Sunday, January 31, 2016

আপ্যায়ন


আপ্যায়ন শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু কাউকে আপ্যায়ন করতে গিয়ে সব কিছু জোগাড় করা, তদারকি করা যে কি পরিমান কষ্ট সাধ্য কাজ তা একমাত্র যে করে সে জানে। আমাকে গ্র্যান্ড আড্ডার আপ্যায়ন কমিটির প্রধান করা হলো। পূর্বের অভিজ্ঞতার কারনে আমি প্রথমে রাজি ছিলাম না।কিন্তু বড় ভাইদের চাপাচাপিতে আমাকে দ্বায়িত্ব নিতে হলো। আমার কমিটির যারা ছিল তারা ছাড়াও বাকিরা সবাই আমাকে সাহায্য করবে, এই শর্তে রাজি হলাম। তারপর শুরু হলো আমার ছুটাছুটি। টিংকু, হিমেল, সুমন, সজিব এবং বাকিদের সাথে ফোনে কথা বলে যাত্রা শুরু করলাম। শাহাবুদ্দিন লিটন (অর্থ কমিটির সদস্য) আমাকে অভয় দিলো এবং সারাক্ষণ আমার পাশে ছিল। 

Grand Adda Fever


দুইদিন ধরে Grand Adda Fever এ ভুগছি। Fever টা কিছুতেই নামছে না। নাম্বেই বা কেমনে? ভাইরাসটা (প্রানের মেলা) যে কত মারাত্বক এবং এর কার্যকারীতা যে কতোটা ভয়াবহ (আনন্দ-উচ্ছাস) ছিল সেটা সবাই - যারা এটেন্ড করেছি আমরা দেখেছি। তাইতো এক্কেবারে Highest level এ উঠে ঘাঁপটি মেরে বসে আছে।

জানি Grand Adda Fever টা সারতে সময় লাগবে। এই ধাক্কা সামলাতে না পেড়ে কাল ঢাকা এসেও আজ অফিস যাওয়া হয়নি। সারাটা সময় কেটেছি ১৭/১৮ বছর পর দেখা চাচা-চাচী, স্কুলের স্যার-ম্যাডাম, বন্ধু-বান্ধব আর প্রিয় মানুষগুলোকে দেখে খুশীতে আত্বহারা হয়ে গভীর আবেগে বুকে জড়িয়ে ধরার গল্প করে।

শরীরটা নিয়ে চলে এসছি ঠিকই কিন্তু মনটা bitray করে রয়ে গেছে CSM Colony -তে থাকা সেই সব আপনজনদের কাছে।। প্রিয় মানুষগুলো সবসময় অনেক ভাল থাকুক।

ফেইস বুক


ফেইস বুক। একটি পেজ। CSM Colony নিয়ে একটি গ্রুপ। অনেক অনেক আবেগ দিয়ে তৈরী এই গ্রুপ। এই আবেগের এতটাই শক্তি যে, কল্পনাকেও হার মানিয়ে হয়ে গেলো এক অসাধারন মিলন মেলা। যাকে আমরা ভালোবেসে নাম দিয়েছি "আড্ডা"। আমাদের এই গ্রুপটির ছেলে মেয়েরা, অমানুষিক পরিশ্রম করে, এই আড্ডাটিকে সফল করেছে। এই গ্রুপটির ভাইবোনেরা, CSM এর সকলের ঘরে ঘরে গিয়ে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে, আমাদের মিলন মেলার গুরুত্বটিকে। ধন্য আমাদের এই পেজ, ধন্য আমাদের ভাই/বোনেরা। গুরুজনরা আমাদেরকে বুক ভরা ভালোবাসা দিয়েছে, আর দুই হাত তুলে দোয়া করেছে। আমরা কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি এবং সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য, আমাদের এই গুরুজনেরা। আমাদের প্রতি তারা আস্থা রেখেছেন এবং আমাদের এই মিলনমেলাকে শোভামণ্ডিত করেছেন এবং এর সাথে সাথে ধন্যবাদ, আমদের এই পেজটির বাইরের সকল ভাই/বোনদের যারা আমাদের নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে, মিলন মেলায় এসেছে। আমরা পারি। আমরা পেরেছি এবং আমরা পারবো।

Saturday, January 30, 2016

২৯ শে জানুয়ারি


২৯শে জানুয়ারি | CSM এর সবাই আজকের এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম | দিনটি আসলো এবং সবাই খুব আনন্দের সাথে দিনটি কাটিয়েছে | ছোট বড় ভাই বোন, আমাদের বাবা চাচারা এবং আমাদের সম্মানিত শিক্ষক মহোদয় সবাই খুব আনন্দের সাথে দিনটি অতিবাহিত করেছেন | মনে হচ্ছিলো যেন সেই আগের CSM কলোনিতেই ছিলাম সারাদিন | সার্থক হয়েছে সবার পরিশ্রম | সবার উপস্থিতি খুব ভালো লেগেছে |

অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পযন্ত থাকতে পারিনি | সময় ছিলো কম | রাতেই আবার ফিরতে হচ্ছে | খুব খারাপ লাগছিল আসার সময় এই রকম একটা আনন্দঘন মুহুরত ছেড়ে চলে আসতে| এই রকম একটা দিন এই ররকম একটা সময় আর কি কখনো পাবো? ধন্যবাদ CSM এর প্রতিটি সদস্য কে যারা আজকের এই ADDA তে উপস্থিত হয়েছেন | করম জীবনে ফেরত যাচ্ছি কিন্ত সাথে নিয়ে যাচ্ছি আজকের এই দিনটির প্রতিটি মুহুরত | জয় হউক CSM এর | CSM বেচে থাক আমাদের সবার মাঝে | আজীবন |

কোথাউ আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে


কোথাউ আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে
মেলে দিলেম গানের সুরে এই ডানা.....
কাল হারানোর দিন ছিলো। হারিয়েছিলো খালাম্মারাও। আমি হারিয়ে ফেলছিলাম আম্মু কে, আমার ছেলেরা হারিয়ে ফেলছিল তাদের আম্মু কে।
কত বছর পর মুক্তা, লিপি, জয়নাল, টিপু.........সবাই কে পেলাম।
মামি (খোদেজা আপা), চাচি ( Taskin Ashiq এর আম্মা), খালাম্মা ( Tanjina Bashar আপুর আম্মা) সবাই কে খুব feel করলাম। 
যেন অনেক কথা জমে আছে একেক জনের সাথে, কিন্তু কারো সাথেই কথা শেষ হচ্ছিলনা, কাকে রেখে কার সাথে কথা বলব। জানি সবার একি অবস্থা ছিল।

''ফিরে দেখা সি এস এম তোমাকে''


এক এক করে গুনতে গুনতে কতগুলো বছর যে অতিবাহিত হয়েগেছে আজ আংগুল কোঠায় গুনতে না বসলে হয়ত বুঝতেই পারতাম না।এরই মাঝে পেরিয়েগেছে দুইদশকের কাছাকাছি কিছু সময়।এই দুই দশক সময় পরিক্রমায় সি এস এম-র সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে দেশ বিদেশের নানান স্হানে।কখনই চিন্তা করি নাই আমরা একএিত হতে পারব।এই অসাধ্যকে সম্ভব করতে পেরেছে 'আড্ডা'।সময়ের স্রোতে বদলে গেছে অনেক কিছু, শুুধু বদলায় নাই সি এস এম র প্রতি ভালবাসা, আবেগ আর উচ্ছাস। সে কারনেই হয়ত প্রানের আহ্ববানে মিলিত হয়েছে সি এস এম-এর সহস্র প্রান 'আড্ডা' নামের মিলন মেলায়।

Revival of Bonding


উফফ কী একটা চমৎকার দিন কাটালাম! আনন্দের সময় গুলো এতো তাড়াতাড়ি কেন শেষ হয়ে যায় । কেন গতকালের দিনটা ২৪ ঘণ্টার না হয়ে ৪৮ ঘণ্টার হল না। তাহলে কলোনির প্রিয় মানুষগুলোর সাথে, প্রিয় বন্ধু গুলোর সাথে আর বেশী সময় থাকতে পারতাম। খুব আফসোস হচ্ছে যে এই আয়োজনে সামান্য কিছুও করতে পারিনি বলে, অথচ খুব ইচ্ছে ছিল এই আয়োজনে সামান্য কিছু হলেও যদি কিছু করতে পারতাম। বড় ভাই রা ছোট ভাইরা সবাই কত পরিশ্রম করল। আমি কিছুই করতে পারলাম না। সবাই কে মনের আন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ দেই। 

ধন্যবাদ দেই যারা এতো পরিস্রম করে আমাদের হাতে একটা স্মৃতির ফোয়ারা (ফেরা)ধরিয়ে দিলেন। সারাজীবন এটা আমি যত্ন করে রেখে দেব। সন্ধার পর খারাপ লাগছিলো এটা ভেবে যে একটু পর সবাইকে হারাই ফেলব। এতো সুন্দর একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল , খুব ভালো লাগলো। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল ওদের কথা ভেবে যারা এই আড্ডায় আসলো না। 

চিটাগং ছাড়ার সময় সব সময়ই মন খারাপ হয়


চিটাগং ছাড়ার সময় সব সময়ই মন খারাপ হয়।কিন্তু এবার সেটা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।আড্ডা থেকে ফিরে রাত থেকেই মন খারাপ পরদিন ঢাকা ব্যাক করতে হবে।মন খারাপ থাকলে যা হয়,মেজাজও খারাপ হল সাথে।সকালে অকারনেই ছেলেটা বকা খেলো।পতিদেবও দুরে দুরে থাকে,রাগটা কখন কার উপর গিয়ে পরে বলা যায়নাতো।এদিকে আব্বার শরীর টাও ভালোনা।ট্রেনের উদ্দেশ্যে যখন সবাইকে ছেড়ে সি এন জি তে উঠলাম আমার মনে হল কিছু ফেলে যাচ্ছি, মুল্যবান কিছু। আমার প্রাণের শহরে আমার প্রাণের মানুষ গুলোকে ফেলে যাচ্ছি আমি।

ম্যারাথন ঘুম দিয়া উঠলাম দুপুর দেড়টায়


ম্যারাথন ঘুম দিয়া উঠলাম দুপুর দেড়টায়। মোবাইল silent করে ঘুম দিসিলাম। উঠে দেখি বেশকিছু মিসকল। কলব্যাক করে জানতে পারলাম, অসামান্য কাজের(!?) স্বীকৃতি জানাতে ভাইয়ারা ফোন দিছে। হাঃহাঃহাঃ!! উনাদের মহানুভবতায় মুগ্ধ হলাম। কারণ, আড্ডার প্রধান উদ্যোক্তাদের একজন,যিনি আড্ডার সফলতার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন,তিনিই আমাকে আমার অসামান্য (!?) কাজের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন!!! কই যাই!!!!!!
মজার ব্যাপার হলো,এই ধন্যবাদ দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে আবার দেখি মন কষাকষি শুরু হয়েছে!!! ছোটবেলায় প্রায় পরীক্ষাতে দুইটা ভাব-সম্প্রসারণ আসতো। একটা ছিলো, 
"শৈবাল দিঘিরে কয় উচ্চ করে শির,
লিখে রেখো একফোঁটা দিলেম শিশির "।
আরেকটি হলো, " কেরোসিন শিখা কহে মাটির প্রদীপেরে,
"ভাই বলে ডাকো যদি, দিবো গলা টিপে",
হেনকালে গগণেতে উঠিল হে চাঁদা,
কেরোসিন শিখা বলে,"এসো মোর দাদা!!" 

I'm going off


একটি পোস্টে সবার কমেন্ট দেখে যা বুঝার বুঝে নিয়েছি। I'm going off. গ্রুপ থেকে যাচ্ছিনা তবে এই গ্রুপের কোন পোস্টে অংশগ্রহন বা কোন পোস্ট প্রদান থেকে বিরত থাকছি। মানসিকতা একটি বড় ইস্যু। আমার মনে হচ্ছে আমি এখানে বেমানান কারন এধরনের কমেন্ট আমি করিনা এবং অভ্যস্তও নই। খুব দুঃখের সাথে দেখলাম গ্রুপের প্রথমদিকের একজন সদস্যের সাথে বাজে আচরন করা হচ্ছে যিনি ব্যক্তিগত জীবনেও একজন সম্মানিত মানুষ। এই মানুষটা সেই মানুষ যিনি দেশের সবচেয়ে উপর দিকের একটি শিক্ষাংগনের শিক্ষিকা। 

অনেক কষ্ট হয়....

- Mahamud Hasan

অনেক কষ্ট হয়....
অঝর কান্নার অশ্রু মুছে ফেলতে কষ্ট হয় না..
কারন তা গড়িয়ে পড়ে যায়
চোখের কোণে জমে থাকা অশ্রু মুছে ফেলা অনেক কষ্টের..
কিছু লিখবো না মনে করছিলাম..
আর পারলাম না..
কষ্ট হলেও চোখের কোণের অশ্রু মুছে ফেল্লাম..
কার সাথে অভিমান?

