেজেই বন্ধুদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল। রিপন ভাই যেখানে চা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৮ টা পরোটা খেয়েছেন সেখানে নাকি সওগাত ভাই ২২ টা খেয়ে ফার্স্ট হয়েছিলেন।

রিপন ভাই ১৮ টা খেয়েও হজম করতে না পেড়ে অস্থিরতার কারনে মুখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে বমি করে অবশেষে কম্ফর্টেবল ফিল করেছেন।

আগে আমাদের এই পেজে কোন একটা পোস্ট কেউ করলে সেটার উপর সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়তো। তার মানে লাইক আর কমেন্টের সিডর, নার্গিস কিংবা ক্যাটরিনায় ভেসে যেত। এক এক পোস্টে ১৫০/২০০ লাইক পড়লে তার সাথে পাল্লা দিয়ে কমেন্টও করতো প্রায় ১০০ এর উপরে। সেসব কমেন্টের আবার সাব কমেন্ট মানে রিপ্লাইও থাকতো প্রচুর।

ক্লাস নাইনে উঠার আগে কলনি থেকে খুব একটা বের হতাম না


ক্লাস নাইনে উঠার আগে কলনি থেকে খুব একটা বের হতাম না। বড়জোর বাজার কিংবা হাউজিং কলনি। অর্থাৎ পতেঙ্গা এরিয়ার মধ্যে থাকতাম। নাইনে উঠার পর থেকে নিজেকে একটু বড় বড় ভাবা শুরু হয়ে গেছে। তখন পতেঙ্গা এরিয়া আর ভাল লাগেনা। ঈদ আসলে রমজান মাসে ষ্টীল মিল থেকে মার্কেটে বাস দিতো শপিং করার জন্য। মাঝে মাঝে কোন কাজ ছাড়াই বাসে উঠে মার্কেট থেকে ঘুরে আসতাম বন্ধুদের নিয়ে। আর ঈদ আসলে অসম্ভব খুশি লাগতো। কারন ঈদের দিন কিংবা পরের দুইদিন কোন বাধা ধরা নিয়ম ছিলনা। ইচ্ছে মত ঘুরতে পারতাম। বাসায় বাসায় গিয়ে সালাম করতাম।

ঈদ আসলে আরেকটা ব্যাপারে খুশি হতাম হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে পরবো বলে। একবার এক ঈদে নামাজ পড়ার পর আমরা কয়েকজন সিনেমা দেখার উদ্দেশ্যে বের হলাম। ১২টা-৩টার শো দেখবো ( বিকালে দল বেঁধে বাসায বাসায় যেতে হবে তাই এই টাইমটা বেছে নিলাম)। ষ্টীল মিল বাজারে আসলাম বাসের জন্য। গন্তব্য সাগরিকা সিনেমা হল। কারন ঈদে তিনটা নতুন সিনেমা রিলিজ হইছে। একটা সাগরিকা, একটা সানাই, আরেকটা বনানীতে। তিনটার মধ্যে সাগরিকার টাই সুন্দর। আমরা ঠিক করলাম আপাতত সাগরিকায় যাবো। যথারীতি বাস আসলো। বাসে উঠেতো চোখ ছানাবড়া। কারন বাসে আগে থেকে বসে আছে আমাদের সকলের প্রিয় মালেক স্যার। উনি আরো বসে আছে পিছনের সিটে। উনাকে দেখেও না দেখার ভান করে বাসের সামনের দিকে এগোতে থাকলাম। উনি ডাক দিলেন আর বললেন বেটা সামনে দাঁড়াইয়া থাকি কি করবি আমার পাশে বস। কি আর করা আমতা আমতা করে বসে পড়লাম। বসার পর পরই উনি জিজ্ঞাসা করলো কই যাস? সিনেমা দেখতে? বললাম না স্যার আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে। উনি বললো আমি সব জানি। এই বয়সটা আমি পার করে আসছি না। উনি ভাড়া দিতে চাইলো। বললাম স্যার আপনারটা সহ আমরা দিয়ে দিই। 

ফেবুতে নিজের প্রোফাইল ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে লিখাটা খুঁজে পেলাম


ফেবুতে নিজের প্রোফাইল ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে লিখাটা খুঁজে পেলাম । লিখাটা ২০১১সালের শেষে/২০১২ সালের শুরুতে লিখা,তখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়তাম । ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করি লিখাটা ।
অনেক বড়,বিরক্ত হলে আমার দোষ নেই tongue emoticon
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্পর্ক হলো বাবা মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক।

আমার বাবা হলেন আমার সবচাইতে প্রিয় কথাসংগী।ছোটবেলা থেকেই বাবা আমাকে এবং আমার ভাইয়াকে অনেক আদর দিয়ে বড় করেছেন।ছোটবেলায় বাবার কাঁধে চড়তাম সবসময়।বাবা বিছানায় বসে থাকলেই গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গিয়ে বিছানায় উঠে বাবার গলা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরতাম।বাবা বুঝে যেতেন আমি কি চাইছি।বাবা তখন আমাকে কাঁধে উঠিয়ে নিতেন আর আমি খুশিতে হাততালি দিতাম।
.
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক।বাবার স্কুলেই শিশুশ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি।আমার সহপাঠীরা সবাই একলাই স্কুলে যেতো।কখনো কারো অভিভাবক তাদেরকে আনা নেয়া করতে যেতোনা।কিন্তু আমি শিশু শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটা দিন আমার বাবার হাত ধরে স্কুলে গিয়েছি। আমার গায়ে রোদের আঁচ না লাগার জন্য বাবা এক হাতে আমার মাথার উপর ছাতা ধরে রাখতেন আর অন্য হাতে আমার একটি হাত ধরে রাখতেন।

কলোনি র কাল্পনিক চিত্র


কলোনি র কাল্পনিক চিত্র- tambourine man ওরফে জাবেদ ভাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী। 

একটা তিনতলা বিল্ডিং। এর সামনে একটা, পেছনে একটা, ডান পাশে, বাম পাশে আরো কয়েকটা বিল্ডিং। বিল্ডিং এর সামনে কয়েক টা হাস- মুরগির ঘর। পাশে ওয়াসার ট্যাংকি। এর গা ঘেষে ড্রেন।সামনের বিল্ডিং টার সামনে একটা গার্ডের বসার টিনের ঘর আছে। আরো আছে মসজিদ, মসজিদের গা ঘেষে পুকুর।

পুকুর পাড় এর একটু পাশেই কয়েক টা নারকেল গাছ দাড়িয়ে আছে।তার নিচে যুবক বয়সী ছেলেরা আড্ডা দেয়।সিগারেট ফুঁকে। ছেলেগুলোর জন্য কিছু মেয়ে বারান্দায় বসতে পারেনা।তবুও ছেলেগুলোর আড্ডা বন্ধ হয়না।হয়ত নারকেল পাতার শনশনে হাওয়া ছেলেগুলোর মনকে উদাস করে দেয়।

আমরা ছোট বড় সবাই মোটামুটি আড্ডা নিয়ে ব্যাস্ত


আমরা ছোট বড় সবাই মোটামুটি আড্ডা নিয়ে ব্যাস্ত। যে যেভাবে পারছি আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছি, কেউ কেউ পুরান পাল্টে নতুন android সেট নিচ্ছে ইজি typing এর জন্য। সবচে প্রশংশার দাবিদার আমাদের ছোট খাট charitable কাজ গুলো। খুব কম সংগঠন আছে যারা তাদের এই সামান্য জমা টাকাটাও কোন সমস্যা পীরিত বন্ধুর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। সব কিছু মিলিয়ে যে power আমরা আমাদের মধ্যে দেকতে পাচ্ছি, আমি আমাদের বড় ভাইদের( Anisur Rahman Reza, Ziaul Hasan, Jashim Uddin, Nazmul Huda, Reajul Islam Shahin) কাছে request করবো ব্যাপার টা নিয়ে serious কিছু চিন্তা করতে। এতগুলো মানুষের আবেগ ভালবাসা নিয়ে আমরা কেন শুধু FB তে আড্ডা দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো, আমরা আরও অনেক কিছু করতে পারবো। ছোট ভাই Jahed Tipu-র CSM কলোনি re-establishment ও অসম্ভব কিছু না। 

Please think one more, it’s the high time to do something for our next generation. বর্তমান যান্ত্রিকতার যুগে এমন আবেগ, ভালবাসা কোথায় পাব??? এখন পথ চলতে আসলেই অন্য রকম একটা বোধ কাজ করে, আমি আজ একা নই, বিশাল এক CSM পরিবার আছে আমার সাথে। কারন আমি বিশ্বাস করি, "A real friend sees the first tears…… catches the 2nd and stops the third tear…"

প্রতিদিনই অনেক লিখা আসছে, জানি সামনে আরও আসবে, আসতেই হবে


প্রতিদিনই অনেক লিখা আসছে, জানি সামনে আরও আসবে, আসতেই হবে। তাই এইবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা অথবা প্রতিযোগিতা অথবা ইতিবাচক যুদ্ধ যেটাই বলিনা কেন বেশ জমে উঠেছে। প্রতিনিয়ত লেখকদের অবস্থান পরিবর্তন হচ্ছে। সকালে যিনি এগিয়ে থাকেন আবার দেখি দুপুরে তিনি পিছিয়ে গেছেন, আবার দুপুরে যিনি এগিয়ে আছেন রাতে তার অবস্থান দেখি পিছিয়ে গেছে। পরিসংখ্যান করতে গিয়ে এইবার আমাকে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। কিন্তু আমি অনেক মজা পাচ্ছি সবার এত উৎসাহ দেখে আবার একটু ভয়েও আছি যদি কারো কোন লিখা আবার বাদ পড়ে। ক্ষমা করবেন যদি কোন ভুল হয়। আমি মানুষ, আমার ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনারা আমার প্রাণপ্রিয় ছোট বড় ভাই বোন তাই ক্ষমা করে দিবেন।

খুব খুব, অনেক অনেক বেশি বেশি মিস করছি আমি এবং আমরা সবাই আমাদের প্রথম সারির ৩ জন লেখককে, তারা হলে রাসেল ভাই, মইন ভাই এবং নমি ভাই। উনাদের লিখা পড়েই আমি এবং আমার মত অনেক আনাড়ি লেখক মাঝে মাঝে লিখার দুরসাহস করে। উনারা থাকলে প্রতিযোগিতা আরও বেশি প্রাণবন্ত হত। হয়তো উনারা অনেক ব্যস্ত তারপরও জানি উনারা আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবে, আসতেই হবে, আপনাদের ফিরে আসার প্রতীক্ষায় রইলাম ... ...।

আমার লেখার প্রতি তেমন কোন আগ্রহ নেই


আমার লেখার প্রতি তেমন কোন আগ্রহ নেই।আগ্রহ না থাকার কারনে বলতে হয় মেধার স্বল্পতা, স্বচঞ্চলতা।আমি বলতে পারি নেশা ও পেশাগত কারনে।কিন্ত রেনাজ(তিনজন ব্যক্তি) বলেই যাচ্ছে আড্ডায় লেখ।তাই সাহসী হয়ে উঠলাম। শিশু থেকে কৈশোর পর্যন্ত যাদের স্নেহে, শাসনে বড় হয়ে উঠেছি,তাদের মধ্যে একজন জসিম ভাই /কাকা।২০১৫ সালের নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে ফেসবুকে সাক্ষাত। অত:পর কল্।স্বাভাবিকভাবেই আদেশ। ২৯ জানুয়ারি তোমার কোনো কাজ থাকবেনা। আমি কল্পনাও করিনি আমি শুনবো আমরা সি,এস,এম কলোনিবাসি একসাথে হবো।আড্ডা হবে ২৯ জানুয়ারি, তোমাকে উপস্থাপনা ও আবৃত্তি করতে হবে। বহুপ্রতীক্ষিত দিন এলো। আনন্দ মিশ্রিত ভয় কাজ করছিল,আনন্দ হচ্ছিল ঝুমুর আপু, একা আপু, রুমি,শাকিল,আংকেল,আংটিদের সাথে দেখা হবে।ভয় হচ্ছিল সঞ্চলনায় কী করবো।বহু উত্তেজনা নিয়ে আড্ডার মঞ্চে উঠলাম। আমার জীবনে প্রথম ব্যতিক্রমী সঞ্চলনা।কঠিন কাজটি সহজ করে দিল বন্যা আপু।টলি ভাই এসে আরও মজা করলেন।অনেক বেশি লিখলাম।শেষে এতটুকু বলি:কিছু স্বপ্নবাজ তরুণের স্বপ্নময় আবেগের ফসল ---আড্ডা। যাঁরা এখনও স্বপ্ন বিলি করে ফিরছে ----প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

আমি আসলামকে নিয়েই একটু লিখছি


সবাইকে গ্রান্ড আড্ডা নিয়ে লিখতে বলছে আসলাম।

আমি আসলামকে নিয়েই একটু লিখছি।

আমাদের প্রোগ্রামের ২ দিন আগে আসলামের এক কান্ড দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আসলাম আমাকে ফোনে জানালো মা'কে (আসলামের মা) ঢাকায় ভর্তি করিয়েছে। অপারেশন করতে হতে পারে, খুব্বি খারাপ অবস্থা। আমি আসলাম আর মিতু ভাইকে রিমুর নম্বর দিলাম যদি কোনভাবে হেল্প করতে পারে!!.