কয়েক মাস এর পরিশ্রম পর আমাদের গ্র্যান্ড আড্ডা গতকাল সম্পন্ন হল


কয়েক মাস এর পরিশ্রম পর আমাদের গ্র্যান্ড আড্ডা গত্কাল সম্পন্ন হল।এখানে সিএসএম কলোনির সকলের প্রচেষ্টায় এই আড্ডা সফল হয়েছে,প্রথমবার তাই আমাদের কিছু ভূল ভ্রান্তি হতে পারে,যা এত বড় অনুষ্ঠান করতে গেলে হতে পারে,তাই সকলে ক্ষমা সুন্দর চোঁখে দেখবেন।আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি সিএসএম কলোনীর সকলকে একএিত করতে,হয়তো অনেক আনতে পারি নাই,আবার অনেকে বিভিন্ন কারণে আসতে পারে নাই।

আমার মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল সে আসবে,তার কত আয়োজন করেছিল আসার কিন্তু তিনি হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পরেন ২ দিন icu তে ছিলেন, এখনো হাসপাতালে আছে,আমার ভাই - বোনরা কেউ আসতে পারে নাই,আমি ৩ দিন ঢাকা ছিলাম মায়ের কাছে,শেষের ৩ দিন আমি সময় দিতে পারি নাই,তবে আমি সবার সাথে যোগাযোগ রেখেছি,এবং সবাই আমার মায়ের খবর নিয়েছে,এবং বলেছে আগে মার পাশে তুই থাক,আমরা দেখব। এটা আমার অনেক বড় পাওনা।আমাদের রিপন ভাইয়ের বাবা অসুস্থ তাই তাদেরকে ও বাবার পাশে থাকতে হয়েছে।

প্লিজ স্টপ


আমি সজিবের কথার উত্তরে বলেছিলাম আমি অনেকের নাম জানিনা কিন্তু যাদের নাম লিখেছি তারা সবাই কোনো না কোনো কমিটি লীড করছে।কাজ সবাই করেছে। সারাটাদিন কমু আর লিটন এই দুইটার চেহারা দেকসো কেউ,খাবার নিয়ে ব্যস্ত,আমি personally কমুর সাথে কথা নলেছি।।নাম না বললেই কি তাকে ছোট করা হল? এত বড় প্রোগ্রাম ঢাকায় এত সুন্দর করে হত না এই কথাটা আমি হাজারবার বলছি। এখন ত নিজেই বোকা হয়ে গেলাম যে কেন এই পোস্ট দিলাম। ধন্যবাদ জানানো দরকার ছিল শুধুমাত্র বড় তিনজনকে, ছোটো গুলা এখনো ছোটোই। 

Friday, January 29, 2016

CSM Theme Song

শিরোনামঃ- সি এস এম থীম সং
কথা ও সুরঃ- এইচ. এম. এ আলম সুজন
শিল্পীঃ-এইচ. এম. এ আলম সুজন
সংগীত আয়োজনঃ- এইন্ডস ক্রিয়েশন

ছোট বড় খাল বিল মনের স্টীল মিল
কিভাবে ভুলে থাকি বলো
স্মৃতির পাতায় পাতায় মিশে আছে
ভাবলেই চোখে আসে আলো

হাই সি এস এম
হ্যালো সি এস এম
আমাদের সি এস এম
প্রানের সি এস এম ।।

বর্ষার পানিতে ফুটবল খেলা
আনন্দে উৎসবে কেটে যায় বেলা
রেখে এলাম পরিশেষে রয়ে গেলো স্মৃতি
পারবো না জেনে আমি ভুলে থাকার ভীতি

হাই সি এস এম
হ্যালো সি এস এম
আমাদের সি এস এম
প্রানের সি এস এম ।।

ডাব চুরি পেঁপে চুরি
কত মেয়ের মন চুরি
মনে কত দোলা দেয়
তাস খেলা মার্বেল সাতচারা লুকোচুরি
কিভাবে আড়ালে রাখি বলো।

হাই সি এস এম
হ্যালো সি এস এম
আমাদের সি এস এম
প্রানের সি এস এম ।।

শীতকালে শুরু হত পিকনিকের মজা
জ্যাকসনের গান শুনে উলটা পালটা নাচা
রেখে এলাম পরিশেষে...
পারবোনা জেনে আমি......।

হাই সি এস এম
হ্যালো সি এস এম
আমাদের সি এস এম
প্রানের সি এস এম ।।

বার্ষিক খেলা আর স্কুলের ফাংশান
কতটা ভাবিয়ে বেড়ায়
টাংকির নিচে আড্ডার জাংশান
নস্টালজিক হয়ে যায় সবাই
কিভাবে ফাঁকি দেই সাত্তার স্টোর
স্বপ্নের আড়ালে কাটে না ঘোর
নামটা ভুলি নি মনে পড়ে আজও
মনের গভিরে স্মৃতি তোমার মত সাজো

হাই সি এস এম
হ্যালো সি এস এম
আমাদের সি এস এম
প্রানের সি এস এম ।।

মাতাল করা সেই জেক্সের আড্ডা
কিভাবে কেটে যায় অর্ধেক রাতটা
সময় গড়িয়ে আজ মেতেছি আমরা
সি এস এম এর গ্র্যান্ড আড্ডায়

হাই সি এস এম
হ্যালো সি এস এম
আমাদের সি এস এম
প্রানের সি এস এম ।।


Thursday, January 28, 2016

হ্যালো, শুনছেন?

- Javed

হ্যালো, শুনছেন?
আজ যত বাস আর ট্রেন
ভরে আছে সেই মেহনতি মানুষদের
সন্তানের গানে, শেকড়ের টানে
সব ছুটছে সাগর শহর পানে।
হ্যালো, ইস্পাত যোদ্ধাদের সন্তান,
আজ পিতার শরীরের ঘামে ভেজা মাটি,
নতজানু হয়ে কুর্নিশ করে
আন্তঃনগর নিশিথা, প্রভাতী
বয়ে নিয়ে এসে সেই সূর্য সন্তানদের।

গ্রান্ড আড্ডা


সবাই এখন আড্ডামুখী। যারা আড্ডায় যেতে পারছিনা আমি নিশ্চিত তারাও ফেসবুক বা ফোনে প্রতিনিয়ত আড্ডার খবর নিচ্ছেন। আর যারা সরাসরি যোগ দেবেন তাদের তো পুরো ঈদের খুশি। খোদা তালার কাছে অশেষ শুকরিয়া যে, আপনারা সবাই ভালভাবে চট্টগ্রাম পৌঁছে গেছেন। যারা পথে আছেন বা পরে রওনা দেবেন আশা করি তারাও ভাল ভাবে পৌঁছবেন।

আড্ডার শুরুটা হয়েছিল রেজা ভাইয়ের একটা পোস্ট থেকে, উদ্দেশ্য ছিল সবাই মিলে এক হয়ে কোথাও বসা। শুরুতে ব্যাপারটা কল্পনায় ছিল কোন একটা ভ্যেনুতে নিছক চায়ের আড্ডা। কিন্তু সে কল্পনা বাস্তবে পরিণত হতে হতে বিশাল এক আয়োজনে রূপ নিয়েছে। চায়ের আড্ডা পরিণত হয়েছে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , স্বারক বই সব কিছু মিলে একটা জম জমাট ব্যাপার। আর এখানেই সবার দায়িত্ব বোধের একটা বিষয় চলে আসে। এত বড় একটা ইভেন্টে সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক চলেনা। কিছুটা এদিক ওদিক হয়েই যায়। 

Wednesday, January 27, 2016

”কি করি আজ ভেবে না পাই টাইপ” আনন্দ


প্রতিটি ছোট বড় ভাই খুব ব্যস্ত,যখনই কাউকে ফোন করি দেখা যাচ্ছে যে সে আড্ডা সংক্রান্ত কাজে দৌড়ের উপর আছে। বড়ই আনন্দদায়ক ব্যাপার।”কি করি আজ ভেবে না পাই টাইপ” আনন্দ।

১৭/১৮ বছর আগে কে কোথায় ছড়িয়ে পড়েছে আর আজ আবার এক সাথে হচ্ছে ভাবতেই অন্যরকম অনূভূতি জাগে। এতাগুলো মানুষকে এক সাথে করার জন্য সবাই বিশেষ করে চট্টগ্রামে অবস্থানরত ভাইয়েরা যেভাবে সকাল থেকে রাত পর্য্্যন্ত এই শীতের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। সে তুলনায় আমরা যারা ঢাকা বা অন্য জেলায় অবস্থান করছি তারা অনেকটা ঈদের ছুটির আমেজে রয়েছি। 

বেচেঁ থাক

- Arif

বেচেঁ থাক স্লেক পথ
দুষ্টুমি দুপুরে.....
বেচেঁ থাক ঘুড়ি উড়া
লাফালাফি পুকুরে....!

বেচেঁ থাক ডানলব
টেনিস বা প্লাস্টিক....
বেচেঁ থাক বড় মাঠ
পিঠে বোম ব্লাস্টিক....!

সেই আগের মতোই, আন্তরিকতার কোন কমতি নেই


সি, এস,এম কলোণীর এই পেজটা খোলার পর পুনরায় নতুন করে সবার সাথে যোগাযোগ শুরু হলো । আড্ডার সুভাদে অনেকের বাসায় কুপন বিলিতে যাওয়ার সুভাগ্য হয় , সেই আগের মতোই, আন্তরিকতার কোন কমতি নেই । এখন কলোনীর অনেকেই ফোনে যোগাযোগ করে , আমরাও চেষ্টা করি সবার সাথে যোগাযোগ রাখতে । সবার একটাই উদ্দেশ্য "গ্র্যান্ড আড্ডাকে" সফল করা । "গ্র্যান্ড আড্ডার " দায়ীত্বে যারা আছে বড় ছোট সকল ভাইয়েরাই আন্তরিকতার সহিত কাজ করছে । সবাই নিজ কাজে এতো ব্যাস্ততা থাকার পরও , কাজের ভিতর থেকে সময় বের করে "গ্র্যান্ড আড্ডার" কাজে সময় দিচ্ছে । অনেকেই এই শীতের রাতে ১০টার পর বাসায় ঢুকছে । যা বলার কোন অবকাশ রাখে না । সবাই "গ্র্যান্ড আড্ডার" আগমনের আনন্দিত সময় পার করার মাঝেও , কিছু দু:খের সংবাদ ভেসে উঠে ।

Tuesday, January 26, 2016

ইস্পাত পরিবার

- Ava Abid

মাঘের শেষে গুনগুনিয়ে ফাগুনের হাত ছানি
কান পেতে শুনি যেন কাদের মধুর আগমনী
ওরা নাকি স্বপ্নের ব্যাপারী,
স্বপ্ন নিয়ে আসছে ওরা ২৯ শে জানুয়ারী
মুখে তাদের মায়াবী আবাহন
সে আবাহনে দিতে হল সাড়া
জাদুর ছোঁয়ায় কেড়ে নিল ওরা
আছে যত স্নেহাশীষ আর মায়া
তাইতো মোরা স্বপ্ন দেখি একটি নতুন সকাল

পুরোপুরি ঈদের আমেজ চলছে


পুরোপুরি ঈদের আমেজ চলছে- ঢাকা থেকে কে কিভাবে চিটাগাং যাবে তার একটা প্রস্ততি, যাদের অগ্রিম টিকেট করা আছে তারা মোটামুটি নির্ভার,যারা এখনো টিকেট করে নাই তাদের দৌড়ঝাপ। দেখতে এবং শুনতে ভালোই লাগছে।

ঢাকা থেকে টাকা পাঠাতে হচ্ছে, উপায় বড় ভাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট, কিন্ত না উনার ব্যাংক একাউন্টে নাকি আবার FBI এর নজর আছে, এক সাথে বেশী টাকা পাঠানো যাবেনা। অতএব বিকল্প পন্থা। আবার দৌড়াও।

আরেকদিকে চলছে কাপড় চোপড় কেনাকাটার ধুম, একটু আগে খবর পেলাম এক বড় ভাই তার পোলার জন্য ব্লেজার কিনছে এই গ্রান্ড আড্ডা উপলক্ষ্যে।। আর বউ, ভাবী আর বোন দের কেনা কাটা তো পুরা আনলিমিটেড। তবে আমাদের মত গো বেচারা স্বামী আর বোন জামাই দের কি অবস্থা এ খবর এখনো পাইনি।

আন্তর্জাতিক অর্থাৎ লন্ডন, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ সব জায়গা থেকেই শুভেচ্ছা বার্তা।

আর আমি আসছি চাঁন রাতে, সদলবলে।আশা করি চাঁন রাতে ঈদের আমেজ টা আরো বেশী পাওয়া যাবে।
”ঈদের খুশীর এ প্রাণের মেলা
আনন্দে কাটুক সারাটি বেলা”

আড্ডা (কবিতা)

সি.এস.এম এর পিছকুলের আড্ডা


বিষয়ঃ সি.এস.এম এর পিছকুলের আড্ডা
সময়ঃ আড্ডার দিন সকাল 8.00 হইতে যতক্ষন থাকা যায়।
পূর্ণমানঃ (সোয়াদ অনুযায়ী)
1। আতিক ভাইয়ের সেঞ্চুরী অনুছড়ার লেখার কারণ-উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা কর।
2। বুবুর-হাতের বেত যেমন শক্ত-মনের শাসন ততখানি নরম-কারন কি?
3। পীর সাহেবের-মনের অসুখ বড় নাকি শরীরের অসুখ বড়-বিশদ আলোচনা কর।
4। নাজমুল ভাইয়ের হঠাৎ-মানজায় হাত দিয়া নারিকেল তলায় দাড়ানোর কারন কি?
5। ‘‘বিড়াল বিপদে পরিলে গাছে উঠে”-কিন্ত জসিম ভাই কি কারনে পেয়ারা গাছে উঠতে ব্যস্ত-কারণসহ ব্যাখা কর।
6। শাহিন ভাইয়ের একহালি বিয়ের রহস্য কি?
7। জাফর আলম কেন ঘন ঘন কক্সবাজার যায়-রহস্য উদঘাটন কর।
8। মানিক চাদপুরী-সকালে উঠিয়া-শুভ সকাল-বলার জন্য ব্যস্ত কেন হয়-ব্যাখ্যা কর।
9। জিয়া ভাই ফেসবুকের দৌড়ে এত পরে অংশগ্রহণ করিল কেন-ব্যাখ্যা কর।
10। নিরু ভাই-ফেসবুকে হিরো হওয়ার দৌড়ে এত পিছনে কেন?
বিঃদ্রঃ জুনিয়রদের প্রশ্নপত্র-জুনিয়রা ফাঁস করিবে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- এ যেন সেই হারানো আটলান্টিস, যেন এক পরশ পাথর


(এটি লিখেছিলাম ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখে। আজ একটি সংবাদ পড়ে মনে হল এই লেখার সময় উপযোগিতা একটুও কমেনি। লেখার সাথে আজকের সংবাদটিও সবার সাথে ভাগাভাগি করলাম।) grin emoticon

ছেলেবেলায় পাঠ্যবইয়ে পড়তাম বাংলাদেশে গ্যাস, চুনাপাথর এর খনি আছে। একটু বড় হয়ে জানলাম কক্সবাজার আর টেকনাফের সৈকতের বালুতে এমন উপাদান আছে যা দিয়ে নাকি হাজার হাজার অ্যাটম বোমা বানানো যাবে। এটা শুনে বেশ পুলকিত হয়েছিলাম, সাথে কিঞ্চিৎ আতঙ্কিতও। কক্সবাজার গিয়ে বালুতে সাবধানে পা ফেলতে হবে, কখন আবার হিরোশিমা বা নাগাসাকির মতো কিছু ঘটে যায় তার ঠিক আছে? একদিন দেখি বাপ চাচারা ব্যাপক আলোচনা করতেছে কি নিয়ে যেন। সবই আশাবাদী ধরনের কথাবার্তা। "বাংলাদেশ আরব হয়ে যাবে", "মাত্র তো শুরু", সৌদি ফেরত এক চাচা আরো বেশি আবেগপ্রবন "শালা অ্যারাবিয়ান, কামলা দিতে তো আমাদের দেশেই আসবি। জোব্বা উঠাইয়া জালি বেত দিয়া পাছার উপর যদি দুইটা না দিছি"। 

Monday, January 25, 2016

জয়যাত্রা ১

- Iftee Nomi

কাইজ্জা তাড়াতাড়ি আয় Reza ভাই প্লেন স্টার্ট দিয়ে দিছে দেরি করলে ফ্লাইট মিস করবি
রেজা ভাই এত তাড়াতাড়া কেন?
রেজা ভাইঃ তাড়াতাড়ি না গেলে কমু সব খাবার খেয়ে ফেলবে ? grin emoticon
কিন্তু আতিক ভাই তো এখনো আসলো না ?
রেজা ভাইঃ আতিক রে দেখলাম বনানীতে নারকেল গাছে উঠে আছে। প্লেন থেকে রশি নামায় দিলে ও উঠে আসবে grin emoticon
বন্যা আপা/ শায়লা ও তো নাই
রেজা ভাইঃ ওদের কে দুই দিন আগে পাঠায় দিছি
কেন ?

Sunday, January 24, 2016

csm এর এই আড্ডা নিয়ে csm colony র 3rd generation এর ও কোন স্বপ্নের কমতি নাই


csm এর এই আড্ডা নিয়ে csm colony র 3rd generation এর ও কোন স্বপ্নের কমতি নাই। আমার ছেলে আড্ডার দিন কি করবে খালি এই নিয়ে কথা। কাল সে আমায় প্রশ্ন করে ফুল পেন্ট পড়বে না হাফ পেন্ট পড়বে? আমি বললাম সকালে ফুল পেন্ট আর দুপুরে হাফ পেন্ট। তখন সে প্রশ্ন করল ঐখানে ড্রেস চেন্জ করার রুম আছে কিনা।

Saturday, January 23, 2016

তারা সব সময় ভালো থাকুক, এটাই আমাদের ভালো থাকা


ছোট বেলায় একটি খেলনা গাড়ি দেখেছিলাম দোকানের তাকে সাজানো,আব্বাকে বলতে সাহস হয়নি ঐ টা কিনে দেয়ার, ওই ছোট বয়সেই বুঝতাম আব্বার সীমিত আয়, আসলে আর্থিক সংকট আমাদের একটু তাড়াতাড়িই ম্যাচিউরড বানিয়ে দিয়েছিলো।তখন ভাংতি পয়সা জমাতাম ভেবেছিলাম ঐ জমানো পয়সা দিয়ে একদিন গাড়িটি কিনব। এখন মনে পড়লে হাসি পায়, কোন দিন ওই পরিমান পয়সাও জমেনি গাড়িটি ও কিনতে পারিনি।

কাপড় চোপড় নিয়ে কখনও বিলাসিতা করতে পারিনি, ক্লাস নাইনে যখন পড়ি তখন একটা জিনসের প্যান্ট কিনে ছিলাম ৬০০ টাকা দিয়ে, কি যে যত্ন করতাম প্যান্ট টার , প্যান্ট টি প পড়লে কোথাও বসতাম না, যদি প্যান্ট টি ক্ষয় হয়ে যায়। তারপরেও আমাদের কলোনীতে সবার সাথে মিশতে কোন সমস্যা হয়নি,কলোনীর প্রায় সবারই তো আমাদের মত অবস্থা।

সেই জিন্স

- Javed

(কবিতাটা টলি ভাইয়ের জন্য)
সেই জিন্সটা
অপারগতা আর অক্ষমতার সাক্ষী হয়ে আজো ঝুলছে
দোকানের হ্যাঙ্গারে।
সেই মোটা কাপড়ের নীল প্যান্টটা,
পিছনের সেই লেখাটাও স্পষ্ট,
জ্বলজ্বল করছে কালো কালিতে "লিভাইস"।
এক কারখানা কর্মী বাবা
ফি বছর উৎসব এলে
এসে দেখে যেতেন প্যান্টখানা।
ইস্পাতের আগুনে কঠিন হয়ে যাওয়া,
প্রায় মমতাহীন হাতে ছুঁয়ে দেখতেন।
পোড় খাওয়া কঠোর মুখমণ্ডল
ধীরে ধীরে কোমল হয়ে যেতো।

Friday, January 22, 2016

বড় ধরনের একটা ভ্যাজাল বাজাতে হবে


বড় ধরনের একটা ভ্যাজাল বাজাতে হবে। দুই মাস আগে সারাফের মাকে বলেছি, তোমাকে চিটাগাং নিয়ে যাবো, ছোট ভাই/বোনেরা আড্ডা নামক এক বিশাল আয়োজন করতেছে। সবাই আসবে দারুন মজা হবে। বির/বির করে কি যেন বললো বুঝলাম না। চলো যাই, ভালোই লাগবে তোমার। তুমি যাও, তোমার মনে অনেক----- র্তী। এবার স্পষ্ট সুনতে পেলাম। যাক বাচা গেলো যাবেনা। মুখটা খুব ভার করে রাখলাম, যেন প্রচন্ড আঘাত পেয়েছি মনে।

কিন্তু শেষ সময়ে গ্যাঞ্জামটা বাজালো খালা। কেন যাবানা? সবাই যাবে, মজা করবে। রেজা একা একা মজা করবে, তোমাদের কে রেখে, কখনো এই সুযোগ দিবেনা। 

উনত্রিশ জানুয়ারি



উনত্রিশ জানুয়ারি। এক ঐতিহাসিক দিন। সময় যেন আর ফুরায়না।আমি ভিতরে ভিতরে খুবই এক্সাইটেড। কিন্তু উপরে উপরে শীতল ভাব ধরে আছি যেন গ্র্যান্ড আড্ডা সিরিয়াস হওয়ার মত কোন বিষয় না।তারপরও ফাঁকেফুঁকে উষ্ণতা দেখিয়ে ফেলছি নিজের অজান্তেই।আমি খেয়াল করেছি কোন বিষয় নিয়ে একটু বেশি উচ্ছ্বাস দেখালে কোন না কোন ভাবে সে উচ্ছ্বাসে ভাটা পরে।কোন সমস্যার কারনে আমার সে উচ্ছ্বাসের বিষয়ে আর শরিক হতে পারিনা বা বিষয়টাই ক্যান্সেল হয়ে যায়।সে জন্য এই শীতলতা।

পুনশ্চ:গ্র্যান্ড আড্ডায় সালামি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে?

হক স্যারের ধোলাই



শাহীন স্কুলে পড়ার সময় ক্লাসে টিচার আসলে আমরা বলতাম "গুড মর্নিং স্যার/ ম্যাডাম"। স্টিল মিলস স্কুলে আসার পর দেখলাম নিয়ম ভিন্ন। এখানে স্যার/আপা ক্লাসে আসলে দেখি সবাই সালাম দেয়। একদিন হক স্যার ক্লাসের আসলেন। সবার মত আমিও সালাম দিলাম কিন্তু অনভ্যস্ত মুখে সালামটা মনে হয় অন্য রকম ছিল। স্যার ক্ষেপে গেলেন। " এরে তুই এরুম করি সালাম দিলি কিল্লাই ?" । বেকায়দা অবস্থা, আমার ব্যাখ্যা করার কিছু ছিলনা, ব্যাখ্যা দেবার উপায়ও ছিল না। তার আগেই স্যার অপারেশন চালিয়ে ফেলেছেন। ব্যথা পাবার চেয়ে অবাক বেশি হয়েছিলাম।

যাক পরে স্যারের সাথে ভাল মতই মানিয়ে নিয়ে ছিলাম । কারণ স্যার পড়া নেবার সময় যদি কেউ গরগর করে শুরু করতো তাহলে স্যার আর বাকিটা শুনতেন না, পরের জনকে পড়া ধরতেন। তাই আমি ( আতিক ভাইয়ের মতে ৩য় বেঞ্চের ছাত্ররা ) সবসময় প্রথম প্যারা ভালো মত শিখতাম, আর ২য় প্যারা মোটা মুটি ভাবে শিখে রাখতাম (প্রথম প্যারা বেশি দ্রুত বলে ফেললে ব্যাক আপ হিসাবে) ফাঁকির টেকনিকটা ভালই ছিল, কোনদিন ধরা খাই নাই smile emoticon ।

Thursday, January 21, 2016

ড্রাইভারের কান্ড দেখে অবাক ... !!!



অফিস থেকে বেরুতে বেরুতে প্রায় ৭:৪০ বাজলো।তারিককে বলেছিলাম মেডিকেলে যাবো। কিন্তু দেরী হওয়াতে আর যাওয়া হয়নি। কোনমতে ধাক্কাধাক্কি করে গ্রামীণ পরিবহণে উঠলাম। মহাখালী থেকে মিরপুর রোডে জ্যামের কারনে রাস্তা ব্লক করে দেওয়ায় গ্রামীন নাবিস্কো, তিব্বতের জ্যাম পাড় হয়ে তেজগাঁও ফ্লাইওভারে পৌছলো। ব্যাস, ২০/২৫ মি: ধরে একটু একটু করে সামনে এগুচ্ছে। আর তখনি এসিষ্টান্ট এক প্যাকেট বাদাম কিনে ড্রাইভারকে বললো "ওস্তাদ বইয়া বইয়া বাদাম খান, সিগ্রেট আনমু"? ড্রাইভার বললো "ওই বেডা, আমি বাদাম খামু আর হেরা কি চাইয়া দেখবো? বেবাকতের লইগা ল"। এসিস্টান্টসহ সবাই ভাবলাম হয়তো মশকারী করছে। কিন্তু বাদামওয়ালাকে যখন ২৭ টা বাদাম (২৭ জনের জন্য ২৭ প্যাকেট, গ্রামীণ পরিবহণে ২৭ টাই সিট থাকে) দিতে বললো। 

ওদের সময়গুলো, স্বপ্নগুলো যেন মাত্র পাঁচ টাকায় বিক্রি হয়ে না যায়


আজ সকালে অফিসে যাওয়ার পথে বাসে বসে আছি, দশ নাম্বারে কঠিন গিট্টু লেগে আছে। হকারদের পন্য বিকিকিনির মচ্ছব লেগে গেছে। কত আজব রকম জিনিস যে বিক্রি হতে পারে আর কত আজব ভাষায় যে বিক্রির প্রচারনা চলতে পারে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। সুগন্ধি কলম, যষ্ঠিমধু, ডিজিটাল তসবি, খোয়াবনামা, রুমাল, জায়নামাজ সবই পাওয়া যাচ্ছে হকারদের কাছে। গাড়িতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সংবাদপত্র। কি জানি কেন পেপার বিক্রেতা হকার সবই বাচ্চা। ৬/৭ বছর বয়স ওদের। নরম ছোট ছোট হাত, তুলতুলে আঙুল। 

বাচ্চাগুলো চলন্ত বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে যখন দৌড় শুরু করে আমার ভয় লাগে এই বুঝি পড়ে গেলো। প্রতিদিন আমার একই আতংক। কিছু বাসযাত্রী আছে খবিসের চূড়ান্ত। সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেপার কিনে কিন্তু আগে টাকা দেয় না। পেপার হাতে নিয়ে এরপর বড় নোট দেখিয়ে বলে ভাংতি বের কর। ততক্ষণে গাড়ি চলতে শুরু করে আর বাচ্চাটা টাকা গুনতে গুনতে দৌড়াতে থাকে গাড়ির পিছন পিছন। কষ্টে আমার চোখে পানি চলে আসে। ভালো লোকও আছে। একদিন এরকম এক লোক এক বাচ্চা হকারের কাছে পেপার চাইলো কিন্তু তার আগেই বাস ছেড়ে দিয়েছে। বাচ্চাটা কাস্টোমার হাতছাড়া না করার জন্য প্রাণপণে দৌড়াতে লাগলো। 

Wednesday, January 20, 2016

সোনার প্রজন্ম

- Ava Abid

যুগান্তরে আবছা আবেগে অনুভবে এলো
কারা যেন ডাকছে মোদের মধুর সুরে-করুণ স্বরে-
জানলাম, ওরা নাকি আত্নার আত্নীয়।
"আমরা ইস্পাত প্রজন্ম, এসে গেছি,
উঠুন-জাগুন, আমরা আপনাদের আত্নীয়, ছেলে, সন্তান
অনেক গল্প বলতে এসেছি, এসেছি আপনাদের দেখতে"
আত্নীয়? বড় দেরি হয়ে গেলো বাছা,
এখন আত্নাদের পাল্লা অনেক... ভারী,
আমরা যে বহুদূরে... না ফেরার দেশে এসে গেছি,
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে আসতেই হলো,
সকলেই আসবে, সময়ের দাবী তে একদিন
কিছুটা আগে হলে ভালো ছিল, দেখা হত।