আমি, আমার ছোট ভাই, শায়লার স্বপরিবার, রাজিব আর মোটা বাবু ভাই ২৭ তারিখ রাতে আতিক ভাই এর ব্যবস্থাপনায় চিটাগাং যাব বলে প্রস্তুতি নিলাম। মা কেমন আছে জানার জন্য দুপুরে আসলামকে কল করলাম। হালার কথা হুইনা আমিতো চাঙ্গে উইঠা গেলাম। আমারে কইলো কি, "দোস্ত আমি আজই চিটাগাং যাইতাছি গ্রান্ড আড্ডার অনেক কাজ রইয়া গেছে।" মার কি করলি? আমাকে বললো মিতু ভাইয়ের দায়িত্বে রাইখাইছি। দেখি কি করা যায়। 
আসলেই অবাক হয়েছিলাম ওর কথা শুনে। মা অসুস্থ আর শালা যাচ্ছে গ্রান্ড আড্ডায় বিটলামী করতে। মা'ও নাকি প্রোগ্রামে এটেন্ড করার জন্য ভীষন ইচ্ছুক ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদিও থাকতেই পারলেন না।

একটা পিঁপড়া একটা বেড়ে উঠা ঘাসের ডগা বেয়ে উঠছে আর নামছে


একটা পিঁপড়া একটা বেড়ে উঠা ঘাসের ডগা বেয়ে উঠছে আর নামছে। সকালে বৃষ্টি হয়েছে, মাটি ভেজা ভেজা। আকাশ এখনো মেঘলা। ঠাণ্ডা ভেজা বাতাস বইছে থেমে থেমে। মাঠের কোনে একটা উঁচু জায়গা। কোন এক কালে হয়তো গার্বেজ ফেলা হয়েছিলো এখানে। কালের কামড়ে জমে পাথর হয়ে গেছে জায়গাটা। ঘাস গজিয়েছে, লতাগুল্মে ঢেকেছে অনেকটা তবু চুড়াটা এখনো ন্যাড়া। ছেলেপেলেরা এই চুড়ায় বসে আড্ডা জমায়। হাতের ডানে বড় একটা মাঠ, খুব বড় নয় যদিও তবু নাম "বড় মাঠ"। চুড়া থেকে নেমে একটা রাস্তা সোজা চলে গেছে আরেকটু বড় রাস্তায়। রাস্তাটা যেখানে বড় রাস্তায় মিলেছে সেখানে একটা ছোট দোকান। টিনের টংঘরের মত। নুরুচ্ছাফা সাহেব ডিউটি শেষে দোকানে বসেন অনেক রাত পর্যন্ত বিকিকিনি করে ঝাঁপ নামিয়ে বাসায় যান।

ক্রমশ......
(আমি কলোনির একটি বর্ননামুলক মানচিত্র তৈরির চেষ্টা করছি। শুরুটা আমি করলাম। আমি চাই সবাই যার যার মত অংশগ্রহন করুক। লেখাগুলো বর্ননামুলক হওয়া জরুরী। কলোনির আইডেন্টিক্যাল, আইকনিক অথবা দীর্ঘদিন চোখে পড়েছে এমন জিনিসগুলো বর্ননায় এলে মানচিত্রটা অনেক সমৃদ্ধ হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় খালপাড়ের সেই বড় পাথরটা, ই-টাইপের ভাঙ্গা স্লিপার কিংবা টাংকির নিচের সেই ঠাণ্ডা চকচকে মসৃণ পানির পাইপটা। যারা এই গ্রুপের লেখার আর্কাইভ করছেন তাদের কাছে অনুরোধ এই আহবানে সাড়া পাওয়া গেলে এই লেখাগুলো যেন আলাদা মার্ক করে একসাথে মজুদ করা হয়। লেখাগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম)

এটা লিখছি আমাদের মামুইন্নার জন্য। গ্র্যান্ড আড্ডা ২০১৬, পর্বঃ ০১


এটা লিখছি আমাদের মামুইন্নার জন্যঃ
পর্ব - ০১ঃ
তিন মাস আগেও, যখন জসীম ভাই, নাযমুল ভাই, রেজা ভাই, পুলক, মামুন, বাবু, টিপু আরও অনেকে মিলে আড্ডা নিয়ে কাজ শুরু করেছে, আমার ধারনা ছিলনা এটার সমাপ্তিটা এত সুন্দর হবে, ধীরে ধীরে কাছে গেলাম, দুই একটা মিটিং এ গিয়ে বুজতে পারলাম, না কোন কিছুই অসম্ভব না, যে উদ্যম আর উৎসাহ ছোট আর বড় ভাইদের মধ্যে দেখলাম তাতে পুরপুরি আত্মবিশ্বাসী হয়ে গেলাম যেকোনো উপায়ে আড্ডা হবেই হবে।

দায়িত্ব পরল musical program arrange niye, কিন্তু কম বেশী সব কাজেই আমাদের সকলের সমন্বয় ছিল চোখে পড়ার মতো। কাজ করতে গিয়ে প্রথমেই মুগ্ধ হলাম Suzan Hasnat এর টেস্ট আর মেধা দেখে, অসাধারণ বুঝে সে, অথচ ওকে আমি কখনো ইভেন্ট লাইনে কাজ করতে দেখি নাই বা শুনি নাই। ওকে চিনি অনেক ছোট বয়েস থেকে, আমাদের পাশেই ছিল ওদের বাসা, সারাদিন থাকতো খেলা ধুলা নিয়ে, ওরা তিন ভাই যেকোনো খেলায় ছিল সমান পারদর্শী। সেই ছোট ভাই সুজন এর এরকম perfect maturity in all aspects আমাকে দারুন মুগ্ধ করেছে, আরও অনেক আইডিয়া ছিল ওর মধ্যে যা বাজেট আর সমালোচনার ভয়ে করতে পারি নাই। 

সুজনের ভয়ে ইজ্জত বাঁচানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস.........।।


আমার ছেলে আদিত্য দে (রাহুল), ২বছর ৮মাস। মোবাইল হোল তার অসম্ভব প্রিয় খেলনা. সেই ১.৫০বছর বয়েস থেকে তার মোবাইল ব্যাবহার শুরু আর এই ১৩ মাসে মোবাইল আর ট্যাব ভেঙেছে মোট ৪টা, তাই ওর মা ওর মোবাইল ব্যাবহারের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। যার কারনে আমি বাসায় ফেরার সাথে সাথে আমার মোবাইল তার দখলে, কারন সে জানে পাপ্পা সাথে থাকলে মা কিছুই করতে পারবে না।
এতক্ষণ গেল ভুমিকা, এবার মুল ঘটনায় আসা যাক।
সেদিন দুপুরে ওর মা ফোন করে বলল ছেলে আজ সব জীব-জন্তু’র ইংরেজি নাম শিখে ফেলেছে। আর আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন বাসায় গিয়ে তার সেই কারিশমা দেখবো। 

Atiq Csm কাল আমাকে দশ প্যাকেট মাংসের মশলা দিয়েছে


Atiq Csm কাল আমাকে দশ প্যাকেট মাংসের মশলা দিয়েছে।আজ রান্না করবো সেই মশলা। ও শুধু মশলা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি,আমার কাছে মেজবানি মাংস খাবার দাওয়াত আমি দেবার আগেই নিজ দায়িত্বে নিয়ে নিয়েছে।সমস্যা নেই। খাওয়াবো।

খুবি বদ একটা পোলা। পেট্টা ভরা হিংসা। যদিও পেট বলে কিছু নাই ওর। কাল রাজিববের আচারের পোস্টে ও কয় ও আমারে মশলা দিসে তার কথা কইলাম না কেরে। 

নিম্নলিখিত কারনে বলি নাই।
১. আচার রাজিব বানায়ে আনসে। মশলা তুই বানায়ে আনস নাই।
২. রাজিবের আচার খাইসি,মজা লাগসে।তোর মশলা ত খাইনাই এখনো।
৩.রাজিব যশোর থেকে আসছে,তুই বনানি থেকে গুলশান আসছিস।
৪.রাজিব সারারাত বাসে আসছে,তুই দশ মিনিটে আইসস।
৫. আচারের ব্যাগ ক্যারী করতে আমাদের কস্ট হইসে, তোর মশলা উমামের বড় ব্যাগের মধ্যেই রাখা গেছে।
আশা করি তুই বুঝতে পেরেছিস।

ব্যাক্তি আর পেজ দুটো আলাদা আলাদা সেটা অনেক সময় ভুলে যাই


এ পেজ টার সাথে ওতপ্রোত ভাবে এমন জড়িয়ে গিয়েছি যে, ব্যাক্তি আর পেজ দুটো আলাদা আলাদা সেটা অনেক সময় ভুলে যাই।অর্থাৎ পেজের একেকজন সদস্য যে আলাদা ব্যাক্তি সত্তার অধিকারী এটা খেয়াল থাকেনা আমার। যেমন ধরি নাজমুল ভাই, উনি একজন ব্যাক্তি উনার আলাদা ব্যাক্তি সত্তা আছে, পরিবার আছে বা এই পেজের বাইরেও যে উনার আলাদা জগৎ আছে এটা মনে রাখতে পারতাম না। আমার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল নাজমুল ভাই এর আলাদা আবার কিসের জগত, নাজমুল ভাই মানেই সিএসএম। এখানে নাজমুল ভাইকে আমি উদাহরণ হিসেবে জাস্ট দেখালাম ( উনাকে উদাহরণ হিসেবে দেখানোই টা আমার জন্য নিরাপদ), পেজের বাকী সক্রিয় মেম্বারদের ব্যাপারেও আমার একই কনসেপ্ট কাজ করে। কিন্তু এটা যে কত বড় ভুল আইডিয়া আমার, তা হাড়ে হাড়ে বুঝি।

Saturday, February 27, 2016

আজ আনিসুর রহমান রেজা সাহেব আর সানজিদা আক্তার মলি ভাবির বিবাহ বার্ষিকী


আজ আনিসুর রহমান রেজা সাহেব আর সানজিদা আক্তার মলি ভাবির বিবাহ বার্ষিকী। ইচ্ছে ছিল দুপুরের পরে উনাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কিছু লেখার। কিন্তু দুপুরের পরে একটি নির্দেশিকা পাওয়ার পর আমি একটু অন্য জগতে চলে গিয়েছিলাম। তখন লেখার কথা ভুলে গিয়ে অন্য চিন্তায় মগ্ন ছিলাম। এখন আবার মনে পড়লো। কিন্তু তখন যে কথা গুলো লিখবো বলে চিন্তা করেছিলাম তার অর্ধেকটায় এখন ভুলে গেছি। 