ভেবেছিলাম ম্যাগাজিনে লিখবো এই কথাগুলো


ভেবেছিলাম ম্যাগাজিনে লিখবো এই কথাগুলো, কিন্তু জায়গার সিমাবদ্ধতার কারনে এখানেই লিখে ফেলছি। আমাদের ম্যাগাজিনের কাজ শুরু হবার পর আমার বাড়িতে আমার মেয়েদের যেন ঈদ লেগে গেলো। ডেইলি সন্ধ্যায় তাম্বুরা Mahmudul Hasan, আর Abu Naser মাঝে মাঝে আসতো।

জাভেদ বদ ঘরে ঢুকেই চিল্লাইতো চা চা বলে।কোন চাচাকে ডাকতো জানিনা।যাহোক, যেহেতু অফিস থেকে আসতো, তাই আগে চা নাস্তা খাওয়া হত পরে বাকি কাজ।কাজ করতে করতে আমার মেয়েদের যে পরিমান অত্যাচার আপেল সহ্য করেছে তা তুলোনাহীন। তার একটা ডায়লগ আছে যা আমার মেয়েদের কাছে সুপারহিট হয়েছে। বারবার ওরা বলে মামা একবার বল,সে বিনা বাক্যব্যয়ে, একটুও বিরক্ত না হয়ে বলতো।আপেল যেখানে থাকে সেখানে সাড়ে দশটার মাঝে বাসায় ঢুকতে হবে। ও আমার বাসায় ঢুকেই বলতো বাই আমি যাইগা, গেইট বন্দ হইয়া যাইব। এই সুবাদে একদিন সে আমার কঠিন ঝাড়িও খেয়েছে। ভাই আপেল রাগ করিসনা,একদিন তোরে ক্ষতিপূরণ দিব। জাভেদের চা লাগে একটু পর পর,আমার চোখ পাকানো দেখে সে নিজেই চা বানিয়ে খেতো। 

Tuesday, January 19, 2016

স্মরনিকার নাম রাখা হয়েছে 'ফেরা'


গ্রান্ড আড্ডায় একটা স্মরণিকা প্রকাশ করার ব্যাপারে আমি গোড়া থেকেই গোঁ ধরে ছিলাম। এদিক সেদিক নানা ভাবে চেষ্টা করেছি কিন্তু গ্রান্ড আড্ডার অন্যান্য কাজের তোড়জোড়ে হয়তো এটা চাপা পড়ে গিয়েছিলো। শেষে কিছুটা বিরক্তি আর ক্ষোভে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ একটি পোস্ট দেই আমি। খানিকটা ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় আর অনেকটা স্বদিচ্ছার কারনে পহেলা জানুয়ারি নাজমুল ভাই আমাকে ফোন করেন এবং বলেন এখন কাজে হাত দিলে স্মরণিকা প্রকাশ সম্ভব কিনা। আমি অগ্রপশ্চাৎ না ভেবেই বললাম হ্যা সম্ভব। ২ তারিখ চলে গেলো স্মরণিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত পাকাপোক্ত কিনা এই ধারনা বদ্ধমুল করে নিতে। ২৭ তারিখের মধ্যে ম্যাগাজিন হাতে নিতে হবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা কাজ শুরু করলাম। আমাদের হাতে ছিলো মোটে চব্বিশ দিন। প্রথমেই আমরা কয়েকটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি-
১) সময় স্বল্পতার কারনে আমরা কোন লেখা আহবান করবো না। পেইজের লেখা থেকেই আমরা কনটেন্ট রেডি করবো।
২) স্মরণিকা নিয়ে পেইজে কোন মতপ্রকাশ করবো না এবং কেউ মতপ্রকাশ করলে সেখানে অংশগ্রহন করবোনা। অহেতুক বিতর্ক এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।
৩) কেন্দ্রীয় ফান্ডের উপর চাপ না ফেলতে আমরা চেষ্টা করবো স্মরণিকা প্রকাশের খরচের জন্য যেন মুল ফান্ডের উপর নির্ভরশীল হতে না হয়। 
৪) আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো প্রতিনিধিত্বমুলক অথবা শিল্পমানে উৎকৃষ্ট লেখাগুলো তুলে আনতে। যদিও সাড়ে চার মাসের জমানো লেখা থেকে বেছে এই কাজটা করা খুবই দুরূহ।

Monday, January 18, 2016

আজ এক দুঃসাহসী কাজ করে ফেললাম


আজ এক দুঃসাহসী কাজ করে ফেললাম। অবশ্যই যথাযথ authority র permission নিয়েই তারিককে আমার গাড়িতে করে ঘুরিয়ে আনলাম। ও সকালে আমাকে বললো ফুচকা খাবে। তখন থেকেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। পরে জাভেদকে ফোন করে বললাম। ও বললো রেজা ভাইয়ের কাছে বলতে কারন ওর কাজ উনার সাথে। রেজা ভাই মাফ চাই আপনাকে বলিনি বলে। আমি নিজে তখনো জানিনা যেতে দেবে কিনা তারিককে। ও আমাকে ৬টার পর জানালো যে অনুমুতি পাওয়া গেছে। ওকে পিক করে গেলাম টিএসসি তে। ওখানে কফি,কাবাব খেয়ে এলাম আমার বাড়ি। রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে এলাম।আজ তারিকের খুশি ছিল আকাশছোঁয়া। আমার আনন্দও ছিল উপচে পড়া। ও বার বার বলছিল আজ নাকি মনে হচ্ছে সে সুস্থ হয়ে গেছে। আল্লাহ ওকে দ্রুত সুস্থ করে দিন।

বাজারের টাকা মারিং কাটিং


বাজারের টাকা মারিং কাটিং করাটা ছিলো আমাদের দৈনিক হাত খরচ যোগাড়ের প্রধান উৎস। ৯০০ গ্রাম মাছ কিনে সেটাকে বাসায় ১ কেজি বলে চালিয়ে দেয়া বা ৩০ টাকার বাজার করে বাসায় ৪০ টাকা হিসাব দেয়া। সেই তখন থেকেই আমরা হিসাব বিজ্ঞানে পারদর্শী। এ জন্যই বোধ হয় আমাদের কলোনীতে কমার্সের ষ্টুডেন্ট বেশী ছিলো। (আমি নিজেও কমার্সের ষ্টুডেন্ট ছিলাম , হা হা হা)। প্রতিদিন সকালের একটি কমন দৃশ্্য ছিলো এ রকম --আমার এক বন্ধু বাজার শেষ করে এক হাতে বাজারের ব্যাগ আর আরেক হাতের আংগুলের কড়ায় হিসাব করতে করতে বাসায় যাচ্ছে, মানে ঐ হিসাব বিজ্ঞান চলছে আর কি। 

স্যার, আপনেকে ফেইস বুক একাওন্ট খুলে দেই


স্যার, আপনেকে ফেইস বুক একাওন্ট খুলে দেই, হারানো মানুষ গুলি খুজে পাবেন। এর আগেও চেষ্টা করেছে আমার একটি একাওন্ট খোলার জন্য। আমি কম্পিওটার শিক্ষিত মানুষ। হাসানকে পাত্তা দেই নাই। এক সাথে কাজ করি। মাঝে মাঝে পুরানো বন্ধুদের নিয়ে গল্প বলতাম। এবার সে আমার দুর্বল জায়গায় আঘাত করেছে। তাই নাকি!! দাও খুলে দাও।

আমার একটি একাওন্ট খুলা হলো। বেশ কয়েক জনকে খুজেও পেলাম। লাইক দেওয়া শিখলাম, ইনবক্সে লিখা যায়, সেটাও জানলাম।

এর/ওর লেখা পরি, লাইক দেই, মাঝে মাঝে কমেন্ট করি। ভালোই লাগে। আবারো এগিয়ে আসলো হাসান। কিছু লেখেন। কি লিখবো!!!! যা মন চাই লেখেন, বন্ধুরা লাইক দিবে, তখন দিগুন উতসাহে লিখবেন। কেউ কেউ কমেন্ট করবে, নিজেকে লেখক লেখক মনে হবে!!!

Sunday, January 17, 2016

কিংবদন্তি এমরান, কিংবদন্তী কোরবান আলী

- Atiq CSM

গতকাল Ripon Akhtaruzzaman ভাই আমার অফিসের আড্ডায় আমাদের দুটি গানের কিছু অংশ শুনিয়েছেন। যার প্রথম টি গেয়েছিলো কলোনির কিংবদন্তি এমরান, ২য় টি অপর কিংবদন্তী কোরবান আলী। মজার ব্যাপার হচ্ছে গান দুটি রিপন ভাই হুবুহু এমরান ও কোরবানের কন্ঠ অনুকরনে গেয়েছেন।

এমরানের কন্ঠে অনুকরনে ১ম গান।
রসের কথা কই কই আর কদিন ঘুরাইবা
মিডা কথা কই কই আর কদিন বারাইবা
কথা দ না আরে তুঁই ভুলিনজাইবা...

২৯ শে জানুয়ারি - প্রিয় সব মানুষের কোলাহল


২৯ শে জানুয়ারি। প্রিয় সব মানুষের কোলাহল। আপনজনদের মিলনমেলা। যাকে আমরা ভালোবেসে নাম দিয়েছি আড্ডা। এটা কি শুধুই কোলাহল আর মিলন মেলা? নাকি শুধুই আড্ডা? নাজমুল মাঝে মাঝে মজা করে বলে, ভাইজান এটা হলো লস প্রজেক্ট। তাহলে কি এটা লস প্রজেক্ট? CSM এর পরের প্রজন্ম আজ দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পরেছে। কি নাই আমাদের? ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/সচিব/ব্যাংকার/আর্মি/ব্যাবসায়ি সব যায়গাতেই আমরা আছি। এই শক্তিটাই আমাদের বিশাল সম্পদ। এখন কথাটি হলো, আমাদের মধ্যে অনেক ভাই বোন হয়তো ভালো অবস্থানে নাই। এত বড় মিলন মেলায়, পুরাতন সম্পর্কের সিঁড়ি বেয়ে নতুন করে সবাই, একে অপরকে চিনবে,জানবে,বুজবে। অসহায় ভাই বোনদের পাশে দাঁড়ানো অনেক সহজ হবে। এই পেজের আমার ভাই/বোনেরা, সামান্য হলেও সে কাজটি করে দেখিয়েছে। তারমানে, পথটি তৈরী হয়েছে। এখন এই পথটিকে মজবুত করতে হবে। এক সাথে হাতে হাত রেখে।

ছোটবেলার কথা


ছোটবেলার কথা।শীতকালের দুপুরে বারান্দায় আসা কড়া রোদে কাঁচের বয়ামে করে জমাট বাঁধা নারকেল তেল রাখা হয়েছে তরল করার জন্য।হঠাৎ শোরগোল। কি ব্যাপার? বয়াম ভেঙে সারা বারান্দা তেলে তেলে মচ্ছব হয়ে আছে।কিভাবে হল,কে ভাংগলো বোঝা যাচ্ছেনা।জিজ্ঞাসাবাদেও কিছু জানা গেলনা।এর মধ্যে ছোট ভাইয়া মোটামুটি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিলো । কড়া রোদে অনেক্ষণ রাখার কারনে অতিরিক্ত গরম হয়ে বয়াম ফেটে গিয়েছে। বড় হওয়ার পরও অনেকদিন পর্যন্ত এই ব্যাখ্যা গ্রহনযোগ্য ছিল আমার কাছে।তারপর হঠাৎ একদিন এই ঘটনা মনে পড়লো।ছোটভাইয়াকে জিজ্ঞেস করায় বল্ল, ওই বয়াম নাকি ওর পায়ের সাথে লেগে ভেঙে গিয়েছিল। আব্বার প্যাঁদানির ভয়ে কড়া রোদে অতিরিক্ত গরম হয়ে বয়াম ভাংগার সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা।

সিএসএম কলোনি তে আমরা যুগ যুগ ধরে এমন বড় ভাই ই চাই এবং এমন বড় ভাই ই হতে চাই


আজ আমার অফিসে রিপন ভাই, রেজা ভাই আর সামি এসেছিল। দুপুরে একসাথে খাওয়া দাওয়ার পর প্রায় ঘন্টা তিনেক জম্পেশ আড্ডা চলল আমার রুমে। রিপন ভাই তার কথা বার্তা দিয়ে মনে হল যেন পুরো স্টিল মিল কলোনিটা কে আমার অফিসে নিয়ে এসেছে,হাসতে হাসতে একটু আগে করা খাওয়া দাওয়া হজম হওয়ার যোগাড়। 

আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এমন কিছু বড় ভাই পেয়েছি যাদের সংগে আমাদের অনেক বিষয়ে মতবিরোধ হয় কিন্তু সেটা কখনোই ব্যাক্তিগত বিরোধে যায়না। একটা সময় পর আবার সব স্বাভাবিক হয়ে আসে। এ প্রসংগে বলা যায় কিছু দিন আগে আমার খুব প্রিয় দুজন বড় ভাইয়ের সাথে নীতি নির্ধারনি বিষয়ে আমার অনেক উত্তপ্ত কথা হয়েছে অথচ সেটা ওই পর্যায় পর্য্যন্ত ছিলো, আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়নি।অনেকেই ব্যবসা বানিজ্য করে অনেক স্বচ্ছল হয়েছেন কিন্তু টাকার গরিমা দেখায়না বা নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ছোট ভাইদের অযথা তৈলমর্দন ও করেন না। স্নেহ দেওয়ার বেলায় কোন কার্পণ্য নেই, আবার দরকারে শাসনও করেছেন।কিন্তু তাদের মধ্যে যথেষ্ট আন্তরিকতা রয়েছে, আছে অন্যের আপদে বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদার ও উন্নত মনমানসিকতা।