সানজিদা আক্তার মলি হচ্ছে একজন জনম দুখী বাপ মা হারা মহিলা। বিয়ের আগে রেজা সাহেব উনাকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন তা তিনি বিশ্বাস করেছেন। আর যদি বিশ্বাস নাই করতো তাহলে উনি কলেজের চাকরি ছাড়তো না। চাকরি না ছাড়লে এত দিনে হয়তো ঐ কলেজের প্রিন্সিপাল হয়ে যেতেন। অবশ্য রেজা সাহেবের কোন দোষ নেই। বিয়ের আগে এই রকম সবাই বলে। উনি এতটুকু বাড়িয়ে বলেন নি। কারন উনার হয়তো ধারনা ছিল মানুষের ভাগ্য পাল্টাতে সময় লাগে না। কিন্তু বিধিবাম চরিত্র না পাল্টানোর কারনে ভাগ্য খুব একটা পাল্টালোনা। অবৈধ উপায়ে চরিত্র বিসর্জন দিলে হয়তো ভাগ্য পাল্টাতে পারতো। কিন্তু রেজা সাহেবের পক্ষে সম্ভব নয় চরিত্র বিসর্জন দেওয়া। তাই উনি এখনো আগের মতো রয়ে গেলেন। আর এই কারনেই মলি ভাবি উনাকে খুবই পছন্দ করে। আমার মনে হয় উনাদের ভালোবাসায় কোন খাদ নেই। 

আমি যখন বিয়ে করি, তখন আমার হাত বলতে গেলে শূন্য


আমি যখন বিয়ে করি, তখন আমার হাত বলতে গেলে শূন্য। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছি। ঢাকায় কোনো বাসা নেই। যাযাবর জীবন যাত্রা। এই রকম একটি সময়ে, বিয়ে করার দুঃসাহস দেখিয় ফেলি। ঘটক, নিরু আর মিঠু(নিরুর বউ)।
খালা আর মা তো, ভিষন খুশী।

মেয়েও দেখে আসলাম। খানা/পিনা ঘরকা, মহিলা। খুব একটা চিন্তা করলাম না, এই জিনিষ আমার বংশে ভুরি/ভুরি আছে।

বিয়ের আগে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত, টেলিফোনে আলাপ হতো।

সেও এক রাজকীয় কায়দায়। মৌচাকের মোড়ে, এক ছোট ভাই এর ফোন/ফ্যাক্সের দোকান থেকে। আমি ঢুকা মাত্র, ভিতরে ছোট্ট একটি রুমে বসার যায়গা করে দিতো। সাথে মামাতো/খালাতো ভাই,সজল আর ইমন। কতক্ষন পর পর চা আর সিগারেট অটো চলে আসতো।

আজ রেজা ভাইয়ের বিবাহবার্ষিকী


আজ রেজা ভাইয়ের বিবাহবার্ষিকী। সকাল থেকে মন চাইছে রেজা ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে কিছু লিখি। লিখতে চাওয়ার কারন হচ্ছে সেই প্রথম আমার জীবনে টাংগাইল এর মত এত দূরে গিয়ে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। আমি এইচ,এস,সি পরীক্ষা দেওয়ার পর স্টিল মিল কলোনীতে আসি। আগে থেকেই রেজা ভাইকে চিনতাম বড় ভাই হিসেবে। তখন মাত্র সিগারেট খাওয়া ধরেছি, ইউনুচের দোকান থেকে সিগারেট ধরিয়ে ওয়ার্কার্স ক্লাবের পিছনে গিয়ে সিগারেট খেতাম। একদিন সিগারেট নিয়ে আগুন ধরিয়েছি মাত্র পিছন থেকে রেজা ভাই ডাক দিলেন আমি হাতের সিগারেট পিছনে লুকালাম। রেজা ভাই বলে উঠলেন সিগারেট লুকাইতে হবেনা আমারে একটা গোল্ডলীফ কিনে দে তাহলে আমার সামনে সিগারেট খেতে পারবি। সেই থেকে রেজা ভাইর সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা। সেই রেজা ভাই যখন বললো আমার বিয়েতে তোদের যেতে হবে উনার কথা ফেলতে পারিনি।

আমাদের মরহুম রেজ্জাক কাকা


আমাদের মরহুম রেজ্জাক কাকা, বন্ধু Rezaul Karim লিটনের বাবা। সবসময় আমাদের অর্থাৎ লিটনের বন্ধু সার্কেল কে চোখে চোখে রাখতেন, কোথাও কোন আকাম করে বেড়াই কিনা। তাস খেলার আসর, সিগারেটের আড্ডা, মোশারফের জেক্স সংলগ্ন ঘরের আড্ডা থেকে যে কত বার যে আমাদের হাতেনাতে ধরেছেন হিসাব নেই।উনার একটা খয়েরি রঙ এর শাল ছিলো, ঐ শাল গায়ে দিয়ে শীতের অন্ধকার রাতে যখন গুটি শুটি ভাবে হেটে এসে ধরতেন, তখন উনাকে মনে হতো যেন সাক্ষাৎ গোয়েন্দা। 

আমরাও উনার নাম দিয়েছিলাম ফলোয়ার বা ডিবি। আমার এখনো মনে পড়ে, আমার ডিগ্রী পরিক্ষার আগের রাতে আমি সহ আরো কয়েকজন ট্যাংকির নীচে অন্ধকারে বসে খুব নীচু গলায় আড্ডা দিচ্ছিলাম, আচমকা কাকা দূর থেকেই চিৎকার করে বলে উঠলেন "ওই আতিক্যা তোর না কালকা পরিক্ষা? তুই অহনও এইখানে আড্ডা মারতাসোস ক্যারে, বাসাত যাইয়া পড়তে বয়" আমি আজো ভেবে পাইনা, এতো নীচু স্বরে কথা বলার পর এই অন্ধকারে দূর থেকে কাকা আমারে চিনলো কি করে। কাকার একটা খুব প্রচলিত ডায়ালগ ছিলো " কি রে তোরার মেল মজলিশ এখনো ভাংছে নারে"। 

আমি যা চাই তা পায়না। আর যা পাই তা চাইনা।


আজ শনিবার। অফিসের কাজের চাপ কম। অবশ্য শনিবারে একটু রিলাক্সে থাকি। কারন ব্যাংক, বায়ারের অফিস সব বন্ধ। ইচ্ছা করলে অফিসটা শনিবারে বন্ধ রাখতে পারতো। তারপরেও রাখে নাই একমাত্র বিজিএমইএ এর জন্য। কারন শনিবারে বিজিএমইএ খোলা। আজ সেখানেও কোন কাজ নেই। (যদিও আমি ব্যাংক ছাড়া কোথাও খুব একটা যাই না।) অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাই দুপুরে লাঞ্চের পর থেকে কতক্ষন পর পর ফেইসবুকে ঢুকি আর চেয়ারে বসে বসে ঝিমাই। হঠাৎ একটি ম্যাসেজ পেলাম। ম্যাসেজের মাধ্যমে কিছু নির্দেশনা পেলাম। ঘুম উধাও হয়ে গেলো। মনে মনে ভাবতে লাগলাম আমি যা চাচ্ছি তা মনে হয় আংশিক পেয়েছি। বাকিটা হয়তো কিছুদিনের পেয়ে যাবো। অপেক্ষায় আছি পুরো নির্দেশনার জন্য। তাহলে হয়তো অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে। আমার অবশ্য ভাগ্য কখনোই সুপ্রসন্ন ছিলো না। অর্থাৎ আমি যা চাই তা পায়না। আর যা পাই তা চাইনা।

সুজন হাসানাত এর গ্র্যান্ড ড্যান্স এর ছবি গুলো দেখে কথাগুলো মনে পড়ে গেল



সন্ধ্যার পর একদম পিছনে বসে বসে বড় বড় কালো কালো মশার কামড় খাচ্ছি (এই মশাগুলো আমাদের CSM colony তেও ছিল, সন্ধ্যার একটু আগে থেকে কামড়ানো শুরু করত) আর গ্র্যান্ড আড্ডার চিতল পিঠা খাচ্ছি আর CSM 3rd Generation এর ছড়া, কবিতা, গান, নাচ উপভোগ করছি। সারাদিন এত কথা বলছি, এত বেশি দৌড়াদড়ি করছি তাই একটু ক্লান্তবোধ করতেছিলাম আবার একটু ঝিমানিও আসতেছিল।

হটাত মঞ্চে আসল আমাদের সকলের প্রিয়, একসময়ের CSM School এর মঞ্চ কাঁপানো মেজর রাজিব। ভাবলাম রাজিবও মনে হয় অন্য সবার মত নজরুল সঙ্গীত বা অন্য কোন শান্ত ধারার গান গাইবে। কিন্তু রাজিব আমাকে হতাশ করে নাই। শুরু করলো Bon Jovi এর It’s My Life  দিয়ে, ওর গান শুনে আর চুপ করে বসে থাকতে পারলাম না, উঠে দাঁড়ালাম, মনে মনে একটু নাচতেও লাগলাম। ক্লান্তি, ঝিমানি, মশা সব পালাল আমার কাছ থেকে। রাজিব তোকে এত্তগুলো ধন্যবাদ।

গ্র্যান্ড আড্ডা নিয়ে মাথায় যা এসেছে তা লিখে ফেলার চেষ্টা


সতর্কতা: বিশাল পোস্ট! গ্র্যান্ড আড্ডা নিয়ে মাথায় যা এসেছে তা লিখে ফেলার চেষ্টা।

একদম শেষের আগে:
সি এস এম তৃতীয় প্রজন্মের দুই বালক কথা বলছে...
১ম বালক : "স্টিল মিল নামে একটা কলোনী ছিল। সেখানে আমার বাবা থাকত।" 
২য় বালক: "আররে আমার বাবাও তো সেখানে থাকত। সে জন্যেই তো আমরা এসেছি "

প্রাক আড্ডা:
আমাদের বাসায় আড্ডার আমেজ টা শুরু হয় সেইদিন যেদিন জসিম ভাই, মামুন ভাই, বাবু ভাই, পুলক ভাই, পাপ্পু ভাই মিলে বাসায় এসে কুপন দিয়ে যান। আব্বু ওই দিন গ্র্যান্ড আড্ডা নিয়ে প্রথম কবিতাটা লিখলেন। এর পর আরেকদিন এলেন নাজমুল ভাই, অপু ভাই,কমু ভাই, পুলক ভাই এই দিন বাসায় কবিতা পাঠ হল। নাজমুল ভাই বললেন "আভা, কবিতা টা আমাদের সবাই কে আরও উৎসাহিত করবে, তুমি এই কবিতা আজ রাতেই পোস্ট করে দাও" 

নাজমুল ভাই আর পুলক ভাই আর ও বললেন আমি এ কবিতা গ্রুপ এ পোস্ট করে দিলে আড্ডার দিন কফি আর ফুচকা খাওয়াবেন।

আব্বুর লেখা ওই কবিতাই ছিল CSM গ্রুপ এ আমার প্রথম পোস্ট।

আগে কলোনী কিংবা স্কুলের প্রোগ্রাম হলে ১ মাস ধরে রিহার্সেল চলত। প্রোগ্রামের আগের দিন হত ফাইনাল রিহার্সেল। তাই গ্র্যান্ড আড্ডার ফাইনাল প্রস্তুতি দেখতে ২৮ যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল, কিন্তু যেতে পারিনি। আব্বু গিয়েছিল দেখতে। নিজ চোখে না দেখলেও আব্বুর মুখেই শুনলাম।