সিএসএম কলোনি তে আমরা যুগ যুগ ধরে এমন বড় ভাই ই চাই এবং এমন বড় ভাই ই হতে চাই।

Saturday, January 16, 2016

ঘুমিয়ে ছিলাম ভালোই ছিলাম, জেগে দেখি প্রজন্মের ডাক

- Ava Abid

ঘুমিয়ে ছিলাম ভালোই ছিলাম, জেগে দেখি প্রজন্মের ডাক।
তিলোত্তমা ইস্পাত নগরীর সোনার সন্তানেরা, দিয়েছে সে ডাক
ঝিমানো গেল না, জাগতেই হলো, শুনে সে হৃদয় নিংড়ানো হাক।
টগবগিয়ে আশার কথা বলছে, স্বপ্নের কথা বলছে ওরা
এখন যৌবন যার, যুদ্ধের সময় তার,
সে যুদ্ধ আবেগের,মিলনের, হতাশ প্রাণে আশা জাগানোর,
স্মৃতি হওয়া ইস্পাত নগরীকে সামনে নিয়ে এলো।
এ তো এখন স্বপ্নের স্মৃতি, যেন হরপ্পা মহেঞ্জোদারো
যদি থাকে অন্তর নিংড়ানো ভালোবাসা সম্মান জনক কিছু করা যায়।
প্রমান সোনার প্রজন্মের নজিরবিহীন তৎপরতা।
স্মৃতির মিনারে স্মৃতি টিকে থাকুক যুগ-যুগ-শত যুগ
কখনো ভুলি না যেন তোমাদের সুন্দর-সুন্দর মুখ।
সময়ের দাবিতে ম্রিয়মাণ আজ পূর্বসূরি যারা
তোমাদের আলোতে আজ আলোকিত তারা।

আমি আজ তারিকের কথা বলবনা


আমি আজ তারিকের কথা বলবনা, আমি শামীমের কথা বলবনা ,বলবনা সেই বড় ভাইয়ের কথা, আমি আজ বলব ওই নিরীহ ছোট্ট ভাইয়ের কথা, সে নিরীহ অথচ খুবই একটিভ। আমার অফিসে এসেছিলো, অফিস থেকে বের হয়ে একটি অনাকাংখিত ঝামেলায় পড়ে গেলো,ঘটনা আমার অফিসের কাছেই অথচ অক্ষমতার চুড়ান্ত প্রকাশ দেখালাম আমি, যেতে পারিনি ছোট ভাইটির সহায়তায়। ছুটে আসলো দুজন বড় ভাই নিজের সব কাজ ফেলে রাতদিন ছুটোছুটি করল,আমি খালি মোবাইলেই খবর নিয়ে দ্বায়িত্ব শেষ করেছি। আমি কিছুই করতে পারিনি।

Friday, January 15, 2016

কলোনি তে থাকতে আমাদের বাসার এক অলিখিত নিয়ম ছিল


কলোনি তে থাকতে আমাদের বাসার এক অলিখিত নিয়ম ছিল।বাসায় কেউ বেড়াতে আসলে তাকে পতেংগা সিবিচে নিয়ে যাওয়া হত।আমার কখনোই যেতে ইচ্ছা করত না।কারন আমাদের বাসার ছাদে গেলে সমুদ্র টাকে দেখতে পেতাম।পানির উপর অনেক জাহাজ।পানির উচ্চতা টা এমন যে এক্ষুনি উপচে পড়বে। বোকা বোকা চোখে আমি অনেক বিস্ময় নিয়ে হা করে তাকিয়েই থাকতাম।আর এক অদ্ভুত ভাল লাগা অনুভব করতাম।

এখনো ছাদে উঠি।কিন্তু আগের মত সমুদ্র দেখতে পাইনা।দখিনা বাতাস যেন অধরা।চারপাশে কেবল ইট পাথরের দালান।দম বন্ধ হয়ে আসে।

তবুও ভাবি দখিনের জানালাটা খোলা থাক,
আলো আসুক, আলো যাক।

আমি খুব ভুলোমনা মানুষ


আমি খুব ভুলোমনা মানুষ। প্রায় কিছুই মনে রাখতে পারিনা। আম্মা আমাকে ডাকে "ভুলা মিয়া"। আম্মা আমাকে যদি চিনি, লবন আর ডাল আনতে বলে আমি চিনি আর লবন নিয়ে চলে আসি, ডাল আনতে ভুলে যাই। এজন্য আম্মা আমার উপর ক্ষেপে যায় মাঝে মাঝে। দুঃখ করে বলে "তুই জীবন কাটাবি কেমন করে যদি এতো ভুলোমন হোস"। আমি হেসে উড়িয়ে দেই অথবা রেগে গিয়ে বলি "তুমি শুধু চিনি আর লবন আনতে বলছো, ডালের কথা বলো নাই"। আম্মা প্রতিবাদ করে বলে "আমি তিনটাই আনতে বলছি, তুই ভুলা মিয়া ভুলে গেছস"। 

আমি তখন খড়কুটো আকড়ে ধরার মতো শেষ ভরসা হিসেবে বলি "তাহলে তুমি ফিসফিস করে বলছো তাই শুনি নাই"। তাতেও লাভ হয়না খুব একটা, আম্মার পক্ষে কিছু সাক্ষী সাবুদ জুটে যায় আম্মা নাকি যথেষ্ঠ চিৎকার করেই তিনটা জিনিস আনতে বলেছে। এই ভুলে যাবার রোগ নিয়ে আমি কি যে যন্ত্রনায় আছি। অনেকদিন আগের কথা, একবার আম্মা কোথায় যেন যাবে আমাকে বলল ট্যাক্সি এনে দিতে। আমি বের হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্যাক্সি ডাকার কথা ভুলে গেলাম এবং আধঘন্টা বাইরে ঘুরে এসে বাসার সবার টিটকারির মুখে পড়লাম। আমি মানুষের নাম ভুলে যাই, চেহারা ভুলে যাই, বাসার ঠিকানা ভুলে যাই, চেক কাটতে গেলে সিগনেচার ভুলে যাই, মুভি দেখতে গিয়ে কে নায়ক সেটা ভুলে যাই তাই বারবার মুভির শুরুর দিকে গিয়ে দেখে আসতে হয়। 

প্যাটার্ন



কিছু দিন আগে জনি এর সাথে চ্যাট করতে গিয়ে গল্পের প্যাটার্ন নিয়ে কথা বলছিলাম। অনেকটা না বুঝেই গল্পের প্যাটার্ন কি রকম হয় এইটা নিয়ে কিছু লিখবো বলে ফেলেছি। মাঝে মাঝে বোকার মতো কথা বলে বসি এইটা তার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।এখন এর দায় টানতে হচ্ছে।আমি গল্পের কোন নির্দিষ্ট প্যাটার্ন থাকে এইটা বিশ্বাস করিনা।যার যেমন ইচ্ছে শুরু করতে পারে।কোন সমস্যা নেই।তাহলে জইন্নারে আমি কি বলবো ? আমি যে প্যাটার্নে লিখি তা শেয়ার করা যেতে পারে।দেখি জইন্নার মন ভিজতেও পারে ?আমি প্রথমে কি নিয়ে লিখবো তা ঠিক করে নেই। তারপর চরিত্র গুলো কে সাজাই। আশে পাশের মানুষ গুলো কি স্ট্যাইলে কথা বলে,বিশেষ মুহুর্তে কেমন আচরন করে তা বুঝার চেষ্টা করি। সেই টাই লিখার চেষ্টা করি। একটু এক্সপ্লেইন করি। 

ধরা যাক আমার গল্পের একটা চরিত্র X।এই X কে আমি Jashim ভাই ভেবে লিখবো। এখন পার্টিকুলার কোন সময়ে জসিম ভাই কেমন আচরন করবে তাই দেখানোর চেষ্টা করবো। কোন ভাবেই আমি আমার চিন্তা সেই MR X এর উপর চাপিয়ে দিবো না ।এইটা করতে গেলে গল্পের ফোকাস টা নষ্ট হয়ে যাবে। 

Thursday, January 14, 2016

আলোচনা সমালোচনা আর শেষে সমাপ্তি....


আলোচনা সমালোচনা আর শেষে সমাপ্তি.... 
শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ।

রাস্তা পার হলাম, সবাই যার বাড়ীর পথে রওয়ানা দিয়েছেন আর এবার আমার পালা। কিন্তু গিড় ষ্টার্ট দেয়ার পর দেখলাম সামনের দুই চাকাতেই হাওয়া নাই। ঘড়ী বাজে রাত ১০:৩০, কোন কিছু চিন্তা নাকরেই ফোন লাগালাম জসিম ভাইকে, কিনতু তিনি ততক্ষনে নেটওয়ার্কের বাহিরে নাকি কঠিন ষড়যন্ত্র!!!! পাওয়া গেলো না, ফোন দিলাম ছোট ভাই টিপুকে আর সে চলে আসলো আমাদের মামুনকে নিয়ে। পাশেই দেখলাম তিনজন ভদ্র লোক আলাপ চালাচ্ছেন.... 

তোমার ভালোবাসার চারাগাছটা বাড়েনা কেন?

- Javed


তোমার ভালোবাসার চারাগাছটা বাড়েনা কেন?
আমিতো নিয়ম করে জল দেই,
প্রেমের স্বল্পতা দেখতে পেলে
অকৃপনভাবে দেই প্রনয়ের সার।
মাঝে মাঝে দক্ষ মালির মতো
ছেঁটে দেই অপ্রেমের ডালপালা,
উপড়ে ফেলি সন্দেহের আগাছা
তবু তোমার ভালোবাসার চারাগাছ বাড়েনা কেন?
এদিকে আমার ভিতরের গাছটা তরতর করে কেবল বাড়ছে।
সেদিনের সেই ছোট্ট গাছটা
বাড়তে বাড়তে আজ মহীরুহ।
গভির থেকে গভিরে ছড়িয়ে দিচ্ছে শেকড়।
বেড়ে উঠো গাছ,
ঝড় বাতাসে, আগুনে, ভাঙ্গনে
একসাথে থাকি।
এক মাটিতে,
এক সূর্যতলে।

আমরা যারা এই পেজের সাথে আছি তারা সকলে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি


আগামী ২৯/১/১৬ আমরা সিএসএম কলোনীর সকল ভাই- বোন এক আড্ডায় মিলিত হতে যাচ্ছি।সেখানে আমাদের যাদের বাবা- মা, স্যার- আপা জীবিত আছে তারা ও আসবে ইনশাআল্লাহ।আমরা যারা এই পেজের সাথে আছি তারা সকলে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি সকলকে আমাদের এই আড্ডায় আনার,তারপর ও যদি কেউ বাদ পরে বা কারও কাছে যদি খবর না পৌঁছে, তাহলে আমরা ছোট- বড় ভাই - বোনরা তাহাদের নিকট ক্ষমাপ্রার্থী।আর আমদের কারণে কেউ যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য আমরা ক্ষমাচাচ্ছি।

Wednesday, January 13, 2016

শিশু সমাজের নিজস্ব কিছু নিয়মনীতি আছে

- Javed

শিশু সমাজের নিজস্ব কিছু নিয়মনীতি আছে। শিশুরা সেসব নীতি কঠোরভাবে পালন করে। আমার ছেলেবেলায় আমিও সেসব নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে এসেছি। এসব নিয়ম মেনে না চললে কি বিশাল বিশাল বিপদের সম্মুখীন যে হতে হয় তা বড়রা কখনোই জানবে না। নিয়মগুলো মেনে চলেছি বলেই কোন বিপদে না পড়ে শিশুকালটা পার করে আসতে পেরেছি।

ছোটবেলার কারো সাথে কিছু মিলে গেলে চিমটি দেয়ার রেওয়াজ ছিলো। সময়মতো চিমটি না দিলে তার সাথে ভয়াবহ দাঙ্গা ফ্যাসাদ হবার সম্ভাবনা থাকে, এমনকি খুনোখুনিও হয়ে যেতে। মিলের তীব্রতা বেশি হলে ক্ষেত্র বিশেষে ঘুষি বা কিল দিয়ে মিলের অশুভ প্রভাব কাটানো হতো। বন্ধুর হত্যাকারী হবার চেয়ে আমরা হাসি মুখে দুচারটি চিমটি, ঘুষি, কিল হজম করে নিতাম।

গল্প ২( সত্য কাহিনী অবলম্বনে)


সামনের গ্র‍্যান্ড আড্ডা কে ঘিরে এবার ও খাওয়া দাওয়ার গল্প। গল্প ২( সত্য কাহিনী অবলম্বনে)।

আমার মনে হয় সি-টিইপের পোলাপাইনদের মাথায় একটু ব্যাতিক্রম চিনতা ভাবনা ঘুরপাক খেত। তারই ধারাবাহিকতায় একবার আমরা প্ল্যান করলাম পিকনিক করবো কিন্তু একটু ব্যাতিক্রম ভাবে। আমরা গতানুগতিক মুরগী গরুর মাংস দিয়ে পিকনিক না করে শিকার করা পাখির মাংস দিয়ে পিকনিক করবো। প্ল্যান অনুসারে যারা সিনিয়র যেমন বিপুল ভাই, ডালিম ভাই, পাপ্পু ভাইরা কলোনির বাইরে থেকে পাখি শিকার করবে আর জুনিয়র রা কলোনির ভেতরে। কলোনির বাইরের টার্গেট হল বক, মাছরাংগা আর ভেতরে হল অসহায় জালালি কবুতর। বক ধরার জন্য সিনিয়র রা পুরাতন ছাতার শিক দিয়ে কয়েকটা ফাদ বানাল ফাদের নাম " টেট্টা"। তারা ভোর বেলা তেই বেরিয়ে পরল। আর আমাদের সহায় "গুলাল"। সবাই যে যার মত সাক্সেসফুলি কাজ শেষ করল। আর এইবার রান্নাবান্না হল বিপুল ভাইদের বাসায়। উফ সেই মজা বকের মাংস। Orange Bipul Jahid Hossen Monowar Dalim Dalim Sumon Islam