স্টীল মিলে থাকতে টুকটাক অনেকেই হাঁস মুরগী পালতো


স্টীল মিলে থাকতে টুকটাক অনেকেই হাঁস মুরগী পালতো। ঠিক তেমনি আমাদেরও মোটামুটি টাইপের একটা হাঁস মুরগীর খামার ছিল। ডেইলী সকালে মা হাঁসের খোয়ারে যেত মাঝে মধ্যে আমিও যেতাম তখন দেখতাম ৫/৬ টা ডিম খোয়ারে পড়ে থাকতো। যতটুক জানি হাঁস নাকি রাতেই ডিম পারে। সরি হাঁস না, হাঁসি। শব্দটা আমার কাছে হেব্বি লাগতো। বাসায় ২/৩ টা মাটির পাত্র (পাতিল টাইপের) ছিল। সেগুলো ভর্তি ডিম ছিল। আশে পাশের খালাদের কথামত মা মাঝে মধ্যে তখন ডিম বিক্রিও করতেন। ডিমের জোড়া ছিল তখন মাত্র ২ কি ২.৫০ টাকা।

এতোগুলো কথা যে কারনে লিখা এবার সেই কাহিনীতে আসি। একবার আমাদের F - 8 নম্বর এর রুবেল ভাইয়ের ছোট্ট বোন শাম্মী দুইটা ডিম নিল কিন্তু আম্মু কিছু বলার আগেই ও ২ টাকা আম্মুকে দিয়ে বললো "খালাম্মা আস্টো আনা দেওন লাগতো না" মা হাসতে হাসতে বললো আমি তোমাকে দিব নাকি তুমি দেওয়ার কথা। তখন শাম্মী বললো খালাম্মা আস্টো আনা দিয়া হজমী খামু।শাম্মী তখন অনেক ছোট ছিল। বয়স হয়তো হবে ৬/৭। হাহাহহাহ

আজ শাম্মীর বিশাল বড় একটা পোস্ট দেখে মাকে ওর প্রোফাইল পিক দেখালাম আর বললাম এই সেই তোমার আস্টো আনা (৫০ পয়সা)। মা আমার হাসতে হাসতেই শেষ। জানিনা শাম্মীর এই কথা মনে আছে কিনা কিন্তু কিছু কিছু স্মৃতি আজো মনে গেঁথে আছে।

FARHANA SHAMMI বোন তুই আমার ফ্রেন্ড লিস্টে নাই তাই তোকে ট্যাগ দিতে পারলাম না।

"সাময়িক বিদায় - ২"


সিকুয়াল ২ তারিকের জন্য...
কাউকে কিছু দিয়ে নাকি তার প্রতিদান চাইতে নেই!! কিন্তু কিছু কিছু সময় কিছু কিছু ব্যাপারে প্রতিদান চাওয়াটা অন্যায় নয়। তারিকের কাছে আমরা প্রতিদান চাইতেই পারি।

আল্লাহ চেয়েছে বলেই এতোগুলো মানুষ একসাথে জড়ো হয়েছে, নতুন করে ট্রিটমেন্টের ব্যাবস্থা হয়েছে যেখানে কিনা সকল আশা আমরা ছেড়েই দিয়েছিলাম। ঢাকায় প্রথম দিন পপুলারে তোমাকে রিসিভ করার জন্য মাত্র ৩/৪ ঘন্টার জন্য চিটাগাং থেকে আসা বড় ছোট ভাইদের পরিশ্রম, সেই দিনই তোমার সাথে মেডিকেলে প্রায় ৩০/৩৫ জনের সাক্ষাত, সাময়িক বিদায় বেলায় অবুঝ নিস্পাপ মেয়েগুলোর চিৎকার করে কান্না, অনেকেরই চোখ গড়িয়ে পানি পড়া, প্রত্যেক দিনই তোমার মানুষিক সুস্থতার জন্য সিএসএম বাসীরা ফোনে কিংবা শারীরিকভাবে তোমার সাথে কমিউনিকেট করা - তোমাকে সাহস যোগানো, আমাদের বড় ছোট ভাই বোনদের অকল্পনীয় অবদান এদের মধ্যে আবার অনেকেই তোমাকে চিনতোও না কিংবা জানতোও না। আমাদের আলাল - দুলাল সবসময় তোমার জন্য কি পরিমান দৌড়ের উপর ছিল সেটা অস্বীকার করার কোন অজুহাত তোমার নেই। 

আর দুদিন পর আমাদের আডডার একমাস হবে


আর দুদিন পর আমাদের আডডার একমাস হবে।গত মাসের এ দিনে বলছিলাম আর দুদিন পর আমাদের সিএসএম এর সবার সাথে দেখাহবে। দেখা হয়েছে অনেক জনের সাথে কিনতু সময় জে কখন চলে গেল কারও কারও সাথে ভাল করে কথা বা দেখাও করতে পারিনি।আডডায় যাওয়ার আগে কত প্লেন ছিল তার কিছুই করা হলনা।তবুও থাক কত আপু ভাইয়া আর কাকা খালামমাদের দেখলাম জে যেভাবে পারছে আডডা দিছছে।সবাই অনেক আনন্দে ছিল কত মজা করেছে।আমার ছেলে তো শুধু বলছে আবার কবে হবে গ্রানড আডডা আমি আবার জাব ওই বড় মাঠটাতে।আমার ছেলে শুধু দৌড়ায়ছে ওই মাঠে। আতিক ভাই,রেজা ভাই,বন্যা আপু আরও অনেক ভাইয়া আপুরা আছেন জাদের লেখা আমার খুব ভাল লাগতো।উনাদের দেখার খুব ইচছা ছিল।দেখেছিও আবার ছবিও তুলেছি।কিনতু আতিক ভাইয়ের সাথে ছবি তুলতে পারিনী।তবে ওনার গানের সাথে পুরা ভিডিও আমার কাছে আছে।আমি আর আতিক ভাবী একসাথে সব ভিডিও করেছিলাম।রাত বেশি হয়নাই তবওজুবায়েরর বাবা খালি বলছে চল বাসায় চল গাড়ি পাবনা

রাজিব সুদুর যশোর থেকে এসেছে


রাজিব সুদুর যশোর থেকে এসেছে। কথা সেটা না,কথা হল সে প্রমান সাইজের দুই কন্টেইনার চালতার আচার বানিয়ে এনেছে আমার মেয়েদের জন্য। চেখে দেখলাম কারন দেরি হলে এই চেখে দেখাও কপালে জুটবে না। কি যে মজা। ও বড় হয়ে আচারের ব্যবসা করবে মনে হয়। আমরা যাব তার দোকানে আচার খেতে। ব্রিগেডিয়ার রাজিব'স পিকেলস। সিএসএমের জন্য সব ফ্রি। আমার এই পোস্ট দেখলে রাজিব আচার বানানো ছেড়ে দেবে,কারন তার ব্যবসা শুরুর আগেই আমি লালবাতি জ্বালানোর ভাও করতাসি।

এই ছবিটার শিরোনাম কি হওয়া উচিৎ?


সবার কাছে মতামত চাই। আমিও দুই একটা মতামত লিখছি-
1 (নিখোজ সংসবাদ) এদেরকে ধরিয়েদিন।
2 (সখি তুমি কার)
3 (এক ফুল দুই মালি)
4 (আইলো সখি-কক্সবাজার যাই----------------------)

আড্ডা আমার জন্য আনেক আনন্দের বিষয়


আড্ডা আমার জন্য আনেক আনন্দের বিষয়।আর ঔটা যোদি হয় CSM এর,নিজের শৈশবের মানুষ গুলোকে এক সথে দেখা তাহলে তো আনন্দের শেষ নেই।যখন থেকে আড্ডর বেপারে লিখা হলো 

CSM pageএ আমি বার বার বিরক্ত করছিলাম Anisur Rahman Reza চাচু কে।কখন আড্ডার তারিখ টা ঠিক করা হবে আমাকে জানানোর জন্যে।কারন আামার আবার ছুটি নিতে হবে অফিস থেকে।অবশেষে ঠিক হলো ২৯তারিখ সেইGrand Addar দিন।তারপর মিথ্যা বাহানা বানিয়ে ছুটি নিয়ে চেল গেলাম দেশে। ২৮ তারিখ রাত আমার চেয়ে আমার আববুর ইচছা দেখি আরো বেশি আড্ডার ভেনুতে যওয়া।যওয়া হলো আড্ডার ভেনুতে।দেখা হলো সেই সুন্দর আড্ডার জায়গাটা আর শৈশবে না দেখা আনেক মূখ।যাদের দেখে আর কথা বলে মনেই হয়নি যে আগে কখনো দেখি নি। ঔ দিন রাতে অনেক মজা করলাম,সবাই একসাথে দোকানে বসে চা খেলাম।তারপরদিন ২৯ তারিখ সেই আপেক্ষার দিন আসলো।সকালে সপরিবারে চলে গেলাম আড্ডা দেয়ার জন্য।

বুকে দ্রুম দ্রুম আর দ্রিম দ্রিম যেটাই হোক না কেনো ওটা যে মরীচিকা


বুকে দ্রুম দ্রুম আর দ্রিম দ্রিম যেটাই হোক না কেনো ওটা যে মরীচিকা, ক্ষনিকের মোহ, অর্থহীন অসাড় এটা সবাই বুঝে।

মরুদ্যান তো সেটা, যেখানে সকালে অফিসে যাওয়ার সময় বউ বলে,"ড্রাইভার কে বলো গাড়ি আস্তে চালাতে", ঠিক মতো অফিসে পৌছেছি কিনা খবর নেয়, দুপুরে খেয়েছি কিনা জানতে চায় ফোন করে, সন্ধ্যায় ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাসায় ফিরলে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দেয়। আর এদিকে, কোন এক দিন দেরী করে বাসায় ফিরলে মা উদ্বেগ কন্ঠে জানতে চায় কিরে আজ দেরী হলো যে, অবেলায় শুয়ে থাকলে বাবা দরদ ভরা স্বরে জিজ্ঞেস করে, আজো কি তোর প্রেশার হাই। ভাই প্রশ্ন করে প্রেশারের ঔষধ ঠিক মত খাচ্ছি কিনা, বোন খবর নেয় ডাক্তার কি বলেছে বা টেস্টের রিপোর্ট কি?।সর্বোপরি সন্তানের মুখে বাবা বাবা করে ডাক, এটা ওটা প্রশ্ন করা,গলা জড়িয়ে ধরে তার স্কুলের গল্প বলা। এই আবেগ, ভালোবাসা তো তুলনার বাইরে। এই ইমোশনে ড্রেনে পড়া তো দূরের কথা সামান্য পিছলানোরও কোন ভয় নেই। এখানেই সব শান্তি আর সুখ লুকিয়ে আছে।

Friday, February 26, 2016

অনু নাকি পরমানু

- Mohammad Arif

অনু নাকি পরমানু!
ছড়া নাকি কাব্য....
কি ছিল মর্মটা?
কি তার ভাব্য.....
কি নিয়ে লিখালিখি
উঁকি দিই দেয়ালে....
একজনে লিখলেই!
ডাকাডাকি শেয়ালে...
যে যাই লিখুক না
অনুছড়ার রীতিটা.....
টেনে অানে অতীত
টেনে অানে স্মৃতিটা.....!
Inspired from atiq csm 

মামুন ভাই বললেন "তরু তুই আড্ডা নিয়ে তোর অভিজ্ঞতা লিখ"