Tuesday, January 12, 2016

সবই শাবনাজ নাঈমের চাঁদনী ছবির কল্যাণে


১৯৯১ সালে আগ্রাবাদের বনানি বা উপহার সিনেমা হল থেকে চাঁদনী ছবিটি দেখে আমি, মনিরুল আর ভুতের আন্ডা বাবু বেবী টেক্সি করে কলোনি তে ফিরছিলাম, সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা আসার পর দেখি রাস্তার মাঝখানে রেল লাইনে চার পাঁচটি খালি মালবাহি বগি দাঁড়িয়ে আছে, আর রাস্তার দু পাশে অনেকগুলো গাড়ি আটকা পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ঐ বগি গুলোর ইঞ্জিন হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায় তাই এ বিপত্তি। পরে আটকে পরা গাড়ি গুলো থেকে সব ড্রাইভার আর যাত্রী রা নেমে ঐ ইঞ্জিন থেকে বগি বিচ্ছিন্ন করে বগিগুলো ধাক্কিয়ে রাস্তার উপর থেকে সরিয়ে দেয়। জীবনে নষ্ট অনেক গাড়ি হয়ত ধাক্কা দিয়ে সরিয়েছি, কিন্তু মালবাহী ট্রেন ধাক্কিয়ে নেওয়া এই প্রথম। সবই শাবনাজ নাঈমের চাঁদনী ছবির কল্যাণে।

প্রাইমারি স্কুলের সময়কার ঘটনা


পাপ্পু ভাই ডালিম ভাই দের বাসার কাছে একটা ড্রেনের এন্ডিং ছিল যা আমরা সি টাইপের পোলাপাইনরা মিলে মূল ড্রেন থেকে ইট সিমেন্ট দিয়ে আলাদা করে ফেলেছিলাম মাছ পালবো বলে। আমরা যে যেভাবে পারি কলোনির বিভিন্ন মাছের সোরস থেকে মাছ এনে ছারা শুরু করলাম। আমাদের মেইন সোরস ছিল বাইরের মসজিদের পুকুর আর হাউস। এই কাজে ব্যাপক পারদর্শী ছিল মোল্লা সুমন। মাক্সিমাম মাছ ছিল তেলাপিয়া। এভাবে আমাদের মিনি পুকুর টা অল্প দিনেই মাছে মাছে ভরে গেল। 

একদিন মহিম আর ছোটন ভাইয়ের বাবা বাজার থেকে চিরিং (চাটগাঁইয়া ভাষায়) মাছ নিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকটা রাস্তায় পরে গেলে সেই মাছ গুলোও আমরা ধরে আমাদের মিনি পুকুরের বাসিন্দা বানিয়ে দিলাম। ইতিমদ্ধে তেলাপিয়া মাছ পোনা দেয়া শুরু করেছে। সে যে কি আনন্দ বোঝাতে পারবনা। কিন্ত কিছু দিন পর খেয়াল করলাম আমাদের মাছের পরিমান কমতে শুরু করেছে। 

Monday, January 11, 2016

আবার হবে তো দেখা


পল্লি কবি Jashim Uddin (ভাই) & বিদ্রোহী কবি কাজী Nazrul ইসলাম (ভাই) এর ডাকে সাড়া দিয়ে আকাশে Chand (bubu) উঠেছে। তারমানে আড্ডার দিন ঘনিয়ে আসছে। আড্ডা মানেই তো খাওয়া আর খাওয়া , শুরুতেই খাসির Rezala । খাওয়া নিয়ে কিছু @কমু ( ভাই) । আপনি যে Manush এইটা মনে রাখবেন নয়তো ব্লাড প্রেসার হুহু করে বেড়ে যাবে । খেতে নিষেধ করছিনা কিন্তু রয়ে সয়ে Khan.

Sunday, January 10, 2016

এ্যারে এইখানে কে রে, কার ডিউটি


সিকিউরিটি চীফ আতিক কাকা প্রায় দিনই রাতের বেলা কলোনির বিভিন্ন গার্ড পোস্টে পরিদর্শনে যেতেন, সেখানে কর্তব্যররত গার্ড কে যথা স্থানে না পেলে উনি উনার ভারী গলায় চিৎকার করে বলতেন " এ্যারে এইখানে কে রে, কার ডিউটি ", কাকার এই চিৎকারে সেখানকার দায়িত্বররত গার্ড দৌড়ে কাকার সামনে এসে যা বলার বলত, এই ব্যাপার টি খেয়াল করেছিলো বন্ধু বদরুল, সে আবার মানুষের গলা ভালো নকল করতে পারতো, বদরুল কয়েক দিন পর পরই এভাবে অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাকার গলা নকল করে বলত " এরে এইখানে কে, কার ডিউটি " এমন আওয়াজ শুনে সেখানকার গার্ড তো পড়িমরি করে ছুটে আসতো, কিন্তু এসে কাউকে দেখতোনা, আর বদরুল তো চিৎকার দিয়েই পগারপার। এভাবে কয়েক রাত ধরেই বিভিন্ন পোস্টের গার্ড দের বদরুল বিভ্রান্ত করতে লাগলো,। কিছুদিন পরই আতিক কাকা বিষয়টি জানতে পারলেন, পরে উনি আমাদের কয়েকজন কে ডেকে নিয়ে বললেন " এ্যারে তুগো মইদ্যে কনে জানি আঁর গলা নকল করি আঁর গার্ড বেজ্ঞুনেরে হেরেস কইত্যেসে তুরা বেয়াকে সাবধান হই যা"

এর পরও কিছুদিন বিরতি দিয়ে বদরুল আবার একই কাজ করতে লাগলো। কিন্তু আজ পর্য্যন্ত কাকা বুঝতে পারেন নি এই কাজ টা কে করেছে। এই লেখাটি চোখে পড়লে অাজ যদি উনি বুঝতে পারেন। 

গ্রান্ড আড্ডার দিন আমার মনে হয় এ ধরনের একটি আওয়াজের আয়োজন করা যেতে পারে।

আমাদের স্মরনিকা নিয়ে কিছু বিতর্ক


গতকাল ০৯.০১.১৫ইং তারিখে রাঙ্গামটি পিকনিকে যাওয়ার কারনে সারাদিন FB তে ঢুকি নাই। রাত প্রায় 12টা হয়েছিল বাসায় ফিরতে FB তে দেখলাম আমাদের স্মরনিকা নিয়ে কিছু বিতর্ক। এই ব্যাপারে আমার স্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য আমার এই লিখা। আমরা যারা চট্টগ্রামে বসবাস করি আমাদের গ্র্যান্ড আড্ডার আনুষাঙ্গিক কাজ নিয়ে ব্যাস্ততার কারণে স্মরনিকার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়ে গিয়েছিল। স্মরণিকা বের করার ব্যাপারে অনেকের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে আমি ঢাকায় যারা থাকে তাদের মধ্যে জাবেদকে জিজ্ঞাস করলাম ’26/27 দিন সময় আছে এর মধ্যে স্মরণিকা বের করা সম্ভব কিনা ‘ জাবেদ জানালো আপনাদের সহযোগিতা পেলে অবশ্যই সম্ভব। 

ছেলেটা চ্যালেন্জ নিল। আমি রেজা ভাই, জসিম ভাই, আতিকের সাথে কথা বললাম তারাও একমত হলেন। রিপন, বন্যা, কমু, টিটু, পূলক, নোমি, আপেলসহ অন্যাদের সহযোগিতা নিয়ে জাবেদ কাজ শুরু করল। রাতদিন পরিশ্রম করছে এই গ্রুপটা। এতবড় একটা অনুষ্ঠান করছি আমরা অথচ একটা স্মরণিকা থাকবে না এইটা বেমানান। সুন্দর এর প্রতি আমার সমর্থন সবসময় ছিল তোমাদের সবার সহযোগিতায় 29 শে জানুয়ারী একটি সুন্দর স্মরণিকা প্রকাশিত হোক এটাই অমার কামনা। সবার মঙ্গল কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

ম্যাগাজিনের ব্যাপারে


ম্যাগাজিনের ব্যাপারে নাজমুল ভাই সকালে একটি চমৎকার পোস্ট দিয়েছেন, আমি নাজমুল ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে আরেকটু বলতে চাই, যতটুকু জানি সময় স্বল্পতার কারনে এখানে নতুন কোন লেখা নেওয়া হয়নি,ফেসবুকের পুরানো লেখা গুলো থেকে বাছাই করে লেখা দেওয়া হচ্ছে, এমন কি আমি নিজেও জানিনা আমার কোন লেখাটা এখানে দেওয়া হচ্ছে বা আদৌ দিবে কিনা। প্রথম বার কাজ করতে গিয়ে হয়ত একটু কাজ অগোছালো হচ্ছে, ইনশাল্লাহ পরের বার সব ঠিক হয়ে যাবে, সবার কাছে আমি হাত জোড় করে অনুরোধ করছি আসুন আমরা একে অপর কে সহযোগিতা করি, সবই তো আমরাই। আমার এ পোস্ট টিতে প্লিজ কমেন্টস করবেন না, জাস্ট আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ নিয়ে এসেছি। আমি জানি আপনারা আমাকে নিরাশ করবেন না, আমি খুব আশাবাদী একজন মানুষ।

সারপ্রাইজ


গতকাল তারিক কে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, ব্যস্ততার কারনে অনেক দিন পর সেখানে গিয়েছি, তাছাড়া ৮ জানুয়ারী তারিকের জন্মদিন ছিলো, এ সুযোগে তাকে দেরীতে হলেও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম, কিন্ত তারিক আমাকে বা আমাদের উপহার দিলো সারপ্রাইজ, দীর্ঘ ৬ বছর পর সে কোন সহায়তা ছাড়া বিছানা থেকে নিজে নিজে উঠে দাঁড়াতে বা বসতে পারে।

সবাই আমরা দোয়া করি সে যেনো এ রকম আরো সারপ্রাইজ আমাদের উপহার দেয়।

video Link: https://www.facebook.com/atique.atiq.7?fref=nf

স্মরনিকা নিয়ে কিছু বিতর্ক



বিষয়টি নিয়ে আমি কোন কথা বলবো না বলে সিদ্ধিন্ত নিছিলাম। কিন্তু দেখলাম সবায় মিলে একটা সাধারন প্রস্তাবকে বির্তক বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আমাদের উচিত প্রত্যেকের মতামতকে নুন্যতম সম্মান দেখানো। কারো প্রস্তাব মানা সম্ভব না হলে তাকে সম্মানের সাথে না করা যায়। এমন কোন উপমা দেয়া ঠিক নয় যাতে কোন মানুষ কষ্ট পায়। আমরা এখানে নিজেদের বাহাদুরী দেখাতে এই পেজে আসি নাই। আমরা এখানে আসছি নিজেদের যার যার আবেগের তাগিদে। সকলের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই আমরা কেহই এখানে ব্যক্তি র্স্বাথ চরির্তাথ্ করতে এখানে আসি নাই, আমরা আজ ১৫ বছর পর মিলিত হতে চাচ্ছি শুধু আমাদের মন চাইছে বলে। আমাদের কারোরই এমন কোন সময় নাই যে কোন একটা দাওয়াতে অংশগ্রহন করি, কিন্তু এই আড্ডা সফল করার জন্য নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে এবং যার যার পকেট থেকে টাকা খরচ করে প্রতিটা দিন চেষ্টা করে যাচ্ছে আমাদের ছোট ও বড় ভাইয়েরা। এমন অনেক ভাইয়েরা আছেন যারা তাদের ব্যবসার খবর ঠিকমতো রাখেন না কিন্তু প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন আড্ডার জন্য, অথচ বাজার হয় নাই সময়ের অভাবে।

আর কত দূর বল মা



পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব মাগো বল কবে শীতল হব, কত দূর...... আর কত দূর বল মা............

পুড়া দুইটা দিন, একটা পোস্ট আর এর related কমেন্ট গুলা খুব মনোযোগ দিয়ে পরছিলাম। অনেকের সাথে আমিও একমত স্মরনিকার বিকল্প নাই এবং অন্তর থেকে এর প্রকাশনার সফলতা কামনা করি। কিন্তু দুঃখ জনক হোল এই বিতর্কের সৃষ্টিটা নিয়ে। মামুন,... দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশী সময় যে ছেলেটা অদম্য পরিশ্রম করে গেছে, শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত যে খুজে বেরিয়েছে কোথায় আছে CSM এর পলাপাইন, যে কিনা একটা মিটিং কখনো মিচ করে নাই, নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে MFC এর মত restaurant এ CSM এর ভাই বোন দের মিলিত করার চেষ্টা করেছে শুধু মাত্র একটা সফল get together এর জন্য, তার একটা ছোট প্রস্তাব কে নিয়ে এতরকম কম্মেন্তস????????? 

টিংকু পোলার সাজা চাই, বিচার চাই


E-টাইপে একটি স্লীপার ছিল ।যা ছিল সব ছেলে মেয়ের পছন্দ ।মক্তবে পড়াকালীন আমি ,একা আর মেরীর প্রথম কাজ ছিল হুজুরের কাছে পড়া শেষ করে স্লীপারে গিয়ে স্লীপ খাওয়া ।সময় অসময় আমাদের টিংকু ও সাথে যোগ দিত ।কারণ স্লীপার ছিল তাদের বাসার নিকট ।একদিন আমরা টিংকু সহ মক্তব পালালাম ।But আমার কপালে ছিল শনি ।টিংকু হঠাত্‍ করে আমারে স্লীপারের একেবারে উপর থাইকা ডাক্কা মারলো ।আমি কিছু বুঝার আগেই দেখলাম পড়ে আছি এক্কেবারে স্লীপারের নিচে ।হাতে কিছুটা চোট পাইছিলাম কিন্তু তা সাময়িক ।পায়ে যে চোট পাইছি তা আজও মাঝে মাঝে ভোগায় ।আমি CSM colony'r বড় ভাই আপাদের কাছে এর বিচার চাই । বিচার চাই ।টিংকু পোলার সাজা চাই ।বিচার চাই ।

Saturday, January 9, 2016

ভিতরে ভিতরে সবসময় আমার একটা গর্ব কাজ করে


ভিতরে ভিতরে সবসময় আমার একটা গর্ব কাজ করে যে, এই পেজ বা গ্রুপ টা তৈরি র পিছনে আমার একটু হলেও অবদান আছে, দিনের পর দিন ব্যক্তিগত এবং অফিসের কাজ তুলে রেখে এই পেজে সময় দিয়েছি, একটা সময় হতাশ হয়ে Anisur Rahman Reza ভাইকে বলেছিলাম, রেজা ভাই আমি আপনি আর দু একজন ছাড়া কাউকে তো পাচ্ছিনা, তখন রেজা ভাই বলেছিলো অপেক্ষা কর, অনেকেই আসবে, ঠিক তাইই, আজ এই পেজ জমজমাট এক পেজ এ পরিণত হয়েছে, যার মাধ্যমে কিছু কল্যাণকর কাজের পাশাপাশি, আমরা কলোনি বাসীর এক মহা মিলন মেলা বসাতে যাচ্ছি, যা আজ থেকে ৬ মাস আগেও কল্পনা করা যেতনা, সবাই অধীর আগ্রহভরে এ গ্রান্ড আড্ডার জন্য প্রতীক্ষায় আছে। প্রথম বারের মত এ আয়োজন করতে গিয়ে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকাটা স্বাভাবিক, বরং না থাকাটাই ছিলো অস্বাভাবিক।

ইশ আর একটি বার



ইশ আর একটি বার-----। ছোট এই জিবনের একটি ভালোলাগা। বন্ধুরা কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জি. কেউ আরো বড় অনেক কিছু। আমি কিছুই না, এই আফসোসটা আমার নাই। আমি আমাকে নিয়ে সুখি।
একটি যায়গাতে এসে মাঝে মাঝে থেমে যায়।
ইশ আর একটি বার ---- দিনগুলি ফিরে পেতাম, হারিয়ে যেতে দিতাম না।

চাঁদের বুড়ি


CSM colony'r আমরা সবাই কম বেশি হুজুরের কাছে মক্তবে পড়তে যেতাম ।হুজুর ছিলেন যেমন রাগি তেমনই রসিক ।তিনি তাঁর প্রিয় ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন নামে ডাকতেন ।কার কার মনে আছে সেই কথা ? হুজুর আমার ও একটি নাম দিয়েছিলেন এবং সব সময় সেই নামে ডাকতেন ।but সে নাম ছিল আমার বড়ই অপছন্দ ।কিন্তু এখন যখন সে নাম মনে পড়ে তখন মনটা কেঁদে উঠে ।সে কলোনি মরে গেছে , but আমরা বেচেঁ আছি ।কখনও কি ফিরে পাব সেই জীবনটা ।হুজুরের সাথে যখন একবার অনেক বছর পর দেখা হলো হুজুর আমাকে ঝুমুর বলে না ডেকে - বললেন চাঁদের বুড়ি তুই ভাল আছিস ?কোথায় রাখি এই ভালবাসা ???

রেজাভাই জড়িমানা হিসেবে ৩৮৭ টাকা


রেজাভাই জড়িমানা হিসেবে ৩৮৭ টাকা ও টেনসনের জন্য বাড়তি দিতে প্রস্তুত থাকুন, নইলে দূূবার আন্দলন শুরু হবে! ঘটনার নেপথ্য হচ্ছে এই সিএসএম কলোনি নামক পেজ যার গুরু আবার রেজা ভাই। আজ আমি একটি কাজে ভারতে যাওয়ার জন্য সোহাগ বাসের টিকিট নেই ও যথাসময়ের পূর্বেই কাউন্টারে আসি। এসেই মশগুল হয়ে যাই সিএসএম পেইজে, ফলাফল যা হবার তাই হলো। এ্যানান্স হলো যথাসময়ে কিন্তু আমি ব্যাস্ত রেজাভাই, আতিক্কা ও জাভেদের কয়েকটি পোস্টে, গাড়ি তার সময়মত মালিবাগ ত্যাগ করার ১৫ মিনিট পর আমাদের সম্ভিত ফিরে পাই। দৌড় ঝাপ শুরু হলো সিএনজির খোঁজে গন্তব্য আবদুল্লাহপুর, ভাড়া ৩৫০ টাকা ও ফোন খরচ ৩৭ টাকা গচ্চা, সাথে টেনসন নামক মহা রোগ। আল্লার অশেষ কৃপায় ও সিএনজি চালকের চতুরতায় ১২.৪৫ কাঙিত বাস পাই। এবার বুঝুন সিএসএম পেইজের কেরামতি! আপনারা কেউ আমার সাথে আন্দলনে থাকবেন, যদি না থাকেন তবে একাই লরব জড়িমানা আদায়ে, 
যদি তোর ডাক শুনে
কেউ না আসে
তবে একলা চলো রে।

Friday, January 8, 2016

শুভ জন্মদিন যাদুকর, শুভ জন্মদিন


অক্টোবরে পপুলার হসপিটালে গিয়ে বসেছিলাম আমি, নাজমুল ভাই, রেজা ভাই, পুলক, টিপু আরো কয়েকজন। অপেক্ষায় ছিলাম। নাটোর থেকে তারিক ভাই আসছেন। এক সময় তিনি এলেন। শারীরিক অসুস্থতা আর ভ্রমন ক্লান্তিতে বিধ্বস্ত। ইমারজেন্সিতে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ভর্তি করে নেয়া হলো কিন্তু ভর্তির দাপ্তরিক কাজ কর্মের কারনে হসপিটালের লবিতে কিছুক্ষন নিজের হুইল চেয়ারে বসে থাকতে হয়েছিলো তারিক ভাইকে। তখন উনার সাথে আমার টুকটাক কথা হচ্ছিলো। এক পর্যায়ে তারিক ভাই উঠে দাঁড়াতে চাইলে উনাকে ওয়াকার দিয়ে দুজনে ধরে দাঁড় করালো তবে বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতেও পারলেন না। আমি খুব ব্যথিত হয়েছিলাম সেদিন।

আমার মেয়েদের জন্য ভালো ছেলে খুঁজে বের কর


নাজমুল, সালাম
কেমন আছ?
তোমার ছেলেরা কে কোন ক্লাস এ আছে?
তোমাদের সবার সাথে কাটানো আমার দিনের ঐ সময়টুকু স্বর্গীয়৷
অনেক fun হোলো সেদিন, মনে কিছু রেখো না....কিন্তু ছেলে আমার চাই.....
নাজমুল, আমার মেয়েরা আমার জানের টুকরা ৷ প্রাত্যহিক জীবনে, অফিস, ঘরকন্যার কাজ শেষে যে টুকু সময় পাই পুরোটা আমার মেয়েদের নিয়ে কাটে ৷ ওদের পড়াশোনা, খেলাধুলায় অংশগ্রহন, আরবী পড়া, cooking, gardening, শেখানো, friday night এ, একসাথে movie দেখা, গান শোনা, আরো যত fun করা যায়...কোনটা বাদ রাখি না৷ ...তখন বোঝা দায় যে আমরা কে মা আর কে মেয়ে...

০৭/০৪/২০১৩ চইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সব শেষ গিয়েছিলাম


০৭/০৪/২০১৩ চইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সব শেষ গিয়েছিলাম। অবশ্য অন্য কাজে। আমার একটা ছোট কন্সট্রাকশান কাজ চলছিল KEPZএ। এক নজর কাজ দেখে মনের ভিতর আকুপাকু চলছিল কখন স্কুল কম্পাউন্ডে ঢুকব। সাথের লোকজন বুঝতে পেরে বলল, চলেন ভিতরে যাই। আমাদের কয়েক জনকে দেখে স্যাররা দেলয়ার ভাইকে পাঠালেন। দেলয়ার ভাই চ্যালেঞ্জ করলেন যদি এ স্কুলের হন আমাকে চিনেন কিনা বলেন। আমি বললাম, আপনি দেলয়ার ভাই? আমাকে না চিনলেও আব্বাকে চিনতে পারছিলেন। দোতলায় উঠার সময় চোখে কি যেন হল। সাথের লোকজন আমাকে স্পেস দেয়ার জন্য অন্যদিকে চলে গেল।

কংকাল হোলা না মাইয়া !!!


একবার আমাদের ক্লাসের পোলাপাইনের প্রেকটিক্যাল ক্লাস হচ্ছে, ক্লাস নিচ্ছেন আমাদের আনোয়ার স্যার। আমরা সবাই প্রেকটিক্যাল ক্লাসের এইটা সেইটা ঘাটা ঘাটা করছি, অবার অনেক জিনিস দেখে অবাক হচ্ছি, হাসা হাসি করছি।
কিন্তু আমাদের Iftakhar Iftakhar ইফতেখার একটা টেবিলের সামনে বসে টেবিলের উপরে রাখা একটা ছোট প্লাস্টিকের ডামি কংকালের দিকে একনজরে তাকিয়া আছে !!! এত মনযোগ সহকারে দেখছিলো, মনে হচ্ছিলো কংকালের এই দশা দেখে ইফতেখার খুব অবাক !!!!

Thursday, January 7, 2016

স্মৃতিচারণ


বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। কখনও হাফ প্যান্টের পকেটে কিংবা কখনও লুঙ্গির কোছায় প্রায় ৮০/১০০ মার্বেল নিয়ে বুইজ্জার বাগানে খেলায় নেমেছি।খেলা শেষে প্যান্ট বা লুঙ্গি মার্বেলের ভারে খুলে যায় যায় অবস্থা কারন এখনতো সাথে ৩০০/৩৫০ মার্বেল। পানির পাম্পে উঠে সেগুলোকে নীচের দিকে ছুঁড়ে মারতাম আর নীচে থাকা ছোটরা সেগুলো কুড়ানোয় ব্যাস্ত। যারা কুড়িয়ে একদম পেতোই না তাদেরকে আবার দয়াবশত ১০/১২ টা এমনিতেই ধরিয়ে দিতাম।

একটা রড বাঁকা করে গোলাকৃতি করে আরেকটা রড বিশেষভাবে বাঁকিয়ে কত যে চালিয়েছি। সেগুলো নিয়ে চালাতে চালাতে আবার ড্রেন লাফও দিতাম। বুইজ্জার বাগান ছিল নারিকেল গাছে ভরা। আর গাছের শিকড়্গুলো ছিল সাতচাড়া কিংবা নই খেলার উপকরন। সিগারেটের প্যাকেট ছিঁড়ে টাকা হিসেবে ব্যাবহার করতাম।

আমরা কিছু "দম ফাটানো হাসির বানী" আশা করছি সবার কাছে


অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন "যে কখনও ভুল করেনা। সে নতুন কিছু করার চেষ্টা করে না।"।
প্লেটো একবার বললেন, ‘মানুষ হলো একটি পালকবিহীন দুই পাবিশিষ্ট প্রাণী।’

এর কিছুদিন পর এক গবেষক একটি পালকবিহীন মুরগি নিয়ে প্লেটোর ক্লাসে হাজির হলেন। বললেন, ‘দেখো দেখো! এই হলো প্লেটোর মানুষ!’

দার্শনিক সক্রেটিসের বউ ছিলেন বদমেজাজি প্রকৃতির। প্রায়ই সক্রেটিসকে ঘর থেকে বের করে দিতেন। ত্যাক্তবিরক্ত হয়ে সক্রেটিস বানী দিয়েছিলেন "বিয়ে করবে। তোমার বউ ভালো হলে সুখী হবে আর খারাপ হলে হবে দার্শনিক।"
আর আমাদের এক মহান স্টীলার একদা প্রেমিকার বদমেজাজি বাপের প্রতি বানী ছুড়ে দিয়েছিলেন "আমি কাটা টুকরোগুলো কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষন করবো তবু............" বাকিটা সবাই জানে।

আমরা আড্ডার জন্য একটি বই করছি। বইয়ের একটি পৃষ্ঠায় আমরা আমাদের মহান স্টীলারদের মজার কিছু মহান বানী সংরক্ষন করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনাদের কাছ থেকে নিজেদের নিজস্ব কিছু বানী আশা করছি। গম্ভীর জ্ঞানগর্ভ বানী নয়। আমরা কিছু "দম ফাটানো হাসির বানী" আশা করছি সবার কাছে।

Wednesday, January 6, 2016

গ্রেন্ড আড্ডাতে খেলাধূলা আইটেম এ 7 থেকে 10 বছর প'যন্ত বাচ্চাদের জন্য


গ্রেন্ড আড্ডাতে খেলাধূলা আইটেম এ 7 থেকে 10 বছর প'যন্ত বাচ্চাদের জন্য একটা ক্রীকেট প্রীতি ম্যাচ থাকলে ভালো হয়। কারণ এখন সব ছেলেরা ক্রীকেট নিয়ে অতি exited। ম্যাচ না করতে পারলেও এমন ভাবে করা যেতে পারে প্রত্যেকে 2 ওভার করে খেলবে। তাহলে ওদের enjoy টা মনে হয় পরিপূ'ণ হবে।