মামুন ভাই বললেন "তরু তুই আড্ডা নিয়ে তোর অভিজ্ঞতা লিখ"
আমি তাই লিখতে বসলুম tongue emoticon
.
.
ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে নাকি নভেম্বরের শেষ দিকে আমার তা ঠিক মনে নেই । একদিন আব্বু আম্মু বাইরে থেকে এসে বললো কলোনীবাসীর রিইউনিয়ন হবে । আমি তো শুনে খুশিতে আটখানা । কতদিন পর সবাইকে দেখবো!
গেলাম আমার বড় আন্টির ছেলে জুয়েল ভাইয়ার কাছে ডিটেইলস জানতে। তখন জুয়েল ভাইয়া আমাকে এই গ্রুপে এড করলো । গ্রুপে এড হয়ে যেন আমি বিশাল এক রাজ্য খুঁজে পেলাম যেখানে সবাই আমার খুব আপন মানুষ । প্রথম প্রথম আমি কাউকেই আসলে চিনতাম না,কারন আমার সাথে সবারই বয়সের ডিফারেন্স অনেক বেশি,আমি যখন খুব ছোট তখনই বেশির ভাগ ভাই বোনেরা কলোনী ছেড়ে চলে গেছে । যাই হোক সবাই আমাকে অনেক আপন করে নিলো যেটা আমার কাছে কল্পনাতীত ব্যাপার ছিল । আড্ডার আগে শায়লা আপু,সামী ভাইয়া, বন্যা আন্টি,আতিক ভাইয়া,রাসেল ভাইয়া ছাড়া আসলে তেমন কাউকেই চিনতাম না আমি । 

আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম গ্র্যান্ড আড্ডার ।

খানা খাজানা (শেষ পর্ব)


২৯/০১/২০১৬ তারিখ সকাল বেলা লিটন সজিবকে নিয়ে গেলো মুরগি আনতে। সাতটা বাজে রাজিব বললো ভাইয়া আপনি বাসায় গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে আসেন। আমি রাজি ছিলাম না। বাসায় আসার দশ মিনিট পর লিটন ফোন দিল সাইজ মতো মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার বেরিয়ে পড়লাম। বাসা থেকে সবাই আমার সঙ্গে যেতে চাইলো। আমি মুরগির সন্ধানে যাচ্ছি বলে কাউকে সঙ্গে নিতে পারলাম না। অনেক কষ্টে সাইজ মতো মুরগি পাওয়া গেলো। সবাই সেজেগুজে স্পটে আসছে আর আমি জবাই করা মুরগির বস্তা নিয়ে স্পটে গেলাম। গিয়ে দেখি তখনো সকালের নাস্তা আসে নাই। ইমরুলকে ফোন দিলাম নাস্তা নিয়ে তাড়াতাড়ি আসার জন্য। নাস্তাও আসলো এবং সাথে সাথে বিতরন শুরু করে দেওয়া হলো। নাস্তা নেওয়ার জন্য মাইকে ঘোষনা দিতে গিয়ে দেখি মাইক শাহিন ভাইয়ের দখলে। শাহিন ভাইকে বললাম ঘোষনা দেওয়ার জন্য। 

এদিকে বাবুর্চির লোকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম কোন কিছু লাগবে কিনা? তারা বললো আপাতত কিছু লাগবে না। গেলাম স্টেজ এর দিকে। দেখি রেজা ভাই একেকজনের নাম ধরে ডাকছে। এক পাশে দাঁড়ালাম। একটু পরে আমাকেও ডাকলো। স্টেজে উঠলাম সবাই লাইন ধরে দাঁড়ালাম আবার একটু পর নেমেও গেলাম। কেন উঠানামা বোধগম্য হলো না। যেখানে বাচ্চাদের খেলা হচ্ছে সেখানে যাওয়া মাত্র বাবুর্চির লোকে ফোন দিল লবন লাগবে। তাড়াতাড়ি এসে মাসুক ভাইয়ের লোকটাকে পাঠালাম লবনের জন্য। 

প্রজাপতি


ছোটবেলায় মুন্নি আপাকে দেখতাম মানিক ভাইয়ের কাছে পড়তে আসতে।মাঝে মাঝে টিংকু ভাই, উনার ছোট ভাই, ছোট্ট রেশমাকেও দেখতাম মানিক ভাইদের বাসায় আসতে।বুঝতাম দুই পরিবারের মধ্যে ভাল একটা সম্পর্ক আছে।কিন্তু এর গভীরতা কতটুকু তা মাথায় আসেনি। তবে মানিক ভাইয়ের সাথে মুন্নি আপার বিয়ে হবে সেটা কখনো চিন্তা করিনি।

কলোনি তে যেদিন বিদ্যুৎ থাকত না সেদিন আমরা রাতে বের হলে মানিক ভাই আমাকে আলীবাবা আর চল্লিশ চোরের গল্প বলতেন।কিন্তু মজার ব্যাপার হল উনি কখনোই পুরো শেষ করতে পারতেন না।গল্প বলার সময় উনি এতে নাটকীয়তা যোগ করতেন। ফলে গল্পের দৈর্ঘ্য আরও বেড়ে যেত। তাই গল্প শেষ হবার আগে বিদ্যুৎ চলে আসত।আর আমিও বাসায় চলে আসতাম।

গ্রান্ড আড্ডায় কোন পোশাক বা শাড়ি পড়বে বউ বাচ্চা দুজনেই সিলেক্ট করে ফেলেছে


গ্রান্ড আড্ডায় কোন পোশাক বা শাড়ি পড়বে বউ বাচ্চা দুজনেই সিলেক্ট করে ফেলেছে, এবার আমি কোন শার্ট টা পড়ব, বউ জিজ্ঞেস করল, বললাম আকাশী শার্ট টা পড়ব, বউ এবার বলে উঠল, আকাশী শার্ট কেনো, গ্রান্ড আড্ডায় খুব রোমান্টিক সাজার ইচ্ছা তাইনা? আমি আর কিছু বললাম না। মেরুন শার্ট টা ব্যাগে ভরলাম, অনেক পুরোনো শার্ট, আর আকাশি শার্ট টি চিটাগাং জার্নির দিন পড়লাম, ভাবলাম এবার কিছু হবেনা। আড্ডা র সকালে মেরুন শার্ট টি পড়লাম,বউ হঠাৎ বলে উঠল এতো পুরানো শার্ট পড়লা কোন রহস্য আছে নাকি, আমি বউরে বিভ্রান্ত করতে একটা রহস্য ময় হাসি দিলাম।

বাসার আশপাশে কোন এক জায়গা থেকে "নাগিন নাগিন" গানটা শোনা যাচ্ছে


বাসার আশপাশে কোন এক জায়গা থেকে "নাগিন নাগিন" গানটা শোনা যাচ্ছে।প্রতিনিয়ত এই গ্র্যান্ড আড্ডা নিয়ে স্মৃতি কাতর হয়ে পড়ছি।আড্ডার দিন যে বড় ভুলটা আমি করেছি সেটা হল অনেক দেরিতে পৌঁছানো।যাইহোক শারীরিক শিক্ষা কলেজে ঢুকতেই দেখি অনিকাও মাত্র এসছে।আম্মা দাঁড়িয়ে আছে হিমেলভাইয়ের আম্মার সাথে।জসিমভাই মাশুকভাইয়ের সাথে দেখা হল।মাশুকভাইকে কত্ত বছর পর দেখলাম।স্মৃতিকাতর হয়ে চোখ ভিজে উঠার আগেই দৌড় দিলাম মূল অনুষ্ঠানের দিকে।হুম আসলেই দৌড় দিয়েছিলাম কিন্তু।গিয়ে দেখি আমার প্রাণের বন্ধুরা ওইখানেই আছে।ওদের সাথে কথা বলতে বলতে দেখি বন্যাপা কথার ফুলঝুরি দিয়ে স্টেজ মাতাচ্ছেন।বন্যাপার সাথে কথা বলে ফিরে আসতেই ইয়াসমিন আপা আর খালাম্মার সাথে সাক্ষাত।ইয়াসমিন আপাকে যে কত বছর পর দেখলাম।উনাদেরকে দেখে কিছুক্ষণের জন্য আমি আমার শৈশবে ফিরে গেলাম।ইয়াসমিন আপার কন্যা সুবহা'র সাথে ছবি টবি তুলে আম্মা নিয়ে গেল সুমা নাসরিন আপার কাছে।

Thursday, February 25, 2016

সুজন যে ভাবে পরিসংখ্যান রিপোর্ট প্রকাশ করা শুরু করেছে-সে হিসাবে আমার কিছু লেখে পেজে নাম উঠানো দরকার


সুজন যে ভাবে পরিসংখ্যান রিপোর্ট প্রকাশ করা শুরু করেছে-সে হিসাবে আমার কিছু লেখে পেজে নাম উঠানো দরকার। আড্ডা সমন্ধে এখন কিছু লিখব না। কারণ তা হলে- হেড অফিস ব্যাগ গুছানো শুরু করবে। তাই কয়েকটা জোকস বলে নিজের নামটা উঠাই। অনেক ছোট বেলায় আমার নানার মুখে একটা গল্প শুনেছিলাম।
এক চুল দাড়ি পাকা বুড়ো রাস্তার ধারে বসে,
ও মা! ও পিশি মা! ও ঠাকুমা!
বলে কাদছে। 
এক পথচারী তাই দেখে জিজ্ঞাস করল 
ও দাদু কাঁছ কেন? 
বুড়ো ফুঁপিয়ে উঠে জবাব দিল
বাবা মেরেছে।
পথচারী তো হতবাক, এই বুড়োকে বাবা মারকে কেন? তাছাড়া এমন বুড়োর বাবা কি বেচেঁ থাকা সম্ভব? তাই সে আবার জানতে চাইল?
বাবা তোমাকে মারল কেন?
বুড়ো বলল,
ঠাকুর দাদার হুঁক্কো ভেঙ্গে ফেলেছি তো তাই।

খানা খাজানা (পর্ব -২)


২৮/০১/২০১৬ তারিখ বৃহস্পতিবার যেহেতু কসাই, সকালের নাস্তা, বিকালের নাস্তা, পানি সব আগেই ঠিক করা হয়েছে। এখন বাকি কাঁচাবাজার ও অন্যান্য টুকিটাকি কাজ সন্ধ্যার আগেই সারতে হবে। তাই আগে থেকে প্ল্যান করে রাখছিলাম অফিস থেকে লাঞ্চের পর পর বের হয়ে যাবো।

সকালে অফিসে গেলাম এবং সবাইকে বলে রাখলাম আমি বেশিক্ষন থাকবো না। সকাল সাড়ে দশটায় অপু ভাই আমাদের অফিসে আসার খবর পেলাম। গেলাম উনার সাথে দেখা করতে। উনি আমাকে দেখে বলে তুই এখনো অফিসে? অপু ভাইয়ের সাথে দেখা করে আমার রুমে এসে সব গুছিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় ভাবলাম আমাদের কোরিয়ান ভদ্র মহিলাকে বলে যাই, না হয় উনি মাইন্ড করতে পারে। ম্যাডামের রুমে গিয়ে দেখি অপু ভাইয়ের সাথে মিটিং করছেন। আমি কিছু বলার আগেই আমাকে দেখে অপু ভাই বললো ম্যাডাম ওকে আজকে ছেড়ে দেন, আগামিকাল আমাদের একটা প্রোগ্রাম আছে। ম্যাডাম সাথে সাথে বললো যাও। 

CSM colonynir সকালে কাকের কা কা ডাকে ঘুম ভাঙ্গানো


CSM colonynir সকালে কাকের কা কা ডাকে ঘুম ভাঙ্গানো।কলোনির মােঝ ড্রেন গুলোর কিছু ছিল মরা নদীর মতো,আর কিছু ছিল প্রবাহিত নদীর মতো তাতে মােঝ মােঝ মাছও দেখাযেতো।নারকেল গাছ গুলো ছিল পাহারাদারের মতো।লজ্জাপতি গাছে স্পশ করে দেখতাম বিশেষ গুন।R কলোনিতে রাস্তা গুলো ছিল পারিবারিক মানুষগুলো একে অন্যের সাথে মিলনের পথ।মােঝ মােঝ কল্পনায় ভেসে উঠে তোমার ছবি হায় CSM colony.

আমি আমার কয়েকটি লেখায় উল্লেখ করেছিলাম গ্রান্ড আড্ডা আমার কাছে ঈদ উৎসবের মত


আমি আমার কয়েকটি লেখায় উল্লেখ করেছিলাম গ্রান্ড আড্ডা আমার কাছে ঈদ উৎসবের মত। আড্ডার দিন যতই ঘনিয়ে আসতে লাগলো আর এই উৎসবের টেনশন পারদ আমার মধ্যে আরো উপরে উঠতে লাগলো। আর এ উছিলায় বৌ এর শপিং চলতে লাগলো ধুমায়ে, যেটা দরকার সেটাতো কিনছেই আর যেটা দরকার নেই সেটাও কিনছে এমনকি রওয়ানা দেয়ার আগের দিন পর্য্যন্ত কেনাকাটা চলছেই। আর আমিও আম্পায়ার আলিমদারের মত সবকিছু মেনে নিচ্ছিলাম, গ্রান্ড আড্ডার আগে গৃহ শান্তি জরুরী বলে কথা। আব্বা আম্মা আড্ডার ১৫ দিন আগেই চট্টগ্রাম চলে গিয়েছে আড্ডার পাশাপাশি একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যোগ দেয়ার জন্য, ছোট বোন তার জামাই বাচ্চা সহ দুদিন আগে চলে যায়। 

অবশেষে আমার যাওয়ার পালা ২৮ জানুয়ারী খুব সকালে অফিসে এসে কাজ শেষ করে দুপুরেই বাসায় চলে যাই। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ফ্লাইট, বিকাল পাঁচটার মধ্যে এয়ারপোর্টে। সংগে বউ পোলা আর ছোট ভাই জাভেদ, একটু পর পীর সাহেব রেজা ভাই হাজির। সমানে সেল্ফি তুলছি, হঠাৎ পলাশ ভাই ও ভাবীর সাথে দেখা, তাঁরাও একই ফ্লাইটে চিটাগাং যাচ্ছেন আবারও সবাই মিলে এক দফা সেল্ফি। প্লেনে উঠার আগ মূহুর্তে এক মেয়ে আমার সামনে এসে বলল “ আপনি আতিক ভাই না” , আমি বউয়ের সামনে এবার বিব্রত, কোন মতে ঢোক গিলে বললাম “হ্যা িআমিই আতিক” মেয়েটি নিজের পরিচয় দিলো , দেখলাম কলোনীর ছোট বোন নাম লাকী।ফেসবুকে আমার ছবি দেখে সে আমাকে চিনতে পেরেছে, যাক নিজেকে ফেসবুক সেলিব্রেটি মনে হলো। সেও আড্ডায় অংশ নিতে চিটাগাং যাচ্ছে। রানওয়েতে আরেক দফা সেল্ফি চলল লাকী সহ।চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট নেমে আবারো সেল্ফি। আধা ঘন্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসলাম. আর পতেংগা থেকে আগ্রাবাদে হোটেল সেন্টমার্টিন যেতে পাক আড়াই ঘন্টা।

গ্র্যান্ড আড্ডা ২০১৬ স্মৃতিচারণ


অফিস শেষ করে আগ্রাবাদ মোড়ে মার্কেটের সামনে গিয়েই অপু দা’কে ফোন দিলাম।
আমিঃ দাদা আমি ওয়েল ফুড এর সামনে দাঁড়ালাম,সাথে সুজন ও আছে, আসেন তাড়াতাড়ি।
অপু দাঃ দাড়া ১০মিনিট আমি চলে আসতেছি।
১৫মিনিট পর অপু দা না আসাতে আবার ফোন দিলাম......
আমিঃ দাদা আপনার ১০মিনিট হইছে!!?

দাদাঃ পুলক কাজে আটকাই গেছি ভাই, তোরা দোকানে ঢুকে খাইতে থাক,আমি আসতেছি...
আমি আর সুজন দোকানে ঢুকে জ্যাকেট জুতা দেখতে থাকলাম আর আডডার কস্টিউম ঠিক করতেছি (ফাঁকা)
৩০মিনিট পর অপুদা এসে যে একটা হাসি দিলো,কিছুই বলার নাই।আসলেই কিছু বলা যাবেনা, অসম্ভব My dear মানুষ,আফসোস এমন মানুষের সাথে কেনো কলোনীতে থাকতে এভাবে মিশলাম না!!! যাই হোক সেটা হইতো সম্ভবও হতোনা!!

বেশ কিছু দিন ধরে একটা জিনিস মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে


বেশ কিছু দিন ধরে একটা জিনিস মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু গুছিয়ে নিতে পারছিনা বলার জন্য। আজকে চিন্তা করলাম বলেই ফেলি। যা ভালো হয় বড় ভাইরা করবে।

ভার্চুয়াল জগত থেকে বাস্তবে রূপ শেষ পর্যন্ত নিয়েই ফেলল CSM Colony । সফল ভাবে হয়ে গেলো 1st family Together (Grand ADDA). যার শুরু হয়েছিল তারিক ভাইএর চিকিৎসা কে কেন্দ্র করে। প্রাণের ডাক কেউ ফেরাতে পারেনি। সবার ইচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রমান করেছে, সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আপন করে নিয়েছে যারা কষ্টে আছে তাঁদের। এই সহযোগিতার হাত আরও সম্প্রসারন করা দরকার তাঁদের ও আরও সবার জন্য, যাদের প্রয়োজন, যাদের root এই CSM.আর সেজন্য দরকার এই CSM কে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করা। এর মাধ্যমে আমরা আমাদেরই আপন জনদের কাজে ও সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি। আমরা কি পারিনা এই CSM Colony কে একটা সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে। একটা Co-Operative Society বা একটা Foundation এর রূপ দিতে। 

ইস্কুল এস্টেজ এর পিছনে আমরা কয়েকজন বন্ধু স্কুল পালিয়ে মার্বেল খেলছি


ইস্কুল এস্টেজ এর পিছনে আমরা কয়েকজন বন্ধু স্কুল পালিয়ে মার্বেল খেলছি,বন্ধুদের নাম ভুলে গেছি,কিন্তু একজনের কথা মনে আছে,তাকে আমরা মেথিউছ ডাক্তাম,আমরা খুভ মজা নিয়ে খেলছিলাম,কখন যে পেছনে বেত নিয়ে হুজুর স্যার আসল টের পেলামনা।তার পর কি হল সবার জানার কথা।।।।।।

আমরা তখন csm এ e-7/f building ছিলাম


আমরা তখন csm এ e-7/f building ছিলাম... এক দিন আমি আর আমার আপু ( Raseda Hoque Raseda )ঠিক করলাম building এর সামনে পিকনিক করবো..যে পিকনিক করবে তার বাসা থেকে চাল.ডাল আর ১০ টাকা করে নেয়া হবে ..যথা সময়ে চাল ডাল আর ১০টাকা করে তোলা হলো.. বাসার সামনে বেড সিট দিেয় সামিয়ানা টানগানো হলো..এম্লৗফায়ার ইসপিকার দিয়ে জোরে গান চলতে লাগলো.. হঠাৎ .. টিংকু ভাই ( Mohammad Nazrul ) এর বোন পিচ্ছি রেশমা (তখন পিচ্ছি ছিলো) এসে আমার বোন কে বল্লো রাশু আপা আমিও পিকনিক করবো..আপা বল্লো ঠিক আছে রেশমা তুমি তোমার বাসা থেকে চাল.ডাল আর ১০টাকা নিয়ে এসো.. রেশমা খুশি তে এক দৌড়ে বাসায় গেলো..কিছুক্ষন পরে চাল ডাল নিয়ে আপাকে দিলো..আপা বলেলা রেশমা ১০ টাকা কই? আর রেশমার ফটাফট উত্তর ..রাশু আপা আমার বাসায় সব টাকার নোট আছে কিন্তু ১০ টাকার নোট নাই..

( বিঃদ্রঃ- ১০টাকা ছাড়াই রেশমাকে পিকনিকে নেওয়া হইছিলো )

আড্ডাতে যাব, সেই খুশিতে আমার বাড়িতে ঈদ শুরু হয়ে গেল


আড্ডাতে যাব, সেই খুশিতে আমার বাড়িতে ঈদ শুরু হয়ে গেল। শপিং চললো পুরাদমে, আমাদের চার মা মেয়ের। বোনের ছেলে রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা,তাকে টিকেট দিতে বললাম। ব্যাগ রেডি,টিকেট রেডি। ড্রাইভার কে বললাম সকালে আসতে। সে বললো তাকে ছয়টায় তুলে দিতে। রাতের ঘুম হারাম। ভোরে উঠে বের হলাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে। সেদিন রাতে গেলাম ভেনুতে। মেলা রাতে ফিরে পরের দিনের জন্য সব গুছিয়ে রেখে দিলাম। সকাল বেলা বের হলাম। সেজেগুজে। গেইটের কাছে এসে অবাক হলাম,একটা জায়গা এত সুন্দর কিভাবে লাগে! কি সুন্দর করে সাজিয়েছে Suzan Hasnat ও তার দল।কালারফুল কাগজে সেজেছে ভেনু। সন্ধ্যার আলোকসজ্জা ছিল চোখ ধাঁধানো। দলে দলে সবাই আসছে। প্রতিটা মুখ উজ্জ্বল, সবার চোখ খালি আপনজনকে খুজে ফিরছে। প্রথমেই গেলাম অডিটোরিয়াম এ। সাথে আনা ব্যাগ রেখে তালাচাবি মেরে চলে এলাম মুল জায়গায়। 

কি ঝলমল করছিল চারদিক! সবাইকে দেখতে খুব ফ্রেশ লাগছিল,সুন্দর লাগছিল। পীর সাহেব Anisur Rahman Reza যা একখান পাঞ্জাবি আর হাফ সোয়েটার পড়েছিল না! একেবারে আকাশের সাথে রঙ মিলিয়ে। এসেছিলেন একই স্কুলের ছাত্র,ক্লাস ফাকি দিয়ে Nazmul Huda,Jashim Uddin Reajul Islam Shahin ভাই। Atiq Csm এসেছে দেরি করে,ও সাজতে দেরি করেছিল। Ishrat Jahan Shaila আসলো আরো দেরি করে। দেখা হল মোস্তফা কামাল স্যারের সাথে। কতবছর পর! দৌড়ে গিয়ে স্যারকে সালাম করলাম। স্যারের সেই আগের চেহারাটা মনে গেঁথে ছিল যার সাথে এখনকার কোনো মিল নেই। বয়স বেড়েছে,সাদা দাড়ি আর সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা পড়া স্যার যেন অন্য কেউ। Nargis Begum বেবীর সাথে দেখা। একসাথে পড়তাম। 

Wednesday, February 24, 2016

"খানা খাজানা" পর্ব- ১


যখন আমাকে আপ্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া তখন থেকেই আমার আড্ডার মজা অনেকটা পানসে হয়ে গেলো। কারন দায়িত্বটা এমনই সবাইকে শতভাগ সন্তুষ্ট করা যায় না। তারপরেও অনুরোধে ঢেঁকি গিলার মতো রাজি হলাম। জানুয়ারি মাসের ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত এদিক ওদিক করে কাটালাম। কাজ শুরু করতে যাব এমন সময় জানুয়ারি ৩য় সপ্তাহে ব্যক্তিগত কাজে দুইদিনের জন্য ঢাকায় গেলাম। যাওযার আগে অবশ্যই কিছু কাজ আগাইয়া রাখছিলাম। আড্ডায় কতজন অংশগ্রহন করবে সে হিসাবটা দুপুর বেলা খাওয়ার আগে পর্যন্ত জানতে পারিনি। অনুষ্টানের আগে বড় ভাইদের কাছে কতবার জানতে চেয়েছি কতজন হবে? কেউ বলতে পারেনি। 

কেউ বলে ১২০০ হবে, কেউ ১৫০০ হবে, আর মাসুক ভাইরে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলতো ১২০০ এর চেয়ে কম হবে। কেউ বলে সকালের নাস্তা ভারি হলে ভাল হয়, কেউ বলে হালকা। কেউ বলে দুপুরের মেনুতে আমরা মেজবান খাবো আর নন মুসলিমরা কি শুধু এক পিস মুরগি খাবে? ছাগলও লাগবে। এবার একজন বললো আমরা যেহেতু গরুর নলা খাবো ওরা কি শুধু মরগি আর ছাগলের মাংস খাবে? তাহলে? আরেকটা আইটেম বাড়াতে হবে। বাজেট একবার বাড়ে, একবার কমে। এক রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।