মনে পড়ে সি এস এম তোমায়


মনে পড়ে সি এস এম তোমায়
কত স্মৃতি আর স্বপ্নের বাসনায়
ট্যাঙ্কির তলায় সে তুমুল আড্ডায়
গ্রীষ্মকালে রাতে ছাদে শুয়ে আকাশের পানে চেয়ে থাকায়
বাসায় বাসায় আম কাঠালের পসরা বসায়
বর্ষাকালে বল খেলে কর্দমাক্ত হয়ে পুকুরে ঝাপ দেওয়ায়
ওরে খেলা ফুলের টব দর্শকের চিৎকারে মন ভাসায়
শরৎকালে আনসার ব্যারাক এর কাশফুলের দোলায়
শাপলা আর পদ্ম ফুলের পুকুর ছেয়ে যাওয়ায়
হেমন্তকালে বিকেলে সোনালী রোদের খেলায়
বাসার কার্নিশে জবা ফুলের লাল আভায়
শীতের বিকালে ব্যাটমিন্টন আর লাটিম খেলায়
খেজুরের রস আর ভাপা পিঠার ধূয়ায়
বসন্তকালে বাগানের নতুন শাক সবজির মুখরতায় 
শিমুল পলাশ আর গাঁদা ফুলের স্নিগ্ধ আভায় ।

হ্যাঁ, আমি পারবই


ক্লাসের শেষ রোলের ছেলেটি — যে কি না প্রায়ই বিরক্ত হয়ে বই ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলতো, তাকেই আজ দেখা যায় পাজারোতে চেপে অফিস যেতে । হ্যাঁ, সে আজ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার । . রাগের কারণে যে ছেলেটি ছিল সবচেয়ে বিখ্যাত, পাড়ার যেকোন গন্ডগোলে যেই ছেলেটিকে ছুঁড়ি হাতে দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে দেখা যেত, সেই আজ মাথা ঠান্ডা রেখে পরিচালনা করে পুরো একটি ব্রিগেড ফোর্স । কাঁধভর্তি চকচকে স্টার আর জাতীয় প্রতীক শাপলা । 

সে আজ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা । . যে ছেলেটি এক ফোঁটা রক্ত দেখলেই মাথা ঘুরে পড়ে যেত, সেই আজ অপারেশন থিয়েটারে রক্ত নিয়ে হাত মাখামাখি করে ফেলে । হ্যাঁ, সে আজ দেশের নামকরা একজন ডাক্তার । . ..........সবকিছই বদলে যায় । বদলে যায় সমাজ, বদলায় মানুষ আর মানুষের জীবন । . শুধু দরকার একটু ধৈর্যের ।

Tuesday, January 5, 2016

স্বর্গভ্রষ্ট



আমরা কলোনিতে ঢুকেছিলাম ১৯৮৭ সালে। জুন মাসে। আমার বয়স তখন আট কি নয়। তখন স্টিলমিলের রমরমা অবস্থা। নতুন কেউ বাসা পেলে তখন বাসার দরজা, জানালা ঠিক করে দেয়া হতো। আমরা ঢুকে দেখি তখনো কাঠের কাজ শেষ হয়নি। আমার পা ভাঙ্গা থাকায় উরু পর্যন্ত প্লাস্টার দেয়া ছিলো। আমি সারাদিন বসে সেই প্লাস্টারে ছবি আঁকতাম বা একা একা বসে ক্যারম খেলতাম। সেবছরই আমি মাত্র ক্লাস থ্রি তে ভর্তি হয়েছিলাম স্টিলমিল স্কুলে। কিছুদিন ক্লাস করতে না করতেই পা ভাঙ্গার বিপত্তি। তাই প্রথম অনেকদিন আমার কলোনির সাথে পরিচয় হয়নি। আমাদের বাসার সামনে ছিলো জঙ্গলে ভরা। জঙ্গলে ছেয়ে গিয়ে জায়গাটা এতই সবুজ হয়ে ছিলো যে সকালে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে সারা ঘর সবুজ হয়ে যেতো। তখন আমার বারান্দা থেকে বা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর তেমন কিছুই করার ছিল না তাই সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতাম। 

একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু.............................



শরীফা আপার কথা বলছি। অত্যান্ত মেধাবিনী ছিলেন। খেলাধুলায়ও খুব ভাল ছিলেন। চইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত কখনও ২য় হন নাই। সিনিয়র শিক্ষকরা হয়ত এখনও স্বরন করতে পারবেন। সম্ভবত উনি যখন ৯ম/১০ম শ্রেনীতে তখন আমার স্কুলে যাব যাব ভাব। একদিন আমাকে স্কুলে নিয়ে গেলেন। একদম পেছনের সিটে বসিয়ে রাখছিলেন। মনে পরে কোন এক আপা আমাকে বললেন, বাবু অ আ লিখ তো। আমি গাল ফুলিয়ে বসে ছিলাম। লিখব না তো লিখবনা। হা হা হা.......

স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবেন। ইন্টারে থাকা অবস্থায় একজন ভাল সুন্দর ছেলে পেয়ে আম্মা বিয়ে দিয়ে দিলেন। (এখন হলে বাল্য বিয়ের কেস হয়ে যেত)। পড়ালেখা আর আগায়নি। আমরা চইকা কলনী থেকে চলে আসার পরও উনার কথা স্যার আপারা অনেক দিন ক্লাসে বলতেন বলে শুনেছি.......

অবিনাশ স্যার


গতকাল অবিনাশ স্যারের বাসায় গিয়েছিলাম স্যারের হাতে আমাদের গ্রান্ড আড্ডার কুপন তুলে দেওয়ার জন্য, আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে এই দ্বায়িত্ব দেওয়ার জন্য। স্যারের সাথে পুরানো দিনের অনেক কথা হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্য লেগেছে খালাম্মা ( স্যারের স্ত্রী) আমাকে এখনো মনে রেখেছেন। অথচ উনার সাথে আমার খুব সামান্য পরিচয় ছিলো।

অবিনাশ স্যার খুব ছাত্র বান্ধব শিক্ষক ছিলেন, ছাত্রদের প্রতি প্রচন্ড শাসনের পাশাপাশি যথেষ্ট স্নেহ করতেন। স্কুল লাইফে দলগত বা ব্যাক্তিগত অন্যায় করে যতবারই ঝামেলায় পড়েছি ততবারই স্যারের কাছে আশ্রয় চেয়েছি ও পেয়েছি।তাই বলে উনি শুধু শুধু ছেড়ে দেন নি, অন্যায়ের বিচার ঠিকই উনি করতেন।। স্কুল লাইফ শেষ হওয়ার পর ও একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা থেকে স্যার আমাদের উদ্ধার করেছিলেন।এর আগেও স্যার কে নিয়ে লিখেছি, আসলে উনাকে নিয়ে লেখা কখনও শেষ হওয়ার নয়।

Monday, January 4, 2016

জাফর স্যার, আমাদের স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন


জাফর স্যার, আমাদের স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছিলেন অসম্ভব কড়া মেজাজের আর প্রচুর ধূমপান করতেন অথচ তাঁর ক্লাসে কেউ কাশি দিলে বলতেন “কিরে ব্যাটা গাঁজা খেয়েছিস নাকি, এগুলো খাসনে, দেখছিস না আমি ধূমপান করে শেষ” স্যারের ক্লাস খাকতো পিনপতন নিরবতা, কেউ কথা বললেই তার উপর চলত “ধামাধাম মাসকালান্দার” এবংপ্রায়ই দিনই এ জিনিস টা আমার উপর প্রযোগ করা হতো। স্যারের ক্লাসে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। যেহেতু Mahabub Rashel আজ স্যারকে নিয়ে লেখা শুরু করেছে তাই রাসেলকে জানিয়েই আমরা কাহিনী গুলোর ছোট্ট কিছু অংশ লিখছি।

আমাদের জাফর স্যার



জাফর স্যারের ক্লাস মানেই ক্লাসে শুনশান নীরবতা, সবার বুকে ধুপ-ধুপ আর চোখ পিট-পিট করতে থাকা !!! চোখতো কোন ভাবেই খোলা রাখা যায় না !!! আবার ঘুমানোও যেতো না, কারন ঘুমাতে দেখলেই স্যার দাড়া করিয়ে জিজ্ঞেস করবেন ............ Spelling কর । যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জাফর স্যারের ক্লাসে বসিয়ে দিলে ৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম এসে যাবে এটা সিউর।

জাফর স্যারের ক্লাস টাইমিং ছিলো একেবারে নিখুত, ঘন্টা শুরু সঙ্গে সঙ্গে জাফর স্যার বিদ্যুতের গতিতে ক্লাসে হাজির, আবার ঘন্টা শেষ হলে, পড়া যে অবস্থায় ছিলো সেই অবস্থায় রেখে,বই বন্ধ করে বিদ্যুতের গতিতে ক্লাস থেকে বাহির।
আর স্কুলে পড়ার সময় আমাদের চিরাচরিত বদঅভ্যাস ছিলো, ক্লাস থেকে ছোট টয়লেটের নাম করে বাহিরে একটা চক্কর দিয়ে আসা।

Sunday, January 3, 2016

রাত ১১টা


রাত ১১টা। সিগারেটের নেশা চেপেছে। কি করি? হাতের কাছে সিগারেট নেই। হঠাত মনে পরলো, সন্ধায় বাসায় ফেরার সময়, সিড়ির নিচে আধা খাওয়া একটি সিগারেট পরে থাকতে দেখেছি। চুপচাপ দরজা খুলে বের হলাম। সিগারেটটি ধরিয়ে দিলাম দুই টান। যথেষ্ট, সিগারেটটি ছিলো, রমনা " Brand"।

কয় দিন ধরেই রনি বলছিলো, ভাইয়া চলো, সাইফুল আমিন চাচাকে দেখে আসি। চাচা খুব অসুস্থ। সাথে বন্যাও যাবে। আজ যাবো,কাল যাবো করে আর সময় হয়ে উঠেনি। 

কিন্তু চাচা সময় মত চলে গেছেন। আমরা এত ব্যাস্ত যে, চাচা আমাদের সময় নষ্ট করতে চাননি। 

আমাদের গ্রান্ড আড্ডারর আনন্দ টেনশন


আগে যখন ঢাকা থেকে চিটাগাং গিয়ে ঈদ করতাম, তখন কি যে একটা টেনশন কাজ করত, ঠিক মত যাওয়া আসার টিকেট পাওয়া যাবে কিনা, সবার সব কিছু কেনা হয়েছে কিনা, অফিস থেকে টাইম মত বের হয়ে গাড়ি ধরতে পারব কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।সে টেনশন ছিলো আনন্দের টেনশন, আপনজন দের সাথে দেখা হওয়ার আনন্দ।

এখন যতই গাম্ভীর্য বজায় রেখে চলিনা কেনো ভিতরে ভিতরে সে ঈদ টাইপ উত্তেজনা চলছে। আর সেটা হচ্ছে আমাদের গ্রান্ড আড্ডারর আনন্দ টেনশন। গ্রান্ড আড্ডা উপলক্ষ্যে এখনো পোশাক কেনাকাটা চলছে, যাওয়া আসা কিভাবে হবে এটা নিয়ে চলছে গবেষনা, চিটাগাং গিয়ে কোন হোটেলে উঠব এটা নিয়ে চলছে রীতিমত বিতর্ক প্রতিযোগিতা। 

Saturday, January 2, 2016

আজ সন্ধায় বন্যার বাসায় গিয়েছিলাম


আজ সন্ধায় বন্যার বাসায় গিয়েছিলাম। বন্যা, জাবেদ, টিপু, আপেল, শেষে দেখলাম নাসিরও হাজির। খুব বিজি। আড্ডা উপলক্ষে বই আকারে কি যেন প্রকাশ করবে। বসে বসে গল্প, কবিতা আর কি কি যেন বাছাই করছে।

আজ খুব একটা পাত্তা দিলোনা আমাকে। যদিও চা/নাস্তা খাওয়াইছে। তবে কাজটা ভালো করিনাই। একটা সন্দেশ খেয়ে ফেলেছি, টিপু হারামজাদার পাম্পে, সাহস করে খেয়ে ফেললাম। সন্দেশে চিনি কম থাকে, খান একটা কিছু হবেনা। কিন্তু দই টা যে খাইলাম, এই দোষ কাকে দেই?? মনে করতে পারছিনা, মনে হয় বন্যা জোর করে প্লেটে তুলে দিয়েছিলো।


আমার না হয় ডায়াবেটিস আজ একটু বেশিই হলো, যে কাজটি ওরা হাতে নিয়েছে, তা যেন সফল হয়। হবে ইনশাল্লাহ। আমি দেখেছি, ওরা খুব আন্তরিকতার সাথে কাজটি সুরু করেছে।

প্রিয় আকাশী


প্রিয় আকাশী,
গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পেয়েছি
খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা;
ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি;
কতদিন পর ঢাকার চিঠি ; তাও তোমার লেখা ,
ভাবতে পারো আমার অবস্থা !
গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষাড়পাত
তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি
অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ।

বিয়ে .......


‘‘বিয়েনামক কার্যক্রমের মাধ্যমে দুইজন নারী পুরুষের মধ্যে একত্রে থাকার যে সামাজিক চুক্তি হয় তাতেই একজন অন্যজনের স্বামী বা স্ত্রী হয়েে উঠেন।

বছর 50 এক আগে তো চোখে দেখাও হত না অথচ মৌলভী, পাদ্রি বা পুরহিত-দুইজনের জন্য দোয়া, বাইবেল বা মন্ত্র পাঠ করলেন চারজনের স্বাক্ষী থাকল আর আত্মীয় পরিজন পেট ঠেসে খাওয়া দাওয়া করল-ব্যস হয়ে গেলা বিয়ে।

পর দিন থেকে ভাল লাগুক না লাগুক এক ঘরে এক ছাদের নিচে কাটিয়ে দাও জীবন ভর। ব্যাপারটা গোলমেলে বলেই স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক নিয়ে এ যাবৎকাল সবচাইতে বেশী জোকর্স সৃষ্টি হয়েছে।

Comments

Not using Html Comment Box  yet?

No one has commented yet. Be the first!

rss