২৯ এ জানুয়ারি ২০১৬ ইং এ সিএসএম কলোনীর সকল ছোট- বড় ভাই- বোনরা মিলে এক আড্ডার আয়োজন করি


২৯ এ জানুয়ারি ২০১৬ ইং এ সিএসএম কলোনীর সকল ছোট- বড় ভাই- বোনরা মিলে এক আড্ডার আয়োজন করি।যেখানে আমাদের মা- বাবা,ভাই- বোন,ছেলে- মেয়ে,শিক্ষক -শিক্ষিকারা অংশগ্রহন করে এই আড্ডাকে সফল করেছে।
আড্ডা নিয়ে ৪ মাস আগে যখন নাজমুল ভাই বলেছিল আমরা এরকম একটা অনুষ্ঠান করবো যেখানে আমাদের মা- বাবারা অংশ নিবে,এবং সেই রকম একটা অনুষ্ঠান হবে।তারপর থেকে মিটিং, আলোচনা হল,তারিখ ঠিক হল ২৯/১/১৬ ইং।সবার মতামতের মাধ্যমে ভেন্যু নির্ধারণ হল গার্ণাস ক্লাব হালিশহর।কিন্তু জানুয়ারী মাসের প্রথমে আমরা জানতে পারলাম সরকারী সিদ্ধান্তের কারণে গার্ণাস ক্লাবে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারছি না।

একদিন সন্ধায় জসিম ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম আজ কোথাও যাবেননা কূপন দিতে।জসিম ভাই একটা ঝারি মারল।বুঝলাম কোন কারণে জসিম ভাইয়ের মন খারাপ।পরে আমাকে বলল যে আমরা গার্নাস ক্লাব পাচ্ছি না।তারপর নাজমুল ভাই,সুজন এল। আমরা নয়াবাজার গিয়ে এক দোকানে বসে চা খাচ্ছি।তখন আমি শারীরিক শিক্ষা কলেজ এর কথা বলতে নাজমুল ভাই বলল চল দেখে আসি।সুজন ও টিটু মটর সাইকেলে এবং আমি,জসিম ভাই,নাজমুল ভাই সিএনজি করে ভেন্যু দেখতে গেলাম।সবার পছন্দ হল।তারপরের দিন আমি ও জসিম ভাই ওখানকার স্টাফ ইছা ভাইয়ের সাথে কথা বললাম,এবং ইছা ভাই আমাদের ভেন্যু নেওয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করল,এবং প্রিন্সিপাল স্যারকে আমাদের ব্যাপারে সব বলে তার আত্বিয় পরিচয় দিয়ে আড্ডা করার ব্যাবস্হা করে দিল।

ADDA


ADDA.AMON EKTA ONUVUTI,JA AMI GUCHIE BA SUNDOR KORE LIKHTE PARBONA.ADDAR DATE NIRDHARITO HOBAR POR THEKE KONO KAJE MON BOSTO NA.SHUDHU VABTAM KOBE DINTA ASBE?KOBE JABO PORICHITO MANUSGULIR SATHE DEKHA KORTE,KOTHA BOLTE R ANONDO KORTE.SOBAI MILA JE ANONDO KORLAM SETA SHUDHU AMI KENO AMAR DHARONA KEW VULTE PARBE NA.SEI KHUNSHUTI,ADOR,MAN-OVIMAN,VALO LAGA VULAR NOY.JANINA KI LIKHLAM?AMAR VULGULI ASHA KORI SOBAI KHOMA SUNDOR DRISTITE DEKHBE.SOBAI KHUB,KHUB,KHUB VALO THAKBEN.

সি এস এম এর প্রথম আড্ডার কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না


সি এস এম এর প্রথম আড্ডার কথা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না, শুধু এই কথা বলে বুজাতে চাই যে কি পরিমান আবেগ আমার কাজ করেছিল সেই প্রথম আড্ডা।যেখানে আমার জোরে চলাফেরা করা নিষেধ সেই সময় আমার এতোটাই আবেগ কাজ করেছিল আমি কিছু চিন্টা না করে ছোট ভাইদের খুশি করতে এই বয়সে নাচতে এক বিন্ধু চিন্টা করি নাই।এর চেয়ে বেশি কিছু লিখে সবার মনের কস্ট বারাতে চাই না।ছিলাম, আছি,থাকবো এই সি এস এম এর সাতে যত দিন বাচবো।

উল্লেখঃ ৩৫ বসর জন্ম থেকে ছিলাম, যেখানে আমার জানা মতে সব ছেয়ে বেশি সংখ্যক ছেলে মেয়ে ভাই বোন ভাগনা ভাগ্নি এক জাগায় থেকেছে, পড়েছে সেই পরিবার এর আমি এক জন স্টিল্লার, আমার বাবার নাম ছিলঃ আহ ম্মেদ উল্লাহ, কঃনংঃ ই-১১-ডি

স্লিপারের সামনের বিল্ডিং টাই আমাদের E-7


স্লিপারের সামনের বিল্ডিং টাই আমাদের,E-7, দোতলাই থাকতাম,দোপুর সময়টাতে আম্মা অনেক বকাবকি করত ঘুমের জন্যে।আমার ঘুম আসতনা,প্রায় বকা খেতাম ঐ টাইমটাতে,মন খারাপ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম,,,,আচ্ছা আমাদের সি এস এম এর আকাশ আর এখনকার আকাশ কোন মিল নাই,,এই পারতক্য যারা সি এস এম এ ছিল তারাই বুজবেন। তখন কার নিলীয়মান আকাশে তাকালেই মন ভাল হয়ে যেত। অনেক চিল এক সাথে ডানা মেলে রাউন্ড দিচ্ছে,হঠাত কত্তেখে এক পনকিরাজ ঘুড়ি দেখা গেল, যা নিয়ে চিলেরা খেলছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
অনেক মিস করি,অনেক মিস।

প্রথম প্রাপ্তিটা সব সময় মধুর


প্রথম প্রাপ্তিটা সব সময় মধুর। আর তা যদি হয়ে থাকে, "২৯ শে জানুয়ারি"। প্রথম স্কুলে যাওয়া, বাবার একটি সাইকেল কিনে দেওয়া, চাদা দিয়ে একটি ফুটবল কিনা, প্রথম ভালোবাসা(যদিও আমি একবারমাত্র ভালোবেসেছি), প্রথম বিবাহ(এখানেও আমার ২য় বারের কোনো chance নাই), প্রথম সন্তান, এই সব প্রাপ্তি বড় আনন্দের, বড় আবেগের। মনের মনি কোঠায় গেথে থাকে।

২৯শে জানুয়ারি ঠিক তাই। এত আপনজন, একটা দিন, একটি বিন্দুতে!!!! বাধ ভাংগা আনন্দ, আবেগ, ভালোবাসায় সব কষ্ট যেন আমরা ভুলে গেলাম।

"একটা চাবি মেরে" সবাইকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়ছে, কোথাও কারো নিয়ন্ত্রন নেই!!! আবার চুল পরিমান " অনিয়ম" নেই!!! কি করে সম্ভব!!!????
এখানেই আমরা "স্টীলার"!! এবং "আমরা আমরাইতো"!!

রিমানের লুঙী কাহিনী তখনো শুরু হয়নি


২১ শে ফেব্রুয়ারির আগের রাতে বন্ধু রিমানের লুঙী কাহিনী তো আগেই বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে ভিলেন মরাইয়া রাশেদ, আজ জানাবো বন্ধু বদরুলের গায়ে কফ নিক্ষেপ কাহিনী, এবং এখানেও ভিলেন যথারীতি মরাইয়া।

রিমানের লুঙী কাহিনী তখনো শুরু হয়নি, আমরা সবাই, মানে এপ্রিল 29 এর সদস্য রা পানির ট্যাংকীর নীচে রাস্তায় আল্পনা করছিলাম, বদরুল লুঙ্গি হাঁটু পর্য্যন্ত তুলে উবু হয়ে (অনেক টা নামাজের রুকু দেওয়ার ভঙ্গিমায়) খুব মনোযোগ দিয়ে আল্পনায় ফিনিশিং টাচ দিচ্ছিলো, ঠিক তখনই রাশেদের মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেলো, বদরুলের পিছনে গিয়ে তার লুঙ্গী টি তুলে সর্বশক্তি দিয়ে একদলা কফ (মরাইয়ার প্রায় সময় সর্দি লেগে থাকতো) রাশেদ বদরুলের পশ্চাৎ দেশে মারল, ঘটনার আকষ্মিকতায় বদরুল পুরোপুরি হতবিহবল, রাগারাগি করার চেতনাও লোপ পেয়েছে বদরুলের, সম্বিৎ ফিরে পাওয়ার পর জাস্ট রাশেদ কে "তুই ওজ্ঞা ফেরোত" (তুই একটা নোংরা) বলতে বলতে, লুঙ্গি টি উচিয়ে ধরে বাসায় গিয়ে এই মাঝরাতে গোসল করে আবার ট্যাংকীর নীচে এলো বদরুল।

তারপর তো ঘটলো রিমানের লুঙ্গী ট্রাজেডি। এভাবে হাসি ঠাট্টা, আনন্দ,মজার মধ্যে দিয়ে ভোরে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আসি। সম্ভবত কলোনীতে এটাই ছিলো আমার শেষ একুশে ফেব্রুয়ারি পালন এবং এখনো পর্য্যন্ত এটাই শেষ একুশে পালন।

মানব প্রজাতির মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেনী বহুল আলোচিত


মানব প্রজাতির মধ্যে মধ্যবিত্ত শ্রেনী বহুল আলোচিত। দুনিয়ার যত বড় বড় কবি লেখক আছে তাঁরা মিডল ক্লাসদের নিয়ে সাহিত্য চর্চা করেই বিখ্যাত হয়েছেন। তাতে অবশ্য মধ্যবিত্তদের কোন লাভ বা ক্ষতি বৃদ্ধি হয়নি। মধ্যবিত্তদের কিছু আইকনিক স্বভাব আছে। হাজার চেষ্টা করলেও কেউ এসব থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। 
মধ্যবিত্তদের টিভি রিমোট পলিথিন দিয়ে মোড়ানো থাকে। যখন টিভির রিমোট নষ্ট হলে হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হতো তখন থেকে শুরু। এখন পঞ্চাশ টাকায় রিমোট পাওয়া যায় তবুও মধ্যবিত্তদের টিভি রিমোট এখনো পলিথিনের ভেতর থেকে বের হয়ে আসেনি। 

মধ্যবিত্তদের ভাই-বোন-মা-বাবা সবার সাথে সম্পর্ক থাকে গভীর। মা বছরের ৩৬৫ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রান্না ঘরের কাজ করতে করতে মৃতপ্রায়। কারো সেদিকে দৃষ্টি নেই। বরং তরকারিতে লবণটা বেশি হলে, ঝালটা কম হলে রান্না শিক্ষা সম্পর্কে মাকে বিরাট লেকচার দেয়া হয়ে যায়। সেই ভাই বোনেরাই মায়ের একটু সর্দি জ্বর হলে চাকরি-বাকরি, স্কুল কলেজ বাদ দিয়ে মায়ের সেবায় লেগে থাকে। বলা বাহুল্য মায়ের সুস্থতা আর ছেলে মেয়েদের পুরনো রুটিনে ফিরে আসা সমানুপাতিকভাবে ঘটে। 

Tuesday, February 23, 2016

সি.এস.এম.পেইজের সকল সম্মানিত সদস্যদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে


সি.এস.এম.পেইজের সকল সম্মানিত সদস্যদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, গ্র‍্যান্ড আড্ডা পরবর্তী হিসাব অনুযায়ী আমাদের হাতে সর্বমোট ৮৬৫০০ টাকা ক্যাশ আছে। সিনিয়র সদস্যদের সম্মতিতে এই টাকা ষ্টীল মিল কলোনীর প্রাক্তন বাসিন্দা বর্তমানে বিপদগ্রস্ত এবং টাকার সমস্যায় আছেন তাদের প্রদান করার সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে মোতাবেক নিম্নলিখিত লোকদের টাকা প্রদান করা হবে।

হারুন অর রশীদ(সাবেক চাকুরীজীবী csm) ৩৩০০০ টাকা।
লিটনের স্ত্রী (সামসুল আলম প্রকাশ সামসু নানার ছেলে) ৪০০০০ টাকা।

উল্লেখ্য গত ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান এ ১৩৫০০ টাকা খরচ করা হয়েছিল।
সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

গ্রান্ড আড্ডার স্মৃতি বা আড্ডা কে নিয়ে কিছু লিখতে বললে


গ্রান্ড আড্ডার স্মৃতি বা আড্ডা কে নিয়ে কিছু লিখতে বললে বা বলা লাগলে তা আগামী আড্ডা না আসা পয্যন্ত শেষ হবেনা। এতো স্মৃতি এতো আবেগ জড়িয়ে আছে এ আড্ডাকে ঘিরে, কোনটা রেখে কোনটা বলি। তবে আমার কাছে একটা জিনিস খুব চমৎকার লেগেছে এইটা দেখে যে, যারাই যখন আড্ডার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে চিটাগাং রওয়ানা দিচ্ছিল রেল ষ্টেশন, বাস টার্মিনাল বা বিমানবন্দরে আড্ডার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়া আরেক গ্রুপের সাথে কাকতালীয় ভাবে দেখা হয়ে যাচ্ছে।

সরি Anisur Rahman Reza ভাই আমি বোধ হয় আপনার আগেই গ্রান্ড আড্ডার স্মৃতি কথা লিখে ফেললাম। 
তবে আমার নিজেরই সন্দেহ আছে যে এটা কোন স্মৃতি মূলক লেখা হয়েছে কিনা।

Monday, February 22, 2016

জাভেদের দেয়া ছবিগুলা দেখে মন খারাপ হয়ে গেল


জাভেদের দেয়া ছবিগুলা দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। বিশেষ করে আড্ডার আগের রাতের ছবিগুলা। রাত প্রায় বারটা পর্যন্ত ছিলাম। ঠান্ডা আমাদের উতসাহ দমাতে পারেনি। কতজন এসেছিল! আমরা সিএনজি নিয়েছিলাম ভেনুতে যাবার জন্য। চিনিনা কিছু। কাছাকাছি গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞেস করতে করতে আগাচ্ছি,এমনসময় দূর থেকে চোখে পড়লো আলোকসজ্জা। খুশি হয়ে গেলাম।পারলে নেমে যাই। ভেতরে গিয়ে জায়গা দেখে আনন্দে মন ভরে গেল। যতটুকু দেখা যায় দেখলাম। অডিটোরিয়াম এ গিয়ে দেখি সব গিফট প্যাক করছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা দেখি। পরে গেলাম যেখানে রান্না হচ্ছে। পেয়াজ কাটা হচ্ছে,মশলা বাটা হচ্ছে। একপাশে মুরগী রাধার আয়োজন চলছে। ভাত আর মুরগী, কিন্তু স্বাদ ছিল অসাধারণ। ক্ষনে ক্ষনে এর ওর সাথে ছবি তোলা। কখনো দলবেধে। খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে ছিল লিটন। আর আমরা সবাই প্লেট হাতে দাঁড়িয়ে খাবার নেবার জন্য। এর মাঝেই সুযোগ নেবার চেস্টারও কমতি ছিল না। ওটাও ছিল আনন্দের অংশ। খাবারের প্লেট থেকে আলু ছিনতাই করাও ছিল মজার। আসলে ঈদের আগের রাতের মতই খুশি লাগছিল। আনন্দের সময়গুলা চলে যায় খুব দ্রুত আর কস্টের সময় যেন ফুরাতেই চায় না। আজব জীবন।

২০ দিন হয়ে গেলো চিটাগাং থেকে এসেছি


একটু যদি তাকাও তুমি
মেঘ গুলি হয় সোনা
আকাশ খুলে বসে আছি
তাও কেন দেখছোনা
একি আকাশ মাথার উপর
এক কেন ভাবছোনা

২০ দিন হয়ে গেলো চিটাগাং থেকে এসেছি। নো কথা/বার্তা। এই পেজের সবার প্রিয় বোন তো বলেই বসলো, "এখন ভাবির মান ভাংগান"। আরেক আদরের ছোট বোন মাঝে মাঝেই জিজ্ঞাসা করে, "ভাইয়া, সারাফের মার রাগ কমছেনি"। কমেনাই, বরং মেঘ গুলি গুমোট আকার ধারন করছে। রাতে একটু দেরি করেই বাসায় ফিরি, এখন। এড়িয়ে চলাই ভালো। 

গতকালও, বাবু ভাইয়ের ফার্মেছিতে আড্ডা মেরে রাত করে বাড়ি ফিরে, বুঝলাম, আজ কপালে খারাবী আছে।
যে কোনো মুহুর্তে, আক্রমন হতে পারে।

কোথায় ছিলে? বাবু ভাইয়ের ফার্মেছিতে একজন ভালো ডায়াবেটিসের ডাক্তার এসেছে, তার সাথে ডায়াবেটিস বিষয়ে একটু আলাপ হলো। তাই নাকি?? ডাক্তার সাহেব কি বললো?? বললো, টেনশন ফ্রি থাকতে, হাটাহাটি করতে, আর বললো একদম রাগ করা যাবেনা। 

গত বুধবার তারিকের কেবিনে গেলাম বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে


গত বুধবার তারিকের কেবিনে গেলাম বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে। গিয়ে দেখি কেউ নাই। আছে শুধু তারিক আর বাবু। কিছুক্ষণ পরে আসলো ইনান আর নুজাইমা।পরে আসলো তপু আর সোহাগ। তারওপরে আসলো Umama Iqbal। আসার পর থেকে দেখি ও খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে। আর গুনগুন করে গাইছে "চুরি করেছো আমার মনটা হায়রে হায় মিস লংকা"। গানটা যতবার শুনি ততবারই একটা ঘটনা মনে পড়ে যায়। 

ঘটনাটি হলোঃ
মিস লংকা সদ্য মুক্তি পেয়েছে। তখনও রঙ্গীন ছবির প্রচলন খুব একটা হয়নি। তাই বড় মামা আমাদের সবাইকে নুপুর সিনেমা হলে নিয়ে গেলো মিস লংকা দেখার জন্য। বন্ধের দিন ৩টা-৬টার শো। টিকিট করা শেষে টাইম পাস করার জন্য এদিক ওদিক ঘুরছি।হঠাৎ দেখি মুক্তার স্যার মানে উনি আমাদের স্কুলে ইসলাম ধর্ম পড়ান। প্যান্ট শার্ট পড়া (উনি আবার স্কুলে যেতেন পায়জামা পান্জাবী পড়ে)। উনার এক হাতে সিগারেট আরেক হাতে কিছু বই।উনার আবার ষ্টীল মিল বাজারে একটা লাইব্রেরী আছে। স্যারের সামনে দিয়ে কয়েকবার আসা যাওয়া করছি। তারপরেও স্যারে যখন দেখেনাই আমি স্যারকে কিছু জিজ্ঞাসা করি নাই। স্যারে লজ্জা পাবে বলে। 

আড্ডা চলছে যথারীতি। চলুক আড্ডা। জয় হোক আড্ডার।


এবার, আসলে এবারই না,মানে ডিসেম্বর থেকে শুরু। সিএসেমের মিটিং এ যাবার জন্য ডাকলেন নাজমুল ভাই। খুব ইচ্ছা। কিন্তু কিভাবে যাব। পরিক্ষার খাতা বাসায়,স্কুল খোলা,ছুটি পাওয়া ঝামেলা। কিন্তু মনের অসম্ভব ইচ্ছা সব কিছু সম্ভব করে দেয়। প্রমান পেলাম যখন শুনলাম কলেজের ডিবেট টিম নিয়ে চিটাগাং যেতে হবে। খেয়ে না খেয়ে খাতা শেষ করে গেলাম। দুইটা দিন থাকলাম,একমুহুর্তের জন্য ক্লান্তি অনুভব করিনি এতটাই আনন্দে ছিলাম। ফিরে আবার অপেক্ষা কবে যাব। মাঝে মেয়েদের নিয়ে সিলেট ঘুরে এলাম। জানুয়ারি আসার সাথে সাথেই দিন গোনা শুরু। আড্ডা দিতে যাব। সেই ঘোর আজো কাটেনি। থাকুক সেটা,না কাটুক। পরে ঘুরতে গেলাম বাবার বাড়ি। এ বছরের মত হয়ত উতসব ছাড়া বেড়ানো শেষ। আড্ডা চলছে যথারীতি। চলুক আড্ডা। জয় হোক আড্ডার।

Sunday, February 21, 2016

এই ত সেদিনের কথা


এই ত সেদিনের কথা। ফেসবুকে CSM colony নামে পেজ খুলল।কলোনি র কিছু বড় ভাইয়েরা পুরনো দিনের ছবি শেয়ার করতে লাগলেন।সাথে সাথে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। আস্তে আস্তে সদস্য সংখ্যা বাড়তে লাগল। যোগাযোগ বাড়তে লাগল। তারপর তারিক ভাইয়ের ব্যাপারটা নিয়ে সবার মধ্যে উদ্বেগ যেন সবাইকে আরো কাছাকাছি নিয়ে এল।

এরপর রেজা ভাইয়ের একটি পোস্ট যাতে GRAND ADDA র বীজ বোনা ছিল। তারপর যা হল এগুলো আর নতুন করে বলার কিছু নেই,সবার চোখের সামনেই ঘটেছে। ১৬/১৭ বছর আগে সবাইকে যখন কলোনি ছেড়ে এক এক করে চলে যেতে হয়েছিল তখন কি কেউ ভেবেছিল আবার তারা একসাথে হতে হবে।একসাথে বিজয় দিবসে,শহীদ দিবসে বা GRAND ADDA ড় মত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এক হবে? কিন্তু না,এখন সবাই যেকোন উৎসবে একত্রিত হয়।আনন্দ ভাগাভাগি করে, মনের কথা শেয়ার করে।

আমাদের জীবনে এমন কিছু মানুষ আসে, কোথা থেকে আসে,কেন আসে জানতে পারিনা।তেমনি আমাদের জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, কেন ঘটে তা জানা হয়না,রহস্য হয়েই থাকে কিন্তু ঘটনাগুলো সত্যি। হয়ত ফেসবুকে CSM COLONY পেজের আগমনের ঘটনা তেমনি একটি ভীষণ সত্যি অথচ রহস্যময় ঘটনা

গত কয়েকঘন্টা কি চমৎকার কাটলো


গত কয়েকঘন্টা কি চমৎকার কাটলো । আত্মার আত্মীয়দের সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো ছিল অসাধারন । স্কুল ছাড়ার পর গত ৫বছরে কোন জাতীয় দিবসেই কোথাও ফুল দিতে যাওয়া হয়নি । আজ র‍্যালি করে যেতে যেতে ভীষন ভাল লাগছিল ।

প্রথমে একা একা লাগলেও পরে সবার সাথে কথা বলে সব ঠিক হয়ে গেলো । 

আমি মোটামুটি গুছিয়ে লিখতে পারলেও বলার ক্ষেত্রে তার উলটো। আমাকে যখন আজ কিছু বলতে বলা হল আমি এতই নার্ভাস হয়ে গিয়ে কি যে অগোছালো কথা বার্তা বলেছি নিজেই জানিনা tongue emoticon

অপেক্ষায় রইলাম ২৬শে মার্চে আবারো এভাবে একত্রিত হওয়ার smile emoticon

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss